চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সবকটি হলে খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলোতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করে বাড়তি দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২১ সালে হলের খাবারের দাম ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়। তবে দাম বাড়ালেও মান বাড়ানো হয়নি খাবারের।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ দেখিয়ে হলের ডাইনিংগুলোতে খাবারের দাম ২৫ টাকা থেকে এক লাফে ৩৫ টাকা এবং সাহরির দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে প্রভোস্ট কমিটি। গত ২২ মার্চ প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমনিতেই হলের খাবারের মান ঠিক নেই। ভর্তুকি না দিয়ে হঠাৎ দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষার্থীদের আয় বাড়েনি, উল্টো ব্যয় লাগামে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ছাড়া এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিল না। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হলের খাবারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো ধরনের ভর্তুকি দেয় না। হলের স্টাফদের বেতন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলকে ভর্তুকি হিসেবে ধরা হয়।
দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপন মিয়া ফেসবুকে লেখেন, ‘২০১৯ সালে ১ম বর্ষে থাকাকালে ২০ টাকার বিনিময়েও দুবেলা খাইতে পারিনি টাকা বাঁচানোর জন্য। একবেলা খেয়ে দিন পার করে দিসি। তাই খুব ভালো করে জানি ক্ষুধা কী জিনিস। ১ম বর্ষে যারা আছেন, তাদের জন্য ৩৫ টাকা আত্মহত্যার মতো। অনেকের ২৫ টাকা দিয়ে দুবেলা খাওয়ার সামর্থ্য নেই, সেখানে ৩৫ টাকা অনেক বেশি। মাননীয় প্রভোস্ট, দয়া করে আমাকে ক্ষুধার্থ রাখবেন না। আমার খাবার নিশ্চিত করুন।’
আসাদ নেওয়াজ নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘মাননীয় প্রশাসন, দয়া করে আমাদের একটা জোরে লাথি মেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। কারণ এই তল্লাটে থাকার মতো অবস্থা আর রইল না। এবার সত্যই সেই বাপ-দাদাদের বলে যাওয়া কথাটাই সত্যি হচ্ছে। পেটে গামছা বেঁধে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতিবছর যে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিচ্ছে, সেখান থেকে ন্যূনতম একটা অংশ ভর্তুকি হিসেবে দিলেও তো আজ এই দিন দেখতে হতো না। এটা কোনো দিনও একটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। একটা নোটিশ নেই, পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়াই এভাবে দাম বাড়াল। এটা কোনো দিনও আমরা মেনে নেব না। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এভাবে না খেয়ে মরে যেতে পারি না। সবাই এভাবে চুপ থাকলে এটাই ফিক্সড হয়ে যাবে।’
মিলন শেখ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের বেতন বাড়ে, কর্মচারীদের বেতন বাড়ে, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়ে কিন্তু কখনোই বাড়ে না শিক্ষার্থীদের ইনকাম। শিক্ষার্থীদের তো কোনো ইনকামই নেই, তাহলে বাড়বে কেমনে? শিক্ষার্থীদের বাড়ে শুধু খরচ। এই খরচ শিক্ষার্থীরা কেমনে মেটাবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে ভাবা উচিত। অতিদ্রুত হল ডাইনিংয়ের খাবার মূল্য কমিয়ে মানসম্মত খাবার দেয়ার ম্যানেজারদের নির্দেশ দেয়া হোক।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, আলোচনা ছাড়া হুট করে কোনো কিছুর সিদ্ধান্ত নিয়ে তা আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিফলন। গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষকদের এ ধরনের বিরূপ আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলতে চাই খাবারের দাম বাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে এবং অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা যেন রমজানে খাবার গ্রহণে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, তার বিকল্পব্যবস্থা করতে হবে। তিনি হল প্রভোস্টদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্রে সাহরি খাওয়ার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, হলের খাবারের দাম না বাড়ালে আগের মেনু দেয়া যাচ্ছিল না। মুরগি না দিয়ে শুধু ডিম-সবজি দেয়া হচ্ছিল। ডাইনিং ম্যানেজাররাও চালাতে পারছিল না। তাই আমরা নিয়মিত খাবার ও সাহরিতে ১০ টাকা বাড়িয়েছি। বাজারে সবকিছুর দাম প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দেবে। খাবারে সরাসরি ভর্তুকি দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে ব্যবসা করারও সুযোগ নেই। ডাইনিং ম্যানেজার যদি এই টাকার মধ্যে কিছু করতে না পারে কীভাবে হবে। তাকে খরচটাও তুলতে হবে। তাদের আমরা কোনো ব্যবসাও করতে দিই না। উল্টো তাদের লস হয় বলে তারা কান্নাকাটি করেন।
মানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলে দিয়েছি, আগের চাইতে মানটা যেন বাড়ানো হয়। খাবারের আইটেম যাতে বাড়ানো হয়, আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে দামটা বাড়িয়েছি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটা নির্দিষ্ট বাজেটে চলে। বিশ্ববিদ্যালয় বাড়তি টাকা কোথা থেকে দেবে। এর বাইরে সরকার হলের ছেলেদের খাবারের জন্য বাড়তি টাকা দেবে? আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা করেছি। কেউ কোনো আপত্তি করেনি, শুধু বলেছে খাবারের মানটা যেন ঠিক থাকে। এখন সারা দেশে অর্থনৈতিক সংকট, সেই চাপটা আমাদের ওপর এসেও পড়েছে।
বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো)-এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রাহিল কামার আজ ৫ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় একই সংস্থার ফাহমিদা ফাইজা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসেস্কোর মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আইসেস্কো চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতিমান সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি আইসেস্কো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। একই সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর পরিপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শর্ত পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ার একটি প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপণের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে প্রজ্ঞাপনটি সঠিক। আমরা ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাতাগার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের ২০ শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়ার ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইেয়দ এ জেড মোরশেদ আলী।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মহাসমাবেশ করেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো চেপে বৃষ্টি। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দিন একই অবস্থা ছিল। ফলে সাগরে জোয়ার ও ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ।
এই বৈরী পরিবেশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দমাতে পারেনি। শারদীয় দুর্গোৎসব ও টানা চারদিনের ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। ছুটির এ সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে সৈকত শহরের হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, হস্তশিল্প ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসা।
সমুদ্রস্নান, পাহাড় ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকরা। যদিও নিম্নচাপের কারণে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কিছুটা ভ্রমণে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, তবে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে উপভোগ করছেন ভিন্নধর্মী আনন্দ।
শহরের কলাতলী, লাবণী, সুগন্ধা, দরিয়ানগর ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী ও টেকনাফ এলাকায় পর্যটকদের চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা যাচ্ছে। হোটেল-মোটেলের বেশিরভাগ রুম ইতোমধ্যে বুকড হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক অগ্রিম বুকিং না করায় বিপাকে পড়েছেন।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ সময়ে পর্যটকদের আগমন অর্থনৈতিকভাবে স্বস্তি দিলেও অব্যবস্থাপনা, যানজট এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় অনেক পর্যটক ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড সদস্যরা সমন্বিত টহল দিচ্ছেন। শিশু হারানো রোধে চালু হয়েছে বিশেষ হেল্পডেস্ক। যানজট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ, তবে শহরের কিছু অংশে যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিমান সংস্থা বাড়তি ফ্লাইট চালু করেছে। পাশাপাশি রেলও চালু করেছে বিশেষ ট্রেন, এবং বাস সংস্থাগুলোরও অতিরিক্ত ট্রিপ রয়েছে। তবে মহাসড়কে যানজট ভ্রমণকে কিছুটা ক্লান্তিকর করে তুলেছে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ পর্যটকদের জন্য বাড়তি আনন্দের উৎস।
সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে লাইফগার্ড দল। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এই ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক শত কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শহর ও আশপাশের এলাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাত যাপনের সুযোগ রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া পর্যটন খাতের জন্য ইতিবাচক বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, বছরে কক্সবাজারে প্রায় ৩০-৪০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে গতকাল সৈকতের লাবণী পয়েন্টে লাখো পর্যটক ও পুণ্যার্থী ভিড় করেন। এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে সৈকতে জড়ো করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠের শেষে একে একে প্রতিমাগুলো উত্তাল সাগরে ভাসানো হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় এই উপমহাদেশে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অবদান উল্লেখযোগ্য। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি।
বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য শত বছরের পুরনো। যুগে যুগে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। সুশিক্ষার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসার মতো আড়াইশো বছরের ঐতিহ্য সম্ভবত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসসহ বহু আলেম-ওলামা বেরিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে, মাদ্রাসা শিক্ষা না থাকলে ইসলামের ঐতিহ্য আদর্শ তমুদ্দিন কোন কিছুই বজায় রাখা সম্ভব হতো না। তাই সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে। এই শিক্ষাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। এর ঐতিহ্য শত বছরের।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মাদ্রাসা হল আলেম-ওলামা তৈরীর কারখানা। বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ করাতে হবে। তবেই জীবনে সফলতা সম্ভব।
