চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্তে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা নিজেদের উদ্যোগেই শোভাযাত্রা করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ইনস্টিটিউটের দেয়ালে এঁকে দিচ্ছেন প্রতিবাদী দেয়ালচিত্র।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সংস্কারকাজের জন্য ভেতরে প্রবেশে নিষেধ থাকায় ইনস্টিটিউটের বাইরেই তারা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের এবারের আয়োজন অনেকটা প্রতিবাদধর্মী। পহেলা বৈশাখে চারুকলা ইনস্টিটিউটের গেট থেকে ‘প্রতিবাদী শোভাযাত্রা’ বের করবেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, ইনস্টিটিউটের বাইরে সাদা-কালো রঙে দেয়ালচিত্র আঁকছেন তারা। সেখানে লেখা- ‘বৈশাখ গুম হয়ে গেছে’, ‘আমাদের বৈশাখ কই’, ‘চারুকলা সংস্কার নয়, স্থানান্তর চাই’।
চারুকলা স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে। এর পাশাপাশি গেটের বাইরে দেয়ালচিত্র, আলপনা হচ্ছে। জায়গার অভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। এ জন্য ফটকের বাইরেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এবার ম্যুরাল (দেয়ালচিত্র) করছি সাদা-কালো রঙে। কালো রঙের মাধ্যমে আমরা শোক প্রকাশ করছি। কারণ চবি চারুকলায় বৈশাখকে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমাদের শোভাযাত্রাতেও সাদা-কালো রঙের আধিক্য থাকবে। সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে এ আয়োজন হচ্ছে।’
এর আগে গত শুক্রবার প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘চারুকলা ইনস্টিটিউট বর্তমানে বন্ধ আছে। তাই চারুকলাকেন্দ্রিক যে বর্ষবরণ ও শোভাযাত্রা, সেটি এ বছর হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক যে শোভাযাত্রা ও দেশীয় খেলাধুলার আয়োজন, সেটি হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ নভেম্বর ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে সেই ২২ দফা দাবি মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। চলমান আন্দোলনের মধ্যেই গত ২ ফেব্রুয়ারি সংস্কারকাজের জন্য চারুকলা ক্যাম্পাস ও হোস্টেল এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর আরও দুই দফায় বাড়ানো হয় চারুকলা বন্ধের মেয়াদ, যা এখনো বন্ধই রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আজ মঙ্গলবার উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূতের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক দল বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এ ছাড়া বহুমুখী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত দ্য সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের উন্নয়ন এবং চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সের আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে তারা আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সেমিনার, কর্মশালা, সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারেও আলোচনা করা হয়।
উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক আসন সংকটে ভুগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আবাসন সংকট নিরসনে তিনি চীনা রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। চীনের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে একদফা সরকার পতনের আন্দোলনে বন্ধ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হতে পারে। আগামী অ্যাকাডেমিক সভায় আলোচনার পর সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রভোস্টদের সঙ্গে এক সভায় সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এ বিষয়ে বিভাগীয় একজন অধ্যাপক গণমাধ্যমকে বলেন, আজকের সভায় ২০-২২ তারিখের মধ্যে ক্লাস শুরুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ বলেন, আজকের সভায় প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্লাস শুরুর নির্দিষ্ট তারিখ আগামী সিন্ডিকেট সভায় জানানো হবে।
সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনূস আলীকে আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন আলীকে সদস্যসচিব করে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ৬ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকার উত্তরা ক্লাবে অনুষ্ঠিত শহীদুল্লাহ হলের প্রাক্তন ছাত্রদের এক সম্মিলনীতে এ কমিটি গঠন করা হয়। সম্মিলনীতে উপস্থিত সকল সদস্যই আহ্বায়ক কমিটির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
এর আগে এক ভিডিও বার্তায় বর্তমান কমিটির সভাপতি বাহাদুর বেপারী এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাধারণ সম্পাদক ড. মো. সহিদুল ইসলাম তাদের পদত্যাগের কথা জানান। বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিদ্যমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথাও জানান এবং তারা উভয়েই আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্যসচিবকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করার দায়িত্ব দেয়। এই কমিটি আগামী তিনমাসের মধ্যে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের অনুরোধ জানান।
