বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৮ কার্তিক ১৪৩২

নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মহলের ‘হস্তক্ষেপে’ উদ্বেগ জাবির ৫ শতাধিক শিক্ষকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:৪০

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আন্তর্জাতিক মহল ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ করছে অভিযোগ করে সে বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন ভবনে বুধবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক দিন পর বৃহস্পতিবার জাবির শিক্ষকরা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এর আগে নিঃশর্ত সংলাপ চেয়ে দেশের তিন রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর দেয়া চিঠিকে শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং অযাচিত হস্তক্ষেপ দাবি করে এ ঘটনায় বুধবার উদ্বেগ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৮২৫ শিক্ষক। তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের নামে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। এবার অর্থনৈতিকভাবে ক্রমাগ্রসরমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উন্নয়নের ধারাকে পশ্চাৎমুখী করার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অপতৎপরতায় রসদ যোগাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ জাবির সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত বার্তায় বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং সকল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে অনুরোধ করেছেন। আমরা ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’, জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনি তফসিলকে স্বাগত জানাই, কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলমান অবস্থায় তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সব ধরনের শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে সে দেশের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি বিতরণ করেছে বলে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।’

‘ইতোমধ্যে আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করার সব ধরনের উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, সেই সময়ে এই ধরনের চিঠি বিতরণ এবং হস্তক্ষেপ শিষ্টাচার-বহির্ভূত।’

জাবি শিক্ষকরা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ মনে করে একটি সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে এ দেশের জনগণের নিজস্ব স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনভাবে নিজের ভোট দেয়ার অধিকার রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের এ ধরনের পদক্ষেপ এ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং দেশের মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে বলে আমরা মনে করি।

‘উক্ত ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সেই সাথে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’


পাকসু নির্বাচন চায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী

*২৪ বছরেও পবিপ্রবিতে হয়নি ছাত্র সংসদ নির্বাচন *পবিপ্রবিয়ান ফেসবুক গ্রুপে গণ-ভোট দেয় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী *পবিপ্রবি প্রশাসনের গড়িমসি
আপডেটেড ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৩৬
পবিপ্রবি প্রতিনিধি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) দক্ষিণ বঙ্গের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি বিদ্যাপীঠ। পবিপ্রবির আইনে উল্লেখ না থাকলেও বিধিমালায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (পাকসু)-এর গঠনতন্ত্র। ক্যাম্পাসের অধিকাংশ শিক্ষার্থী চায় পাকসু নির্বাচন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

দেশের উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইতোমধ্যেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে গেছে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়েছে পদক্ষেপ, ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন তারিখ। পবিপ্রবির বিধিমালার ক্রমিক-১১ এর ১৩৯ পৃষ্ঠা থেকে ১৫৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (পাকসু) ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র উল্লেখ থাকলে ২৪ বছরেও পবিপ্রবিতে হয়নি ছাত্র সংসদ নির্বাচন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ বাবদ ভর্তির সময় নেওয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা এবং হল সংসদ বাবদ প্রতি সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া হয় নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা। এই লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ব্যয় হওয়ার খাতগুলো নিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে অস্পষ্টতা। পবিপ্রবির টিএসসিতে ছাত্র সংসদের একটি বড় কক্ষ বরাদ্দ থাকলেও ৫ আগস্টে পরবর্তীকালে অন্য কোনো সংগঠনের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয় যা পবিপ্রবির প্রশাসনের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ব্যাপারে উদাসীনতার প্রতিফলন।

পবিপ্রবিয়ান ফেসবুক গ্রুপে গণ-ভোট নেওয়া হলে সেখানে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ভোট দেয় যেখানে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী ‘পাকসু চাইর’ পক্ষে ভোট দেয়। পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে যায় তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও হব’ তবে এ বিষয়ে পরবর্তীতে তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী শামীমা সুলতানা বলেন, ‘পাকসু হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। এতে করে ভবিষ্যতে একক কোনো পক্ষের আধিপত্য থাকবে না। আমরা পাকসু চাই, অনুসরণ নয় দৃষ্টান্ত স্থাপনে আমাদের কাজ করা উচিত। আমাদের সকল কার্যক্রম অনলাইন গ্রুপে সীমাবদ্ধ না রেখে সকলকে এ দাবি নিয়ে শক্তভাবে নিজের অবস্থান তুলে ধরা উচিত।’

