বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১০ আশ্বিন ১৪৩২

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১০ জুলাই, ২০২৩ ১৬:০৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৩ ১৫:৩৮

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতে পারে। করোনা অতিমারির কারণে পিছিয়ে গেলেও এবার আগের সময়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। একই সঙ্গে এবার পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এ ছাড়া সব বিষয়, পূর্ণ সময় ও পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি আগামী বছরের (২০২৪) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ করে। গত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিলেবাস প্রকাশ করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ২০২৩ সালের পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয় ও পত্রে তিন ঘণ্টা সময়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। এসএসসি ও জেএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল নির্ধারণ হয়। পরের দুই বছর এইচএসসি পরীক্ষা হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।

বিষয়:

বিইউপিতে ‘Disaster Management Exercise (DMX) 4.0’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর বিজয় অডিটোরিয়ামে 'Disaster Management Exercise (DMX) 4.0'-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিইউপির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (ডিএমআর) বিভাগ এ আয়োজন করে, যার বিষয়বস্তু ছিল ‘Earthquake in Bangladesh: Strengthening Urban Preparedness’।

দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি দল সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। তারা ভূমিকম্প মোকাবিলায় কার্যকর প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করে এবং সৃজনশীল ধারণা উপস্থাপন করে। দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে প্যানেল আলোচনা, পোস্টার প্রদর্শনী, এবং টেবিল-টপ এক্সারসাইজ (টিটিএক্স) এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নগর এলাকায় ভূমিকম্প মোকাবিলায় নতুন কৌশল ও নীতিগত প্রস্তাবনা তুলে ধরে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি। উপাচার্য একটি সহনশীল ও প্রস্তুত জাতি গঠনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার অপরিহার্যতা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলোর হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিইউপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।


শিক্ষার্থীদের জরিপে ইবি উপাচার্য অকৃতকার্য, গড় রেটিং ২.৪৫

এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্ষিক কার্যক্রম নিয়ে জরিপ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্বগ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তার বার্ষিক কার্যক্রম নিয়ে জরিপ চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে ১০ এর মধ্যে ২.৪৫ নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে ইবি সংস্কার আন্দোলন কর্তৃক পরিচালিত এ জরিপের ফল প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করে তারা। জরিপটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩১২ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ অনলাইন ও অফলাইনে এ জরিপ পরিচালনা করে সংগঠনটি।

জরিপ অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থী সর্বমোট ১০ নম্বরে চার ক্যাটাগরিতে উপাচার্যকে তার গত একবছরের কাজের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করেন। এতে ১-৩ নম্বর খারাপ, ৪-৬ মোটামুটি, ৭-৮ ভালো এবং ৯-১০ অতি ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে উপাচার্য সর্বমোট ৩২১৬ নম্বর পান যা গড় করে ২.৪৫ হয়। এটি রেটিং ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১-৩ অর্থাৎ খারাপ ক্যাটাগরিতে পরে।

শিক্ষার্থীরা গত ১ বছর উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ১০টি বিষয় মূল্যায়ন করেছে। এগুলো হলো: ১. সেশনজট নিরসনে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা তদারকি, সেশনজট ও পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট নিরসনে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা কতটা কার্যকর হয়েছে? ২. সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে উপাচার্য মহোদয় কতটা সফল হয়েছে? ৩. ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও পরিবেশবান্ধব করতে উপাচার্যের পদক্ষেপ কতটা সন্তোষজনক ছিল? ৪. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনে উপাচার্যের ভূমিকা কতটুকু? ৫. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকীকরণ তথা অনলাইন ব্যাংকিং, ল্যাব, সনদ উত্তোলন ও ওয়েবসাইটের আধুনিকায়নে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা কতটা উন্নয়নমূলক ছিল? ৬. আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি ও মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ৭. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি ও তা সমৃদ্ধ করার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ৮. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা কতটা সন্তোষজনক? ৯. বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা, বিভাগগুলোতে ছাত্রী কমনরুম নিশ্চিত ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ১০. পরিবহন সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত বাস বরাদ্দ, ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণ, দক্ষ চালক নিয়োগ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?

জরিপকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের জরিপে দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী উপাচার্য সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এমনকি প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে অনেকেই বলেছেন ‘অথর্ব প্রশাসন’। অনেকেই বলেছেন প্রশাসনকে দ্রুতই দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা মনেকরি গত একবছরে উপাচার্য মহোদয় যে কাজ করেছেন তাতে তিনি অকৃতকার্য। গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রয়োজন ১০৮০ জন। কিন্তু আছে মাত্র ৪০০ এর কিছু অধিক শিক্ষক। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি ১০৮০ জন শিক্ষার্থীকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা স্ক্যান করলে অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীর তথ্য চলে আসে।

জানা যায়, জরিপে ইবির ৮৭৬ জন আবাসিক ও ৪৩৬ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৬ জন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৮০ জন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১৮১ জন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৪৫ জন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ২৯৩ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ২৩৪ জন এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, জুলাই বিপ্লবের পর গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও ইবির আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংস্কারের উদ্দেশ্যে ১৫ দফা দাবি পেশ করেন এবং ইবি সংস্কার আন্দোলন নামে একটি প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেন। সে প্ল্যাটফর্ম থেকেই এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে আজ বুধবার প্রশাসনকে সতর্কতামূক হলুদ কার্ড দেখাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।


স্ট্যানফোর্ডের বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় ঢাবির ৩৫ শিক্ষক-গবেষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসভিয়ার’ বিশ্বসেরা গবেষক তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ সায়েন্টিস্ট-২০২৫ (ওয়ার্ল্ড টপ টু পারসেন্ট সায়েন্টিস্ট) তালিকায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩৫ জন শিক্ষক ও গবেষক স্থান পেয়েছেন। যা দেশের সর্বোচ্চ বলে জানানো হয়।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত বছর এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি ও সহলেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণাক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান এবং বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চায় ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিফলন হবে বলে জানানো হয়।

স্বীকৃত গবেষক ও তাদের বৈশ্বিক অবস্থান
এম এ খালেক (১৬,২৯৪), মো. মঞ্জুর হাসান (২১,০৫৭), মুহাম্মদ ইব্রাহিম শাহ (৩৮,১২৯), মো. আব্দুল মুকতাদির (৩৮,৪৩৯), মো. রাকিবুল হক (৩৯,৮৭০), মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী (৬২,৭৪২), নেপাল চন্দ্র রায় (৭৭,২৪২), অমিত আবদুল্লাহ খন্দকার (৮০,৩০১), তসলিম উর রশিদ (৯০,৯৫৩), আব্দুস সালাম (৯৪,৫৯৫), মো. নাজমুল হাসান (৯৬,৩৬৯), কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ (৯৯,৫৭৮), মো. শাদ সালমান (১,০৫,৭৬৩), এম রেজাউল ইসলাম (১,০৬,৪১৬), মো. কাওসার আহমেদ (১,১১,৯৯৪), খাদিজা কুবরা (১,১৩,৭১৬), এম এস রহমান (১,১৭,১৭১), তাওসিফুর রহমান (১,১৯,১৬৭), আনিছুর রহমান (১,৩১,৩৫৩), সৈকত মিত্র (১,৩৫,৫২০) ও এম মঈনুল ইসলাম (১,৫২,৫৫৭)।
অন্যরা হলেন মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (১,৫৫,০৯৯), মো. আবু বিন হাসান সুসান (১,৭০,৪৮৩), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (১,৭১,৮১৬), এম ফেরদৌস (১,৭৭,৯৮৮), মো. আব্দুল কুদ্দুস (১,৮২,৪৩৭), মো. মাহমুদুল ইসলাম (২,৩৮,৩৫৫), মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা (২,৪৮,৮২০), মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৩,০৮,৮২০), মো. রবিউল হাসান (৩,৫৬,৬৪৮), আল সাকিব খান পাঠান (৩৫৭,১৮০), মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৭১,৬৫৬), অনিমেষ পাল (৩৮১,৫৯৩), শেখ এম এম ইসলাম (৩৯৫,৭৮৫) ও মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ (৪৩৮,২৭১)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষক ও গবেষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই স্বীকৃতি শুধু শিক্ষক ও গবেষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়। এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপাচার্য আরও বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য একটি টেকসই অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছর ধরে গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


