বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
৬ আষাঢ় ১৪৩২

সিন্ডিকেট হারছে হাইকোর্টে

সিন্ডিকেট হারছে হাইকোর্টে
হাসান মেহেদী
প্রকাশিত
হাসান মেহেদী
প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:১৬

হাসান মেহেদী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ হলেই তা আর উচ্চ আদালতে টিকছে না। গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নেয়া অন্তত সাতটি আলোচিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা উচ্চ আদালতে গিয়ে পক্ষে রায় পেয়েছেন। এমনকি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তগুলো অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।

এর ফলে সিন্ডিকেটে নেয়া সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান সিন্ডিকেট অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিহিংসামূলকভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফলে কেউ উচ্চ আদালতে গেলেই তা ‘অবৈধ সিদ্ধান্ত’ হিসেবে রায় হচ্ছে। এতে ভাবমূর্তি হারাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।

উচ্চ আদালত গত পাঁচ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নেয়া সাতটি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তবে এমন আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত বিচারাধীন আছে। যদিও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘটনা কম।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত ও আদালতে যাওয়া একাধিক ভুক্তভোগী দৈনিক বাংলাকে বলেছেন, সিন্ডিকেটে সাধারণত উপাচার্যের মর্জি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উপ-উপাচার্যরাও সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেন। কখনো কখনো সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা দ্বিমত পোষণ করলেও বেশির ভাগ সময় উপাচার্যের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত পাস হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রভাবশালী শিক্ষকরাও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন।

শিক্ষক রাজনীতির নানা সমীকরণ, অপছন্দের শিক্ষকদের বাগে আনতেই একপক্ষীয় শাস্তি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে অপছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

পরে ক্ষুব্ধরা উচ্চ আদালতে গেলে নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিচ্ছেন আদালত। বঞ্চিতরা বলছেন, সিন্ডিকেটের প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তের কারণেই তারা আদালতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আদালত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে ওই শিক্ষকের পক্ষেই রায় দিচ্ছেন। হেরে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট যে সিদ্ধান্তগুলো নেয় অনেক সময় তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হয় না। আদালত প্রক্রিয়াটা দেখে রায় দেন। প্রক্রিয়াটার কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে উচ্চ আদালতে গিয়ে তা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এ বিষয়ে সতর্ক থেকে রাগ-ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ না ঘটিয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়। সম্প্রতি যেসব রায় হয়েছে তার বেশির ভাগই পুরানো ঘটনা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘সিদ্ধান্তগুলো হঠাৎ করেই সকলে মিলে নিয়ে ফেলছে। কিন্তু আইনের রীতিনীতি বা ধারা অনুসরণ না করায় এমন ঘটনা ঘটছে। তা ছাড়া আপিল করার সুযোগ থাকলেও অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কোনোটি আপিল করা হয়, কোনোটা করা হয় না।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ‘১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত যেকোনো বিবদমান বিষয়ে এই অধ্যাদেশকে আইন হিসেবে ধরে সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।

আদালতে জিতছেন ভুক্তভোগীরা

সম্প্রতি হাইকোর্টে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ পেয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের যৌথভাবে লেখা এক গবেষণা প্রবন্ধ নিয়ে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে সামিয়া রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয় ওই কমিটি। একাডেমিক এই অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের তৎকালীন ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ করলে সিন্ডিকেটের সভায় সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদাবনতি দেয়া হয়।

ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি হয়। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে চলতি বছরের ৩ আগস্ট পদাবনতির আদেশ অবৈধ বলে রায় দেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে তাকে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পদ ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

সামিয়া রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমার বিশ্বাস ছিল, আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাব। আদালত প্রতিহিংসামূলক রায় দেবেন না। আদালত প্রমাণ দেখবেন। মহামান্য আদালত আমার আইনজীবীর আদালতে উপস্থাপন করা তথ্যপ্রমাণ বিচার-বিবেচনা করেই আমাকে নির্দোষ বলেছেন। প্রতিহিংসার কারণে একজন মানুষকে কীভাবে সমাজে হেয় করা যায়, তার একটা প্রমাণ হয়ে থাকবে এই রায়। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

সামিয়া রহমান আরও বলেন, ‘সে সময় বলা হয় যে, শিকাগো ইউনিভার্সিটি প্রেস আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এলেক্স মার্টিন নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, এই নামে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্বই নেই। অভিযোগের এই চিঠি সে সময় উপ-উপাচার্যের অফিসে বসে আমাকে ফাঁসানোর জন্য বানানো হয়েছিল। আমি বারবার এটা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার কথা আমলে নেয়নি।’