কৃষি অনুষদের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ‘পবিপ্রবির ছাত্র সংসদ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পথ উন্মোচন করবে। দেশের বেশির ভাগ ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে গেছে, আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নিয়ে আগ্রহ ও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্রুত পাকসু নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

পবিপ্রবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. জান্নাতীন নাঈম জীবন বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কার্যকর ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি। ইসলামী ছাত্রশিবির আশা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করে সুষ্ঠু ছাত্র সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং তফসিল ঘোষণা করবে।

পবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রাতুল বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই, বাকিটা প্রশাসনের উপর নির্ভর করছ।’

পবিপ্রবির অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ের কথা উল্লেখ করে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি জরুরি কাজে ঢাকায় ব্যস্ত আছেন এবং এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়র রেজিস্ট্রারের সাথে সাক্ষাৎ করার পরামর্শ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি এবং কোনো প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে বলে আমার জানা নেই। আমি উপাচার্যের আদেশে মূলত কাজ করে থাকি আমাকে উপাচার্য মহোদয় আদেশ দিলেই আমি এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব।’


রাউজান কাঁঠালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খসে পড়ছে পলেস্তার

ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
রাউজান উপজেলার ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাঁঠালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাঁঠালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে বসে ক্লাস করছে। ১৯৬৬ সালে নির্মিত এই বিদ্যালয় ভবনটির পলেস্তারা খসে পড়ে শিক্ষার্থীদের মাথার ওপর। বিদ্যালয়টি পরিদর্শনকালে দেখা যায় পিলারগুলো ও দেওয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ২২০ জন শিক্ষার্থী ও ৭ শিক্ষক নিয়ে থাকা ৫৯ বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির পাশে অপর একটি ভবন রয়েছে তিন কক্ষবিশিষ্ট। এই ভবনের একটি কক্ষে বসেন শিক্ষকরা। অপর দুটি কক্ষে বসে পাঠ নেয় দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এখানে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা না থাকায় অবশিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হয় আগের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘বসার জায়গা না থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের সেখানে বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলেছে ক্লাস চলাকালীন ছাদ থেকে বালু খসে পড়ে তাদের মাথার ওপর ও চোখে-মুখে।’

কাঁঠালভাঙ্গা এই বিদ্যালয়টির মতো এই উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়েও রয়েছে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গার সংকট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটে থাকা বিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিছু কিছু নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেও এখনো অন্তত ২০টি বিদ্যালয়ের ভবন অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরনবী ও উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম, বলেন কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না জমি-সংক্রান্ত বিরোধ থাকার কারণে। অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ভবনগুলো নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিল পতিত সরকারের আমলে আওয়ামীপন্থি ঠিকাদাররা। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেসব ঠিকাদার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করার কাজ করছে। ইতোমধ্যে কিছু ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।


বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণে ৪৪৫ কোটি টাকার প্রস্তাব অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) দাখিল ও কারিগরির ৬ষ্ঠ শ্রেণি, ৭ম শ্রেণি ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই কাজটি পেয়েছে মোট ২৯৮টি প্রতিষ্ঠান, এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৬ষ্ঠ শ্রেণি, দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও কারিগরি ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ৯৮টি দরপত্রের ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮১ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নিমিত্ত ৭৭টি প্রতিষ্ঠান৷ এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৫০ টাকা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৭ম শ্রেণি, দাখিল ৭ম শ্রেণি ও কারিগরি ৭ম শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ১০০টি দরপত্রের মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নিমিত্ত ৯১টি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ০১ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৪ টাকা৷

এছাড়া বৈঠকে একই বিভাগে অপর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৮ম শ্রেণি, দাখিল ৮ম শ্রেণি ও কারিগরি ৮ম শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার৷

সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ১০০টি দরপত্রের মোট ৪ কোটি ০২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নিমিত্ত ৯০টি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ০৯৭ টাকা।


মন্ত্রণালয়ে গেলেন ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে তারা শিক্ষাভবন মোড়ে দিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যান । প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান এবং সদস্য সচিব মাওলানা মো. আল আমিন।

জানা গেছে, প্রতিনিধি দলে নীলফামারী, চট্টগ্রাম, বগুড়া, ভোলা, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, পিরোজপুর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, বরগুনা, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষক নেতারা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে পুলিশ সদস্য ও শিক্ষকরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন। এ সময় জলকামান ও রায়ট কার রাখা হয়। পদযাত্রা আটকে দেওয়ায় প্রেস ক্লাব থেকে পল্টনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলমান অবস্থান ধর্মঘট থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান ঘোষণা দেন— সরকার তাদের দাবি না মানলে ২২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে।

