শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে না ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৯ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৩০
প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। রোববার বেলা ১১টায় ১২৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে না যাওয়ার মত দেন সদস্যরা।

বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হাসান ভূঁইয়া এবং বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের ডিন ও শিক্ষকসহ অন্তত ১৬০ জন।

এ দিন সভায় একমাত্র এজেন্ডা ছিল গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ইবি অংশ নেয়ার বিষয়টি চূড়ান্তকরণ। সভায় উপস্থিত সব শিক্ষকই গুচ্ছের ভোগান্তি, সমস্যাগুলো তুলে ধরে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ইবির শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। উপাচার্য বরাবর লিখিত দাবিও জানানো হয়েছিল। রোববারের সভায় ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, সমন্বয়হীনতা ও উচ্চশিক্ষার বৈষম্য ইত্যাদি কারণে গুচ্ছে থাকার বিপক্ষে মত দেন শিক্ষকরা।

ড. তপন কুমার বলেন, আমরা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানিয়েছেন, অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সঙ্গে মিটিং ডেকে এটি বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম শুরু করবেন।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা সবাই গুচ্ছের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। যেহেতু ভর্তি কার্যক্রম তারাই পরিচালনা করবেন, তাই গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আগামী সোমবার এ বিষয়ে ঢাকায় ইউজিসির সাধারণ সভা রয়েছে। আশা করি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।


‘পাঠদানে অক্ষম শিক্ষক পরীক্ষার আগেই দেন প্রশ্নপত্র’

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩১ মার্চ, ২০২৩ ২১:১১
প্রতিনিধি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়াতে না পারা ও পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম তাহারিমা হক বেগ। তিনি শেকৃবির অ্যাগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক। এ ঘটনায় তার প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগটি বেশ পুরোনো হলেও শেকৃবির এক শিক্ষার্থীর ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এবং পরে মারা যাওয়ার পর বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে। গত বছরের জুনে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, তাহারিমা হক বেগ নিয়মিত ক্লাস নেন না এবং পরীক্ষার আগেই শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দিয়ে দেন। এ ছাড়া তাকে পাঠদানে অক্ষম উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান, তাহারিমা সিলেবাস অসম্পূর্ণ রেখেই কোর্স শেষ করে দেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিচের সারির একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে শেকৃবির তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ বাবা ড. মো. আনারুল হক বেগের প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভ করেন তাহারিমা হক বেগ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর শেকৃবিতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। অ্যাগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিভাগের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর তাতে ৮৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করা ও বিদেশের নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রিধারী একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকার পরও প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়া হয় তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বেগের মেয়ে তাহারিমা হক বেগকে। তিনি রাজধানীর আশা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ওই সময় নিয়োগের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে ড. বেগ বলেছিলেন, ‘প্রাইভেট থেকে পড়লেও তার মেয়ের ফলাফল ভালো।’

শিক্ষার্থীরা জানান, তাহারিমা হক ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত লেভেল-৩, সেমিস্টার-১-এর ব্যাংক ফান্ড ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগেই দিয়ে দেন, যার একটি কপি দৈনিক বাংলার হাতে এসেছে। এ ছাড়া লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর গণিতভিত্তিক একটি কোর্সে তাহারিমা হক গণিতের পরিবর্তে শুধু তাত্ত্বিক বিষয় পড়িয়েছেন। ওই কোর্সের ওই সেমিস্টারে পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে এর সত্যতা মিলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসারে, স্নাতক পর্যায়ে প্রতিটি ক্লাসের সময় ১ ঘণ্টা এবং ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৪৮টি ক্লাস নেয়ার কথা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাহারিমা হক প্রতিটি ক্লাসে সময় দেন মাত্র ১৫-২০ মিনিট এবং এভাবে ৮-১০টি ক্লাস নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কোর্স সমাপ্ত করেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে উত্তরপত্রের নম্বর যোগ করানোসহ প্রশ্ন করার মান ও তার একাডেমিক জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

অনুষদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ডিনের কাছে কয়েকবার মৌখিক অভিযোগ করে তার (তাহারিমা হক) কোর্স পরিবর্তনের অনুরোধ করেছি। গত বছর জুন মাসে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করার জন্য কোর্স-পরবর্তী ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ম্যামের কোর্সগুলোতে কিছু না শিখেই আমরা পরের সেমিস্টারে চলে যাচ্ছি। ফলে ওই বিষয় সংশ্লিষ্ট পরের কোর্সটি ঠিকমতো বুঝতে পারি না। এটা আমাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বড় বাধা।’

