প্রতিষ্ঠানের নাম : আকিজ গ্রুপ
পদের নাম : অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার
পদের সংখ্যা : ১
বয়সসীমা : ৩৫-৪৫ বছর
চাকরির ধরণ : স্থায়ী
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে
যোগ্যতা : ১০-১৫ বছর
আবেদনের শেষ দিন : ১২ মে, ২০২৩
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে -
ঢাকাস্থ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট শাখার সিনিয়র বিশেষজ্ঞ মি. ইচিরো আদাচির নেতৃত্বে ৮-সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন মি. হিরোনোরি নিশিকাওয়া, অধ্যাপক ড. কোজো ওয়াতানাবে, মিস মাকিকো ফিজিতা, মি. তোশিয়া সাতো, ড. মাসাহিরো টোকুমুরা, ড. বিজন কুমার মিত্র এবং ড. সুই কানাজাওয়া।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. ফাতিমা আক্তার এবং মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা জাইকা এবং জেএসটি’র অর্থায়নে ‘Implementing Water Quality Monitoring and Purification Technologies to Mitigate Health Risks for Antimicrobial Resistances (AMR) in the Dhaka Metropolitan Area’ শীর্ষক একটি যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ব্যাপারে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে প্রধান গবেষক (Principal Investigator) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই প্রকল্প গ্রহণের জন্য জাইকা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাইকার সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তিনি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও প্রশাসন কালক্ষেপণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ডাকসুর পরাজিত ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচনে নানারকম জালিয়াতি ঘটেছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় ছাত্রদল প্যানেলের আরো কয়েকজন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আবিদ বলেন, নির্বাচনে ভোটার চিহ্নিত করার জন্য যে মারকার পেন ব্যবহার করা হয় তা অস্থায়ী হওয়ায় একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছে ছাত্রদল। নির্বাচনের ব্যালট পেপার কোন প্রেস থেকে ছাপা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। এ নিয়ে সব অভিযোগ স্পষ্ট। এটাকে আড়াল করার সুযোগ নেই।
নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর ছিল না বলেও অভিযোগ তার।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই ছাত্রনেতা বলেন, আচরণবিধি সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় পোলিং অফিসাররা সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। পোলিং অফিসারদের দ্বারা বারবার মবের শিকার হয়েছে ছাত্রদলের প্রার্থীরা।
বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডের সহায়তায় একাধিক বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিয়েছে কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রদলের এই নেতা।
আবিদুল বলেন, পূর্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্রদল নতুন সংস্কৃতিতে এসেছে। নির্বাচনের দিন থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত অসামঞ্জস্যতা থাকলেও ছাত্রদল প্যানেল কোনো মিছিল-মিটিং কর্মসূচি করেনি। নির্বাচনে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতায় ফিরে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ তদন্ত করবে বলেও আশা করেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি) শুরু হয়েছে। পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাস পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে পড়েছে, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। প্রশাসন ভবনের সামনে ও বুদ্ধিজীবী চত্বরে বসে সময় কাটাচ্ছেন কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝুলছে।
ক্যাম্পাসের বাস চললেও শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি। খাবার দোকানগুলোতে আসন ফাঁকা, বেশিরভাগ দোকান বন্ধ।
গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে সভা শেষে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম। অফিসার সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন মার্কেট, আমতলা, টুকিটাকি চত্বরসহ জনবহুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই। একজন দোকানি নূর উদ্দীন বলেন, ‘এই সময়ে শিক্ষার্থীরা খাবার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন, কিন্তু আজ হাতেগোনা কয়েকজন এসেছেন।’
শিক্ষার্থী রাজু ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ক্যাম্পাসে অনেক ঘটনা ঘটেছে। কালকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হলো। মনে হচ্ছে না যে শীঘ্রই তা শুরু হবে। রাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ক্যাম্পাসে ছিলাম, এখন মনে হয় না যে নির্বাচন হবে!’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রাকসু নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ক্যাম্পাসে। প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। এর মধ্যে সে দিন সন্ধ্যায় বাতিল হয়ে যাওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পর থেকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল রোববার শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাঞ্ছিতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে এক দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে। আজ থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরতদের সন্তানদের ভর্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। গতকাল রোববার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবের বাসায় এ বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আজ সোমবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভা শেষে বিকেল ৫টায় রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ সাংবাদিকদের জানান, সিন্ডিকেট প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। এছাড়া শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তও হবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, শনিবার প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিতের যে ঘোষণা হয়েছে, সে বিষয়টি সিন্ডিকেটকে জানানো হয়েছে। সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় আজ থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আমরা শুরু করছি না। সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল একজন উপউপাচার্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সিন্ডিকেট নিন্দা জানিয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশা প্রকাশ করেছেন, রাকসু নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং এর জন্য সব পক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নানাভাবে খবর পাচ্ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের গোলমাল লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অপচেষ্টার ব্যাপারে আমরা অবগত ছিলাম। এ ব্যাপারে শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি করেছি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাকসু নির্বাচন যথাসময়েই হবে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রাকসু নির্বাচন। আশা করছি যথাসময়ে হবে। এখন পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তারা আজ একটি কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু রাকসুর কার্যক্রম এর আওতামুক্ত ছিল। রাকসুর ব্যাপারে সিন্ডিকেট থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। রাকসু যেন যথাসময়ে হয়, সেজন্য সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
রাবিতে আগে কর্মরতদের সন্তানদের জন্য ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি উপাচার্য এটি বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর তারা দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর জরুরি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামে।
শনিবার বিকেলে উপউপাচার্য মাঈন উদ্দিনসহ তিন কর্মকর্তা জুবেরী ভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। পরে উপাচার্য মধ্যরাতে ঘোষণা দেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি আপাতত স্থগিত।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাতেই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা না দেওয়ায় তারা কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় রাকসু নির্বাচন এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে।
রাবি অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে না দেওয়ায় আমরা হতাশ। আজ থেকে আমরা কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) আগামী অক্টোবর মাসে নিজস্ব খেলার মাঠে আয়োজন করতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫। টুর্নামেন্টে রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি. পর্যন্ত। আগামী ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে জমকালো আয়োজনে আসন্ন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হবে। দুই সপ্তাহব্যাপী টানটান উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতার পর ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গ্র্যান্ড ফাইনালের মধ্য দিয়ে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্ব, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ধাপে। বিজয়ী দল পাবে ১,০০,০০০ টাকা এবং রানার্স-আপ দল পাবে ৫০,০০০ টাকা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে ফুটবল হবে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং তরুণদের প্রতিভা বিকাশ, দলগত চেতনা ও খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবের প্রতীক। টুর্নামেন্টকে সফল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাব দায়িত্ব পালন করবে ভলান্টিয়ার হিসেবে।
আয়োজকরা আরও জানান, আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর মাধ্যমে তরুণদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা, পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করাই প্রধান লক্ষ্য।
শিক্ষায় উৎকর্ষ, উদ্ভাবন ও কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউআইটিএস বরাবরের মতোই শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম অঙ্গীকার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পূণর্বহালের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দিনভর অনশন, ধস্তাধস্তি আর উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখার পর মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা একযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জুবেরী ভবনে আসেন। পরে সেখান থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়েছে। রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য নিজ মুখে এসে তাদের সামনে বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা আর ভিক্ষা, একসাথে চলে না’, ‘অন টু থ্রি ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নিন, পোষ্য কোটা বাদ দিন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্রভা বিনতে রফিক বলেন, ‘আমরা ১৪ জুলাইয়ের মতোই আজ আবার রাজপথে নেমেছি। পোষ্য কোটার চূড়ান্ত বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।’
দিনভর উত্তেজনা ও হাতাহাতি
