রোববার, ৩ আগস্ট ২০২৫
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন
মো. আশিকুর রহমান
প্রকাশিত
মো. আশিকুর রহমান
প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০৯:৩৯

‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে’- গানে এ কথা বলে গিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। প্রেম ও দ্রোহের কবি হয়ে তিনি তাঁর গানের চরণের মতোই বাংলা ভাষাভাষীর হৃদয়ে বেঁচে আছেন, থাকবেন। বিদ্রোহী, প্রতিবাদী, সুন্দরের উপাসক, জাতীয় জাগরণের প্রতিভূ এবং বহুমাত্রিক ঔজ্জ্বল্যে ঋদ্ধ নজরুল ভারত থেকে প্রথমবার বাংলাদেশের ত্রিশালে আগমন করেন। খুব শৈশবে তিনি এই ত্রিশালে এসেছিলেন। তার বর্ণাঢ্য কৈশোরকে আগলে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠা করা হয় তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের ২১তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় নামেই সমধিক পরিচিত।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন- এই তিনটি শব্দকে মোটো হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযাত্রা আমরা শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন- এই তিনটি উদ্দেশ্য নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষা বলতে বর্তমান সময়ের যুগোপযোগী শিক্ষা, দ্বিতীয় হচ্ছে গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা গবেষণা করবেন, প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কার করবেন এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণামনস্ক করে গড়ে তুলবেন- যাতে তারা ভবিষ্যতে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকেন।’

কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ভেঙে যে গড়তে জানে, সে চিরসুন্দর।’ এখানে সব ভেঙে গড়তে হচ্ছে। যারা গবেষণার ক্ষেত্রে বিমুখ ছিলেন, তাদের গবেষণায় আনতে হচ্ছে। তবে আশাব্যঞ্জক বিষয় হচ্ছে, আমরা গবেষণায় শিক্ষকদের যথেষ্ট সমর্থন পাচ্ছি। প্রথমবারের মতো আমরা আয়োজন করেছি গবেষণা মেলা। ইতোমধ্যে আমরা দুটো আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছি, যেখানে দেশ-বিদেশের বিদগ্ধ গবেষকরা অংশগ্রহণ করেছেন। নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য আমাদের এই অগ্রযাত্রা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য প্রতিবছর এ ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পাসকে ধারণ করতে হবে। আমরা প্রত্যেকে শুধু যার যার যে কাজ, সেই কাজটুকু ঠিকভাবে করলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব, যোগ করেন উপাচার্য।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জার্নাল যেটা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল, সেটা ছাপার দোরগোড়ায়। বিভিন্ন অনুষদ থেকে জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে, শিগগিরই প্রকাশিত হচ্ছে আইন অনুষদের জার্নাল। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে কলা অনুষদের জার্নাল ‘মানববিদ্যা’। এ ছাড়া আমাদের বিভাগগুলো থেকে জার্নাল প্রকাশ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগ, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ, ফোকলোর বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ নিজস্ব জার্নাল প্রকাশ করছে।

সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘কুম্ভীলব বৃত্তি বা প্লেগারজিম চেকার সফটওয়্যার সংযোজন করা হচ্ছে শিগগিরই। আইকিইউসি নানাবিধ গবেষণামূলক কাজ বিশেষত ট্রেনিংয়ের আয়োজন করছে। ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ নজরুলকে নিয়ে গবেষণার কাজ করছে। গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সবাই বহুবিধ কাজে ব্যস্ত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরির মাধ্যমে সেশনজট দূর করতে পেরেছি। আমরা বিভাগগুলোতে এমন কিছু বিষয় যুক্ত করার কথা ভাবছি যেগুলো যুক্ত হলে পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারবে। ত্রিশাল থেকে যেন একজন শিক্ষার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত হতে পারে, সে ব্যবস্থা ধীরে ধীরে করা হবে। এখানকার আইটি সেকশনকে গুরুত্ব দিয়ে এখানে একটা ইনস্টিটিউটের কথা প্রশাসন ভাবছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে সে ইনস্টিটিউট আমরা স্থাপন করতে পারব। আইসিটির মধ্য দিয়ে এখানকার প্রত্যেকটি ছেলেমেয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে।’

