সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ১২৯তম সভা রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোর্ড চেয়ারম্যান রেজাউল করিম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা, রিপোর্ট পর্যালোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় উপস্থিত বোর্ড সদস্যরা তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি
সাজিদা ফাউন্ডেশনের সেকেন্ড জিরো কুপন বন্ডের সফল ইস্যু সম্পন্ন করেছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস ও ব্র্যাক ব্যাংক। এই বন্ডের ফেস ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা, যা দেশের বন্ড মার্কেটে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
যৌথ অ্যারেঞ্জার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস এই বন্ডের ইস্যু সম্পন্ন করেছে, যা দেশের ক্রমবর্ধমান বন্ড মার্কেটকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান দুটির নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানকে সুদৃঢ করেছে।
বন্ডটির সাবস্ক্রিপশন সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ও হাই-নেট-ওর্থ বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এমন আগ্রহ দেশে বন্ড মার্কেট সম্প্রসারণের পরিচায়ক। এতে প্রচলিত বিনিয়োগকারী, যেমন- ব্যাংক, এনবিএফআই ও বিমা কোম্পানির বাইরেও নতুন বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে।
ব্যাংক, এনবিএফআই এবং বিমা কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য বিনিয়োগকারীর জন্য এ বন্ড থেকে প্রাপ্ত ইন্টারেস্ট-আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত, যা বন্ডটির একটি বাড়তি সুবিধা। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই বন্ড ইস্যু মার্কেটে সাজিদা ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট অবস্থানের ওপর বিনিয়োগকারীদের দৃঢ় আস্থা এবং উদ্ভাবনী ডেট সল্যুশন তৈরির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি মার্কেট উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টসের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
সাজিদা ফাউন্ডেশন হলো বাংলাদেশের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যা স্বাস্থ্য, ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা ও জলবায়ু সহনশীলতা নিয়ে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণ ও সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড হলো দেশের শীর্ষস্থানীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকগুলোর একটি, যা ক্লায়েন্টদের ইস্যু ম্যানেজমেন্ট, কর্পোরেট অ্যাডভাইজরি ও পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্টের মতো সেবা প্রদান করে।
জিরো কুপন বন্ড একটি ফিক্সড-ইনকাম সিকিউরিটি, যা ডিসকাউন্টে ইস্যু করা হয় এবং এতে কোনো পিরিয়ডিক ইন্টারেস্ট প্রদান করা হয় না। এখানে বিনিয়োগকারীরা মেয়াদপূর্তিতে পূর্ণ ফেস ভ্যালু ফেরত পান। সাজিদা ফাউন্ডেশনের সেকেন্ড জিরো কুপন বন্ড ইস্যু সম্পন্নের মধ্যে দিয়ে দেশের বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, উন্নয়নমূলক খাতে মূলধন প্রবাহ বাড়ানো এবং কর-সাশ্রয়ী ও নিরাপদ বিনিয়োগ সুযোগ তৈরিতে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্র্যাক ইপিএলের সক্ষমতা আবারও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকার্স স্পোর্টস এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত সরকারি ও রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ৮টি দল নিয়ে আয়েজিত ফ্রেন্ডশীপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল ম্যাচ গত ২১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ক্রিকেট মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ফাইনাল ম্যাচে জনতা ব্যাংক পিএলসি’র দল ‘টিম জেবি’ সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র দল ‘সোনালী টাইগার্স’কে ১২৭ রানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এসময় মাঠে জনতা ব্যাংক পিএলসি’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান সিএসপি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক প্রসূন বিশ্বাস, সদস্য সচিব মোঃ রাসেল শিকদারসহ অন্যান্য ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত থেকে ম্যাচটি উপভোগ করেছেন।
এছাড়া উক্ত টুর্নামেন্টে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, বেসিক ব্যাংক লিঃ এবং বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন এর একটি করে দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনাল ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন জনতা ব্যাংকের মাহবুব টিপু। সেরা বোলার হয়েছেন সোনালী ব্যাংকের পলাশ, সেরা ব্যাটার এবং প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন জনতা ব্যাংকের রোমান।
