সোমবার, ৬ মে ২০২৪

চবির হলে ‘মানহীন’ খাবারের বাড়তি দাম, ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

হলগুলোতে পরিবেশ করা হচ্ছে এসব খাবার। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২৪ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৫১
প্রতিনিধি, চবি
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, চবি
প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৩ ১৫:০৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সবকটি হলে খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলোতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করে বাড়তি দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২১ সালে হলের খাবারের দাম ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়। তবে দাম বাড়ালেও মান বাড়ানো হয়নি খাবারের।

এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ দেখিয়ে হলের ডাইনিংগুলোতে খাবারের দাম ২৫ টাকা থেকে এক লাফে ৩৫ টাকা এবং সাহরির দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে প্রভোস্ট কমিটি। গত ২২ মার্চ প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমনিতেই হলের খাবারের মান ঠিক নেই। ভর্তুকি না দিয়ে হঠাৎ দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষার্থীদের আয় বাড়েনি, উল্টো ব্যয় লাগামে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিল না। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হলের খাবারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো ধরনের ভর্তুকি দেয় না। হলের স্টাফদের বেতন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলকে ভর্তুকি হিসেবে ধরা হয়।

দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপন মিয়া ফেসবুকে লেখেন, ‘২০১৯ সালে ১ম বর্ষে থাকাকালে ২০ টাকার বিনিময়েও দুবেলা খাইতে পারিনি টাকা বাঁচানোর জন্য। একবেলা খেয়ে দিন পার করে দিসি। তাই খুব ভালো করে জানি ক্ষুধা কী জিনিস। ১ম বর্ষে যারা আছেন, তাদের জন্য ৩৫ টাকা আত্মহত্যার মতো। অনেকের ২৫ টাকা দিয়ে দুবেলা খাওয়ার সামর্থ্য নেই, সেখানে ৩৫ টাকা অনেক বেশি। মাননীয় প্রভোস্ট, দয়া করে আমাকে ক্ষুধার্থ রাখবেন না। আমার খাবার নিশ্চিত করুন।’

আসাদ নেওয়াজ নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘মাননীয় প্রশাসন, দয়া করে আমাদের একটা জোরে লাথি মেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। কারণ এই তল্লাটে থাকার মতো অবস্থা আর রইল না। এবার সত্যই সেই বাপ-দাদাদের বলে যাওয়া কথাটাই সত্যি হচ্ছে। পেটে গামছা বেঁধে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতিবছর যে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিচ্ছে, সেখান থেকে ন্যূনতম একটা অংশ ভর্তুকি হিসেবে দিলেও তো আজ এই দিন দেখতে হতো না। এটা কোনো দিনও একটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। একটা নোটিশ নেই, পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়াই এভাবে দাম বাড়াল। এটা কোনো দিনও আমরা মেনে নেব না। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এভাবে না খেয়ে মরে যেতে পারি না। সবাই এভাবে চুপ থাকলে এটাই ফিক্সড হয়ে যাবে।’

মিলন শেখ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের বেতন বাড়ে, কর্মচারীদের বেতন বাড়ে, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়ে কিন্তু কখনোই বাড়ে না শিক্ষার্থীদের ইনকাম। শিক্ষার্থীদের তো কোনো ইনকামই নেই, তাহলে বাড়বে কেমনে? শিক্ষার্থীদের বাড়ে শুধু খরচ। এই খরচ শিক্ষার্থীরা কেমনে মেটাবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে ভাবা উচিত। অতিদ্রুত হল ডাইনিংয়ের খাবার মূল্য কমিয়ে মানসম্মত খাবার দেয়ার ম্যানেজারদের নির্দেশ দেয়া হোক।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, আলোচনা ছাড়া হুট করে কোনো কিছুর সিদ্ধান্ত নিয়ে তা আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিফলন। গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষকদের এ ধরনের বিরূপ আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলতে চাই খাবারের দাম বাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে এবং অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা যেন রমজানে খাবার গ্রহণে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, তার বিকল্পব্যবস্থা করতে হবে। তিনি হল প্রভোস্টদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্রে সাহরি খাওয়ার অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, হলের খাবারের দাম না বাড়ালে আগের মেনু দেয়া যাচ্ছিল না। মুরগি না দিয়ে শুধু ডিম-সবজি দেয়া হচ্ছিল। ডাইনিং ম্যানেজাররাও চালাতে পারছিল না। তাই আমরা নিয়মিত খাবার ও সাহরিতে ১০ টাকা বাড়িয়েছি। বাজারে সবকিছুর দাম প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দেবে। খাবারে সরাসরি ভর্তুকি দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে ব্যবসা করারও সুযোগ নেই। ডাইনিং ম্যানেজার যদি এই টাকার মধ্যে কিছু করতে না পারে কীভাবে হবে। তাকে খরচটাও তুলতে হবে। তাদের আমরা কোনো ব্যবসাও করতে দিই না। উল্টো তাদের লস হয় বলে তারা কান্নাকাটি করেন।

মানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলে দিয়েছি, আগের চাইতে মানটা যেন বাড়ানো হয়। খাবারের আইটেম যাতে বাড়ানো হয়, আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে দামটা বাড়িয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটা নির্দিষ্ট বাজেটে চলে। বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দেবে। এর বাইরে সরকার হলের ছেলেদের খাবারের জন্য বাড়তি টাকা দেবে? আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা করেছি। কেউ কোনো আপত্তি করেনি, শুধু বলেছে খাবারের মানটা যেন ঠিক থাকে। এখন সারা দেশে অর্থনৈতিক সংকট, সেই চাপটা আমাদের ওপর এসেও পড়েছে।


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

উত্তীর্ণ ৩১ হাজার ৮১ শিক্ষার্থী
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১ জন। এই ইউনিটে এবার পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

রোববার গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার দৈনিক বাংলাকে ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসব তথ্য জানান।

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়েবাসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফল দেখতে পারবেন। পরীক্ষার ফল https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল ছিল ৩১৮৬৩০ এবং কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৭৬ দশমিক ২৫ এবং সর্বনিম্ন মাইনাস (-) ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

তিনি জানান, ‘বি’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী আবেদন করেন ৯৪ হাজার ৬৩১ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন, যা মোট আবেদনকারীর ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ৮৩ জন অর্থাৎ ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১ জন, যা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়াও অকৃতকার্য হয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৪৪ জন পরীক্ষার্থী, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অকৃতকার্য সবাই ৩০ এর কম নম্বর পেয়েছেন।

এদিকে ২৩ জন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল হয়েছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর দশমিক ০৩ শতাংশ৷ এদের মধ্যে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার, রোল নম্বর ভুল লেখায় ১২ জনের খাতা বাতিল ও সেট নম্বর ভুল লেখায় ৯ জনের খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সাব-টেকনিক্যাল কমিটির তৈরি করা ফলাফলে দেখা গেছে, ‘বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫ ও এর উপরে পেয়েছেন একজন, ৭০ ও এর উপরে পেয়েছেন সাতজন, ৬৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৪৯ জন, ৬০ ও এর উপরে পেয়েছেন ২১৯ জন, ৫৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৭৮৩ জন, ৫০ ও এর উপরে পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৫ জন, ৪৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৩০ জন, ৪০ ও এর উপরে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৬ জন এবং ৩৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ২০ হাজার ১৩২ জন। আর ৩০ ও এর উপরে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৩ জন পরীক্ষার্থী।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে। ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরা এদিন রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দেশের ২৪টি পাবলিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তিতে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র এবং এসব কেন্দ্রের উপকেন্দ্রগুলোতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। আগামী ১০ মে শুক্রবার ‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।


প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

তাপদাহে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ও আংশিক বন্ধ রাখার পর আজ রোববার থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোপুরি পাঠদান শুরু হয়েছে। অবশ্য তাপপ্রবাহ কম থাকায় গত শনিবার থেকেই দেশের ৩১ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।