তিনি জানান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিলক্ষ্য হচ্ছে সাংস্কৃতিক শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসনবিষয়ক পঠন-পাঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটানো। দেশের আধুনিক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা এবং লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্বারা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা।

চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ

বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসে চলছে উন্নয়নের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ। ক্যাম্পাসের যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই অবকাঠামোর নির্মাণকাজ চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একনেকে অনুমোদিত ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোর উল্লেখযোগ্য হলো- ২ হাজার ৯৩২ বর্গমিটার আয়তনে ২য় প্রশাসনিক ভবন, ৯ হাজার ৯৬০ বর্গমিটার আয়তনের ১০ তলা ভবন যেখানে পাঁচটি ইনস্টিটিউট, আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ এবং আইটি স্পেস থাকবে, ৮২১ বর্গমিটার আয়তনের ৫ তলা অতিথি ভবন নির্মাণ, ৪২ হাজার ২৯৫ বর্গমিটার আয়তনের ১০ তলা একাডেমিক ভবন, ৫ হাজার ৩৩৬ বর্গমিটার আয়তনের স্কুল ও কলেজ ভবন নির্মাণ (নার্সারি হতে দ্বাদশ পর্যন্ত), ১৩ হাজার ৪৯৮ বর্গমিটার আয়তনের শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য ১০ তলা ইউটিলিটি ভবন নির্মাণ, ৬ হাজার ৩৪৭ বর্গমিটার আয়তনের শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য ১০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ, ১ হাজার ৫৭৩ বর্গমিটার আয়তনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ৬ তলা আবাস ভবন নির্মাণ, ৭ হাজার ৮১১ বর্গমিটার আয়তনের ৩ তলা মাল্টিপারপাস হল-কাম টিএসসি-কাম জিমনেসিয়াম ভবন নির্মাণ, ১ হাজার ০১৯ বর্গমিটার আয়তনের চিকিৎসা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (অফিস, হাসপাতাল ও আবাসিক সুবিধা সংবলিত), ২ হাজার ২৫২ বর্গমিটার আয়তনের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ ৩ তলা মসজিদ নির্মাণ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া রয়েছে ক্যাম্পাসের চারিদিকে নিরাপত্তার জন্য সবুজবেষ্টনী নির্মাণ, খেলার মাঠ উন্নয়ন- (ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, বাস্কেট বল কোর্ট, শিশুপার্ক ও বৃক্ষরোপণ), জলাশয়ে রিটেইনিং স্ট্রাকচার নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধন কাজ, সমগ্র ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ, ময়লা পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেইন ও কালভার্ট নির্মাণ ভূমি উন্নয়ন ইত্যাদি। নতুন অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় নানারকম সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং আয়োজনের জন্য একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। জয়ধ্বনি মঞ্চ ছাড়াও আরও বেশ কিছু মঞ্চ করা হবে।

‘দেখব এবার জগৎটাকে’

উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের নিমিত্ত প্রতিষ্ঠা লাভ করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাত্যাভিমানের প্রাচীর ডিঙিয়ে সাম্য-মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব এবং মানবতার বলিষ্ঠ প্রত্যয়ের নাম কাজী নজরুল ইসলাম। একইভাবে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একই প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবস্থায় ও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অর্জনের মাধ্যমে আলোকিত করছে এই নজরুলতীর্থকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞানার্জনের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, সে জন্য নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর আওতায় নিজেদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ-কর্মশালা আয়োজনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের ফেরদৌসী বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, আসাম ডাউনটাউন বিশ্ববিদ্যালয়, সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও দ্য ইনফিনিটি মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড রোবোটিক টেকনোলজি লিমিটেড।

