রোববার, ১৮ মে ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

একাধিক পদে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:১০

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ২১জন শিক্ষকসহ মোট ২৬জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে। আগ্রহীরা আগামী ১৬ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সুপ্রভাত হালদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।



১. ১
সহযোগী অধ্যাপক: ০১টি স্থায়ী পদ
গ্রেড-৪, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫
অর্থনীতি বিভাগ- (০১টি)
(ক) সহযোগী অধ্যাপক পদে আবেদনের জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক
পদে ০৫ (পাঁচ) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ মোট ১০(দশ) বছরের শিক্ষকতা/ গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
এবং স্বীকৃত জার্নালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ০৩ (তিন) টি সহ মোট ০৫ (পাঁচ)টি প্রকাশনা থাকতে হবে।
(খ) এমফিল অথবা সমমান ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে ০৪ (চার) বছরের
শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ মোট ০৮(আট) বছরের শিক্ষকতা/গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং স্বীকৃত জার্নালে সহকারী
অধ্যাপক হিসেবে ০৩(তিন)টি সহ মোট ০৫(পাঁচ)টি প্রকাশনা থাকতে হবে।
(গ) পিএইচডি অথবা সমমান ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে ০৩(তিন) বছরের
শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ মোট ০৭(সাত) বছরের শিক্ষকতা/গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং স্বীকৃত জার্নালে সহকারী
অধ্যাপক হিসেবে ০৩(তিন)টি সহ মোট ০৫(পাঁচ)টি প্রকাশনা থাকতে হবে।
(ঘ) শিক্ষক হিসেবে অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের
সামগ্রিক শিক্ষা ও শিক্ষা আনুষঙ্গিক কর্মকান্ড পরিচালনায় অভিজ্ঞতা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হবে।
(ঙ) শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো পর্যায়ে ৩য় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়।

২. ২
সহকারী অধ্যাপক: ০১টি স্থায়ী পদ
গ্রেড-৬, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫
সমাজকর্মবিভাগ-(০১টি)
সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদনকারী প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উভয়টিতে প্রথম বিভাগ
অথবা জিপিএ ৪.০০ (স্কেল: ৫.০০) থাকতে হবে।সংশ্লিষ্ট বিষয়ে (সমাজকর্ম/ সমাজকল্যান), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কমপক্ষে যে কোনো একটিতে ১ম শ্রেণি থাকতে হবে এবং শিক্ষাজীবনের কোনো ক্ষেত্রে ৩য় শ্রেণি
গ্রহণযোগ্য নয়। সিজিপিএ’র ক্ষেত্রে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উভয়টিতে কমপক্ষে ৩.৫০ (স্কেল-৪.০০)
থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে। প্রার্থীর স্বীকৃত জার্নাল বা বইয়ে
অন্তত ১টি প্রকাশনা থাকতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অথবা স্বীকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৩ (তিন) বছরের
শিক্ষকতা/গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৩. ৩
প্রভাষক: ১৪টি স্থায়ী পদ

গ্রেড-৯, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫
আইন বিভাগ(০২টি), ইংরেজি বিভাগ (০২টি),
বাংলা বিভাগ (০১টি), একাউন্টিং এন্ড
ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ (সিএসই ১ টি এবং
গণিত ১টি), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ (০২টি), ভূতত্ত্ব
ও খনিবিদ্যা বিভাগ (০১টি), অর্থনীতি বিভাগ
(০১টি), লোক প্রশাসন বিভাগ-(০১টি),
সমাজকর্ম বিভাগ(০২টি)
(ক) প্রভাষক পদে আবেদনকারী প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উভয়টিতে জিপিএ পদ্ধতি
প্রবর্তনের পূর্বেপাসের ক্ষেত্রে প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। জিপিএ পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে পাসের ক্ষেত্রে এসএসসি ও
এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উভয়টিতে জিপিএ ৪.০০ (স্কেল: ৫.০০) থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে (স্ব স্ব বিষয়ে)
স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কমপক্ষে যে কোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে এবং শিক্ষাজীবনের
কোনো ক্ষেত্রে ৩য় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। সিজিপিএ’র ক্ষেত্রে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উভয়টিতে
কমপক্ষে ৩.৫০ (স্কেল ৪.০০) থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতার যে
কোন একটি শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
(খ) একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমেস বিভাগে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্ছিনিয়ারিং (সিএসই) অথবা গণিত বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উভয়টিতে কমপক্ষে
৩.৫০ (স্কেল-৪.০০) থাকতে হবে।