‘উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষতি হয় এমন পরিবর্তন মানা হবে না’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজের জন্য প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নিয়ে এবার নিজেদের উদ্বেগের কথা জানাল ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্ররা। কলেজের ১৮৪ বছরের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ার করেছে—বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন বা সংকোচন যা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা তারা মেনে নেবে না। এসব বিষয় ভেবে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল সোমবার ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজটির উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলে। শিক্ষার্থীরা বলেছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সময়ে কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ কী হবে—এই বিষয়ে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

এর আগে গত বুধবার ঢাকার এ সাতটি কলেজের কয়েকশ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করেন এবং ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। শিক্ষকেরা কলেজগুলোর জন্য প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চান না। তাদের আশঙ্কা, এই কাঠামো বাস্তবায়িত হলে কলেজগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতির মুখে পড়বে। শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ কমে যাবে, শিক্ষকদের পদ-পদবি নিয়েও জটিলতা দেখা দেবে। ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে নারীশিক্ষার সুযোগও হুমকির মুখে পড়বে। এ জন্য শিক্ষকেরা বলছেন, সাতটি কলেজ ক্যাম্পাসকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়ার পরিবর্তে পৃথক ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো) স্থাপন করে কলেজগুলোকে এর অধিভুক্ত করা উচিত। যাতে বর্তমান ব্যবস্থা বহাল থাকে। নাম ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ থাকলেও আপত্তি নেই।

অন্যদিকে, প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করতে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করে আসা ওই সব কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষার্থীর দাবি—আজ সোমবারের মধ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে, না হলে বড় কর্মসূচিতে যাবে তারা। এ অবস্থায় এখন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে এই ছাত্ররা বলেছে তারা সাত কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে না।

ঢাকার এই সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছিল। ২০১৭ সালে এগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। সরকারি সাত কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো প্রতিটি কলেজে সব বিষয় পড়ানো হবে না। সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে (অনুষদের মতো) বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস; স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের জন্য সরকারি বাঙলা কলেজ এবং স্কুল অব বিজনেসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ; স্কুল অব ল অ্যান্ড জাস্টিসের জন্য কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীর। তবে সব ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সশরীর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একজন ছাত্র। এ সময় বেশকিছুসংখ্যক ছাত্র উপস্থিত ছিল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে, সেই বিবেচনায় এই কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও অংশীজন। কিন্তু দুঃখর বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো প্রক্রিয়ার কোথাও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম মতামত নেওয়া হয়নি। তারা রাষ্ট্রের এই অযৌক্তিক আচরণের নিন্দা জানায়। ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’–এর স্কুল অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। এটি হলে স্নাতকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ নামের প্রতিষ্ঠানের কোনো সংযোগ থাকছে না। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের নামফলকে ঢাকা কলেজ সরিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখার দাবি করা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা বলে ধরা যায়, যা হবে ঢাকা কলেজের অস্তিত্বের পরিপন্থী। আবার ‘টাইম শেয়ারিং’ মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস এবং এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নেওয়া কতটা বাস্তবসম্মত হবে সেটি নিয়ে তাদের উদ্বেগ আছে। তাদের আশঙ্কা— ভবিষ্যতে যখন উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, তখন এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক বিলুপ্তির দাবি জানাতে পারে। এছাড়া একই ক্যাম্পাসে দুটি কাঠামো সমস্যাজনক একটি বিষয়। আবার কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কোন কর্তৃপক্ষের অধীন হবে, তা–ও স্পষ্ট নয়। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন স্থানে কার্যক্রম পরিচালনায় রাজি নয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল রোববার ইউজিসিতে গিয়ে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ইউজিসি এ বিষয়ে আইনি সীমাবদ্ধতার কথা বলেছে এবং জানিয়েছে এটি তাদের এখতিয়ার–বহির্ভূত। ইউজিসি বিভিন্নভাবে তাদের আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু তাতে তারা আশ্বস্ত হতে পারছে না। কারণ, তাদের কথায় কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে তারা অভিভাবক হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এসব বিষয় দেখার অনুরোধ জানিয়েছে।


ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাস্থ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট শাখার সিনিয়র বিশেষজ্ঞ মি. ইচিরো আদাচির নেতৃত্বে ৮-সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন মি. হিরোনোরি নিশিকাওয়া, অধ্যাপক ড. কোজো ওয়াতানাবে, মিস মাকিকো ফিজিতা, মি. তোশিয়া সাতো, ড. মাসাহিরো টোকুমুরা, ড. বিজন কুমার মিত্র এবং ড. সুই কানাজাওয়া।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. ফাতিমা আক্তার এবং মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা জাইকা এবং জেএসটি’র অর্থায়নে ‘Implementing Water Quality Monitoring and Purification Technologies to Mitigate Health Risks for Antimicrobial Resistances (AMR) in the Dhaka Metropolitan Area’ শীর্ষক একটি যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ব্যাপারে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে প্রধান গবেষক (Principal Investigator) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই প্রকল্প গ্রহণের জন্য জাইকা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাইকার সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তিনি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।


ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ‘গুরুতর’ অভিযোগ তুলল ছাত্রদল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও প্রশাসন কালক্ষেপণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ডাকসুর পরাজিত ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচনে নানারকম জালিয়াতি ঘটেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় ছাত্রদল প্যানেলের আরো কয়েকজন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আবিদ বলেন, নির্বাচনে ভোটার চিহ্নিত করার জন্য যে মারকার পেন ব্যবহার করা হয় তা অস্থায়ী হওয়ায় একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছে ছাত্রদল। নির্বাচনের ব্যালট পেপার কোন প্রেস থেকে ছাপা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। এ নিয়ে সব অভিযোগ স্পষ্ট। এটাকে আড়াল করার সুযোগ নেই।

নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর ছিল না বলেও অভিযোগ তার।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই ছাত্রনেতা বলেন, আচরণবিধি সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় পোলিং অফিসাররা সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। পোলিং অফিসারদের দ্বারা বারবার মবের শিকার হয়েছে ছাত্রদলের প্রার্থীরা।

বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডের সহায়তায় একাধিক বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিয়েছে কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রদলের এই নেতা।

আবিদুল বলেন, পূর্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্রদল নতুন সংস্কৃতিতে এসেছে। নির্বাচনের দিন থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত অসামঞ্জস্যতা থাকলেও ছাত্রদল প্যানেল কোনো মিছিল-মিটিং কর্মসূচি করেনি। নির্বাচনে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতায় ফিরে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ তদন্ত করবে বলেও আশা করেন তিনি।


চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, ফাঁকা রাবি ক্যাম্পাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি) শুরু হয়েছে। পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাস পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে পড়েছে, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। প্রশাসন ভবনের সামনে ও বুদ্ধিজীবী চত্বরে বসে সময় কাটাচ্ছেন কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝুলছে।
ক্যাম্পাসের বাস চললেও শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি। খাবার দোকানগুলোতে আসন ফাঁকা, বেশিরভাগ দোকান বন্ধ।

গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে সভা শেষে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম। অফিসার সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন মার্কেট, আমতলা, টুকিটাকি চত্বরসহ জনবহুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই। একজন দোকানি নূর উদ্দীন বলেন, ‘এই সময়ে শিক্ষার্থীরা খাবার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন, কিন্তু আজ হাতেগোনা কয়েকজন এসেছেন।’