এ ছাড়া সংগীত, নাট্যকলা বিভাগের প্রতিনিধিদল দেশের বাইরে নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে এবং পুরস্কৃত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাবের কার্যক্রমও উল্লেখ করার মতো। ন্যাশনাল ক্যাম্পাস জার্নালিজম ফেস্ট, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেইস কম্পিটিশন, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল, ন্যাশনাল সফট স্কিল ফেস্ট, জব ফেয়ার, ক্যারিয়ার ফেস্ট, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় আইডিয়া জেনারেশন কনটেস্টের মতো জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে সংগঠনগুলো। ক্যারিয়ার ও আত্মোন্নয়নের জন্য রয়েছে ক্যারিয়ার ক্লাব, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, রিসার্চ সোসাইটি, ডিবেটিং সোসাইটি, নৃ-তার্কিক সংঘ, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব, বিজনেস ক্লাব প্রমুখ। একইভাবে রয়েছে গ্রিন ক্যাম্পাস, রংধনু, সেভ দ্য টুমরো, নির্ভয় ফাউন্ডেশন, অরণ্য, ইনলেপ্ট, রোটারেক্ট ক্লাবের মতো স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংগঠন। নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে উইম্যান পিস ক্যাফে, উইমেন লিডার্সের মতো উদ্যোগ। আরও রয়েছে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন।

সাংস্কৃতিক মননে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর উদযাপিত হয় নজরুলজয়ন্তী, রবীন্দ্রজয়ন্তী, বারামখানার উদ্যোগে লালন স্মরণোৎসবের মতো আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসবমুখর আরও একটি অনবদ্য আয়োজন হচ্ছে ‘কুয়াশা উৎসব’। সংগীত, নাট্যকলা, ফিল্ম কিংবা চারুকলার মতো বিভাগগুলো এসব আয়োজনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।

‘তবু আমারে দেব না ভুলিতে’

জীবনের মাত্র অর্ধেকের মতো সময়কালে কাজী নজরুল ইসলামের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা ও বিপুলায়তন সৃষ্টি-সম্ভার বাংলা সাহিত্যে তো বটেই, বিশ্বের বিস্ময়। যে কারণে নজরুল অতুলনীয়, একক এবং সবার চেয়ে আলাদা বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। তিনি আমাদের মাঝে নেই, তবে তাঁর স্মৃতিকে চির জাগরুক রাখতে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছে কবির সাহিত্যকর্ম ও কবিপরিবারের সদস্যদের নামানুসারে। নজরুলের আদর্শ, চেতনা, ভাবনা, সাহিত্য, সংগীত ও নাটক ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি বিভাগে ১০০ নম্বরের ‘নজরুল অধ্যয়ন’ কোর্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নজরুলের সাহিত্যকর্মের ওপরে গবেষণার জন্য রয়েছে ‘ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ’ নামে একটি ইনস্টিটিউট। জাতীয় কবির বিভিন্ন গান, কবিতা, উপন্যাস, নাটক সর্বোপরি তাঁর জীবনী এবং জীবনকর্মের ওপর গবেষণা চলমান রাখার জন্য বিভিন্ন শাখায় পিএইচডি এবং এমফিল প্রোগ্রাম কোর্স চালু রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচলিত বৃত্তিগুলোর নামকরণ হয়েছে কবির পরিজনদের নামে ‘প্রমিলা বৃত্তি’, ‘বুলবুল বৃত্তি’, ‘কাজী অনিরুদ্ধ বৃত্তি’, ‘উমা কাজী বৃত্তি’।

নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ ও দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘দোলনচাঁপা’, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দুটি হলের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের নামকরণ করা হয়েছে গল্পগ্রন্থ ‘ব্যথার দান' এর নামানুসারে। নজরুলের ছোটবেলার ডাকনাম অনুযায়ী নামকরণ করা হয় উপাচার্যের বাসভবনের, ‘দুখু মিয়ার বাংলো’। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মোট তিনটি মঞ্চ। সবচেয়ে পুরোনো মঞ্চটির নাম নজরুলের জন্মস্থান চুরুলিয়ার নামে, ‘চুরুলিয়া মঞ্চ’। বাকি দুটো কবিতার নামে, ‘গাহি সাম্যের গান মঞ্চ’, ‘জয়ধ্বনি মঞ্চ’। প্রায় ছয় বছর আগে উদ্বোধন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধের, বিদ্রোহী কবিতার অমর এই চারটি শব্দে, ‘চির উন্নত মম শির’। বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে দুটি ক্যাফেটেরিয়া; যা ‘চক্রবাক’ ও ‘চন্দ্রবিন্দু’র নামে দুটো গ্রন্থের নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গেস্ট হাউসের নামকরণ করা হয়েছে নজরুলের লেখা একটি একাঙ্ক নাটক ‘সেতু-বন্ধ’-এর নামানুসারে। পরিবহনের জন্য রয়েছে নজরুল সাহিত্যকর্মের নামে নামাঙ্কিত সাম্যবাদী, ধূমকেতু, প্রভাতী, নতুন পথিক রণভেরী, প্রলয় শিখা, দূরের বন্ধু, আগমনী, ঝিলিমিলি, ঝিঙেফুল, বাঁধনহারা, অগ্রপথিক, বিদ্রোহী, কাণ্ডারি ও দুরন্ত পথিক নামের বাসগুলো। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের ঠিক পাশেই রয়েছে সুউচ্চ নজরুল ভাস্কর্য। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে একাধিক ম্যুরাল। লাইব্রেরিতে রয়েছে নজরুল কর্নার।

