ড্যাফোডিল ফ্যামিলি চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, ড্যাফোডিল অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার পুনর্মিলনীতে বিশ্বব্যাপী ড্যাফোডিল অ্যালামনাইদের সমন্বিত অবদানের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন ডলারের একটি ক্রাউডফান্ড প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনাবাসিক ড্যাফোডিল অ্যালামনাইদের কল্যাণ, চাকরি নির্ধারণ এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে নিবেদিত হবে। গতকাল রোববার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত ড্যাফোডিল অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার পুনর্মিলনীতে তিনি এ ঘোষণা দেন। যেখানে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ড্যাফোডিলের সাবেক ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উপস্থিতি ছিল এবং অনাবাসিক ড্যাফোডিল অ্যালামনাইরা এ তহবিলে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখবে।
পুনর্মিলনীতে বিভিন্ন ব্যাচের ১৫০ জন ড্যাফোডিলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, যারা গবেষণা এবং ব্যবসার মতো ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির মধ্যে ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান এবং ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
‘ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে কিউ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড। ‘এক্সিলেন্স ইন কিউ-কমার্স’ (ইমার্জিং) ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা পাওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরেছে ফুডি এক্সপ্রেস।
গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে ফুডির চিফ অপারেটিং অফিসার মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং, উদ্ভাবনী বিজ্ঞাপন ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহক সেবায় ‘বৈচিত্র্য আনায়’ অবদানের জন্য ফুডি এক্সপ্রেসকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ইবিএল মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে (এনাবলার, এক্সিলেন্স এবং পার্টনার্স ইন প্রগ্রেস) ৪০টি অংশীদার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে।’
ফুডির সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নান বলেন, ‘এই স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই অর্জন আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে নতুন সব উদ্ভাবনী ফিচার ও উন্নত সেবা নিয়ে আসার জন্য।’
এক্সপো গ্রুপ তাদের কর্মীদের পে-রোল ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরও দক্ষ ও কাঠামোবদ্ধ করার লক্ষ্যে অ্যাকর্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে।
এই চুক্তির আওতায়, এক্সপো গ্রুপে চালু হচ্ছে অ্যাকর্ড টেকনোলজিসের ক্লাউডভিত্তিক মানবসম্পদ ও পে-রোল ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্ম অ্যাকর্ড এইচআরএম। এর মাধ্যমে পে-রোল পরিচালনা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনা, পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীদের আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।
এই উদ্যোগ এক্সপো গ্রুপের শক্তিশালী কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, নির্ভুলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার অঙ্গীকারকে আরও সুসংহত করবে।
এটি সকল কর্মীর জন্য একটি নির্ভরযোগ্য, ন্যায্য ও সুসংগঠিত প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
প্রযুক্তিনির্ভর ও ভবিষ্যৎমুখী প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে এক্সপো গ্রুপ তার মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুদৃঢ় করার এই যাত্রা অব্যাহত রাখছে। কারণ এক্সপো গ্রুপ মনে করে, শক্তিশালী গভর্ন্যান্স, সম্প্রসারণযোগ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা কাঠামো এবং মানবসম্পদ-কেন্দ্রিক কার্যকর পরিচালনাই একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতির মূল ভিত্তি।
আমানত বৃদ্ধিসহ ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বৈচিত্র আনতে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকের ১১টি শাখায় ইসলামী ব্যাংকিং হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সকল প্রকার ইসলামী ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা যাবে।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে রূপালী ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং সেবা দ্রুত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই উদ্যোগের আওতায় রূপালী সদন কর্পোরেট, পুরানা পল্টন করপোরেট, ধানমন্ডি করপোরেট, নর্থ সাউথ রোড, উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট, মুগদা, নরসিংদী করপোরেট, রামপুরা, সাভার বাসস্ট্যান্ড, ইসলামপুর রোড, মানিকগঞ্জ করপোরেট ও পোস্তগোলা শাখা এবং আগারগাঁও উপশাখায় ইসলামী ব্যাংকিং হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।
এতে মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান, মো. ইসমাইল হোসেন শেখ, মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন, মো. মইন উদ্দিন মাসুদ ও সালামুন নেছাসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপক, জোনাল ম্যানেজার ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ ভ্যার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত আমদানি ও রপ্তানির অনলাইন মনিটরিং সিস্টেমে রিপোর্টিং বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে এনআরবিসি ব্যাংক।
সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ট্রেনিং ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে (এইচআরটিডিসি) আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান।
বৈদেশিক মুর্দ্রা লেনদেনে ঝুঁকি হ্রাসে যথাযথভাবে রিপোর্ট করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক তাসফিয়া তানজিম স্নিগ্ধা এবং উপপরিচালক লায়লা আক্তার।
কর্মশালায় ব্যাংকের ইন্টারনাশনাল ডিডিশনের প্রধান হাসনাত রেজা মহিব্বুল আলম, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা এবং আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকরা অংশ নেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, অনলাইন আমদানি-রপ্তানি মনিটরিং সিস্টেমে যথাযথ রিপোটিংয়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানির ব্যয় এবং সময়মত রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। ওভার ইনভয়েসিং এবং অ্যান্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার রোধ করে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করা সম্ভব হয়। এছাড়া আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব নীতিমালা ও সার্কুলার জারি করেছে তা সঠিকভাবে পরিপালন করতে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিদের্শনা প্রদান করেন তিনি।
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্টের ২০২৬ সালের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে লোকাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সুবাহ আফরিন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মো. তানভীর হাসান।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের বার্ষিক সাধারণ পরিষদে ২০২৬ সালের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
কার্যনির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন– ইমিডিয়েট পাস্ট লোকাল প্রেসিডেন্ট সুজাউর রহমান ইমন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাদ্দাম হোসেন ও অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সামিন রহমান, ট্রেজারার মাসুদ এবং জেনারেল লিগ্যাল কাউন্সেল ইব্রাহীম খলিল ফয়সাল।
কমিটিতে আরও রয়েছেন– ট্রেইনিং কমিশনার আহমেদ ওয়াজেদুল হক খান, পিআর অ্যান্ড মিডিয়া চেয়ারপারসন আসিয়া বিনতে আমানত সুমি, ডিজিটাল কমিটি চেয়ারপারসন জোবায়ের আহমেদ সাকিব, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স চেয়ারপারসন মো. তানভীর হোসাইন, ডিরেক্টর আব্দুর রহমান খান বাপ্পি, তানভীর সোহান, ইয়াসির শাহরিয়ার, আহনাফ আহমেদ, কমিটি চেয়ার শেখ মাহমুদা সুলতানা সারা, মিনহাতুল জান্নাত, রাইয়ান ইসলাম সরদার ও এস এম শফিউল আলম সাকিব।