আগামী ডিসেম্বরে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি ম্যাপিং রিপোর্ট (মানচিত্রায়ণ প্রতিবেদন) প্রকাশ করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ডকল্যাব। গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের কাঠামো ও সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ প্রদান করা হবে; যা চলচ্চিত্র খাতের নীতিমালা, এ সংক্রান্ত বিনিয়োগ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চূড়ান্ত রিপোর্টে জাতীয় পর্যায়ে একটি ম্যাপিং (মানচিত্রায়ণ), নীতি-পর্যালোচনা ও অংশীজনদের জন্য করণীয় বিভিন্ন সুপারিশ থাকবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল গবেষণা উদ্যোগটি এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একটি উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে শুরু করে। এর উদ্দেশ্য মূলত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র খাত সম্পর্কে নতুন বোঝাপড়া তৈরির মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের ইকোসিস্টেমের ম্যাপিং করা। চলচ্চিত্র শিল্পের পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে প্রধান গবেষক ড. ইমরান ফিরদাউসের নেতৃত্বে ঢাকা ডকল্যাবের গবেষক দলটি প্রযোজক, স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা, সিনেমা হল মালিক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী সহ দেশের বিভিন্ন চলচিত্র পেশাজীবীদের নিয়ে দেশব্যাপী বিস্তৃত জরিপ পরিচালনা করে ও তাদের পরামর্শ গ্রহণ করে। বর্তমানে এই গবেষণা দলটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প সংক্রান্ত বিদ্যমান নানা নীতিমালা পর্যালোচনা করছে। চূড়ান্ত রিপোর্টে একটি বিস্তারিত ইকোসিস্টেম মানচিত্র, নীতি-পর্যালোচনা এবং অংশীজনদের জন্য করণীয় বিভিন্ন সুপারিশ থাকবে। আগামী ডিসেম্বরে একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মাধ্যমে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে; সেই সাথে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত চলচ্চিত্র নির্মাতা, নীতি-নির্ধারক এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। গবেষণা কার্যক্রমটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের ক্রিয়েটিভ ইকোনমি তথা সৃজনশীল অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক, নৈতিক এবং জলবায়ু-সচেতন উদ্যোগ নিশ্চিত করতে যে বৃহত্তর প্রতিশ্রুতি এবং আগ্রহ রয়েছে; তারই একটি অংশ।
উদ্যোগটির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর মারিয়া রেহমান বলেন, ’বাংলাদেশের চলচ্চিত্র খাত সংক্রান্ত নীতি পর্যালোচনার মাধ্যমে কীভাবে এ খাতের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে সে লক্ষ্যে কৃত এই গবেষণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সুসংহত করা ও বিভিন্ন সৃজনশীল খাতে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির যে লক্ষ্য নিয়ে বৃটিশ কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে, এ গবেষণাটি সে প্রচেষ্টারই প্রতিফলন। পাশাপাশি, এ উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সৃজনশীল শিল্পের অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করবে। দক্ষিণ এশিয়ার সৃজনশীলতাকে ঘিরে যেহেতু বর্তমানে বৈশ্বিক আগ্রহ বাড়ছে, তাই এই গবেষণাটি নীতি-নির্ধারকদের হাতে একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা তুলে দিবে, যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সাংস্কৃতিক বিকাশের পাশাপাশি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সহযোগী খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করবে।’
ঢাকা ডকল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদ এই গবেষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ’বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বর্তমানে একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, ফলে এই গবেষণাকর্মটি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। আমরা আশা করছি, এই ম্যাপিং বিস্তৃত আকারের হবে, যা স্মার্ট নীতি গ্রহণ এবং উদ্দেশ্যমূলক বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় এবং প্রমাণভিত্তিক তথ্য সরবরাহ করবে। এটি টেকসইভিত্তিক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে এই শিল্পক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট সকল পেশাজীবী উপকৃত হবে।’
প্রধান গবেষক ড. ইমরান ফিরদাউস গবেষণা ফলাফলের ব্যাপ্তি নিয়ে বলেছেন, ‘পুরো বাংলাদেশ জুড়েই চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে আমরা বিপুল পরিমাণ প্রতিভা, উচ্চাকাংক্ষা ও সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছি। এই ক্ষেত্রটির বর্তমান পরিস্থিতির বিশদ বর্ণনা ছাড়াও এই গবেষণা মূলত ব্যবহারিক ও প্রমাণভিত্তিক পদক্ষেপ তুলে ধরবে, যা চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং নীতি-নির্ধারকদের সৃজনশীল ও আর্থিক সাফল্য অর্জনে সহায়তা করবে। এছাড়াও, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, এই গবেষণা চলচ্চিত্র শিল্পে লৈঙ্গিক সমতা এবং খাতটির টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলোকেও গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়েছে।”
গত ৮ থেকে ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালমপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তাশরিক শায়হান শান ওপেন ক্যাটাগরির শেষ রাউন্ডে ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার শ্যাম নিখিল-কে পরাজিত করে ওপেন অনূর্র্ধ্ব-২০ বিভাগে রৌপ্যপদক জিতেছে। সে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
