শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সাউথইস্ট ব্যাংক সফটওয়্যার ডেভেলপার পদে নিয়োগ দিচ্ছে

আপডেটেড
২৪ মার্চ, ২০২৩ ১৪:২০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০২৩ ১৬:২১

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ‘সফটওয়্যার ডেভেলপার (এসও/ইও)’ পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে।

আগ্রহীরা আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম

অভিজ্ঞতা: সর্বনিম্ন ৬ বছর

কর্মস্থল: ঢাকা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা বিডিজবস এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।


আকাশচুম্বী বেতনে অক্সফামে চাকরি!

আপডেটেড ২৩ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৫৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাৎসরিক ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বেতনের কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বাংলাদেশ। সংস্থাটি কক্সবাজারে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: প্রোগ্রাম ম্যানেজার-এএইচপি

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যানিটারিয়ান/ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ অথবা বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ম্যানেজমেন্ট বা সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ইমার্জেন্সি ও উন্নয়ন কাজে। এর মধ্যে অন্তত চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরির। দক্ষ হতে হবে বাজেট ম্যানেজমেন্ট ও ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টে। যোগাযোগ ও নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: কক্সবাজার

কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা

বেতন: বছরে (১৩ মাস) ২৩,৩৪,৬০৪ টাকা।

যেভাবে করবেন আবেদন

আগ্রহীরা এই লিংকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply For This Role-এ ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।


শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ বিল্লালের

আপডেটেড ৪ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৫৫
আনিসুল ইসলাম নাঈম

মো. বিল্লাল হোসেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’ বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. জিন্নাহ শেখ এবং মায়ের নাম রহিমা বেগম। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি স্নাতকের ফলাফলে দ্বিতীয় স্থান এবং স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অর্জন করেন। সম্প্রতি তার স্নাতকোত্তরের ফলাফল প্রকাশের পরপরই দেশের শীর্ষস্থানীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’ বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।

ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব শান্তশিষ্ট স্বভাবের ছিলেন। কারও সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না, সব সময় চুপচাপ থাকতেন। এমনকি তার মা রোজ তাকে স্কুলে দিয়ে আসতেন এবং নিয়ে আসতেন। তার মা স্কুল পর্যন্ত না গেলে তিনি স্কুলে যেতে চাইতেন না। তবে ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় খুব মনোযোগী ছিলেন। শৈশব থেকেই ক্লাসে ভালো ফলাফল করে এসেছেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বরাবরই ক্লাসে প্রথম হতেন। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বেশির ভাগ সময়ই ক্লাসে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হতেন। এরপর দাখিল পরীক্ষায় জিপি-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু তেমন কোনো খেলাধুলার সঙ্গে কখনো যুক্ত হতে পারেননি। কারণ, শারীরিকভাবে তিনি খুবই রোগা-পাতলা ছিলেন।

পড়াশোনায় প্রতিবন্ধকতা এবং অনুপ্রেরণা সম্পর্কে বলেন, ‘পড়াশোনার ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত পরিবারের যে প্রতিবন্ধকতা থাকে সেগুলো আমি সব সময়ই ফেস করেছি। তবে আমার মা-বাবা আমাকে এত বেশি মানসিকভাবে সাপোর্ট করেছেন তা আসলে ভোলার মতো নয়। এমনকি এখন পর্যন্ত আমাকে তারা উৎসাহ এবং আত্মবিশ্বাস দেন। আমি বিশ্বাস করি, তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও উৎসাহ আমার পড়াশোনার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা ছিল, সেগুলো দূর করতে সব সময়ই সহযোগিতা করেছে। আমার চলার পথকে করেছে সাবলীল। তাই তো কষ্টের মধ্যে বড় হলেও সামনে এগিয়ে যেতে সমস্যা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় ক্লাসের পড়াগুলো খুব ভালো বুঝতাম বলে অনেকেই আমার কাছে পড়া বুঝতে আসত। ফলে আমি তাদের যখন বুঝিয়ে দিতাম তখন মনের অজান্তেই খেয়াল করতাম, আমি খুব সুন্দরভাবে বিষয়গুলোকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করছি। আর যাকে যে বিষয়ে বোঝাতে চাচ্ছি সে সেটা খুব সহজেই বুঝে যাচ্ছে। তখনই মূলত শিক্ষকতা পেশাকে ভালো লাগতে শুরু করে। এভাবে শিক্ষকতা পেশাকে একসময় মনের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি। এতটাই ভালোবেসে ফেলেছি যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্লাস নিলেও কখনো ক্লান্তি আসে না।’