এ ছাড়া উচ্চ আদালতের আদেশে স্বপদে পুনর্বহাল হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক শবনম জাহান। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে আগেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে সেসময় হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই বছরের ২৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় শবনম জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২০২০ সালের ২০ জুলাই সিন্ডিকেটে তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দেয়।

এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শবনম। রিটের শুনানি শেষে শবনম জাহানকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট তাকে স্বপদে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

শিক্ষক রাজনীতির বলিও হন কেউ কেউ

গত ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানান অধ্যাপক রহমত উল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে এই সভায় অংশ নেন তিনি। ভুল বুঝতে পেরে ‘শ্রদ্ধা’ জানানোর একপর্যায়ে খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেও বক্তব্য রাখেন তিনি। কিন্তু শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান অধ্যাপক রহমত উল্লাহ। সে সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শাস্তির দাবি জানান। ২০ এপ্রিল অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় সিন্ডিকেট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে গত ৮ জুন প্রাথমিক শুনানিতে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহকর্মীদের সম্পর্কে ‘বাজে মন্তব্য’ করার অভিযোগে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৩ জুলাই উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের সেই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। রায় পাওয়ার পরও দুই বছর পর্যন্ত তিনি বিভাগে যোগ দিতে পারেননি। তবে এখন তিনি বিভাগে নিয়মিত।

জেন্ডার কোর্সের অংশ হিসেবে শ্রেণিকক্ষে ‘অশ্লীল চিত্র’ প্রদর্শন করার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। গত ১০ এপ্রিল এই রিট আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আপিল খারিজ করে দিয়ে ওই বছরের ২৭ মে অধ্যাপক রিয়াজুল হককে স্বপদে বহাল রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। পরে তিনি বিভাগে যোগদান করেন।

পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে অন্যদের বঞ্চিত করা

নিয়োগের ক্ষেত্রেও নানা সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত আটকে যায় হাইকোর্টের রায়ে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষকের তিন পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেসময় প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন এস এম ফাইজুল হক ইশান। সব প্রক্রিয়ার পর নিয়োগ বোর্ড ফাইজুলসহ তিনজনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এর পরও নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। আবেদনকারীকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।

রুলটি বিচারাধীন অবস্থায় ফের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে ফাইজুল হক ১১ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে এক শুনানিতে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি।

এই বিষয়ে ফাইজুল হক ইশান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘একটা নিয়োগ সম্পন্ন না করে বিশ্ববিদ্যালয় অন্য আরেকটি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে। এটা তো হতে পারে না। তাই আমি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। তবে এখনো সমাধান হয়নি।’

অপরাধের চেয়ে শাস্তি কড়া

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে একটি মারধরের ঘটনায় ২০০৯-১০ সালের শিক্ষার্থী আবু তালহার সনদ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সাবেক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যবস্থা নিতে পারে না আখ্যা দিয়ে সনদ বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে তিনি সনদ ব্যবহার করে এখন জনতা ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।

আদালতের রায়, ব্যক্তিভেদে দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন

এসব ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘যখন কোনো বিষয় সিন্ডিকেটে উত্থাপন হয় অনেক সময় সেটা বিচার-বিশ্লেষণ না করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেউ অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছেন এমনটা হয় না। তবে শাস্তির মাত্রা নির্ধারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ চোখে পড়ে। কারও ক্ষেত্রে বড় অপরাধ করেও লঘু শাস্তি দেয়া হয়, আবার কেউ ছোট অপরাধ করেও গুরুদণ্ড পায়।

তারা বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট উচ্চ আদালতে রায় সহজেই মেনে নেন। আবার কারও ক্ষেত্রে রায়ের পর আপিল করে, রিভিউ কমিটি করে। সভার সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের একক ক্ষমতাবলে বেশিরভাগ সময় এসব সিদ্ধান্ত তিনি একাই নেন। সিন্ডিকেট সদস্যরা ভিন্নমত দিলেও সেটা আমলে নেয়া হয় না। এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি সিন্ডিকেটের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’

সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, শবনম জাহানের বিষয়টি হাইকোর্টের রায় গ্রহণ করে স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। আপিল করা হয়নি। আবার অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বিষয়টি হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একটি ঘটনায় একজন শিক্ষক হাইকোর্টে জিতেছেন। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর রিভিউ হয়েছে সেখানেও তিনি জিতেছেন, আপিল বিভাগে জিতেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ করেছে সেটাতেও তিনি জিতেছেন। এর পরও রিভিউ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী কিছু শিক্ষক তাকে পছন্দ করেন না।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী বাম ধারার রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখান। এ কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রভাবশালী শিক্ষকই পছন্দ করেন না। সে কারণে তাকে বাগে আনতে সেসময় এই শাস্তি দেয়া হয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বিব্রত অন্য শিক্ষকরাও

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। আমরা সকল প্রক্রিয়া মেনেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এর পরও কেন আমরা হেরে যাচ্ছি তা খতিয়ে দেখা উচিত। এটা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবীরা তথ্যগুলো যথাযথভাবে উচ্চ আদালতে উপস্থাপন করছেন না। নয়তো বিশ্ববিদ্যালয় যথোপযুক্ত আইনজীবী দিচ্ছেন না। সিদ্ধান্তের পিছনে যে যুক্তিগুলো থাকে তাতে বিশ্ববিদ্যালয় হারার কথা না।’

এই বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা অমিত তালুকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ হাইকোর্ট, কেউ আপিল বিভাগ আবার কেউ নিম্ন আদালত থেকে রায় নিয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সেটা মেনে নিচ্ছে। কিছু ফাঁকফোকর তো অবশ্যই আছে যার কারণে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে উপ-উপাচার্য বলেন, কারও কার‌ও সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা।


এনআইটি একাডেমি গ্লোবাল: বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথে এক বিশ্বস্ত সহযোগী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন হয় সঠিক দিকনির্দেশনা ও দক্ষ সহযোগিতার। ঠিক এখানেই NiT Academy Global তার অনন্য ভূমিকা রাখছে। রাজশাহী ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য। তারা শুধুমাত্র ভিসা প্রসেসিং বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর পুরো উচ্চশিক্ষা যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।


NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের প্রথমে উপযুক্ত কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে সহায়তা করে, যা তাদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এরপর শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত থেকে শুরু করে আবেদনপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার বিষয়েও তারা সহায়তা করে। এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহায়তা, সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় কনসালটেন্সি সরবরাহ করা হয়। যারা আর্থিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন, তাদের জন্য রয়েছে বৃত্তি সংক্রান্ত পরামর্শ ও সহায়তা।


বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য NiT Academy Global শিক্ষার্থীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, জাপান, চীন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (বিশেষ করে দুবাই)।


NiT Academy Global শুধু একাডেমিক সাপোর্টেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা প্রাক-ভ্রমণ সহায়তা, এয়ার টিকেট বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ ও হোস্টেল/বাসস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকে। এক কথায়, বিদেশে যাওয়ার শুরু থেকে সেখানকার স্থায়ীভাবে থিতু হওয়ার পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তারা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে।


প্রতিষ্ঠানটির সেবা গ্রহণ করে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্থান পেয়েছেন। কেউ যুক্তরাজ্যে, কেউ কানাডায়, কেউবা আবার জাপান কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। তাদের সাফল্যই NiT Academy Global-এর কার্যক্রমের সফলতা প্রমাণ করে।

যোগাযোগ:
ফোন: +8801612751894
ইমেইল: [email protected]
ঠিকানা: হাউস-১২২, প্রতিতির রান্নাঘর বিল্ডিং, গণকপাড়া, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।


হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি বাতিল করেছে এবং বর্তমানে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অবস্থান হারাতে পারে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)। হার্ভার্ড এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও প্রতিশোধমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) প্রত্যয়ন বাতিলের নির্দেশ দেন।

ডিএইচএসের বিবৃতিতে বলা হয়, হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আগেই চাওয়া কিছু তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোয়েম বলেন, ‘এই প্রশাসন হার্ভার্ডকে জবাবদিহির আওতায় আনছে- যেহেতু তারা সহিংসতা ও ইহুদিবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুবিধা, যা তারা অধিক টিউশন ফি নিয়ে বহু বিলিয়ন ডলারের তহবিল ফুলিয়ে তোলার কাজে ব্যবহার করে।’