সভায় বক্তারা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন রাজনীতির ঊর্ধ্বে একটি কল্যাণধর্মী শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। তারা জানান, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে হলের বর্তমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়ক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মো. ইউনূস আলী, মেজবাহ উদ্দিন আলী, ড. মো. সহিদুল ইসলাম, আ ফ ম শাহরিয়ার, আনোয়ার হোসেন, জুয়েল, আয়জাজ আলী খোকন, স ম গোলাম কিবরিয়া, মোশাররফ হোসেন সোহেল, উত্তম কুমার, তানভীর আহমেদ, তপন, জাকির, শামীম, মো: সফিকুল ইসলাম, আজাদ, রুবেল, ড. মাসুম রাব্বানী, রোকনুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার তাকে এ নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১১ আগস্ট ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ। ২০২৩ সালের ২৮ মে থেকে তিনি ইউজিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-১০/৭৩)-এর ৪ (১) (এ) ও ৪ (৩) ধারা অনুযায়ী প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজকে কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। চেয়ারম্যান হিসেবে তার মেয়াদ হবে চার বছর। তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি পাবেন। এ নিয়োগাদেশ তার যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে। এ নিয়োগাদেশ তার যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক ২০০২ সালে সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ড. ফায়েজ ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)’ ষষ্ঠ চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালের মার্চ থেকে ১৯৯৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছর পিএসসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ড. ফায়েজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে পাঁচ বছর এবং ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অন এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ (সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল ফায়েজ)। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সাময়িকভাবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
শর্তগুলো হলো, ভাইস-চ্যান্সেলর পদে এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন, তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এর আগে গত ৭ আগষ্টে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ৭ আগষ্ট ২০২৪ ভিসি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১১টি আবাসিক হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি অনুষদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নতুন ডিন। গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ডিন ও প্রভোস্টদের নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি তাদের অফিসে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ।
প্রভোস্ট হিসেবে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক শাহ, হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে জিন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে জাপানিজ স্টাডিজের শিক্ষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম। বিজয় একাত্তর হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. স. ম. আলী রেজাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রোকেয়া হলে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. হোসনে আরা বেগম, সুফিয়া কামাল হলে গণিত বিভাগের শিক্ষক ড. সালমা নাসরিন, কুয়েত মৈত্রী হলের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক ড. মাহবুবা সুলতানা, শামসুন্নাহার হলে স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ড. নাসরিন সুলতানাকে প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ অনুষদে নতুন ডিন নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ।
নতুন ডিনরা হলেন- কলা অনুষদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, আইন অনুষদে ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ফিন্যান্স বিভাগের ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, জীববিজ্ঞান অনুষদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস অনুষদে ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. উপমা কবির চারুকলা অনুষদে মৃতশিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ চঞ্চল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আজ সোমবার রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ড সায়েমা হককে নিম্নোক্ত শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। শর্তগুলো হলো: উপ-উপাচার্য পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে চার বছর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন; তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। আরও শর্ত হলো, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ও ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এদিকে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেওয়া হলেও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি ফলিত রসায়ন এবং রাসায়নিক প্রকৌশলের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইলকে অনুমোদন দিলেও এখনো সেই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ না করে আটকে রাখা হয়েছে। দ্রুত এ প্রজ্ঞাপন জারি করতে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনও করেন।
দেশের উপজেলা ও থানা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে ২০৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
আজ রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য হতে নন-ক্যাডার পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণবিহীন) নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণি হিসেবে যারা রয়েছেন তাদের এ নিয়োগ দেওয়া হল। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে অন্যথায় নিয়োগ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
চলতি বছরের ২৯ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ প্রজ্ঞাপনটি দেওয়া আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) হয়েছেন মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ। এর আগে তিনি ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা-২) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপাচার্যের আদেশ মোতাবেক সাময়িকভাবে আপনাকে (মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।’
