স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা রওনাকুর সালেহীনের মূল ভাবনা ও পরিচালনায় চিল্ড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘দেশি ভূতের গাল-গপ্পো’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রওনাকুর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
চিল্ড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১৬ তম আসরে টানা তৃতীয়বারের মতো আগামী বৃহস্পতিবার ইয়াং ফিল্মমেকার লিস্টে ৮ তারিখ ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি অডিটরিয়াম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, সেগুন বাগিচায় দুপুর ২ ঘটিকায় এই চলচ্চিত্র দেখা যাবে। হরর কমেডি জনরার এই সিনেমাটিতে দেখা যাবে একজন লেখক ও বাংলা দেশীয় ভূতের আলাপচারিতা।
১৯ মিনিট স্বল্প দৈর্ঘ্য সিনেমাটিতে অভিনয় করেছে বর্তমানে আলোচিত জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত জয় রাজ এবং দেশের নাট্য অঙ্গনে আরেকজন প্রবীণ অভিনেতা শাহ্ আলম দুলাল। সহ শিল্পী ছিলেন শাহ্ নেওয়াজ মুর্তজ্জা।
চলচ্চিত্রের প্রযোজক ছিলেন আলফা আইয়ের পরিচালক শাহ্রিয়া শাকিল এবং ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার ছিলেন দেশের পরিচিত গুণী নির্মাতা অনিমেষ আইচ। “দেশী ভূতের গাল-গপ্পো”র চিত্রগ্রহণে ছিলেন হাসান জুয়েল, আর্ট ডিরেকশনে ছিলেন মৃত্তিকা রাশেদ, স্ক্রিপ্ট সুপারভাইজে মোর্শেদ ইসলাম, প্রধান সহকারী পরিচালক আদনান মাহমুদ সৈকত এবং সহকারী ছিলেন তাহভীর ইসলাম। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন রাবী আহমেদ এবং সম্পাদনা, আবহ সংগীত ও গীতকার হিসেবে কাজ করেছেন এহসান আল মিরাজ।
তরুণ নির্মাতার রওনাকুর সালেহীন বলেন, ‘বাংলাদেশের এই প্রথম কোনো চলচ্চিত্র উৎসবে “দেশী ভূতের গাল-গপ্পো” প্রদর্শন হচ্ছে। দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অথবা ভূত নিয়ে যে রুপকথার গল্প আমাদের দেশে পরিচিত তা হয়তো চলচ্চিত্রের ক্যানভাসে একটা প্রতিচ্ছবি তৈরি করেছে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা।
পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে। যেমন-১০১,১০২,১০৩।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত বছরের শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক-তৃতীয়াংশেরও নিচে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অথচ, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
অন্যদিকে, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সে হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।
বিগত বছরগুলোর মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা না হলেও সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।
এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে।
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে বিদেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে ৩৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৪ জন। ১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এবার সারাদেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বোর্ডে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।
ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবারও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।
এসএসএসি পরীক্ষার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর এই বোর্ডে মোট পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৮ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টা নাগাদ ফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ১ হাজার ৩০৯ জন।
এ বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রসহ মোট ৪৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিক্ষণের জন্যও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (SEU) সামার সেমিস্টার ২০২৫-এ ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ২ ও ৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস দুইদিনব্যাপী নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক স্কুলের উদ্যোগে চারটি পৃথক সেশনের মাধ্যমে আয়োজিত এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
২ জুলাই প্রথম সেশনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (SSE) এর অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুর মাহমুদ। একই দিনে দ্বিতীয় সেশনে SSE-এর আওতাধীন আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE), এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহিউদ্দিন আহমেদ (সেলিম)।
৩ জুলাই তৃতীয় সেশনে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (SASS) অর্থনীতি, ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। এ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এবং SANEM-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজিউল হক খোন্দকার।
সেদিনই চতুর্থ ও শেষ সেশনে সাউথইস্ট বিজনেস স্কুল (SBS) তাদের বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান, এফসিএ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর সিএফও। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের আহ্বান জানান।
সবগুলো সেশনে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম, SUP, ndu, psc (অব.) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সেশনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানগণও উপস্থিত ছিলেন।
এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সুবিধার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া, যাতে তারা একটি প্রাণবন্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারে।
৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই থেকে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি।
এবার চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন কিংবা আবেদনের ক্রমও বহাল রাখতে পারবেন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করার আগে। তবে পছন্দক্রম পরিবর্তনের ফরমটি তাৎক্ষণিক চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি হাতে সরবরাহ করা হবে এবং তা পূরণ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডে জমা দিতে হবে।
