বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শনিবার শেষ হচ্ছে দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্র একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় মোট তিন লাখ তিন হাজার ২৩১টি আবেদন জমা হয়েছে। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন ৯৩ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী, যা মোট আবেদনকারীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য জানান, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ৪৩৪টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৩৯ হাজার ৮৬৪টি আবেদন জমা পড়েছে।
ড. উজ্জ্বল বলেন, আবেদনকারীদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন ৯৩ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন, ‘বি’ ইউনিটে ২১ হাজার ৬৫ জন ও ‘সি’ ইউনিটে ১৫ হাজার ৯২১ জন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ধারণক্ষমতা রয়েছে। এর বাইরে এই কেন্দ্রের অধীনে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপকেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হয়। এবারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গভ. কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স এবং সরকারি বাংলা কলেজ।
দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে ২০১৯ সালে শুরু হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। মূলত একজন শিক্ষার্থীর কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একটি বিষয়ে ভর্তি হতে অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে দেশময় ছোটাছুটি করে বেড়ানো এবং এ সময়ে পরীক্ষার্থী-অভিভাবকদের হয়রানি, অর্থ ও সময় ব্যয়ের সমাধানে শুরু হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। ফলে সারা দেশে ১৯টিকেন্দ্র থাকার পরও পরীক্ষার্থীরা কেন ঢাকার একটি কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়মুখী হচ্ছেন, সে প্রশ্নও থেকেই যায়।
পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা বলছেন, কোচিং বাণিজ্য, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ঢাকার কলেজগুলোর মান ও সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত না হওয়াই ঢাকামুখী হওয়ার প্রধান কারণ। তবে এতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না, সেটিও মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা।
ঝিনাইদহের রাবেয়া খাতুন অংশ নিচ্ছেন এবারের গুচ্ছ পরীক্ষায়। পাশের দুই জেলা যশোর ও কুষ্টিয়ায় কেন্দ্র থাকলেও তিনি পছন্দ দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মাঝের সময়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভিড়ে জাহাঙ্গীরনগরের পরীক্ষার সময় যেতে অসুবিধা হতে পারে বিধায় গুচ্ছের কেন্দ্র ঢাকাতে দিয়েছি। আগেভাগে ঢাকা চলে এসেছি, যেন যাতায়াতে কোনো অসুবিধা না হয়।’
নীলফামারী থেকে ছোট ভাইকে নিয়ে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় এসেছেন ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইকে ঢাকায় কোচিং করিয়েছি। এ ছাড়াও গুচ্ছের পর জাবির পরীক্ষা রয়েছে। এ কারণেই ঢাকাকে কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোচিং-নির্ভরতা রয়েছে এখনো। তাদের বড় অংশই ভর্তি হয় ঢাকার বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে। ঢাকামুখী হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় প্রভাবক। এর বাইরেও যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ঢাকার আশপাশের এলাকা, যেমন— গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহের শিক্ষার্থীরাও ঢাকাতে কেন্দ্র পছন্দ করছে।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০১৯ সালের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘কোচিং করতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঢাকা আসে। তাদের কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থাকে, আবার কেউ নিজেদের মতো করে বাসা ঠিক করে। অনেক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শেষে ঢাকার বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হয়। এরা ঢাকায় পরীক্ষা দেবে, সেটাই স্বাভাবিক।’
তবে ভর্তিচ্ছুরা ঢাকামুখী থাকলেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া শতভাগ সফল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরীক্ষার্থীরা যেখানেই কেন্দ্র পছন্দ করুক, তাদের অন্তত সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একাধিক স্থানে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে না। ফলে অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছুদের হয়রানি ও ভোগান্তি লাঘব হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন বলেন, আমরা প্রথমবার পাঁচটি কেন্দ্র পছন্দের সুযোগ রেখেছিলাম। ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনেকেরই দূরে সিট পড়ছিল। তবে গতবারের মতো এবারও আমরা একটি কেন্দ্র পছন্দের সুযোগ রেখেছিলাম। যে যেখানে পছন্দ করে, সেখানে পরীক্ষা দেবে। মূল কেন্দ্রে জায়গা না হলে কেন্দ্রের পাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে, এটাই ছিল পরিকল্পনা। ঢাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকায় থাকেন অনেকেই। তাই সেখানে আবেদন বেশি পড়েছে। এটি অস্বাভাবিক নয়।
গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, ‘আমরা এবার শিক্ষার্থীদের যেখানে পছন্দ সেখানেই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিয়েছি। প্রথমবার কেন্দ্রের সংখ্যা সংকুলান করতে শিক্ষার্থীদের পাঁচটি পছন্দের যেকোনোটিতে দেয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বারের পরীক্ষায় তা করা হয়নি। এত পরীক্ষার্থী ঢাকায় যাওয়ায় চাপ হবে স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে যদি ভোগান্তি হয় ও তারা যদি স্বেচ্ছায় ভোগান্তি নেয়, এটা তাদের বিষয়। আমাদের পক্ষ থেকে ভোগান্তি লাঘবে আমরা শতভাগ সফল। অন্তত আগের মতো শিক্ষার্থীদের সারাদেশে পরীক্ষা দিতে এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে না।’
দেশের গণতন্ত্র কাঠামো ফিরিয়ে আনার জন্য পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। শনিবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের জোহা চত্বর থেকে তিনি এ কর্মসূচি শুরু করেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি নগরের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ ঘোরেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সবাইকে পদযাত্রায় যোগদান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি ফেসবুক বার্তায় লেখেন, ‘আমাদের সংবিধান শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আসুন, গণতন্ত্র মেরামতের দাবিতে একটি নির্দলীয় নীরব পদযাত্রায় শামিল হই। গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটু পথ হাঁটি। গণতন্ত্রের অন্ধকার দূর করতে দেশপ্রেমের একটু আলো ছড়াই। মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অংশ নিই। দেশের জন্য না হয় একটু কষ্ট, কিছু ঘাম, কিছু ক্লান্তি উৎসর্গ করি। অন্তত, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন আমাদের ভীরু, কাপুরুষ না ভাবে।’
পদযাত্রার কর্মসূচির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের জোহা চত্বর থেকে কর্মসূচিটি শুরু করেছেন। পরে নগরের সাহেব বাজার, সি অ্যান্ড বি মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়, ঘোষপাড়ার মোড়, মালোপাড়ার মোড়, নিউমার্কেট হয়ে সাহেব বাজারে এসে শেষ করবেন।’
ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু আজ নানান কারণে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সচেতন ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে দেশের গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান রেখে আন্দোলনে নামা ও সোচ্চার হওয়া। কিন্তু দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো দিনে দিনে জটিল ও সহিংসতার দিকে যাচ্ছে। আমরা চাই না কোনো ধরনের সহিংসতা হোক। আমরা চাই দেশে একটি ভালো গণতান্ত্রিক কাঠামো ফিরে আসুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন রেটিং বলছে, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হাইব্রিড ও ত্রুটিপূর্ণেরও নিচে। দেশের মিডিয়ার অবস্থাও খুব খারাপ। আমাদের দেশে ভোটাধিকার নেই। সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখে, তাদের ভোট হয়ে গেছে। তাহলে দেশে কীভাবে গণতন্ত্র থাকতে পারে বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
জোহা চত্বরে ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল হক, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সংগঠনের রাজশাহীর সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী ও শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আন্তঃস্কুল প্রীতি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ‘মানবিক উত্তর ফটিকছড়ি’ নামের একটি সংগঠন।
শনিবার সকালে উপজেলার হাসনাবাদ মদিনাতুল আরব উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।
‘যুক্তিতে মুক্তি’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানবিক উত্তর ফটিকছড়ির সভাপতি শামসুদ্দিন হাসান।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন তিনি। ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘এই সমাজের প্রতি, এই রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমি যদি সঠিক দায়িত্ব পালন না করি, তাহলে আমি সুনাগরিক হব না। যতক্ষণ সুনাগরিক হব না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ভালো মানুষও হতে পারব না।’
শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলকে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হওয়ার তাগিদ দেন তিনি। ওসি বলেন, ‘আমি ফলাফল বলতে যদি একাডেমিক ফলাফলের কথা বলি, আমি সেটা মানতে রাজি না। আমাদের এ প্লাস (জিপিএ-৫) পাওয়ার দরকার আছে। কিন্তু সেই সঙ্গে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হওয়া অতীব প্রয়োজন। সমাজে যারা আছেন এখন, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তারা সবাই এ প্লাস পাননি, সবার এ প্লাস পাওয়ার দরকারও নাই। প্রথম এবং মৌলিক ধ্যান হবে- আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে, সুনাগরিক হতে হবে৷ ’
‘এই বিতর্ক অনুষ্ঠান থেকে আমি আপনাদের অনুরোধ করব, আমি সুনাগরিক হব। দেশ এবং সমাজের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করব। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করব। এখানে আমার সামনে যেসব ছাত্রীরা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ করব- আমরা কোনোভাবেই, কোনো অবস্থাতেই বাল্যবিবাহে নিজেদের সমর্পণ করব না। যদি এরকম ঘটনা ঘটে শিক্ষকদের মাধ্যমে সেটা আমাদের অবহিত করবেন।’
এসময় বিতর্ক প্রতিযোগিতাটির সফলতা কামনা করেন তিনি।
প্রতিযোগিতায় প্রথম দিনের বিতর্কে অংশগ্রহণ করে হাসনাবাদ মদিনাতুল আরব উচ্চ বিদ্যালয় ও হাসনাবাদ আহসানুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। উদ্বোধনী বিতর্কে মডারেটর হিসেবে ছিলেন লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. মেহেদী হাসান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন নাসিরাবাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক টি এম নাজিম উদ্দীন, নারায়ণহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান। সময় নিয়ন্ত্রক ছিলেন নাসির উদ্দীন।
হাসনাবাদ আহসানুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাসনাবাদ মদিনাতুল আরব উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাজী সেলিম উল্লাহ। এসময় অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মদিনাতুল আরব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম, হাসনাবাদ দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার মাওলানা মো. আবু তাহের, স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম, ডাক্তার এমদাদুল ইসলাম, মাওলানা বদিউল আলম, ব্যাংকার আবু তাহের, ছাত্রনেতা ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
সবার হাতে নতুন পোশাক; চোখে–মুখে হাসির ঝিলিক- এ যেন ঈদ আনন্দ। শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর মিরপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন আনন্দের দৃশ্যই দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিয়ে এ আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করেছে রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মহানগর।
সকালে মিরপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ২০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ড্রেস তুলে দেন রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মহানগরের সভাপতি সাকিলা আক্তার মিমি, সাবেক সভাপতি শ্রাবণী সরকার ও এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার ড. আফসানা চৌধুরী।
স্কুল ড্রেস পেয়ে দারুণ খুশি মিরপুর দুয়ারীপাড়ার দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী কুমকুম। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে কুমকুম বলে, ‘স্কুল ড্রেস পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখন স্কুলে নতুন সুন্দর এ পোশাকটি পরে আসতে পারবো।’
কুমকুমের মতো আনন্দিত একই শ্রেণির মরিয়াম আক্তারও। সে জানায়, ‘নতুন ড্রেস পেয়ে খুব আনন্দ লাগতেছে। আমার তিন ভাই সবাই নতুন পোশাক পেয়েছি।’
নতুন ড্রেস পেয়ে উচ্ছ্বসিত পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া নাছিমা আক্তার বলে, ‘আগে ভালো জামাকাপড় না থাকার কারণে স্কুলে আসতে চাইতাম না। এখন নতুন ড্রেস পেয়ে নিয়মিত স্কুলে আসব।’
স্কুলের সবার এক রংয়ের পোশাক দেখতে ভালো লাগবে জানিয়ে চতুর্থ শ্রেণীয় রণি বলেন, ‘আগে স্কুলে একেক জন একেক ধরেনর জামা পরে আসতো। এখন সবাই এক রকম পোশাক পরে আসবে। আমাদের দেখতে খুব ভালো লাগবে।’
আয়োজক রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মহানগরের সভাপতি সাকিলা আক্তার মিমি বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে ১১৮টি দেশে রোটারি কার্যক্রম চলছে। ২০১২ সাল থেকে আমাদের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশে ৫০০টির মত রোটারি ক্লাব রয়েছে।’
তিনি জানান, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মহানগর রাজধানীর বনানী, মিরপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীর চারটি স্কুলকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। এ আয়োজনের সহযোগিতা করেছে রোটার্যাক্ট ক্লাব অব মহানগর ঢাকা ও ইন্টার্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মহানগর।
চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক লিউ জংগুই গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় চীনা দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিস ল্যাং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিস অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল আফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ স্টাডিজ সেন্টারের উদ্বোধনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি
বুয়েট অ্যালামনাই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদ্য পাস করা অ্যালামনাইকে (ব্যাচ স্থাপত্য-২০১৬, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা-২০১৭, প্রকৌশল-২০১৭) সংবর্ধনা প্রদান ও ওয়েবসাইট (alumni.buet.ac.bd) উন্মোচন করেছে। বুয়েট জিমনেসিয়ামে সংবর্ধিত ব্যাচের অ্যালামনাইকে সম্মানীয় ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাইয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খালেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজের কর্ণধার, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নাজমুল আহসান খালেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
স্বাগত বক্তব্য দেন বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সমন্বয়ক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্মার্টফোন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ এবং মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সামাজিক বাধাসমূহ দূর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য: বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবধান কমিয়ে আনার চাবিকাঠি’ শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। বিজ্ঞপ্তি
দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। এ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং পাঁচ জন বহিরাগতকে আটক করা হয়।
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের সহযোগিতায় দুটি হলে তল্লাশি চালিয়েছি। এ সময় হলের কক্ষ থেকে কয়েকটি হকি স্টিক, রামদা, লোহার রড, পাইপ, লাঠিসোঁঠা ও পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ পাঁচ জন বহিরাগতকে আটক করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটকদের থানায় নেয়া হয়েছে। আমরা এখনও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্রবার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে। দুই দফা সংঘর্ষে প্রায় ১০ জনের মতো আহত হন। কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের তিনটি গ্রুপের মধ্যে ভিন্ন ঘটনায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহজালাল ও শাহ আমানত হল এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের একাংশের (সহসভাপতির অনুসারী) কর্মীরা।
অন্যদিকে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটে নেতার জন্য লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের আরেকাংশের (সভাপতির অনুসারী) কর্মীরা।
বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। আর সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, অন্যদিকে সিএফসির একাংশের নেতৃত্বে আছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, অন্য অংশের নেতৃত্বে আছেন সহসভাপতি সাদাফ খান। বিজয় গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল দুপুর থেকে দুই গ্রুপের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে সন্ধ্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের সদস্য মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, ‘পূর্বের ঘটনার জের ধরে জুমার নামাজের পর সিক্সটি নাইন গ্রুপের আকিব জাবেদ আবারও আমাদের গ্রুপের সিনিয়রদের গালিগালাজ করে। এই ঘটনার রেশ ধরে সন্ধ্যায় ঝামেলা হয়।’
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্য উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।’
লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান সিএফসির একাংশ ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় অবস্থান নেন দুটি গ্রুপের কর্মীরা। এই সময় দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, কোনো ঝামেলা হয়নি। প্রোগ্রাম শেষে জুনিয়রদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হতে পারে, আমার জানা নেই।
বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
থমথমে ক্যাম্পাস
বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের পর থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শুক্রবার দুপুরেও সিক্সটি নাইন ও সিএফসি দুই গ্রুপের কর্মীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শোনা যায়। সন্ধ্যায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মারামারিতে আহত চারজন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম বলেন, ‘উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দুই পক্ষকে শান্ত করে হলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির বৈঠক চলছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে এমএসএইচ-নেটওয়ার্ক। তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি, চাবি, জাবি, রাবি সাধারণ গুচ্ছ ও সমন্বিত কৃষি ও