বিল্লাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে দেশের ইংরেজি ও বাংলা জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম ও ফিচার লিখতেন। এমনকি এখনো সময় পেলে লেখেন। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন। ফলস্বরূপ বেশ কয়েকবারই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। সর্বশেষ বিজ্ঞানচিন্তা (প্রথম আলো) ও ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ আয়োজিত ইয়ুথ ফর সায়েন্স প্রতিযোগিতার কুইজ সেগমেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন। এ ছাড়া নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড ২০২০ ও ২০২১ সালে ওপেন ইন্টারনেট চ্যালেঞ্জ বিভাগে সিনিয়র ক্যাটাগরিতে পরপর দুবার চ্যাম্পিয়ন হন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তার কিছু প্রবন্ধ বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ইমরান মাহফুজ সম্পাদিত ও ডেইলি স্টার বুকস প্রকাশিত ‘তারুণ্যের আবুল মনসুর আহমেদ’ নামক বইয়ে তার একটি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনিরে তার আরও একটি প্রবন্ধ স্থান পায়। এ ছাড়া তিনি সব সময় নানা ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।

শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহীদের সম্পর্কে তিনি জানান, শিক্ষকতা পেশায় যারা আসতে চান তাদের উচিত নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা। কেননা, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা।

বিল্লাল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বলেন, ‘নিজেকে একজন সত্যিকারের দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শিখতে ও শেখাতে চাই প্রতিনিয়ত। হতে চাই সত্যিকারের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কর্ণধার।’


সুমিতের স্বপ্ন সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠার

সুমিত সাহা।
আপডেটেড ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:২১
ক্যারিয়ার ডেস্ক

সুমিত সাহার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নড়াইলের কালিয়া উপজেলার একটি গ্রামে। গ্রাম থেকে এসএসসি শেষ করলেও ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন বন্দরনগরীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করেন। পড়াশোনা শেষে দেশেই ‘ইনোসিস সলিউশনস’ কোম্পানিতে প্রায় দেড় বছর চাকরিতে ছিলেন। এরপর টেকজায়ান্ট কোম্পানি গুগলে ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে পোল্যান্ডে পাড়ি জমান। গুগলে ২ বছর চাকরির শেষে মনে থাকা স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে মাইক্রোসফটে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি মাইক্রোসফটের ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে চেক রিপাবলিকে কর্মরত আছেন। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম

কীভাবে মাইক্রোসফটে : আমি কয়েকটা চাকরি করেছি। এর মধ্যে মাইক্রোসফট আমার প্রিয় চাকরির মধ্যে অন্যতম। ছোটবেলায় কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় মাইক্রোসফটের নাম অনেকবার শুনেছি। তখন থেকেই মাইক্রোসফটের প্রতি ভালো লাগা শুরু হয়। পরে যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে শুরু করি, তখন সেই ভালো লাগা পরিণত হয় আগ্রহে।

প্রোগ্রামিংয়ের শুরু : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলেও তখন প্রোগ্রামিং নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। কম্পিউটারে তখন কেবল বিভিন্ন ধরনের গেমই খেলা হতো। এরপর অন্যদের দেখে প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হই। একপর্যায়ে কিছুটা ভালো লাগাও শুরু হয়। এরপর কিছু প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাই। এসব প্রতিযোগিতা প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি ভালো লাগা বাড়িয়ে দেয়। এভাবেই ধীরে ধীরে প্রোগ্রামিংয়ে ঝুঁকে পড়ি।

শুরুর প্রস্তুতি : বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যুক্ত থাকার ফলে সমস্যা সমাধান (প্রবলেম সলভিং) এবং অ্যালগরিদমের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। মাইক্রোসফট বা অন্যান্য টেক জায়ান্ট কোম্পানিতে সাধারণত প্রবলেম সলভিংয়ের মাধ্যমেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আগে থেকেই আমার প্রবলেম সলভিং দক্ষতা ভালো ছিল। তাই আমার জন্য ইন্টারভিউ প্রস্তুতি অনেকটা সহজ ছিল। আমি মূলত ইন্টারভিউ প্রস্তুতির জন্য লিটকোডে কিছু প্রবলেম সলভ ও মক ইন্টারভিউ দিই। মাইক্রোসফট বা অন্য টেকজায়ান্ট কোম্পানিতে পজিশন ও টিমের ওপর ভিত্তি করে অনেক সময় সিস্টেম ডিজাইন ইন্টারভিউ দিতে হয়। আমার ক্ষেত্রেও মাইক্রোসফটে সিস্টেম ডিজাইনের ইন্টারভিউ দিতে হয়েছিল। এর প্রস্তুতি হিসেবে আমি সিস্টেম ডিজাইন-সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স ও ব্লগ ফলো করি।

মাইক্রোসফটে চাকরি : মাইক্রোসফট একটি টেক জায়ান্ট কোম্পানি হওয়ায় এখানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয়ে চাকরির সুযোগ আছে। টেকনিক্যাল জবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হার্ডওয়্যার বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনি়য়ারিং, মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স ইত্যাদি। এ ছাড়া নন-টেকনিক্যাল চাকরির মধ্যে রয়েছে ডিজাইন, ফিন্যান্স, এইচআর, রিক্রুটমেন্ট, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, সেলস, নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের কাজ। বর্তমানে মাইক্রোসফটে কর্মীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এখানে প্রায় সব ফিল্ডের চাকরিই রয়েছে।

সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া : মাইক্রোসফটের রিক্রুটার লিংকড-ইনের মাধ্যমে আমাকে রিচ করে এবং ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানায়। তবে চাকরিপ্রার্থী যে কেউ নিজে থেকেই মাইক্রোসফটে অ্যাপ্লাই করতে পারেন। এরপরে মাইক্রোসফট তাদের প্রোফাইল ও ওপেনিং পজিশন বিবেচনা করে তাদের ইন্টারভিউর জন্য কল করে। মাইক্রোসফটের কোনো কর্মী যদি ইন্টারভিউর জন্য রেফার করে তখন ইন্টারভিউয়ে কল পাওয়ার বাড়তি সম্ভাবনা থাকে। আমার ক্ষেত্রে টোটাল ছয়টি ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। এর মধ্যে কোডিং, সিস্টেম ডিজাইন, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ডিজাইন, বিহ্যাভিওরাল ইন্টারভিউ অন্যতম। মোটামুটি সব ইন্টারভিউর ফিডব্যাক নিয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা জানিয়ে দেয়। কিছুদিন পর মাইক্রোসফট থেকে অফার লেটার পাঠানো হয়। চাকরিতে আবেদন থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ পর্যন্ত অফার পেতে মোটামুটি দুই থেকে তিন মাস সময় লেগেছিল।

অনুপ্রেরণায় যারা : মাইক্রোসফটে চাকরি ছিল আমার স্বপ্নের মতো। পরিবার-বন্ধুবান্ধব সবাই আমার এই জার্নিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া যখন দেখতাম বাংলাদেশ থেকে কেউ টেক জায়ান্ট কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছে, তখন খুব ভালো লাগত। তাদের দেখে আমারও ইচ্ছা জাগত। এটাই ছিল আমার আসল অনুপ্রেরণা।

যা জানা জরুরি : বাংলাদেশি আগ্রহী চাকরি প্রার্থীদের জন্য সব টেক জায়ান্ট কোম্পানিতেই কমবেশি চাকরির সুযোগ রয়েছে। টেক জবের সুযোগ বেশি থাকলেও অন্যান্য নন-টেকনিক্যাল জবের সুযোগও কম নয়। আগ্রহীদের উচিত এসব জব পোস্টিংয়ের বিষয়ে খোঁজ রাখা এবং এসব জবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তোলা। ইন্টারনেট ও অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে এসব বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা ও নিজেকে সম্পৃক্ত রাখাটা জরুরি। এ ছাড়া নিজের যোগাযোগ-দক্ষতার উন্নতিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে অ্যাকটিভ থাকতে হবে। এতে করে নলেজ ও নেটওয়ার্ক দুটোই বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতায় উন্নতি করতে হবে।

ভবিষ্যৎ স্বপ্ন : আমি আপাতত কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা আরও উন্নতি করতে চাই। ভবিষ্যতে নিজের একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন রয়েছে। সবার আশীর্বাদ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

বিষয়:

banner close