বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

গবেষণায় বাড়লেও মোট বরাদ্দ কমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

হাসান মেহেদী
প্রকাশিত
হাসান মেহেদী
প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৩ ০৮:০৮

আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারি বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বরাদ্দ ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা কমেছে।

চলতি বছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে মোট বরাদ্দ কমলেও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ বছর গবেষণা খাতে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ কোটির বেশি।

এ ছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত রোববার পূর্ণ কমিশনের এক সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদন করেছে ইউজিসি। সভায় ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের বাজেট তুলে ধরেন।

ইউজিসির তথ্যমতে, আগামী অর্থবছরে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১২ হাজার ১৮৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ১০৯ কোটি ১০ লাখ টাকার রাজস্ব বাজেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৬ হাজার ৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইউজিসির দেয়া বরাদ্দের সঙ্গে নিজস্ব আয় যুক্ত করে নিজেদের বাজেট তৈরি করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ ছাড়া আগামী বছরে ইউজিসির জন্য ৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

ইউজিসি অর্থ ও হিসাব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বরাদ্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামী অর্থবছরের ৪৭৯ কোটি ২১ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ৩৯৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ২৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে ১৫৮ কোটি ৭৫ লাখ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৭২ কোটি ৪১ লাখ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ১৬০ কোটি ৯৭ লাখ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ৬০ কোটি ৫৭ লাখ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬১ কোটি ৭১ লাখ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ১২৯ কোটি ৫৯ লাখ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ কোটি ৫৪ লাখ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ১৪ কোটি ২৬ লাখ ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পরিচালন বরাদ্দ পাচ্ছে।

এ ছাড়াও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪৪ কোটি ৯৩ লাখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯০ কোটি ৬২ লাখ টাকা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১১২ কোটি ৬০ লাখ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২৭ কোটি ৪৩ লাখ, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন বরাদ্দ বাবদ ৮ কোটি ৩৬ লাখ ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬ কোটি ৪ লাখ টাকা পাচ্ছে।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বুয়েট ২২৮ কোটি ৪ লাখ, চুয়েট ৮৫ কোটি ২৮ লাখ, রুয়েট ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ, কুয়েট ১১২ কোটি ২১ লাখ ও ডুয়েট ৮৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১৬৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১১৬ কোটি ২৮ লাখ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৮৯ কোটি ৯৪ লাখ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৯৯ কোটি ২৮ লাখ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৯৫ কোটি ৯৬ লাখ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৮৩ কোটি ৫২ লাখ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৫৫ কোটি ৩৪ লাখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৫৮ কোটি ৮৯ লাখ, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১৬ কোটি ৫৭ লাখ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০ কোটি ৮৪ লাখ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৭ কোটি ৫৪ লাখ ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সবচেয়ে বেশি ১৭৯ কোটি ৭৪ লাখ বরাদ্দ পেয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৯ কোটি ২৩ লাখ, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ১১ কোটি ৫২ লাখ, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ও শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৫ কোটি ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

এর বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ৩৭৭ কোটি ৭৮ লাখ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত ২৫১ কোটি ২ লাখ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ কোটি ৫২ লাখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ ৫৫২ কোটি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ৫৭ কোটি ৮২ লাখ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ৪৬ কোটি ২২ লাখ, বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ৪৬ কোটি ৮৬ লাখ, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ১৬ কোটি ১৫ লাখ ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় ৩৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।


জবি ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়। তাদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী ফয়সাল ওরফে হেলাল সদরঘাটের বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৃত শাহ আলমের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার বাংলা বাজারের কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়সহ ৬ জন ঐ ব্যবসায়ীর পথ রোধ করে তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা নগদ ২ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে পাশের এক রেস্তোরায় প্রবেশ করেন ভুক্তভোগী হেলাল। এরপর মহিউদ্দিন অনি ও হাসিবুল হাসান হৃদয় সেই রেস্তোরায় প্রবেশ করে তাকে পুনরায় চড়-থাপ্পর শুরু করেন এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা কা্উকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবে আসামিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় উক্ত ঘটনায় সূত্রাপুর থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ভুক্তভোগী ফয়সাল ওরফে হেলাল আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রাজ্য মহল কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই রেস্তোরার ভেতরের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মহিউদ্দিন অনি ও হাসিবুল হাসান হৃদয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে আঙ্গুল উঁচিয়ে কথা বলেছেন। এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন অনি উত্তেজিত হয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় দেয়া শুরু করেন। এরপর রেস্তোরার কর্মীরা হেলালকে রক্ষা করতে আসলে তারা আরও মারমুখী হয়।

রাজ্য মহল কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই রেস্তোরার মালিক মিন্টু শেখ বলেন, গত শুক্রবার রাতে একজন আশ্রয় চেয়ে আমার দোকানে প্রবেশ করেন। আমরা ঐ ব্যক্তিকে ভেতরে আসতে দিলে তার পিছু পিছু দৌঁড়ে আরও ২ জন দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হেলালকে (পরে নাম জানতে পারি) চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন একজন। আমরা বাঁধা দিতে গেলে দোকান-পাট ভাঙচুরের হুমকি দেন। পরে আমরা তাদেরকে অনুরোধ করলে তারা চলে যায়।

