বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুটি অডিটোরিয়ামের অধিকাংশ এসিই নষ্ট, প্রায় ক্লাসরুমে ফ্যান ও বাতি নষ্ট। আবার কিছু ক্লাসরুমে নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। এতে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে রীতিমতো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে এগুলো নষ্ট হলেও প্রতিকারে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি প্রশাসন, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলরুমে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। নিয়মিতই কোনো না কোনো বিভাগের পরীক্ষা ও অনুষ্ঠান হয় এই হলরুমে। এই হলরুমের ছয়টি এসির মধ্যে ৪টিই অচল।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি অডিটোরিয়াম হলের ১২টি এসির মধ্যে ছয়টি এসিই চলে না, ৪৫টি বাল্ব নষ্ট। জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স রুমে ছয়টি এসির দুটি চলে না এবং ১৪টি বাল্ব নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অন্যদিকে কীর্তনখোলা হলের ছয়টি এসির মধ্যে চারটি এসি চলে না, রিমোট না থাকায় বাকি দুটি এসিও চালানো সম্ভব হয় না। এই হলের ৪৮টি বক্স টিউবলাইটের মধ্যে ৩১টিই জ্বলে না।
‘পরীক্ষার হলে গরমে অতিষ্ঠ ছিলাম। কোনো ফ্যান ছিল না আবার এসিও নষ্ট, সেখানে অবস্থা খুবই ভয়াবহ ছিল। প্রচণ্ড ঘেমে যাচ্ছিলাম। খাতা ভিজে যাচ্ছিল। আর দু-একটা এসি চলে তাও না চলার মতো। যেকোনো অনুষ্ঠান বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই ওখানে। বিশেষ করে গরমের সময়ে। এ ছাড়া ক্লাসরুম ও কনফারেন্স হলে অনেক লাইট নষ্ট হয়ে আছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।’ কথাগুলো বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওসমান গনি।
বিশ্ববিদ্যায়ের স্টেট শাখা জানায়, রেজিস্ট্রার শাখা থেকে সমস্যা উল্লেখ করে গত ৩০ আগস্ট প্রকৌশল শাখা বরাবর চিঠি দিলেও তা এখনো সমাধানের মুখ দেখেনি। এদিকে প্রকৌশল শাখা বলছে, তারা বিষয়টি সরেজমিনে দেখে উপাচার্য বরাবর অনুমোদনের জন্য দিয়েছেন। তবে কেয়ারটেকারের গাফিলতিতে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, কেয়ারটেকার ঠিকমতো বিষয়গুলো দেখেন না। এসির রিমোটও হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠান চলাকালে তাদের পাওয়া যায় না। সময়মতো সমস্যাগুলো অবহিতও করে না। ফলে ছোট সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করে।
ক্লাসরুম সংকট কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলভবন নামে দুটি অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে। ভবনটির দুটি কক্ষ ১০১ এবং ১০২ নম্বর কক্ষের কোনো ফ্যানই চলে না। ভবনের আশপাশে কোনো গাছও নেই। তাই গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
এস্টেট অফিসার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, সমস্যাটা আমরা লিখিত আকারে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জানিয়েছি। বিষয়টি এখন কর্তৃপক্ষের। দেড় বছর না দুই বছর ধরে এ সমস্যা সে কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এর মাঝে ঠিক করছি আবার নষ্ট হয়েছে। তবে আমার কাছে মনে হয় এই প্রকৌশল শাখা যথেষ্ট ঢিলে। এরা আবেদন করতে বলে কিন্তু ফলাফল কিছুই হয় না।’
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন অর রশিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভবনে সমস্যাগুলো দেখার জন্য একজন করে কেয়ারটেকার আছে। সে যদি আমাদের সমস্যার কথা চিঠির মাধ্যমে জানায়, তখন আমরা সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর ফাইল নোট উপস্থাপন করি। কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে আমরা কাজ শুরু করতে পারি। তবে অনুমোদন দেয়ার পর কোনো কাজ হয়নি এমন নজির নেই।’
এ বিষয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরমে ফ্যান না থাকলে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করব। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সব সময় কাজ করব।’
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখন থেকে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় গত বুধবার একথা জানানো হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন প্রসঙ্গে বলা হয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ২টি পছন্দক্রম (২টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।
আরও বলা হয়, বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬+ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে।
যেমন- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
নীতিমালায় বলা হয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভর্তির তারিখ এবং ফি সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)। বুধবার প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৫’-এ দেখা গেছে, প্রথম ৮০০-এর তালিকায় নেই বাংলাদেশের একটি বিশ্বিবিদ্যালয়েরও নাম।
তবে ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের ৫ বিশ্ববিদ্যালয়।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর রয়েছে বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
গত বছরের র্যাঙ্কিংয়ে দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। গতবারের তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম থাকলেও এবার আছে ৮ম স্থানে। বৈশ্বিকভাবে ১০০১-১২০০তম অবস্থানে আছে দেশের এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও এ বছর সেরা ১০-এর মধ্যেও নেই। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১১তম এবং বৈশ্বিকভাবে ১০০১-১২০০তম অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বছর তালিকায় বাংলাদেশ থেকে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি সরাসরি র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে। বাকি সাতটি জায়গা পেয়েছে রিপোর্টার হিসেবে।
তালিকায় ১০০১-১২০০-এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, কুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১২০১-১৫০০-এর তালিকায় আছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
রিপোর্টার হিসেবে থাকা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার মান, শিক্ষায় গবেষণার পরিবেশ, গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থান, ইন্ডাস্ট্রিতে সংযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্ভাবনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান বিবেচনায় নিয়ে টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়।
২০২৫ সালের সংস্করণে ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২০০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়ন করে তালিকা করা হয়েছে।
এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। টানা ৯ বছর ধরে শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি।
শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধায় আগামী ২১ অক্টোবর থেকে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুকের গত সোমবার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, ২১ তারিখ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুটি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব দুটি দোতলা বাস দিয়ে এই সার্ভিস চালু হবে।
১ নম্বর রুটের বাসটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে গুলিস্তান, নগর ভবন, দোয়েল চত্বর, সচিবালয় ও জিরো পয়েন্ট ঘুরে আবার ক্যাম্পারে ফিরে আসবে। ২ নম্বর রুটের বাসটি ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে দয়াগঞ্জ মোড়, জুরাইন, ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও জনপদ মোড় ঘুরে আবার দয়াগঞ্জ মোড় হয়ে ক্যাম্পাসে আসবে।
ধর্মীয় উৎসব ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে এ মাসে। শারদীয় দুর্গাপূজা, ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্কুল-কলেজে টানা ৯ দিন ছুটি থাকবে। মাঝে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে টানা ১১ দিন। বছরের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করা হয়। এতে এ ছুটির কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হবে ৯ অক্টোবর থেকে, যা চলবে ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। তবে পরবর্তী দুদিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে। আর এর মধ্যে আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি, ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহমের ছুটি ১৫ অক্টোবর, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি ১৬ অক্টোবর। এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে চলতি মাসে টানা ৩ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর, রোববার। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। দেশের সব সরকারি ও আধাসরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ ছুটি থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মাঝপথে বাতিল হওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ১১টায় ফল প্রকাশ করা হবে। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে নিজ নিজ বোর্ড থেকে। আগের মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফল প্রকাশিত হবে না। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই (বিষয় ম্যাপিং) প্রকাশ হবে পরীক্ষার ফল। এ বিষয়ে তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি সেগুলোর ফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সে বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফল প্রকাশ করা হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাল সনদধারী শিক্ষকদের বেতন স্থায়ীভাবে বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাতটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক বা কর্মচারীর জাল সনদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং উক্ত পত্রে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে এ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কতিপয় ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত (stop payment) করা হয়েছে। তালিকায় বর্ণিত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত উপরোক্ত সাতটি বিষয়ের মধ্যে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার দফাওয়ারি জবাব ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে এ দপ্তরে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাত দফা কার্যক্রমে বলা হয়েছে, জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা; অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ যারা অবসরে গেছেন, তাদের অবসরের সুবিধাপ্রাপ্তি বাতিল করা এবং যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন, তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করার কথা বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের অবসরের ভাতা বা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা এবং জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের ও জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কমিটি ঘোষণা করা হলেও আজ বুধবার দলটির ফেইসবুক পেজ থেকে বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করা হয়।
কমিটিতে থাকা ১৪ জনের নাম ঘোষণা করে ফেইসবুকে একটি তালিকা প্রকাশ করে দলটি। তালিকায় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আছেন একজন।
কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক পদে হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক পদে ইমরান হোসাইন, বায়তুলমাল সম্পাদক পদে আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে আছেন হামিদুর রশিদ জামিল।
এ ছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল আমিনের নাম রয়েছে।
কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটিটি জানুয়ারিতেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদের মুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হলো।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন- শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। সেখান থেকে চিহ্নিত ইসলাম ও দেশবিরোধী ব্যক্তিদের দ্রুত অপসারণ এবং দেশপ্রেমী মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক আলেম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কমপক্ষে দুজন বিশিষ্ট আলেমকে রাখার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এর আগে গত ২১ আগস্ট জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কোনো আলেম না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে তারা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়।
এ ছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর আহমাদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কি পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্ম বিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সাথে সুস্পষ্ট বেঈমানি।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ফরম পূরণের তারিখ জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
নির্বাচনী পরীক্ষার ফল আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এবং এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ফলাফল ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। ফরম পূরণের সময়সূচি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মাঝপথে বাতিল হওয়া চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে (সাবজেক্ট ম্যাপিং) ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাবজেক্ট ম্যাপিং হলো- একটি বিষয়ে পূর্বতন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড়। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় সব পরীক্ষার্থীকে পাস করানো হয়। সে বছর এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। পরের বছর কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে বাকি বিষয়ের ফল একইভাবে তৈরি করা হয়।
এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোতে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বরকে গড় করার প্রস্তাব দেয় আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এ বিষয়ে আজ বুধবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হবে।’
তবে ফল প্রকাশের দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
যদিও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, আগামী (অক্টোবর) মাসেই এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে। এ জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিল সাড়ে ১৪ লাখ। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকিগুলো হওয়ার আগেই স্থগিত করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামলে অন্তর্বর্তী সরকার পরীক্ষার সময় আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে এবং নম্বর কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গত ২০ আগস্ট কয়েকশ পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবি জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে সে দিনই সরকার তাদের দাবি মেনে নেয়।
এপিআই ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ দিচ্ছে ব্যুরো ভেরিটাস।
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
অভিজ্ঞতা: সর্বনিম্ন ৭ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা স্টিভেন এফ, ইবেলির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ করে ঢাবি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। এসময় ঢাবিতে আমেরিকান কর্নার প্রতিষ্ঠা ও ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় এবং আমেরিকান সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান কার্যক্রম চালুর ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।
শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রাম, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম এবং নেতৃত্বের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রোগ্রাম আরও গতিশীল করার বিষয়ে দু’পক্ষ আশাবদি হয়।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে নতুন একটি হল নির্মাণের জন্য মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা চান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপাচার্যকে বিষয়টি আন্তরিকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
উপাচার্যের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলে দূতাবাসের কর্মকর্তা স্কট হার্টম্যান, রায়হানা সুলতানা এবং জোনাথা গোমেজ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস জুলাই বিপ্লবে সরাসরি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন ও স্বৈরাচারী খুনির দোসর হয়ে বিভিন্ন কলাম লেখেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেন ও ছাত্র আন্দোলন দমনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলেন। তাই বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ রকম একজন খুনির দোসর শিক্ষককে আর বিভাগে চায় না। অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
এছাড়া আরও কিছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি (মিল্টন বিশ্বাস) স্বৈরাচারী খুনির দালাল ছিলেন। মিল্টন বিশ্বাস যেভাবে এই আন্দোলনে চাপিয়ে দেওয়া অত্যাচারকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়েছে তারা তার বিরোধিতা করছে এবং বিভাগ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবী জানাচ্ছে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সজীব দৈনিক বাংলাকে বলেন, মিল্টন বিশ্বাস একজন খুনীর দোসর। তাকে আমরা আমাদের বিভাগে চাই না। তিনি কখনো নিয়মিত ক্লাস নিতেন না ও বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতেন।
এছাড়াও জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা আজ নিজ বিভাগ সংস্কারের জন্য আরও দশটি দাবি তুলেছেন। সেখানে বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে মিল্টন বিশ্বাসের পদত্যাগ ছাড়া বাকি দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।