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়কিভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ২০৬ জন, সাধারণ ও কারিগরি /পেশাগত উভয় ক্যাডারে ১৮১ জন এবং শুধু কারিগরি/পেশাগত ক্যারের পদগুলোর ৬৫ জনসহ মোট ৪৫২ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে চীন দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চীন সফরে যোগদান করবেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আগামী ৬ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত (ভ্রমণ সময় ব্যতীত) মোট ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত পহেলা জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাশেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল খরচ বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দূতাবাস বহন করবেন। এতে বাংলাদেশ সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আর্থিক সম্পৃক্ততা থাকবেন না। মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে কর্মস্থলে যোগদান করবেন। ভ্রমণের একটি প্রতিবেদন তাঁর প্রত্যাবর্তনের ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এছাড়া উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইয়াকুব আলী উপাচার্যের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু জানান, উপাচার্যের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ তারিখে উপাচার্যের সফরে যাবেন। তিনি উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির চেয়ারম্যানের অধীনে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাচ্ছেন।
ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, ‘উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ইউজিসির অধীনে একটা বড় প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যাওয়া হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) উপাচার্যগণ সঙ্গে থাকবেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো “ক্লাব ফেস্ট–২০২৫”। বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদ্প্তর কর্তৃক আয়োজিত ২দিন ব্যাপী (১-২জুলাই, ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে উক্ত ক্লাব ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ক্লাব ফেস্ট চলে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
উৎসবটি উদ্বোধন করেন বুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মো. বদরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুদ।
উদ্বোধনী দিনে উপাচার্য মহোদয় অংশগ্রহণকারী ৩৩টি ক্লাবের প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন এবং ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলনে, “বুয়েটের শিক্ষার্থীরা শুধু অ্যাকাডেমিক নয়, সহশিক্ষা ক্ষেত্রেও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরনের আয়োজন তাদের নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা এবং মানবকি গুণাবলিকে বিকশিত করতে সহায়ক ভূমকিা রাখে।”
ক্লাব ফেস্টে প্রতিটি ক্লাব তাদের অ্যাকাডেমিক, সামাজিক, প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রর্দশনী উপস্থাপন করে। শিক্ষার্থীরা চিত্রাঙ্কন, ফান গেমস, সচেতনতামূলক আয়োজন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে ক্লাব কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে।
শিক্ষার্থীদের পদচারণা, ক্লাব সদস্যদের উদ্যম এবং দর্শনার্থীদের আগ্রহ এই আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আয়োজকরা জানান, প্রতি বছর ক্লাব ফেস্টে আয়োজনের মাধ্যমে বুয়েটের সহশিক্ষা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত ও গঠনমূলক হয়ে উঠছে।
মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে দেরি হওয়ায় এইচএসসির প্রথম দিন সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি আনিসা আহমেদ নামে এক পরীক্ষার্থী। ফলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
গতকাল শুক্রবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় প্রথম দিনের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা না দিতে পারার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেছেন, ‘মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেছেন, ‘তার এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু মায়ের মেজর স্ট্রোকের কারণে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেড় ঘণ্টা দেরি হয় ওই ছাত্রীর। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ মেলেনি তার। পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটের বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান তিনি।
এরপর সেদিন দুপুরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা না দিতে পারার ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাকে কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায়।
সে সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অন্য দায়িত্বরতরা জানান, নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ জানান অনেকে। অনেকে সমালোচনাও করেন। অবশেষে সরকারে নজরে আসায় কপাল খুলছে তার।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এ শুরু হতে যাচ্ছে ভর্তি মেলা, যা চলবে আগামী ২২ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত। ২০২৫ সালের ফল সেমিস্টারকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই মেলায় শিক্ষার্থীরা পাবেন ভর্তি ফি'তে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং বিশেষ স্কলারশিপের সুবিধা।
বিশ্বমানের শিক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তি ও বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে বিইউএফটি ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানে ফ্যাশন ডিজাইন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজি, কম্পিউটার সায়েন্স ও পরিবেশ বিজ্ঞানের মতো চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলোতে শিক্ষা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব, প্রফেশনাল ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সের ব্যবস্থা, যেখানে ৫০টিরও বেশি ল্যাব, ২০টিরও বেশি প্রফেশনাল প্রোগ্রাম এবং দক্ষ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পান। পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুযোগও পান।
বিইউএফটির বৈশ্বিক সংযোগও শিক্ষার্থীদের জন্য বড় একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া, চীন, কোরিয়া, জার্মানি সহ ৩০টিরও বেশি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং যৌথ গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ রয়েছে। ফলে বিদেশে পড়াশোনা এবং স্কলারশিপ পাওয়ার পথও খুলে যায়।
শুধু একাডেমিক নয়, বিইউএফটি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ২২টি স্টুডেন্ট ক্লাব, গবেষণা, ফ্যাশন শো, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ। এখানকার সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেই ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন।
বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হয়ে তরুণ শিক্ষার্থীরা গড়তে পারেন তাদের স্বপ্নের ভবিষ্যৎ। ভর্তি মেলায় অংশ নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা ও কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ রয়েছে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্স গত ১৮ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে, ১৬ তম কাউন্সিল সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামানকে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা প্রকৌশলবিদ্যায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে তাঁর প্রকৌশল ও বৈজ্ঞানিক মেধাকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ডিসটিংগুইশড অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল পরিবেশ বিজ্ঞান। তিনি আর্সেনিক কন্টামিনেশন, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, সারফেস এন্ড গ্রাউন্ড ওয়াটার কোয়ালিটি মডেলিং, এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, হেভি মেটাল স্পিসিয়েশন ও ট্রান্সপোর্টেশান ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করেন। গ্রাউন্ড ওয়াটারের আর্সেনিক দূষণ এবং প্রতিরোধের মডেলের উপর বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মালয়েশিয়ান ইনভেনশন এন্ড ডিজাইন সোসাইটি কর্তৃক প্রদত্ত আইটেক্স গোল্ড মেডেল লাভ করেন। প্রফেসর বদরুজ্জামান বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা করেছেন যা তাঁর গবেষণার ক্ষেত্রে একজন উদীয়মান গবেষক হিসেবে তাঁর পান্ডিত্য নির্দেশ করে। তিনি এখন পর্যন্ত মোট ইমপেক্ট ফ্যাক্টর স্কোর ৪২৫, ৬,০৭৩ টি সাইটেশন, এইচ সূচক ৩১, আই ১০ সূচক ৪৮ সহ চিত্তাকর্ষক মেট্রিকস অর্জন করেছেন। বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল অনুসন্ধানে তাঁর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং পরামর্শ কেবল প্রকৌশল বিদ্যাকে সমৃদ্ধি করেনি বরং গবেষকদের একটি নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান এবং আবিষ্কারের সন্ধান শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রফেসর বদরুজ্জামান বিভিন্ন কনফারেন্স সেমিনার I ওয়ার্কশপে e³…Zv প্রদানের মাধ্যমে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে থাকেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটিতে, এবং ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন-এ ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
দীর্ঘদিন থেকে চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমএস পরীক্ষার ফোলাফল প্রকাশ করা হয়নি ছয় মাসেও। ফলে উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগীয় সভাপতির অসহযোগিতা ও প্রশাসনিক জটিলতাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এবং বিভাগজুড়ে তৈরি হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমএস পরীক্ষা ২০২২ শুরু হয় ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর এবং শেষ ১ ডিসেম্বর। এই পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. সোমা চৌধুরী বিশ্বাস।
কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. রোকনুজ্জামান এবং সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঞা। পরীক্ষা শেষে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘লিভ প্রিপারেটরি টু রিটায়ারমেন্ট’ (এলপিআরে) গমন করেন অধ্যাপক ড. সোমা চৌধুরী বিশ্বাস। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পদটি শূন্য হয়ে যায়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, অ্যাকাডেমিক কমিটির মাধ্যমে নতুন সভাপতি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে কমিটির অন্য সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক চন্দন কুমার পোদ্দারকে একাধিকবার অনুরোধ করেন বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। তবে তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল এক জরুরি সভায় পরীক্ষা কমিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে ফল চূড়ান্তকরণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি দায়িত্ব পালন করে যথানিয়মে ফলাফল প্রস্তুতও করেন। তবে তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে জমা দিলে, অ্যাকাডেমিক কমিটির অনুমোদন ছাড়া সভাপতি মনোনীত হওয়ায় পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ ও প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম দুরবস্থায়।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। অনেকে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শুধু ফলাফল না পাওয়ার কারণে সুযোগ হারাচ্ছেন। এছাড়া পূর্ববর্তী ব্যাচের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফরম পূরণ এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষাও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনিক জটিলতায় তাদের পড়াশোনার স্বাভাবিক অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে, যা মানসিক চাপে ফেলে দিচ্ছে তাদের। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অবসরে যাওয়ার পর পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে বাকি সদস্যরা আমাদের ফলাফল প্রকাশ করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে, চেয়ারম্যান স্যার জানিয়েছেন, সিনিয়র কোনো সদস্য চাইলে ফল প্রকাশ করতে পারেন; কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে ফলাফল না হওয়ায় শুধু আমাদের ব্যাচ নয়,
পরবর্তী ব্যাচগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সোহেল মিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ফল প্রকাশে দীর্ঘবিলম্বের মূল কারণ চেয়ারম্যান স্যারের অসহযোগিতা। পরীক্ষা কমিটি প্রায় দুই মাস আগে ফলাফল প্রস্তুত করলেও তা এখনো প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। কারণ, চেয়ারম্যান স্যার অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ের মাধ্যমে নতুন পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠন করেননি। মেহরাব সাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পাশাপাশি এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। শিক্ষক ও প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে
দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সোমা চৌধুরী বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এলপিআরে ‘অবসর পূর্ব ছুটি’ যাওয়ার সময় পরীক্ষা কমিটির অন্য সদস্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। সিনিয়র সদস্য হিসেবে আমি মনিরুল ইসলাম স্যারকে ফলাফলে স্বাক্ষরের অনুরোধ করি। তবে তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা এড়ানো যেত যদি বিভাগীয় সভাপতি সময়মতো অ্যাকাডেমিক কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যাপক চন্দন কুমার পোদ্দারকে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা আহ্বান করেননি। তিনি নতুন সভাপতি নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করেছেন। যার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় ফল প্রকাশে অনিবার্যভাবে বিলম্বিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের কল্যাণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বের প্রতি অসচেতনতা প্রদর্শন করেছেন। আমাদের ইচ্ছে থাকার পরও আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পারিনি। কারণ ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।’