ওমেন ক্যান্ডিডেট মাস্টার ওমনিয়া বিনতে ইউসুফ লুবাবা মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে ৯ খেলায় ৬ পয়েন্ট অর্জন করে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। অন্যদিকে প্রতিযোগিতার ব্লিটজ ক্যাটাগরীতে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের আজান মাহমুদ বাংলাদেশের পক্ষে অনুর্ধ্ব-১০ এ বিভাগীয় পুরষ্কার জিতে নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।
বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আরও উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে; মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১০ ওমেন ক্যান্ডিডেট মাস্টার ওয়ারিসা হায়দার ৪র্থ। ওপেন অনূর্ধ্ব-১০ ক্যাটাগরিতে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের রায়হান রশীদ মুগ্ধ ৯ খেলায় ৬-পয়েন্ট অর্জন করে ৫ম পুরস্কার পায়। বাংলাদেশের সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের অন্যান্য কৃতি দাবারুদের মধ্যে অনূর্ধ্ব-১২ সাফায়েত কিবরিয়া আজান ৯ খেলায় ৫ পয়েন্ট, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১২-এ সিদরাতুল মুনতাহানা নাফি ৯ খেলায় ৪ পয়েন্ট অর্জন করে।
উল্লেখ্য কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের মোট ৩৭৩-জন দাবারু সাম্প্রতিক এ দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে, যাদের মধ্যে ছিল ৮ জন গ্র্যান্ডমাষ্টার, ৮ জন আন্তর্জাতিক মাষ্টারসহ ফিদে টাইটেলধারী সর্বমোট ৬০-জন দাবারু।
উল্লেখ্য উক্ত কমনওয়েলথ দাবার মত আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের তরুণ দাবাড়ুরা দুর্দান্ত কৃতিত্ব দেখিয়ে প্রমাণ করেছে তাদের প্রতিভা বিশ্বমানের।
এসব সাফল্য তথা অর্জনের জন্য সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ ও মালিবাগ ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ কর্ণেল মো: শামসুল আলম, পিএসসি (অব:) সাউথ পয়েন্টের খুদে দাবাড়ু ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকবৃন্দসহ সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গুণগত মানের লেখাপড়ার পাশাপাশি বেশিবেশি খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। যাতে শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে অধিকতর আত্মবিশ্বাসি, মানবিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়।
বিশেষ করে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে সাফল্য, ব্যর্থতা বা হারজিতকে গুরুত্ব না দিয়ে খেলাধুলাসহ সকল প্রতিযোগীতায়ই অংশগ্রহণের ব্যপারে উৎসাহিত করি। যার অংশ হিসেবে এসব সাফল্য সংবাদগুলো যেমনই হোক সংবাদপত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশের ব্যপারেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
করপোরেট নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, সংকট মোকাবিলা ও পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক বাস্তবতা নিয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ৯ম লিডারশিপ সামিট। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি–এর পরিবেশনায়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড গ্রুপ–এর সঞ্চালনায় এবং টুয়েলভ ক্লোদিংয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সামিটে অংশ নেন দেশের শীর্ষ সি–সুইট নির্বাহী, ব্যবসায়িক পেশাজীবী, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক শিক্ষাবিদ ও বিনিয়োগ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা। এ বছর সম্মেলনটির প্রতিপাদ্য ছিল – “রেজিলিয়েন্ট লিডারশিপ – থ্রাইভিং অ্যামিড আনসার্টেনটি।”
সামিটে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শুধু অর্থনৈতিক লক্ষ্য দিয়ে নয়, বরং নির্ধারিত হবে নেতৃত্বের মানদণ্ড দিয়ে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রয়োজন দূরদর্শী, নৈতিক, পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে সক্ষম এবং সংকটে টিকে থাকার চেয়ে সুযোগ তৈরি করতে পারদর্শী এমন নেতৃত্ব। নেতৃত্বকে শুধুই কর্তৃত্ব না ভেবে দায়িত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি মূল্য তৈরির পথে এগোনোর সময় এখনি।”
স্বাগত বক্তব্যের পর সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছে যখন যেকোনো খাতের নেতৃত্বকে হতে হবে আরো বলিষ্ঠ। গতানুগতিক সাফল্যের বাইরে আমাদের প্রয়োজন ডেটাভিত্তিক, ঝুঁকি–সচেতন এবং স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত প্রনয়ণকারী নেতৃত্ব। রেজিলিয়েন্স মানে শুধু টিকে থাকা নয়, বরং এমন ব্যবস্থা গড়া যা প্রতিনিয়ত শিখতে, পরিবর্তন করতে এবং উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে সক্ষম।”
দিনব্যাপী সামিটের আলোচনা গুলো অনুষ্ঠিত হয় ৩টি কিনোট সেশন, ৩টি প্যানেল ডিসকাশন এবং ১টি ইনসাইট সেশনের সমন্বয়ে।
কিনোট আলোচনায় অধ্যাপক এ কে এনামুল হক টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক ও আর্থিক ভিত্তি নিয়ে বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। এরপর ইউসুকে তাচিকাওয়া, ফাউন্ডার অ্যান্ড ডিজাইন স্ট্র্যাটেজিস্ট, নসাইনার; প্রফেসর, কেইও ইউনিভার্সিটি আলোচনা করেন কীভাবে সৃজনশীল নেতৃত্ব শুধু সংকট মোকাবিলা নয়, বরং রেজিলিয়েন্স তৈরি করে ভবিষ্যতকে শক্ত ভিত্তি দিতে পারে। শেষ কিনোট সেশনে প্রফেসর অ্যান্ড্রু কার্ল ডেলিয়স, প্রোভোস্ট’স চেয়ার অ্যান্ড ভাইস ডিন, বিজনেস স্কুল, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাস্তবতায় উদীয়মান অর্থনীতির জন্য কোন ধরনের নেতৃত্ব কার্যকর হতে পারে, সে বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেন।
কিনোট বক্তব্যে অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, শুধু প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট নয় — স্থিতিশীল অগ্রগতির জন্য নেতৃত্ব, প্রতিষ্ঠান ও পরিকল্পনার সমন্বিত উন্নতি জরুরি। তার মতে, উন্নয়ন টিকিয়ে রাখতে শক্তিশালী নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক দূরদৃষ্টি এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান আরও বেশি প্রয়োজন, যাতে পুঁজি দেশে থাকে এবং প্রবৃদ্ধি টেকসই হয়। এছাড়া তিনি পরিবেশ ও নগর পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বৈজ্ঞানিক কৃষি চর্চা, দক্ষ নগর পরিবহন ব্যবস্থা এবং ভূমির সঠিক ব্যবহার জাতীয় রেজিলিয়েন্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি উল্লেখ করেন, “রেজিলিয়েন্স তখনই তৈরি হয় যখন নেতৃত্ব, প্রতিষ্ঠান এবং পরিবেশ পরিকল্পিতভাবে এগোয় — প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়, পরিকল্পনা হিসেবে।”
প্যানেল ও ইনসাইট আলোচনায় উঠে আসে—আর্থিক শৃঙ্খলা, অস্থির সময়ে নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য দৃঢ় সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার বিভিন্ন প্রকল্প ও ব্যবহারিক দিকসমূহ। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল করপোরেট একাউন্টেবিলিটি, গভর্নেন্স, ডেটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত, অভ্যন্তরীণ টিম রেজিলিয়েন্স এবং দায়বদ্ধ করপোরেট আচরণ বিষয়ক আলোচনাসমূহ।
সামিটের অন্যান্য সেশনে বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, রুহুল কুদ্দুস খান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড; জোহান বুস, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড; মোহাম্মদ এনামুল হক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড কান্ট্রি চিফ রিস্ক অফিসার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক; বিজয় কুমার সাহা, লিড ইনভেস্টমেন্ট অফিসার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক; শেহজাদ মুনিম, ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড; প্রফেসর ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার, ভাইস-চ্যান্সেলর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি.; প্রফেসর ইমরান রহমান, প্রফেসর, স্কুল অফ বিজনেস, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব); আব্দুল্লাহ হিল নাকিব, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, টিম গ্রুপ; প্রমুখ।
লিডারশিপ সামিট ২০২৫ এর পরিবেশনায় ছিল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, সঞ্চালনায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিট - বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড গ্রুপ। সহযোগিতায় টুয়েলভ ক্লোদিং। অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পার্টনার—টার্কিশ এয়ারলাইনস; নলেজ পার্টনার—মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এমএসবি); ভেন্যু পার্টনার—ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টার; লার্নিং পার্টনার — কাজী কনসালট্যান্টস; পিআর পার্টনার—ব্যাকপেজ পিআর ও একাডেমিক পার্টনার—লিডারশিপ একাডেমি। সামিটটি বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগ।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইউ)- র সহযোগিতায় “ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন: এনগেজিং অ্যান্ড ইনস্পায়ারিং ইয়ুথ ইন ব্যাংকিং” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। প্রাইম ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া-এর আওতায় আয়োজিত এই সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম; উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক; কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. আসাদুজ্জামান সরকার এবং টিম উৎসবের সভাপতি অধ্যাপক ড. শোনিয়া শেহেলী।
সেশনটি পরিচালনা করেন প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব লাইয়াবিলিটি শায়লা আবেদিন। এ সময় তিনি ব্যাংকের তরুণ্য নির্ভর কর্মকাণ্ড ও প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া-এর অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড স্কুল ব্যাংকিং এম এম মাহবুব হাসান।
সেমিনারে ব্যাংক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উভয়ের সমন্বিত সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। উভয় প্রতিষ্ঠানই তরুণ শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, গবেষণা ও ক্যারিয়ারমুখী উদ্যোগে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া-এর উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিত আর্থিক সেবার আওতায় আনছে, যার মধ্যে রয়েছে- ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ফি সংগ্রহ ব্যবস্থা, পেরোল সেবা, স্কুল ব্যাংকিং এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত অ্যাকাউন্ট- সবকিছু এক ছাতার নিচে।
উদ্যোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে, যা তরুণ প্রজন্মকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত করে।
সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ১৫০ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং অন্যান্য শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘জাগরণ’ নামে একটি দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় অংশগ্রহণকারীদের কম্পিউটার ব্যবহার, ইলেকট্রনিকস ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিং এবং পোশাক তৈরির বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ শেষে সনদ পাবেন। পাশাপাশি, তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু বা অন্যান্য আয়-বর্ধক কার্যক্রমে যুক্ত হতে প্রাথমিক অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হবে। অন্যদিকে, বিশেষভাবে সক্ষম এই মানুষগুলোর জন্য পূর্ণাঙ্গ সহায়তা নিশ্চিত করতে সিআরপি প্রশিক্ষণকালীন সময়ে একটি সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অনুকূল পরিবেশে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা প্রদান করবে।
সম্প্রতি, গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কর্মসূচিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি এ. টেলর বলেন, “সিআরপি-তে আমরা বিশ্বাস করি, শারীরিক সক্ষমতা যাই হোক না কেন, ব্যক্তিমাত্রই সম্মানজনক ও স্বাধীন জীবনযাপনের সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ‘জাগরণ’ কর্মসূচির মতো যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে পারি; সেই সাথে তাদের সক্ষম করে তুলতে পারি এবং তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের জীবনে সাফল্য নিয়ে আসতে পারি।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও আলা আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, “জাগরণ প্রকল্পটি মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর একটি। এটি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সহায়তা করার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ যার মাধ্যমে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ ও জীবনমান উন্নত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবেন।”
সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. সোহরাব হোসেন বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক দক্ষতা উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, ‘জাগরণ’ কর্মসূচিটি তারই প্রতিফলন। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের বাস্তব দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রদান করে আমরা শুধু তাদের জীবিকা উন্নত করতে ভূমিকা রাখছি না, পাশাপাশি একটি অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনেও সহায়তা করছি।”
অনুষ্ঠানে সিআরপি এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল অনুভূত হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প। তীব্র ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। আপনজন নিরাপদে আছেন কি-না, তা খোঁজ নিতে শুরু করেন সবাই। আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মুহূর্তে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ায় বাংলালিংক। প্রয়োজনের সময়ে বাংলালিংক গ্রাহকেরা যেন নিজেদের কাছের মানুষ ও পরিবারের সদস্যদের সাথে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারেন, এজন্য বিনামূল্যে সকল অপারেটরে কল করার সুবিধা চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। সমাজের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনে সময়োপযোগী এ উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলালিংক।
নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ফ্রি কলিং সুবিধার ঘোষণা দেয় বাংলালিংক; পাশাপাশি, এসএমএস -এর মাধ্যমেও গ্রাহকদের এ ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়, যেন তারা তাৎক্ষণিকভাবে কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ফ্রি কলিং সুবিধার মাধ্মে গ্রাহকেরা বিভিন্ন অপারেটরে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মিনিট আউটগোয়িং কল করেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জরুরি ও মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলালিংকের এ উদ্যোগ গ্রাহক ও অংশীজনদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া লাভ করে।
প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। এর আগে, আকস্মিক বন্যার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেয় বাংলালিংক; একইভাবে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তাপপ্রবাহের সময়ও খাওয়ার স্যালাইন ও পানির বোতল বিতরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
মানুষ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “দেশজুড়ে সবাই আতঙ্কে আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। এ সময় আমাদের মূল অগ্রাধিকার ছিল মানুষ ও সমাজের পাশে দাঁড়ানো। ভূমিকম্পের পরপরই আমাদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ক্রাইসিস টিম নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। এ সময় আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি কীভাবে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ানো যায়, এ নিয়ে ভাবনা শুরু করি। মানুষ তখন পরিবার-পরিজনদের খোঁজ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। এ সময়ই আমরা বিনামূল্যে কল করার মতো কার্যকর ও অর্থবহ সুবিধা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই। দেশজুড়ে মানুষ আমাদের এ উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঠিক যখনই গ্রাহকদের দরকার হবে, ঠিক তখনই তাদের পাশে দাঁড়ানো।”