৪. ৪
নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার: ১টি স্থায়ী পদ
আইসিটি সেল
গ্রেড-৬, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫
(ক) সরকার স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্ছিনিয়ারিং/ইলেক্ট্রনিক এন্ড
কমিউনিকেশন ইঞ্ছিনিয়ারিং/ ইলেক্ট্রনিক এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্ছিনিয়ারিং/ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন
টেকনোলজি বা সমমানের বিষয়ে ০৪ (চার) বছর মেয়াদি স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি।
(খ) শিক্ষাজীবনের কোন পরীক্ষাতেই ২য় শ্রেণি অথবা জিপিএ/সিজিপিএ ৩.০০ এর নিচে গ্রহণযোগ্য নয়।
(গ) সরকারী/আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এ সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার/ নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
(গ্রেড-৯) বা তদূর্ধ্ব পদে ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৫. ৫
সহকারী রেজিস্ট্রার: ১টি স্থায়ী পদ
রেজিস্ট্রারের কার্যালয়
গ্রেড-৭, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫
প্রার্থীকে কোনো অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। শিক্ষাজীবনে সকল
ক্ষেত্রে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি/বিভাগ অথবা সিজিপিএ/জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। প্রার্থীর অবশ্যই ইংরেজি ও বাংলা
উভয় ভাষায় পারদর্শীতা এবং কম্পিউটারে এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি কাজে
অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় অথবা উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক কাজে
কমপক্ষে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে।
৬. ৬
কম্পিউটার অপারেটর: ১টি স্থায়ী পদ
গ্রেড-১১, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫
প্রার্থীকে অনুমোদিত শিক্ষা বোর্ড হতে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় পাসসহ কম্পিউটারে ডিপ্লোমা পাস/ কম্পিউটার
অপারেটিংয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং সংশ্লিষ্ট কাজে বিশেষভাবে পারদর্শী হতে হবে। শিক্ষাজীবনের সকল পর্যায়ে কমপক্ষে
২য় বিভাগ/সমমানের জিপিএথাকতে হবে।

৭. ৭
অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার টাইপিস্ট:
১ টি স্থায়ী পদ, সমাজকর্ম বিভাগ
গ্রেড -১৬, জাতীয় বেতন স্কেল- ২০১৫
প্রার্থীকে অনুমোদিত শিক্ষা বোর্ড হতে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় পাশ হতে হবে। কম্পিউটার অপারেশন কোর্সে
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং প্রার্থীর কম্পিউটার টাইপিং স্পিড মিনিটে ইংরেজিতে ন্যূনতম ৩০ এবং বাংলায় ন্যূনতম ২৫ শব্দ
হতে হবে। শিক্ষাজীবনের সকল ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি অথবা জিপিএ/সিজিপিএ ২.৫ থাকতে হবে।

৮. ৮
অফিস সহায়ক: ১ টি স্থায়ী পদ
গ্রেড-২০, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫
সমাজকর্ম বিভাগ- ১ টি
প্রার্থীকে কোনো অনুমোদিত শিক্ষা বোর্ড হতে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা জিপিএ/
সিজিপিএ ২.০ থাকতে হবে।

আবেদনের নিয়মাবলী

(ক)
আবেদনকারীকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরম থেকে ডাউনলোড করে অথবা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কর্ণকাঠী, বরিশাল সদর, বরিশাল এর ডিসপ্যাচ শাখা থেকে ফরম প্রতি
৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা দিয়ে ফরম সংগ্রহ ও পূরণ পূর্বক সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ গ্রেড-৪ ভুক্ত পদের জন্য ১১ (এগার) সেট, গ্রেড-৫ থেকে গ্রেড-৯ ভুক্ত পদের জন্য ০৮(আট) সেট এবং গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-
২০ ভুক্ত পদের জন্য ০৩ সেট আবেদনপত্র রেজিস্ট্রার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কর্ণকাঠী, বরিশাল সদর, বরিশাল-৮২৫৪ বরাবর দাখিলকরতে হবে। আবেদনের সময়সীমা:১৬/০৫/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।

(খ)
প্রার্থীকে আবেদনপত্রের সাথে প্রথম শ্রেণির গ্রেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত নিম্নলিখিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে- (১) শি‣াগত যোগ্যতার সনদ ও নম্বরপত্র এবং প্রশি‣ণ ও
অভিজ্ঞতা (যদি থাকে) সংক্রান্ত সনদের ছায়ালিপি; (২) মূল আবেদনপত্রের সাথে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ০৪ কপি রঙিন ছবি ও প্রতি সেটের সাথে ১ কপি রঙিন ছবি; (৩)
অনলাইনে সম্পন্নকৃত জন্ম সনদপত্র/ জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ছায়ালিপি।

(গ) চাকুরিতে নিয়োজিত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
(ঘ) ত্রুটিপূর্ণ/অসম্পূর্ণ এবং নির্ধারিত সময়ের পর প্রাপ্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।

(ঙ) আবেদনকালে প্রার্থীর আবেদনপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার যে তথ্য দেয়া হবে চাকুরিতে যোগদানের পর পূর্বে অর্জিত এর অতিরিক্ত কোন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদ গ্রহণ করা হবে না।
(চ) আবেদনপত্রের সাথে ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়-এর অনুকূলে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের যে কোনো শাখা থেকে ৪র্থ থেকে ৯ম গ্রেডের জন্য ৬০০/- টাকা, ১১তম গ্রেডের জন্য ৩০০/- টাকা
১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০/- টাকা, ২০তম গ্রেডের জন্য ১০০/- টাকার পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট (অফেরতযোগ্য) সংযুক্ত করতে হবে।

(ছ) প্রত্যেক প্রার্থীকে তার প্রার্থিত পদের নাম ও বিভাগ প্রেরিত আবেদনপত্রের খামের উপরে স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে হবে।
(জ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও সংশোধন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির
ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
(ঝ) গ্রেড-৭ থেকে গ্রেড-৪ভুক্ত পদসমূহ ব্যতীত সকল পদে আবেদনকারীর বয়সসীমা ১৬/০৫/২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সর্বাধিক ৩০ বছর হতে হবে। অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের জন্য এই শর্ত শিথিলযোগ্য।
(ঞ) অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অভ্যন্তরীণ প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবে এবং৬ ও ৭ নং ক্রমিকের পদের জন্য তাদের
বয়সসীমার শর্ত শিথিল থাকবে। উক্ত প্রকল্পে চাকুরির অভিজ্ঞতা এই বিজ্ঞাপনে প্রদত্ত অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে িি.িনঁ.ধপ.নফ এই ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করা যাবে।


অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সাত কলেজের

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শনিবার (১৭ মে) ইডেন কলেজের ১ নম্বর ফটকে সংবাদ সম্মেলন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৫ ২০:৫৫
ইউএনবি

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

তবে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, তারা এবার দাবি আদায়ের সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার (১৭ মে) ইডেন মহিলা কলেজের ভেতরে ১ নম্বর ফটকের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি
    • অন্তর্বর্তী প্রশাসকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সেশনজট নিরসনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের পাশাপাশি ভুতুড়ে ফলের সমাধান
    • বিভিন্ন ইস্যুতে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধসহ যাবতীয় অসংগতিগুলো স্পষ্টভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ
    • অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ
    • আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ও লোগো/মনোগ্রাম প্রকাশ এবং আগামী এক মাস তথা ১৬ জুনের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।

বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাফরিন আক্তার ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।

ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।

উল্লেখ্য, এই কলেজগুলো একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। পরে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।

তবে অধিভুক্তির পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে সময়-সময় আন্দোলন করে আসছিলেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিগত আট বছরে সমস্যাগুলো বড় আকারে রূপ নেয়। শুরু হয় নানা আন্দোলন।

সবশেষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথকীকরণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সভা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। অর্থাৎ, উল্লেখিত সেশন থেকেই সাত কলেজ নিয়ে নতুন করে গঠিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে’ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ ১৬ জুনের মধ্যে জারি ও নবগঠিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়ামের শুভ উদ্বোধন

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ- ক্যাম্পাসে অত্যাধুনিক ‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৫ ০০:২৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ উদ্বোধন করা হলো অত্যাধুনিক ‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়াম। এই জিমনেসিয়ামে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিয়মিত শরীর চর্চার সুযোগ পাবেন, যা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত।

জিমনেসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর তিনি শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য শুধু একাডেমিক জ্ঞানই নয়, শারীরিক সুস্থতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জিমনেসিয়াম সেই লক্ষ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। জমজমাট সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে উদযাপন করা হয় এই বিশেষ আয়োজনটি।

‘মাসেল ইঞ্জিন’ জিমনেসিয়ামটিতে রয়েছে আধুনিক ও উন্নতমানের বিভিন্ন শরীরচর্চা উপকরণ—যেমন এক্সারসাইজ বাইক, ওয়েট ট্রেনিং সেটসহ আরও নানা ধরণের জিম ইকুইপমেন্ট। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত এবং ফ্রি।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সবসময় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এই জিমনেসিয়াম তারই একটি বাস্তব উদাহরণ, যা ভবিষ্যতে আরও স্বাস্থ্য সচেতন ও উদ্যমী প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।


দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জবি ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি। পূর্ববর্তী তিন দফাসহ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছেন জবির শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক ড. রইসউদ্দিন বলেন, ‘আমরা জবির দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের উপরে নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা ও অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি, কোন ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন চলবে, কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না। দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তার পরিণতি ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।’

গতকাল(বুধবার) থেকে জবির শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে অবস্থান করছেন। অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হলেও আন্দোলন থেকে সরে যাননি। কেউ কেউ রাতভর রাস্তায় ঘুমিয়ে আজ সকালেও অবস্থান করছেন।

নতুন দাবিসহ চার দাবি হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

এর আগে (বুধবার) ‌বেলা ১১টার দি‌কে এই তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লং মার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে দুপুর সা‌ড়ে ১২টার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সে সময় আন্দোলনকারী‌দের ছত্রভঙ্গ করতে গরম পানিও ছোড়া হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তা‌দের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। পরে তাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে গতকাল রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সেখা‌নে বিফ্রিং করতে যান। তবে তার ব্রিফিংয়ে অসন্তুষ্ট হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে বোতল ছুঁড়ে মারেন একজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরে বিফ্রিং বন্ধ করে চলে যান উপদেষ্টা।

এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকড়াইল মসজিদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন জবির শিক্ষার্থীরা।


‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ এ অনুষ্ঠিত হলো ‘ইনডোর স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৫!

আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৫ ২০:২২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্রীড়াময় উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ক্যাম্পাস। গত ৬ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলা ‘ইনডোর স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৫’-এ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ইনডোর স্পোর্টস কার্নিভাল, যেখানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় চেস, ক্যারম, লুডু, বিলিয়ার্ড ও ফুসবল খেলায়। প্রতিটি খেলায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, মনোযোগ ও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা অনবদ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফাত , যিনি নিজ হাতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন এবং তাদের অনুপ্রেরণা দেন।

এই আয়োজন সফল করতে সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব এবং মিডিয়া ও ফটোগ্রাফি ক্লাবের অক্লান্ত পরিশ্রম প্রশংসার দাবিদার।


চ্যাট-ভিত্তিক সিভি বিল্ডার চালু করল ‘আমি প্রবাসী’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি ‘আমি প্রবাসী’ চালু করেছে মেশিন লার্নিং চ্যাটবট ভিত্তিক সিভি বিল্ডার, যা ব্যবহার করে দ্রুত ও সহজেই তৈরি করা যাবে পেশাদার সিভি। প্রচলিত পদ্ধতিতে বা অনলাইন টুলস ব্যবহার করে প্রফেশনাল সিভি তৈরি করতে অনেকেই নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। কিন্তু ‘আমি প্রবাসী’র এই সিভি বিল্ডার দিয়ে খুব সহজেই চ্যাটবটের সঙ্গে চ্যাট করে সিভি তৈরি করা সম্ভব।

এই ফিচারে রয়েছে বাংলা মেশিন লার্নিং চ্যাটবট, যা সহজ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তার যাবতীয় তথ্য যেমন- দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি জেনে নেয়। মাত্র ৫–৭ মিনিটে প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ শেষ করে একটি পেশাদার সিভি তৈরি করে দিতে সক্ষম এই ফিচার। সিভি প্রস্তুত হয়ে গেলে পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা; যা তারা তাৎক্ষণিক শেয়ার করতে পারবেন আবার চাইলে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এখন পর্যন্ত প্রায় ১, ০০,০০০ জন ব্যবহারকারী এই সিভি বিল্ডার ফিচার ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে ৩,৫১২ জনের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩১,৩৮৯ জন এবং প্রকৌশলীর সংখ্যা ১,৩৩৫ জন।

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে প্রবেশ করে নতুন ফিচারটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। যাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম, তারাও এটি ব্যবহার করে সহজেই দ্রুত মানসম্পন্ন পেশাদার সিভি তৈরি করতে পারবেন, যা চাকরিক্ষেত্রে তাদের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।

‘আমি প্রবাসী’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই হক বলেন, ‘অনেক মানুষ বিশেষ করে যারা প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়, তারা জানেই না সিভি কী— সেখানে সিভি তৈরি করা তো দূরের কথা। আমাদের সিভি বিল্ডার ফিচার যেকোনো ব্যক্তির জন্য সিভি তৈরি এখন অনেক সহজ করে দিয়েছে। বাংলায় মেশিন লার্নিং চ্যাটবটের সাথে চ্যাট করে যে কেউ এখন সিভি বানাতে পারবেন। বেকারত্বের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং আরও বেশি মানুষকে ভালো চাকরির সুযোগ করে দিতে বর্তমানে এটি সহায়ক একটি ফিচার।’


ববিতে ভিসি অপসারণের আন্দোলনে শিক্ষকদের একাত্মতা প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সেখানে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করার পাশাপাশি বক্তব্যও রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহসিনউদ্দিন, ড. হাফিজ আশরাফুল হক ও উন্মেষ রায়।

তারা অভিযোগ করেন, ভিসির কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধ্বংসের মুখে। মাসের ২৮ দিনই তিনি ক্যাম্পাসে থাকেন না। কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও হয়নি তার সময়ে। বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর করা সহায়তার আবেদনটি তিনি খুলেও দেখেননি। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করার মতো ঘৃণ্য কাজ পর্যন্ত করেছেন তিনি।

এই উপাচার্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন একাত্মতা প্রকাশ করা ওই শিক্ষকরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের মধ‍্যে বক্তব্য রাখেন সুজয় শুভ, ভূমিকাসহ অন্যরা। অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক‍্যাম্পাস ও সংলগ্ন সড়ক ঘুরে আসে। মিছিলে ভিসির অপসারণ দাবি করে নানা শ্লোগান দেওয়া হয়।

এ নিয়ে টানা চতুর্র্থ দিনের মতো ভিসি শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছে ববির শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, সোমবার (৫ মে) তার পদত‍্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ববির শিক্ষার্থীরা।

সে সময় তারা জানান, আগে ২২ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও উপাচার্য তা মানেননি। বরং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের চেষ্টা করেছেন। এ কারণে বর্তমানে ভিসির অপসারণই তাদের একমাত্র দাবি।


চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বৈষম্যমূলক নীতি, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘প্রহসনের বাজেট মানি না, মানবো না’; ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘বাজেট নিয়ে বৈষম্য মানি না, মানবো না’; ‘ইউজিসির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথেসহ’ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব আন্দোলনেই সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।’

ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে পদে বসে আছেন, সেই পদে বসতে জবি শিক্ষার্থীদের ত্যাগ আছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন এবং জবির শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি দ্রুত মেনে নিন। দাবি মেনে না-নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।’

কর্মসূচিতে জবি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালের আন্দোলনে এমন কোনো দিন ছিল না, যেদিন পুরান ঢাকায় আন্দোলন হয়নি। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আপনারা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন, অথচ আজ আমাদের ওপরই বৈষম্য করছেন।’

‘আবাসন ভাতা ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। আমাদের ৯০-৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টাকার অভাবে সকালের নাশতা খেতে পারেন না। পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি পরিবেশে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি,’ অভিযোগ করেন এই শিক্ষার্থী।

এদিকে, জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলবে, নয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ঢাকার মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাজেটে এত বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং তাদের চার দফা দাবি পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে, আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। বাজেট বৃদ্ধির নীতিমালাতেও ত্রুটি আছে, এজন্য আমরা ইউজিসি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি ‘