মেডিকেলে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী চান্সপ্রাপ্তির রেকর্ড নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কেআইবি অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে নেটওয়ার্ক গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাদেকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি বিজ্ঞানী মোখলেসুর রহমান মুকিত, ঢাকা বিভাগের এডিসি বদরুল হাসান রিয়াদ, অধিকার টিভির প্রধান নির্বাহী নাহিদ হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমএসএইচ-নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা মো. হোসেন আলী। বিজ্ঞপ্তি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, তার চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনার কারণেই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ এখন অনেক পজিটিভ ’
বৃহস্পতিবার জবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘একসময় আমাদের দেশ দারিদ্রতার সংকীর্ণতায় অবস্থান করছিল। তারপরও বিদেশি কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য ছাড়াই আমরা পদ্মা সেতু স্থাপন করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত অনেক সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, সবাইকে নিজের বিবেকবোধ দিয়ে দায়িত্ব পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান। এ সময় রিসোর্স পার্সন হিসেবে ইউজিসির উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট এমেল হক মোল্লা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্থায়ী তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীবৃন্দ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে এবং বুয়েটের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং নেটওয়ার্কের (আইটিএন-বুয়েট) সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশে এসডিজি ৬ স্যানিটেশন লক্ষ্যে পৌঁছানোর অগ্রগতি ত্বরান্বিতকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা গতকাল ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইউআইইউর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আফজাল আহমেদ এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউআইইউর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান। আলোচনায় দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং এক্সপার্টরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন ইউআইইউর ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মোকাদ্দেম এবং আইটিএন-বুয়েটের পরিচালক প্রফেসর ড. তানভীর আহমেদ।
বক্তারা দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব, প্রতিবন্ধকতা, ব্যবহার এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) উদ্যোগে বিভিন্ন কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘আইএসইউ ওয়ার্ল্ডকাপ জিনিয়াস’ কুইজ প্রতিযোগিতার লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান এ লোগো উন্মোচন করেন ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিকসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ।
আইএসইউর হেড অব পাবলিক রিলেশন্স রাইসুল হক চৌধুরী জানান, এ কুইজ প্রতিযোগিতায় কলেজ পর্যায়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর তিনজন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে দল গঠন করে অংশগ্রহণ করতে পারবেন আগ্রহীরা।পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার, রানার্স আপ দল যথাক্রমে ৩০ হাজার ও ১৫ হাজার এবং টুর্নামেন্ট সেরা জিনিয়াস পাবেন ১০, হাজার টাকা । প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্বে ক্রিকেটার,সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার এবং বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা উপস্থিত থাকবেন । আইএসইউ এর ফেসবুক পেজেও লাইভ স্ট্রিমিং হবে সব পর্ব ।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিজিট করুন www.isu.ac.bd অথবা ডায়াল করুন ০১৩১৩ ০৩৭ ১৩৫ ,০১৩১৩ ৪০০ ৬০০ নম্বরে । বুধবার থেকে শুরু হয়ে রেজিস্ট্রেশন চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তি
দীর্ঘদিন ধরে কমিটিহীন থাকা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। কমিটি না থাকায় নানা গ্রুপ, উপগ্রপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রাখতে প্রায়ই সংঘাতে জড়াচ্ছে বিবদমান গ্রুপগুলোর নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও ছাত্রলীগকে বাগে আনতে পারছে না।
সবশেষ সোমবার হলের ক্যান্টিন থেকে বের হওয়ার সময় শরীরে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে শাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের এক নেতার কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ শাহপরান হলের ক্যান্টিন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী মো. শিপন হাসানের সঙ্গে নাজমুলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদের সূত্রপাত ঘটে।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন কর্মী আহত হন। এক ছাত্রীকে নিয়ে দুই ছাত্রের তর্কের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