শিক্ষকরা দাবি করেছেন, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারির জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি, এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরিত ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— অনুদানবিহীন স্বীকৃত ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।


প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছে গুড নেইবারস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার

একজন শিক্ষার্থী তখনই সাফল্যের শেখরে পৌঁছাতে পারে, যখন শিক্ষক তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন, অভিভাবক তাকে উৎসাহ দেন, আর সে নিজে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে। সে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে মঙ্গলবার ইউনেস্কো হামদান প্রকল্পের আয়োজনে গুড নেইবারস বাংলাদেশ মৌলভীবাজার কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের সহ‌যোগিতায় শিক্ষক, ছাত্র’ অভিভাবক’ সমন্বয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মৌলভীবাজার সিডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক এন্ড্রিকো মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক নীহার কান্তি দেবের সঞ্চালনায় আমন্ত্রীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সিডিপি চেয়ারপারসন বিলকিস বেগম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কো হামাদান প্রকল্পের ফ্যাসিলিটেটর মো. ওলিউল্লাহ, শিক্ষক শান্ত কুমার সিংহ, অনামিকা সিনহা, অভিভাবক মনজুর আহমেদ জুবেল, তাসনিমা সুলতানা, শিক্ষার্থী স্নেহা সিনহা, ইকবাল আহমেদ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, আজকের (মঙ্গলবার) এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য হলো- শিক্ষার তিনটি প্রধান পক্ষ-অভিভাবক, ছাত্র এবং শিক্ষক- এই তিন পক্ষের মধ্যে একটি দৃঢ় সমন্বয় গড়ে তোলা। এ সময় ২৭০ জন অভিভাবক, ছাত্র, শিক্ষক সমন্বয় সে‌মিনারে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য- গুড নেইবারস বাংলাদেশ তার শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিটি শিশুর উচ্চ মানের শিক্ষা এবং তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছানোর সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুড নেইবারস বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গুড নেইবারস হলো- একটি আন্তর্জাতিক মানবিক ও উন্নয়নমূলক বেসরকারি সংস্থা যা জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে (ইউএন ইকোসক) জেনারেল কনসালটেটিভ স্ট্যাটাসে সদস্যপদ রয়েছে।

গুড নেইবারস বাংলাদেশ, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, শিশু সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, আয়বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, ডিআরআর, এবং রোহিঙ্গা জরুরি অবস্থার জন্য ১৩টি জেলায় ১৭টি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিডিপি) এবং ৫টি বিশেষ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। গুড নেইবারস সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানের জন্য ২০০৭ সালে এমডিজি-২ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।


প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের ঝরে পড়া রোধে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের ঝরে পড়া রোধে আনন্দে লেখাপড়া নিশ্চিত করতে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসক। ১ শত ৬০ টি বিদ্যালয়ে ১টি করে প্লে-গ্রাউন্ড করা হবে। দোলনা স্লিপার, ব্যালেন্সার, বাসকেট বল, প্রজাপতি ফটো সেশন পয়েন্ট, রোপ ল্যাডার ও বাংলাদেশের মানচিত্র সংবলিত ম্যুরাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

‘বিশ্বকে বদলে দিতে, বিকশিত হই আনন্দের সাথে’ - এই প্রতিপাদ্যে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় ১৬০ টি বিদ্যালয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের আনন্দের সাথে লেখাপড়া নিশ্চিত করতে এবং স্কুল থেকে শিশুদের ঝরে পড়া রোধে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যাগ নিয়েছে টাঙ্গাইলের জেরা প্রশাসক শরীফা হক।

মঙ্গলবার টাঙ্গাইল সদরের খাগজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে গ্রাউন্ডের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, টাঙ্গাইল পৌরসভার সিইও আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়া, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেওয়ান আসিফ পেলে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাহাব উদ্দিন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক শরীফা হক সাংবাদিকদের জানান, একটি জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হচ্ছে শিশুরা। আর তাই পৃথিবীর যা কিছু সুন্দর, সত্য এবং শুদ্ধ তার মধ্যে দিয়ে শিশুদের বড় করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। শিশুদের সর্ব্বোচ বিকাশ ঘটে তখনই যখন তারা আনন্দের সাথে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।

তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে বেশীরভাগ শিশু সুষ্ঠু বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরাও যেন আমাদের সীমিত সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে আনন্দে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।

আমার বিশ্বাস আমরা যদি শিশুদের প্রতি একটু যত্নশীল হই, তারা বিকশিত হবে আদর্শ, কর্মক্ষম, সুযোগ্য সুনাগরিক হিসেবে। সেই সুনাগরিক যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল, পরিবেশ সচেতন এবং মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ।

তিনি বলেন, আনন্দের সাথে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে পারলে আক্ষরিক অর্থেই তারা আমাদের সম্পদ হয়ে উঠবে। এই শিশুরাই একসময় এদেশের প্রতিটি সেক্টরে অবদান রাখবে, দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে স্কুলগুলোতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি। এর আগে তিনি জেলার স্কুলগুলোতে দৃষ্টিনন্দন গাছের রোপণ কার্যক্রম করেছে।


বাকৃবিতে ১৫তম হল হিসেবে যাত্রা করল 'বেগম খালেদা জিয়া হল'

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নবনির্মিত ‘বেগম খালেদা জিয়া হল’ এর উদ্বোধন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম হল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে হলটি। গত সোমবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে হলটির নাম ফলক উন্মোচন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা, কোষাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হলের হাউস টিউটর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নবনির্মিত হলের নারী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১০ তলা বিশিষ্ট হলটির একটি ব্লকের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আংশিক নির্মাণ শেষে প্রথম দফায় ৩৭৫ জন ছাত্রীকে আবাসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৪টি কক্ষ। নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলে হলটিতে মোট ১২০০ জন শিক্ষার্থী থাকার সুযোগ পাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আজকের এই দিন বাকৃবির ইতিহাসে স্মরণীয় একটি দিন কারণ ‘বেগম খালেদা জিয়া হল’ এমন একজন মহীয়সী ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি ঐক্যের প্রতীক এবং সত্যিকার অর্থে তিনি একজন অনুসরণীয়, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আমরা সবাই কায়মনোবাক্যে উনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুর জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি এবং বাংলাদেশের ঘরে ঘরে উনার মত মহিয়সী নারী জন্মগ্রহণ করুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।

তাছাড়া ‘বেগম খালেদা জিয়া হল’ এর শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননশীলতায় অনন্য নজির সৃষ্টি করবে বলেও উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।


প্রতিদিনের জীবনযাত্রার জন্য দরকারি ফিন্যান্স বিষয়ে বিনামূল্যে কোর্স চালু করলো টেন মিনিট স্কুল ও বিকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিদিনের লেনদেন, আয়-ব্যয় এর পরিকল্পনা, সঞ্চয়, ঋণ, বিনিয়োগ, বিমা, জরুরি তহবিল ব্যবস্থাপনা সহ আর্থিক লেনদেনে নিরাপদ থাকার উপায় জানাতে বিনামূল্যে বিশেষ কোর্স চালু করেছে অনলাইন শিক্ষাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল ও দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের এই যুগে সব শ্রেণির মানুষ বিশেষ করে তরুণদের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষ, সচেতন এবং নিরাপদ করে তুলতে পাঁচটি মডিউলে মোট ২৫টি শিক্ষামূলক ভিডিও নিয়ে কোর্সটি চালু করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে ইতোমধ্যে একটা অভ্যাসগত পরিবর্তনও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের হার বেশি। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ক্যাশবিহীন অভিযাত্রায় জরুরি হয়ে পড়েছে ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানা। প্রযুক্তি ভিত্তিক লেনদেনে তৈরি থাকতে ছোট ছোট পরামর্শ এবং মৌলিক তথ্যে সাজানো হয়েছে কোর্সগুলোকে।

সম্প্রতি, টেন মিনিট স্কুল এর ফেসবুক পেজে লাইভ ইভেন্টে ‘মানি জ্ঞানী: ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল মাস্টারি’ কোর্সটির উদ্বোধন করা হয়। ‘টাকা, লেনদেন ও আয়-ব্যয় এর হাতেখড়ি’, ‘নিজের জন্য একটুখানি পার্সোনাল ফিন্যান্স’, ‘ডিজিটাল জগতে আর্থিক লেনদেন’, ‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সিকিউরিটি’ এবং ‘সুনাগরিকদের জন্য এডভান্সড ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি’ – এই পাঁচটি মডিউলের কোর্স প্রশিক্ষক হিসেবে আছে আয়মান সাদিক সহ টেন মিনিট স্কুল ও বিকাশ এর এক্সপার্টরা। ভিডিও সেশনগুলোর মাধ্যমে জানার পর কতটা জানা হলো তা যাচাইয়ের জন্য রয়েছে সহজ কিছু প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। সম্পূর্ণ ফ্রি এই কোর্সটি শেষ করার পর অংশগ্রহণকারীদের জন্য রয়েছে ডিজিটাল সার্টিফিকেট।