দেশে এবার তীব্র দাবদাহ বইছে। বিশেষ করে গত এপ্রিল মাসজুড়েই সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করে। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ায় শিশুদের সুরক্ষিত রাখতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। গত দুদিন থেকে দেশে দাবদাহ বেশ খানিকটা কমে গেছে এবং ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এবার দেশ বৃষ্টিবলয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এর ফলে দেশে টানা ৬ থেকে ১০ দিন বৃষ্টি হতে পারে। এরপর আবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়ার এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়ার আগাম আভাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।


মানবিক গুণাবলী অর্জন ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন: মেয়র আতিকুল ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মানবিক গুণাবলী অর্জন ছাড়া শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। আপনি যত বড় শিক্ষিতই হোন না কেন, যদি মানুষের মতো মানুষ না হন, মানুষের বিপদ-আপদে এগিয়ে না আসেন, তাহলে সেই শিক্ষার কোনো মূল্য নেই।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র শিক্ষার্থীসহ সবাইকে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হওয়ার এ আহ্বান জানান। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে জমকালো এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টকে একটি সমৃদ্ধ ট্রাস্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সমৃদ্ধ ট্রস্টি বোর্ড নেই। আমাদের এরকম একটি ট্রাস্টি বোর্ড উপহার দেওয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি এমআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে একটি পরিবার উল্লেখ করে বলেন, সুখে-দুঃখে, বিপদ-আপদে এ পরিবারের সদস্যরা এক ও অবিচল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখছেন তা বাস্তবায়ন করাই হোক আজকের বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রতিজ্ঞা।

মানারাত ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সংখ্যা নয়, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয় না। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম যিনি হন, তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা মনে করি, গুণগত শিক্ষা তখনই নিশ্চিত করতে পারব, যখন মানসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হবে। তাই আমরা গুণগত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে আপোষহীন।

তিনি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ে র ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সবাইকে অন্তত দশটি করে গাছ লাগানো এবং গাছগুলো বড় না হওয়া পর্যন্ত লালন-পালনের মাধ্যমে নগরবাসীকে সেবা করার আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যথাক্রমে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিবৃন্দ গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বৈশাখী উৎসব বাঙালি জাতির সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে বলেন, বৈশাখী উৎসবকে সার্বজনীন করার কারিগর হলেন প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে বৈশাখী উৎসব ভাতা চালু করেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বেশাখী ভাতা চালু করে। মানারাতেও এ বছর প্রথম বৈশাখী ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

এজন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। পরে তিনি বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।


কাল থেকে সারা দেশে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামীকাল রোববার থেকে ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। পরের দিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে ধাপে ধাপে দেশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা এক আদেশে জানানো হয়, ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তাপপ্রবাহ এবং নানা কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়।


স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি

আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৭:০২
ঢাবি প্রতিনিধি

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো এবং গাজায় নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আজ শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। এ দিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এই পদযাত্রা চলবে। এরপর সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে বলা হয়, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসেঙ্গ একইসময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন তা অতুলনীয় ও অভাবনীয়।

এ ছাড়া এই পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় এই বিজ্ঞাপ্তিতে।


ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শহিদ আখতার ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাফল্য ও অর্জনের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস। গত রোববার ২৯ এপ্রিল ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শহিদ আখতার হোসেনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে পালিত হয় দিনটি।

স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার লক্ষ নিয়ে একদল শিক্ষানুরাগী শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী, এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ২০০৩ সালের আজকের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাদের সেই মহৎ উদ্দেশ্য সফল করতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি পরিবারের সকল সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এ দিন দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। ড. হুসাইন তার বক্তব্যে এ যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপাচার্য এ ধরণের একটি উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সকল চেয়ারম্যান, সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে যারা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান বোর্ডের সকল সদস্যবৃন্দের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং অনুষ্ঠানটি সফল ভাবে সমাপ্ত করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


শনিবার খুলছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রোববার প্রাথমিক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খুলবে। ঈদের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মতো নোটিশ দিয়ে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখে।

তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না হলেও ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবকরা, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের।

উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মেয়াদ ২ মে পর্যন্ত বাড়ায় কর্তৃপক্ষ।