গ্রাহক-কেন্দ্রিক লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে বাংলালিংক। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, “আমরা শুধু নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিয়েই কাজ করি না, আমাদের মূল দায়িত্ব ও লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের সেবা দেয়া। আমাদের যেকোন পণ্য ও যেকোন সেবা চালু করাসহ প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ শুরু হয় একটি সহজ প্রশ্ন দিয়ে: এ মুহূর্তে আমাদের গ্রাহকদের কী প্রয়োজন? আমরা এমন সুবিধা নিয়ে কাজ করাকে অগ্রাধিকার দেই, যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা সত্যিকার অর্থেই সম্মানিত বোধ করবেন এবং মনে করবেন বাংলালিংক তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে। আমরা শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতেই ভূমিকা রাখছি না; আমাদের প্রচেষ্টা ডিও১৪৪০ -এর মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য এমন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা, যেন দিনের প্রতিটি মিনিটে, প্রতিটি মুহূর্তে গ্রাহকদের পাশে থাকা যায়। প্রয়োজনের সময়ে গ্রাহকদের পাশে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলালিংক সহমর্মিতা ও আন্তরিকতা নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ ও সমাজের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবে, যা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক মূলমন্ত্র ‘আপনার জন্যেই আমরা’, এ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন।”
এ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানের বাইরেও প্রয়োজনের সময়সহ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্যকেই পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলালিংক।
সিটি ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফিন বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ডস-এর চতুর্থ আসরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ ‘সিইও অব দ্য ইয়ার-২০২৫’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। সিটি ব্যাংকে তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব এবং দেশের আর্থিক খাতে তিন দশকেরও বেশি সময়ের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পুরস্কৃত হলেন। এর আগের বছরগুলিতে এই ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার, এমটিবিএলের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং বিকাশ-এর সিইও কামাল কাদির।
মাসরুরের নেতৃত্বে গত ছয় বছরে সিটি ব্যাংক প্রশংসনীয় কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৮ সালে ব্যাংকের অপারেটিং প্রফিট ছিল ৬৯৯ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২,৩৫১ কোটি টাকায়; নেট প্রফিট ২০২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয় ১,০৮৫ কোটি টাকা; রিটার্ন অন একুইটি ৮.২% থেকে পৌঁছায় ২৬.১%-এ, এবং ব্যাংকের মোট মূলধন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ে। এর পাশাপাশি ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিটি ব্যাংককে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেকসই ব্যাংক হিসেবে ভূষিত করে।
মাসরুর সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল রূপান্তরেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। সিটিটাচ প্ল্যাটফর্মকে আরও বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়া এবং ডিজিটাল ন্যানো লোনের মতো যুগান্তকারী সমাধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং মে ইন্টারন্যাশনালট্রেড সার্ভিসেস লিমিটেড- গ্লোবাল ট্রেড ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। ব্যাংকের হেড অফিসে অনুষ্ঠিত দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং মে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সার্ভিসেস লিমিটেডের সিইও সৈয়দ আমিনুল কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর শেষে পারস্পরিক বিনিময় করেন।
গ্লোবাল ট্রেড ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম বাস্তবায়ন, কমিউনিটি ব্যাংকের ট্রেড কমপ্লায়েন্স আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ, দক্ষ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারিত্বে গতকাল (২১ নভেম্বর) ১২তম আউটস্ট্যান্ডিং পিয়ারসন লার্নার অ্যাওয়ার্ডস (ওপিএলএ) আয়োজন করেছে শিক্ষা খাতে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ডিং বডি পিয়ারসন এডেক্সেল। এ বছর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইমারি, ইন্টারন্যাশনাল লোয়ার সেকেন্ডারি, ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই এবং ইন্টারন্যাশনাল ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জনকারী বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মান জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনসের ডিরেক্টর ক্যাথরিন বুথ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান ও ব্রিটিশ হাই কমিশন বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ডিরেক্টর সাকিব এরশাদ।
অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনের জন্য এ বছর মোট ৭৩৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ২৪ জন, এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৪ জন এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করা ৪১ জন শিক্ষার্থী। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ২১ জন আইপ্রাইমারি, ১ জন আইলোয়ারসেকেন্ডারি, ৪৫৬ জন ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই এবং ১৮৩ জন ইন্টারন্যাশনাল ‘এ’ লেভেল শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনসের ডিরেক্টর ক্যাথরিন বুথ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান, ব্রিটিশ হাই কমিশন বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ডিরেক্টর সাকিব এরশাদ, পিয়ারসন বাংলাদেশ ও নেপালের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন লিটন এবং পিরাসন বাংলাদেশের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা। বক্তব্যে তারা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং শিক্ষার্থীদের সাফল্যে অবদান রাখার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নিজের বক্তব্যে ক্যাথরিন বুথ শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং নিজেদের মেধা ও প্রতিভার মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে বলেন, “আজ চমৎকার এই দিনে পিয়ারসনের অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাফল্য উদযাপন করছি। অনন্য অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীরা আজ যে স্বীকৃতি পাচ্ছে, তা শুধুমাত্র উৎকর্ষ অর্জনের প্রচেষ্টাই নয়, পাশাপশি তাদের ভবিষ্যতের জন্যও স্বীকৃতিস্বরূপ। পিয়ারসনে আমরা শিক্ষার্থীদের শেখার, ভাবার এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে রূপান্তরমূলক দক্ষতা অর্জনে উৎসাহিত করি। আপনারা এখন জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করবেন, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন, যা আপনাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করবে। আপনাদের উদার মানসিকতার হতে হবে এবং সবসময় কৌতূহলী থাকতে হবে। আশা করি, আপনারা শিক্ষকদের সাথেও যোগাযোগ রাখবেন এবং মেধা ও প্রভিভার মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবেন।”
ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তারুণ্য মানেই কৌতূহল, নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়া এবং লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, বয়সের সাথে সাথে আসে অভিজ্ঞতা, স্থিরতা ও প্রজ্ঞা। একে অন্যের কাছ থেকে শেখার মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে যাই। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে ঐক্য ও পারস্পারিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে কাজ করি, যেন প্রতিটি প্রজন্ম একসাথে এগিয়ে যেতে পারে। সময়ের সাথে সাথে আপনারা সামনে এগিয়ে যাবেন; এক্ষেত্রে, নিজেদের তারুণ্যের প্রতি সৎ থাকুন এবং অন্তনির্হিত তারুণ্যের আলোকে আলোকিত হোন।”
কীভাবে পিয়ারসন এডেক্সেল কোয়ালিফিকেশন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চশিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে চলেছে, তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন পিয়ারসন বাংলাদেশের আবদুল্লাহ আল মামুন লিটন ও জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা। উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান, এবং এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি কৃতি শিক্ষার্থীকে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
রূপায়ণ গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীর জলসিঁড়ি গলফ ক্লাবে প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন হয়েছে আজ শনিবার সকালে। বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন জলসিঁড়ি গলফ ক্লাবের বর্তমান প্রসিডেন্ট মেজর জেনারেল মোঃ হাসানুজ্জামান এবং রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল।
বেলুন ওড়ানোর পর উপস্থিত সকলে ফটোশেসনে অংশ নেন। পরে গলফ মাঠে পটে বল ফেলেন মেজর জেনারেল মোঃ হাসানুজ্জামান ও মাহির আলী খাঁন রাতুল।
উদ্বোধনের পর জলসিরি গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য রূপায়ণ গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। প্রথম থেকেই এই গলফ ক্লাবের উন্নতির সঙ্গে রূপায়ণ জড়িত ছিল। তাই সাধুবাদ জানাই। জলসিরির অন্যান্ন প্রকল্পের সঙ্গেও জড়িত আছে তারা। আশা করি রূপায়নের নির্মাণ মানদন্ডের উপর নির্ভর করে জলসিড়ির বাকি পকল্পও সুন্দর হবে। আশা করি ভবিষ্যতেও রূপায়ণ গ্রুপ আমাদের সঙ্গে থাকবে।'
প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্য করে মেজর জেনারেল মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, 'জলসিরি গলফ ক্লাবের প্রাকৃতিক সুন্দর্য অন্য গলফ ক্লাবের চেয়ে ব্যতিক্রম ও আকর্ষনীয়। তাই এখানে অনেক গলফার খেলতে আসেন। তারা জলসিরি গলফ ক্লাবকে পছন্দ করেন।'
রূপায়ণ গ্রুপের কো চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল বলেন, 'আমারা