হার্ভার্ড পাল্টা বিবৃতিতে জানায়, ‘সরকারের এই পদক্ষেপ অবৈধ। আমরা হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের উপস্থিতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা এসব মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরো জাতিকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করেন।’ হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের হার্ভার্ডবিরোধী অভিযানের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ম্যাসাচুসেটসের এই আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘বামপন্থি’ বা ‘মার্কসবাদী’ আদর্শ ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন। গত মাসে হার্ভার্ড একটি ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ স্থগিতাদেশের মুখে পড়ে, কারণ তারা হোয়াইট হাউসের দেওয়া একগুচ্ছ শর্ত প্রত্যাখ্যান করে।

এসব শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কাঠামো, নিয়োগ নীতি ও ভর্তি পদ্ধতিতে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বৈচিত্র্য সংক্রান্ত দপ্তরগুলো বন্ধ করা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্ক্রিনিংয়ে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। হার্ভার্ড পরে এই বরাদ্দ স্থগিতাদেশ ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে।


ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’তে নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কো-অপারেশন সেন্টারের (সিআইএসি) পরিচালক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিন শর্তে তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়ে বুধবার (১৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর ভিসি পদে নিয়োগের মেয়াদ হবে তার যোগদানের তারিখ হতে চার বছর। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যে কোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন; তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

জানতে চাইলে গতকাল শনিবার (১৭ মে) অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী এই প্রতিনিধিকে জানান, ‘ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপনটি হাতে পেয়েছি আমি। সংশ্লিষ্ট দুই বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে ভিসি হিসেবেক যোগদান করবো।‘

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস (বিএসপিইউএ) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত জীবনে এর আগে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং ডিন এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক এবং ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের অধীনে এমবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোল প্লাতজে ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অনুষদের একজন ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি সিডনির অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপের একজন রিসার্চ ফেলো। তাছাড়া তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি এমএআরএ-এর অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং প্রফেসর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের নিয়োগ বোর্ডের এক্সটারনাল মেম্বার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব অ্যাকাউন্টিং, ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্সের এডিটর হিসেবেও অবদান রেখেছেন। হিসাববিজ্ঞানে দক্ষতার পাশাপাশি ড. সোবহানী মানবসম্পদ এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

ড. সোবহানীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে মেজরসহ বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে। তিনি বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়েশিয়া থেকে এইচআর অ্যাকাউন্টিং ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. ফরিদ আহমেদ সোবহানী দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সম্মানিত জার্নাল এবং ম্যাগাজিনে প্রায় ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে একাডেমিকভাবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, যার মধ্যে অ্যাকাউন্টিং, কর্পোরেট
ডিসক্লোজার, এইচআর এবং নেতৃত্বের মতো ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান।


ফিলিপ সি. জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাফল্যের সংবর্ধনা

আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৫ ১৪:০৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফিলিপ সি. জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর আন্তর্জাতিক পর্বে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি সগৌরবে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। ১০৪টি দেশের রেকর্ডসংখ্যক ৮০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এটি ছিল প্রতিযোগিতার ৬৬ বছরের ইতিহাসে বৃহত্তম আয়োজন। এর আগে বাংলাদেশ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে রেকর্ডসংখ্যক অংশগ্রহণকারী ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ন হয়েছে। দারুণ আইনি দক্ষতা প্রদর্শন করে ন্যাশনাল রাউন্ডে রানার্স-আপ ট্রফি অর্জন করেছে দলটি। এই অসাধারণ সাফল্যের পাশাপাশি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী প্রিলিমিনারি রাউন্ডে ৮৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করে ‘বেস্ট মুটার' সম্মাননা লাভ করে।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আরেকটি দল এই প্রথমবারের মতো মনরো ই. প্রাইস মিডিয়া ল’ ইনটারন্যাশনাল মুট কোর্ট কম্পিটিশন ২০২৪-২৫ এর আন্তর্জাতিক রাউন্ডে কোয়ালিফাই করেছে। উল্লেখ্য, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এই বছর বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই এই প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্বে উন্নীত হয়েছিলো।