কোর্সটিতে অংশ নিতে চাইলে টেন মিনিট স্কুল এর ওয়েবসাইট থেকে অথবা সরাসরি এই লিংকে https://tinyurl.com/yc6rh6t3 ক্লিক করে ‘ফ্রি-তে ভর্তি হোন’ বাটনটিতে ট্যাপ করতে হবে। এখানে মোবাইল নাম্বার বা ইমেইল আইডি দিয়ে ওটিপি বসিয়ে সাবমিট করতে হবে। এরপর আগ্রহী শিক্ষার্থীর নাম, পাসওয়ার্ড বসিয়ে নিশ্চিত করলেই শিক্ষার্থীরা কোর্সটিতে অংশ নিতে পারবেন।

টাকার ইতিহাস থেকে শুরু করে ক্যাশ টাকা ও ডিজিটাল টাকার ব্যবহার, সুবিধা-অসুবিধা ও গুরুত্ব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘টাকা, লেনদেন ও আয়-ব্যয় এর হাতেখড়ি’ মডিউলটি। ‘নিজের জন্য একটুখানি পার্সোনাল ফিন্যান্স’ মডিউলে শেখানো হয় ব্যক্তিগত অর্থায়ন অর্থাৎ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খরচের পরিকল্পনা, সঞ্চয়, লোন ও বিনিয়োগ করা বিষয়ে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজে, নিরাপদে ও তাৎক্ষণিক টাকা লেনদেন করা যায়। ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা ও এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রতিদিনকার লেনদেন সম্পন্ন করার বিষয়গুলো শেখানো হবে ‘ডিজিটাল জগতে আর্থিক লেনদেন’ মডিউলে।

একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে দেশের বৃহত্তর আর্থিক ব্যবস্থায় অংশ নিতে সাহায্য করবে ‘সুনাগরিকদের জন্য এডভান্সড ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি’ মডিউলটি। এখানে ট্যাক্স, ইমার্জেন্সি ফান্ড, মুদ্রাস্ফীতি, বিমা, শেয়ার বাজার বা বন্ডের মতো উচ্চতর বিনিয়োগের গভীর দিক এবং দেশের আর্থিক নীতি কীভাবে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই ‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সিকিউরিটি’ মডিউলটিতে শেখানো হবে কীভাবে প্রতারকদের হাত থেকে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ওয়ালেট এবং ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্যগুলো নিরাপদে রাখা যায়।

বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করতে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সহ সকলকে ক্যাশবিহীন ডিজিটাল আর্থিক জীবনযাত্রায় প্রস্তুত করতেই টেন মিনিট স্কুল-এর সাথে যৌথভাবে ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিষয়ক এই কোর্সটি চালু করছে বিকাশ।


অনিয়ম দূর করে শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষাঙ্গন গড়ে তুলতে হবে: শিবির সভাপতি

আপডেটেড ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৩৮
পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সোমবার একাদশ ও অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবির সভাপতি নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন- বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন মেনে সিলেবাসের পাশাপাশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অধ্যবসায়, গবেষণার পাশাপাশি গুরুত্ব অনুধাবন করে খেলাধুলা, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। এটি সামগ্রিক মেধা বিকাশে সহায়ক শক্তি। যে-কোনো প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সিনিয়রদের সহযোগিতা নিতে হবে। আত্মনির্ভরশীল মর্যাদাপূর্ন রাষ্ট্রগঠনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে দক্ষ, যোগ্য, নৈতিক গুণসম্পন্ন মানবসম্পদ। আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সবার আগে ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগী হতে হবে।

সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সভাপতি রাকিব মাহমুদ এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সেক্রটারী রেদোয়ানুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, সাবেক কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আল হাসান,

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর পান্না লাল রায়, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ইলিয়াস ব্যাপারী, সহকারী অধ্যাপক ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন সিকদার, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ মো. হাবিবুল্লাহ হাওলাদার, প্রভাষক, বাংলা বিভাগ সানাউল্লাহ, প্রভাষক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ নুপুর রানী মজুমদার।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, পিরোজপুর জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, সেক্রটারী মো. মিজানুর রহমান ও পিরোজপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়ের অনুসন্ধান

মাগুরার ৩টি কলেজে পাস করেনি কেউ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী ,মাগুরা

শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি, শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিতি, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা নীতি, রাজনৈতিক বিবেচনায় অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্যসহ নানা কারণে এ বছর সারাদেশে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর বোর্ডের অধীন মাগুরা জেলার তিনটি কলেজে একজনও পাশ করেনি। অধিকাংশ কলেজের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়েছে।

দৈনিক বাংলার পক্ষ থেকে পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের মূল কারণ খুঁজতে যেয়ে মাগুরার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধান করলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য উঠে আসে । এ বছর যশোর বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাশের হার ৫০.২০ শতাংশ। জনসাধারণের মতে বিগত সরকারের আমলে লেখাপড়া নিয়ে যে প্রহসন চলেছে তা কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের একটু সময় লাগবে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ালেখা থেকে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। আসক্ত হয়ে পড়েছে মোবাইলে। ঘুষ দুর্নীতির কারণে অযোগ্য শিক্ষক দ্বারা বেশিরভাগ কলেজ পরিচালনা করা হতো। এ বছর মাগুরা জেলার পাশের হার ৩৭ শতাংশ।

মাগুরার অধিকাংশ কলেজের ফলাফল খারাপ হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি কলেজের একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। কলেজ তিনটি হল- মাগুরা সদর উপজেলার বজরুক শ্রীকুন্ডী কলেজ, রাওতড়া হৃদয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর উপজেলার বীরেন শিকদার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

এই তিনটি কলেজ থেকে অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি বলে অভিভাবকরা চরম হতাশায় ভুগছেন। সচেতন মহলের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন। জেলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তোলা হচ্ছে নানা প্রশ্ন।

মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির জানান, পাশের হার শূন্য হওয়া তিনটি কলেজই নন এমপিও ভুক্ত। যার কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত শিক্ষক, পাঠদান পদ্ধতি ও একাডেমিক তদারকির অভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, মোহাম্মদপুর উপজেলার বীরেন সিকদার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সমস্ত কার্যক্রম চালানো হতো মাগুরা ২ আসনের এমপি শ্রী বীরেন শিকদারের নন প্রশিক্ষিত কিছু দলীয় লোকজন দ্বারা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলীয় লোকজনকে এই কলেজে চাকরি দেওয়া হয়। এমনও গুঞ্জন আছে কোনো কোনো শিক্ষক প্রভাব খাঁটিয়ে দিনের পর দিন ক্লাস না নিয়ে শুধু হাজিরা খাতায় সই করে বেতন তুলতে যেত। বাকি অন্যান্য কলেজে ও প্রায় একই অবস্থা।

এ বছর মাগুরার সব কলেজগুলোর মধ্যে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ফলাফল মোটামুটি ভালো হয়েছে। এ কলেজের পাশের হার ৭২ শতাংশ। ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৩৮ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৭৩ জন। এছাড়া সদর উপজেলার অন্যান্য কলেজগুলোর ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। সরকারি মহিলা কলেজের ৬৬৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২০৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ৪৫৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭০ জন। আলোকদিয়া কলেজে ৩৪৮ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৭২ জন।

ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রিজভী জামান দৈনিক বাংলাকে জানান, সরকারি কলেজের এইচএসসির ফলাফল মোটামুটি ভালো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কলেজের ফলাফল খারাপ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে, তার মধ্যে মোবাইলে আসক্তি, দক্ষ শিক্ষকের অভাব এবং কর্তৃপক্ষের কিছু গাফিলতি রয়েছে। আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা।

মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, বিভিন্ন সময় বাইরের কলেজের নানা রকম পরীক্ষার ছিট পড়ে মহিলা কলেজে যার ফলে প্রায়ই তাদের ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। এরপর থেকে টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে কাউকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া অভিভাবকদের ও সন্তানদের লেখাপড়ার বিষয়ে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। অভিভাবক সমাবেশ ডাকলে মাত্র ৪-৫ জন অভিভাবক আসেন কলেজে।

