বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
১৬ আশ্বিন ১৪৩২

ঢাবিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য অর্থনীতি সম্মেলন শুরু

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:৪৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘Progress Towards Universal Health Coverage’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন গতকাল মঙ্গলবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বুশরা বিনতে আলম এবং ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের টিম লিডার মিস ফাহমিদা শবনব বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহমুদ খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞপ্তি


মাদ্রাসা শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা: ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় এই উপমহাদেশে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অবদান উল্লেখযোগ্য। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি।

বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য শত বছরের পুরনো। যুগে যুগে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। সুশিক্ষার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।

আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসার মতো আড়াইশো বছরের ঐতিহ্য সম্ভবত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসসহ বহু আলেম-ওলামা বেরিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে, মাদ্রাসা শিক্ষা না থাকলে ইসলামের ঐতিহ্য আদর্শ তমুদ্দিন কোন কিছুই বজায় রাখা সম্ভব হতো না। তাই সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে। এই শিক্ষাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। এর ঐতিহ্য শত বছরের।

উপদেষ্টা আরো বলেন, মাদ্রাসা হল আলেম-ওলামা তৈরীর কারখানা। বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ করাতে হবে। তবেই জীবনে সফলতা সম্ভব।

তিনি বলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।সূত্র :বাসস


শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা হারানোর পর এবার প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতাও হারাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ বা ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’।
এসব পদে সরকারের তদারকিতে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রক্রিয়ায় বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নির্ধারণে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত একটা হয়েছে, আগে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ পদগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি নিয়োগ দিত, এখন এ পদগুলোতে সরকার নিয়োগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি এটা নির্ধারণ করবে, এ পদগুলোতে কোন আদলে নিয়োগ দেবে, কারা করবে, এনটিআরসিএ করবে না, অন্য কেউ করবে কোনটাই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এ কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তুলে ধরেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ সব পদে নিয়োগে কোন নীতিমালা বা নিয়ম অনুসরণ করা হবে তা এ কমিটি নির্ধারণ করবে।’
আপাতত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রভাষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএ এর হাতে থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষমতা ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
গত সোমবার প্রকাশিত এক পরিপত্রে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কর্মচারী পদে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সভাপতি পদ থেকে ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’ সরিয়ে ডিসিদের এ দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে জানাতে এ কর্মশালা আয়োজন করে এনটিআরসিএ।
কর্মশালায় এনটিআরসিএ সদস্য এরাদুল হক, মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, পরিচালক তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, সংস্থাটির সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।


নেদারল্যান্ডসে ফুড সিস্টেমস প্রতিযোগিতায় সেরা তিনে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ ও নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ আয়োজিত ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের প্রেস রিলিজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান', যার লক্ষ্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্নিয়া ভবনে। সেখানে দলগুলো তাদের বাস্তবায়িত প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করে। পিচিং রাউন্ড, সম্মানিত জুরি বোর্ডের প্রশ্নোত্তর এবং অতিথিদের সামনে উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে একমাত্র অংশ নেয় বাকৃবির দুটি দল, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ ও ‘অ্যাকোয়াফোর’। দল দুটির প্রতিনিধিত্ব করেন বাকৃবির ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা ও ফুড সেফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শবনম ফেরদৌস। প্রতিযোগিতায় তাঁদের সমন্বয় ও পরামর্শ দেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

অসাধারণ কৃতিত্বের মাধ্যমে, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ দলটি শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পায় এবং অর্জন করে ৩,৫০০ ইউরোর গ্র্যান্ড প্রাইজ। অপরদিকে, ‘অ্যাকোয়াফোর’ দর্শকদের ভোটে ৫০০ ইউরোর ভিউয়ার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। বিজয়ী দলটি ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও ইয়াস-এর সহযোগিতায় পরিচালিত ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া নেদারল্যান্ডসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ফোন করে অভিনন্দন জানান।

আয়োজকরা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা কেবল পুরস্কার জেতার জন্য নয়, বরং তরুণদের সৃজনশীলতা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার জন্য।”

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ অর্জন জাতীয় গৌরবের পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার স্বীকৃতি এনে দিল।


ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে 'জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫' অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব আয়োজিত “জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. শামসুল হুদা, রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, ডিবেট ক্লাবের কো-অর্ডিনেট ও আইন বিভাগের লেকচারার মেহেরবা সাবরিন, এবং ক্লাবের সভাপতি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত ইবনে মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

৩২ টি কলেজের অংশগ্রহণে ইন্টার-কলেজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ মুখোমুখি হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিজয়ী হয় এবং সরকারি বাংলা কলেজ রানার আপের গৌরব অর্জন করে। এ পর্বে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ইমন আহমেদ।

অন্যদিকে, ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এর মধ্যে লড়াই হয়। এই প্রতিযোগিতায় বুটেক্স বিজয়ী হয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রানার আপ হয়। এ পর্বের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আলভি সালমান।

আয়োজকরা জানান, এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের তরুণ প্রজন্মকে যৌক্তিকতা, মুক্তচিন্তা ও নেতৃত্বের চর্চায় অনুপ্রাণিত করা।


বাংলাদেশি তরুণদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দেবে কোইকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং শিল্পখাতের অংশীজনদের যৌথ সহযোগিতায় কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) নতুন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করবে।

বাংলাদেশের তরুণদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন উদ্যোগের লক্ষ্য।

এ লক্ষ্যে রোববার ঢাকায় এক হোটেলে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং শিল্পখাতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

কোইকা'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। শিল্পখাতের অভিজ্ঞতা এবং বিএমইটি-এর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এ কর্মসূচি প্রাসঙ্গিক ও ফলপ্রসূ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।


ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানোর বিষয়ে যা বললেন ঢাবি উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানোর বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ব্যস্ততার কারণে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে গেছে বলে স্বীকার করেছে।

রোববার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন ইস্যু’ নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এ কথা বলেন। নীলক্ষেতে ছাপানোর বিষয়ে সরবরাহকারী ভেন্ডরের থেকে প্রশাসন ব্যাখ্যা নিয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে মূল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এতে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয়নি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ও প্রার্থীর বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে মূল ভেন্ডরের সাথে আলোচনা করে সমযোগ্য একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের অধীনে কাজে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ওই সহযোগী ভেন্ডর নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর তথ্যটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। এ ব্যাপারে আমরা তাদের থেকে ব্যাখ্যা নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, নীলক্ষেতে কাটিং শেষে প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা তাদের মূল অফিসে এনে প্রি-স্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। তারা ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা নেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ব্যস্ততার কারণে কর্তৃপক্ষকে তারা নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে যায় বলে স্বীকার করে।

উপাচার্য বলেন, ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে- সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়। যা থেকে প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান পর্ব শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালট প্যাকেটে সিলগালা করে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনো ভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। তারপর সুরক্ষা কোড আরোপ করে ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, এই প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন এবং ভোটার প্রতি ৬টি ব্যালট ছিল। মোট ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। মোট ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯২৬টি। অবশিষ্ট ব্যালট ৬০ হাজার ৩১৮।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি যে, কোন প্রার্থী যদি সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের বা কোন একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা পর্যালোচনা করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত কোননোস্থানে তা দেখতে বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত ভোটার তালিকা দেখানোর বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে তারা বলছে কোন প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে নির্দিষ্ট কারো স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করতে চায় সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দেখানো যেতে পারে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের ২৫টিতে জয় ছাত্রশিবির এবং তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি তিনজনের দুইজন স্বতন্ত্র এবং সদস্য পদে বামপন্থী সাতটি সংগঠনের প্রতিরোধ পর্ষদের হেমা চাকমা নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, স্বতন্ত্র উমামা ফাতেমার প্যানেলের কেউ নির্বাচিত হননি। এরপর থেকে তারা ডাকসু নির্বাচনে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ এনেছেন এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরাহা না করে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। এর মধ্যে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি সামনে এসেছে, এর আগে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল- ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানো হয়নি।


গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় হ্যাকাথন: হ্যাক দ্য এআই প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (জিইউবি)-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো HackTheAI Powered by SmythOS-এর গ্র্যান্ড ফিনাল। গ্রিন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ক্লাব (জিইউসিসি) যৌথভাবে আয়োজন করে চার দিনব্যাপী (২২–২৫ সেপ্টেম্বর) এই জাতীয় হ্যাকাথন, যেখানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতায় ৬০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪২টি দল নিবন্ধন করে। প্রাথমিক বাছাই শেষে ৫০টি দল ফাইনাল রাউন্ডে জায়গা পায়। ফাইনালে অংশ নেয় গ্রিন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শাবিপ্রবি, রুয়েট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, এআইইউবি, ডিআইইউ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, আইইউটি, জাস্ট, মাবিপ্রৌ, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ফাইনালে অংশগ্রহণকারীরা টানা ৮ ঘণ্টা ধরে তাদের উদ্ভাবনী ধারণা, কোডিং দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা উপস্থাপন করে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০ দল সরাসরি প্রেজেন্টেশনের সুযোগ পায়, যেখানে তাদের কাজ মূল্যায়ন করেন একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও SmythOS-এর বিশেষজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী।

প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের DU_Prometheus দল। প্রথম রানারআপ হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের Ontorponthik দল এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের Ginger দল। বিজয়ীরা নগদ ৬০০ মার্কিন ডলার পুরস্কারের পাশাপাশি SmythOS-এর সঙ্গে ৭০০+ ডলারের রিমোট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের সুযোগ পাবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে জিইউবির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিনির্ভর নেতৃত্ব বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। আয়োজক সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবিব অংশগ্রহণকারী, বিচারক, অতিথি ও অংশীদারদের ধন্যবাদ জানান। এছাড়া উদ্বুদ্ধমূলক বক্তব্য দেন মি. আরিফ ইস্তিয়াক সানি, সিনিয়র এআই ইঞ্জিনিয়ার, ব্রেইন স্টেশন ২৩।

HackTheAI ২০২৫ প্রমাণ করেছে যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি, সহযোগিতা ও বাস্তব সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করায় এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল বিশ্বে দক্ষতা ও সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের সক্ষম করে, যা জিইউবির ভিশনকে আরও সুসংহত করেছে।


বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট প্রোগ্রামের অধীনে “স্মার্ট পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: এমপাওয়ারিং ইকোনমিক প্রোসপারিটি উইথ এআই বুটক্যাম্প" শীর্ষক প্রশিক্ষণ আয়োজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এর ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ) এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চার সপ্তাহব্যাপী ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট প্রোগ্রামের অধীনে “স্মার্ট পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: এমপাওয়ারিং ইকোনমিক প্রোসপারিটি উইথ এআই বুটক্যাম্প" শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করা হয়। প্রোগ্রামটি বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। প্রোগ্রামটিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এর ফুলব্রাইট প্রেগ্রাম স্পেশালিস্ট ডঃ বুরাক চানকায়া, সহযোগী অধ্যাপক, ডিসিশন সায়েন্সেস অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স বিভাগ, এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ। প্রোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, অনুষদ সদস্যবৃন্দ এবং সরকারি ও বেসরকারি মেরিটাইম স্টেকহোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং খুলনা শিপইয়ার্ড সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মানিত চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল, এনপিপি, এনডিসি, পিএসসি উক্ত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দুপুর ২টা ৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে উক্ত প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল ড. খন্দকার আক্তার হোসেন, এনইউপি, এনডিসি, পিএসসি, পিএইচডি। অনুষ্ঠানে ইউজিসির স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. দুর্গা রানী সরকার, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক এঙ্গেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক রিচার্ড ব্রুনার এবং ইউএস স্পিকার ফিলিপ গ্রোভ, ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, এলিকট ড্রেজ এন্টারপ্রাইজেস, এলএলসি উপস্থিত ছিলেন। উক্ত প্রোগ্রামে দেশের বন্দরসমূহের আধুনিকীকরণ, স্মার্ট বন্দর পরিচালনা, বন্দরে আর্ফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর ব্যবহার এবং ডিজিটালাইজড মেরিটাইম লজিস্টিকসের পাঠ্যক্রম আধুনিকীকরণ এবং দক্ষ জনবল তৈরীতে করনীয় বিষয়সমূহ আলোচিত হয়।


বিইউপিতে ‘Disaster Management Exercise (DMX) 4.0’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর বিজয় অডিটোরিয়ামে 'Disaster Management Exercise (DMX) 4.0'-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিইউপির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (ডিএমআর) বিভাগ এ আয়োজন করে, যার বিষয়বস্তু ছিল ‘Earthquake in Bangladesh: Strengthening Urban Preparedness’।

দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি দল সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। তারা ভূমিকম্প মোকাবিলায় কার্যকর প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করে এবং সৃজনশীল ধারণা উপস্থাপন করে। দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে প্যানেল আলোচনা, পোস্টার প্রদর্শনী, এবং টেবিল-টপ এক্সারসাইজ (টিটিএক্স) এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নগর এলাকায় ভূমিকম্প মোকাবিলায় নতুন কৌশল ও নীতিগত প্রস্তাবনা তুলে ধরে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি। উপাচার্য একটি সহনশীল ও প্রস্তুত জাতি গঠনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার অপরিহার্যতা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলোর হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিইউপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।


শিক্ষার্থীদের জরিপে ইবি উপাচার্য অকৃতকার্য, গড় রেটিং ২.৪৫

এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্ষিক কার্যক্রম নিয়ে জরিপ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্বগ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তার বার্ষিক কার্যক্রম নিয়ে জরিপ চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে ১০ এর মধ্যে ২.৪৫ নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে ইবি সংস্কার আন্দোলন কর্তৃক পরিচালিত এ জরিপের ফল প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করে তারা। জরিপটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩১২ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ অনলাইন ও অফলাইনে এ জরিপ পরিচালনা করে সংগঠনটি।

জরিপ অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থী সর্বমোট ১০ নম্বরে চার ক্যাটাগরিতে উপাচার্যকে তার গত একবছরের কাজের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করেন। এতে ১-৩ নম্বর খারাপ, ৪-৬ মোটামুটি, ৭-৮ ভালো এবং ৯-১০ অতি ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে উপাচার্য সর্বমোট ৩২১৬ নম্বর পান যা গড় করে ২.৪৫ হয়। এটি রেটিং ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১-৩ অর্থাৎ খারাপ ক্যাটাগরিতে পরে।

শিক্ষার্থীরা গত ১ বছর উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ১০টি বিষয় মূল্যায়ন করেছে। এগুলো হলো: ১. সেশনজট নিরসনে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা তদারকি, সেশনজট ও পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট নিরসনে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা কতটা কার্যকর হয়েছে? ২. সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে উপাচার্য মহোদয় কতটা সফল হয়েছে? ৩. ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও পরিবেশবান্ধব করতে উপাচার্যের পদক্ষেপ কতটা সন্তোষজনক ছিল? ৪. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনে উপাচার্যের ভূমিকা কতটুকু? ৫. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকীকরণ তথা অনলাইন ব্যাংকিং, ল্যাব, সনদ উত্তোলন ও ওয়েবসাইটের আধুনিকায়নে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা কতটা উন্নয়নমূলক ছিল? ৬. আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি ও মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ৭. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি ও তা সমৃদ্ধ করার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ৮. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা কতটা সন্তোষজনক? ৯. বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা, বিভাগগুলোতে ছাত্রী কমনরুম নিশ্চিত ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ১০. পরিবহন সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত বাস বরাদ্দ, ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণ, দক্ষ চালক নিয়োগ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?

জরিপকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের জরিপে দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী উপাচার্য সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এমনকি প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে অনেকেই বলেছেন ‘অথর্ব প্রশাসন’। অনেকেই বলেছেন প্রশাসনকে দ্রুতই দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা মনেকরি গত একবছরে উপাচার্য মহোদয় যে কাজ করেছেন তাতে তিনি অকৃতকার্য। গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রয়োজন ১০৮০ জন। কিন্তু আছে মাত্র ৪০০ এর কিছু অধিক শিক্ষক। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি ১০৮০ জন শিক্ষার্থীকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা স্ক্যান করলে অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীর তথ্য চলে আসে।

জানা যায়, জরিপে ইবির ৮৭৬ জন আবাসিক ও ৪৩৬ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৬ জন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৮০ জন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১৮১ জন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৪৫ জন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ২৯৩ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ২৩৪ জন এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, জুলাই বিপ্লবের পর গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও ইবির আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংস্কারের উদ্দেশ্যে ১৫ দফা দাবি পেশ করেন এবং ইবি সংস্কার আন্দোলন নামে একটি প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেন। সে প্ল্যাটফর্ম থেকেই এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে আজ বুধবার প্রশাসনকে সতর্কতামূক হলুদ কার্ড দেখাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।


স্ট্যানফোর্ডের বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় ঢাবির ৩৫ শিক্ষক-গবেষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসভিয়ার’ বিশ্বসেরা গবেষক তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ সায়েন্টিস্ট-২০২৫ (ওয়ার্ল্ড টপ টু পারসেন্ট সায়েন্টিস্ট) তালিকায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩৫ জন শিক্ষক ও গবেষক স্থান পেয়েছেন। যা দেশের সর্বোচ্চ বলে জানানো হয়।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত বছর এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি ও সহলেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণাক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান এবং বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চায় ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিফলন হবে বলে জানানো হয়।

স্বীকৃত গবেষক ও তাদের বৈশ্বিক অবস্থান
এম এ খালেক (১৬,২৯৪), মো. মঞ্জুর হাসান (২১,০৫৭), মুহাম্মদ ইব্রাহিম শাহ (৩৮,১২৯), মো. আব্দুল মুকতাদির (৩৮,৪৩৯), মো. রাকিবুল হক (৩৯,৮৭০), মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী (৬২,৭৪২), নেপাল চন্দ্র রায় (৭৭,২৪২), অমিত আবদুল্লাহ খন্দকার (৮০,৩০১), তসলিম উর রশিদ (৯০,৯৫৩), আব্দুস সালাম (৯৪,৫৯৫), মো. নাজমুল হাসান (৯৬,৩৬৯), কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ (৯৯,৫৭৮), মো. শাদ সালমান (১,০৫,৭৬৩), এম রেজাউল ইসলাম (১,০৬,৪১৬), মো. কাওসার আহমেদ (১,১১,৯৯৪), খাদিজা কুবরা (১,১৩,৭১৬), এম এস রহমান (১,১৭,১৭১), তাওসিফুর রহমান (১,১৯,১৬৭), আনিছুর রহমান (১,৩১,৩৫৩), সৈকত মিত্র (১,৩৫,৫২০) ও এম মঈনুল ইসলাম (১,৫২,৫৫৭)।
অন্যরা হলেন মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (১,৫৫,০৯৯), মো. আবু বিন হাসান সুসান (১,৭০,৪৮৩), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (১,৭১,৮১৬), এম ফেরদৌস (১,৭৭,৯৮৮), মো. আব্দুল কুদ্দুস (১,৮২,৪৩৭), মো. মাহমুদুল ইসলাম (২,৩৮,৩৫৫), মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা (২,৪৮,৮২০), মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৩,০৮,৮২০), মো. রবিউল হাসান (৩,৫৬,৬৪৮), আল সাকিব খান পাঠান (৩৫৭,১৮০), মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৭১,৬৫৬), অনিমেষ পাল (৩৮১,৫৯৩), শেখ এম এম ইসলাম (৩৯৫,৭৮৫) ও মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ (৪৩৮,২৭১)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষক ও গবেষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই স্বীকৃতি শুধু শিক্ষক ও গবেষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়। এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপাচার্য আরও বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য একটি টেকসই অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছর ধরে গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


‘উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষতি হয় এমন পরিবর্তন মানা হবে না’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজের জন্য প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নিয়ে এবার নিজেদের উদ্বেগের কথা জানাল ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্ররা। কলেজের ১৮৪ বছরের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ার করেছে—বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন বা সংকোচন যা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা তারা মেনে নেবে না। এসব বিষয় ভেবে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল সোমবার ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজটির উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলে। শিক্ষার্থীরা বলেছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সময়ে কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ কী হবে—এই বিষয়ে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