শিক্ষার্থী রাজু ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ক্যাম্পাসে অনেক ঘটনা ঘটেছে। কালকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হলো। মনে হচ্ছে না যে শীঘ্রই তা শুরু হবে। রাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ক্যাম্পাসে ছিলাম, এখন মনে হয় না যে নির্বাচন হবে!’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রাকসু নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ক্যাম্পাসে। প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। এর মধ্যে সে দিন সন্ধ্যায় বাতিল হয়ে যাওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পর থেকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল রোববার শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাঞ্ছিতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে এক দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে। আজ থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন।


রাবির সিন্ডিকেটেও ‘পোষ্য কোটা’ স্থগিতের সিদ্ধান্ত

পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরতদের সন্তানদের ভর্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। গতকাল রোববার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবের বাসায় এ বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আজ সোমবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভা শেষে বিকেল ৫টায় রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ সাংবাদিকদের জানান, সিন্ডিকেট প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। এছাড়া শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তও হবে।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, শনিবার প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিতের যে ঘোষণা হয়েছে, সে বিষয়টি সিন্ডিকেটকে জানানো হয়েছে। সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় আজ থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আমরা শুরু করছি না। সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল একজন উপউপাচার্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সিন্ডিকেট নিন্দা জানিয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশা প্রকাশ করেছেন, রাকসু নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং এর জন্য সব পক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নানাভাবে খবর পাচ্ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের গোলমাল লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অপচেষ্টার ব্যাপারে আমরা অবগত ছিলাম। এ ব্যাপারে শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি করেছি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করা হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাকসু নির্বাচন যথাসময়েই হবে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রাকসু নির্বাচন। আশা করছি যথাসময়ে হবে। এখন পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তারা আজ একটি কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু রাকসুর কার্যক্রম এর আওতামুক্ত ছিল। রাকসুর ব্যাপারে সিন্ডিকেট থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। রাকসু যেন যথাসময়ে হয়, সেজন্য সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

রাবিতে আগে কর্মরতদের সন্তানদের জন্য ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি উপাচার্য এটি বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর তারা দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর জরুরি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামে।

শনিবার বিকেলে উপউপাচার্য মাঈন উদ্দিনসহ তিন কর্মকর্তা জুবেরী ভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। পরে উপাচার্য মধ্যরাতে ঘোষণা দেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি আপাতত স্থগিত।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাতেই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা না দেওয়ায় তারা কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় রাকসু নির্বাচন এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে।

রাবি অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে না দেওয়ায় আমরা হতাশ। আজ থেকে আমরা কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছি।


ইউআইটিএস আয়োজন করছে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) আগামী অক্টোবর মাসে নিজস্ব খেলার মাঠে আয়োজন করতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫। টুর্নামেন্টে রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি. পর্যন্ত। আগামী ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে জমকালো আয়োজনে আসন্ন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হবে। দুই সপ্তাহব্যাপী টানটান উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতার পর ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গ্র্যান্ড ফাইনালের মধ্য দিয়ে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্ব, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ধাপে। বিজয়ী দল পাবে ১,০০,০০০ টাকা এবং রানার্স-আপ দল পাবে ৫০,০০০ টাকা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে ফুটবল হবে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং তরুণদের প্রতিভা বিকাশ, দলগত চেতনা ও খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবের প্রতীক। টুর্নামেন্টকে সফল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাব দায়িত্ব পালন করবে ভলান্টিয়ার হিসেবে।

আয়োজকরা আরও জানান, আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর মাধ্যমে তরুণদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা, পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করাই প্রধান লক্ষ্য।

শিক্ষায় উৎকর্ষ, উদ্ভাবন ও কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউআইটিএস বরাবরের মতোই শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম অঙ্গীকার