ভুক্তভোগী ফয়সাল ওরফে হেলাল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয়ের নেতৃত্বে ৬ জন আমার উপর অতর্কিত আক্রমন করে। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় আমি পুরোনো টাকা কালেকশন করতে সদরঘাট এলাকায় ছিলাম। ফোনে কথা বলতে বলতে আমি জুবিলী স্কুলের সামনে চলে যাই। সেখানে তারা বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় আমাকে দেখতে পায়। সে অনিকে আমার কথা বললে অনি বলে ওরে ধরে ওর পকেটে কত টাকা আছে দেখ। তারা এসেই আমাকে মারধর শুরু করেন। তখন আমার সঙ্গে প্রায় দুই লাখ ছয়ত্রিশ হাজারের মতো টাকা ছিলো। মারধর করতে করতে তারা আমার পকেট থেকে ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনায়ে নেয়। বাকি টাকা আমার মানিব্যাগে থাকায় তা আর নিতে পারে নাই। টাকা নেয়ার পর তারা আমার ওয়ান প্লাস মোবাইলকে আইফোন ভেবে কেড়ে নিতে চাইলে আমি তাদের থেকে ছুটে দৌঁড়ে পাশের এক হোটেলে যাই। হোটেলের মধ্যেও অনি আমারে মারধর করে। একপর্যায়ে হোটেলে থাকা লোকজন আমাকে রক্ষা করে।

পুলিশের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ঘটনার পর রাত সোয়া ১২ টায় মামলা করার জন্য সূত্রাপুর থানায় যাই। পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। তারা আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে ফেলতে বলে। আমি অস্বীকৃতি জানালে অনি পুলিশকে বলে আমাকে পাঁচ মিনিটের জন্য তার কাছে ছেড়ে দিতে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হেলাল নামের ওই ব্যবসায়ীর সাথে আমার অনেক আগে থেকেই পরিচয়। সময় দিন রাতে তার সাথে আমার দেখা হলে আমি তাকে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু সে হুট করেই আমাকে চোর, সন্ত্রাস, ছিনতাইকারী বলে গালিগালাজ শুরু করে। তখন আমার সঙ্গে থাকা জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয় এবং আরেক ছোটভাইকে বলি যে সে মদ্যপ কিনা দেখতে। তখন সে দৌঁড়ে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে। পরে সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওখানে পুলিশই উপস্থিত ছিল। পরের দিন থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে দুইজন দুইজনকে সরি বলে ঘটনার মীমাংসাও হয়েছিল। এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কালি লাগানোর জন্য এসব অভিযোগ তুলা হচ্ছে।

এবিষয়ে কথা বলতে আরেক অভিযুক্ত জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়কে বারবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। এ ধরণের কর্মকাণ্ড ছাত্রলীগ কখনোই প্রশ্রয় দিবে না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি মো. মাসুদ আলম বলেন, এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমাদের কাছে কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি। আমরা এ বিষয়ে অবগত না। সংশ্লিষ্ট যারা দেখেছে তারা বলতে পারবে।


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে ৯৩ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে আবাসিক হল সমূহও বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি কমিটি গঠন করা হবে। একটি শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার জন্য আর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।


১১ মে থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি হয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১৬
ঢাবি প্রতিনিধি

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। স্থগিত হওয়া ও বর্জন করা টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ মে থেকে নতুন রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। গত ২০ এপ্রিলের পর স্থগিত করা পরীক্ষাগুলো আগে নেওয়া হবে এবং এর পর বর্জন করার পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণি প্রতিনিধির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হওয়া এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের (ডিএসডব্লিউ) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক।

ড. আল আমিন বলেন, আগামী ১১ মে থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত ২০ এপ্রিলের পর যেসব পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে সেসব পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হবে। আর এর আগে কিছু পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছে সেগুলো পরে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, সভায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চেয়েছে। তারা কিছু আইনজীবীর নামও প্রস্তাব করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এসব প্রস্তাব গ্রহণ করে পিপিআরের মাধ্যমে কীভাবে তাদের নিয়োগ দিতে পারে সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সেই আইনি প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে।

শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ব্যাপারে কোনো মতামত জানিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর অত বড় না। তাই আমাদের কোন বিভাগে যখন পরীক্ষা শুরু হয় তখন সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের একসাথে সেই পরীক্ষা শুরু হয়। তাই এখন আমাদের পরীক্ষার সময়, কোন ক্লাস নেই।’

এর আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রবেশের প্রতিবাদ ও ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের আন্দোলনে গত ২৮ মার্চ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

বিষয়:

৫ মে জবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু

জবি প্রশাসনিক ভবন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:০৯
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য সশরীরে বন্ধ হওয়া ক্লাস-পরীক্ষা আগামী ৫মে থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ৫ মে থেকে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া শ্রেণি কার্যক্রম চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং আগামী ৭ মে থেকে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে বলেও জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক কনফারেন্সে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষার সময়সূচী পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৫ মে থেকে সকাল ৮টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে এবং ৭মে থেকে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চলবে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বন্ধই থাকছে স্কুল-মাদ্রাসা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তবে আদালত বন্ধ থাকায় আপিল করা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র। ফলস্বরূপ আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা।

গতকাল সোমবার আদালতের আদেশের পর আপিল করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। রাজধানীর আগারগাঁয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তৃতার সময় তিনি বলেন, ‘সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব, তা পালন করা বাঞ্ছনীয়।’

এ বিষয়ে জানতে আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, আদালতের আদেশের কোনো কপি এখনো আসেনি। আর এ পরিস্থিতিতে আপিল করার সুযোগও নেই। কারণ উচ্চ আদালত বন্ধ।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা বন্ধের আদেশ দেন।

আদেশে আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে, সেগুলোতে যথারীতি ক্লাস চলবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান তাপপ্রবাহে শিশুদের সুরক্ষার কথা মাখায় রেখে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

তবে যেসব স্কুলে এসি রয়েছে, পরীক্ষা চলমান আছে, ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৯ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

চলমান তাপপ্রবাহে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রেহেনা সুলতানা, মো. সামিউল সরকার ও আশিক রুবায়েত।


এসএসসির ফল নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সঠিক নয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এসএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১১ মে- এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষাবোর্ড এখনও ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করেনি। তাই এসব তথ্যে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।

আজ রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফেসবুকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ-সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে ফল প্রকাশের তারিখ ও সময় সংবলিত পত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ৯-১১ মের মধ্যে প্রকাশ করার সব প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড। এই তিন দিন ধরেই এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, ফল প্রকাশের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিতে হয়। ৯, ১০ ও ১১ মে- এই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো একদিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।


ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল সোমবার ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চলমান দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে খোলা রাখতে পারবে। আগামীকাল এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।


শনিবার বন্ধই থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটি ও চলমান তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ বেশি বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। বরাবরের মতো সপ্তাহের শনিবার বন্ধ থাকবে শ্রেণি কার্যক্রম ও তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে বন্ধ রাখা হয়েছে অ্যাসেম্বলি।

আজ শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা এক আদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে শনিবার প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে কি না এ বিষয়ে কোনো না থাকায় তিনি বলেন, ‘নির্দেশনায় শনিবার খোলার বিষয়ে যেহেতু কিছু বলা নেই, তার মানে শনিবার বন্ধ থাকবে।’‌

শনিবার ছুটির বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, শনিবারের ছুটি বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত বন্ধ, এটাই বলা যায়।

এর আগে আজ শনিবার সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এছাড়া নির্দেশনায় আরও বলা হয়, চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণিকার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে-

১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।

৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

৪. দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৫. উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলাভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন।

৫. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে

বিষয়:

কাল খুলছে স্কুল, শ্রেণি কার্যক্রম যেভাবে চলবে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটি ও চলমান তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ বেশি বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু হবে। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনাতে বলা হয়, চলমান তাপদাহের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

১. আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।

৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

৪. তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৫. উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন।

৫. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার পূর্ব-পর্যন্ত এবং পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত উল্লিখিত সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়:

হয়ে গেল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা। দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়।

পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী- সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা থেকেই উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হয় এবং ১০টায় প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসে আবেদন চলে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন। ৪৬তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও কিছু বেশি।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে বিভিন্ন বিষয়ে ৫২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


বিক্ষুব্ধ সহপাঠীদের আন্দোলনে ক্যাম্পাস বন্ধ

হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় গত সোমবার মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চতুর্থ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা আন্দোলন পালন করার পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রাগে ক্ষোভে আজ দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারী নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা।

একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের মূল দরজায় তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ওই ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রদের আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্রদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যদিকে আজ বিকেল পৌনে পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হল ছাড়বেন না। দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাঁরা আবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। কিন্তু প্রশাসন আলোচনায় না বসে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করবেন না। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার পর থেকে চারদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী শিক্ষকের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছে বলেও জানা যায়।

রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আশানুরূপভাবে সাড়া দেননি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় বাসের চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত দশটার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর।

পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।


কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভর্তি ফির উপর শতভাগ ছাড়ে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে। রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

আজ ভর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. গিয়াস ইউ আহসান।

প্রতিদিন ভর্তি উৎসবে ভর্তি হওয়া ৫ জন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এছাড়া ভর্তি হওয়া ১ম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন।
পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে।

অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরি ও মডার্ন ল্যাবের সুব্যবস্থা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে ।

বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিষয়ে শিক্ষার সুবিধা রয়েছে, যেটা আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাথে চুক্তিতে থাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। এছাড়া উচ্চতর পড়াশুনার জন্য সুযোগ থাকছে কানাডা, ইউকে, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 01707070280, 01707070284 (হোয়াটসএপ)

অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন: https://cub.edu.bd/apply.php


banner close