শিশুদের শৃঙ্খলার মধ্যে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ দিয়ে সেনাবাহিনী সদরদপ্তরের চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান বলেছেন, ‘মূল্যবোধসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে। মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ পরিবার দেশ জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে।’
সোমবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে, তথ্য মানুষকে সমৃদ্ধ করে। আমাদের সবার মাঝে রত্নভান্ডার আছে, আলো আছে। সেটাকে আলোকিত করতে হবে। মনকে বিকশিত করতে হবে। দায়িত্ববান, সময়ানুবর্তী হতে হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও লকডাউন শুরুর পাঁচদিনের মধ্যেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্লাস, পরে পরীক্ষা শুরু করা হয় এবং তা চলমান থাকায় কোনো সেশনজটের সৃষ্টি হয়নি। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে নানা সহায়তা নিয়ে দাঁড়ায়। বিইউপির ছাত্র-ছাত্রীরা দায়িত্বশীল, শৃঙ্খলাবোধসম্পন্ন। শিক্ষকরা যোগ্যতাসম্পন্ন। তারা সময় মেনে চলেন। ফলে পরে ছাত্র-ছাত্রীরা দায়িত্ববোধের সঙ্গে জীবন গড়ে তোলে। আমাদের পড়াশোনার মান ও প্রকাশনা আন্তর্জাতিক মানের।’
সেনা সদরের সিজিএস আরও বলেন, ‘একজন শিশু যেন শৃঙ্খলার মধ্যে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে, সেই পরিবেশ আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। মূল্যবোধসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে। মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ পরিবার, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে। সার্টিফিকেটসম্পন্ন না হয়ে ভালোভাবে জেনে শিক্ষার্থীরা যেন বের হতে পারে। তরুণরা নিজেরাই নিজেদের নেতৃত্ব দিতে পারে। তরুণদের চাকরি না করে উদ্যোক্তা হতে হবে। নিজেরা নতুন কিছু তৈরি করবে, এই স্বপ্নও দেখবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রূপুপর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের ৩৩তম গর্বিত সদস্য দেশ। এর আগে আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখেছি। রূপপুর বাংলাদেশের গর্ব হতে চলেছে। ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ স্থাপিত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ‘সমাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সম্পদ খুঁজে বের করতে হবে। ভেতরের আলোর প্রজ্জ্বলন ঘটাতে হবে। নতুন নতুন ভাবনা তৈরি করতে হবে। আমাদের মাঝে আন্তরিকতা, ভালোবাসা আছে। জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম সালাহ উদ্দীন। সঞ্চালনা করেন ড. মো. হাবিবুল্লাহ। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হবে আজ মঙ্গলবার থেকে। প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রার্থীরা ১২ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা।
এতে আরও বরা হয়, প্রার্থীরা সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করতে পারবেন। একই সময়ে হল সংসদের মনোনয়নপত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট হল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সশরীরে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হবে।
ডাকসু ও হল সংসদ আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও তালিকায় বহিষ্কৃত ও মামলায় অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে সম্প্রতি রিসার্চ ক্লাব ‘সিভিল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সোসাইটি’র অভিষেক উপলক্ষ্যে ‘Concrete: The Most Widely Used Construction Material’ শীর্ষক একটি টেকনিক্যাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের সাবেক অধ্যাপক, পদ্মা সেতু এক্সপার্ট প্যানেল এবং প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারস বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. শামীমুজ্জামান বসুনিয়া। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব জনাব মো. কামরুজ্জামান লিটু, সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী, সভাপতিত্ব করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ড. জাবের আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শামীমুজ্জামান বসুনিয়া ওনার দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে শেয়ার করেন। তাদেরকে ইনোভেটিভ রিসার্চ, মর্ডান সফটওয়্যারের ব্যবহার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে সম্পর্কিত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর পড়াশোনার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেন। নির্মাণ কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত কংক্রিটের উন্নতমান নিশ্চিতকরণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গভীর ভাবে রিসার্চ এর মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সিআরইএস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য তিনি ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রশংসা করেন। আলোচনা শেষে প্রফেসর বসুনিয়া প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
সম্মানিত অতিথিবৃন্দ প্রফেসর শামীমুজ্জামান বসুনিয়া’কে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আশা প্রকাশ করেন তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। সভাপতির বক্তব্যে ড. জাবের আহমদ আজকের এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য প্রফেসর শামীমুজ্জামান বসুনিয়া স্যারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ারসের অ্যাক্রেডিটেশন এর জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যেই ওবিই সিলেবাস প্রণয়ন করে ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে। যা অচিরেই অনুমোদিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান এর পরে অতিথিবৃন্দ সিভিল ডিপার্টমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ হাতে করা বিভিন্ন প্রজেক্ট এক্সিবিশন স্টল পরিদর্শণ করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন। সবশেষে সকলের উপস্থিতিতে কেক কেটে সিআরইএস এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার গত বছর নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভোরে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঢাবিতে হল রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার(৮ আগস্ট) সকালে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করার পর এই বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের অপসারণ ও হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাধ্য করে।
রাত সাড়ে ১২টার বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে, ১-২-৩-৪, হল রাজনীতি আর নয়, স্বাধীনতা না দাসত্ব, স্বাধীনতা-স্বাধীনতা ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো হল স্তরে কোনো ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া হবে না। তারা কেন্দ্রীয় স্তরে, মধুর ক্যান্টিনে এটি করতে পারে। এটাই ছিল বোঝাপড়া। তবে, আমরা কোনো ছাত্র সংগঠনকে 'আপনি এটি বাতিল করুন' বলতে বাধ্য করতে পারি না। আমরা জানিয়েছি, ১৭ জুলাই যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা বলবৎ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে আজ প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি সভা হবে। এরপর, যেসব ছাত্র সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা বলব।’
শিক্ষার ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচিত প্রাথমিক শিক্ষা খাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একাধিক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
চলতি বছরে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ২৪৭টি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ, ১৫ হাজার ১৪৪টি ওয়াশব্লক, ৪ হাজার ২৬১টি সীমানা প্রাচীর এবং ৬ হাজার ১৪০টি নলকূপ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে ৩০টি নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
কক্সবাজারে দশতলা বিশিষ্ট একটি লিডারশীপ ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সহকারী শিক্ষক, শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত বিষয়ে মোট ১৬ হাজার ২৭টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
প্রধান শিক্ষকের ২ হাজার ৩৮২টি পদে বিসিএস (নন-ক্যাডার) থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রেডেশন তালিকা সফটওয়্যারে হালনাগাদ করা হবে এবং মামলা নিষ্পত্তির পর সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হবে।
চলতি অর্থবছরে ৭ হাজার ১১৫ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের শিখন অবস্থা মূল্যায়নের জন্য বেইজলাইন সার্ভে পরিচালনা করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৫ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করেছে। বৃত্তি পরীক্ষার আওতায় ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে, যার মধ্যে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জন সাধারণ বৃত্তির অন্তর্ভুক্ত। প্রস্তাবিত বৃত্তির হার ট্যালেন্টপুলে জনপ্রতি ৭ হাজার ৭০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিতে ৫ হাজার ৯০০ টাকা।
এদিকে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৯ কোটি ২০ লাখ পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১ কোটি ৮৬ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ কোটি ৪২ লাখ পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণে ৬২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
১৫০টি উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রমে চালু করা হবে সেপ্টম্বরে, যা শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত ও বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বাকি ৩৪৯টি উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও স্থায়িত্ব রক্ষায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি৪) ধারাবাহিকতায় পঞ্চম কর্মসূচি (পিইডিপি৫) শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৩টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের পুনঃনির্মাণ, মডেল বিদ্যালয় গঠন, মাঠ উন্নয়ন, চা বাগান এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপন, সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ, শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ এবং আইসিটি সক্ষমতা বৃদ্ধি।
উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১৪ লাখ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে এবং এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। শিক্ষার্থীদের শতভাগ ইএফটি'র মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ চালু করে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের পেশাগত প্রস্তুতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১০টি পিটিআই-তে ১ বছর মেয়াদী কোর্স চালু করা হবে।
একীভূত শিক্ষাকে সামনে রেখে পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা, এসিস্টিভ ডিভাইস নীতিমালা হালনাগাদ, গারো ও সাদরি ভাষায় প্রশিক্ষণ এবং সেন্ড ম্যানুয়ালসহ ২৭ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠদানে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় মনিটরিং ও শ্রেণিকক্ষ সজ্জা, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও এডুকেশন ইন ইমারজেন্সি খাতে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ৬৫ হাজার ৩৫৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৩ হাজার ইন্টারএকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল (আইএফপি) সরবরাহ, ডিজিটাল কন্টেন্ট স্টুডিও নির্মাণ, সার্ভার স্টেশন উন্নয়ন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আইএমডি এর জনবল এবং আইপিএমএস সফটওয়্যার ব্যবস্থাও উন্নত করা হবে।
পিইডিপি৪-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের আইকিউ টেস্ট চালু করা হবে। এটি ৫ ধাপে বাস্তবায়িত হবে এবং প্রথম দুই ধাপে ব্যয় হবে এককোটি টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহায়তায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাদরি ও গারো ভাষায় পূর্বে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের সহায়ক হিসেবে বাংলায় উচ্চারণসহ ডিজিটাল কনটেন্ট প্রস্তুত করা হবে, যাতে মাতৃভাষায় পাঠদান সহজতর হয়।
মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে ই-মনিটরিং অ্যাপস হালনাগাদ ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সকল শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার যে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উদ্যোক্তা সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে বাস্তবায়নাধীন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া) কর্তৃক বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এ অদ্য ০৪ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি., সোমবার সকাল ১০:০০ টায় রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোন সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসের রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আইটি বিভাগের প্রভাষক জনাব এনি চৌধুরী।
প্রথমেই কোরান তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ করা হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে তিনটি পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগ্রোশিফট টেকনোলজিস লিমিটেড এর কো ফাউন্ডার এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার দিপ্ত সাহা এন্টারপ্রেনারশিপ মাস্টারক্লাস সেশনটি সফলভাবে পরিচালনা করেন। পিচ ডেক তৈরির কৌশল এবং আইডিয়া প্রি-সিড গ্র্যান্টে আবেদন করার পদ্ধতি বিষয়ক দুটি সেশন পরিচালনা করেন আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জনাব সিদ্ধার্থ গোস্বামী। উল্লেখ্য সেশনগুলোতে অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকেরা। কর্মসূচির মাধ্যমে তারা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক ধারণা, প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ লাভ করেন। তারা পিচিং সেশনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব স্টার্টআপ আইডিয়া পেশ করে। শিক্ষার্থীদের এই পিচিং সেশন এর বিচারক হিসেবে ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জনাব সিদ্ধার্থ গোস্বামী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব ও আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান এবং আইডিয়া প্রজেক্টের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব মজুমদার।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু হাসান ভুইয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাদিয়া জাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর অফ আইকিউএসি মো.শাফায়েত হোসেন। আয়োজনটিতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব ও আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান।
অনুষ্ঠানের সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম। এছাড়াও আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মো. কামরুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব আল ইমতিয়াজ এবং আইটি বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনার সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন আইটি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন আমাদের মাননীয় অতিথিবৃন্দ।
দেশের সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা আবার চালু হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরেই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষায় অংশ নেবে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ইবতেদায়ি বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার বিষয় হিসেবে থাকবে কুরআন মাজিদ এবং আকাইদ ও ফিকহ (একত্রে), আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (একত্রে), বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত ও বিজ্ঞান (একত্রে)। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১০০ নম্বর করে বরাদ্দ থাকবে। মোট নম্বর হবে ৫০০।
শুধু বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কোডভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ও সংযুক্ত ইবতেদায়ি শাখার শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
প্রতিটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত সিলেবাস ও মানবণ্টন বোর্ড থেকে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
ইউআইটিএস-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শরৎকালীন সেমিস্টার ২০২৫-এর শিক্ষার্থীদের প্রি-অরিয়েনটেশন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শরৎকালীন সেমিস্টার ২০২৫ শিক্ষার্থীদের প্রি-অরিয়েনটেশন গত ০৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি., রবিবার সকাল ০৯:০০ টায় রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোন সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসের রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ-এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু হাসান ভূঁইয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের জন্য সকল ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান এবং আমরা ইতোমধ্যে একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের মতো করে গড়ে তুলছি এবং প্রতিনিয়ত উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সময়ানুবর্তিতা একজন শিক্ষার্থীর সফলতার মূল চাবিকাঠি। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই সময়ের যথাযথ ব্যবহার করার জন্য নবীন শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান এবং এই আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউআইটিএস-এর মাননীয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডজানক্ট ফ্যাকাল্টি অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার ড. মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান, সহকারি অধ্যাপক জনাব মোঃ হাসান ইমাম। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মঞ্জুরুল হাসান সাজিদ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সৈয়দ ও সাজিয়া পারভেজ সুপ্তি এবং নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ ফজলে রাব্বি ও মারজিয়া মেহেজাবিন রহমান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলামনাই, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিভিল ক্লাবের সদস্য-সহ নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে এই পদগুলো শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৫ হাজার ৫০২টি। বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৯৬ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৩৪ হাজার ১০৬টি।
এর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য। যার ১০ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৮২টি পদে স্বতন্ত্রভাবে সরাসরি নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব পদে নিয়োগের জন্য পিএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।
এছাড়াও, জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন সংক্রান্ত ৭৩/২০২৩ নম্বর সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জনবল ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম আরো উন্নত ও গতিশীল হবে। সরকারের প্রত্যাশা, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে।
‘এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হল। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
‘প্রধান শিক্ষকরা অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাব ও সকল স্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।’
এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা ও বেতন পাবেন বলে গত ১৩ মার্চ রায় দেয় আপিল বিভাগ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে সেদিন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়। ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন ঠিক করে দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল।
পরে গত বছরের ৪ মার্চ ১১তম ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ। ওই রায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদমর্যাদায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি রায় দেয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
হাই কোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন।
ওই রায় কার্যকর না করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে একই বছরের ২৭ জুন হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের এক মাসের সময় দেয়।
পরবর্তীতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে গত ১৩ মার্চ রায় দেয়।
দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতনস্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এখন থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে বেতনভাতা পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয় দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
সারাদেশে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪ জুলাইয়ের স্থগিত হওয়া অনুষ্ঠান আগামী ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অনুষ্ঠান পালনের জন্য দেশের প্রতিটি প্রাইমারি স্কুল ২ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-২ এর অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার সই করা এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫’-এর আগামী ২২ থেকে ২৪ জুলাই তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল যা স্থগিত করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠান আগামী ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২২ জুলাই মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫’-এর আগামী ২৪ জুলাই সকল অনুষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২৪ জুলাই সারাদেশের সকল প্রাইমারি স্কুলে একযোগে এ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
পাবলিক পরীক্ষার আদলে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না এবারও। চলতি বছর অষ্টম শ্রেণিতে চালু করা হচ্ছে ১৫ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বৃত্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃত্তি পরীক্ষা চালুর বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একটি সভাও করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা ফের চালু করতে ২০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা এ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা পুনঃপ্রবর্তন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। নেওয়া হয়নি বৃত্তি পরীক্ষাও। এ বছর থেকে দীর্ঘসময় পর অষ্টম শ্রেণিতে আবার চালু হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া নির্দিষ্ট শতাংশের ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো।
বর্তমানে বৃত্তি পরীক্ষার নতুন নীতিমালা এখনো না থাকায় কত শতাংশ শিক্ষার্থীকে এ পরীক্ষায় বসতে পারবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে সবশেষ ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়েছিল সরকার। এরপর অষ্টম শ্রেণিতে চালু করা হয় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। পাবলিক পরীক্ষার আদলে এই পরীক্ষা নেওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ে কোচিংনির্ভরতা। ফলে অষ্টম শ্রেণিতে এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানানো হচ্ছিল নানা মহল থেকে।
এদিকে অব্যাহত সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিয়ে একই সিলেবাসের আদলে অষ্টম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষার নেয় তৎকালীন সরকার। চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গত বছরও হয়নি জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা। নেওয়া হয়নি বৃত্তি পরীক্ষাও।
সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার এলো অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত।
৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর লিখিত (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিপিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য শুধু প্রবেশপত্র ও কালো কালি ব্যবহৃত বলপেন সঙ্গে রাখা যাবে। ৯টা ৩০ মিনিটে হলের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এর পর আর কোনো পরীক্ষার্থীকে হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে আসার সময় প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন ছাড়া অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী আনা যাবে না। আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এতে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রবেশপত্রে উল্লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম দেখে নিশ্চিতভাবে যথাযথ কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সময় হাতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ৪৮তম বিশেষ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত (এমসিকিউ-টাইপ) পরীক্ষা ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।