চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিজ্ঞান অনুষদসংলগ্ন কলোনি থেকে প্রায় ১২ ফুট লম্বা ২০ কেজি ওজনের একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদসংলগ্ন নির্জন পাহাড়ে সাপটিকে অবমুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষক রফিক ইসলাম সাপটিকে উদ্ধার করেন।
রফিক ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কলোনির বাসিন্দারা আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করি। এটি পাহাড় থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল। উদ্ধারে পর সাপটিকে নির্জন আরেকটি পাহাড়ে অবমুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’
রফিক আরও বলেন, সাপটি বার্মিজ পাইথন (Python bivittatus) বা অজগর সাপ। এটি প্রায় ১২ ফুট লম্বা হবে, ওজন ২০ কেজির বেশি হবে। অজগর সাপ অবিষধর সাপ। খাবারের সন্ধানে এরা মাঝেমধ্যে লোকালয়ে চলে আসে। মানুষ বিরক্ত না করলে এরা কোনো ক্ষতি করে না।
কানাডায় উচ্চশিক্ষায় আইইউবিএটির শিক্ষার্থীদের সুযোগ এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদানের কৌশলের ওপর বিশেষ এক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছে। গত রোববার ঢাকার উত্তরার নিজস্ব ক্যাম্পাসে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
আইইউবিএটির ইন্টারন্যাশনাল অফিসের আয়োজনে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব রেজিনার উপাচার্য ড. জেফ কেসেন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব। বিজ্ঞপ্তি
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ’ নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ারুল আবেদীনের সম্মানে নিয়মিত আয়োজন ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লেকচার সিরিজে সেমিনারটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. কারমেন জিটা লামাগনা।
পরে গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সাবেক পরিচালক এবং বাংলালিংকের উপদেষ্টা ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিআরএও) তৈমুর রহমান; জয়তুন বিজনেস কনসালট্যান্ট ও অঙ্কুর ডিজিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আফরান আলী এবং এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান। বিজ্ঞপ্তি
তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ তিন পদে মনোনীত তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন তিনজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য উপাচার্যরা এ দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে তার স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশও জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নতুন মনোয়ন পাওয়া তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান।
ইউজিসির চিঠিতে উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ২ বছরের জন্য আপনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের খণ্ডকালীন সদস্য মনোনীত হয়েছেন। কমিশনের পক্ষ থেকে এজন্য আপনাকে সাদর অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
এতে আরও বলা হয়, আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও সক্রিয় সহযোগিতা কমিশনকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
আগামী ৩ অক্টোবর এ তিন পদে মনোনীত তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারা হলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য মেজর জেনারেল মো মাহবুব-উল আলম ও রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
এ ব্যাপারে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, খণ্ডকালীন সদস্য পদে মনোনীত তিন উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর শেষ হচ্ছে। এরপর আগামী ৪ অক্টোবর থেকে নতুন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। তাদের মেয়াদ কার্যকর হবে ৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ২ বছর পর্যন্ত। মনোনীত উপাচার্যরা ইউজিসিকে পরামর্শ ও সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ উদ্ভিদবিজ্ঞান সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির সাধারণ সম্পাদক। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে তার ৮০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি একাধিক বইয়ের সহ-সম্পাদক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে (বিডিইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. ইসমাইল দ্বিতীয় মেয়াদে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম উপাচার্য হিসেবে তিনি নিয়োগ পেয়েছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি (এসইউ) পেল নতুন ট্রেজারার। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ একরামুল ইসলামকে এ পদে যোগদানের তারিখ থেকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩৩ (১) অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যার ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির হল রুমে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নবাগত ট্রেজারারকে বরণ করে নেয়া হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ, ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর শামীম আরা হাসান, সাবেক ট্রেজারার ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর মো. আল-আমিন মোল্লা, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ, রেজিস্ট্রার এস এম নূরুল হুদা এবং বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভাগের প্রধান, কো-অর্ডিনেটর ও ইউনিভার্সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ এবং কৃতী ছাত্রী সংবর্ধনা গতকাল রোববার কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সোনিয়া বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুলতানা বেগম এবং অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফুন নাহার। বিজ্ঞপ্তি