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ২০২৪ সালের জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল প্রেসিডেন্ট এস এম বেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৬ সালের নবনির্বাচিত ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট আরেফিন রাফি আহমেদ, ২০২৫ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট কাজী ফাহাদ, বোর্ডের অন্যান্য সদস্য ও বিভিন্ন চ্যাপ্টারের একাধিক লোকাল প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্যমী তরুণদের একটি সংগঠন। জেসিআই সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। ১২০টিরও বেশি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে এবং সারাবিশ্বে এর সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি। তরুণদের দক্ষতা, জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে এ সংগঠন। বাংলাদেশে বর্তমানে জেসিআই এর প্রায় ৪০টির অধিক লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। এরমধ্যে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ লোকাল অর্গানাইজেশন।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেরা বেভারেজ ব্র্যান্ডের গৌরব অর্জন করেছে মোজো।
বছরের পর বছর ধরে ভোক্তাদের অটুট বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ মোজো এই সম্মাননা লাভ করে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি দেশের সেরা ১৫টি ব্র্যান্ডের তালিকাতেও নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে মোজো।
দেশের প্রতিযোগিতামূলক বেভারেজ বাজারে মোজোর এই ধারাবাহিক সাফল্য ব্র্যান্ডটির প্রতি সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও শক্তিশালী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ। শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে এই অর্জন মোজোর জনপ্রিয়তাকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে মোজোর গুণগত মান ও ব্র্যান্ড ভ্যালুর যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়েছে।
বিশ্বখ্যাত স্টেশনারি ব্র্যান্ড ডেলি ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এসিআই-এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্টেশনারি জগতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করা হয়েছে।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা শেরাটন হোটেলে ‘বিয়ন্ড দ্য অরডিনারি, বিয়ন্ড দ্য বাউন্ডারি’ শীর্ষক থিমে অনুষ্ঠিত হয় এ লঞ্চিং প্রোগ্রামটি।
অনুষ্ঠানে ডেলি ইন্টারন্যাশনাল এর ডিরেক্টর মারস এবং এসিআই এর গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আরিফ দৌলা’র পাশাপাশি উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ব্যবসায়িক অংশীদার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডেলি স্টেশনারি পণ্যগুলো এসিআই-এর শক্তিশালী বিপণন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের বাজারে আরও সহজলভ্য হবে।
ডেলির পণ্যগুলো আধুনিক ডিজাইন, টেকসই মান এবং ব্যবহারবান্ধব বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে তৈরি, যা শিক্ষার্থী, পেশাজীবী এবং সৃজনশীল মানুষের দৈনন্দিন কাজকে করবে আরও সহজ ও কার্যকর।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, এ অংশীদারিত্ব স্টেশনারি ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং সৃজনশীলতা ও দক্ষতার সীমা ছাড়িয়ে যেতে ব্যবহারকারীদের অনুপ্রাণিত করবে। ‘বিয়ন্ড দ্য অরডিনারি, বিয়ন্ড দ্য বাউন্ডারি’ থিমের মাধ্যমে ডেলি ও এসিআই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে যে, তারা মানসম্মত ও উদ্ভাবনী স্টেশনারি পণ্যের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও পেশাগত জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাবে।
নগদে লেনদেন করে হিরো প্লেজার রিফ্রেশ ১০২ সিসি মোটরসাইকেল জিতে নিয়েছেন ময়মনসিংহের শফিকুল ইসলাম সোহেল। নগদে ফিরে আসা বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি এই উপহার জিতেছেন।
টেলিভিশন পর্দার প্রিয়মুখ, অভিনেত্রী পারসা ইভানা নগদের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল বিজয়ী শফিকুলের হাতে উপহার তুলে দেন।
অভিনেত্রী পারসা ইভানার কাছ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পেয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে তো বিশ্বাসই করতে পারিনি! যখন দেখলাম স্কুটি নিয়ে তারা আমার বাসায় চলে এসেছেন, তখন খুবই খুশি হয়েছি। নগদে লেনদেন করার মাধ্যমে আমি এরকম পুরস্কার পাব, ভাবতেও পারিনি।’
‘আসা আর ফেরা, সারপ্রাইজ সেরা’ শিরোনামে সম্প্রতি একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে নগদ। এখন পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন। পাশাপাশি সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে বোনাস রিচার্জ পেয়েছেন দুই হাজারের বেশি গ্রাহক। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক প্রদান করা হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনে মেগা পুরস্কার হিসেবে থাকছে একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল।
নগদের এই ক্যাম্পেইনে নিয়মিত লেনদেন না করা গ্রাহক যদি নগদে ফিরে লেনদেন করেন এবং কেউ নতুন নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেন, তাদের জন্য থাকছে প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ হাজারো পুরস্কার জেতার সুযোগ।
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল সবসময়ই ভ্রমনপিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয়। বিশেষ করে লকডাউনের পর থেকে স্থানীয় পর্যটনের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে সাজেক, বান্দরবান ও বগালেকের মতো নৈসর্গিক গন্তব্যগুলো দেশের প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক এই সময়েই দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে পর্যটকদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,২৩৫ ফিট উঁচু দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সড়ক। তবে সেই একই চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে- পাহাড়টি কুয়াশাছন্ন উঁচু-নিচু খাড়া পথ আর ঢালের সমন্বয়ে হওয়ায় সাধারণ গাড়ি বা মোটরবাইকের পক্ষে এ ধরণের পথ সামলানো প্রায় অসম্ভব।
আর তাই বেশিরভাগ পর্যটক বহুদিন ধরে নির্ভর করে আসছে চান্দের গাড়ির উপর। পাহাড়ি অঞ্চলের পরিচিত খোলা ছাদওয়ালা জীপ। তবে এসব গাড়ি যতটা ব্যবহারযোগ্য ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। পাহাড়ি সড়ককে ঘিরে অতীতের বেশ কিছু দুর্ঘটনা পর্যটকদের মনে ভয়ও তৈরি করেছে।
এমন এক সময়ে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে জ্যাক মোটোরস এর আধুনিক মডেল জ্যাক টি৯, যা নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটির একমাত্র অফিশিয়াল প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী র্যানকন গ্লোবাল ট্রাকস লিমিটেড। সম্প্রতি দুইটি জ্যাক টি৯ নিয়ে জ্যাক মোটোরস টিম এবং ট্রাভেল ইনফ্লুয়েন্সার ‘দ্য আউটসাইডার’ ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কেওক্রাডং জয় করে এবং নিরাপদে ফিরে আসে। পুরো যাত্রায় ভিডিওতে দেখা গেছে গাড়িটি কীভাবে অতিরিক্ত খাড়া চূড়ার মতো দুর্গম আর উচু-নিচু বাঁক অনায়াসে পার করছে।
প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী জ্যাক টি৯-তে রয়েছে ২.০ লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন যা দেয় ১৬৮ হর্স পাওয়ার এবং ৪১০ নিউটন-মিটার টর্ক(এনএম)। এর শক্তিশালী ফোর-হুইল ড্রাইভ সিস্টেম দুর্গম ও উচু-নিচু পথে অতিরিক্ত গ্রিপ নিশ্চিত করে। পাশাপাশি এটি ১০০০ কেজির বেশি ওজন বহন করতে সক্ষম। গাড়িটির ইন্টেরিয়রও বেশ সুন্দর ও আরামদায়ক। এতে রয়েছে চমৎকার লেদার সিট, ১০.৪ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, সানরুফ, ওয়্যারলেস চারজিংসহ আধুনিক সব সুবিধা। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে এবিএস, ইবিডি এবং ইএসপি যা ড্রাইভকে করবে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ। দেশের অটোমোবাইল বাজারে সাশ্রয়ী দামে নতুন চমক নিয়ে এলো জ্যাক টি৯। ক্রেতারা এখন মাত্র ৪৬.৫ লাখ টাকায় অত্যাধুনিক সব ফিচারসহ ব্র্যান্ড নিউ গাড়িটি কিনতে পারবেন।
সফল অভিযানের পর র্যানকন গ্লোবাল ট্রাকস লিমিটেড’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জনাব শন হাকিম বলেন, “র্যানকনে আমরা বিশ্বমানের গাড়ি বাংলাদেশে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জ্যাক টি৯ কেওক্রাডং জয় করে দেখিয়েছে এটি আরও কঠিন পথও আত্মবিশ্বাসের সাথে অতিক্রম করতে সক্ষম।”
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জ্যাক টি৯-এর এ সাফল্য প্রমাণ করে শক্তিশালী ও সক্ষম গাড়ি থাকলে বাংলাদেশের দুর্গম পাহাড়ি গন্তব্যগুলো এখন আর শুধু প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নয় বরং পরিবার ও সাধারণ পর্যটকরাও সহজে ও নিরাপদে এসব জায়গায় যেতে পারবেন। অনেকে বিশ্বাস করে এই উদ্যোগটি স্থানীয় পর্যটনকে আরও এগিয়ে নেবে এবং পাহাড়ি সড়কে নিরাপত্তার নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে।
সম্প্রতি ব্র্যান্ডটি তেজগাঁওয়ে তাদের প্রধান জ্যাক শোরুম উদ্বোধন করেছে, যেখানে গাড়ি বুকিং এবং টেস্ট ড্রাইভের সুবিধাসমূহ পাওয়া যাচ্ছে।
এনার্জিপ্যাক ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড সম্প্রতি অ্যারিস্টো সিরিজ টুয়েলভ ওয়ে এসডিবি বক্স বাজারে নিয়ে এসেছে। এটি নিরাপদ ও কার্যকরী বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান। আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিরাপদে এবং দীর্ঘমেয়াদে বৈদ্যুতিক ডিস্ট্রিবিউশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এসবিডি বা সাব ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড একটি সেকেন্ডারি বৈদ্যুতিক প্যানেল। এটি এমডিবি (মেইন ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড) থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা যন্ত্রপাতির জন্য বিদ্যুৎকে ছোট ছোট সার্কিটে ভাগ করে দেয়। এর কারণ হলো, এটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে আরও কার্যকর করে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সেই সাথে মূল প্যানেলের ওপর চাপ কমাতেও সহায়তা করে।
এসবিডি বক্সের ব্যবহার বহুমুখী। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, অফিস-আদালত, বিপণী বিতান, এবং হোটেলসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যবহৃত হয় এই বক্স। এ ধরনের বোর্ড নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়।
সীমান্ত ব্যাংক এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের মধ্যে গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। এই চুক্তির আওতায় ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সীমান্ত ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডধারীরা বিশেষ ছাড় ও অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা উপভোগ করবেন।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সীমান্ত ব্যাংকের হেড অব বিজনেস মো. শহিদুল ইসলাম এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের হেড অব মার্কেটিং মো. হাদিউল করিম খান। এই অংশীদারিত্বের ফলে সীমান্ত ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত ব্যাংকের হেড অব কার্ডস এন্ড এডিসি শরীফ জহিরুল ইসলাম এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ও জোনাল ইনচার্জ (কর্পোরেট মার্কেটিং) মো. মুসা আলী। এছাড়াও উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মূলত গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন এবং কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সীমান্ত ব্যাংকের নিরলস প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি ‘সাসটেইনেবিলিটি ফর দ্যা পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট’ থিমে ২০২৬ সালের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিডিসি’র অংশীদারগণ, শুভানুধ্যায়ী এবং আইপিডিসি পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এই আয়োজনের মাধ্যমে সাসটেইনেবল ও গ্রিন ফাইন্যান্সের মাধ্যমে ইএসজি লক্ষ্য এগিয়ে নেওয়া এবং অর্থবহ সিএসআর উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আইপিডিসি।
বছরের পর বছর ধরে আইপিডিসি’র বার্ষিক ক্যালেন্ডার শুধু দিন-তারিখ দেখানোর গণ্ডি ছাড়িয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডারটি আইপিডিসি’র সেই বিশ্বাসকে তুলে ধরে দায়িত্বশীল অর্থায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যালেন্ডারের প্রতিটি মাসে তুলে ধরা হয়েছে এমন সব উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠান, যারা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল থেকেও সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং সমাজে বাস্তব, ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
আইপিডিসি’র এবারের ক্যালেন্ডারে এমন ১২টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থান পেয়েছে, যাদের উদ্যোগ টেকসই উদ্ভাবন ও ইতিবাচক প্রভাবের বাস্তব উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, মুসপানা ফিলামেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা, রিগেল এনার্জি লিমিটেড, এম.এস.ই কাস্টিং পিলার কারখানা, বিসমিল্লাহ প্লাস্টিক সেন্টার, আমল ফাউন্ডেশন, ন্যাচারাল ফাইবারস, লক্ষণ জুট মিলস লিমিটেড, এমইপি লাইট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এ.কে.এন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফার্ম অ্যান্ড ফিশারিজ এবং অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে টেকসই ব্যবসায়িক মডেল ও কমিউনিটি-কেন্দ্রিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের জন্য যৌথ মূল্য সৃষ্টি, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন,“আইপিডিসি-তে সাসটেইনেবিলিটি শুধু একটি ধারণা নয়, বরং এটি আমাদের কাজের ধরন। প্রডাক্ট ডিজাইন থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করা—সব ক্ষেত্রেই এর প্রতিফলন রয়েছে। সাসটেইনেবল ও গ্রিন ফাইন্যান্সের পাশাপাশি আমাদের সিএসআর উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এমন ব্যবসাগুলোকে সহায়তা করতে চাই, যারা ইএসজি–তে বাস্তব ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে। এই ক্যালেন্ডার সেই সব উদ্যোগকেই সম্মান জানায়, যারা দেখিয়েছে—দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসায়িক সাফল্যও এনে দিতে পারে।”
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্র্যান্ড ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন হেড সামিউল হাশিম বলেন, “আইপিডিসি বার্ষিক ক্যালেন্ডার ২০২৬–এর গল্পগুলো দায়িত্বশীল অর্থায়নের বাস্তব প্রভাবকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এসব উদ্যোগ প্রমাণ করে, সঠিক মূল্যবোধ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের অংশ হলে তা ইএসজি লক্ষ্য অর্জনকে ত্বরান্বিত করে এবং কমিউনিটি ও পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব তৈরি করতেও সক্ষম হয়।”
সাসটেইনেবিলিটি কেন্দ্রিক উদ্যোগগুলোকে নিয়ে ২০২৬ সালের বার্ষিক ক্যালেন্ডার উন্মোচন করার মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি আবারও জানিয়ে দিয়েছে—গ্রিন ফাইন্যান্স, টেকসই বিনিয়োগ ও সিএসআর–ভিত্তিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে দায়িত্বশীলভাবে এগিয়ে যাওয়াই তাদের লক্ষ্য। এই ক্যালেন্ডার মনে করিয়ে দেয়—আজকের ব্যবসায়িক ও আর্থিক সিদ্ধান্তই আগামী দিনের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম।
দেশের জনপ্রিয় কোমল পানীয় ব্র্যান্ড ‘মোজো’ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ‘বেস্ট বেভারেজ ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অর্জন করে বাজারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত মর্যাদাপূর্ণ এই সম্মাননা প্রাপ্তির মাধ্যমে মোজো আবারও প্রমাণ করল যে, ভোক্তাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসার তালিকায় তাদের অবস্থান কতটা সুদৃঢ়। দীর্ঘ সময় ধরে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা এবং কার্যকর বিপণন কৌশলের ধারাবাহিকতায় মোজো এই অনন্য স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বেভারেজ ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থান দখলের পাশাপাশি মোজো এ বছর বাংলাদেশের সামগ্রিক বা ‘ওভারঅল’ সেরা ১৫টি ব্র্যান্ডের অভিজাত তালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছে। দেশের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি স্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে এই অর্জন মোজোর শক্তিশালী অবস্থান এবং মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনেরই প্রতিফলন। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মোজো কেবল একটি পানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় অন্যতম নির্ভরযোগ্য নাম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
মোজো কর্তৃপক্ষ এই সাফল্যের সব কৃতিত্ব উৎসর্গ করেছে তাদের অগণিত ভোক্তাদের প্রতি। তাদের মতে, ভোক্তাদের আস্থাই ব্র্যান্ডটির এই ধারাবাহিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। আগামীতেও গুণগত মান এবং আধুনিকতার সমন্বয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে মোজো। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দেশব্যাপী নিবিড় জরিপের মাধ্যমে প্রতি বছর বিভিন্ন খাতের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে এই সম্মাননা প্রদান করে থাকে, যেখানে মোজো এবারও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখল।