সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

চবির কেন্দ্রীয় স্টোরে ছাত্রলীগের হামলার পর ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ২২:৪৬

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় স্টোরে হামলার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতি। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে উপাচার্যকে এই চিঠি দেন সমিতির নেতারা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হায়দার ও সাদেক হোসেন। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজনের কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত বুধবার বিকেলে অভিযুক্তরাসহ আরও কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টোরে সম্পদ বিনষ্টের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় স্টোরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) অফিস কক্ষে কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় জড়িত অছাত্রদের বিরুদ্ধে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে অফিসার সমিতি কার্যকরী পরিষদের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৯ এপ্রিল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্টোরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও চবির অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পুরোনো মালামাল স্টোরে জমা আছে। এগুলো কয়েকটি কমিটির মাধ্যমে নিলামে তোলা হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের কয়েকজন সেগুলো নিলাম ছাড়া নিতে চেয়েছে। না দেয়ায় তারা টেবিল চাপড়িয়ে অশোভন আচরণ করে। পরে কর্মকর্তারা এগিয়ে এলে বাইরে গিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাদেক হোসেনকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোফাজ্জল হায়দার। তিনি বলেন, ‘স্টোরের প্রধান জাভেদ ভাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। একটা ইফতার পার্টির বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কোনো কথায় হয়তো জাভেদ ভাই মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। এ জন্য তিনি বড় ভাই হিসেবে শাসিয়েছেন। সেটা সেখানেই মীমাংসা হয়ে গেছে।’


জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সাত ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে মাউশি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাল সনদধারী শিক্ষকদের বেতন স্থায়ীভাবে বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাতটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক বা কর্মচারীর জাল সনদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং উক্ত পত্রে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে এ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কতিপয় ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত (stop payment) করা হয়েছে। তালিকায় বর্ণিত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত উপরোক্ত সাতটি বিষয়ের মধ্যে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার দফাওয়ারি জবাব ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে এ দপ্তরে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাত দফা কার্যক্রমে বলা হয়েছে, জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা; অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ যারা অবসরে গেছেন, তাদের অবসরের সুবিধাপ্রাপ্তি বাতিল করা এবং যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন, তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করার কথা বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের অবসরের ভাতা বা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা এবং জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের ও জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।


ঢাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতীক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কমিটি ঘোষণা করা হলেও আজ বুধবার দলটির ফেইসবুক পেজ থেকে বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করা হয়।

কমিটিতে থাকা ১৪ জনের নাম ঘোষণা করে ফেইসবুকে একটি তালিকা প্রকাশ করে দলটি। তালিকায় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আছেন একজন।

কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক পদে হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক পদে ইমরান হোসাইন, বায়তুলমাল সম্পাদক পদে আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে আছেন হামিদুর রশিদ জামিল।

এ ছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল আমিনের নাম রয়েছে।

কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটিটি জানুয়ারিতেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদের মুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।


পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন-পরিমার্জন কমিটি বাতিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হলো।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন- শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। সেখান থেকে চিহ্নিত ইসলাম ও দেশবিরোধী ব্যক্তিদের দ্রুত অপসারণ এবং দেশপ্রেমী মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক আলেম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কমপক্ষে দুজন বিশিষ্ট আলেমকে রাখার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

এর আগে গত ২১ আগস্ট জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কোনো আলেম না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে তারা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়।

এ ছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর আহমাদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কি পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্ম বিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সাথে সুস্পষ্ট বেঈমানি।


এসএসসি ২০২৫: ফরম পূরণ ও নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ফরম পূরণের তারিখ জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

নির্বাচনী পরীক্ষার ফল আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এবং এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ফলাফল ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।

এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। ফরম পূরণের সময়সূচি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


খাতা মূল্যায়নের সঙ্গে যোগ হবে এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাঝপথে বাতিল হওয়া চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে (সাবজেক্ট ম্যাপিং) ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাবজেক্ট ম্যাপিং হলো- একটি বিষয়ে পূর্বতন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড়। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় সব পরীক্ষার্থীকে পাস করানো হয়। সে বছর এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। পরের বছর কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে বাকি বিষয়ের ফল একইভাবে তৈরি করা হয়।

এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোতে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বরকে গড় করার প্রস্তাব দেয় আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এ বিষয়ে আজ বুধবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হবে।’

তবে ফল প্রকাশের দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

যদিও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, আগামী (অক্টোবর) মাসেই এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে। এ জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিল সাড়ে ১৪ লাখ। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকিগুলো হওয়ার আগেই স্থগিত করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামলে অন্তর্বর্তী সরকার পরীক্ষার সময় আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে এবং নম্বর কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গত ২০ আগস্ট কয়েকশ পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবি জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে সে দিনই সরকার তাদের দাবি মেনে নেয়।


এপিআই ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ দিচ্ছে ব্যুরো ভেরিটাস

আপডেটেড ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এপিআই ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ দিচ্ছে ব্যুরো ভেরিটাস।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম

অভিজ্ঞতা: সর্বনিম্ন ৭ বছর

কর্মস্থল: ঢাকা

আগ্রহীরা আগামী (৩ অক্টোবর) ২০২৪-এর ভেতর [email protected]ই-মেইলে আবেদন করতে পারবেন।


ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে দুই পক্ষের মধ্যে বিস্তর আলোচনা
বুধবার ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন দূতাবাসের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা স্টিভেন এফ ইবেলির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা স্টিভেন এফ, ইবেলির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ করে ঢাবি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। এসময় ঢাবিতে আমেরিকান কর্নার প্রতিষ্ঠা ও ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় এবং আমেরিকান সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান কার্যক্রম চালুর ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।

শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রাম, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম এবং নেতৃত্বের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রোগ্রাম আরও গতিশীল করার বিষয়ে দু’পক্ষ আশাবদি হয়।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে নতুন একটি হল নির্মাণের জন্য মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা চান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপাচার্যকে বিষয়টি আন্তরিকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দেন।

উপাচার্যের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলে দূতাবাসের কর্মকর্তা স্কট হার্টম্যান, রায়হানা সুলতানা এবং জোনাথা গোমেজ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সোমবার জবি ক্যাম্পাসে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৫১
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস জুলাই বিপ্লবে সরাসরি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন ও স্বৈরাচারী খুনির দোসর হয়ে বিভিন্ন কলাম লেখেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেন ও ছাত্র আন্দোলন দমনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলেন। তাই বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ রকম একজন খুনির দোসর শিক্ষককে আর বিভাগে চায় না। অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার চাই।

এছাড়া আরও কিছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি (মিল্টন বিশ্বাস) স্বৈরাচারী খুনির দালাল ছিলেন। মিল্টন বিশ্বাস যেভাবে এই আন্দোলনে চাপিয়ে দেওয়া অত্যাচারকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছে তারা তার বিরোধিতা করছে এবং বিভাগ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবী জানাচ্ছে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সজীব দৈনিক বাংলাকে বলেন, মিল্টন বিশ্বাস একজন খুনীর দোসর। তাকে আমরা আমাদের বিভাগে চাই না। তিনি কখনো নিয়মিত ক্লাস নিতেন না ও বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতেন।

এছাড়াও জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা আজ নিজ বিভাগ সংস্কারের জন্য আরও দশটি দাবি তুলেছেন। সেখানে বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে মিল্টন বিশ্বাসের পদত্যাগ ছাড়া বাকি দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


কুবির ভিসি হলেন ঢাবির অধ্যাপক হায়দার আলী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী, কমি্পউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ প্রদান করা হল।

এতে আরও বলা হয়, উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর (আচার্য) প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এ ছাড়া পৃথক প্রজ্ঞাপনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর (উপ উপাচার্য) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল। তিনি চার বছর মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন। এ পদে বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন তিনি। সেই সঙ্গে অবশ্যই তিনি সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

তিনিও চার বছর মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন এবং এ পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি ও বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। শর্ত অনুযায়ী, তাকেও সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।


জাবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ৮ জন সাময়িক বহিষ্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৮ সেপ্টেম্বর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ৩৯তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ) ওপর ভিত্তি করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনা করে তাদেরকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮’র ৩(২) (গ) ধারা অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর অপরাহ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সরকার ও রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগে ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) মোহাম্মদ রাজন মিয়া ও ৪৫তম ব্যাচের ( ২০১৫-১৬ সেশন) রাজু আহাম্মদ, ইংরেজী বিভাগের ৫০তম ব্যাচের (২০২০-২১ সেশন) মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের (২০১৪-১৫ সেশন) জুবায়ের আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের (২০১৯-২০ সেশন) হামিদুল্লাহ সালমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের (২০১৯-২০) মো. আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের (২০১৯-২০ সেশন) মো. আহসান লাবীব।


আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা হবে: বেরোবি ভিসি

বেরোবির নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বেরোবির পক্ষ থেকে আরেকটি হত্যা মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।

আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান। খবর বাসসের।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আবু সাঈদ জীবন দেওয়ার কারণে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে আজ আমি এ জায়গায় এসেছি। তার কাছে আমরা সবাই ঋণী। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা শিক্ষার্থী জড়িত রয়েছে কিনা সেটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে।

পুলিশ জানায়, আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেছেন। সেই মামলায় দু’জন পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। অপর মামলাটি পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে।

ভিসি অধ্যাপক ড. শওকত আরও বলেন, তার প্রথম লক্ষ্য হলো ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণের চেষ্টা করা। দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো উত্তরবঙ্গের আলোকবর্তিকা হিসেবে বেরোবি ক্যাম্পাসকে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।

তিনি বলেন, আবু সাঈদের এ ক্যাম্পাসে আমি কিছু প্রস্তাব ও পরিকল্পনা গ্রহণ করব। সম্মিলিত সুধী সমাজ, শিক্ষক সমাজ, ছাত্রসমাজ, সাংবাদিক সমাজসহ সবার সঙ্গে পরিকল্পনা করে বৃহত্তর পরিকল্পনা দাঁড় করাব। এ বিশ্ববিদ্যালয় যাতে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে সেলক্ষ্যে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আরও কয়েকটি হল তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করব। আমি বিশ্বাস করি, আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য অনুদান পাওয়া যাবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেরোবি ক্যাম্পাস নিয়ে আমাদের স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকবে। আশা করছি, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

এরআগে গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেরোবির ষষ্ঠ ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বেরোবির ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম দিনই নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী। নবনিযুক্ত এই ভিসির বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়।


ঢাবিতে যুবক হত্যা: ৪ শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া। মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন। পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন এবং সাজ্জাদ। তারা চারজনই ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, প্রক্টরিয়াল টিম চারজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে। ইতোমধ্যে হল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামীকাল সকালে কমিটি চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।

এর আগে গতকাল রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল হোসেনের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছে ঢাবি প্রশাসন।শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহীন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হলের শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে ছাত্রাবাস থেকে মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে সন্দেহ করার পর এই ঘটনা ঘটে। ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ মাসুম বলেন, তোফাজ্জলকে হলের ভেতরে আটকে রেখে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা।

মব হামলার পর হল কর্তৃপক্ষ তোফাজ্জলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করে। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার পরিবর্তে প্রক্টরিয়াল টিম তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

পরে পুলিশের পরামর্শে তোফাজ্জলকে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।


যুবককে পিটিয়ে হত্যা ‘অমানবিক’ ও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: ঢাবি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটানায় বিষয়টিকে ‘অমানবিক’ ও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাবি প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এই দুঃখের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ফজলুল হক মুসলিম হলের অমানবিক ও অনাকাক্ষিত ঘটনার জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখিত ও মর্মাহত। ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রক্টরিয়াল টিম বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলম্ব না করে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি দ্রত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য এরই মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব মহলকে আশ্বস্ত করা যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে পিটিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল টিম ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এঘটনায় পর আজ বৃহস্পতিবার হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। দুপুরে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এই কমিটিকে আজ সন্ধ্যার ভেতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।


banner close