প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করলাম আজ। গলফারদের মধ্যে এই টুর্নামেন্ট ঘিরে অনেক সারা পাচ্ছি। গলফারদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি, এর কারণ জলসিরি গলফ ক্লাব। এটা তারা একটু ব্যতিক্রম ভাবে তৈরী করেছেন। পূর্বাচলের এই দিকে গলফের যে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে তাতে অংশ নিতে গলফার এবং গলফারদের বাইরেও অনেকে আসছেন। রূপায়ণ গ্রুপ সব সময় আবাসন খাত এবং সোসাইটি ডেভেলপমেন্টে অবদারন রেখেছে বাংলাদেশে। পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও বেশ অবদান রেখেছে রূপায়ণ। আমরা চাইছিলাম জলসিরির এমন সুন্দর প্রকল্পে স্পনসর করার মাধ্যমে দেশের এই বিষয়গুলো মানুষের কাছে পৌছাক। একটি সোসাইটিকে যে গলফের মাধ্যমেও ডেভলপ করা যায় সেটি তুলে ধরতে চেয়েছি। আশা করি সামনেও আমাদের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।'
ভবিষ্যতেও এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানিয়ে মাহির আলী খাঁন রাতুল আরও বলেন, 'পূর্বাচল এবং জলসিরির অবকাঠামো উন্নয়নে এবং তাদের পরিকল্পনার সাথে ভবিষ্যতেও আমরা রূপায়ণ গ্রুপ যুক্ত থাকবো। দেশের ভালোর জন্য যেখানে যতটুকু সম্ভব আমরা রূপায়ণ গ্রুপ অবদান রাখার চেষ্টা করবো।'
উদ্বোধনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জলসিরি গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, সিইও লেঃ কর্ণেল আরিফ আহমেদ বেলাল (রিটায়ার্ড)।
রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা আব্দুল গাফফার, রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেরর আহসান হাবিব (অব), রূপায়ণ গ্রুপের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম সালাউদ্দিন (অব.) এবং রূপায়ণ গ্রুপের ডিরেক্টর অপারেশন লেফটেনেন্ট কর্নেল কবিরউদ্দিন আহমেদ (অব.)।
বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে রাজধানী ঢাকার লেকশোর হাইটস হোটেলে বিশেষ একটি আয়োজন করে হারপিক বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ স্যানিটেশন ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে “বিশ্ব টয়লেট দিবস ও স্যানিটেশন কর্মী” বিষয়ে কী-নোট বক্তব্য দেন ডঃ আব্দুল্লাহ আল মূঈদ (পিএইচডি)। তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্যানিটেশন কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, এসডিজি বিষয়ক স্যানিটেশনের চ্যালেঞ্জ ও তা থেকে উত্তরনের উপায় নিয়ে কথা বলেন। এছাড়াও কর্পোরেটদের এই সেক্টরের ভুমিকা নিয়েও কথা বলেন । তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, “টয়লেট শুধু প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্যই নয় বরং এটি স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।”
পরবর্তী পর্যায়ে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলম, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাজেদা ফাউন্ডেশনের ডেপুটি সিইও ফজলুল হক, মজার ইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ এবং রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি’র হেড অব মার্কেটিং সাবরিন মারুফ তিন্নি । আলোচনা সেশনটি পরিচালনা করেন রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার মো. রাকিব উদ্দিন। প্যানেলিস্টরা আলোচনা করেন স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি এবং যৌথ উদ্যোগই এর মাধ্যমেই দেশের মানুষের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের অন্যতম একটি আকর্ষণ ছিল হারপিকের নতুন সংস্করণ “দিপু-টুশি হাইজিন অভিযান” কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। এই বইটির মাধ্যমে আনন্দময়, প্রাণবন্ত ও মজার কৌশলে শিশুরা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, টয়লেট পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্পর্কে সহজেই শিখতে পারবে। শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাই এই বইয়ের লক্ষ্য। বইটির পাশাপাশি, সারাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে শেখাতে হারপিক প্রকাশ করেছে ডিজিটাল কার্টুন সিরিজ ‘দিপু-টুশির হাইজিন অভিযান” ।
অনুষ্ঠানে হারপিক বাংলাদেশ ও সাজেদা ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে স্যানিটেশন কর্মী এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে আরও সক্রিয় হওয়ার ঘোষণা দেয়। এর পাশাপাশি, সাজিদা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে দুই হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগের ঘোষণাও দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে হারপিক বাংলাদেশের গত এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়, যেখানে দেশের সামগ্রিক পরিছন্নতা ও স্যানিটেশন মান উন্নয়নে ব্র্যান্ডের অটুট অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।
রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি’র হেড অব মার্কেটিং সাবরিন মারুফ তিন্নি বলেন, “বিশ্ব টয়লেট দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্যানিটেশন একটি মৌলিক মানবাধিকার। হারপিক গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাইজিন শিক্ষা কর্মসূচি, স্যানিটেশন কর্মীদের সহায়তা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে অবদান রাখতে পেরে গর্বিত। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আমরা ভবিষ্যতেও কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাব।”
বিশ্ব টয়লেট দিবস প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর পালিত হয়। দিবসটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৬)- “২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা”- উপলব্ধিতে সহযোগিতা করা।