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।


আপনার চাকরি খেয়ে ফেলবে এআই: ফাইভার প্রধানের হুঁশিয়ারি

আপডেটেড ৬ মে, ২০২৫ ১৯:৪৬
ইউএনবি

চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্রমাগত পরিবর্তনশীল প্রভাব নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি বহুজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিকা কাউফম্যান। এআই নির্ভর ভবিষ্যতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে দক্ষতা ও খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে জোর দেন তিনি।

ফাইভারের একটি অভ্যন্তরীণ মেমোর বিস্তারিত বিবরণে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন। পরবর্তীতে সেটি সামাজিকমাধ্যমেও শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।

যেভাবে দ্রুতগতিতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে, তাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মনির্ভর বাজারসহ শিল্পকারখানা নতুন করে ঢেলে সাজানোর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সেই দিকে আভাস দিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় উপযুক্ত করে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে ফ্রিল্যান্সার্স ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘কঠিন সত্য হলো—আপনার কর্মসংস্থান দখল করতে আসছে এআই, আমার চাকরিটাও তারা নিয়ে নেবে। এটা আপনাদের জেগে ওঠার ডাক। তাতে হোক না আপনি প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, পণ্য ব্যবস্থাপক, ডেটা বিজ্ঞানী, আইনজীবী, বিক্রেতা কিংবা কোনো ব্যবসায়ী। আপনাদের কর্মসংস্থান কেড়ে নিতে ধেয়ে আসছে এআই।’

“একসময় যেসব কাজকে সহজ বলে বিবেচনা করা হতো, এখন আর সেগুলোর অস্তিত্ব নেই। আবার যে কাজগুলো কঠিন বলে বিবেচনা করা হতো, সেগুলো সহজ হয়ে গেছে। আর যে কাজগুলো অসম্ভব বলে মনো হতো, সেটা এখন নতুন ‘কঠিন কাজ’।”

তিনি বলেন, ‘আপনি যা করছেন, সেখানে যদি একেবারে ব্যতিক্রমী মেধাবী না হন, কয়েক মাসের ব্যবধানে আপনাদের কর্মসংস্থান পরিবর্তনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে,’ বলেন ফাইভারের এই প্রধান নির্বাহী।

সর্বশেষ এআই উদ্ভাবন নিয়ে আরও লেখাপড়া ও দক্ষতা অর্জনে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘এআই প্রোগ্রাম লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলসের (এলএলএমএস) ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’

যারা এটার কদর বুঝবেন না, অর্থাৎ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না, তাদের ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে পড়বে বলেও হুশিয়ার করেন ফাইভার প্রধান নির্বাহী। কাজেই কর্মীদের আরও দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সার্চ জায়ান্ট গুগল ‘সেকেলে’ হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মিকা কাউফম্যান।


আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে কাজ করছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি

উত্তরা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস।
আপডেটেড ৩ মে, ২০২৫ ১৩:২৫
আবু সুফিয়ান

দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার লক্ষ্যে ও বৈশ্বিক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। শুরুতে ২টি স্কুল বা অনুষদের অধীনে ২টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি স্কুল বা অনুষদের অধীনে ১৪টি ডিপার্টমেন্টে ৪০টি প্রোগ্রাম চালু আছে। শুরু থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব জব ওরিয়েন্টেড ও প্রফেশনাল বিভাগ চালু আছে সেগুলো হচ্ছে- বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ফ্যাশন ডিজাইন, ইইই, সিএসই, আইন, ম্যাথ, ফিজিক্স, এডুকেশন, বাংলা, ইংরেজি, ইসলামিক স্টাডি ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগ। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যেন প্রতিযোগিতায় নিজেদের চৌকস প্রমাণ করতে পারে সেজন্য শুরু থেকে মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ৯টি সমাবর্তন শেষ করেছে। এ ইউনিভার্সিটি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে।

প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য, যাদের প্রায় সবাই স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম. আজিজুর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ডিপার্টমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রিও লাভ করেন। বিশ্ব ব্যাংকের বৃত্তি নিয়ে তিনি আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে আমেরিকার ভ্যান্ডারভিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তিনি ৩০ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ইউএস অ্যাম্বাসির ইউএসএইডে ইকোনোমিক অ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ড. এম আজিজুর রহমান উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর। শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গবেষক, সুলেখক ও সমাজসেবী প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা হচ্ছেন এ ইউনিভার্সিটির বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও এমএড এবং ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ভিশন ও মিশন:

এক্সিলেন্স ইন হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ -এই স্লোগানকে সামনে রেখে গবেষণায় বেশি জোর দিচ্ছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। এ ইউনিভার্সিটির ভিশন বা সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং আদর্শ নাগরিক, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও আলোকিত মানুষ সৃষ্টিকরণ।

উত্তরা ইউনিভার্সিটি জীবনঘনিষ্ঠ ও নৈতিক শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শুধু জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই আদর্শ নাগরিক সৃষ্টি হয় না। তাই উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধ সম্পর্কেও দীক্ষা দেওয়া হয়।