এ উপলক্ষে ১৬ই মে ২০২৫ শুক্রবার ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রেজাকুল হায়দার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ল’ মুট কোর্ট-এর আন্তর্জাতিক পর্বে সাফল্যের জন্য প্রতিযোগীতায় অংশগ্রনকারী আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সাথে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের ৫ম ইন্ট্রা-ডিপার্টমেন্ট মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাই কোর্ট ডিভিশনের বিজ্ঞ মাননীয় বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী। তিনি শিক্ষার্থীদের আইন পেশায় দক্ষতা অর্জনে মুটিং কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জেসাপ, হেনরি ডুনান্ট, মনরো ই. প্রাইস (অক্সফোর্ড), ও স্টেটসন আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিক সফলতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সম্মানজনক উপস্থিতির জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান। আইনি উৎকর্ষতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের অবদানকে তিনি আন্তরিকভাবে প্রশংসা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মো: সামসুল হুদা বলেন এই প্রতিযোগিতাগুলো আইনজীবী হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রস্তত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি ইন্ট্রা-ডিপার্টমেন্ট মুট কোর্ট প্রতিযোগিতাকে শিক্ষার্থীদের আইনি দক্ষতা বিকাশের সূচনাপর্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং ভবিষ্যতে সবার সাফল্য কামনা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের সিনিয়র এডভোকেট ড. খালেদ হামিদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধারা এবং মান বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে উদ্ভোধনী বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ। আরো বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অংশগ্রহন ও অসাধারণ সাফল্যের জন্য তিনি প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন জনাব এ.বি.এম ইমদাদুল হক খান। আইন বিভাগের এমন সাফল্যে সবাই খুব আনন্দিত এবং তাদের যাত্রা আরো সুন্দর হওয়ার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন বক্তারা । অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আইন বিভাগের প্রভাষক ও মুট কোর্ট সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ওমর ফারুক তামীম।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বকাপ মুট’ বলে খ্যাত ফিলিপ সি. জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বক্তব্য দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরী আবির এবং সাকিব খন্দকার। এছাড়া মনরো ই. প্রাইস মিডিয়া ল’ ইনটারন্যাশনাল মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন আইন অনুষদের শিক্ষার্থী রাইসা চৌধুরী ও রিয়াসাত আজিম।

ফিলিপ সি. জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার ২০২৫ সালের এবারের আসরে, মেমোরিয়াল (লিখিত আইনি যুক্তি) ক্যাটাগরিতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বেশ চমকপ্রদ সাফল্য দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির লিখিত সাবমিশন বিশ্বের বেশ কয়েকটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান যেমন- ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড (যুক্তরাজ্য), ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো (যুক্তরাষ্ট্র), ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো (কানাডা), নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগো (যুক্তরাজ্য), ইউনিভার্সিটি অফ অসলো (নরওয়ে), এবং উল্লেখযোগ্যভাবে, এই বছরের জেসাপ কাপের রানার-আপ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ কিয়েভ মোহিলা একাডেমি (ইউক্রেন) ইত্যাদিকে ছাড়িয়ে ৭৪ তম হয়েছে। এবছর ২৮ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসি’র হায়াত রেজেন্সিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার এবারের আন্তর্জাতিক পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড (যুক্তরাজ্য), তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ ল (উজবেকিস্তান), সহ বেশ কয়েকটি জগদ্বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আইনি যুক্তির লড়াইয়ে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দিতা করে।

এছাড়া, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মনরো ই. প্রাইস মিডিয়া ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা, বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত মুটিং প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই প্রতিযোগিতায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধীনস্থ বোনাভেরো ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান রাইটসে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির দলটি। ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটি (NLU) দিল্লির উদ্যোগে এবং সেন্টার ফর কমিউনিকেশন গভর্ন্যান্স, NLU দিল্লি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোনাভেরো ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান রাইটসের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল আঞ্চলিক পর্বটি।


বিইউএফটিতে লেদার ক্রাফট এক্সিবিশন ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি)-এর ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় ‘লেদার ক্রাফট এক্সিবিশন ২০২৫’। ৬৫ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীটি ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা চামড়াজাত পণ্য ডিজাইন ও কারুশিল্প বিষয়ক একটি হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সফল পরিসমাপ্তির ফসল।

প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি নানান রকমের সৃজনশীল ও ব্যবহারিক চামড়াজাত পণ্য স্থান পায়। এতে তাদের দক্ষতা, শৈল্পিকতা এবং বাস্তব জীবনের শিল্প জ্ঞান ফুটে ওঠে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউএফটি’র ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’র সহযোগী অধ্যাপক জনাব উত্তম কুমার রায় এবং বিইউএফটি’র জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ ইমতিয়াজ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী।

কর্মশালাটি আয়োজন ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ফাহিমা আখতার। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।

এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিইউএফটি তার শিল্পভিত্তিক ও বাস্তবমুখী শিক্ষার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি, দেশের চামড়াশিল্পে উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার প্রসারেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। প্রদর্শনীটি তরুণ ডিজাইনারদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে যা ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত দক্ষতা গঠনে সহায়ক হবে।


অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সাত কলেজের

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শনিবার (১৭ মে) ইডেন কলেজের ১ নম্বর ফটকে সংবাদ সম্মেলন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৫ ২০:৫৫
ইউএনবি

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

তবে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, তারা এবার দাবি আদায়ের সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার (১৭ মে) ইডেন মহিলা কলেজের ভেতরে ১ নম্বর ফটকের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি
    • অন্তর্বর্তী প্রশাসকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সেশনজট নিরসনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের পাশাপাশি ভুতুড়ে ফলের সমাধান
    • বিভিন্ন ইস্যুতে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধসহ যাবতীয় অসংগতিগুলো স্পষ্টভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ
    • অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ
    • আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ও লোগো/মনোগ্রাম প্রকাশ এবং আগামী এক মাস তথা ১৬ জুনের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।

বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাফরিন আক্তার ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।

ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।

উল্লেখ্য, এই কলেজগুলো একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। পরে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।

তবে অধিভুক্তির পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে সময়-সময় আন্দোলন করে আসছিলেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিগত আট বছরে সমস্যাগুলো বড় আকারে রূপ নেয়। শুরু হয় নানা আন্দোলন।

সবশেষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথকীকরণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সভা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। অর্থাৎ, উল্লেখিত সেশন থেকেই সাত কলেজ নিয়ে নতুন করে গঠিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে’ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ ১৬ জুনের মধ্যে জারি ও নবগঠিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়ামের শুভ উদ্বোধন

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ- ক্যাম্পাসে অত্যাধুনিক ‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৫ ০০:২৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ উদ্বোধন করা হলো অত্যাধুনিক ‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়াম। এই জিমনেসিয়ামে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিয়মিত শরীর চর্চার সুযোগ পাবেন, যা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত।

জিমনেসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর তিনি শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য শুধু একাডেমিক জ্ঞানই নয়, শারীরিক সুস্থতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জিমনেসিয়াম সেই লক্ষ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। জমজমাট সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে উদযাপন করা হয় এই বিশেষ আয়োজনটি।

‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়ামটিতে রয়েছে আধুনিক ও উন্নতমানের বিভিন্ন শরীরচর্চা উপকরণ—যেমন এক্সারসাইজ বাইক, ওয়েট ট্রেনিং সেটসহ আরও নানা ধরণের জিম ইকুইপমেন্ট। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত এবং ফ্রি।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সবসময় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এই জিমনেসিয়াম তারই একটি বাস্তব উদাহরণ, যা ভবিষ্যতে আরও স্বাস্থ্য সচেতন ও উদ্যমী প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।


দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জবি ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি। পূর্ববর্তী তিন দফাসহ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছেন জবির শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন বলেন, ‘আমরা জবির দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের উপরে নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা ও অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি, কোন ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন চলবে, কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তার পরিণতি ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।’

গতকাল(বুধবার) থেকে জবির শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান করছেন। অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হলেও আন্দোলন থেকে সরে যাননি। কেউ কেউ রাতভর রাস্তায় ঘুমিয়ে আজ সকালেও অবস্থান করছেন।

নতুন দাবিসহ চার দাবি হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

এর আগে (বুধবার) ‌বেলা ১১টার দি‌কে এই তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লং মার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে দুপুর সা‌ড়ে ১২টার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সে সময় আন্দোলনকারী‌দের ছত্রভঙ্গ করতে গরম পানিও ছোড়া হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তা‌দের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। পরে তাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে গতকাল রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সেখা‌নে বিফ্রিং করতে যান। তবে তার ব্রিফিংয়ে অসন্তুষ্ট হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে বোতল ছুঁড়ে মারেন একজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরে বিফ্রিং বন্ধ করে চলে যান উপদেষ্টা।

এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকড়াইল মসজিদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন জবির শিক্ষার্থীরা।


‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ এ অনুষ্ঠিত হলো ‘ইনডোর স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৫!

আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৫ ২০:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্রীড়াময় উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ক্যাম্পাস। গত ৬ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলা ‘ইনডোর স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৫’-এ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ইনডোর স্পোর্টস কার্নিভাল, যেখানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় চেস, ক্যারম, লুডু, বিলিয়ার্ড ও ফুসবল খেলায়। প্রতিটি খেলায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, মনোযোগ ও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা অনবদ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফাত , যিনি নিজ হাতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন এবং তাদের অনুপ্রেরণা দেন।

এই আয়োজন সফল করতে সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব এবং মিডিয়া ও ফটোগ্রাফি ক্লাবের অক্লান্ত পরিশ্রম প্রশংসার দাবিদার।


চ্যাট-ভিত্তিক সিভি বিল্ডার চালু করল ‘আমি প্রবাসী’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি ‘আমি প্রবাসী’ চালু করেছে মেশিন লার্নিং চ্যাটবট ভিত্তিক সিভি বিল্ডার, যা ব্যবহার করে দ্রুত ও সহজেই তৈরি করা যাবে পেশাদার সিভি। প্রচলিত পদ্ধতিতে বা অনলাইন টুলস ব্যবহার করে প্রফেশনাল সিভি তৈরি করতে অনেকেই নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। কিন্তু ‘আমি প্রবাসী’র এই সিভি বিল্ডার দিয়ে খুব সহজেই চ্যাটবটের সঙ্গে চ্যাট করে সিভি তৈরি করা সম্ভব।

এই ফিচারে রয়েছে বাংলা মেশিন লার্নিং চ্যাটবট, যা সহজ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তার যাবতীয় তথ্য যেমন- দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি জেনে নেয়। মাত্র ৫–৭ মিনিটে প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ শেষ করে একটি পেশাদার সিভি তৈরি করে দিতে সক্ষম এই ফিচার। সিভি প্রস্তুত হয়ে গেলে পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা; যা তারা তাৎক্ষণিক শেয়ার করতে পারবেন আবার চাইলে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এখন পর্যন্ত প্রায় ১, ০০,০০০ জন ব্যবহারকারী এই সিভি বিল্ডার ফিচার ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে ৩,৫১২ জনের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩১,৩৮৯ জন এবং প্রকৌশলীর সংখ্যা ১,৩৩৫ জন।

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে প্রবেশ করে নতুন ফিচারটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। যাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম, তারাও এটি ব্যবহার করে সহজেই দ্রুত মানসম্পন্ন পেশাদার সিভি তৈরি করতে পারবেন, যা চাকরিক্ষেত্রে তাদের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।

‘আমি প্রবাসী’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক বলেন, ‘অনেক মানুষ বিশেষ করে যারা প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়, তারা জানেই না সিভি কী— সেখানে সিভি তৈরি করা তো দূরের কথা। আমাদের সিভি বিল্ডার ফিচার যেকোনো ব্যক্তির জন্য সিভি তৈরি এখন অনেক সহজ করে দিয়েছে। বাংলায় মেশিন লার্নিং চ্যাটবটের সাথে চ্যাট করে যে কেউ এখন সিভি বানাতে পারবেন। বেকারত্বের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং আরও বেশি মানুষকে ভালো চাকরির সুযোগ করে দিতে বর্তমানে এটি সহায়ক একটি ফিচার।’


ববিতে ভিসি অপসারণের আন্দোলনে শিক্ষকদের একাত্মতা প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সেখানে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করার পাশাপাশি বক্তব্যও রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহসিনউদ্দিন, ড. হাফিজ আশরাফুল হক ও উন্মেষ রায়।

তারা অভিযোগ করেন, ভিসির কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধ্বংসের মুখে। মাসের ২৮ দিনই তিনি ক্যাম্পাসে থাকেন না। কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও হয়নি তার সময়ে। বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর করা সহায়তার আবেদনটি তিনি খুলেও দেখেননি। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করার মতো ঘৃণ্য কাজ পর্যন্ত করেছেন তিনি।

এই উপাচার্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন একাত্মতা প্রকাশ করা ওই শিক্ষকরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের মধ‍্যে বক্তব্য রাখেন সুজয় শুভ, ভূমিকাসহ অন্যরা। অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক‍্যাম্পাস ও সংলগ্ন সড়ক ঘুরে আসে। মিছিলে ভিসির অপসারণ দাবি করে নানা শ্লোগান দেওয়া হয়।

এ নিয়ে টানা চতুর্র্থ দিনের মতো ভিসি শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছে ববির শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, সোমবার (৫ মে) তার পদত‍্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ববির শিক্ষার্থীরা।

