প্রথাগত ডিগ্রি কালচার তথা সনদ সর্বস্ব শিক্ষা ও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো. ইমামুল কবীর শান্ত প্রিয়ভাজন সংগঠক বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হককে (বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বর্তমান চেয়ারম্যান) সঙ্গে নিয়ে ২০০৩ সালে রাজধানীর উত্তরায় প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম ডিজাইন বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক তথা সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয় ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি। অপেক্ষাকৃত কর্মমুখী শিক্ষাদানের মাধ্যমে আলোকিত ক্যারিয়ার তথা প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে সূচনালগ্ন থেকেই ফ্যাকাল্টি অব ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, ফ্যাকাল্টি অব ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস এবং ফ্যাকাল্টি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড জেনারেল স্ট্যাডিজ- এই তিন অনুষদের অধীনে সর্বমোট ১৭টি বিভাগে যুগোপযোগী তথা কর্মমুখী বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এ পর্যন্ত ৩টি সমাবর্তন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছে শান্ত-মারিয়াম এবং প্রস্তুতি চলছে চতুর্থ সমাবর্তনের। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. শাহ-ই-আলম এর উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে আছেন- ড. পাড় মশিয়ূর রহমান। একই সঙ্গে এখানে আছেন অভিজ্ঞ ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ ও পর্যাপ্তসংখ্যক পূর্ণ ও খণ্ডকালীন অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টিবৃন্দ।
দেশে গ্রাফিক ডিজাইন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার বিভাগ দুটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র শান্ত-মারিয়ামেই রয়েছে। অন্যদিকে ফ্যাশন ডিজাইন, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ম্যানেজমন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ও নৃত্য বিভাগ প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ই শুরু করে। অনেক ভর্তুকি দিয়ে শুরু করা এসব বিষয়ে শান্ত-মারিয়ামের অবদান-সাফল্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আর সাফল্যের এই পথ ধরেই কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখন এসব বিভাগ পরিচালনা করছে। এ ব্যাপারে শান্ত-মারিয়াম সব সময়ই সবাইকে উদার স্বাগত তথা আহ্বান জানায়। কারণ শান্ত-মারিয়াম কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস সুসমন্বয় থাকলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সুস্থ-সুন্দর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষান্নোয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে দাঁড় করানো সম্ভব।
উত্তরা ১৭ নং সেক্টরে লেক সংলগ্ন ৩.৭ বিঘা জমিতে দৃষ্টিনন্দন নকশায় গড়া ১০ তলা সুরম্য ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে এর সাদা সফেদ স্থায়ী ক্যাম্পাস। এবং পাশেই দ্রুত গতিতে চলছে নতুন আরও ভবন নির্মাণের কার্যক্রম। ক্যাম্পাসের ঠিক পেছন ঘেঁষেই চলে গেছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। ভবনের চতুর্দিকে খোলামেলা বিধায় লেকে সাদা বক ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ওড়াওড়ি ও কলকাকলী এবং মেট্রোরেলের ছুটে চলা বেশ উপভোগ্যই বলতে হয়। নভেম্বর ২০২১ এ ক্যাম্পাস ভিজিট করে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করে স্থায়ী ক্যাম্পাসের অনুমোদন দেয় ইউজিসি। অতঃপর ৪ ডিসেম্বর-২০২১ থেকে শুরু হয় সার্বিক একাডেমিক কার্যক্রম।
সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগের আওতাধীন। ক্লাসরুমগুলো হাইটেক মাল্টিমিডিয়া সুবিধা সংবলিত। আছে স্বয়ংসম্পন্ন ই-লাইব্রেরি, অত্যাধুনিক ল্যাব এবং হোস্টেল সুবিধাও। শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা। একই সঙ্গে সৃজনশীলতা ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য এখানে আছে ক্যারিয়ার ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব ও কালচারাল ফোরাম ইত্যাদি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন ভবন তৈরির পর দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারের আদলে এখানে তৈরি করা হবে এক ‘রিসার্চ হাব’।
হাতে-কলমের অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরির কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে সহায়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- ক্রিয়েটিভ ম্যানিকুইন্স, ক্রিয়েটিভ ফার্নিচার, আর্ট হাট অ্যান্ড গ্যালারি, শান্ত-মারিয়াম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, শান্ত-মারিয়াম সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ও দৈনিক আজকের প্রত্যাশা।
ফ্যাকাল্টি অব ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে সৃজনশীল নকশা তৈরি, টিভি অনুষ্ঠান প্রযোজনা কৌশল, কপিরাইটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি, পোশাক শিল্প ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনসহ তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের মধ্য দিয়ে তৈরি করাসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ফ্যাশন হাউস, ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিষ্ঠান ও অ্যাডফার্ম তৈরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনা ও কর্মসংস্থান তৈরির বিরল সুযোগ তৈরিতে উৎসাহিত করা হয়। ফলে গ্র্যাজুয়েটরা এ দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত গার্মেন্ট শিল্পসহ তথ্য-প্রযুক্তি খাত, আবাসন শিল্প, গণমাধ্যম, অ্যাডফার্ম ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। অনুরুপ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সফল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাতে সাবলম্বী হতে পারে, সেভাবেই হাতে-কলমের শিক্ষায় তাদের প্রস্তুত করা হয়।
‘শান্ত-মারিয়াম থেকে পাস করে কারও বেকার থাকার সুযোগ নেই’
শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক
চেয়ারম্যান ,বোর্ড অব ট্রাস্টিজ
উচ্চশিক্ষায় হাতে-কলমে কর্মমুখী শিক্ষার প্রাধান্য, বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণায় অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষা বিষয়গুলো হবে যুগোপযোগী-কর্মমুখী এবং বিশ্বের বাজার চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন-পরিবর্ধন ঘটবে বিষয় তথা পাঠ্যক্রমের- ইত্যাদি পরিকল্পনা তথা শিক্ষাদর্শনকে সামনে রেখে বিশিষ্ট শিক্ষাদ্যোক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো. ইমামুল কবির শান্ত ২০০৩ সালে রাজধানীর উত্তরায় প্রতিষ্ঠা করেন অত্র অঞ্চলের প্রথম ডিজাইন ও সাংস্কৃতিক বিশেষায়িত সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয় ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’। এই জার্নির শুরুতেই আমাকে তিনি সঙ্গী করেছিলেন। তার মৃত্যুর পরও করোনাকালীন মহাদুর্যোগে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরতে হয় আমাকেই। করোনাকালের অচলাবস্থায়ও একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব কিছু স্বাভাবিক ছিল আমাদের দূরদর্শী নেতৃত্ব তথা নিষ্ঠায়। ফলে প্রায় ২ দশকে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে লক্ষ্যে অবিচল থেকে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।
শুধু সময়োপযোগী ভালো শিক্ষা বিষয়ই শেষ নয়, হাতে-কলমের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিয়েও ফ্যাশন হাউস, অ্যাড ফার্ম, ক্রিয়েটিভ দ্যা আর্ট গ্যালারি ও দৈনিক পত্রিকা পরিচালনার মতো ব্যয়বহুল বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণসহ আমাদের রয়েছে স্ট্রং অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ। ফলে যুগোপযোগী বিষয়ে হাতে-কলমের গুণগত শিক্ষা গ্রহণ করে যথাসময়ে আলোকিত ক্যারিয়ার তথা সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হয় এখানকার শিক্ষার্থীরা। এক কথায়; পাস করার পর আমাদের কোনো শিক্ষার্থীর বেকার থাকার সুযোগ নেই।
করোনার ধাক্কা সামলে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরুসহ একাডেমিক ও সার্বিক কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে ২০২১-এ নতুন উদ্যমে শুরু হয় এর পথ চলা। এখন লক্ষ্য আমাদের বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে নতুন প্রজন্মকে এমন এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া, যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
শুধু চাকরিই নয়- উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনের অনন্য ভূমিকায় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি
ড. মো. শাহ্-ই-আলম
উপাচার্য
প্রথাগত ডিগ্রি কালচার তথা সনদ সর্বস্ব শিক্ষা ধারা থেকে বেরিয়ে এসে কর্মমুখী উচ্চশিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডিজাইন বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক তথা সৃজনশীল এই বিশ্ববিদ্যালয়। স্বনির্ভর উদ্যোক্তা ও দক্ষ কর্মী তথা জনসম্পদ তৈরি হবে- এমন বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটিকে গড়ে তুলেছেন বিশিষ্ট উদ্যোক্তা, শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো. ইমামুল কবীর শান্ত এবং তার সহযোদ্ধারা। যার সুফল হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেরাই ব্যবসায় অংশগ্রহণ করে কর্মসংস্থান তৈরিসহ দেশের অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রাখার দক্ষ কর্মী হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারেও সুনাম অর্জন করছে ।
এর প্রতিষ্ঠাতাগণ মিলেনিয়াম যুগের শুরুতে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে চারুকলা, নৃত্য ও সংগীত তথা সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও গার্মেন্ট সেক্টরের দক্ষ কারিগর তৈরির শিক্ষাসহ ফ্যাশন ডিজাইন ও গ্রাফিক ডিজাইন, ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার ইত্যাদি ডিপার্টমেন্ট অলাভজনক জেনেও সংশ্লিষ্ট সেক্টরে দক্ষ কর্মী তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান তথা সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে এসব পরিচালনা করেন। যা তৎকালীন সময়ে অনেকে চিন্তাও করতে পারেনি। বরং এসব শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য একশ্রেণির ঘোর বিরোধিতাসহ বিভিন্ন বাধা তথা হামলারও শিকার হতে হয়েছে এর উদ্যোক্তাদের। তারপরও পিছু হটেননি অত্যন্ত সাহসী, বিচক্ষণ ও ক্ষণজন্মা পুরুষ প্রয়াত মো. ইমামুল কবীর শান্ত।
শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক নলেজ ডেভেলপমেন্ট তথা ইনোভেটিভ করার লক্ষ্যে আমাদের রয়েছে স্ট্রং অ্যাকাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ। যার আওতায় প্রায়ই আরএমজি সেক্টরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি তথা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের এমওইউ, শিক্ষার্থী ভিজিট, ইন্টার্নশিপ, জব ফেয়ার ও ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন কার্যক্রম তথা প্রোগ্রাম একটি নিয়মিত চলমান প্রক্রিয়া।
অচিরেই বিশ্বমানের ডিজাইন ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে শান্ত-মারিয়াম
ড. পাড় মশিয়ূর রহমান
রেজিস্ট্রার
আমাদের উদ্দেশ্য; শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিকে একটি বিশ্বমানের ডিজাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক তথা সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বিদেশিদের আধিক্য কমিয়ে এ দেশের যুব সমাজকে RMG সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ২০০৩ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবির শান্ত প্রতিষ্ঠা করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মোতাবেক কারিকুলাম বাস্তবায়নে যত্নশীল হওয়ার কারণে আমাদের দায়বদ্ধতাও অপেক্ষাকৃত বেশি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দক্ষ শিক্ষক নিয়োগসহ কারিগরি শিক্ষা উপকরণসমৃদ্ধ যুগোপযোগী ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব, লাইব্রেরি, বিশেষ করে ফ্যাশন ডিজাইনের আধুনিক ক্যাট ওয়াক র্যাম্প, আর্ট গ্যালারি, ডিসপ্লে সেন্টার, প্রোডাক্ট ডিজাইন রিসার্চ সেন্টার, গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য ক্রোমা স্টুডিও, আধুনিক ডিজাইন সেন্টার, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ম্যানেজমেন্টের হাইটেক শ্রেণিকক্ষ তথা পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস প্রস্তুত করতে হয়েছে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়তই চলছে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ।
National Quality Frame Work এর আওতায় বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে OBE Curriculum চালু করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে SDG অর্জনের লক্ষ্যে কম খরচে মানসম্মত অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের যুবকদের বিরাট একটি অংশকে আমরা শিক্ষা প্রদান করে চলেছি। সেই সঙ্গে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী একটি দেশ ও জাতি গঠনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান হাতে নেয়া হয়েছে, যা LDC graduate, SDG-2030, 4 IR এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে। এ ছাড়া নতুন ভবন নির্মাণসহ উন্নত বিশ্বের আদলে রিসার্চ হাব নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন আছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা পাস করে বের হওয়ার আগেই নিজেদের চাকরি নিশ্চিত করতে পারছে। দেশে তো বটেই বিদেশেও বহুজাতিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমাদের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন এবং সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেরাই ব্যবসায় অংশগ্রহণ করে কর্মসংস্থান তৈরিসহ দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
লেখক : ব্যবস্থাপক (গণমাধ্যম), শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি
৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর লিখিত (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিপিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য শুধু প্রবেশপত্র ও কালো কালি ব্যবহৃত বলপেন সঙ্গে রাখা যাবে। ৯টা ৩০ মিনিটে হলের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এর পর আর কোনো পরীক্ষার্থীকে হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে আসার সময় প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন ছাড়া অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী আনা যাবে না। আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এতে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রবেশপত্রে উল্লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম দেখে নিশ্চিতভাবে যথাযথ কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সময় হাতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ৪৮তম বিশেষ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত (এমসিকিউ-টাইপ) পরীক্ষা ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন না নিয়েই পাঠদান এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের অভিযোগ উঠেছে সাভারের আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটির এই গাফিলতিতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পাঠদানের কোনো অনুমোদন না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ করেছে কলেজের অনুমোদনপ্রাপ্ত ভিন্ন ৩টি বিষয়ে।
এতে আরো বলা হয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পেয়েছে এবং তাতে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষা দানের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বোর্ডের সঙ্গে তারা কোনোরূপ যোগাযোগ করেনি। আবশ্যিক ৫টি পত্রের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৮৬ জন পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করে। কিন্তু ইতোমধ্যে পূর্ব নির্ধারিত সংখ্যক প্রশ্নপত্র সকল কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়ায় র্ব্ডো এদের পক্ষে কিছু করার ছিল না।
এতে উল্লেখ করা হয়, আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন আরও ৬টি কলেজে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের সংখ্যা মাত্র ২২ জন। অন্যদিকে আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৬ জন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ শতভাগ দায়ী। এ ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দিলে শিক্ষাঙ্গনে অনিয়ম ও অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং চাপের মুখে আরেকটি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়ার উদাহরণ সৃষ্টি হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যশোর সদর উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভুলে রসায়নে ফেল করেছিল ৪৮ জন পরীক্ষার্থী। রসায়ন পরীক্ষার ব্যবহারিক নম্বর যোগ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার তিন দিন পর রবিবার (১৩ জুলাই) ফলাফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলে দেখা যায়, ওই ৪৮ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৩২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জনের রসায়নের ব্যবহারিক নম্বর যোগ না হওয়ায় তাদের ফলাফল ফেল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।
ওই ৪৮ জনের একজন সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিয়ারাজ ইসলাম। সে জানায়, জিপিএ-৫ পাব বলেই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলে ১০টি বিষয়ের মধ্যে আটটিতে জিপিএ-৫, একটিতে এ গ্রেড এবং রসায়নে ফেল দেখানো হয়। তবে সংশোধিত ফলে তার জিপিএ-৫ এসেছে।
মিয়ারাজ বলে, ‘এই কয়দিন বাবা-মাসহ পরিবারের কারও খাওয়া-ঘুম ছিল না। বাড়ির সবার মন খারাপ ছিল। এখন জিপিএ-৫ পেয়ে সবাই খুব খুশি।’
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যশোর সদরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এ বছর ছয়টি বিদ্যালয়ের ৩২৯ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জন শিক্ষার্থী ছিল।
১০ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে রসায়নে অকৃতকার্য দেখানো হয়। ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখেন, রসায়নে সবাই ফেল করেছে।
এরপর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফল সংশোধনের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করেন।
বোর্ডে যাচাই করে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করা হয়নি। পরে কেন্দ্র থেকে পাঠানো ব্যবহারিক নম্বর যোগ করে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।
কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলী বলেন, ‘কেন বিজ্ঞান বিভাগের সবার রসায়নে ফেল দেখানো হলো তা আমরা বুঝতে পারিনি। ফল সংশোধনের আবেদন করার পর শিক্ষাবোর্ড গিয়ে সংশোধন করা হয়।’
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মতিন বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়নি। ফলে ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল অসম্পূর্ণ ছিল এবং সবার ফল ফেল এসেছে। কেন্দ্রের ভুলেই এমনটা হয়েছে। রোববার সংশোধিত ফল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের এই ভুল বা অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) সফলভাবে আয়োজন করেছে টেক্সটাইল হ্যাক ২০২৫: প্রোটোটাইপ বাজার। ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল টেক্সটাইল খাতে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং শিল্প ও শিক্ষার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা। দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষার্থী দলগুলো তাদের সৃজনশীল ও টেকসই সমাধানসমূহ লাইভ প্রোটোটাইপ প্রদর্শন ও পিচ সেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করে।
বিইউএফটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কারস্টেন্স। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিইউএফটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মোঃ মশিউল আজম সজল, বিইউএফটি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান, বিইউএফটি’র ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসাইন, ডিবিএল এর প্রধান সাসটেইনেবিলিটি অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল্লাহ, ন্যাশনাল ক্রাফটস কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান, শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক সোহেল আনোয়ার অপু, বিইউএফটি’র ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান শর্মিলী সরকার এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত দলগুলো তাদের উদ্ভাবনী ধারণা বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে, যার পরপরই অনুষ্ঠিত হয় প্রোটোটাইপ মার্কেটপ্লেস ও নেটওয়ার্কিং সেশন। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় শান্ত-মারিয়াম বিশবিদ্যালয়ের গ্রীন ওয়েভ, রানার আপ রংপুর টেক্সটাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফেব-বোর্ড এবং দর্শক মতামতের ভিত্তিতে বিইউএফটি’র ফেভ ৫ পুরস্কার লাভ করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিইউএফটি তার অঙ্গীকার, বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও তরুণ উদ্ভাবকদের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
উত্তরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শহিদ আবু সাঈদের এই বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই বিপ্লবের জন্য একটি ঐতিহাসিক নাম। আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় নানা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আগামী ১৬ জুলাই পালিত হতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকী ও ‘জুলাই শহিদ দিবস’। দিনটি উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বেরোবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী তিন দিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে বলা হয়, ১৬ জুলাই ২০২৫ শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘জুলাই শহিদ দিবস-২০২৫’ উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১৩ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আগামী ১৬ জুলাই বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই সময়ে বেরোবির সকল শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বেরোবি প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটি করা হয়েছে, যাতে ক্যাম্পাসে কেউ কোনো ধরনের শৃঙ্খলা নষ্ট না হয়। ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কার্ড থাকলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’
তাহলে নবীন শিক্ষার্থী যারা এখনও স্টুডেন্ট আইডি কার্ড পায়নি তাদের কী হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব বিভাগীয় প্রধানদের বলে দেব, শিক্ষার্থীরা যেন প্রক্টর অফিস থেকে কার্ড নিয়ে নেয়।’
এদিকে, আগামী ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা। দিনটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা। তারা হলেন— আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান।
সার্বিক বিষয়ে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের শাহাদাৎবার্ষিকীতে থাকবেন চার উপদেষ্টা। এ ছাড়া আরও ২১ জন শহিদ পরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এবং শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী তিন দিন কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না।
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এডাস্ট) Skill Development Institute (SDI) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “English for Work” শীর্ষক এক মননশীল ও প্রাসঙ্গিক সেমিনার, যা তরুণদের বৈশ্বিক কর্মদক্ষতা ও যোগাযোগে পারদর্শিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শামসুল আলম লিটন, চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কেবল ডিগ্রি নয়, স্মার্ট কমিউনিকেশন স্কিল ও গ্লোবাল ওয়ার্ক কালচারের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দক্ষতাই একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। English for Work কর্মসূচি এই পরিবর্তনমুখী শিক্ষা ও দক্ষতার গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।”
সেমিনারে ব্যাংকক থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এসডিআই পরিচালক ড. আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন। তিনি বলেন, “এসডিআই শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজন তারই একটি অংশ, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করতে পারবে।”
সভাপতির আসন অলংকৃত করেন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, উপাচার্য, অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, কার্যকর উপস্থাপন কৌশল এবং গ্লোবাল ওয়ার্কফোর্সের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সেমিনারে English for Work এর উপর লেকচার উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষক এবং সিনিয়র IELTS ইন্সট্রাকটর, মোজাম্মিল মোবারক হোসাইন, জান্নাতুল ফাহিম এবং মিরাজ হোসেন।
সেমিনারে এসডিআই কর্মকর্তা তানঝিম আরা ইঝুম এর সঞ্চালনায় এবং ব্যারিস্টার জাকির হোসেন এর তত্ত্বাবধানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিওটি সদস্য-সচিব মোঃ কামরুজ্জামান লিটু, চীফ একাডেমিক এডভাইজর অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. শহীদুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের এডভাইজর, রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল কাইউম সরদার, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আলোচনা পর্বের পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। Skill Development Institute (SDI) ভবিষ্যতেও এমন যুগোপযোগী কর্মসূচি নিয়মিতভাবে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা।
পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে। যেমন-১০১,১০২,১০৩।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত বছরের শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক-তৃতীয়াংশেরও নিচে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অথচ, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
অন্যদিকে, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সে হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।
বিগত বছরগুলোর মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা না হলেও সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।
এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে।
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে বিদেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে ৩৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৪ জন। ১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এবার সারাদেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বোর্ডে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।
ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবারও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।
এসএসএসি পরীক্ষার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর এই বোর্ডে মোট পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৮ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টা নাগাদ ফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ১ হাজার ৩০৯ জন।
এ বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রসহ মোট ৪৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিক্ষণের জন্যও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (SEU) সামার সেমিস্টার ২০২৫-এ ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ২ ও ৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস দুইদিনব্যাপী নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক স্কুলের উদ্যোগে চারটি পৃথক সেশনের মাধ্যমে আয়োজিত এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
২ জুলাই প্রথম সেশনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (SSE) এর অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুর মাহমুদ। একই দিনে দ্বিতীয় সেশনে SSE-এর আওতাধীন আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE), এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহিউদ্দিন আহমেদ (সেলিম)।
৩ জুলাই তৃতীয় সেশনে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (SASS) অর্থনীতি, ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। এ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এবং SANEM-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজিউল হক খোন্দকার।
সেদিনই চতুর্থ ও শেষ সেশনে সাউথইস্ট বিজনেস স্কুল (SBS) তাদের বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান, এফসিএ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর সিএফও। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের আহ্বান জানান।
সবগুলো সেশনে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম, SUP, ndu, psc (অব.) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সেশনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানগণও উপস্থিত ছিলেন।
এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সুবিধার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া, যাতে তারা একটি প্রাণবন্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারে।
৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই থেকে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি।
এবার চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন কিংবা আবেদনের ক্রমও বহাল রাখতে পারবেন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করার আগে। তবে পছন্দক্রম পরিবর্তনের ফরমটি তাৎক্ষণিক চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি হাতে সরবরাহ করা হবে এবং তা পূরণ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডে জমা দিতে হবে।
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়কিভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ২০৬ জন, সাধারণ ও কারিগরি /পেশাগত উভয় ক্যাডারে ১৮১ জন এবং শুধু কারিগরি/পেশাগত ক্যারের পদগুলোর ৬৫ জনসহ মোট ৪৫২ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।