বিষয়:

জবি ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়। তাদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী ফয়সাল ওরফে হেলাল সদরঘাটের বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৃত শাহ আলমের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার বাংলা বাজারের কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়সহ ৬ জন ঐ ব্যবসায়ীর পথ রোধ করে তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা নগদ ২ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে পাশের এক রেস্তোরায় প্রবেশ করেন ভুক্তভোগী হেলাল। এরপর মহিউদ্দিন অনি ও হাসিবুল হাসান হৃদয় সেই রেস্তোরায় প্রবেশ করে তাকে পুনরায় চড়-থাপ্পর শুরু করেন এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা কা্উকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবে আসামিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় উক্ত ঘটনায় সূত্রাপুর থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ভুক্তভোগী ফয়সাল ওরফে হেলাল আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রাজ্য মহল কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই রেস্তোরার ভেতরের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মহিউদ্দিন অনি ও হাসিবুল হাসান হৃদয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে আঙ্গুল উঁচিয়ে কথা বলেছেন। এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন অনি উত্তেজিত হয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় দেয়া শুরু করেন। এরপর রেস্তোরার কর্মীরা হেলালকে রক্ষা করতে আসলে তারা আরও মারমুখী হয়।

রাজ্য মহল কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই রেস্তোরার মালিক মিন্টু শেখ বলেন, গত শুক্রবার রাতে একজন আশ্রয় চেয়ে আমার দোকানে প্রবেশ করেন। আমরা ঐ ব্যক্তিকে ভেতরে আসতে দিলে তার পিছু পিছু দৌঁড়ে আরও ২ জন দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হেলালকে (পরে নাম জানতে পারি) চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন একজন। আমরা বাঁধা দিতে গেলে দোকান-পাট ভাঙচুরের হুমকি দেন। পরে আমরা তাদেরকে অনুরোধ করলে তারা চলে যায়।

ভুক্তভোগী ফয়সাল ওরফে হেলাল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয়ের নেতৃত্বে ৬ জন আমার উপর অতর্কিত আক্রমন করে। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় আমি পুরোনো টাকা কালেকশন করতে সদরঘাট এলাকায় ছিলাম। ফোনে কথা বলতে বলতে আমি জুবিলী স্কুলের সামনে চলে যাই। সেখানে তারা বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় আমাকে দেখতে পায়। সে অনিকে আমার কথা বললে অনি বলে ওরে ধরে ওর পকেটে কত টাকা আছে দেখ। তারা এসেই আমাকে মারধর শুরু করেন। তখন আমার সঙ্গে প্রায় দুই লাখ ছয়ত্রিশ হাজারের মতো টাকা ছিলো। মারধর করতে করতে তারা আমার পকেট থেকে ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনায়ে নেয়। বাকি টাকা আমার মানিব্যাগে থাকায় তা আর নিতে পারে নাই। টাকা নেয়ার পর তারা আমার ওয়ান প্লাস মোবাইলকে আইফোন ভেবে কেড়ে নিতে চাইলে আমি তাদের থেকে ছুটে দৌঁড়ে পাশের এক হোটেলে যাই। হোটেলের মধ্যেও অনি আমারে মারধর করে। একপর্যায়ে হোটেলে থাকা লোকজন আমাকে রক্ষা করে।

পুলিশের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ঘটনার পর রাত সোয়া ১২ টায় মামলা করার জন্য সূত্রাপুর থানায় যাই। পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। তারা আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে ফেলতে বলে। আমি অস্বীকৃতি জানালে অনি পুলিশকে বলে আমাকে পাঁচ মিনিটের জন্য তার কাছে ছেড়ে দিতে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হেলাল নামের ওই ব্যবসায়ীর সাথে আমার অনেক আগে থেকেই পরিচয়। সময় দিন রাতে তার সাথে আমার দেখা হলে আমি তাকে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু সে হুট করেই আমাকে চোর, সন্ত্রাস, ছিনতাইকারী বলে গালিগালাজ শুরু করে। তখন আমার সঙ্গে থাকা জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয় এবং আরেক ছোটভাইকে বলি যে সে মদ্যপ কিনা দেখতে। তখন সে দৌঁড়ে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে। পরে সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওখানে পুলিশই উপস্থিত ছিল। পরের দিন থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে দুইজন দুইজনকে সরি বলে ঘটনার মীমাংসাও হয়েছিল। এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কালি লাগানোর জন্য এসব অভিযোগ তুলা হচ্ছে।