এর আগে গত বুধবার ঢাকার এ সাতটি কলেজের কয়েকশ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করেন এবং ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। শিক্ষকেরা কলেজগুলোর জন্য প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চান না। তাদের আশঙ্কা, এই কাঠামো বাস্তবায়িত হলে কলেজগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতির মুখে পড়বে। শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ কমে যাবে, শিক্ষকদের পদ-পদবি নিয়েও জটিলতা দেখা দেবে। ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে নারীশিক্ষার সুযোগও হুমকির মুখে পড়বে। এ জন্য শিক্ষকেরা বলছেন, সাতটি কলেজ ক্যাম্পাসকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়ার পরিবর্তে পৃথক ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো) স্থাপন করে কলেজগুলোকে এর অধিভুক্ত করা উচিত। যাতে বর্তমান ব্যবস্থা বহাল থাকে। নাম ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ থাকলেও আপত্তি নেই।

অন্যদিকে, প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করতে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করে আসা ওই সব কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষার্থীর দাবি—আজ সোমবারের মধ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে, না হলে বড় কর্মসূচিতে যাবে তারা। এ অবস্থায় এখন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে এই ছাত্ররা বলেছে তারা সাত কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে না।

ঢাকার এই সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছিল। ২০১৭ সালে এগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। সরকারি সাত কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো প্রতিটি কলেজে সব বিষয় পড়ানো হবে না। সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে (অনুষদের মতো) বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস; স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের জন্য সরকারি বাঙলা কলেজ এবং স্কুল অব বিজনেসের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজ; স্কুল অব ল অ্যান্ড জাস্টিসের জন্য কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীর। তবে সব ধরনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সশরীর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একজন ছাত্র। এ সময় বেশকিছুসংখ্যক ছাত্র উপস্থিত ছিল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে, সেই বিবেচনায় এই কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও অংশীজন। কিন্তু দুঃখর বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো প্রক্রিয়ার কোথাও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম মতামত নেওয়া হয়নি। তারা রাষ্ট্রের এই অযৌক্তিক আচরণের নিন্দা জানায়। ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’–এর স্কুল অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। এটি হলে স্নাতকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ নামের প্রতিষ্ঠানের কোনো সংযোগ থাকছে না। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের নামফলকে ঢাকা কলেজ সরিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখার দাবি করা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা বলে ধরা যায়, যা হবে ঢাকা কলেজের অস্তিত্বের পরিপন্থী। আবার ‘টাইম শেয়ারিং’ মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস এবং এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নেওয়া কতটা বাস্তবসম্মত হবে সেটি নিয়ে তাদের উদ্বেগ আছে। তাদের আশঙ্কা— ভবিষ্যতে যখন উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, তখন এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিক বিলুপ্তির দাবি জানাতে পারে। এছাড়া একই ক্যাম্পাসে দুটি কাঠামো সমস্যাজনক একটি বিষয়। আবার কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কোন কর্তৃপক্ষের অধীন হবে, তা–ও স্পষ্ট নয়। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন স্থানে কার্যক্রম পরিচালনায় রাজি নয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল রোববার ইউজিসিতে গিয়ে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ইউজিসি এ বিষয়ে আইনি সীমাবদ্ধতার কথা বলেছে এবং জানিয়েছে এটি তাদের এখতিয়ার–বহির্ভূত। ইউজিসি বিভিন্নভাবে তাদের আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু তাতে তারা আশ্বস্ত হতে পারছে না। কারণ, তাদের কথায় কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে তারা অভিভাবক হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এসব বিষয় দেখার অনুরোধ জানিয়েছে।


ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাস্থ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট শাখার সিনিয়র বিশেষজ্ঞ মি. ইচিরো আদাচির নেতৃত্বে ৮-সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন মি. হিরোনোরি নিশিকাওয়া, অধ্যাপক ড. কোজো ওয়াতানাবে, মিস মাকিকো ফিজিতা, মি. তোশিয়া সাতো, ড. মাসাহিরো টোকুমুরা, ড. বিজন কুমার মিত্র এবং ড. সুই কানাজাওয়া।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. ফাতিমা আক্তার এবং মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা জাইকা এবং জেএসটি’র অর্থায়নে ‘Implementing Water Quality Monitoring and Purification Technologies to Mitigate Health Risks for Antimicrobial Resistances (AMR) in the Dhaka Metropolitan Area’ শীর্ষক একটি যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ব্যাপারে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে প্রধান গবেষক (Principal Investigator) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই প্রকল্প গ্রহণের জন্য জাইকা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাইকার সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তিনি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।


banner close