মধ্যরাতে রাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম ‘স্থগিত’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পূণর্বহালের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দিনভর অনশন, ধস্তাধস্তি আর উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখার পর মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা একযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জুবেরী ভবনে আসেন। পরে সেখান থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়েছে। রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য নিজ মুখে এসে তাদের সামনে বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা আর ভিক্ষা, একসাথে চলে না’, ‘অন টু থ্রি ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নিন, পোষ্য কোটা বাদ দিন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্রভা বিনতে রফিক বলেন, ‘আমরা ১৪ জুলাইয়ের মতোই আজ আবার রাজপথে নেমেছি। পোষ্য কোটার চূড়ান্ত বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।’

দিনভর উত্তেজনা ও হাতাহাতি

এর আগে দুপুর আড়াইটা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন এবং উপ-উপাচার্যের গাড়িতে টাকা ছুড়ে মেরে প্রতিবাদ জানান।

বিক্ষোভকারীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাইন উদ্দিনের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিলে তিনি ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে তিনি প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে নিয়ে জুবেরী ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেন। এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন। বিকেল সোয়া ৪টা থেকে উপ-উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে জুবেরী ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব মুঠোফোনে বলেন, ‘আগে আমি আমার প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার এবং প্রক্টরকে ফেরত চাই, তারপরই আলোচনায় বসব। আমরা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। কিন্তু এভাবে জিম্মি করে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আজকে তারা যা করেছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন হবে কিনা, তা শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে। তবে আমি রাকসু নির্বাচন নিয়ে খুবই আন্তরিক।’


ফ্রান্সে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন বিএসএফ-এর নেতৃত্বে নতুন মুখ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ফোরাম, ফ্রান্স (BSF) ২০২৫–২৬ মেয়াদের জন্য তাদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে। ফ্রান্সের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ও এলামনাই শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি আগামী এক বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, সামাজিক ও পেশাগত উন্নয়নে কাজ করবে।

নেতৃত্বে নতুন মুখ:

ঘোষিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল আলম সবুজ। সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন নূর জাহান শরীফা পূর্ণতা এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন রাসেল।

অন্যান্য পদে মনোনীতরা হলেন: মুখপাত্র, চৌধুরী আল ফারাবী, প্রধান সমন্বয়কারী, ঢালিয়া নিশাত, কোষাধ্যক্ষ, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহ মোস্তফা তাশফিন, প্রশাসক, মিজানুর রহমান,পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক, শামীম বিন শহীদ,তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ সম্পাদক,শাকিল চৌধুরী, ইভেন্ট ও লজিস্টিকস সম্পাদক, সেলিম হোসেন, আউটরিচ অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সম্পাদক, ইমরান হোসেন,শিক্ষা ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক, ওয়ালিদ ইসলাম, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক, সাদমান তামজিদ হোসেন,উপ-ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক, রাশাদুল ইসলাম, সদস্যপদ বিষয়ক সম্পাদক, রিহান তাহমিদ রায়হান,কমিউনিটি এনগেজমেন্ট সম্পাদক,ফারজানা রশনি অনন্যা।

নির্বাহী সদস্যদের পরিচিতি

এই মেয়াদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন: মুইন সরকার, ওবায়দুল হক শাহিন, ইভা অধিকারী, হাসনাত বিন সাঈদ, মো. তানভীর আহমেদ এবং আজহারুল ইসলাম ইমন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএসএফের পরিচিতি:

২০০০ সালের পর থেকে গঠিত হওয়া বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ফোরাম, ফ্রান্স (BSF) প্রবাসে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং ফরাসি সমাজে একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ফ্রান্সজুড়ে গণ-আন্দোলনের সময় বিএসএফ-এর আয়োজনে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে বীর হাকিম ব্রিজ, রিপাবলিক স্কয়ার, বাস্তিল এবং নেশন চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ছিল উল্লেখযোগ্য। ফ্রান্সের প্রখ্যাত গণমাধ্যম Libération ও Ouest-France-এ এই প্রতিবাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা সংগঠনটির আন্তর্জাতিক পরিচিতিকে আরও জোরালো করে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:

নবনির্বাচিত কমিটি কয়েকটি প্রধান লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ শুরু করেছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া আউটরিচ, সাংস্কৃতিক ও প্রফেশনাল কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানো। ফ্রান্স ও ইউরোপজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।

কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমাদের লক্ষ্য শুধু শিক্ষার্থীদের সেবা নয়, বরং একটি সুসংহত বাংলাদেশি কমিউনিটি গড়ে তোলা, যারা একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।


বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৪,০০০ পাউন্ড বৃত্তিসহ নতুন সুযোগ নিয়ে এলো ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্যের প্রথম যুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, যেটি ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য ৪,০০০ পাউন্ড বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে যার নাম "সাসেক্স বাংলাদেশ স্কলারশিপ"।

সাসেক্সে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর আবেদন ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্নাতকে ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০%। এটি প্রমাণ করে যে, যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিগ্রির প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।

বাংলাদেশে তাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সম্প্রতি ঢাকার শেরাটন হোটেলে একটি গেট-টুগেদারের আয়োজন করে সাসেক্স, যেখানে ৪০ জনেরও বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে যেসব প্রাক্তনরা উপস্থিত ছিলো, তারা বর্তমানে দেশের জনপ্রশাসন, শিক্ষা ও শিল্প খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বাংলাদেশে সাসেক্সের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং নতুন শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার বিভিন্ন দিক, যেমন: বৃত্তি, গবেষণা ও পেশাগত পরামর্শ এসব বিষয় উঠে আসে।

সাসেক্স বিজনেস স্কুলের শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বিষয়ক সহযোগী ডিন ড. সি. রাশাদ শাবাব বলেন, "ঢাকায় আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তনদের একসাথে দেখতে পেরে আমি গর্বিত। অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরারের মতো নেতৃস্থানীয়দের আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। একই সাথে, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে আগ্রহী সম্ভাবনাময়ীদের দেখতে পাওয়াটা অনুপ্রেরণাদায়ক"।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সাসেক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী (১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর) অধ্যাপক সি. আর. আবরার তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, “সাসেক্স শুধু আমার পড়াশোনার পথই তৈরি করেনি, বরং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার এবং জনসেবার প্রতি আমার আজীবনের লক্ষ্যও তৈরি করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক, বৈচিত্র্য ও সামাজিক সক্রিয়তার পরিবেশ আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আজকের বাংলাদেশী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আমি সেই একই উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি।“

সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্ক এবং গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্য দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক সুযোগগুলোতে প্রবেশে সহায়তা করে।


ইবির নবীন বরণে থাকছেন ইউজিসির চেয়ারম্যান ও ড. সলিমুল্লাহ খান

ড. এস এম এ ফায়েজ এবং ড. সলিমুল্লাহ খান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২ দিনব্যাপী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষ শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর ‘ফ্রেশার্স রিসিপশন-২৫’ নামে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রথমদিনে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং দ্বিতীয় দিনে দার্শনিক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান উপস্থিত থাকবেন।

মঙ্গলবার ফ্রেশার্স রিসিপশন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি ও অধ্যাপক ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, প্রথম দিনে (২০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ ও বিজ্ঞানভুক্ত তিন অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের এবং ২১ সেপ্টেম্বর থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, কলা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং সকল নবীনদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো. তানজীম উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ সময় ফ্রেশার্স রিসিপশন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি জানান, ‘আমাদের আয়োজন সম্পন্ন, আমরা চমৎকার একটা অনুষ্ঠান উপহার দিব। ইতোমধ্যে ১ টি সেন্ট্রাল কমিটির অধীনে ৬ টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।’


banner close