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) ফল-২০২৩-এর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান গত শনিবার বিকেলে ইউআইইউ খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
স্কুল অব বিজনেজ অ্যান্ড ইকোনমিকস, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্সেস এবং স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেসের সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্কুল অব বিজনেজ অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুসা এবং স্কুল অব সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিন প্রফেসর ড. হাসান সারোয়ার। অনুষ্ঠানে ইউআইইউর ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন ইউআইইউর মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. শেখ শফিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডা. মো. জুলফিকার রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নিয়মাবলি তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তি
নিয়মনীতি না মেনেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বেড়েই চলছে অনুমোদনহীন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিয়ম না থাকলেও’ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রকৌশল দপ্তরকে না জানিয়েই চলছে এসি ব্যবহারের মহোৎসব। পরিকল্পনা ছাড়াই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এসির ব্যবহারে বেড়েছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এতে অপচয় হচ্ছে বিদ্যুতেরও।
সরকারি নিয়মানুযায়ী, সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউট পরিচালক, দপ্তরপ্রধান ও এর সমমানের পদধারীদের অফিস কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। তবে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অফিস কক্ষ, শ্রেণিকক্ষ এমনকি বিভিন্ন দপ্তরেও এসি লাগানো হয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে লাগানো এসব এসির কারণে তৈরি হয়েছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার শঙ্কা। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন বিভাগের অফিস কক্ষে ও শ্রেণিকক্ষে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এসি লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের অফিস কক্ষ, সেমিনার কক্ষসহ অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষেও এসি লাগানো হয়েছে। এমনকি এসব বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষকের ব্যক্তিগত রুমেও এসি লাগানো হয়েছে।
এ ছাড়া গণিত বিভাগের অফিস কক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ, সেমিনার কক্ষ, শ্রেণিকক্ষেও এসি লাগানো হয়েছে। মনোবিজ্ঞান ও রসায়ন বিভাগের সেমিনার কক্ষসহ শ্রেণিকক্ষেও এসি লাগানো হয়েছে। এসব বিভাগের শ্রেণিকক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীরা না থাকার পরও এসি, লাইট, ফ্যান চালু থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া বিনা কারণে ছুটির দিন কিংবা অফ টাইমে শ্রেণিকক্ষ আর বাহ্যিক লাইট ও ফ্যান জ্বলতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শুধু নতুন একাডেমিক ভবনেই ১ হাজার টনের বেশি এসি রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নিয়মবহির্ভূতভাবে লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া গণিত ভবন, বিজ্ঞান ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন মিলিয়ে প্রায় ৪০০ টনের বেশি এসি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই একটি মাত্র সাবস্টেশন পুরো ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। সেটির কার্যক্ষমতা কমতে কমতে প্রায় ১২০০ কেভি হয়ে গিয়েছিল। যা কোনোভাবেই ভবনগুলো বৈদ্যুতিক লোড নিতে পারত না। এ জন্য নতুন একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের জন্য সাবস্টেশনটি ২০০০ কেভি ধারণক্ষমতার করা হয়েছে। তবুও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এসব এসি ব্যবহারে দৈনিক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় তার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনকৃত বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন। এতে কিছুদিন পরপরই বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিচ্ছে। বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ঝুঁকিপূর্ণ আংশিক ক্যাবল পরিবর্তন করা হলেও তাতে কোনো কাজে আসছে না।
এদিকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন লাইন ও সাবস্টেশনের সঙ্গে ডরমেটরির লাইনের তারের লুজ কানেকশনের জন্য তা ঝলসে গিয়ে পুরোপুরি আলাদা হয়ে যায়। লাইনের তার জোড়া দেয়ার কাজ করার জন্য পুরো ক্যাম্পাসেই তখন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও কয়েক মাস আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এর পরও চারবার বিদ্যুৎ সরবরাহের লোড নিতে না পেরে শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগে ও দপ্তরে ত্রুটিপূর্ণ ও ভাঙা এসি এবং এডজাস্ট ফ্যানের কারণেও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবারাহের ক্যাবলগুলো বেশ পুরোনো হয়ে যাওয়ায় সেগুলো থেকে নিয়মিত শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটছে। বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতে এই ক্যাবলে আগুন ধরে যেতে দেখা যায়। এতে তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়।
এদিকে নতুন একাডেমিক ভবনেই প্রায় ৫টি ত্রুটিপূর্ণ এসি ও ১০টির অধিক ভাঙা এডজাস্ট ফ্যান রয়েছে। এতে একদিকে বেড়েছে বিদ্যুৎ অপচয়ের পরিমাণ অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
শুধু বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা নয়, অনুমোদনহীন এসব এসি ব্যবহারে প্রতি মাসে বিশাল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিলও গচ্চা দিতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছে ১২ লাখ টাকা। অতিরিক্ত মাত্রায় অনুমোদনহীন এসি ব্যবহারের ফলে এর পরের তিন মাসে তা প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে। জুন, জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাসে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ২০২২ সালের ৪ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত এসি, লাইট, ফ্যান না চালানোর নির্দেশ দিলেও তা মানছেন না কেউ-ই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বেশির ভাগ তারই অনেক পুরোনো। কোনো ভবনে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি হয়ে গেলে সেসব তার লোড নিতে পারে না। তখন দুর্ঘটনা ঘটে। প্রকৌশল দপ্তরকে না জানিয়েই বিভাগগুলো এসি লাগিয়েছে। যার ফলে পুরোনো তারগুলো সেসব ভবনের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর লোড নিতে পারে না। তখন শর্ট সার্কিটসহ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা বারবার বলার পরও এখনো সমস্যা হলে আমাদের জানাচ্ছে এবং আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
জাতিসংঘে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম।
জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
গত সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তার সম্মতির ভিত্তিতে ডিএনসিসি মেয়রকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে চূড়ান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই উপদেষ্টা পরিষদে মোট সদস্য ১৫ জন। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে দুই জন সদস্য। মেয়র আতিক ছাড়া অন্যজন হলেন ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের মেয়র অ্যাবি বিনায়। এ খবরে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আন্তঃসরকার ও জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের সম্পৃক্ততা জোরদার করার ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা পরিষদের সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং আধুনিক শহর গড়তে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে এই উপদেষ্টা পরিষদ করণীয় বিষয় নির্দিষ্টকরণে ভূমিকা রাখবে।
বর্তমান সময়ে পুঁজির অভাবে উদ্যোক্তা হওয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়া যে কী কষ্ট, পুঁজি সংগ্রহ করা কী কঠিন! আমি এই জেনারেশনের অংশ হিসেবে জানি, ব্যাংক আমাদের পাঁচ লাখ টাকাও লোন দেয় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এখন আমি যদি সারাদিন বলি আপনাকে উদ্যোক্ত হন। আপনাকে কে টাকা দেবে? যার রেঞ্জ রোভার গাড়ি আছে তাকে মার্সিডিজ কেনার জন্য ব্যাংক টাকা দেবে। ব্যাংক আমাদের কোনো টাকা পয়সা দেবে না।’
শনিবার চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান বলেন, ‘আমাকে ১০ লাখ টাকার ক্রেডিট কার্ডও দেয় নাই ব্র্যাক ব্যাংক। তারপর যখন সরকারের মন্ত্রী হয়েছি ২০ লাখ টাকা ক্রেডিট কার্ডের জন্য সে রাজি হয়েছে। কারণ সে জানে আমি যদি ঋণখেলাপি হই, নির্বাচন করতে পারব না। তখন সে বিনা সিকিউরিটিতে ক্রেডিট কার্ড দিতে আসছে। বাস্তবতা হচ্ছে এটা- আমার জনগণের যে সঞ্চিত অর্থ সেটা বিনিয়োগের নামে গুটি কয়েক ব্যাবসায়ীর হাতে যাচ্ছে। আমার সাধারণ উদ্যোক্তারা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। এখন আমি পাঁচ লাখ টাকাই পেলাম না, পাঁচ কোটি টাকার ব্যবসা করব কোথা থেকে? তাই আমি বলব সেই পুঁজির দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, আমরা যদি দক্ষ হই আত্মনির্ভরতা সম্ভব।’
এসময় ইউরোপ-আমেরিকার ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মত দেশগুলোতে লুটপাট করে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপমন্ত্রী। তার দাবি, ‘এসব দেশ জ্ঞান বিতরণ করলেও নিজেদের অপকর্মের কথা কখনোই বলে না।’