সে সময় তারা জানান, আগে ২২ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও উপাচার্য তা মানেননি। বরং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের চেষ্টা করেছেন। এ কারণে বর্তমানে ভিসির অপসারণই তাদের একমাত্র দাবি।


চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বৈষম্যমূলক নীতি, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘প্রহসনের বাজেট মানি না, মানবো না’; ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘বাজেট নিয়ে বৈষম্য মানি না, মানবো না’; ‘ইউজিসির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথেসহ’ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব আন্দোলনেই সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।’

ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে পদে বসে আছেন, সেই পদে বসতে জবি শিক্ষার্থীদের ত্যাগ আছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন এবং জবির শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি দ্রুত মেনে নিন। দাবি মেনে না-নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।’

কর্মসূচিতে জবি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালের আন্দোলনে এমন কোনো দিন ছিল না, যেদিন পুরান ঢাকায় আন্দোলন হয়নি। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আপনারা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন, অথচ আজ আমাদের ওপরই বৈষম্য করছেন।’

‘আবাসন ভাতা ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। আমাদের ৯০-৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টাকার অভাবে সকালের নাশতা খেতে পারেন না। পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি পরিবেশে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি,’ অভিযোগ করেন এই শিক্ষার্থী।

এদিকে, জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলবে, নয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ঢাকার মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাজেটে এত বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং তাদের চার দফা দাবি পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে, আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। বাজেট বৃদ্ধির নীতিমালাতেও ত্রুটি আছে, এজন্য আমরা ইউজিসি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি ‘

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।


আপনার চাকরি খেয়ে ফেলবে এআই: ফাইভার প্রধানের হুঁশিয়ারি

আপডেটেড ৬ মে, ২০২৫ ১৯:৪৬
ইউএনবি

চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্রমাগত পরিবর্তনশীল প্রভাব নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি বহুজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিকা কাউফম্যান। এআই নির্ভর ভবিষ্যতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে দক্ষতা ও খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে জোর দেন তিনি।

ফাইভারের একটি অভ্যন্তরীণ মেমোর বিস্তারিত বিবরণে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন। পরবর্তীতে সেটি সামাজিকমাধ্যমেও শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।

যেভাবে দ্রুতগতিতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে, তাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মনির্ভর বাজারসহ শিল্পকারখানা নতুন করে ঢেলে সাজানোর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সেই দিকে আভাস দিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় উপযুক্ত করে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে ফ্রিল্যান্সার্স ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘কঠিন সত্য হলো—আপনার কর্মসংস্থান দখল করতে আসছে এআই, আমার চাকরিটাও তারা নিয়ে নেবে। এটা আপনাদের জেগে ওঠার ডাক। তাতে হোক না আপনি প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, পণ্য ব্যবস্থাপক, ডেটা বিজ্ঞানী, আইনজীবী, বিক্রেতা কিংবা কোনো ব্যবসায়ী। আপনাদের কর্মসংস্থান কেড়ে নিতে ধেয়ে আসছে এআই।’

“একসময় যেসব কাজকে সহজ বলে বিবেচনা করা হতো, এখন আর সেগুলোর অস্তিত্ব নেই। আবার যে কাজগুলো কঠিন বলে বিবেচনা করা হতো, সেগুলো সহজ হয়ে গেছে। আর যে কাজগুলো অসম্ভব বলে মনো হতো, সেটা এখন নতুন ‘কঠিন কাজ’।”

তিনি বলেন, ‘আপনি যা করছেন, সেখানে যদি একেবারে ব্যতিক্রমী মেধাবী না হন, কয়েক মাসের ব্যবধানে আপনাদের কর্মসংস্থান পরিবর্তনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে,’ বলেন ফাইভারের এই প্রধান নির্বাহী।

সর্বশেষ এআই উদ্ভাবন নিয়ে আরও লেখাপড়া ও দক্ষতা অর্জনে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘এআই প্রোগ্রাম লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলসের (এলএলএমএস) ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’

যারা এটার কদর বুঝবেন না, অর্থাৎ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না, তাদের ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে পড়বে বলেও হুশিয়ার করেন ফাইভার প্রধান নির্বাহী। কাজেই কর্মীদের আরও দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সার্চ জায়ান্ট গুগল ‘সেকেলে’ হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মিকা কাউফম্যান।


banner close