শাবি ছাত্রলীগে এমন ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলায় জড়াচ্ছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ জন্য দীর্ঘ কমিটিহীনতাকে দায়ী করা হচ্ছে।
১০ বছর ধরে কমিটিহীন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি হয়েছিল ১০ বছর আগে। ২০১৩ সালের ৮ মে এক বছর মেয়াদি শাবি ছাত্রলীগের ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মে এই কমিটিকে ১৫১ সদস্যে পূর্ণাঙ্গ করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৭ জুন এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। কমিটি না থাকায় শাবি ছাত্রলীগে অস্থিরতা ও হতাশা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারাও।
শাবি ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা সজিবুর রহমান বলেন, ‘সংগঠনের জন্য আমি এতকিছু করলাম, কিন্তু দেয়ার মতো কোনো পরিচয় নেই। আমাদের তো ছাত্রত্বও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হলে তো কোনো পরিচয় নেই। দলের শৃঙ্খলার জন্যও কমিটি প্রয়োজন।’
কমিটি না থাকায় নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না জানিয়ে শাবি ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপের নেতা মামুন শাহ বলেন, কারো কোনো সাংগঠনিক পরিচয় নেই। এতে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নতুন নেতৃত্বও আসে না। হতাশ হয়ে অনেকে ক্যাম্পাসও ছেড়ে দিচ্ছে।
জানা যায়, সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকাকালীন শাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময় পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্তও নেয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি পরিবর্তন হয়েছে চার দফা। তবে শাবি ছাত্রলীগের আর কমিটি হয়নি।
সাত গ্রুপে বিভক্ত
দীর্ঘদিন কমিটিহীন থাকার কারণে শাবি ছাত্রলীগে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। নানা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে আছে সংগঠনটি। শাবি ছাত্রলীগের প্রধান সাতটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন হাফিজ আল আসাদ, খলিলুর রহমান, সজিবুর রহমান, মামুন শাহ, মেহেদী হাসান স্বাধীন, সুমন সুরকার ও তারেক হালিমী।
ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে আলাদা আলাদা গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন। পদপ্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ক্যাম্পাসে গ্রুপ-উপগ্রুপের সংখ্যাও বাড়ছে।
শাবি ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা সজিবুর রহমান বলেন, নিয়মিত কমিটি হলে নেতৃত্ব বেরিয়ে আসত। একটা সাংগঠনিক কাঠামো ও শৃঙ্খলা থাকত। কমিটি না থাকায় কর্মী ধরে রাখার জন্যও বিভিন্ন বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ছয়টি গ্রুপ আছে জানিয়ে আরেকটি গ্রুপের নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ অনেক বড় সংগঠন। তাই আলাদা বলয় হতেই পারে। তবে কমিটি না থাকার কারণে গ্রুপ বেড়েছে। কমিটি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড নেই।
বাড়ছে বিশৃঙ্খলা
নতুন কমিটিতে পদ বাগিয়ে নিতে ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া শাবি ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপগুলো। এতে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৬ মাসে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে মারামারি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অন্তত ১৬টি ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের কক্ষ থেকে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ ও মারধর করে বের করে দেন ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম সীমান্ত ও তার অনুসারীরা।
এ ঘটনায় ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকায় শাহপরান হলের আবাসিক ছাত্র আজিজুল ইসলাম সীমান্তকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গত ১৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের নেতা রিশাদ ঠাকুর তার কক্ষে ডেকে এনে সংগঠনের কর্মী নূর মোহাম্মদ বায়েজিদকে বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রিশাদ ঠাকুরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদ চৌধুরী এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে বের করে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া গত সাড়ে সাত মাসে হলের আসন দখল ও আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতন ও বারবার সংঘাতে জড়ানো প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। কে কোন দলের তা আমরা বিবেচনায় নিই না। তা ছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পাস থেকে আমাদের ক্যাম্পাস অনেক শান্ত রয়েছে।’