এবিষয়ে কথা বলতে আরেক অভিযুক্ত জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়কে বারবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। এ ধরণের কর্মকাণ্ড ছাত্রলীগ কখনোই প্রশ্রয় দিবে না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি মো. মাসুদ আলম বলেন, এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমাদের কাছে কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি। আমরা এ বিষয়ে অবগত না। সংশ্লিষ্ট যারা দেখেছে তারা বলতে পারবে।


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে ৯৩ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে আবাসিক হল সমূহও বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটি শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার জন্য আর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।


১১ মে থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি হয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১৬
ঢাবি প্রতিনিধি

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। স্থগিত হওয়া ও বর্জন করা টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ মে থেকে নতুন রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। গত ২০ এপ্রিলের পর স্থগিত করা পরীক্ষাগুলো আগে নেওয়া হবে এবং এর পর বর্জন করার পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণি প্রতিনিধির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হওয়া এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের (ডিএসডব্লিউ) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক।

ড. আল আমিন বলেন, আগামী ১১ মে থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ২০ এপ্রিলের পর যেসব পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে সেসব পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হবে। আর এর আগে কিছু পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছে সেগুলো পরে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, সভায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চেয়েছে। তারা কিছু আইনজীবীর নামও প্রস্তাব করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এসব প্রস্তাব গ্রহণ করে পিপিআরের মাধ্যমে কীভাবে তাদের নিয়োগ দিতে পারে সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সেই আইনি প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে।

শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ব্যাপারে কোনো মতামত জানিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর অত বড় না। তাই আমাদের কোন বিভাগে যখন পরীক্ষা শুরু হয় তখন সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের একসাথে সেই পরীক্ষা শুরু হয়। তাই এখন আমাদের পরীক্ষার সময়, কোন ক্লাস নেই।’

এর আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রবেশের প্রতিবাদ ও ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের আন্দোলনে গত ২৮ মার্চ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

বিষয়:

৫ মে জবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু

জবি প্রশাসনিক ভবন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:০৯
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য সশরীরে বন্ধ হওয়া ক্লাস-পরীক্ষা আগামী ৫মে থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ৫ মে থেকে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া শ্রেণি কার্যক্রম চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং আগামী ৭ মে থেকে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে বলেও জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক কনফারেন্সে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষার সময়সূচী পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৫ মে থেকে সকাল ৮টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে এবং ৭মে থেকে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চলবে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বন্ধই থাকছে স্কুল-মাদ্রাসা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তবে আদালত বন্ধ থাকায় আপিল করা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র। ফলস্বরূপ আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা।

গতকাল সোমবার আদালতের আদেশের পর আপিল করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। রাজধানীর আগারগাঁয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তৃতার সময় তিনি বলেন, ‘সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব, তা পালন করা বাঞ্ছনীয়।’

এ বিষয়ে জানতে আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, আদালতের আদেশের কোনো কপি এখনো আসেনি। আর এ পরিস্থিতিতে আপিল করার সুযোগও নেই। কারণ উচ্চ আদালত বন্ধ।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা বন্ধের আদেশ দেন।

আদেশে আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে, সেগুলোতে যথারীতি ক্লাস চলবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান তাপপ্রবাহে শিশুদের সুরক্ষার কথা মাখায় রেখে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

তবে যেসব স্কুলে এসি রয়েছে, পরীক্ষা চলমান আছে, ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৯ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

চলমান তাপপ্রবাহে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রেহেনা সুলতানা, মো. সামিউল সরকার ও আশিক রুবায়েত।


banner close