এ ব্যাপারে মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী শামসুজ্জামান কল্লোল বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে কলেজে ক্লাসের থেকে অনুষ্ঠান বেশি হয়েছে। এছাড়া নানা কারণে টেস্ট পরীক্ষা অনেক আগে অর্থাৎ গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেটা হওয়ার কথা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। আর টেস্ট পরীক্ষার পরে কোনো শিক্ষার্থী কলেজে আসে না। যার কারণে বিগত বছরে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ইংরেজি এবং আইসিটিতে ফেল করেছে।

মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী কাজী আফিফা এবং হোসনেয়ারা জানান, অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা কলেজে এসে ফোন দেখে আবার অনেকে ক্লাস বাদ দিয়ে বাইরে চলে যায়। আবার অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ইংরেজি এবং আইসিটি কম বোঝে বলেই এত বেশি ফেল করেছে।

শুধু কলেজ নয় অনেক হাই স্কুলেও দেখা যায় আইসিটি অনেকেই বুঝতে পারে না ক্লাসে কম্পিউটারের সাহায্যে প্রাক্টিক্যালি যেভাবে ক্লাসগুলো নেওয়ার কথা থাকে সেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় না ফলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে ।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, অনেক সময় শিক্ষকরা ক্লাসে এসে ক্লাসের পড়া বাদ দিয়ে নানা রকম গল্প করেন এবং ফোন টিপে সময় নষ্ট করে চলে যান । আবার অনেকে বাইরে কোচিং করায় সময়মতো ক্লাসে আসে না অনেক শিক্ষক। যার কারণে পরেরদিন শিক্ষার্থীরা কলেজে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে।

ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ দক্ষ শিক্ষকের অভাব। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে টাকার বিনিময়ে অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়াই শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে সেই সাথে কলেজে যাওয়া বাধ্যতামূলক করে যথাযথ পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন কলেজ বাদ দিয়ে শুধু কোচিংয়ের দিকে না ঝুঁকে । আর ক্লাস চলাকালীন কোনো শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর হাতে মোবাইল ফোন থাকবে না।

অভিভাবক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, অনেক শিক্ষক আছেন যারা পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে কিছুই বোঝেন না যার কারণে বইয়ের বাইরে শিক্ষার্থীদের কোনো শিক্ষা দেয়া হয় না। এর কারণে সিলেবাসের বাইরে কোনো প্রশ্ন আসলে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে না।

অন্যান্য অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আগের মত করা হোক অর্থাৎ বইয়ের মধ্যে সব গল্প থাকবে সেখান থেকে পড়ে যেন শিক্ষার্থীরা সব উত্তর খুঁজে পায়। মোবাইল দেখে যেন কোনো উত্তর খুঁজতে না হয়। মোবাইলে উত্তর খোঁজার বাহানায় অনেকে টিকটক করে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে চ্যাট করে সময় নষ্ট করে।


পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সভায় মতপ্রকাশের সুযোগ পাননি কেউ!

আপডেটেড ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৩৪
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের সফর ঘিরে আয়োজিত ‘মতবিনিময় সভা’ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ নাম দেওয়া হলেও সভাটি ছিল একতরফা; কারও মতপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বক্তব্য রাখেন কেবল ইউজিসি চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। নির্ধারিত সময় বিকেল ৩টার পরিবর্তে সভা শুরু হয় বিকেল ৪টায়।

সভায় প্রথমেই শিক্ষার্থীদের মতামত শোনার কথা থাকলেও বাস্তবে তাদের কেউই কথা বলার সুযোগ পাননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শিবলী আহমেদ বলেন, ‘এ রকম একপাক্ষিক মতবিনিময় সভা আমি জীবনে দেখিনি। আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক সমস্যা আছে; কিন্তু কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের উচিত ছিল নামটি ‘আলোচনা সভা’ রাখা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত সভা শেষ করে দেয়। সভা চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থী কথা বলতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রশাসন সময়-স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে সভা শেষ করে দেন এবং চেয়ারম্যানকে নিয়ে দ্রুত মিলনায়তন ত্যাগ করেন। এতে হতাশ হয়ে ফিরে যান উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উপাচার্য নানা অজুহাতে তাদের বাধা দেন। অল্প কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মিলনায়তন ত্যাগ করতে হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পবিপ্রবিতে পৌঁছান ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন, শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নবনির্মিত জিমনেশিয়াম উদ্বোধন করেন। এসব কার্যক্রম শেষে অনুষ্ঠিত হয় বহুল আলোচিত ওই ‘মতবিনিময় সভা’, যা শিক্ষার্থীদের চোখে পরিণত হয় এক ‘একতরফা আলোচনা সভাতে’।


