বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

এইচএসসির ফলাফল জানা যাবে যেভাবে

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড
২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:৩৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৩৫

২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে আজ। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফল হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এদিন দুপুর আড়াইটায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী।

প্রার্থীরা অনলাইনে বা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

এসএমএসের মাধ্যমে সাধারণ বোর্ডের অধীনে ফলাফল পেতে প্রথমে এইচএসসি, পরে প্রার্থীদের বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর, তারপরে প্রার্থীর রোল নম্বর এবং বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

উদাহরণ স্বরূপ, একজন প্রার্থী যিনি ঢাকা বোর্ডের অধীনে ‘১০,০০,০০০’ রোল নম্বর সহ এই বছরের পরীক্ষায় বসেছিলেন তাকে পাঠাতে হবে: এইচএসসি (স্পেস) ডিএইচএ (স্পেস) ১০,০০,০০০ (স্পেস) ২০২৩ এবং এসএমএস পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

একইভাবে, আলিম ফলাফল পেতে, শিক্ষার্থীদের এএলআইএম [স্পেস] এমএডি [স্পেস] রোল নম্বর [স্পেস] ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে হবে।

কারিগরি বোর্ডের ফলাফলের জন্য, শিক্ষার্থীদের এইচএসসি [স্পেস] টিইসি [স্পেস] রোল নম্বর [স্পেস] ২০২৩ টাইপ করতে হবে এবং ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

বিকল্পভাবে, প্রার্থীরা তাদের ফলাফল

http://www.educationboardresults.gov.bd. থেকেও পেতে পারেন।

শিক্ষার্থীরা রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে পৃথক ফলাফল শীট ডাউনলোড করতে পারেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের ফলাফল https://dhakaeducationboard.gov.bd/ থেকে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ডাউনলোড করতে পারবে।


তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে চলার সময় এটা না। আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়টির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম, এখনকার তরুণদের মতো এত বুদ্ধিমান বা সমৃদ্ধ ছিলাম না। কিন্তু এখনকার তরুণরা সবকিছু জানে, চেনে। এখনও আমি তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে শিখছি, তারাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। আমরা একসাথে থেকে কাজ করতে পারলে অবশ্যই এগিয়ে যাবো।’ সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির প্রতি সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, ‘উচ্চমানের নারী শিক্ষার বিস্তারই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের ছাত্রীরা এমনভাবে তৈরি হয়ে বের হবেন, যেন তারা জীবনে স্বাবলম্বী হয়ে সম্মানিত একটা পেশায় থাকতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল, তা পূরণে তারা অনেকখানি সফল হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে।’

উপাচার্য ড. পারভীন হাসান বলেন, ‘শিক্ষা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু শিক্ষাদান নয়, পেশাগত জীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সবসময় সহযোগিতা করছে।’

ট্রেজারার ড. আহমেদ আবদুল্লাহ জামাল বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপারসন হাসান শিরাজী, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার বিভাগের চেয়ারপারসন আবদুস সেলিম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন শাহনাজ পারভীন, সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ইউজিসির চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, নারীদের উচ্চশিক্ষায় অবদান রাখতে ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।


এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণ, ফল ১৪ নভেম্বর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল আগামী ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আজ শুক্রবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে। সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে ওই দিন খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে।

প্রতি বছরই এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা তা পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ পান। গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়। যা চলে গত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের পত্র প্রতি ১৫০ টাকা ফি দিতে হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধু ওই বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ ছিল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় যে বিষয়গুলোয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল সে বিষয়গুলোয় ফল পুনর্নিরীক্ষণ করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, নিন্দা প্রকাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

সমাজবিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় টেলিফোনে হত্যার হুমকি দেয়।

এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষীমহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


৫ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৭:৫৩
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বাৎসরিক বাজেট বাড়ানো আগের ৩ দফাসহ ৫ দফা দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ব্যানারে একটি গণপদযাত্রা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। গণপদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের থেকে ১২ জন প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট জমা দেয়।

গণপদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত্ব চত্বরে থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়ে মুখরিত স্লোগান চলতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে? তুমি কে? জবিয়ান-জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস-ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার-অধিকর’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকে অবহেলা বঞ্চিত শিকার হয়েছে। শুরু থেকে আন্দোলন করে সামান্য কিছু পেয়েছে। আজকের এই আন্দোলন বাস্তবায়ন না হলে রাজপথ ছাড়ব না আমরা।

আরেক শিক্ষার্থী গণিত বিভাগের মাহমুদুল হাসান নয়ন বলেন, একটি মাত্র হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরাণ ঢাকায় হওয়ার কারণে কেমনে টিকে থাকতে হয় আমরা ভালো করে জানি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থাকার পরেও পাইলট প্রকল্প আছে। কিন্তু আমাদের দাবি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরে আমরা আজকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিবো। আর পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকারের বিষয়টি আজকেই ইউজিসিকে লিখিত দিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পূর্ন সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনে উপস্থিত হন শাখা ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো ন্যায্য আন্দোলনে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা প্রত্যক্ষভাবে আজ সরাসরি আন্দোলনে যুক্ত আছি। সুষ্ঠভাবে দ্রততার সঙ্গে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করতে হবে। সেই সঙ্গে হিট প্রকল্পে জবিয়ানদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের সর্বমোট ৫ দফা দাবি হল