এর আগে দুপুর আড়াইটা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন এবং উপ-উপাচার্যের গাড়িতে টাকা ছুড়ে মেরে প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভকারীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাইন উদ্দিনের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিলে তিনি ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে তিনি প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে নিয়ে জুবেরী ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেন। এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন। বিকেল সোয়া ৪টা থেকে উপ-উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে জুবেরী ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব মুঠোফোনে বলেন, ‘আগে আমি আমার প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার এবং প্রক্টরকে ফেরত চাই, তারপরই আলোচনায় বসব। আমরা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে জিম্মি করে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করেছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন হবে কিনা, তা শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই আন্তরিক।’
ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ফোরাম, ফ্রান্স (BSF) ২০২৫–২৬ মেয়াদের জন্য তাদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে। ফ্রান্সের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ও এলামনাই শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি আগামী এক বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, সামাজিক ও পেশাগত উন্নয়নে কাজ করবে।
নেতৃত্বে নতুন মুখ:
ঘোষিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল আলম সবুজ। সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন নূর জাহান শরীফা পূর্ণতা এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন রাসেল।
অন্যান্য পদে মনোনীতরা হলেন: মুখপাত্র, চৌধুরী আল ফারাবী, প্রধান সমন্বয়কারী, ঢালিয়া নিশাত, কোষাধ্যক্ষ, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহ মোস্তফা তাশফিন, প্রশাসক, মিজানুর রহমান,পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক, শামীম বিন শহীদ,তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ সম্পাদক,শাকিল চৌধুরী, ইভেন্ট ও লজিস্টিকস সম্পাদক, সেলিম হোসেন, আউটরিচ অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সম্পাদক, ইমরান হোসেন,শিক্ষা ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক, ওয়ালিদ ইসলাম, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক, সাদমান তামজিদ হোসেন,উপ-ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক, রাশাদুল ইসলাম, সদস্যপদ বিষয়ক সম্পাদক, রিহান তাহমিদ রায়হান,কমিউনিটি এনগেজমেন্ট সম্পাদক,ফারজানা রশনি অনন্যা।
নির্বাহী সদস্যদের পরিচিতি
এই মেয়াদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন: মুইন সরকার, ওবায়দুল হক শাহিন, ইভা অধিকারী, হাসনাত বিন সাঈদ, মো. তানভীর আহমেদ এবং আজহারুল ইসলাম ইমন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএসএফের পরিচিতি:
২০০০ সালের পর থেকে গঠিত হওয়া বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ফোরাম, ফ্রান্স (BSF) প্রবাসে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং ফরাসি সমাজে একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ফ্রান্সজুড়ে গণ-আন্দোলনের সময় বিএসএফ-এর আয়োজনে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে বীর হাকিম ব্রিজ, রিপাবলিক স্কয়ার, বাস্তিল এবং নেশন চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ছিল উল্লেখযোগ্য। ফ্রান্সের প্রখ্যাত গণমাধ্যম Libération ও Ouest-France-এ এই প্রতিবাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা সংগঠনটির আন্তর্জাতিক পরিচিতিকে আরও জোরালো করে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:
নবনির্বাচিত কমিটি কয়েকটি প্রধান লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ শুরু করেছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া আউটরিচ, সাংস্কৃতিক ও প্রফেশনাল কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানো। ফ্রান্স ও ইউরোপজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমাদের লক্ষ্য শুধু শিক্ষার্থীদের সেবা নয়, বরং একটি সুসংহত বাংলাদেশি কমিউনিটি গড়ে তোলা, যারা একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
যুক্তরাজ্যের প্রথম যুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, যেটি ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য ৪,০০০ পাউন্ড বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে যার নাম "সাসেক্স বাংলাদেশ স্কলারশিপ"।
সাসেক্সে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর আবেদন ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্নাতকে ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০%। এটি প্রমাণ করে যে, যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিগ্রির প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
বাংলাদেশে তাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সম্প্রতি ঢাকার শেরাটন হোটেলে একটি গেট-টুগেদারের আয়োজন করে সাসেক্স, যেখানে ৪০ জনেরও বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে যেসব প্রাক্তনরা উপস্থিত ছিলো, তারা বর্তমানে দেশের জনপ্রশাসন, শিক্ষা ও শিল্প খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বাংলাদেশে সাসেক্সের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং নতুন শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার বিভিন্ন দিক, যেমন: বৃত্তি, গবেষণা ও পেশাগত পরামর্শ এসব বিষয় উঠে আসে।