স্থায়ী ক্যাম্পাস:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হচ্ছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সকল নিয়মনীতি মেনে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উত্তরা মডেল টাউনের থার্ড ফেইজ সংলগ্ন, প্রায় ৬ বিঘা জমির ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ হয়েছে। ৯ তলা ভবনের এ ক্যাম্পাস দেখে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে। ভবনের গঠনশৈলী এতটাই আধুনিক, সবদিক থেকেই আলো-বাতাস ভবনের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ, যেখানে প্রতিনিয়ত নানা আয়োজন ও উৎসব চলতে থাকে। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর এই ক্যাম্পাস! চারপাশে সবুজে ঘেরা আর ক্যাম্পসের পাশ ঘিরে তুরাগ নদী বহমান। মূল ভবন দক্ষিণামুখী হওয়াতে প্রতিনিয়ত দখিনা বাতাস প্রবহমান এই ক্যাম্পাসে। লাল কৃষ্ণচূড়ার শামিয়ানা আর শুভ্র কাশফুলের দোলাসহ বিভিন্ন ঋতুর প্রকৃতি এখানে দৃশ্যমান!

যাতায়াত ব্যবস্থা:

আধুনিক রাজধানী ঢাকার উত্তরায় সুবিশাল ভবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত আসা-যাওয়া করতে পারে। এমনকি আশপাশে জেলা গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল থেকে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। আর মেট্রোরেল স্টেশন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব সন্নিকটে হওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয় না অভিভাবককে।

শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন:

বর্তমানে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ১৪টি বিভাগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার কাজেও ব্যাপক জোর দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব পলিসি রিসার্স স্থাপন করেছে। শুরু থেকেই মানসম্পন্ন শিক্ষাকে সামনে রেখেই এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার অভ্যন্তরীণ গুণগতমান উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সমৃদ্ধ ও আধুনিক লাইব্রেরি:

শুরু থেকেই এই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার সেবা দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে আসছে। সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে গ্রন্থাগার। দৈনিক সংবাদপত্র ও রেফারেন্স বই পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য গ্রন্থাগারে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ২৫টি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় নিয়মিত। গ্রন্থাগারে রয়েছে লক্ষাধিক বই এবং জার্নাল-ম্যাগাজিন আছে প্রায় ১০ হাজার। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের সহায়ক সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে গবেষণা প্রতিবেদন, ই-রিসোর্সের বিশাল সম্ভার, বিশ্বকোষ, অভিধান, হ্যান্ডবুক, ম্যানুয়েল ও এনজিও প্রকাশনা। ব্যবহারকারীরা ই-বুক, ই-জার্নাল ও ই-ম্যাগাজিন পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারেন। গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগসহ কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ। গ্রুপ স্ট্যাডি করার জন্য রয়েছে একাধিক বিশেষ কক্ষ। শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে না এসেও যেকোনো বইয়ের শিরোনাম, লেখক, কল নম্বর, কি-ওয়ার্ড ও প্রকাশক অনুযায়ী খুঁজতে পারেন ই-লাইব্রেরির সুবাদে। গ্রন্থাগারে শিক্ষকদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যবস্থাপনা।

গবেষণা ও প্রকাশনা:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিটি বিভাগই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফ্যাকাল্টিদের গবেষণা প্রবন্ধ দেশি ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি অনুষদ থেকে জার্নাল প্রকাশ করা হয় এবং গবেষণায় বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয় শিক্ষকদের। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিতভাবে জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে বিজনেস রিভিউ, আইন বিভাগ থেকে ল’ জার্নাল নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক অনুষদে রিসার্চ সেল গঠিত হয়েছে, যেখানে গবেষণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রজেক্ট পরিচালনা করা হয়। প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরামণ্ডলী বিদেশে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ে পড়ালেখা করতে যাচ্ছে। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গবেষণাকে উৎসাহিত করতে অভ্যন্তরীণ গবেষণা তহবিল গঠন, মানসম্মত গবেষণার জন্য ইনসেনটিভ প্রদান ও গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশে সহায়তা করে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি শুধু ডিগ্রি প্রদানের জন্যই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে না বরং ইউনিভার্সিটি প্রশাসন এবং শিক্ষকরা চেষ্টা করছেন মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে।

এমওইউ ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম:

শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও শিক্ষকদের জ্ঞানচর্চা আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যাবশ্যক। তাই উত্তরা ইউনিভার্সিটি যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ড শ্যায়ার ইউনিভার্সিটি ও অরচেস্টার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সহযোগিতার স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কর্তৃপক্ষ কানাডার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া উত্তরা ইউনিভার্সিটি সাম্প্রতিককালে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, আসাম ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছরই উত্তরা ইউনিভার্সিটি বিজনেস কনফারেন্সের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে যেখানে আমেরিকা, জাপান ও ভারতসহ দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে রয়েছে এমওইউ ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। যার ফলে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ।

সম্মাননা ও সাফল্য:

মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার স্বীকৃতি হিসেবে এ ইউনিভার্সিটি সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘দা বিজ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ (হংকং), এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, ২০১২, (দিল্লি), এশিয়াস বেস্ট বিজনেস অ্যাওয়ার্ড, সিঙ্গাপুর, ২০১৩, এশিয়ান সিইএফ বিজনেস স্কুল অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ (মুম্বাই), ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ ও ২০১৫ (আইন বিভাগ) অন্যতম।

সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশে ক্লাব এবং ফোরাম:

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও বাজার উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউইউতে ১২টি ক্লাব ও ১৪টি বিভাগের প্রায় ১৪টি বিভাগীয় ফোরাম রয়েছে। এসব ক্লাব ও ফোরাম বছরজুড়েই জাতীয়পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এ ছাড়া পিঠা উৎসব, বসন্তবরণ, চৈত্রসংক্রান্তি, শিক্ষামেলা ও পাঠচক্রসহ জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো বিশেষভাবে পালিত হয় এখানে। উচ্চশিক্ষার নিরন্তন পরিবেশ থাকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে। অরাজনৈতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় নেই কোনো দ্বন্দ্ব, নেই ক্লাস বন্ধ হওয়ার চিন্তা, নেই সেশন জটের ভয়।

শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ:

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে প্রতি বছর তিনবার অর্থাৎ স্প্রিং, ফল ও সামার সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপ।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী, নারী, জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়, জুলাই-বিপ্লবে আহত ও নিহতদের নিকটাত্মীয়দের জন্য রয়েছে বিশেষ স্কলারশিপ।

দক্ষ মানবসম্পদ ও গ্র্যাজুয়েটদের সফলতা:

সুযোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। দেশের অন্যতম এই বেসরকারি বিদ্যাপীঠটি শিক্ষা, গবেষণা ও বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি অর্জনের সুযোগই দিচ্ছে না, বরং তাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় উপযুক্ত করে তুলছে। ফলে এখানে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডার, জুডিশিয়াল সার্ভিস, আইন পেশা, ব্যাংক খাত, রপ্তানিমুখী শিল্প, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, এনজিও এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার গড়তে পারছেন। পাশাপাশি, টেক্সটাইল ও ইলেকট্রনিক শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, সফটওয়্যার ফার্ম, ই-কমার্স ও স্টার্টআপ জগতে তারা দক্ষতার সঙ্গে অবদান রাখছেন। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতেও রয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের গৌরবজনক উপস্থিতি। অনেকে আবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নিজস্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ গড়ে তুলে আত্মনির্ভরশীল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। শিক্ষকতা পেশায়ও তারা অবদান রাখছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বৈচিত্র্যময় কর্মসংস্থান ও পেশাগত সাফল্যই প্রমাণ করে উত্তরা ইউনিভার্সিটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়- এটি একটি দক্ষ মানবসম্পদ নির্মাণের কারখানা।

উচ্চপর্যায়ে কৃতিত্ব:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগের ছাত্ররা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে অংশগ্রহণ করে সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় একাধিকবার প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কৃতী ছাত্রী মাহফুজা খাতুন শীলা জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা ২০১৬-তে জোড়া স্বর্ণপদক বিজয়ী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেছেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিনিতা সুপ্রিয়া মিজান ত্রপী ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬-তে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছেন। ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান শরীফ তেল ও গ্যাসবিহীন একটি মোটরযান উদ্ভাবন করেছেন, যা সোলার এনার্জিতে মাত্র ১০ টাকা খরচে সারা দিন চালানো যায়। প্রায় সব অনুষদ এবং বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী নানা সৃজনশীল কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে শিক্ষার পরিবেশকে এক আনন্দঘন পরিবেশে পৌঁছে দিয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি সুদক্ষ প্রশাসন এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা।

স্বতন্ত্র ক্যাফে ও উন্নতমানের ক্যান্টিন:

শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র ক্যাফে ও উন্নতমানের ক্যান্টিন। সকাল-সন্ধ্যা সুস্বাদু খাবার মেলে সহজেই। ক্যাফেটোরিয়াটি শিক্ষার্থীদের প্রিয় আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে সকালের নাশতা থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার এবং ক্লাসের ফাঁকে চা-কফিতে সতেজতা খুঁজে নেয়। উন্নতমানের খাবার, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও স্বল্পমূল্যের কারণে ক্যাফেটোরিয়াটি শিক্ষার্থীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আড্ডা, পাঠচর্চা কিংবা হালকা বিশ্রাম- সব কিছুতেই ক্যাফেটোরিয়ার ভূমিকা অনন্য।

বক্তব্য

মো. আদনান রহমান, পিএইচডি

অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, স্কুল অব বিজনেস

ডিরেক্টর, ব্র্যান্ড, কমিউনিকেশন অ্যান্ড পিআর

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক উচ্চশিক্ষা পরিবেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ড ইমেজ তার সামগ্রিক সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখে। সেই ভাবনাকে সামনে রেখে উত্তরা ইউনিভার্সিটি চালু করেছে নতুন মিডিয়া ক্যাম্পেইন ও আধুনিক প্রচারণা কৌশল। শুধু পাঠ্যক্রম নয়, আজকের শিক্ষার্থীরা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ, পরিবেশ, অ্যালামনাই সাফল্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতা। এসবই একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ডের উপাদান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য হলো বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের গল্প তুলে ধরা। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন আমাদের বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গল্প থেকে অনুপ্রেরণা পায়। এভাবেই আমরা বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মানবিক সংযোগ তৈরি করতে পারব। আমরা ইউটিউব, ফেসবুক এবং লিংকডইন-এর মতো প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়। বিশেষ করে ভিডিও কনটেন্ট এবং ইন্টারেক্টিভ পোস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ছে।