এ পদে তিনি বিধি মোতাবেক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। এই নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাদের আগামী রোববারের (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের আলটিমেটাম দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময়ের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান না করলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত সকল কলেজ এবং প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। উপাচার্য জানিয়েছেন, যারা এ সময়ের মধ্যে নিজের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকবেন না, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমনুল্লাহকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাকে চার বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। আজ বুধবার অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদকে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-২)-এর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, মাননীয় উপাচার্য আপনাকে কাজে যোগদানের তারিখ থেকে প্রচলিত শর্তে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এ জন্য আপনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। আপনার এ নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে যেকোনো সময়ে এ নিয়োগ বাতিল করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালেন্ডার পার্ট-২ (১৯৯৭)-এর ১১ অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা নং-৩৭-৪০) প্রক্টরের দায়িত্ব ও কর্মপদ্ধতি-বিষয়ক বিধি-বিধানের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রক্টরের দায়িত্বভার গ্রহণ করে যোগদানপত্র অফিসে প্রেরণ করতেও চিঠিতে অধ্যাপক সাইফুদ্দিনকে অনুরোধ করা হয়।
ক্ষমতার পালাবদলে ‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে চালুর আশ্বাস দিয়েছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। আজ বুধবার নিয়োগ পাওয়ার এক দিন পর উপাচার্য তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমার টিম এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা ক্রমাগত অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি।’
সবার সঙ্গে ‘সমঝোতার ভিত্তিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় চালুর চেষ্টা চলছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অর্থাৎ আবাসিক হল থেকে শুরু করে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে একশ ভাগ নিখুঁত পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছি না। যতটুকু পারি শুরু করব। স্মরণকালে এমন পরিস্থিতি কখনো তৈরি হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কিছুতে ‘অচলাবস্থা আছে’ মন্তব্য করে নিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমি সব মহলে কথা বলার চেষ্টা করছি। এটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়। এটি আমি খুব আন্তরিকভাবে মনে করি। আমার টিম এখনো পুরোপুরি কার্যভার নেয়নি। তাদের সহযোগিতার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।’
শিক্ষার্থীরা সবাই সাধারণভাবে যেসব সমস্যার কথা বলছেন সেসব সমাধানে অগ্রাধিকার দেবেন বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়, খালি করা হয় হলগুলো। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরদিন আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাস খুললেও এখনও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরেনি।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সবাই পদত্যাগ করেন। ১০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। এরপর বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ডিনদের পদত্যাগের হিড়িকে কার্যত অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাময়িকভাবে উপাচার্য পদে তিনি এই নিয়োগ পেয়েছেন।
অধ্যাপক নিয়াজ ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি এর আগে বিভাগটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। এ পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। উপাচার্য পদে তার নিয়োগ যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে।
অধ্যাপক নিয়াজের উপাচার্য হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষকরাও।
মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. নিয়াজকে অভিনন্দন। তার একটি সুদীর্ঘ উজ্জ্বল শিক্ষাগত ক্যারিয়ার আছে। তিনি রাজনীতিবিদদের চেয়ে শিক্ষাবিদদের প্রকৃত প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক শিক্ষকদের থাবায় ঢাবি অ্যাকাডেমিক পরিবেশ সংকুচিত এবং কিছুটা কলুষিত। বিদ্বান এই অধ্যাপক নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে উনার অ্যাকাডেমিক শিক্ষা এবং প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাবিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।
অধ্যাপক মিজান বলেন, আমার বিশ্বাস, সকল সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শক্তিশালী অ্যাকাডেমিক নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিচালনা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলেই নতুন উপাচার্যের কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন বলে প্রত্যাশা করেন অধ্যাপক মিজান।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ থেকে স্নাতক এবং পরের বছর একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস সোয়ানসি, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ ও গবেষণা করা অধ্যাপক খান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে অ্যাকাডেমিক ও কার্যকরী ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ দাবি করলে তিনি গত ১০ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদকে আজ নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন।