ক্যাম্পাস স্থানান্তর আন্দোলনের ১৮২ দিন পরে অবশেষে ক্লাসে ফিরেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ক্লাসবর্জন কর্মসূচি স্থগিত করে বুধবার ক্লাসে ফিরে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ ৬ মাস পর সেশনজটসহ, একাডেমিক নানা ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সবাই মিলে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘১৮২ দিন তথা ৬ মাসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গণে ফেরানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি চবি প্রশাসন। ইতিমধ্যে আমাদের সবাই একাডেমিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। নবীন শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা সশরীরে ক্লাসে ফিরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই ছয় মাসে আমাদের মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখিনি। ক্লাসে ফিরে গেলেও আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
গত বছরের ২ নভেম্বর ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাসবর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে সেই ২২ দফা দাবি মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। চলমান আন্দোলনের মধ্যেই গত ২ ফেব্রুয়ারি সংস্কারকাজের জন্য চারুকলা ক্যাম্পাস ও হোস্টেল এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর আরও দুই দফায় বাড়ানো হয় চারুকলা বন্ধের মেয়াদ। সর্বশেষ ২ মে খুলে দেয়া হয় চবি এই ইনস্টিটিউটটি।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে মঙ্গলবার।
প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2024 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল চলে আসবে।
এ ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd এবং www.eduboardresults.gov.bd -এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমেও রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এবারের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফল প্রকাশ করা হয় এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা রয়েছে।
এ পদ্ধতিতে একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ৩০ জুন। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তবে স্থগিত পরীক্ষা না নিতে আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে বাতিল করা হয় পরবর্তী পরীক্ষাগুলো।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে একসাথে অনলাইন, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়।
এবার পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির তৈরি করা ফলাফলের সারসংক্ষেপে দেখা যায়, গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসেবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবার ৯ হাজার ১৯৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
মাঝপথে বাতিল হওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে। গত ৭ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
সে হিসেবে আজ বেলা ১১টায় স্ব-স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা এই ফল প্রকাশ করবেন। এর আগে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। অন্যান্য সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন।
তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। স্ব-স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরাই ফল প্রকাশ করবেন।
এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষায় সবাইকে পাস করাতে হবে, মর্মে কিছু শিক্ষার্থীর দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সবাইকে অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার আসন্ন ঘোষিতব্য ফলাফলের বিষয়ে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে শুনেছি যে, সবাইকে পাস করাতে হবে।’
এবারের এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো নিতে পারলেই ভালো হতো উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ে একটা অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন পূর্বেকার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এইচএসসির যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল; তার সঙ্গে এসএসসির সম্পর্কিত বিষয়ের ফলাফল সমন্বয়ে করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে।
এসএসসিতে যারা কোন বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণে পরবর্তী বছরে আবার পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে সে ফলাফলও নেয়া হয়েছে। কাজেই চূড়ান্ত ফলাফলে যারা উত্তীর্ণ হবে না, তারা বঞ্চিত হয়েছে বলা যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে এখন অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে। কাজেই এ ধরনের দাবির কোন যৌক্তিকতা দেখি না।’
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখন থেকে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় গত বুধবার একথা জানানো হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন প্রসঙ্গে বলা হয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ২টি পছন্দক্রম (২টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।
আরও বলা হয়, বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬+ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে।
যেমন- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
নীতিমালায় বলা হয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভর্তির তারিখ এবং ফি সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)। বুধবার প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৫’-এ দেখা গেছে, প্রথম ৮০০-এর তালিকায় নেই বাংলাদেশের একটি বিশ্বিবিদ্যালয়েরও নাম।
তবে ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের ৫ বিশ্ববিদ্যালয়।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর রয়েছে বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
গত বছরের র্যাঙ্কিংয়ে দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। গতবারের তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম থাকলেও এবার আছে ৮ম স্থানে। বৈশ্বিকভাবে ১০০১-১২০০তম অবস্থানে আছে দেশের এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও এ বছর সেরা ১০-এর মধ্যেও নেই। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১১তম এবং বৈশ্বিকভাবে ১০০১-১২০০তম অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বছর তালিকায় বাংলাদেশ থেকে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি সরাসরি র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে। বাকি সাতটি জায়গা পেয়েছে রিপোর্টার হিসেবে।
তালিকায় ১০০১-১২০০-এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, কুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১২০১-১৫০০-এর তালিকায় আছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
রিপোর্টার হিসেবে থাকা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার মান, শিক্ষায় গবেষণার পরিবেশ, গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান, ইন্ডাস্ট্রিতে সংযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্ভাবনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান বিবেচনায় নিয়ে টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়।
২০২৫ সালের সংস্করণে ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২০০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়ন করে তালিকা করা হয়েছে।
এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। টানা ৯ বছর ধরে শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি।
শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধায় আগামী ২১ অক্টোবর থেকে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুকের গত সোমবার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, ২১ তারিখ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুটি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব দুটি দোতলা বাস দিয়ে এই সার্ভিস চালু হবে।
১ নম্বর রুটের বাসটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে গুলিস্তান, নগর ভবন, দোয়েল চত্বর, সচিবালয় ও জিরো পয়েন্ট ঘুরে আবার ক্যাম্পারে ফিরে আসবে। ২ নম্বর রুটের বাসটি ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে দয়াগঞ্জ মোড়, জুরাইন, ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও জনপদ মোড় ঘুরে আবার দয়াগঞ্জ মোড় হয়ে ক্যাম্পাসে আসবে।
ধর্মীয় উৎসব ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে এ মাসে। শারদীয় দুর্গাপূজা, ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্কুল-কলেজে টানা ৯ দিন ছুটি থাকবে। মাঝে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে টানা ১১ দিন। বছরের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করা হয়। এতে এ ছুটির কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হবে ৯ অক্টোবর থেকে, যা চলবে ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। তবে পরবর্তী দুদিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে। আর এর মধ্যে আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি, ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহমের ছুটি ১৫ অক্টোবর, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি ১৬ অক্টোবর। এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে চলতি মাসে টানা ৩ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর, রোববার। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। দেশের সব সরকারি ও আধাসরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ ছুটি থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মাঝপথে বাতিল হওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ১১টায় ফল প্রকাশ করা হবে। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে নিজ নিজ বোর্ড থেকে। আগের মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফল প্রকাশিত হবে না। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই (বিষয় ম্যাপিং) প্রকাশ হবে পরীক্ষার ফল। এ বিষয়ে তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি সেগুলোর ফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সে বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফল প্রকাশ করা হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাল সনদধারী শিক্ষকদের বেতন স্থায়ীভাবে বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাতটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক বা কর্মচারীর জাল সনদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং উক্ত পত্রে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে এ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কতিপয় ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত (stop payment) করা হয়েছে। তালিকায় বর্ণিত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত উপরোক্ত সাতটি বিষয়ের মধ্যে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার দফাওয়ারি জবাব ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে এ দপ্তরে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাত দফা কার্যক্রমে বলা হয়েছে, জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা; অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ যারা অবসরে গেছেন, তাদের অবসরের সুবিধাপ্রাপ্তি বাতিল করা এবং যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন, তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করার কথা বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের অবসরের ভাতা বা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা এবং জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের ও জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কমিটি ঘোষণা করা হলেও আজ বুধবার দলটির ফেইসবুক পেজ থেকে বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করা হয়।
কমিটিতে থাকা ১৪ জনের নাম ঘোষণা করে ফেইসবুকে একটি তালিকা প্রকাশ করে দলটি। তালিকায় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আছেন একজন।
কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক পদে হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক পদে ইমরান হোসাইন, বায়তুলমাল সম্পাদক পদে আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে আছেন হামিদুর রশিদ জামিল।
এ ছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল আমিনের নাম রয়েছে।
কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটিটি জানুয়ারিতেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদের মুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হলো।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন- শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। সেখান থেকে চিহ্নিত ইসলাম ও দেশবিরোধী ব্যক্তিদের দ্রুত অপসারণ এবং দেশপ্রেমী মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক আলেম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কমপক্ষে দুজন বিশিষ্ট আলেমকে রাখার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এর আগে গত ২১ আগস্ট জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কোনো আলেম না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে তারা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়।
এ ছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর আহমাদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কি পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্ম বিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সাথে সুস্পষ্ট বেঈমানি।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ফরম পূরণের তারিখ জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
নির্বাচনী পরীক্ষার ফল আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এবং এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ফলাফল ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। ফরম পূরণের সময়সূচি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মাঝপথে বাতিল হওয়া চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে (সাবজেক্ট ম্যাপিং) ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাবজেক্ট ম্যাপিং হলো- একটি বিষয়ে পূর্বতন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড়। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় সব পরীক্ষার্থীকে পাস করানো হয়। সে বছর এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। পরের বছর কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে বাকি বিষয়ের ফল একইভাবে তৈরি করা হয়।
এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোতে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বরকে গড় করার প্রস্তাব দেয় আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এ বিষয়ে আজ বুধবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হবে।’
তবে ফল প্রকাশের দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
যদিও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, আগামী (অক্টোবর) মাসেই এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে। এ জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিল সাড়ে ১৪ লাখ। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকিগুলো হওয়ার আগেই স্থগিত করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামলে অন্তর্বর্তী সরকার পরীক্ষার সময় আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে এবং নম্বর কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গত ২০ আগস্ট কয়েকশ পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবি জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে সে দিনই সরকার তাদের দাবি মেনে নেয়।