এক নবীনবরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল নবীন শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, ‘কী চমৎকার একটা বিশ্ববিদ্যালয়। এটা সেই জায়গা, যেখানে বিদ্রোহী কবি হেঁটে গিয়েছেন। আমি মঞ্চ থেকে দেখে ভাবছিলাম, কবি নিজেই হয়তো এই পথে দিয়ে হেঁটে গেছেন। আমি এখন সে পথ দিয়ে হাঁটছি। ভাবতে পার এটা কত বড় সৌভাগ্য।’

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতে অম্লান

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণে কবিপরিবার ও তার সৃষ্টিকর্মের নামের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্মানার্থে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা হয়। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রায় আড়াই হাজার আবাসন সক্ষমতাসম্পন্ন দুটি নতুন হল উদ্বোধন করা হয়। হল দুটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহধর্মিণীর নামে; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা শেখ বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সুউচ্চ ভাস্কর্য, যা নির্মাণ করেছেন ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী। প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বঙ্গবন্ধু হলে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। বঙ্গমাতা হলে রয়েছে বঙ্গমাতার ম্যুরাল। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বঙ্গবন্ধু হল, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রস্তাবিত গেটের নাম জয় বাংলা গেট ও জয় বঙ্গবন্ধু গেট।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের পাশে কবি নজরুল স্কুল প্রাঙ্গণের সামনের মাঠে এই পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। পার্কে শেখ রাসেলের আবক্ষ মূর্তি বসানো হবে। থাকবে শিশুদের জন্য নানারকম রাইড এবং অনুষ্ঠানের জন্য একটা অনুষ্ঠানস্থল থাকবে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যকে ঘিরে নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। সৌমিত্র শেখর জানান, ভাস্কর্য ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ারকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার জন্য আমরা প্রশাসনিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্কয়ার আমাদের তরুণ সমাজকে বিশেষভাবে আলোকিত করবে। স্কয়ারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে, যা ভাস্কর্যকে আরও বেশি গ্লোরিফাই করবে। আর ভাস্কর্যের ঠিক পেছনেই থাকবে প্রাকৃতিক জলাধার। মূলত বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হবে একটি প্রশান্তির বাতায়ন। বঙ্গবন্ধুর জীবন-ইতিহাস নিয়ে ছোট ছোট কিছু স্মারক রাখা হবে। কোথাও কোথাও বঙ্গবন্ধুর বই রাখা হবে, থাকবে বই পড়ার ব্যবস্থাও।

