শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি, কক্ষ ভাঙচুর

সোমবার দুপুরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতির সময় এক নেতার কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:৪৬

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) হলের ক্যান্টিন থেকে বের হওয়ার সময় গায়ে ধাক্কা লাগা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দুপক্ষ হাতাহাতিতেও জড়িয়েছে। এসময় হলে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে এ ঘটনা ঘটে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ শাহপরাণ হলের ক্যান্টিন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী মো. শিপন হাসানের সঙ্গে নাজমুলের ধাক্কা লাগে। পরে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। তখন নাজমুল এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শিপন।

পরে এ ঘটনার জেরে শিপন তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে নাজমুল হুদার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর করেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাতাহাতি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার পর মো. শিপন হাসান চিকিৎসা নিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন নাজমুল হুদা। তিনি অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শিপন হাসান সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

ঘটনার বিষয়ে নাজমুল হুদা শুভ বলেন, “আমি ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে বের হওয়ার পথে শিপনের সঙ্গে আমার ধাক্কা লাগে। পরে ‘দেখে হাঁটতে পারো না’ বললে সে আমার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ায় এবং আমাকে আবারও ধাক্কা দেয়।”

তিনি বলেন, ‘সে জুনিয়র হয়ে এমন আচরণ কেন করছে জানতে চাইলে সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে শিপন ও তাদের গ্রুপের কর্মীরা আমার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর চালায়।’

তবে ঘটনার জন্য নাজমুল হুদাকেই দোষারোপ করে ছাত্রলীগ কর্মী মো. শিপন হাসান বলেন, ‘আমি ক্যান্টিনে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি (নাজমুল) আমাকে ধাক্কা দেন। এরপর আমাকে চড় মারেন। ঘটনার পর কক্ষ ভাঙচুর কে করেছে তা জানি না। কারণ আমি তখন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে চলে আসি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুরো ঘটনা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


উদ্যোক্তাদের ঋণ নয়, রেঞ্জ রোভার থাকলে মার্সিডিজ কেনার টাকা দেয় ব্যাংক: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শনিবার চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্য দেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বর্তমান সময়ে পুঁজির অভাবে উদ্যোক্তা হওয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়া যে কী কষ্ট, পুঁজি সংগ্রহ করা কী কঠিন! আমি এই জেনারেশনের অংশ হিসেবে জানি, ব্যাংক আমাদের পাঁচ লাখ টাকাও লোন দেয় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এখন আমি যদি সারাদিন বলি আপনাকে উদ্যোক্ত হন। আপনাকে কে টাকা দেবে? যার রেঞ্জ রোভার গাড়ি আছে তাকে মার্সিডিজ কেনার জন্য ব্যাংক টাকা দেবে। ব্যাংক আমাদের কোনো টাকা পয়সা দেবে না।’

শনিবার চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মহিবুল হাসান বলেন, ‘আমাকে ১০ লাখ টাকার ক্রেডিট কার্ডও দেয় নাই ব্র্যাক ব্যাংক। তারপর যখন সরকারের মন্ত্রী হয়েছি ২০ লাখ টাকা ক্রেডিট কার্ডের জন্য সে রাজি হয়েছে। কারণ সে জানে আমি যদি ঋণখেলাপি হই, নির্বাচন করতে পারব না। তখন সে বিনা সিকিউরিটিতে ক্রেডিট কার্ড দিতে আসছে। বাস্তবতা হচ্ছে এটা- আমার জনগণের যে সঞ্চিত অর্থ সেটা বিনিয়োগের নামে গুটি কয়েক ব্যাবসায়ীর হাতে যাচ্ছে। আমার সাধারণ উদ্যোক্তারা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। এখন আমি পাঁচ লাখ টাকাই পেলাম না, পাঁচ কোটি টাকার ব্যবসা করব কোথা থেকে? তাই আমি বলব সেই পুঁজির দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, আমরা যদি দক্ষ হই আত্মনির্ভরতা সম্ভব।’

এসময় ইউরোপ-আমেরিকার ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মত দেশগুলোতে লুটপাট করে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপমন্ত্রী। তার দাবি, ‘এসব দেশ জ্ঞান বিতরণ করলেও নিজেদের অপকর্মের কথা কখনোই বলে না।’

মহিবুল হাসান বলেন, ‘উচ্চশিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করার একটা আন্তর্জাতিক প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অর্থ খরচ করে সেই উচ্চশিক্ষা নিতে হবে। পরবর্তীতে বিনিয়োগ করা অর্থ নিয়ে নেবে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউক্রেন, আমেরিকা এই ধরনের ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলো নিজেরা একটা র‌্যাংক টেবিল বানিয়েছে নিজেদের কিছু পত্রিকাকে দিয়ে। সেই র‌্যাংকিং তারাই করে, সেখানে ইংরেজি ভাষার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুব কম স্থান দেয়। সেখানে পড়তে গেলে আমাদের শত কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যায়। তারা মনে করে তারা একটা উচ্চশিক্ষার বাজার সৃষ্টি করেছে।’

‘আমাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আমাদের উচ্চশিক্ষা দেয়। কিন্তু আমাদের সন্তানরা, আমরা যেন শিক্ষিত হতে পারি, দক্ষ হতে পারি সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে একটা সহজ ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছেন, যেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য এগিয়ে আসতে পারেন।’

শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনের দিকে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাখ লাখ শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে শুধু আমার দেশের অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত করার কথা নয়, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে তৈরি করার কথা। গ্লোবাল সিটিজেন হওয়ার জন্য মানসিকতা থাকতে হবে। আমার দৃষ্টিসীমা সেভাবে নির্ধারণ করতে হবে। এই ভূখণ্ডে আমি নিজেকে আবদ্ধ রাখব না, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে সারাবিশ্ব আমার কর্মক্ষেত্র হবে- সেখানে আমি যেন কাজ করতে পারি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা যথেষ্ট নয়। যথেষ্ট নয় এজন্য যে আমরা যখন কর্মক্ষেত্রে যাই, আমাদের ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কাজ করতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে আমরা যখন যাই, সেক্ষেত্রে আমরা যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমরা নিয়েছি তা যথেষ্ট নয় এবং সেটা কর্মজীবনের জন্য যথেষ্ট উপযোগীও নয়। সেটার প্রয়োগিক মূল্য খুব কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতে মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে বেশি লোক আরবি ভাষায় কথা বলে। আমরা আছি শুধু ক্বেরাত প্রতিযোগিতা নিয়ে। আমি নিজেও ছোটবেলায় ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। মাখরাজ শিখেছি। সুন্দরভাবে তেলওয়াত করতে পারতাম। দুই শব্দ আরবিও আমরা কথা বলতে পারি না। এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্বলতা। এদেশের এত মানুষ আমরা আরবি শিখেছি, আমরা জের, যবর, নোকতাসহ তেলওয়াত করতে শিখেছি, কিন্তু সেটা যদি ভাষা হিসেবে আমরা শিখতে পারতাম, মধ্যপ্রাচ্যে আমার সন্তানরাই কিন্তু রাজত্ব করত। আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করেছি। ফিলিপাইনে ৯৯ শতাংশ খ্রিস্টান, তারা আরবি ভাষাটাকে ভাষা হিসেবে শিখেছে। ভারতে আরবি ভাষাটাকে ভাষা হিসেবে শিখেছে। পবিত্রতার খাতিরে আমরা শুধু তেলওয়াত করতে শিখেছি। এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিন। জাতিসংঘে প্রচুর চাকরি আছে, যেখানে আমাদের সন্তানরা চাকরি করতে পারতো যদি আরবি ভাষাটা সহজে পারত।’

এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চার হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভালো ফলাফলের জন্য বিভিন্ন বিভাগের পাঁচজনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, চারজনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ছয়জনকে চেয়ারম্যান গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

নতুন সনদ পাওয়াদের মধ্যে বিবিএর দুই হাজার ৭৬ জন, এমবিএর ৮৩৭ জন, বি.এস.সি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৩৫৫ জন, বি.ফার্ম অনার্সের ২৩৩ জন, বি.এ. অনার্স ইন ইংলিশের ২৯৩ জন, ব্যাচেলর অব ল প্রোগ্রামের ৬৮৯ জন এবং এম.এ. ইন ইংলিশ প্রোগ্রামের ১০৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্ট্যানফোর্ডে স্টিভ জবস স্নাতকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, অন্যকে নকল করতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত এই জীবন নষ্ট করো না। তোমার মনে যা আসে তাই করবে। তোমার বিবেক যা বলবে তাই করবে। তোমার মস্তিষ্ক যা চিন্তা করে তাই করবে। আজকের স্নাতকদের প্রতিও আমার একই আহ্বান।’

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদ এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসিফ। সমাবর্তনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।


বাজেট স্বল্পতা: নিম্নমানের ওয়েবসাইটে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রবিউল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

নিম্নমানের ওয়েবসাইটে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এ ওয়েবসাইট থেকে তেমন কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এদিকে, বাজেট স্বল্পতার কারণে এটার ডেভেলপ করতে পারছেন না বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি কর্তৃপক্ষ।

ওয়েবসাইট থেকে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় তেমন কোনো তথ্য সহায়তা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যের একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশবোর্ড। যদিও সাইটটিতে নোটিশ বোর্ড নামে একটি ট্যাব থাকলেও এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নোটিশ আপলোড করায় এতে প্রয়োজনীয় নোটিশটি খুঁজতে বেগ পেতে হয় ব্যবহারকারীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট চেক করে দেখা যায় ওয়েবসাইটটিতে লাইব্রেরি, বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, মেডিকেল অফিস, ছাত্র পরামর্শ অফিস, হল, টিএসসি প্রভৃতির জন্য নেই কোনো আলাদা সাবডোমেইন৷ ওয়েবসাইটটি একটি ডোমেইনের ওপরেই ডিজাইন করা হয়েছে। আলাদা সাবডোমেইন না থাকায় প্রতিটা দপ্তর ও বিভাগের নোটিশ আলাদাভাবে দেওয়া সম্ভব হয় না। ওয়েবসাইটিতে বিভিন্ন ট্যাব রয়েছে এতে অনুষদ ট্যাবে ২৫টি বিভাগের শিক্ষকদের নাম পরিচয় যোগাযোগের নম্বর এবং প্রশাসনিক ট্যাবে বিভিন্ন দপ্তরের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিচয় এবং মেইল রয়েছে। যোগাযোগের মোবাইল নম্বরও উল্লেখ নেই কর্মকর্তাদের।

সাইটের ছাত্র নির্দেশনা, মেডিকেল সেন্টার, অ্যাসিউরেন্স সেলসহ অন্যান্য ট্যাবে ঢুকে দেখা যায় সেখানে অফিসের পরিচালক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার নাম সংক্ষিপ্ত পরিচয়- মেইল ছাড়া আর কিছুই নেই৷ এমন গুরুত্বপূর্ণ সব অফিস সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো তথ্য নেই ওয়েবসাইটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের একটি ট্যাব থাকলেও সেখানে পরিচালক ও কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় ছাড়া পরিবহনসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হল সম্পর্কে আলাদা কোনো ট্যাবও নেই ওয়েবসাইটে। হলের প্রভোস্ট, হাউস টিউটর ও অফিস সম্পর্কে কোনো তথ্যই নেই ওয়েবসাইটে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোটিশ ওয়েবসাইটের নোটিশ ট্যাবে প্রকাশ করা হলেও তা অন্যসব নোটিশের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি নিয়েও সাইটে গতানুগতিক কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় ছাড়া নেই কোনো তথ্য। লাইব্রেরির সুযোগ-সুবিধা নিয়মপদ্ধতি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো তথ্যই নেই। নামমাত্র এ ওয়েবসাইট শিক্ষার্থীদের কোনো কাজেই আসছে না বলছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কাছে এটি প্রায় অকেজো একটি ওয়েবসাইট।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ স্মার্টযুগে প্রবেশ করলেও আমাদের ববি মান্দাতার আমলের ওয়েবসাইট দিয়ে চলছে। কার্যত এটি নিম্নমানের একটি ওয়েবসাইট, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় ন্যূনতম তথ্যও পায় না। বর্তমান এই যুগে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা ভালোমানের ওয়েবসাইট জরুরি। কারণ দেশ-বিদেশের সবাই এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানবে-চিনবে। এর সার্বিক উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কিং ও আইটি সেন্টারের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘আমরাও চাই ওয়েবসাইটটিকে ঢেলে সুন্দর করে সাজাতে, কিন্তু বাজেট স্বল্পতার কারণে আমরা তা করতে পারছি না। তবে আমরা সাধ্যের মধ্যে যতটা পারছি, তার সর্বোচ্চটা করছি।’

সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের জন্য মেইল আছে নাম্বার কেন নেই এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেকে নম্বর দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন না, এ জন্য দেওয়া সম্ভব হয় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘ওয়েবসাইট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্পণের মতো। আমরা এর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছি, যাতে আমরা এটাকে শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমি কথা বলব এটিকে কীভাবে আরও বেশি ডেভেলপ করা যায় সে বিষয়ে।’

বিষয়:

ঢাবিতে রোবট অলিম্পিয়াড শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবজীবন যেন হুমকির সম্মুখীন না হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড’-এর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি ড. লাফিফা জামাল এবং ঢাবির রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সেঁজুতি রহমান বক্তব্য রাখেন।


ঢাবিতে 'ফেসবু‌কে আস‌ক্তি, ক‌্যা‌রিয়ার নির্বাচ‌নে বিভ্রা‌ন্তি : সমাধান যে প‌থে' শীর্ষক কর্মশালা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:২৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেসবু‌কে আস‌ক্তি, ক‌্যা‌রিয়ার নির্বাচ‌নে বিভ্রা‌ন্তি : সমাধান যে প‌থে' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়াম এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মাদক বি‌রোধী ফাউ‌ন্ডেশন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই সে‌মিনা‌রের আ‌য়োজন ক‌রে‌।

সার্ক মানবা‌ধিকার ফাউ‌ন্ডেশ‌নের কেন্দ্রীয় সহ সভাপ‌তি মিজানুর রহমান মজুমদার প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

তিনি ব‌লে‌ছেন, অ‌নেক আশা স্বপ্ন নি‌য়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ে ভ‌র্তি হয়। তা‌দের কা‌ছে শুধু তা‌দের প‌রিবার নয়, গোটা জা‌তিও অনেক কিছু আশা ক‌রে থা‌কে।

তিনি বলেন, মাদকসহ সবধর‌নের আস‌ক্তি থে‌কে শিক্ষার্থীকে মুক্ত থে‌কে কর্মমু‌খী শিক্ষায় সু‌শি‌ক্ষিত হ‌তে হ‌বে। যারা বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ে ভ‌র্তি হ‌তে পা‌রেনি, তা‌দের কা‌রিগ‌রি শিক্ষায় প্রশি‌ক্ষিত হ‌য়ে দে‌শের উন্নয়‌নে কাজ ক‌রে যে‌তে হ‌বে। কোনভা‌বে হতাশ হওয়া যা‌বে না।

এই আলোচক আরও বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ অর্থনী‌তির বাংলাদেশ গঠ‌নে দক্ষ জনশ‌ক্তির বিকল্প নেই। আগাম‌ী দি‌নে সুনীল অর্থনী‌তি‌তে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ সৃ‌ষ্ঠি হ‌বে সে জন‌্য শিক্ষার্থী‌দের উপযুক্ত জ্ঞান অর্জন কর‌তে হ‌বে। সুনীল অর্থনী‌তি‌কে কা‌জে লাগা‌তে পার‌লে ২০৪১সা‌লের আ‌গেই স্মার্ট বাংলা‌দে‌শ বাস্তবায়ন সম্ভব হ‌বে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-কুষ্টিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান শিরিনা বিথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শাহ মনজুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ম‌শিউর রহমান, বাংলা‌দেশ নিউজ এ‌জে‌ন্সি (বিএনএ) সম্পাদক, সার্ক মানবা‌ধিকার ফাউ‌ন্ডেশ‌নের কেন্দ্রীয় সহ সভাপ‌তি মিজানুর রহমান মজুমদার, বিকন পয়েন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তহিদুল বাশার। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।


বাকৃবির লাইব্রেরিয়ান খাইরুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা ও সংস্কার কাজ নিয়ে স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরির সংস্কার কাজে অসংগতি, একাডেমিক বইয়ের অপর্যাপ্ততা, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণে অসমাপ্তি, লাইব্রেরির এসির অচলাবস্থা, কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গণগ্রন্থাগার তালা দেয়া, লাইব্রেরিতে চাকরি দেয়ার নামে কাজ করানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাকৃবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণের কাজ এক বছরে করার কথা থাকলেও সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাব এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। তবে এ ব্যাপারে বরাদ্দের টাকার অসংগতির কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। অথচ একই সময়ে লাইব্রেরির বৈদ্যুতিক কাজ, সংস্কার, মেরামত ও লাইব্রেরিয়ানের অফিস কক্ষের আধুনিকায়ন কাজসহ নানা কাজে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে বলে জানান লাইব্রেরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। লাইব্রেরির এসব কাজের ব্যয় ও কেনাকাটা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এদিকে প্রশ্নবিদ্ধ কেনাকাটার ভাউচারে কমিটির অনেকেই স্বাক্ষর করেননি বলেও জানানো হয়।

অভিযোগের বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলম বলেন, বাজেটের অধিকাংশ অংশ সোনালী ব্যাংকের ২৫ লাখ টাকা অনুদান প্রায় শেষ। বাকি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় দিলেই বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণের কাজ শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন লাইব্রেরিয়ানের কক্ষ ডেকোরেশেনের জন্য। ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ নির্মাণ শেষ হলে পড়ে থাকা চারটি এসি সংযোজন করা হবে। বই নির্ধারণ করার কমিটির সকল সদস্যের পরমর্শক্রমেই বই সংগ্রহ করা হয়। এ বিষয়ে আমার কোনো এখতিয়ার নেই। লাইব্রেরিতে পিয়নসংকট হওয়ায় পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য লাইব্রেরিতে ২০টি ফ্যান ক্রয়ের জন্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায়।

এ বিষয়ে খাইরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০টি মীরা স্ট্যান্ডিং ফ্যান কেনা হয়। বাজেট অবশিষ্ট থাকায় তা দিয়ে আইপিএস মেরামত করা হয়েছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, লাইব্রেরির রিডিং রুমে ১৫টি মীরা ফ্যান রয়েছে।

নিয়োগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. অলিউল্লাহ বলেন, লাইব্রেরিতে খণ্ডকালীন কোনো নিয়োগ দেয়া হয়নি। তবে কোনো বিভাগের প্রধান প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বাজেটের আওতায় কন্টেনজেন্সি হিসেবে জনবল রাখতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণগ্রন্থাগার তালা দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান বলেন, গণগ্রন্থাগার অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য গ্রন্থাগারটির সহকারী পরিচালক বরাবর আমরা কয়েকটি চিঠি দিয়েছি। তবে কোনো চিঠির উত্তর আসেনি বরং এ বিষয়ে গ্রন্থাগারটির পিয়ন বাজে ব্যবহার করেন। তাই স্বল্প সময়ের জন্য তালা দেয়া হয় এবং পরে তা আবার খুলে দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, লাইব্রেরির তিন তলায় পরিত্যক্ত রুমটি দ্রুত পড়াশোনার উপযুক্ত করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের জায়গারসংকট কমবে। লাইব্রেরির কেন্দ্রীয় এসি পরিবর্তন করা হবে। ডিপিপির বাজেটে এসির কথা উল্লেখ আছে। খুব দ্রুতই নতুন এসি সংযোজন করা হবে। আর একাডেমিক বই হিসেবে ই-বুকের আধিক্য বেড়েছে তাই কাগজের বই কমছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরকে ই-বুক সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। লাইব্রেরির অসংগতির বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণে অধিকাংশ বাজেট খরচ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ও তার হিসাব দেখে পরবর্তী বাজেট দেয়া হবে।

সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য লাইব্রেরির পরিচালনা কমিটি থাকলেও গত ৮ বছরে কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সভা না হওয়ার কারণ বলতে পারছি না। তবে লাইব্রেরিয়ানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সভার আয়োজন করা হবে।


ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালের শীতকালীন সেমিস্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করল। গতকাল বুধবার ঢাকার আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সেমিস্টারে ১১টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে প্রায় ২২০০ শিক্ষার্থীকে বরণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই নারী (৫৩%)। অনুষ্ঠানে নবীনদের বরণ করে নেবার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন, শিক্ষা কার্যক্রম, সুযোগসুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।

নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ জিয়াউল হক মামুন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদের ডিন নবীনদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। বিজ্ঞপ্তি


ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে কোইকা কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম তাইয়ং গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রিনিউরশিপ সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক এবং নির্বাহী পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে কোইকার আর্থিক সহযোগিতায় এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদানের জন্য কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ জানান। এই প্রকল্প দেশে দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি


দুই দিন বিদ্যুৎহীন থাকবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাবস্টেশন লাইনের কেবল পরিবর্তন এবং বৈদ্যুতিক কাজসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য দুই দিন বারো ঘণ্টা করে বিদ্যুৎহীন থাকবে ক্যাম্পাস। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাময়িক ভোগান্তি পোহাতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বুধবার বিকেলে দৈনিক বাংলাকে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবস্টেশন লাইনের কেবল পরিবর্তনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৩০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কিট মেরামত এবং ১৩ তলা একাডেমিক ভবনের এমডিবিতে বৈদ্যুতিক কাজের পরিপ্রেক্ষিতে বারো ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।

বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেনারেটরের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন ল্যাব কক্ষ, ইন্টারনেট সার্ভার রুমসহ কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও হলে চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ওভারহেড লাইনের বৈদ্যুতিক তার পরিবর্তনসহ অন্যান্য কাজের জন্য চলতি বছরের ২১ ও ২৮ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।


‘সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও একাডেমিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাচ্ছে জবি’

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (ফোবানা) পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেক এগিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (ফোবানা) পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফোবানাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণার মানোন্নয়নে ফোবানার সহযোগিতা কাম্য।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফোবানার বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহসান চৌধুরী ও রেহান রেজা।

তারা বলেন, ভবিষ্যতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি সংখ্যা ও অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হবে। এছাড়া তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সঙ্গে আরও লিয়াজোঁ স্থাপনের বিষয়ে জোর দেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন এবং ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান।

স্বাগত বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম তানভীর আহম্মদ।

ফোবানা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন কলা অনুষদের তাসলিমা আক্তার, ইংরেজি বিভাগের আনিকা এবং ইতিহাস বিভাগের লাকি আক্তার, সাইফুর রহমান ও আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।


ইবিতে ছাত্র র‍্যাগিং: তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ৩ অক্টোবর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভা আগামী ৩ অক্টোবর।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ওইদিন উপাচার্যের সভাপতিত্বে তার অফিস রুমে সকাল ১১টায় সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। র‍্যাগিংয়ের তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনায় দেয়া প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।

জানা যায়, প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনায় ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে পারেন অভিযুক্তরা।

এর আগে, গত রোববার র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্যের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সাইফুল ইসলাম।


জবির সাংবাদিকতা বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম

ড. মো. আশরাফুল আলম
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলমকে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবীরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রেজিস্ট্রার জানান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবীর ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ২৪(৩) ধারা অনুযায়ী ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলমকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাগুলো পাবেন। এ আদেশ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব। আমি আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। তারা যেন তাদের কর্মক্ষেত্রের সফলতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থা করব। এ ব্যপারে সবার সহযোগিতা কাম্য।’

ড. আশরাফুল দক্ষিণ কোরিয়ার চোনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কমিউনিকেশনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। ২০০৯ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে যোগদান করেন তিনি।


ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো সমাপ্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের আয়োজনে এবং স্কিল জবস ও ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী ‘ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো-২০২৩’ গতকাল শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্ঠানে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণবিষয়ক মন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের করপোরেটের প্রশিক্ষণবিষয়ক উদেষ্টা এম মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, এলাইড হেলথ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী বিভাগীয় প্রধান ড. শরিফা সুলতানা। বিজ্ঞপ্তি


এক বছরের প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি দুই বছরেও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘোরিয়া ইউনিয়নে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় ২০১৮ সালে। এর তিন বছর পর প্রায় ৫ হাজার মিটার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চুক্তির কয়েক দিন পর থেকেই শুরু হয় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ। প্রকল্পের মেয়াদ মাত্র এক বছর হলেও ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে দুবছর। এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নানা জটিলতায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় আটকে আছে অন্যান্য প্রকল্পের কাজও। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নতুন ক্যাম্পাস পেতে অপেক্ষা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কেরানীগঞ্জের তেঘোরিয়া ইউনিয়নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। ক্যাম্পাসের পূর্ব পাশে মুজাহিদনগরের প্রবেশমুখে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা এবং সরকারি গাছ কাটা নিয়ে ঝামেলায় এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়নি। একই অবস্থা ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশেও। পদ্মা সেতু রেললাইনের পাশের এ জায়গায় অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা ও বড় বড় পুকুর থাকায় সিসি স্ট্রাকচারের কাজও শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উত্তর পাশে মুজাহিদনগরে প্রবেশের শুরুতেও এখনো শেষ হয়নি প্রাথমিক কাজ। পশ্চিম পাশে অধিকাংশ জায়গায় কাজ শেষ হলেও রাস্তার জন্য অনেক জায়গায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেক জায়গায় সিসি স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হলেও এখনো ইট গাঁথুনির কাজ শেষ হয়নি।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, পৌনে পাঁচ হাজার মিটার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের মেয়াদ ছিল এক বছর। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ কাজ শেষ করতে পেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদিকে সীমানাপ্রাচীরের কাজ শেষ না হওয়ায় মাটি ভরাট, প্রকৌশল ভবন নির্মাণসহ অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণের কাজও শুরু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দিলেও কাজে কোনো গতি আসছে না।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্ল্যানিং ভবন নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার না পাওয়ায় ক্ষোভে ধীরগতিতে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের টেন্ডার পেতে চুক্তির কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করলেও টেন্ডার না পাওয়ায় পরে কাজের গতি কমিয়ে দেয় ঠিকাদার।

এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি সময় লাগায় এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর আবেদন করার কথা ভাবছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে চুক্তির নিয়মানুযায়ী এক বছর মেয়াদি প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে পারলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম গ্রুপের ঠিকাদার আনোয়ার ব্যাপারী বলেন, ‘সীমানাপ্রাচীরের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ। মুজাহিদনগরের পাশে কিছু এবং রেললাইনের পাশে এক হাজার ফিটসহ আর মাত্র সাড়ে চার হাজার ফিট বাকি আছে। জমি অধিগ্রহণের কিছু সমস্যা থাকায় আমাদের কাজে দেরি হচ্ছে। অধিগ্রহণ শেষ হলেই মোটামুটি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কাজে দেরি হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ব্যয় বাড়ানোর জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটা প্রস্তাব দেব ভাবছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১১ একর জায়গা অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু ঝামেলা ছিল, সে কারণে সেসব জায়গায় এখনো কাজ শুরু হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি থাকায় অন্যান্য জায়গায়ও তারা কাজ করেনি। এ জন্য আরও বেশি দেরি হয়েছে।’

প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী এ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির কোনো সুযোগই নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কোনোভাবেই ব্যয় বাড়াবে না।’

এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার চিঠি দিয়ে আসছি। আমরা ঠিকাদারকে ডেকে পাঠাব। তারা যাতে দ্রুত কাজ শেষ করে সে জন্য আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব।’


banner close