১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দাযিত্ব অর্পণ করতে হবে।

২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।

৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।

৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

এ দিকে গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান ও অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এই প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।


স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি: সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত-সায়েন্সল্যাব অবরোধ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে নীলক্ষেত ও আশপাশের রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় পথচারীরা পড়েন ভোগান্তিতে।

৩ ঘণ্টা অবরোধ শেষে বেলা ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ প্রত্যাহার করে সায়েন্সল্যাব চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।

আজ মঙ্গলবারের মধ্যে তিন দফা দাবি নিয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে আগামীকাল বুধবার থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিশন গঠন, সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন এবং কমিশন বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জট জটিলতা কমানো।

অবরোধে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরিফ বলেন, ‘আমরা সব সময় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। আমাদের এখানে ল্যাব সুবিধা নেই। আমাদের ভালো সেমিনার রুম নেই। আমাদের ক্লাসরুমগুলো সেই পুরোনো চেয়ার-টেবিল দিয়ে সাজানো। আমরা টাকা দিচ্ছি কিন্তু আমাদের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থেকে বের হয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, আমরা বিগত ১ মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এই ইস্যুতে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না।


৭ কলেজ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি: ঢাবি কর্তৃপক্ষ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সরকারি ৭ কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীনেই থাকছে এবং রেজিস্ট্রারসহ তাদের জন্য পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাবি প্রশাসন। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ৭ কলেজের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠককে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি সাত কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে উপদেষ্টা পরিষদের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেনেছে। এ প্রস্তাবের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের এর মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলে আলাপ করেছে। সরকারও বিষয়টির জনগুরুত্ব বিবেচনা করে আন্তরিকতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীসহ প্রধান অংশীজনদের নিয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে সরকার সম্মত হয়েছে। জরুরি বৈঠক আগামীকাল রোববার হতে পারে।

উল্লেখ্য, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ- সরকারি এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, সরকারি সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের নিয়ে এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এ ব্যাপারে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।


গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফিরল জবি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:২৬
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২৫ থেকে স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন শিক্ষার্থী নেবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আজ সোমবার এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভর্তি কার্যক্রম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ও ইউনিটসমূহ গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

উপাচার্য জানান, পাঁচটি ইউনিট হলো এ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের জন্য), বি ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদের জন্য), সি ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের জন্য), ডি ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য) এবং ই ইউনিট (চারুকলা অনুষদের জন্য)।

উপাচার্য রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আমরা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব, স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবো। এজন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসও ঠিক হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে।’

উপাচার্য বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি স্থায়ী কোনো পদ্ধতি না। সেখানে আমাদের থাকার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। আমরা আমাদের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, পূর্বের মতাে নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খুব দ্রুতই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে।

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সে দাবির প্রেক্ষিতে সভায় উপস্থিত সম্মিলিত সদস্যের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা চালু হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শুরু থেকেই নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির অভিযোগ উঠছিল।

এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সাল থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরার জন্য আন্দোলন করছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপ্রতির অভিপ্রায়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থেকে যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।


দিনে বিক্ষোভ, রাতে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘোষণা

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও যশোর শিক্ষা বোর্ডেও আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ফল তৈরি ও প্রকাশের দাবি জানিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন অকৃতকার্য হওয়া একদল শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারাই আবার ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

রাত ৯টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল। এদিকে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। আজ সোমবার সকালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করব। সোমবার আমার পদত্যাগপত্র জমা দেব।’

গতকাল বেলা ১১টা থেকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। তাদের সঙ্গে অনেক নারী অভিভাবককে দেখা যায়। দুপুর পৌনে ২টার দিকে বোর্ডের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

দুপুর ২টার দিকে শিক্ষা বোর্ডের প্রবেশপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন ছাত্রীসহ ছয়জন আহত হন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রকাশিত ফলাফল বৈষম্যমূলক। তারা সবগুলো বিষয়ের ওপর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল চান। এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই সেই সাবজেক্ট ম্যাপিং করার দাবি তাদের।

এদিকে ময়মনসিংহে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ এবং ৩ দফা দাবিতে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে এসব কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে চট্টগ্রাম ও যশোর শিক্ষা বোর্ডও ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

ঘটনাস্থলে থাকা চকবাজার থানার ওসি রেজাউল হোসেন বলেনে, ‘শিক্ষার্থীরা প্রথমে বোর্ডের ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। সে সময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে চাইলেও তাদের যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে শুনেছি। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিদল ঠিক করে দিলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।’

পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে বাতিল পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করেছি। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও শিক্ষার্থীরা কী বলতে চায়, তাদের কথা শুনব। সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা অবগত করব।’

গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন একদল শিক্ষার্থী ফল বাতিলের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।


অলকানন্দা স্কুল অব আর্ট-এ ‘ওরিগামি’ শিখল শিশুরা

রাজধানীর শংকরে অলকানন্দা স্কুল ক্যাম্পাসে শুক্রবার ওরিগামিবিষয়ক কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ২০:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অলকানন্দা স্কুল অব আর্ট-এ আজ শুক্রবার একটি বিশেষ ওরিগামি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় শিশুদের হাতে-কলমে শেখানো হয় কীভাবে কাগজ ভাঁজ করে শিল্পকর্ম তৈরি করা যায়। শিশুদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটানোর মাধ্যম হিসেবে শিল্পের ভিন্ন এক ধারার সঙ্গে আজ শিক্ষার্থীদের এ কর্মশালার মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো।

রাজধানীর শংকরে অলকানন্দা স্কুলের ক্যাম্পাসে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও শিল্পী আবু কালাম শামসুদ্দীন।

ওরিগামি কর্মশালার একপর্যায়ে বক্তব্য দেন আগত শিল্পীরা

তিনি ওরিগামি শিল্পের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। শিল্পী হেলেনা আক্তার লাইজু ও শায়লা আক্তার সোনালী ওরিগামির জটিল পদ্ধতিগুলো সহজভাবে শিক্ষার্থীদের শেখান।

কর্মশালার মূল আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের ওরিগামির মাধ্যমে পাখি তৈরির প্রকল্প। শিক্ষার্থীরা তাদের হাতের কাজের মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও কৌশলের মিশ্রণ ঘটিয়ে পাখির মডেল তৈরি করে।

কর্মশালায় শিল্পীরা বলেন, ‘আজ শিশুরা যে কাগজের পাখি বানিয়েছে, এমন কাজের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি হবে।’

কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নারায়ণগঞ্জ আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ শিল্পী শামছুল আলম আজাদ। কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অলকানন্দা স্কুল অব আর্টের কর্ণধার উমা মন্ডল।

এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সজীব মন্ডল, সংযুক্তা রায় ও নিধি ভৌমিক।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য দিলীপ কুমার

অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

অধ্যাপক দিলীপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। ১৯৯৫ সালে তিনি লেকচারার পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক হয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণিতে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করায় স্বামী বিবেকানন্দ পদক পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হতে যাচ্ছেন অধ্যাপক দিলীপ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য জেড এম পারভেজ সাজ্জাদও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।

উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক দিলীপ কুমার বলেন, ‘রক্তস্রোতের পর পাওয়া নতুন বাংলাদেশে আমি এই দায়িত্ব পেয়েছি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, আহত হয়েছে।

আন্দোলনের যে আদর্শ সেটি আমি বাস্তবায়ন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, সমৃদ্ধি এবং গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধির জন্য আমার যতটুকু করণীয় আমি করে যাব।’

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে উপাচার্য পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে; এই পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন; বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাও ভোগ করবেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন; এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।


কমেছে পাসের হার, বেড়েছে জিপিএ-৫

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সব বোর্ডের ফলাফলের যে সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে তাতে দেখা যায়, গত বছর (২০২৩ সালে) ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসেবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে।

জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দেশের ১১ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ একসাথে অনলাইন, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে।

এবার ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে মোট পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার যথাক্রমে ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে ময়মনসিংহ। পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সে ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।

এ বছর ভিন্ন ব্যবস্থায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যান্য সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য জানানো হতো। কিন্তু এবার বেলা ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হয়।

তবে সাংবাদিকরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গেলে বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের কাছে ফলাফলের তথ্য তুলে ধরেন। তপন কুমার সরকার সব কটি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিরও সভাপতি।

এবার পাসের হার কমে যাওয়া ও জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ার কারণ কারণ হিসেবে অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল, সেগুলোর ফলাফল উচ্চমাধ্যমিকে গড় পাসের হারে বড় রকমের প্রভাব পড়ে না। উচ্চমাধ্যমিক পাসের হারটি মূলত নির্ভর করে ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ওপর। কিন্তু এবার এই দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছিল। ফলে গড় পাসের হারটি স্বাভাবিক সময়ের মতো হয়েছে।


বিদেশের কেন্দ্রগুলোতে পাসের হার ৯৫.৩৯ শতাংশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮টি বিদেশি কেন্দ্রে ২৮২ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৬৯ জন। অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ১৩ জন।

এবার বিদেশি কেন্দ্রে সার্বিক পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিদেশে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৮টি। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা যায়।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১০টি বোর্ডের অধীনে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছে এবার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯১১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৮ জন।

এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সম্মিলিত পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ।


বরাবরের মতো এবারও মেয়েরা এগিয়ে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা।

৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।

মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন আর ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।


banner close