তিনি বলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।সূত্র :বাসস
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা হারানোর পর এবার প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতাও হারাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ বা ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’।
এসব পদে সরকারের তদারকিতে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রক্রিয়ায় বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নির্ধারণে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত একটা হয়েছে, আগে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ পদগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি নিয়োগ দিত, এখন এ পদগুলোতে সরকার নিয়োগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি এটা নির্ধারণ করবে, এ পদগুলোতে কোন আদলে নিয়োগ দেবে, কারা করবে, এনটিআরসিএ করবে না, অন্য কেউ করবে কোনটাই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এ কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তুলে ধরেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ সব পদে নিয়োগে কোন নীতিমালা বা নিয়ম অনুসরণ করা হবে তা এ কমিটি নির্ধারণ করবে।’
আপাতত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রভাষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএ এর হাতে থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষমতা ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
গত সোমবার প্রকাশিত এক পরিপত্রে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কর্মচারী পদে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সভাপতি পদ থেকে ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’ সরিয়ে ডিসিদের এ দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে জানাতে এ কর্মশালা আয়োজন করে এনটিআরসিএ।
কর্মশালায় এনটিআরসিএ সদস্য এরাদুল হক, মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, পরিচালক তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, সংস্থাটির সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ ও নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ আয়োজিত ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের প্রেস রিলিজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান', যার লক্ষ্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্নিয়া ভবনে। সেখানে দলগুলো তাদের বাস্তবায়িত প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করে। পিচিং রাউন্ড, সম্মানিত জুরি বোর্ডের প্রশ্নোত্তর এবং অতিথিদের সামনে উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র অংশ নেয় বাকৃবির দুটি দল, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ ও ‘অ্যাকোয়াফোর’। দল দুটির প্রতিনিধিত্ব করেন বাকৃবির ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা ও ফুড সেফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শবনম ফেরদৌস। প্রতিযোগিতায় তাঁদের সমন্বয় ও পরামর্শ দেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।
অসাধারণ কৃতিত্বের মাধ্যমে, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ দলটি শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পায় এবং অর্জন করে ৩,৫০০ ইউরোর গ্র্যান্ড প্রাইজ। অপরদিকে, ‘অ্যাকোয়াফোর’ দর্শকদের ভোটে ৫০০ ইউরোর ভিউয়ার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। বিজয়ী দলটি ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও ইয়াস-এর সহযোগিতায় পরিচালিত ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া নেদারল্যান্ডসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ফোন করে অভিনন্দন জানান।
আয়োজকরা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা কেবল পুরস্কার জেতার জন্য নয়, বরং তরুণদের সৃজনশীলতা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার জন্য।”
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ অর্জন জাতীয় গৌরবের পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার স্বীকৃতি এনে দিল।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব আয়োজিত “জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. শামসুল হুদা, রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, ডিবেট ক্লাবের কো-অর্ডিনেট ও আইন বিভাগের লেকচারার মেহেরবা সাবরিন, এবং ক্লাবের সভাপতি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত ইবনে মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
৩২ টি কলেজের অংশগ্রহণে ইন্টার-কলেজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ মুখোমুখি হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিজয়ী হয় এবং সরকারি বাংলা কলেজ রানার আপের গৌরব অর্জন করে। এ পর্বে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ইমন আহমেদ।
অন্যদিকে, ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এর মধ্যে লড়াই হয়। এই প্রতিযোগিতায় বুটেক্স বিজয়ী হয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রানার আপ হয়। এ পর্বের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আলভি সালমান।
আয়োজকরা জানান, এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের তরুণ প্রজন্মকে যৌক্তিকতা, মুক্তচিন্তা ও নেতৃত্বের চর্চায় অনুপ্রাণিত করা।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং শিল্পখাতের অংশীজনদের যৌথ সহযোগিতায় কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) নতুন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করবে।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন উদ্যোগের লক্ষ্য।