উত্তরা ইউনিভার্সিটি ভবিষ্যতে আরও ডেটাচালিত মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির দিকে এগোচ্ছে। আমরা এআই ও অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের চাহিদা বুঝে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের দৃশ্যমানতা বাড়াতে কাজ করছি। সঠিক ব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেবল শিক্ষার্থী আকর্ষণই করে না বরং সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তাও পৌঁছে দিতে পারে।

ড. শাহ আহমেদ

অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ

ডিরেক্টর, অফিস অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স

উত্তরা ইউনিভার্সিটি

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বমানের পড়ালেখার জন্য আমরা বিশ্বমানের সিলেবাস তৈরি করেছি। ইউজিসির নিয়ম মেনে আমাদের দেশের সেরা ইউনিভার্সিটির সিলেবাস ও বিশ্বের টপ ইউনিভার্সিটির সিলেবাসকে সমন্বয় করে এমন একটা উন্নতমানের সিলেবাস তৈরি করেছি যাতে আমাদের ছাত্ররা এই সিলেবাসের ভিত্তিতে দেশে ও বিদেশে চাকরি পেতে পারে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলগুলো গুরুত্বসহকারে শেখানো হয়। এতে চাকরির বাজারে অন্যদের থেকে তারা বেশি এগিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় যে শিক্ষাসেবা প্রদান করে থাকে, সে তুলনায় ছাত্রদের শিক্ষা ব্যয় অত্যন্ত কমই মনে হয়। প্রচুর ল্যাব আছে, লাইব্রেরিতে হাজার হাজার বই, কো-কারিকুলার কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক মানের ক্লাসরুম, লজিস্টিক্স সাপোর্ট, ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়াসহ সব সুবিধা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। আমাদের উত্তরা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথমসারির ইউনিভার্সিটির মধ্যে অন্যতম।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট গবেষণা ফান্ড আছে। সে ফান্ড নিয়ে শিক্ষকরা বিভিন্ন ফিল্ডে রিসার্স করেন। নতুন নতুন নলেজ, নতুন নতুন থিওরি আবিষ্কার করেন। তবে ফ্যাকাল্টিকে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার পরে প্রজেক্ট এক্সেপ্ট হওয়ার পরে সেই ফান্ডটা দিয়ে থাকে। এক কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে রিসার্স ফান্ড পেতে হয়।

শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় অদ্বিতীয়। এ ইউনিভার্সিটির চারদিক প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা, শহরের কোলাহল মুক্ত, নির্ভেজাল পরিবেশে সুন্দর অবকাঠামোতে গড়ে উঠেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। ঢাকা ও এর আশপাশে জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সেবা চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়:

কুয়েটে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ পেলেন হযরত আলী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ মে, ২০২৫ ১৭:৩৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলী।

আজ ‎বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়। কুয়েটে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য হযরত আলী উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

ওই বহিষ্কারের প্রতিবাদে কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তাঁরা কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও সহউপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


এসএসসিতে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে-সব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন কিন্তু প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত তাদের তথ্য গুগল ফরমে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা সব অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিদিন কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী (ফরম পূরণকৃত) অনুপস্থিত থাকছে যা বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এমন অবস্থায় আপনার প্রতিষ্ঠানের যে সব পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন কিছু এক বা একাধিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না বা প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত আছে, তাদের সবার তথ্য গুগল ফরমের মাধ্যমে (লিংক সংযুক্ত) আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রত্যেক অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক-পৃথক ছকে তথ্য পাঠাতে করতে হবে। যতজন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর তথ্য পাঠাতে করবেন ততবার লিংকে ক্লিক করে পৃথক-পৃথক ফরমে তথ্য পাঠাতে হবে। একজন পরীক্ষার্থীর জন্য একাধিক ছক-ফরম পূরণ করা যাবে না। অনুপস্থিতির কারণ জানার জন্য পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের (বাবা/মা/পরিবারের অন্য কোন সদস্য/আইনত অভিভাবক) সঙ্গে সশরীরে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

কোন-কোন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চিঠিতে বিষয়টি অতীব জরুরি বলে জানানো হয়। গুগল ফরমের লিংক: https://forms.gle/47kW2ZVKzCX92Lxz8.


কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

৬ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) ৬ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার পর কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক ও রেল অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন সারাদেশের কারিগরি শিক্ষার্থীরা। এতে জনদূর্ভোগের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।

এরপর সোমবার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনের একদল প্রতিনিধি। এ সময় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র প্রতিনিধিদের ০৬ দফা দাবীর মধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (টিএমইডি) আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব।

ইতোমধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে এ বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, আইইবি, আইডিইবি এবং ছাত্র প্রতিনিধিসহ ০৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী দাবীগুলো পূরণে এ কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। সেসব সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে এসব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ঘোষণা দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের কর্মসূচী প্রত্যাহারের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা দূর হয়ে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচিব।


৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ৮-১৯ মে অনুষ্ঠেয় ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী প্রবেশ করতে পারবে না।

আজ রোববার বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পরীক্ষার হলে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, সায়েন্টিফিক বা প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটরসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের অনুরূপ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সকল প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে এবং এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবে না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পরীক্ষার আগে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো প্রার্থীর কাছে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গৃহীতব্য সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোনো অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন, সে ধারায় বর্ণিত দন্ডে দণ্ডিত হবেন।


banner close