জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান রাব্বি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, পরিবারের লোকজন সোমবার দুপুরে তার নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ার কারণে খুব কাছ থেকে চিনতাম। সে খুব অমায়িক ছেলে ছিল। যতটুকু জানি তার প্রেমঘটিত বা অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা ছিল না। এক বছর আগে তার বাবা চলে যান। এজন্য তার মন খারাপ ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি রাব্বির খোঁজ-খবর রাখতে। কিন্তু মাঝে সে আর যোগাযোগ করেনি। রাব্বির মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হই।
পরিবারের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অন্যান্য দিনের মতোই গত রোববার রাতে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান রাব্বি। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্তও রাব্বি ঘুম থেকে না উঠায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনের। পরে তাকে অনেক ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতর গিয়ে তার গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে ওই দিন রাত ১০টায় তার নিজ এলাকার উলচাপাড়া মসজিদে নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক লিউ জংগুই গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় চীনা দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিস ল্যাং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিস অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল আফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ স্টাডিজ সেন্টারের উদ্বোধনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি
বুয়েট অ্যালামনাই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদ্য পাস করা অ্যালামনাইকে (ব্যাচ স্থাপত্য-২০১৬, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা-২০১৭, প্রকৌশল-২০১৭) সংবর্ধনা প্রদান ও ওয়েবসাইট (alumni.buet.ac.bd) উন্মোচন করেছে। বুয়েট জিমনেসিয়ামে সংবর্ধিত ব্যাচের অ্যালামনাইকে সম্মানীয় ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাইয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খালেদ গ্রুপ অব কোম্পানিজের কর্ণধার, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নাজমুল আহসান খালেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
স্বাগত বক্তব্য দেন বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সমন্বয়ক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্মার্টফোন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ এবং মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সামাজিক বাধাসমূহ দূর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য: বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবধান কমিয়ে আনার চাবিকাঠি’ শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। বিজ্ঞপ্তি
দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। এ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং পাঁচ জন বহিরাগতকে আটক করা হয়।
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের সহযোগিতায় দুটি হলে তল্লাশি চালিয়েছি। এ সময় হলের কক্ষ থেকে কয়েকটি হকি স্টিক, রামদা, লোহার রড, পাইপ, লাঠিসোঁঠা ও পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ পাঁচ জন বহিরাগতকে আটক করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটকদের থানায় নেয়া হয়েছে। আমরা এখনও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্রবার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে। দুই দফা সংঘর্ষে প্রায় ১০ জনের মতো আহত হন। কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের তিনটি গ্রুপের মধ্যে ভিন্ন ঘটনায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহজালাল ও শাহ আমানত হল এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের একাংশের (সহসভাপতির অনুসারী) কর্মীরা।
অন্যদিকে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটে নেতার জন্য লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের আরেকাংশের (সভাপতির অনুসারী) কর্মীরা।
বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। আর সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, অন্যদিকে সিএফসির একাংশের নেতৃত্বে আছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, অন্য অংশের নেতৃত্বে আছেন সহসভাপতি সাদাফ খান। বিজয় গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল দুপুর থেকে দুই গ্রুপের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে সন্ধ্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের সদস্য মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, ‘পূর্বের ঘটনার জের ধরে জুমার নামাজের পর সিক্সটি নাইন গ্রুপের আকিব জাবেদ আবারও আমাদের গ্রুপের সিনিয়রদের গালিগালাজ করে। এই ঘটনার রেশ ধরে সন্ধ্যায় ঝামেলা হয়।’
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্য উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে।’
লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান সিএফসির একাংশ ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় অবস্থান নেন দুটি গ্রুপের কর্মীরা। এই সময় দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, কোনো ঝামেলা হয়নি। প্রোগ্রাম শেষে জুনিয়রদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হতে পারে, আমার জানা নেই।
বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
থমথমে ক্যাম্পাস
বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের পর থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শুক্রবার দুপুরেও সিক্সটি নাইন ও সিএফসি দুই গ্রুপের কর্মীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শোনা যায়। সন্ধ্যায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মারামারিতে আহত চারজন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম বলেন, ‘উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দুই পক্ষকে শান্ত করে হলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির বৈঠক চলছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে এমএসএইচ-নেটওয়ার্ক। তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি, চাবি, জাবি, রাবি সাধারণ গুচ্ছ ও সমন্বিত কৃষি ও মেডিকেলে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী চান্সপ্রাপ্তির রেকর্ড নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কেআইবি অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে নেটওয়ার্ক গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাদেকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি বিজ্ঞানী মোখলেসুর রহমান মুকিত, ঢাকা বিভাগের এডিসি বদরুল হাসান রিয়াদ, অধিকার টিভির প্রধান নির্বাহী নাহিদ হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমএসএইচ-নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা মো. হোসেন আলী। বিজ্ঞপ্তি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, তার চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনার কারণেই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ এখন অনেক পজিটিভ ’
বৃহস্পতিবার জবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘একসময় আমাদের দেশ দারিদ্রতার সংকীর্ণতায় অবস্থান করছিল। তারপরও বিদেশি কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য ছাড়াই আমরা পদ্মা সেতু স্থাপন করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত অনেক সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, সবাইকে নিজের বিবেকবোধ দিয়ে দায়িত্ব পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান। এ সময় রিসোর্স পার্সন হিসেবে ইউজিসির উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট এমেল হক মোল্লা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্থায়ী তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীবৃন্দ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে এবং বুয়েটের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং নেটওয়ার্কের (আইটিএন-বুয়েট) সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশে এসডিজি ৬ স্যানিটেশন লক্ষ্যে পৌঁছানোর অগ্রগতি ত্বরান্বিতকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা গতকাল ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইউআইইউর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আফজাল আহমেদ এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউআইইউর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান। আলোচনায় দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং এক্সপার্টরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন ইউআইইউর ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল মোকাদ্দেম এবং আইটিএন-বুয়েটের পরিচালক প্রফেসর ড. তানভীর আহমেদ।
বক্তারা দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব, প্রতিবন্ধকতা, ব্যবহার এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) উদ্যোগে বিভিন্ন কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘আইএসইউ ওয়ার্ল্ডকাপ জিনিয়াস’ কুইজ প্রতিযোগিতার লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান এ লোগো উন্মোচন করেন ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিকসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ।
আইএসইউর হেড অব পাবলিক রিলেশন্স রাইসুল হক চৌধুরী জানান, এ কুইজ প্রতিযোগিতায় কলেজ পর্যায়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর তিনজন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে দল গঠন করে অংশগ্রহণ করতে পারবেন আগ্রহীরা।পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার, রানার্স আপ দল যথাক্রমে ৩০ হাজার ও ১৫ হাজার এবং টুর্নামেন্ট সেরা জিনিয়াস পাবেন ১০, হাজার টাকা । প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্বে ক্রিকেটার,সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার এবং বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা উপস্থিত থাকবেন । আইএসইউ এর ফেসবুক পেজেও লাইভ স্ট্রিমিং হবে সব পর্ব ।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিজিট করুন www.isu.ac.bd অথবা ডায়াল করুন ০১৩১৩ ০৩৭ ১৩৫ ,০১৩১৩ ৪০০ ৬০০ নম্বরে । বুধবার থেকে শুরু হয়ে রেজিস্ট্রেশন চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তি
দীর্ঘদিন ধরে কমিটিহীন থাকা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। কমিটি না থাকায় নানা গ্রুপ, উপগ্রপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রাখতে প্রায়ই সংঘাতে জড়াচ্ছে বিবদমান গ্রুপগুলোর নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও ছাত্রলীগকে বাগে আনতে পারছে না।
সবশেষ সোমবার হলের ক্যান্টিন থেকে বের হওয়ার সময় শরীরে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে শাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের এক নেতার কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ শাহপরান হলের ক্যান্টিন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী মো. শিপন হাসানের সঙ্গে নাজমুলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদের সূত্রপাত ঘটে।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন কর্মী আহত হন। এক ছাত্রীকে নিয়ে দুই ছাত্রের তর্কের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
শাবি ছাত্রলীগে এমন ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলায় জড়াচ্ছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ জন্য দীর্ঘ কমিটিহীনতাকে দায়ী করা হচ্ছে।
১০ বছর ধরে কমিটিহীন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি হয়েছিল ১০ বছর আগে। ২০১৩ সালের ৮ মে এক বছর মেয়াদি শাবি ছাত্রলীগের ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মে এই কমিটিকে ১৫১ সদস্যে পূর্ণাঙ্গ করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৭ জুন এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। কমিটি না থাকায় শাবি ছাত্রলীগে অস্থিরতা ও হতাশা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারাও।
শাবি ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা সজিবুর রহমান বলেন, ‘সংগঠনের জন্য আমি এতকিছু করলাম, কিন্তু দেয়ার মতো কোনো পরিচয় নেই। আমাদের তো ছাত্রত্বও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হলে তো কোনো পরিচয় নেই। দলের শৃঙ্খলার জন্যও কমিটি প্রয়োজন।’
কমিটি না থাকায় নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না জানিয়ে শাবি ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপের নেতা মামুন শাহ বলেন, কারো কোনো সাংগঠনিক পরিচয় নেই। এতে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নতুন নেতৃত্বও আসে না। হতাশ হয়ে অনেকে ক্যাম্পাসও ছেড়ে দিচ্ছে।
জানা যায়, সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকাকালীন শাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময় পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্তও নেয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি পরিবর্তন হয়েছে চার দফা। তবে শাবি ছাত্রলীগের আর কমিটি হয়নি।
সাত গ্রুপে বিভক্ত
দীর্ঘদিন কমিটিহীন থাকার কারণে শাবি ছাত্রলীগে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। নানা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে আছে সংগঠনটি। শাবি ছাত্রলীগের প্রধান সাতটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন হাফিজ আল আসাদ, খলিলুর রহমান, সজিবুর রহমান, মামুন শাহ, মেহেদী হাসান স্বাধীন, সুমন সুরকার ও তারেক হালিমী।
ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে আলাদা আলাদা গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন। পদপ্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ক্যাম্পাসে গ্রুপ-উপগ্রুপের সংখ্যাও বাড়ছে।
শাবি ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা সজিবুর রহমান বলেন, নিয়মিত কমিটি হলে নেতৃত্ব বেরিয়ে আসত। একটা সাংগঠনিক কাঠামো ও শৃঙ্খলা থাকত। কমিটি না থাকায় কর্মী ধরে রাখার জন্যও বিভিন্ন বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ছয়টি গ্রুপ আছে জানিয়ে আরেকটি গ্রুপের নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ অনেক বড় সংগঠন। তাই আলাদা বলয় হতেই পারে। তবে কমিটি না থাকার কারণে গ্রুপ বেড়েছে। কমিটি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড নেই।
বাড়ছে বিশৃঙ্খলা
নতুন কমিটিতে পদ বাগিয়ে নিতে ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া শাবি ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপগুলো। এতে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৬ মাসে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে মারামারি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অন্তত ১৬টি ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের কক্ষ থেকে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ ও মারধর করে বের করে দেন ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম সীমান্ত ও তার অনুসারীরা।
এ ঘটনায় ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকায় শাহপরান হলের আবাসিক ছাত্র আজিজুল ইসলাম সীমান্তকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গত ১৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের নেতা রিশাদ ঠাকুর তার কক্ষে ডেকে এনে সংগঠনের কর্মী নূর মোহাম্মদ বায়েজিদকে বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রিশাদ ঠাকুরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদ চৌধুরী এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে বের করে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া গত সাড়ে সাত মাসে হলের আসন দখল ও আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতন ও বারবার সংঘাতে জড়ানো প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। কে কোন দলের তা আমরা বিবেচনায় নিই না। তা ছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পাস থেকে আমাদের ক্যাম্পাস অনেক শান্ত রয়েছে।’
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সাড়ে ৪ বছর আগে। বর্তমান কমিটির সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু দুই সন্তানের পিতা। সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানেরও রয়েছে বিয়ের গুঞ্জন। দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি না হওয়ায় দলীয় কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ঘটছে না। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও এসেছে স্থবিরতা। সে সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এস এম মাসুদুর রহমান মিঠুকে সভাপতি ও মো. মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ১৪ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন করে তৎকালীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটির দায়িত্বশীলদের ওপর তিন মাসের মধ্যে এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ ছিল। তবে মিঠু-মিজান এই আংশিক কমিটি দিয়েই তাদের এক বছর মেয়াদ পূর্ণ করে। এর পর মেয়াদোত্তীর্ণ পদ ধরে রাখতে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ বছর ২ মাস পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২২২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিরও মেয়াদ ১ বছর আগে শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করতে ২০২২ সালের ২৯ জুন শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জয়-লেখক কমিটি। তবে অদৃশ্য শক্তির চাপে সে সময় তারা সম্মেলন স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলা শাখার মর্যাদা পেয়ে থাকে। সে অনুসারে শেকৃবিকে জেলা শাখার সমতুল্য বলে গণ্য করা হয়। গঠনতন্ত্রের প্রথম ভাগে সংগঠন ও সাংগঠনিক কাঠামোর ১০ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। জেলা শাখাকে ওই সময়ের মধ্যে নবনির্বাচিতদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এ সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সে অনুসারে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর গ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না। তবে বিয়ে করে দিব্যি ঘর-সংসার করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু। সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানেরও বিয়ের গুঞ্জন রয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেরই বিয়ের বিষয়টা এখন ক্যাম্পাসে ‘ওপেন সিক্রেট’।
সূত্র জানায়, সভাপতি মিঠু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমিকে বিয়ে করে আদাবরে এক ফ্ল্যাটে সংসার পেতেছেন। তারা আদাবর-১০ এর ৭১২/১৭ নম্বর ভবনের এক ফ্ল্যাটে থাকেন। বর্তমানে মিঠু-সুমি দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেকৃবি ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি বলেন, ‘আগস্ট মাস গেল, তারা (মিঠু-মিজান) কোনো শোক সভা বা আলোচনা সভা আয়োজন করতে পারল না। সংগঠনকে গতিশীল রাখা নয়, তারা এখন নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। ছাত্রলীগের পোস্ট ব্যবহার করে সভাপতি মিঠু তার বউ সুমিকে ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার পদে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছে। এখন শুনছি মিঠু তার শ্যালক শামীম আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার বানানোর জন্য প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে। মিঠু নিজেও চাকরিপ্রার্থী। মিজানও এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর শেকৃবি প্রশাসনের জারি করা সার্কুলারে এগ্রিকালচারাল ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন সাধারণ সম্পাদক মিজান। ভাইভার আগের দিনই নিয়োগের নিশ্চয়তা পেতে মিজান তার অনুসারীদের নিয়ে আন্দোলনে নামেন। এমতাবস্থায় যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানায় শেকৃবি প্রশাসন।
এদিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দুর্বলতার সুযোগে ক্যাম্পাসটিতে সক্রিয় হয়েছে শেকৃবি শাখা ছাত্রদল।
এ ব্যপারে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটা হতাশাজনক। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে শেকৃবি ছাত্রলীগের এমন অবস্থা কাম্য নয়।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও মো. মিজানুর রহমান মিজানের মুঠোফানে যোগাযোগ করা হয়, তবে তারা ধরেননি। এরপর এসএমএস করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা কমিটিগুলো নিয়ে কাজ করছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতি শিগগিরই সব জায়গায় নতুন করে কমিটি দেয়া হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফিরোজের মৃত্যু ঘিরে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। ফিরোজ আত্মহত্যা করেছেন নাকি এটি কোনো দুর্ঘটনা, তা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে ফিরোজের কক্ষে তার পড়ার টেবিলের উপর রাখা একটি প্যাডে ফিরোজের কিছু হতাশার কথা লেখা রয়েছে। তবে এই লেখা ফিরোজের হাতের লেখা নয় বলে দাবি করেছেন ফিরোজের বড় ভাই। তিনি জানান, তার এবং ফিরোজের হাতের লেখা দেখতে প্রায় একই।
মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে বিজয় একাত্তর হল থেকে নিচে পড়ে মারা যান ফিরোজ। পরে রাত দুইটা ৪৯ মিনিটে ফিরোজের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ফিরোজের টেবিলের উপর মুরগির মাংসসহ ভাত রাখা রয়েছে।
এই খাবার বন্ধুরা তার জন্য এনে রেখেছিল। তবে পুরোটা না খেয়েই রুম থেকে বের হয়ে গিয়েছিল ফিরোজ। এর কিছুক্ষণ ফিরোজের পড়ে যাওয়ার খবর পায় বন্ধুরা।
ফিরোজের টেবিলে চোখ পড়তেই দেখা যায়, সেখানে একটি প্যাড খাতা অর্ধ খোলা অবস্থায় রাখা। তার উপর দুইটা সিগারেটের প্যাকেট। সেই প্যাকেট দুইটি সরিয়ে দেখা যায়, সেখানে পৃষ্ঠা ভর্তি লেখা।
‘পৃষ্ঠার ওপরে তারিখের জায়গায় লিখা ছিল ১/০৯/২৩। আর এর নিচে লিখা আছে, মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই। আমারে মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’
এই লেখার নিচে মাঝ বরাবর লেখা, ‘ফিরোজ।’ এর নিচে লিখা হয়েছে ‘রাত: ১১টা ৩।’
পৃষ্ঠার বাকি অর্ধেকে আরও লেখা আছে, ‘আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইলো মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড 8079, আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’
এই লেখার নিচে আবারও লেখা রয়েছে, ‘ফিরোজ।’ এর নিচে লেখা হয়েছে, ‘রাত ১১টা ৫।’
কাজী ফিরোজের বন্ধুরা জানিয়েছেন, এই লেখাটা ফিরোজের হাতের লেখার মতোই তাদের মনে হচ্ছে। তবে ফিরোজের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে আসা তার বড় ভাই জানিয়েছেন, তার এবং ফিরোজের লেখা প্রায় একই। প্যাড খাতায় থাকা এই লেখাটা ফিরোজের হাতের লেখা নয়। এরপর তারা ফিরোজের মরদেহের সুরতহাল করার সিদ্ধান্ত নেন।
ফিরোজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল থেকে নিচে পড়ে এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তবে কত তলা থেকে এবং কীভাবে পড়েছে সেটি জানা যায়নি।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম কাজী ফিরোজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর রুমে।
মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে এই শিক্ষার্থী একাত্তর হলের যমুনা ব্লক থেকে পড়ে যান। যেখানে তিনি পড়েছিলেন, সেই স্থানটি ছিল মাটির। আর পাশেই পাকা রাস্তা। সেখানে ছিল তার হাত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আনুমানিক ১২টা ৫০-৫৫ মিনিটে বিজয় একাত্তর হল মাঠে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। এ সময় আমার চোখটা যমুনা ব্লকের দিকে ফোকাস ছিল। এ সময় আমি ‘আল্লাহরে’ বলে একটা চিৎকার শুনতে পাই। এরপর সেই ব্লকের লিফটের দিকে তাকালে দেখি, উড়ন্ত লুঙ্গির মতো কিছু একটা নিচে পড়ে যাচ্ছে। এরপর বিকট একটা শব্দ হয়। বুঝলাম কেউ হয়ত লাফ দিয়েছে বা পড়ে গেছে।
‘তৎক্ষণাত আমি সেখানে দৌঁড়ে যাই এবং পাশের রিডিং রুম থেকে আরও কয়েকজন ভাই দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসে। গিয়ে দেখি, ওনার শরীর ঘর্মাক্ত। সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছেন। এরপর এক ভাই ওনার মুখে পানি দিয়ে বুকে পাঞ্চ করলে উনি নিশ্বাস নেয়া শুরু করেন। পরে ওনাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ওনার পরনে একটা লুঙ্গি এবং গলায় একটা গামছা ছিল।
বিজয় একাত্তর হলের শেখ রাব্বীসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী কাজী ফিরোজকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেই শেখ রাব্বী বলেন, আমি রুমে শুয়ে ছিলাম। শোরগোল শুনে বের হয়ে দেখি, এক ছেলে নিচে পড়ে আছে। দৌড়ে নেমে এসে দেখি, তার সেন্স নেই। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য রিকশায় তুলে দেই। যখন তাকে আমি ধরেছি, তার শরীরটা একদম তুলতুলে ছিল। মনে হচ্ছে, সব হাঁড় ভেঙে গেছে। তবে তার কোনো ব্লিডিং হয়নি। আর সেসময় আমি তার বুকে হাত দিয়ে দেখেছিলাম পালস ছিল।
যা জানিয়েছেন ফিরোজের রুমমেটরা
কাজী ফিরোজের পাশের রুমে থাকেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, আমি রাত ১২টার সময় ওর বেডেই শুয়ে ছিলাম। সেও রুমে ছিল তখন। এদিক সেদিক পায়চারী করছিল। সে আমাকে বলে, ‘বন্ধু, তোর মোবাইলটা একটু দে। আমি একটা জায়গায় ফোন দিব।’ এরপর সে আমার মোবাইল নিয়ে কোনো একটা নম্বরে ফোন দেয়। একটু পরে আমাকে ফোন ফেরত দিয়ে দেয়। পরে আমি ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে রুম থেকে বের হয়ে চলে আসি।
কাজী ফিরোজের আরেক বন্ধু আবদুল্লাহ বলেন, কবি জসিমউদদীন হল মাঠে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। অনেকদিন পর দেখা হওয়ায় কুশল বিনিময় করলাম। পরে সে আমার মোবাইল নিয়ে কাকে যেন ফোন দিয়েছিল। তখন তাকে ডিপ্রেসড মনে হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর সে আমার মোবাইল ফেরত দিয়ে দেয়। পরে আমি চলে আসি।
ফিরোজের এক রুমমেট বলেন, রাত ১০টার পরে সে রুমে আসে। তার জন্য তার টেবিলে খাবার রাখা ছিল। আমি তাকে বলি, খাবার তো নষ্ট হয়ে যাবে। খাবার খেয়ে নে। সে বলে, খামু। এরপর সে অযু করে এসে নামাজ পড়েছে। নামাজ শেষে সে তার টেবিলে বসলো। আমরা ভেবেছি, সে হয়ত পড়তে বসেছে। এরপর আমরা রুমের লাইট বন্ধ করে শুয়ে পড়ি। এরপর সে বের হয়ে যায়। এ সময় তার বেডমেট জিজ্ঞেস করলো, কই যাস? তখন সে বলে আসতেছি।
‘এর অল্প সময় পর আমরা খবর পাই, বিজয় একাত্তর হল থেকে কেউ একজন নিচে লাফ দিছে। এটা শুনার সঙ্গে সঙ্গে আমি শোয়া থেকে ওঠে পড়ি। যেহেতু ফিরোজ শেষ কিছুদিন ধরে একটু ডিপ্রেসড ছিল, তাই আমি সবাইকে বলি, ফিরোজ কই? দেখি, রুমে ফিরোজ নেই। এরপর আমরা সবাই দৌড় দিয়ে বিজয় একাত্তরের সামনে আসি। তৎক্ষণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি, ফিরোজই।’
ফিরোজের বেডমেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমি লাইব্রেরি থেকে যখন রুমে আসি এর কিছুক্ষণ পর ফিরোজ রুমে আসে। সাড়ে ১০টার দিকে সে সবাইকে বলছে, তোরা কেউ আমার কাছ থেকে কোনো টাকা পাস কি-না বল। এমনকি দুই টাকা হলেও বল। আমি দিয়ে দিতে চাই। পেলে এখনই বল। এর কিছুক্ষণ পর সে মানিব্যাগ এবং মোবাইল রেখে রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। তখন আমি বলি, কই যাচ্ছিস? সে বলে আমি একাত্তর হলে যাচ্ছি, একটু কাজে। এরপর আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করিনি।
মাসুম জানান, তার জন্য রাখা খাবারটা সে অল্প একটু খেয়েছে। বেশিরভাগ খাবারই সে রেখে দিয়েছিল।
সার্বিক বিষয়ে রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, আমরা সংবাদ পেয়েছি, জিয়া হলের এই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে পড়ে গেছেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা এই শিক্ষার্থীর মরদেহ সুরতহাল করে মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ নির্ণয় করার চেষ্টা করছি।