এ বিষয়ে তাহারিমা হক বেগ বলেন, ‘এমন অভিযোগের ব্যাপারে আমি অবগত নই। শিক্ষার্থীরাও তাদের সমস্যার কথা আমাকে জানায়নি। আর যে সময় অভিযোগ উঠেছে, ওই সময় আমি প্রেগন্যান্সির জটিলতায় বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নানা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাই এটা নিয়ে কিছু করা হয়নি। তিনি আমাদেরই এক কলিগের মেয়ে। আমরা সত্যিকার অর্থে এটা নিয়ে বিব্রত। তার নিয়োগ ঠিক হয়নি, এটা সত্য কথা। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে নিয়ে আমরা তদন্ত করার জন্য একটা কমিটি গঠন করে দেব।’


প্রথম আলো সম্পাদকের কুশপুতুল পোড়াল জাবি ছাত্রলীগ

নেতাকর্মীরা প্রথম আলো সম্পাদকের পুতুলে আগুন দেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩১ মার্চ, ২০২৩ ১৯:০৯
প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের কুশপুতুল পুড়িয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ সংবাদ প্রকাশ ও ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ অভিযোগে তার কুশপুতুল দাহ করেন তারা।

শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ কুশপুতুল দাহ করা হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, সাংবাদিকরা দেশের বিবেক। দেশের ভাবমূর্তি অনেকটাই নির্ভর করে তাদের ওপর। কিন্তু সাংবাদিকতার আড়ালে যারা বাস্তব অবস্থা তুলে না ধরে ভিন্ন অবস্থা তুলে ধরেন তাদের বিরুদ্ধেই আজকের এই কর্মসূচি।

‘আমরা আশা রাখি, আপনারা (সাংবাদিকরা) জাতিকে বিভ্রান্তিকর পথে নেবেন না। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, সে পথে যৌক্তিক দাবিটা তুলে ধরবেন। কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।’ যোগ করেন আকতারুজ্জামান সোহেল।


প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ঢাবি শিক্ষক সমিতির

আপডেটেড ৩১ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৫৪
প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর করা ‘মাছ মাংস আর চালের স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা বলে অভিহিত করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তারা প্রথম আলোসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জিনাত হুদা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম আলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট মোকাবিলা করে যে মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, সেই মুহূর্তে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সরকারের বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবেদনটিতে মূলত একজন শিশুর ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে, যে বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। অন্য একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনসূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুকে তার দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে উৎকোচের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে একাধিক পক্ষ থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের বক্তব্য না নেয়া, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া এবং অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ছবি তোলা কিংবা তার বক্তব্য ধারণ করা সংবাদপত্রের নীতিমালা পরিপন্থী। একজনের ছবির সঙ্গে আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ, ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ছবি ও বক্তব্য প্রকাশ পাঠকের সাথে প্রতারণার শামিল। অথচ আলোচিত সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে এ সকল রীতি-নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল প্রচার করছে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যদিও বাস্তবতা হলো, প্রকৃতপক্ষে অসৎ উদ্দেশে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে একজন শিশুকে সংবাদের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সংবাদপত্র ইতোপূর্বে ২০০৭ সালে সামরিক স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে দেশকে রাজনীতিশূন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।


শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩১ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেটে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এতে করে মহাসড়কের দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শামসুজ্জামানকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) কোর্টে হাজির করা হয়। সেখানে তাকে কারাগারে রাখার জন্য আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছার। অপরদিকে মামলায় জামিন চেয়ে শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এরপর বেলা সাড়ে ৩টায় তাকে প্রিজন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। সেখান থেকে আজ শুক্রবার তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২৬ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত একটি শিশুর ছবি ও ক্যাপশনে অসংগতি থাকার প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম আলো ছবি ও ক্যাপশনটি সরিয়ে ফেলে এবং ভুল স্বীকার করে জানান, ছবির ভুলে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় গত বুধবার ভোর ৪টার দিকে আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার বাসা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া বুধবার মধ্যরাতে আব্দুল মালেক নামে এক আইনজীবী একই আইনে রমনা থানায় মামলা করেন। এতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। এ মামলায় শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।


চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধের মেয়াদ বাড়ল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হল ও ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে। তবে ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবেন না। চলমান রমজান মাস ও ঈদের বন্ধেও এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরে অবস্থিত একাডেমিক ভবন, আবাসিক হোস্টেল, অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারকাজগুলো চলমান রয়েছে। কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য গঠিত কমিটি সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, চারুকলায় সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধের সময় বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি চারুকলা ইনস্টিটিউটকে এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আরও এক মাস সময় বৃদ্ধি করে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।


গ্র্যাজুয়েট হলেই চাকরি আইপিডিসি ফাইন্যান্সে

আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ব্র্যাঞ্চ অপারেশনস বিভাগে নির্বাহী পদে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। যেকোনো বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট হলেই আবেদন করা যাবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত দুই বছরের অভিজ্ঞতা হলে ভালো, না হলেও সমস্যা নেই। তবে ব্যাংকিং, লিজিং বিষয়ে জ্ঞান-অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরণ : পূর্ণকালীন

বয়স : অন্তত ২২ বছর

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে -


নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে চাকরির সুযোগ, বেতন বছরে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি

আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

গবেষণাগার প্রশিক্ষক (ল্যাব ইনসট্রাক্টর) পদে নিয়োগ দেবে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি।

যোগ্যতা : সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে মাস্টার্স করা থাকতে হবে, সিজিপিএ-৪-এর স্কেলে অন্তত ৩.৫ থাকতে হবে

অভিজ্ঞতা : অন্তত ৫ বছর

বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩২ বছর

বেতন : মাসে ২৫,৩৮৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৩,৪৫৬ টাকা (বছরে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি)

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে -


প্রকৌশলীদের চাকরির সুযোগ এসিআইতে

আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:২৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

টেরিটরি ম্যানেজার (জেনারেটর) পদে নিয়োগ দিচ্ছে অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই)। মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারদের চাওয়া হচ্ছে এসব পদে।

কাজের ধরন : পূর্ণকালীন

অভিজ্ঞতা : ২-৩ বছর

শুধু ছেলেরা আবেদন করতে পারবেন

বয়সসীমা : ২৬-৩৫ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এখানে -


শেকৃবির হলের ছাদ থেকে লাফ দেয়া সেই মারিয়া মারা গেছেন

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৩২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের ১০ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা মারিয়া আক্তার (২৬) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মারিয়া আক্তারের বোনজামাই আশরাফ আলী জানান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন মারিয়া। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা আবাসিক হলের সপ্তম তলার ৭০৩নং রুমে থাকতেন। গত ২৩ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ওই হলের দশম তলার ছাদের ওপর থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এতে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে সহপাঠী ও হল কর্তৃপক্ষ প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে রেফার করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান তিনি।

মারিয়ার মায়ের বরাতে আশরাফ বলেন, ‘মারিয়া পরীক্ষা দিতে না পারায় সে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করার পরও ব্যর্থ হওয়ায় সে এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।’

নিহত মারিয়ার গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তর নারী বাড়ি গ্রামে। ওই এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের মেয়ে তিনি।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শেরেবাংলা থানাকে জানানো হয়েছে।’


অর্ধেক ভাড়া না নেয়ায় গাড়ি ভাঙলেন জাবি কর্মকর্তা

ঢিলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৩ ২৩:০৩
প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা। বুধবার বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম এস এম সাদাত হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক পদে দায়িত্বরত আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাভারের সিটি সেন্টার থেকে বাসে উঠলেও ৫ টাকা ভাড়া দিতে চান অভিযুক্ত সাদাত হোসেন। তখন বাসের হেলপার সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা দাবি করলে হেলপারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাস থেকে নেমে যান তিনি। পরে অন্য বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে অবস্থান নেন। ঠিকানা পরিবহনের বাসটি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে পৌছালে ইট ছুড়ে সামনের কাচ ভেঙে দেন তিনি। এ ঘটনায় বাসের ড্রাইভার ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে বাসের হেলপার ক্ষমা চাইলে বাসটি ছেড়ে দেয়া হয়।

এস এম সাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি কিলোমিটার প্রতি সরকার নির্ধারিত ২ টাকা ৪৫ পয়সা হারে বাস ভাড়া দিতে চেয়েছি। সে হিসেবে ৫ টাকার বেশি ভাড়া হয় না। তারপরও বাসের হেলপার জোর করে বেশি ভাড়া নেয় এবং আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের গেটে এসে বাসের সামনে দাঁড়াই। তখন তারা চলে যেতে চাইলে ইট ছুড়েছি। যদিও ইট ছোড়ার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবে, সেটা সমর্থন করি না। তার সাথে অন্যায় হলে সে প্রশাসনকে অবগত করতে পারতেন। তখন আমরা বাস মালিকদের সাথে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু তিনি যা করেছেন সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।’

এদিকে ২০২১ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে পাঁচ শর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস ভাড়া অর্ধেক করে। প্রজ্ঞাপনের কোথাও কর্মকর্তা বা অন্য কারও জন্য হাফ ভাড়ার কথা বলা হয়নি।


রাবি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে পেটালেন সহ সভাপতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৩ ২২:৪০
প্রতিনিধি, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হল শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেলে বসাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের গেটে এ ঘটনা ঘটে।

মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীদের মধ্যে এ হাতাহাতি ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হল গেটে রাখা শফিউর রহমান রাথিকের মোটরসাইকেলে হাত রাখে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী ইজাজুল ইসলাম মুন্না। এসময় রাথিক মুন্নাকে বলে ‘ক্যাম্পাসে এতো সাইকেল-বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে, তুই কি আমার বাইক চুরি করার চিন্তা করছিস নাকি?’। এতে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পরবর্তীতে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ৭-৮জন ছাত্রলীগ কর্মীসহ হল গেটে দাঁড়িয়ে ছিল মুন্না। তখন রাথিক সেখানে আসলে মুন্না সকালের আচরণের কারণ জানতে চায়। তখন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেখানে থাকা রাথিকের বাইক পড়ে যায়। তখন রাথিক মুন্নাকে মারতে তেড়ে আসলে মুন্নার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন কর্মী মিলে রাথিককে মারধর করে।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক রাথিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুকে ফোন করে বলেন। এরপর সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসহ ১০-১২জন নেতাকর্মী। তারা আসাদুল্লা-হিল-গালিবের রুমের সামনে মুন্নাকে আটক করে মারধর করেন।

মারধরের বিষয়ে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইজাজুল ইসলাম মুন্নাকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।’

এ বিষয়ে মাদার বখশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক বলেন, ‘সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুনু ভাই বিষয়টি সমাধান করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘আমার কয়েকজন ছেলের সঙ্গে রাথিকের একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে রুনু ভাই বলেন বিষয়টি মিমাংসা করা দরকার। পরে সবাইকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমাদেরই কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এতে উত্তেজনাবশত একটু হাতাহাতিও হতে পারে। পরে দুপক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসেন বলেন, ‘আমি ওইসময় হলেই ছিলাম। আমি উপস্থিত হলে দুইপক্ষ সড়ে যায়। তবে এঘটনায় আমাকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে আমাদের কয়েকজন সহকারী প্রক্টর সেখানে যায়। কিন্তু যাওয়ার পর তারা জানতে পারে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে।’


ঢাবিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে থাকবে কড়াকড়ি

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলা নববর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের বানানো মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। একইসঙ্গে এদিন ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এই আহবান জানিয়েছেন। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টর বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।

নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশনা সম্পর্কে সভায় বলা হয়েছে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও মেট্রোরেলের চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য চলাচলে সতর্কতা রেখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ উদযাপন করতে আহবান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নববর্ষের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নববর্ষের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। একইসঙ্গে নববর্ষের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোন যানবাহন চালানো যাবে না। মোটরসাইকেল চালানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসকারীরা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে শুধুমাত্র নীলক্ষেত ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।

আরও বলা হয়েছে, নববর্ষের দিন টিএসসির সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। ওই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে চারুকলা অনুষদের সামনে ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হতে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশে-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বছর বাংলা নববর্ষ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে আহবায়ক করে ২৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়াও শৃঙ্খলা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা বিষয়ক দুটি উপ-কমিটি করা হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীকে ১২ সদস্যের শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক লিটন কুমার সাহাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। একইসঙ্গে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনকে ৩২ সদস্যের মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।


যতই ষড়যন্ত্র হোক নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

যতই ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নতুন শিক্ষাক্রমে প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং নতুন কারিকুলাম নিয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যত বাধাই আসুক না কেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের নাগরিক ও সুনাগরিক হবে। তারা মানবিক হবে ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ হবে। তারা সৃজনশীল হবে। তবে যেকোনো নতুন কিছু করতে গেলে ছোটখাট ভুল হতেই পারে। তাই সব বাধা পেরিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।

দীপু মনি বলেন, যারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যেতে বলেন ও শিক্ষার্থীদের কোচিং করান তাদের এখন মহাভয়। এটি একবারে অমূলক নয়। আসলেই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের দরকার হবে না। আরেকটি পক্ষ আছে নোট ও গাইড বই নিয়ে যারা ব্যবসা করেন। সেখানে তো অনেক টাকা। তাদেরও খুব ভয় যে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে নোট বই ও গাইড বইয়ের দরকার হবে না। তাদের ভয়ও একবারে অমূলক নয়। তাছাড়া সমাজে আরেক ধরনের মানুষ আছে যারা পরিবর্তন চান না। আগে যা আছে সেটা নিয়ে থাকতে চান তারা।

দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে কোচিং বা নোট-গাইডের আর দরকার হবে না। ফলে এ ব্যবসাও আর চলবে না, তাই এটির বিরোধিতা করা হচ্ছে। তবে কোচিংয়ে সবকিছু খারাপ তা নয়। কোচিংয়ের মধ্যে যেটাকে আমরা কোচিং বাণিজ্য বলি, সেখানে ‘কোচিং’ কথাটিও খারাপ নয় বরং ‘বাণিজ্য’ কথাটিও খারাপ নয়। কিন্তু যারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে শিক্ষার্থীকে বাধ্য করান কোচিংয়ে যেতে ও সেখান থেকে তারা অতিরিক্ত রোজগার করেন। সেখানেই সমস্যা।

সারাদেশের ২৫ হাজার ৫০০ জন প্রধান শিক্ষককে নিয়ে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ পাঁচদিন ব্যাপী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রশিক্ষণে নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


banner close