ক্যাম্পাস হবে নন্দনকানন

আমাদের ক্যাম্পাসটিকে একটি নন্দনকানন হিসেবে গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে রক্তন, বুদ্ধ নারিকেল, সুলতানচাঁপা, উদাল, সুপারি, অশোক, নাগলিঙ্গম, কুরচি, লোহা, গর্জন, শিমুল, পলাশ, আমলকী, বহেরা, হরতকী, নাগেশ্বর, পুত্রঞ্জীব, ঢাকিজাম, লাল সোনাইল, টিকোমা, সিভিটসহ নানা প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। উপাচার্য বলেন, ‘এখন আমাদের লড়াই হচ্ছে গাছকে রক্ষা করা। আমরা প্রতিনিয়ত গাছের ওখানে যাচ্ছি, কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি হলে তার সমাধান করছি, কোথাও জলের স্বল্পতা হলে জল দিচ্ছি। অর্থাৎ একটি গাছকে বড় করার জন্য যে পরিচর্যা দরকার, ইট দিয়ে বেষ্টনী বানিয়েছি। ইতোমধ্যে সর্বসম্মতভাবে জয় বাংলা ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জয় বাংলার মোড় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার পয়েন্ট। ইতোমধ্যে সীমানাপ্রাচীর দৃশ্যমান। এই প্রাচীরের চারপাশ দিয়ে রাস্তা হবে। এখানে জো বাইক সিস্টেম চালু করা হবে। এই সিস্টেমে শিক্ষার্থীরা সাইকেলে নিমিষেই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যাতায়াত করতে পারবে। আমাদের ইতোমধ্যেই এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে একটা নতুন বিশ্বরূপে গড়ে তুলতে চাই। যেটি হবে নজরুল বিশ্ব। এখানে পা রাখলেই মানুষ আরেকটা জগতে ঢুকবে। একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্ক হবে- তাঁরা হবেন নজরুল বিশ্বের সদস্য। একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য। এখানে ২৪ ঘণ্টা কাজের মতো পরিবেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। সেই পরিবেশ যদি গড়ে তুলতে পারি, তাহলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও বাড়বে বলে বিশ্বাস করি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো তিনটি ভবন কলা, বিজ্ঞান আর প্রশাসনিক। এর মাঝখানে মজা অবস্থায় থাকা পুকুর সংস্কার করে কাজ চলছে দৃষ্টিনন্দন আর আকর্ষণীয় সরোবর করার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী জমিন থেকে পুকুরের জলে উঠে আসবে একটি হাত, অঞ্জলি দেয়ার ভঙ্গিতে। যার নামকরণ করা হয়েছে, কাজী নজরুল ইসলামের গান থেকে ‘অঞ্জলি লহ মোর’। সরোবরটির চারিদিকে চমৎকার করে বাঁধাই করা হবে। তিনটে ভবনকে বাঁধবে একই সুতোয়। বিকেল পাঁচটা থেকে যন্ত্রে চলবে গান, মৃদুস্বরে, রাত ১০টা অবধি। মূলত নজরুল সংগীতই হবে, ক্লাসিকও কিছু হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার গমনাগমনের জন্য থাকবে এই সরোবরকেন্দ্র উন্মুক্ত।

স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রত্যয়

উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষাথে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর যে কথাটি বলেছিলাম, স্মার্ট ক্যাম্পাস চাই। পরবর্তী সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছেন, আমাদের চিন্তার সঙ্গে মিলে যায় সেটা। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে স্মার্ট ক্যাম্পাস। আর স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ার ক্ষেত্রে আমি শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন- এই তিনটি মোটোকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই স্মার্ট ক্যাম্পাসের অবকাঠামো ও একাডেমিক- উভয় দিক থেকে আমরা এমন অবকাঠামো গড়ে তুলব, যা হবে দৃষ্টিনন্দন। এখানে ভবনগুলো থাকবে সুসজ্জিত। ভবনগুলোর পাশাপাশি বৃক্ষ, লতাগুল্ম, পাখিসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকবে। পাশাপাশি থাকবে রাস্তার নিরাপত্তা। আমি স্বপ্ন দেখি, শিক্ষার্থীরা নিজস্ব সাইকেলে চলাফেরা করবে। এখানে বাইরের অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রত্যাশিত যানবাহন ঢুকবে না। ক্যাম্পাস সম্পূর্ণভাবে সিসিটিভির আওতায় থাকবে। এগুলো হচ্ছে অবকাঠামোগত দিক। আমরা একই সঙ্গে অ্যাকাডেমিক দিক থেকে এখানে এমন শিক্ষার্থী তৈরি করব, যারা লেখাপড়া শেষ করে বাইরে গিয়ে আলো ছড়াবে। এগুলো নিয়ে আমরা ভেতরে-ভেতরে অনেক পরিকল্পনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইছি আমাদের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দেবে। এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে ইতোমধ্যে আমাদের যে কারিকুলাম, তা আলোচনা-পর্যালোচনা করেছি ঢেলে সাজানোর জন্য। আমাদের স্মার্ট ক্যাম্পাস হবে স্মার্ট এডুকেশন। একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’

ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক নথি ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণে ডিজিটাল নথি (ডি-নথি) কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। নথির এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইলের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পাদিত হবে। উপাচার্যসহ সব পর্যায়ের অনুমোদনকারীরা যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় ফাইল অনুমোদন করতে পারবেন। এতে তাদের সময় সাশ্রয় হবে, কাগজ সাশ্রয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া প্রশাসন ও অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা বাড়বে।


৪৮তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর লিখিত (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিপিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য শুধু প্রবেশপত্র ও কালো কালি ব্যবহৃত বলপেন সঙ্গে রাখা যাবে। ৯টা ৩০ মিনিটে হলের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এর পর আর কোনো পরীক্ষার্থীকে হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে আসার সময় প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন ছাড়া অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী আনা যাবে না। আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এতে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রবেশপত্রে উল্লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম দেখে নিশ্চিতভাবে যথাযথ কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সময় হাতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ৪৮তম বিশেষ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত (এমসিকিউ-টাইপ) পরীক্ষা ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।


আশুলিয়া কলেজ প্রশাসনের ভুলে বিপাকে ১৮৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী

আপডেটেড ১৫ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৫৫
বাসস

শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন না নিয়েই পাঠদান এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের অভিযোগ উঠেছে সাভারের আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটির এই গাফিলতিতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এই তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পাঠদানের কোনো অনুমোদন না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ করেছে কলেজের অনুমোদনপ্রাপ্ত ভিন্ন ৩টি বিষয়ে।

এতে আরো বলা হয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পেয়েছে এবং তাতে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষা দানের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বোর্ডের সঙ্গে তারা কোনোরূপ যোগাযোগ করেনি। আবশ্যিক ৫টি পত্রের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৮৬ জন পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করে। কিন্তু ইতোমধ্যে পূর্ব নির্ধারিত সংখ্যক প্রশ্নপত্র সকল কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়ায় র্ব্ডো এদের পক্ষে কিছু করার ছিল না।

এতে উল্লেখ করা হয়, আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন আরও ৬টি কলেজে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের সংখ্যা মাত্র ২২ জন। অন্যদিকে আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৬ জন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ শতভাগ দায়ী। এ ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দিলে শিক্ষাঙ্গনে অনিয়ম ও অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং চাপের মুখে আরেকটি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়ার উদাহরণ সৃষ্টি হবে।


যশোরে ‘কেন্দ্রের ভুলে’ ৪৮ জন ফেল, সংশোধিত ফলে সবাই পাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যশোর সদর উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভুলে রসায়নে ফেল করেছিল ৪৮ জন পরীক্ষার্থী। রসায়ন পরীক্ষার ব্যবহারিক নম্বর যোগ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার তিন দিন পর রবিবার (১৩ জুলাই) ফলাফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলে দেখা যায়, ওই ৪৮ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৩২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জনের রসায়নের ব্যবহারিক নম্বর যোগ না হওয়ায় তাদের ফলাফল ফেল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।

ওই ৪৮ জনের একজন সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিয়ারাজ ইসলাম। সে জানায়, জিপিএ-৫ পাব বলেই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলে ১০টি বিষয়ের মধ্যে আটটিতে জিপিএ-৫, একটিতে এ গ্রেড এবং রসায়নে ফেল দেখানো হয়। তবে সংশোধিত ফলে তার জিপিএ-৫ এসেছে।

মিয়ারাজ বলে, ‘এই কয়দিন বাবা-মাসহ পরিবারের কারও খাওয়া-ঘুম ছিল না। বাড়ির সবার মন খারাপ ছিল। এখন জিপিএ-৫ পেয়ে সবাই খুব খুশি।’

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যশোর সদরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এ বছর ছয়টি বিদ্যালয়ের ৩২৯ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জন শিক্ষার্থী ছিল।

১০ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে রসায়নে অকৃতকার্য দেখানো হয়। ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখেন, রসায়নে সবাই ফেল করেছে।

এরপর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফল সংশোধনের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করেন।

বোর্ডে যাচাই করে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করা হয়নি। পরে কেন্দ্র থেকে পাঠানো ব্যবহারিক নম্বর যোগ করে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।

কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলী বলেন, ‘কেন বিজ্ঞান বিভাগের সবার রসায়নে ফেল দেখানো হলো তা আমরা বুঝতে পারিনি। ফল সংশোধনের আবেদন করার পর শিক্ষাবোর্ড গিয়ে সংশোধন করা হয়।’

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মতিন বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়নি। ফলে ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল অসম্পূর্ণ ছিল এবং সবার ফল ফেল এসেছে। কেন্দ্রের ভুলেই এমনটা হয়েছে। রোববার সংশোধিত ফল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের এই ভুল বা অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিইউএফটি’তে অনুষ্ঠিত হলো টেক্সটাইল হ্যাক ২০২৫: প্রোটোটাইপ বাজার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) সফলভাবে আয়োজন করেছে টেক্সটাইল হ্যাক ২০২৫: প্রোটোটাইপ বাজার। ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল টেক্সটাইল খাতে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং শিল্প ও শিক্ষার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা। দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষার্থী দলগুলো তাদের সৃজনশীল ও টেকসই সমাধানসমূহ লাইভ প্রোটোটাইপ প্রদর্শন ও পিচ সেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করে।

বিইউএফটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কারস্টেন্স। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিইউএফটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মোঃ মশিউল আজম সজল, বিইউএফটি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান, বিইউএফটি’র ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসাইন, ডিবিএল এর প্রধান সাসটেইনেবিলিটি অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল্লাহ, ন্যাশনাল ক্রাফটস কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান, শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক সোহেল আনোয়ার অপু, বিইউএফটি’র ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান শর্মিলী সরকার এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত দলগুলো তাদের উদ্ভাবনী ধারণা বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে, যার পরপরই অনুষ্ঠিত হয় প্রোটোটাইপ মার্কেটপ্লেস ও নেটওয়ার্কিং সেশন। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় শান্ত-মারিয়াম বিশবিদ্যালয়ের গ্রীন ওয়েভ, রানার আপ রংপুর টেক্সটাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফেব-বোর্ড এবং দর্শক মতামতের ভিত্তিতে বিইউএফটি’র ফেভ ৫ পুরস্কার লাভ করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিইউএফটি তার অঙ্গীকার, বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও তরুণ উদ্ভাবকদের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

উত্তরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শহিদ আবু সাঈদের এই বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই বিপ্লবের জন্য একটি ঐতিহাসিক নাম। আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় নানা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আগামী ১৬ জুলাই পালিত হতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকী ও ‘জুলাই শহিদ দিবস’। দিনটি উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বেরোবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী তিন দিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

এতে বলা হয়, ১৬ জুলাই ২০২৫ শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘জুলাই শহিদ দিবস-২০২৫’ উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১৩ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আগামী ১৬ জুলাই বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই সময়ে বেরোবির সকল শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে বেরোবি প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটি করা হয়েছে, যাতে ক্যাম্পাসে কেউ কোনো ধরনের শৃঙ্খলা নষ্ট না হয়। ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কার্ড থাকলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’

তাহলে নবীন শিক্ষার্থী যারা এখনও স্টুডেন্ট আইডি কার্ড পায়নি তাদের কী হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব বিভাগীয় প্রধানদের বলে দেব, শিক্ষার্থীরা যেন প্রক্টর অফিস থেকে কার্ড নিয়ে নেয়।’

এদিকে, আগামী ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা। দিনটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা। তারা হলেন— আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান।

সার্বিক বিষয়ে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের শাহাদাৎবার্ষিকীতে থাকবেন চার উপদেষ্টা। এ ছাড়া আরও ২১ জন শহিদ পরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এবং শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী তিন দিন কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না।


এডাস্টে "English for Work" শীর্ষক সেমিনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এডাস্ট) Skill Development Institute (SDI) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “English for Work” শীর্ষক এক মননশীল ও প্রাসঙ্গিক সেমিনার, যা তরুণদের বৈশ্বিক কর্মদক্ষতা ও যোগাযোগে পারদর্শিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শামসুল আলম লিটন, চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কেবল ডিগ্রি নয়, স্মার্ট কমিউনিকেশন স্কিল ও গ্লোবাল ওয়ার্ক কালচারের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দক্ষতাই একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। English for Work কর্মসূচি এই পরিবর্তনমুখী শিক্ষা ও দক্ষতার গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।”

সেমিনারে ব্যাংকক থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এসডিআই পরিচালক ড. আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন। তিনি বলেন, “এসডিআই শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজন তারই একটি অংশ, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করতে পারবে।”

সভাপতির আসন অলংকৃত করেন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, উপাচার্য, অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, কার্যকর উপস্থাপন কৌশল এবং গ্লোবাল ওয়ার্কফোর্সের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

সেমিনারে English for Work এর উপর লেকচার উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষক এবং সিনিয়র IELTS ইন্সট্রাকটর, মোজাম্মিল মোবারক হোসাইন, জান্নাতুল ফাহিম এবং মিরাজ হোসেন।

সেমিনারে এসডিআই কর্মকর্তা তানঝিম আরা ইঝুম এর সঞ্চালনায় এবং ব্যারিস্টার জাকির হোসেন এর তত্ত্বাবধানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিওটি সদস্য-সচিব মোঃ কামরুজ্জামান লিটু, চীফ একাডেমিক এডভাইজর অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. শহীদুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের এডভাইজর, রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল কাইউম সরদার, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আলোচনা পর্বের পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। Skill Development Institute (SDI) ভবিষ্যতেও এমন যুগোপযোগী কর্মসূচি নিয়মিতভাবে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।


এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা।

পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে। যেমন-১০১,১০২,১০৩।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।


৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস, ১৩৪টিতে সবাই ফেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত বছরের শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক-তৃতীয়াংশেরও নিচে।

ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অথচ, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।

অন্যদিকে, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সে হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা না হলেও সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।

এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে।


এসএসসি: বিদেশি পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে বিদেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে ৩৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৪ জন। ১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

এবার সারাদেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।

এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।


দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বোর্ডে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।

ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবারও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।


এসএসসি: ঢাকা বোর্ডে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

আপডেটেড ১০ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এসএসএসি পরীক্ষার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর এই বোর্ডে মোট পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।

এ বছর ঢাকা বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৮ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টা নাগাদ ফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ১ হাজার ৩০৯ জন।

এ বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রসহ মোট ৪৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিক্ষণের জন্যও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।


সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে সমার সেমিস্টার ২০২৫-এর নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (SEU) সামার সেমিস্টার ২০২৫-এ ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ২ ও ৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস দুইদিনব্যাপী নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক স্কুলের উদ্যোগে চারটি পৃথক সেশনের মাধ্যমে আয়োজিত এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২ জুলাই প্রথম সেশনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (SSE) এর অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুর মাহমুদ। একই দিনে দ্বিতীয় সেশনে SSE-এর আওতাধীন আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE), এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহিউদ্দিন আহমেদ (সেলিম)।

৩ জুলাই তৃতীয় সেশনে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (SASS) অর্থনীতি, ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। এ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এবং SANEM-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজিউল হক খোন্দকার।

সেদিনই চতুর্থ ও শেষ সেশনে সাউথইস্ট বিজনেস স্কুল (SBS) তাদের বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান, এফসিএ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর সিএফও। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের আহ্বান জানান।

সবগুলো সেশনে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম, SUP, ndu, psc (অব.) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সেশনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানগণও উপস্থিত ছিলেন।

এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সুবিধার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া, যাতে তারা একটি প্রাণবন্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারে।


৪৫তম বিসিএসের সাক্ষাৎকার ৮ জুলাই শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই থেকে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি।

এবার চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন কিংবা আবেদনের ক্রমও বহাল রাখতে পারবেন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করার আগে। তবে পছন্দক্রম পরিবর্তনের ফরমটি তাৎক্ষণিক চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি হাতে সরবরাহ করা হবে এবং তা পূরণ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডে জমা দিতে হবে।

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়কিভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ২০৬ জন, সাধারণ ও কারিগরি /পেশাগত উভয় ক্যাডারে ১৮১ জন এবং শুধু কারিগরি/পেশাগত ক্যারের পদগুলোর ৬৫ জনসহ মোট ৪৫২ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


banner close