সাসেক্স বিজনেস স্কুলের শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বিষয়ক সহযোগী ডিন ড. সি. রাশাদ শাবাব বলেন, "ঢাকায় আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তনদের একসাথে দেখতে পেরে আমি গর্বিত। অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরারের মতো নেতৃস্থানীয়দের আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। একই সাথে, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে আগ্রহী সম্ভাবনাময়ীদের দেখতে পাওয়াটা অনুপ্রেরণাদায়ক"।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সাসেক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী (১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর) অধ্যাপক সি. আর. আবরার তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, “সাসেক্স শুধু আমার পড়াশোনার পথই তৈরি করেনি, বরং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার এবং জনসেবার প্রতি আমার আজীবনের লক্ষ্যও তৈরি করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক, বৈচিত্র্য ও সামাজিক সক্রিয়তার পরিবেশ আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আজকের বাংলাদেশী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আমি সেই একই উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি।“
সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্ক এবং গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্য দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক সুযোগগুলোতে প্রবেশে সহায়তা করে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২ দিনব্যাপী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষ শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর ‘ফ্রেশার্স রিসিপশন-২৫’ নামে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রথমদিনে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং দ্বিতীয় দিনে দার্শনিক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার ফ্রেশার্স রিসিপশন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি ও অধ্যাপক ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, প্রথম দিনে (২০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ ও বিজ্ঞানভুক্ত তিন অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের এবং ২১ সেপ্টেম্বর থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, কলা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং সকল নবীনদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো. তানজীম উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় ফ্রেশার্স রিসিপশন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি জানান, ‘আমাদের আয়োজন সম্পন্ন, আমরা চমৎকার একটা অনুষ্ঠান উপহার দিব। ইতোমধ্যে ১ টি সেন্ট্রাল কমিটির অধীনে ৬ টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ১৪০তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে অনুষ্ঠিত। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট চেয়ারম্যান ও চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, চুয়েটের ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারভার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, ইনস্টিটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, অবসারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (টিএসসি) এবং ডিএমডি (বিটিবিএল) প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধর এবং মানবিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। এছাড়াও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মোঃ মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আয়নাল হক, ডিবিএল গ্রুপ এর পরিচালক প্রকৌশলী মেজর (অবঃ) মো. ফিরোজ খাননুন ফরাজী। উক্ত সিন্ডিকেট সভায় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস (BSPUA)-এর সভাপতি প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানিকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্ট (IPM) কর্তৃক মর্যাদাপূর্ণ আইপিএম এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল ঢাকায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (UAP) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ৩য় আইপিএম এইচআর সামিট ২০২৫- অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা মিসেস ফরিদা আখতার প্রফেসর ড. সোবহানীর হাতে ক্রেস্ট ও অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য প্রফেসর ড. কুমরুল আহসান, আইপিএম-এর সভাপতি ড. মো. মুশাররফ হোসেন এবং আইপিএম-এর মহাসচিব শাকিল মিরাজ।
প্রফেসর ড. সোবহানীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফলাফল পেতে আগামীকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল বা দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রশিদুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভোট গণনা সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হবে। তাই কিছুটা সময় লাগবে। আশা করছি আগামীকাল সকাল কিংবা দুপুরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আল বেরুনী হলে ২১১ ভোটের বিপরীতে ১২৫ ভোট, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ৩৪১ ভোটের বিপরীতে ২১৬ ভোট, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ ভোটের বিপরীতে ৩১০ ভোট, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮০ ভোটের বিপরীতে ১৩৭ ভোট এবং শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৯ ভোটের বিপরীতে ২২৪ ভোট পড়েছে।
মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ ভোটের বিপরীতে ৩৮৪ ভোট, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ ভোটের বিপরীতে ২৪৭ ভোট, প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ ভোটের বিপরীতে ২৪৬ ভোট, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ ভোটের বিপরীতে ২৪৯ ভোট, ১০ নম্বর (ছাত্র) হলে ৫৪১ ভোটের বিপরীতে ৩৮১ ভোট এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫৬ ভোটের বিপরীতে ৪৭০ ভোট পড়েছে।
এছাড়া বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ ভোটের বিপরীতে ২৪৬ ভোট, ১৩ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৩২ ভোটের বিপরীতে ২৭৯ ভোট, ১৫ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৭১ ভোটের বিপরীতে ৩৩৮ ভোট, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ ভোটের বিপরীতে ২৬১ ভোট এবং রোকেয়া হলে ৯৫৫ ভোটের বিপরীতে ৬৮০ ভোট পড়েছে।
বিকেল ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে কেন্দ্রগুলো থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সেখানে আনা হয়। তবে তখন পর্যন্ত গণনা কার্যক্রম শুরু হয়নি।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর, পুরাতন প্রশাসনিক ভবন, বটতলা, প্রান্তিক গেট, ডেইরি গেট, ট্রান্সপোর্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় জানিয়েছে, সন্ধ্যায় ৭টায় ভোট গণনা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের ভোটকেন্দ্রের ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হয়। সিনেট হলেই ভোট গণনা শুরু হয় এবং সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি স্থানে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হয়। এখানেই ফল ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ সময় সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল এবং ২০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ছাত্রদল ছাড়া অন্য চারটি প্যানেল হলো- ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল। তারা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, পক্ষপাতমূলক আচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।
কারচুপির এবং শিবির সমর্থিত প্যানেলকে জেতাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ এনে বর্জন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ সময় তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করে বলেন, ‘তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তালিকায় ভোটারদের ছবি নেই, ২১নং হলে মব সৃষ্টি করা হয়েছে। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে।’
এই নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াত নেতার সরবরাহ করা ওএমআর মেশিন আমরা চাইনি। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা ব্যালটেই ভোট হচ্ছে। ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসন কেন শতকরা ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে। আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালটের শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা?’
কারচুপির অভিযোগ করে বৈশাখী বলেন, ‘মেয়েদের হলে একই ভোটার বারবার ভোট দিতে গেছেন। শিবিরপন্থি সাংবাদিকরা ছাত্রদলের প্রার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটি কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। তাই নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।’
তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করেন, ভোট দেয়ার সময় ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছিল, একটা ব্যালট পেপার ফ্লোরে পাওয়া গেছে। এসব কারণে এই হলে দুই ঘণ্টা নির্বাচন বন্ধ ছিল।
একটি হলে এই প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। আরও অভিযোগ করা হয়, তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ভোট বন্ধ ছিল। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো ব্যালটে ভোট হচ্ছে। সব হলে ছাত্রদলের প্যানেলের এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি।
ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকেই সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে এই প্যানেল।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বিজয় ব্যাহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের কথা জানান তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান।
স্মরণ এহসান বলেন, ‘এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। তারা শুরু থেকেই আমাদের আস্থা, ভরসা ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা নষ্ট করেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে।’
তাদের মতে, এই অনিয়মের শুরু হয়েছে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের আরেক ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা জোরপূর্বক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করার মধ্য দিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত দিনেও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অনিয়মের অভিযোগে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ‘সংশপ্তক পর্ষদ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা কারণগুলো লিখিত আকারে জানাচ্ছি।
সংশপ্তক পর্ষদের অভিযোগ, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট দেওয়ার জায়গায় আগে থেকে পূরণ করা ব্যালট পাওয়া গেছে। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ৪০০টি ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছে।
‘আমার ভোট আগেই হয়ে গেছে’
‘ভোট দিতে এসে দেখি, আমার ভোট আগেই হয়ে গেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আসা এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার শহীদ রফিক-জব্বার হলের ভোটকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘আমি ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে এসে দেখি, আমার ভোট আগেই অন্য কেউ দিয়ে গেছে। জীবনের প্রথম ভোট এভাবে নষ্ট হবে, আমি কোনোদিন ভাবিনি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হলের পোলিং অফিসার মো. জাকির হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রবিউলের ভোট অন্য কেউ ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে দিয়েছে। পরে রবিউল যখন তার আসল আইডি কার্ড নিয়ে ভোট দিতে আসে, তখন সেটি যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত হই। আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’
অব্যাহতি নিলেন বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক অব্যাহতি নিয়েছেন। তারা হলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এদের মধ্যে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয়ভাবে জাকসু নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বাকি দুই শিক্ষক হল পর্যায়ে ভোট মনিটরিং করছিলেন। তিনজনই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
শিবির-সমর্থিত ভিপি প্রার্থীর অভিযোগ
জাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অসংগতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট। প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার থেকে দেখতে পেয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনে প্রক্টর অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আরিফ উল্লাহ। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অন্যান্য প্যানেলের কিছু বিষয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনারের প্রস্তুতির ঘাটতি আছে উল্লেখ করে আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট রাখার জন্য আমরা গতকাল রাতে বলেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন গভীর রাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। পরে আজ সকালে যখন আমরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র আমাদের পোলিং এজেন্টদের পাঠিয়েছি, তখন সংশ্লিষ্ট হলের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা এ নিয়ে গড়িমসি করেন।’
বিভিন্ন হলে ছাত্রদল নিজেদের প্যানেলের সদস্যদের ভোট দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে অভিযোগ তুলে শিবির-সমর্থিত এই ভিপি প্রার্থী বলেন, বিভিন্ন হলে দল বেঁধে গিয়ে ছাত্রদল ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করছে। তারা জাহানারা ইমাম হলে ঢুকে গার্ডকে মারধর করেছে। একটি হলে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মব তৈরি করে ভোট বানচালের চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনার পথ সহজ করতে রাজধানীতে আয়োজিত হচ্ছে "টিসিএল গ্লোবাল এডুকেশন এক্সপো ২০২৫"। আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের সেবায় কাজ করা প্রতিষ্ঠান টিসিএল গ্লোবাল এই বিশেষ আয়োজনের উদ্যোক্তা।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার বনানীতে অবস্থিত হোটেল শেরাটনে এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ছাত্রছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও মালয়েশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি দেখা করতে পারবেন। তারা ছাত্রছাত্রীদের কোর্স, ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্কলারশিপ সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
এক্সপোতে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা ১০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার কোর্সে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন সহায়তা এবং ফ্রি ডুওলিঙ্গো টেস্ট ভাউচার পাবেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ছাত্রছাত্রীরা আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন যেখানে এমওআই গ্রহণযোগ্য।
এই আয়োজনে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে দ্রুত অফার লেটার পাওয়ার সুযোগ পাবেন এবং ১০০% স্কলারশিপের সুবিধাও রয়েছে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ কাউন্সেলররা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার গ্যাপ পূরণে বিশেষ পরামর্শ দেবেন।
সারা বিশ্বের ২৪টি অফিসের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৬০,০০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রীর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে টিসিএল গ্লোবাল।
প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি একটি আধুনিক মোবাইল অ্যাপও চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা কোর্স ও দেশ খুঁজে বের করতে পারবেন, কাগজপত্র আপলোড ও প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন এবং আবেদনের আপডেট পাবেন সাথে সাথে। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা কাউন্সেলরদের সাথে সরাসরি চ্যাট করার সুবিধাও পাবেন।
টিসিএল গ্লোবালের মহাপরিচালক এসএম সালাহউদ্দিন বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক শিক্ষা গ্রহণ হওয়া উচিত সহজ, দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত। এই এক্সপো ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। আমরা এটি এমনভাবে পরিকল্পনা করেছি যাতে সাধারণ বাধাগুলো সরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ছাত্রছাত্রীরা এখন চীনে কম খরচে এমবিবিএস পড়ার সুযোগও পাবেন, যা বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত।"
টিসিএল গ্লোবাল এডুকেশন এক্সপো ২০২৫-এ অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ ফ্রি। রেজিস্ট্রেশন লিংকঃ https://forms.office.com/r/ri7Lth7wGB