এ লক্ষ্যে রোববার ঢাকায় এক হোটেলে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং শিল্পখাতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
কোইকা'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। শিল্পখাতের অভিজ্ঞতা এবং বিএমইটি-এর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এ কর্মসূচি প্রাসঙ্গিক ও ফলপ্রসূ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানোর বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ব্যস্ততার কারণে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে গেছে বলে স্বীকার করেছে।
রোববার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন ইস্যু’ নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এ কথা বলেন। নীলক্ষেতে ছাপানোর বিষয়ে সরবরাহকারী ভেন্ডরের থেকে প্রশাসন ব্যাখ্যা নিয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে মূল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এতে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয়নি।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ও প্রার্থীর বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে মূল ভেন্ডরের সাথে আলোচনা করে সমযোগ্য একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের অধীনে কাজে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ওই সহযোগী ভেন্ডর নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর তথ্যটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। এ ব্যাপারে আমরা তাদের থেকে ব্যাখ্যা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নীলক্ষেতে কাটিং শেষে প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা তাদের মূল অফিসে এনে প্রি-স্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। তারা ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা নেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ব্যস্ততার কারণে কর্তৃপক্ষকে তারা নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে যায় বলে স্বীকার করে।
উপাচার্য বলেন, ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে- সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়। যা থেকে প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান পর্ব শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালট প্যাকেটে সিলগালা করে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনো ভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। তারপর সুরক্ষা কোড আরোপ করে ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, এই প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন এবং ভোটার প্রতি ৬টি ব্যালট ছিল। মোট ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। মোট ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯২৬টি। অবশিষ্ট ব্যালট ৬০ হাজার ৩১৮।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি যে, কোন প্রার্থী যদি সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের বা কোন একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা পর্যালোচনা করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত কোননোস্থানে তা দেখতে বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত ভোটার তালিকা দেখানোর বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে তারা বলছে কোন প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে নির্দিষ্ট কারো স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করতে চায় সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দেখানো যেতে পারে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের ২৫টিতে জয় ছাত্রশিবির এবং তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি তিনজনের দুইজন স্বতন্ত্র এবং সদস্য পদে বামপন্থী সাতটি সংগঠনের প্রতিরোধ পর্ষদের হেমা চাকমা নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, স্বতন্ত্র উমামা ফাতেমার প্যানেলের কেউ নির্বাচিত হননি। এরপর থেকে তারা ডাকসু নির্বাচনে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ এনেছেন এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরাহা না করে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। এর মধ্যে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি সামনে এসেছে, এর আগে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল- ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানো হয়নি।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (জিইউবি)-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো HackTheAI Powered by SmythOS-এর গ্র্যান্ড ফিনাল। গ্রিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ক্লাব (জিইউসিসি) যৌথভাবে আয়োজন করে চার দিনব্যাপী (২২–২৫ সেপ্টেম্বর) এই জাতীয় হ্যাকাথন, যেখানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় ৬০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪২টি দল নিবন্ধন করে। প্রাথমিক বাছাই শেষে ৫০টি দল ফাইনাল রাউন্ডে জায়গা পায়। ফাইনালে অংশ নেয় গ্রিন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শাবিপ্রবি, রুয়েট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, এআইইউবি, ডিআইইউ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, আইইউটি, জাস্ট, মাবিপ্রৌ, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ফাইনালে অংশগ্রহণকারীরা টানা ৮ ঘণ্টা ধরে তাদের উদ্ভাবনী ধারণা, কোডিং দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা উপস্থাপন করে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০ দল সরাসরি প্রেজেন্টেশনের সুযোগ পায়, যেখানে তাদের কাজ মূল্যায়ন করেন একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও SmythOS-এর বিশেষজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী।