গ্রিন ফেস্ট: তারুণ্যের জোয়ারে সেজেছিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

রং, সংগীত আর তরুণদের উদ্দীপনায় তিন দিন ধরে মুখর ছিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই আয়োজন ‘গ্রিন ফেস্ট ২.০’ অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, সাংস্কৃতিক বন্ধন আর পরিবেশ সচেতনতাকে একসূত্রে গেঁথে তৈরি এই উৎসব ছিল আনন্দ আর শিক্ষার এক অপূর্ব সমন্বয়।

১৫ অক্টোবর এক বর্ণাঢ্য ফ্ল্যাশ মবের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব, যা মুহূর্তেই গোটা ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়। ১৬ অক্টোবরের আয়োজন ছিল আরও বৈচিত্র্যময়। ‘আমার ক্লাস, আমার থিম’ শিরোনামে শিক্ষার্থীরা নিজেদের শ্রেণিকক্ষ ও বিভাগ সাজিয়েছিলেন নানা সৃজনশীল উপায়ে। দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থী ও এলামনাইদের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ, যা নতুন-পুরাতনের এক উৎসাহ ও বন্ধুত্বের মেলবন্ধন। সন্ধ্যায় ‘ওপেন মাইক’ সেশনে শিক্ষার্থীরা গান, কবিতা আর কৌতুক দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন সবাইকে। দিনের শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক ভিন্নধর্মী ‘খাদ্য প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা’।

উৎসবের শেষ দিন, ১৭ অক্টোবর, শুরু হয় ‘কালচারাল ফিউশন’ ও ক্লাসরুম প্রদর্শনী দিয়ে। শিক্ষার্থীরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন ‘এসডিজি ক্যানভাস’-এ। পরিবেশ ও স্থায়িত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আয়োজন করা হয় বিশেষ সেমিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের আকর্ষণীয় পরিবেশনাও পায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের অকুণ্ঠ প্রশংসা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দশটি বিভাগের মধ্যে ইইই বিভাগ ‘আমার ক্লাস, আমার থিম’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং সিএসই বিভাগ রানার-আপ হবার গৌরব অর্জন করে। ক্রিকেট খেলায়, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দল চ্যাম্পিয়ন এবং এলামনাইদের দল রানার-আপ হয়।

সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ ছিল আমন্ত্রিত শিল্পীদের অনুষ্ঠান। প্রথমে মঞ্চে আসেন খ্যাতনামা লোকসংগীত শিল্পী শাহ মুহাম্মদ শিপন ও তার দল। তাদের বাউল ও লোকসংগীতের সুরে মুগ্ধ হন দর্শকরা। উৎসবের সমাপ্তি ঘটে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘লেভেল ফাইভ’-এর প্রাণচঞ্চল ও উদ্দীপনাময় পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।

গ্রিন ফেস্ট ২.০-এর এই সফল আয়োজনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শরীফ উদ্দিন বলেন, "এই উৎসব আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও পরিবেশ সচেতনতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা শুধুমাত্র ক্লাসরুমভিত্তিক একাডেমিক কার্যক্রমই নয়, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, উদ্যম ও মেধার বিকাশেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

‘গ্রিন ফেস্ট ২.০’ কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই ছিল না, বরং এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সবুজ ক্যাম্পাস’ চেতনারই প্রতীক। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলগত কাজ, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে, যা গ্রিন ইউনিভার্সিটির মূল আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই উৎসব নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত ও সৃজনশীল মনেরই স্বাক্ষর বহন করে।


শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ হতে কার্যকর হবে।

রোববার উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়—সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) প্রদান করা হলো:

শর্তসমূহের মধ্যে রয়েছে—বাড়িভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতনস্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে; 'বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১', ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে;

তৃতীয়ত, বর্ণিত ভাতাদি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীগণ কোন বকেয়া প্রাপ্য হবেন না;

চতুর্থ, ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে; সর্বশেষ শর্ত হচ্ছে—এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোন অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন; এ আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ হতে কার্যকর হবে।

এদিকে বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এবার আর প্রতিশ্রুতি নয়, প্রজ্ঞাপন ছাড়া অবস্থান থেকে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।


banner close