মহিবুল হাসান বলেন, ‘উচ্চশিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করার একটা আন্তর্জাতিক প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অর্থ খরচ করে সেই উচ্চশিক্ষা নিতে হবে। পরবর্তীতে বিনিয়োগ করা অর্থ নিয়ে নেবে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউক্রেন, আমেরিকা এই ধরনের ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলো নিজেরা একটা র্যাংক টেবিল বানিয়েছে নিজেদের কিছু পত্রিকাকে দিয়ে। সেই র্যাংকিং তারাই করে, সেখানে ইংরেজি ভাষার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুব কম স্থান দেয়। সেখানে পড়তে গেলে আমাদের শত কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যায়। তারা মনে করে তারা একটা উচ্চশিক্ষার বাজার সৃষ্টি করেছে।’
‘আমাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আমাদের উচ্চশিক্ষা দেয়। কিন্তু আমাদের সন্তানরা, আমরা যেন শিক্ষিত হতে পারি, দক্ষ হতে পারি সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে একটা সহজ ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছেন, যেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য এগিয়ে আসতে পারেন।’
শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনের দিকে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাখ লাখ শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে শুধু আমার দেশের অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত করার কথা নয়, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তৈরি করার কথা। গ্লোবাল সিটিজেন হওয়ার জন্য মানসিকতা থাকতে হবে। আমার দৃষ্টিসীমা সেভাবে নির্ধারণ করতে হবে। এই ভূখণ্ডে আমি নিজেকে আবদ্ধ রাখব না, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে সারাবিশ্ব আমার কর্মক্ষেত্র হবে- সেখানে আমি যেন কাজ করতে পারি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা যথেষ্ট নয়। যথেষ্ট নয় এজন্য যে আমরা যখন কর্মক্ষেত্রে যাই, আমাদের ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কাজ করতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে আমরা যখন যাই, সেক্ষেত্রে আমরা যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমরা নিয়েছি তা যথেষ্ট নয় এবং সেটা কর্মজীবনের জন্য যথেষ্ট উপযোগীও নয়। সেটার প্রয়োগিক মূল্য খুব কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতে মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে বেশি লোক আরবি ভাষায় কথা বলে। আমরা আছি শুধু ক্বেরাত প্রতিযোগিতা নিয়ে। আমি নিজেও ছোটবেলায় ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। মাখরাজ শিখেছি। সুন্দরভাবে তেলওয়াত করতে পারতাম। দুই শব্দ আরবিও আমরা কথা বলতে পারি না। এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্বলতা। এদেশের এত মানুষ আমরা আরবি শিখেছি, আমরা জের, যবর, নোকতাসহ তেলওয়াত করতে শিখেছি, কিন্তু সেটা যদি ভাষা হিসেবে আমরা শিখতে পারতাম, মধ্যপ্রাচ্যে আমার সন্তানরাই কিন্তু রাজত্ব করত। আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করেছি। ফিলিপাইনে ৯৯ শতাংশ খ্রিস্টান, তারা আরবি ভাষাটাকে ভাষা হিসেবে শিখেছে। ভারতে আরবি ভাষাটাকে ভাষা হিসেবে শিখেছে। পবিত্রতার খাতিরে আমরা শুধু তেলওয়াত করতে শিখেছি। এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিন। জাতিসংঘে প্রচুর চাকরি আছে, যেখানে আমাদের সন্তানরা চাকরি করতে পারতো যদি আরবি ভাষাটা সহজে পারত।’
এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চার হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভালো ফলাফলের জন্য বিভিন্ন বিভাগের পাঁচজনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, চারজনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ছয়জনকে চেয়ারম্যান গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।
নতুন সনদ পাওয়াদের মধ্যে বিবিএর দুই হাজার ৭৬ জন, এমবিএর ৮৩৭ জন, বি.এস.সি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৩৫৫ জন, বি.ফার্ম অনার্সের ২৩৩ জন, বি.এ. অনার্স ইন ইংলিশের ২৯৩ জন, ব্যাচেলর অব ল প্রোগ্রামের ৬৮৯ জন এবং এম.এ. ইন ইংলিশ প্রোগ্রামের ১০৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্ট্যানফোর্ডে স্টিভ জবস স্নাতকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, অন্যকে নকল করতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত এই জীবন নষ্ট করো না। তোমার মনে যা আসে তাই করবে। তোমার বিবেক যা বলবে তাই করবে। তোমার মস্তিষ্ক যা চিন্তা করে তাই করবে। আজকের স্নাতকদের প্রতিও আমার একই আহ্বান।’
সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদ এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসিফ। সমাবর্তনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিম্নমানের ওয়েবসাইটে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এ ওয়েবসাইট থেকে তেমন কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এদিকে, বাজেট স্বল্পতার কারণে এটার ডেভেলপ করতে পারছেন না বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি কর্তৃপক্ষ।
ওয়েবসাইট থেকে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় তেমন কোনো তথ্য সহায়তা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যের একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশবোর্ড। যদিও সাইটটিতে নোটিশ বোর্ড নামে একটি ট্যাব থাকলেও এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নোটিশ আপলোড করায় এতে প্রয়োজনীয় নোটিশটি খুঁজতে বেগ পেতে হয় ব্যবহারকারীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট চেক করে দেখা যায় ওয়েবসাইটটিতে লাইব্রেরি, বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, মেডিকেল অফিস, ছাত্র পরামর্শ অফিস, হল, টিএসসি প্রভৃতির জন্য নেই কোনো আলাদা সাবডোমেইন৷ ওয়েবসাইটটি একটি ডোমেইনের ওপরেই ডিজাইন করা হয়েছে। আলাদা সাবডোমেইন না থাকায় প্রতিটা দপ্তর ও বিভাগের নোটিশ আলাদাভাবে দেওয়া সম্ভব হয় না। ওয়েবসাইটিতে বিভিন্ন ট্যাব রয়েছে এতে অনুষদ ট্যাবে ২৫টি বিভাগের শিক্ষকদের নাম পরিচয় যোগাযোগের নম্বর এবং প্রশাসনিক ট্যাবে বিভিন্ন দপ্তরের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিচয় এবং মেইল রয়েছে। যোগাযোগের মোবাইল নম্বরও উল্লেখ নেই কর্মকর্তাদের।
সাইটের ছাত্র নির্দেশনা, মেডিকেল সেন্টার, অ্যাসিউরেন্স সেলসহ অন্যান্য ট্যাবে ঢুকে দেখা যায় সেখানে অফিসের পরিচালক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার নাম সংক্ষিপ্ত পরিচয়- মেইল ছাড়া আর কিছুই নেই৷ এমন গুরুত্বপূর্ণ সব অফিস সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো তথ্য নেই ওয়েবসাইটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের একটি ট্যাব থাকলেও সেখানে পরিচালক ও কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় ছাড়া পরিবহনসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হল সম্পর্কে আলাদা কোনো ট্যাবও নেই ওয়েবসাইটে। হলের প্রভোস্ট, হাউস টিউটর ও অফিস সম্পর্কে কোনো তথ্যই নেই ওয়েবসাইটে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোটিশ ওয়েবসাইটের নোটিশ ট্যাবে প্রকাশ করা হলেও তা অন্যসব নোটিশের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি নিয়েও সাইটে গতানুগতিক কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় ছাড়া নেই কোনো তথ্য। লাইব্রেরির সুযোগ-সুবিধা নিয়মপদ্ধতি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো তথ্যই নেই। নামমাত্র এ ওয়েবসাইট শিক্ষার্থীদের কোনো কাজেই আসছে না বলছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কাছে এটি প্রায় অকেজো একটি ওয়েবসাইট।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ স্মার্টযুগে প্রবেশ করলেও আমাদের ববি মান্দাতার আমলের ওয়েবসাইট দিয়ে চলছে। কার্যত এটি নিম্নমানের একটি ওয়েবসাইট, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় ন্যূনতম তথ্যও পায় না। বর্তমান এই যুগে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা ভালোমানের ওয়েবসাইট জরুরি। কারণ দেশ-বিদেশের সবাই এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানবে-চিনবে। এর সার্বিক উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কিং ও আইটি সেন্টারের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘আমরাও চাই ওয়েবসাইটটিকে ঢেলে সুন্দর করে সাজাতে, কিন্তু বাজেট স্বল্পতার কারণে আমরা তা করতে পারছি না। তবে আমরা সাধ্যের মধ্যে যতটা পারছি, তার সর্বোচ্চটা করছি।’
সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের জন্য মেইল আছে নাম্বার কেন নেই এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেকে নম্বর দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন না, এ জন্য দেওয়া সম্ভব হয় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘ওয়েবসাইট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্পণের মতো। আমরা এর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছি, যাতে আমরা এটাকে শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমি কথা বলব এটিকে কীভাবে আরও বেশি ডেভেলপ করা যায় সে বিষয়ে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবজীবন যেন হুমকির সম্মুখীন না হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড’-এর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি ড. লাফিফা জামাল এবং ঢাবির রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সেঁজুতি রহমান বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেসবুকে আসক্তি, ক্যারিয়ার নির্বাচনে বিভ্রান্তি : সমাধান যে পথে' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়াম এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেছেন, অনেক আশা স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তাদের কাছে শুধু তাদের পরিবার নয়, গোটা জাতিও অনেক কিছু আশা করে থাকে।
তিনি বলেন, মাদকসহ সবধরনের আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীকে মুক্ত থেকে কর্মমুখী শিক্ষায় সুশিক্ষিত হতে হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি, তাদের কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। কোনভাবে হতাশ হওয়া যাবে না।
এই আলোচক আরও বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। আগামী দিনে সুনীল অর্থনীতিতে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ সৃষ্ঠি হবে সে জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-কুষ্টিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান শিরিনা বিথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শাহ মনজুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মশিউর রহমান, বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) সম্পাদক, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার, বিকন পয়েন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তহিদুল বাশার। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা ও সংস্কার কাজ নিয়ে স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরির সংস্কার কাজে অসংগতি, একাডেমিক বইয়ের অপর্যাপ্ততা, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণে অসমাপ্তি, লাইব্রেরির এসির অচলাবস্থা, কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গণগ্রন্থাগার তালা দেয়া, লাইব্রেরিতে চাকরি দেয়ার নামে কাজ করানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাকৃবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণের কাজ এক বছরে করার কথা থাকলেও সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাব এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। তবে এ ব্যাপারে বরাদ্দের টাকার অসংগতির কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। অথচ একই সময়ে লাইব্রেরির বৈদ্যুতিক কাজ, সংস্কার, মেরামত ও লাইব্রেরিয়ানের অফিস কক্ষের আধুনিকায়ন কাজসহ নানা কাজে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে বলে জানান লাইব্রেরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। লাইব্রেরির এসব কাজের ব্যয় ও কেনাকাটা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এদিকে প্রশ্নবিদ্ধ কেনাকাটার ভাউচারে কমিটির অনেকেই স্বাক্ষর করেননি বলেও জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলম বলেন, বাজেটের অধিকাংশ অংশ সোনালী ব্যাংকের ২৫ লাখ টাকা অনুদান প্রায় শেষ। বাকি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় দিলেই বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণের কাজ শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন লাইব্রেরিয়ানের কক্ষ ডেকোরেশেনের জন্য। ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ নির্মাণ শেষ হলে পড়ে থাকা চারটি এসি সংযোজন করা হবে। বই নির্ধারণ করার কমিটির সকল সদস্যের পরমর্শক্রমেই বই সংগ্রহ করা হয়। এ বিষয়ে আমার কোনো এখতিয়ার নেই। লাইব্রেরিতে পিয়নসংকট হওয়ায় পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য লাইব্রেরিতে ২০টি ফ্যান ক্রয়ের জন্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায়।
এ বিষয়ে খাইরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০টি মীরা স্ট্যান্ডিং ফ্যান কেনা হয়। বাজেট অবশিষ্ট থাকায় তা দিয়ে আইপিএস মেরামত করা হয়েছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, লাইব্রেরির রিডিং রুমে ১৫টি মীরা ফ্যান রয়েছে।
নিয়োগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. অলিউল্লাহ বলেন, লাইব্রেরিতে খণ্ডকালীন কোনো নিয়োগ দেয়া হয়নি। তবে কোনো বিভাগের প্রধান প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বাজেটের আওতায় কন্টেনজেন্সি হিসেবে জনবল রাখতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণগ্রন্থাগার তালা দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান বলেন, গণগ্রন্থাগার অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য গ্রন্থাগারটির সহকারী পরিচালক বরাবর আমরা কয়েকটি চিঠি দিয়েছি। তবে কোনো চিঠির উত্তর আসেনি বরং এ বিষয়ে গ্রন্থাগারটির পিয়ন বাজে ব্যবহার করেন। তাই স্বল্প সময়ের জন্য তালা দেয়া হয় এবং পরে তা আবার খুলে দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, লাইব্রেরির তিন তলায় পরিত্যক্ত রুমটি দ্রুত পড়াশোনার উপযুক্ত করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের জায়গারসংকট কমবে। লাইব্রেরির কেন্দ্রীয় এসি পরিবর্তন করা হবে। ডিপিপির বাজেটে এসির কথা উল্লেখ আছে। খুব দ্রুতই নতুন এসি সংযোজন করা হবে। আর একাডেমিক বই হিসেবে ই-বুকের আধিক্য বেড়েছে তাই কাগজের বই কমছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরকে ই-বুক সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। লাইব্রেরির অসংগতির বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণে অধিকাংশ বাজেট খরচ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ও তার হিসাব দেখে পরবর্তী বাজেট দেয়া হবে।
সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য লাইব্রেরির পরিচালনা কমিটি থাকলেও গত ৮ বছরে কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সভা না হওয়ার কারণ বলতে পারছি না। তবে লাইব্রেরিয়ানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সভার আয়োজন করা হবে।