প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের DU_Prometheus দল। প্রথম রানারআপ হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের Ontorponthik দল এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের Ginger দল। বিজয়ীরা নগদ ৬০০ মার্কিন ডলার পুরস্কারের পাশাপাশি SmythOS-এর সঙ্গে ৭০০+ ডলারের রিমোট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের সুযোগ পাবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জিইউবির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিনির্ভর নেতৃত্ব বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। আয়োজক সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবিব অংশগ্রহণকারী, বিচারক, অতিথি ও অংশীদারদের ধন্যবাদ জানান। এছাড়া উদ্বুদ্ধমূলক বক্তব্য দেন মি. আরিফ ইস্তিয়াক সানি, সিনিয়র এআই ইঞ্জিনিয়ার, ব্রেইন স্টেশন ২৩।
HackTheAI ২০২৫ প্রমাণ করেছে যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি, সহযোগিতা ও বাস্তব সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করায় এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল বিশ্বে দক্ষতা ও সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের সক্ষম করে, যা জিইউবির ভিশনকে আরও সুসংহত করেছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এর ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ) এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চার সপ্তাহব্যাপী ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট প্রোগ্রামের অধীনে “স্মার্ট পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: এমপাওয়ারিং ইকোনমিক প্রোসপারিটি উইথ এআই বুটক্যাম্প" শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করা হয়। প্রোগ্রামটি বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। প্রোগ্রামটিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এর ফুলব্রাইট প্রেগ্রাম স্পেশালিস্ট ডঃ বুরাক চানকায়া, সহযোগী অধ্যাপক, ডিসিশন সায়েন্সেস অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স বিভাগ, এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ। প্রোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, অনুষদ সদস্যবৃন্দ এবং সরকারি ও বেসরকারি মেরিটাইম স্টেকহোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং খুলনা শিপইয়ার্ড সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মানিত চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল, এনপিপি, এনডিসি, পিএসসি উক্ত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দুপুর ২টা ৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে উক্ত প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল ড. খন্দকার আক্তার হোসেন, এনইউপি, এনডিসি, পিএসসি, পিএইচডি। অনুষ্ঠানে ইউজিসির স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. দুর্গা রানী সরকার, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক এঙ্গেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক রিচার্ড ব্রুনার এবং ইউএস স্পিকার ফিলিপ গ্রোভ, ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, এলিকট ড্রেজ এন্টারপ্রাইজেস, এলএলসি উপস্থিত ছিলেন। উক্ত প্রোগ্রামে দেশের বন্দরসমূহের আধুনিকীকরণ, স্মার্ট বন্দর পরিচালনা, বন্দরে আর্ফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর ব্যবহার এবং ডিজিটালাইজড মেরিটাইম লজিস্টিকসের পাঠ্যক্রম আধুনিকীকরণ এবং দক্ষ জনবল তৈরীতে করনীয় বিষয়সমূহ আলোচিত হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর বিজয় অডিটোরিয়ামে 'Disaster Management Exercise (DMX) 4.0'-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিইউপির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (ডিএমআর) বিভাগ এ আয়োজন করে, যার বিষয়বস্তু ছিল ‘Earthquake in Bangladesh: Strengthening Urban Preparedness’।
দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি দল সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। তারা ভূমিকম্প মোকাবিলায় কার্যকর প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করে এবং সৃজনশীল ধারণা উপস্থাপন করে। দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে প্যানেল আলোচনা, পোস্টার প্রদর্শনী, এবং টেবিল-টপ এক্সারসাইজ (টিটিএক্স) এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নগর এলাকায় ভূমিকম্প মোকাবিলায় নতুন কৌশল ও নীতিগত প্রস্তাবনা তুলে ধরে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি। উপাচার্য একটি সহনশীল ও প্রস্তুত জাতি গঠনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার অপরিহার্যতা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলোর হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিইউপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।