জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ঢাকা শহরের জলাভূমি পরিবর্তন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত উন্মুক্ত গবেষণা ‘এ কেইস অব ঢাকা সিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সেমিনার কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে পিএইচডি গবেষক মো. আশরাফ উদ্দীন তার প্রথম উন্মুক্ত পিএইচডি সেমিনারে ঢাকা শহরের জলাভূমি পরিবর্তন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত গবেষণা পরিকল্পনা আলোকপাত করেন। এসময় পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা বলেন, ‘এই গবেষণার মাধ্যমে জলাভূমি পরিবর্তনের হার, ঝুঁকিপূর্ণ জলাভূমি অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, জলাভূমি ব্যবস্থাপনার প্রতিবন্ধকতা এবং সমাধানের পথ সম্পর্কে নীতিনির্ধারকরা নির্দেশনা পাবেন।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদের। উপস্থিত ছিলেন লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাশরিক হাসান, লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন এবং অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সাবেক প্রভোস্ট এবং অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিমা বেগম, সাবেক প্রক্টর এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অশোক কুমার, প্রিন্ট মেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশিদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারি অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেন।
রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রশাসনিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ নিয়োগ এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তীব্র বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। প্রিন্সিপাল মঞ্জুয়ারা পারভিনকে অপসারণের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশে জটিলতা দেখা দিয়েছে, যা জেলা প্রশাসন ও দুদকের নজরেও এসেছে।
তদন্ত ও অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক আলিউল করিম প্রামানিক, রাশেদ-উল-ইসলাম, মিলন, তোতা এবং এক প্রাক্তন সদস্যের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে। লক্ষ্য ছিল অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা এবং পরে আলিউল করিম প্রামানিককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করানো। অভিযোগ রয়েছে, জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি দ্বারা। পরে তদন্তের ভার এডিসি (শিক্ষা)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে, তা এখনও কার্যকর হয়নি। দুদক জানিয়েছে, বিষয়টি জেলা প্রশাসনের অধীনে তদন্তাধীন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ৩৪৩ নম্বর স্মারক অনুযায়ী, জেলা প্রশাসনকে কেবল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; রিপোর্ট পাঠানোর নয়। ফলে সভাপতির বক্তব্য ও সরকারি অবস্থান মেলেনি।
মো. রমিজ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এতে তদন্তের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ। অধ্যক্ষকে কোনো শুনানি দেয়া হয়নি, এবং অভিযোগকারীর তালিকায় কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীর নামও নেই।
প্রিন্সিপাল মঞ্জুয়ারা পারভিন বলেছেন, ‘চাকরিজীবনে আমি একটি টাকাও অবৈধভাবে গ্রহণ করিনি। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেইনি। সকল নিয়োগ ও পদোন্নতি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। আমার ছুটির আবেদনও উপেক্ষা করা হয়েছে; সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বেতন স্থগিত রাখা হয়েছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, কোনো বিভাগীয় মামলা ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে বরখাস্তকৃত শিক্ষক স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বহাল হবেন এবং বেতন-ভাতা পুনরায় প্রদান করা হবে। সরকারি নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে- যতই ক্ষমতার খেলাবাজি বা প্রশাসনিক অবহেলা হোক, ন্যায় ও নীতির বিজয় নিশ্চিত। অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভিন আবেদন করেছেন, কিন্তু সভাপতি বা কর্তৃপক্ষ এখনও পদক্ষেপ নেননি। এটি শুধু একটি ব্যক্তির নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানের ন্যায়পরায়ণতার পরীক্ষা।
অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যক্ষের নামে ১২টি চেক উত্তোলনের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। ব্যাংক ও হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, চেকগুলো বেতন ও পাওনাদারদের টাকা বিতরণে ব্যবহৃত হয়েছে; কোনো চেকই অধ্যক্ষ নিজে উত্তোলন করেননি।
অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, ২০১২ সালে যোগদানের সময় কলেজের ফান্ড প্রায় ৩.৫ কোটি টাকা ছিল; ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত তা ১৯ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। যদি দুর্নীতি হতো, ফান্ড এত বৃদ্ধি পেত কীভাবে?
কলেজের সব আয় অটোমেশন প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে। এতে আত্মসাতের পথ বন্ধ হয়েছে এবং আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার মান ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানটি রংপুরের শীর্ষে। তবে এই পদক্ষেপই ক্ষুব্ধ করেছে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে, যারা অধ্যক্ষকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষক আলিউল করিম প্রামানিক পূর্বে একাধিকবার শাস্তি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে কলেজের ব্যবস্থাপনায় প্রভাব বিস্তার করছেন। রাশেদ, তোতা ও মিলনসহ তাদের সহযোগীরাও রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
চাকরিচ্যুত কৃষি শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে বেআইনি পুনঃনিয়োগ কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০০৬ সালে চাকরিচ্যুত হওয়া সত্ত্বেও ২১ মে ২০২৫ তারিখে তাকে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সভাপতি ডিসি রবিউল ফয়সালের প্রস্তাবে নিয়োগ ও বেতন প্রদানের ফলে হাইকোর্টের আদেশের পরিপন্থী হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠান নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ, শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বিভাজন এবং প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত। অনেক শিক্ষক ক্লাস না নিয়ে অনিয়ম করছেন, পরীক্ষার সন্মানি বিতরণেও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। আলিউল করিম প্রামানিক ও সহযোগীরা কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে সুবিধা দিয়ে সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করছেন।
প্রভাবশালী গোষ্ঠীর আধিপত্যের কারণে শিক্ষক-কর্মচারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তবে অভিভাবক ও স্থানীয় বিশিষ্টজনরা বলছেন, ‘মঞ্জুয়ারা পারভিনের মতো সৎ ও দক্ষ অধ্যক্ষ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য।’
একই সঙ্গে, শিক্ষার্থীদের অধিকারও ঝুঁকিতে। ক্ষমতার খেলায় পড়ুয়াদের শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে- এটি শুধু প্রশাসনিক সমস্যা নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার নিরাপত্তারও প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের নয়, পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জবাবদিহিতার প্রশ্ন তুলে ধরেছে। ঘটনাগুলি প্রমাণ করছে, শক্তি ও পদমর্যাদার খেলায় ন্যায় ও নীতির বিজয় কতটা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
আগামী ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় একযোগে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফল জানা যাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল সেদিন সকাল ১০টায় প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের ‘Result’ কর্নারে গিয়ে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বর দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়া নির্ধারিত শর্ট কোড 16222–এ SMS পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে ফলাফল পাওয়া যাবে না। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ফল প্রকাশ উপলক্ষে একই দিন সকাল ১০টায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাংলাদেশের আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পক্ষে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে নীলক্ষেত দিয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের দিকে রওনা দিয়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিকে ঘিরে এলাকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান ও সাঁজোয়া যান।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সরকার ঘোষিত প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্রুত বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় তারা খুব অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আর কোনো কালক্ষেপণ চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় যে মডেলেই হোক, অংশীজনদের মতামতের আলোকে দ্রুত খসড়া হালনাগাদ করে অধ্যাদেশ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত অধ্যাদেশের দাবিতে আজ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর ব্যাচটির মোট ১৯৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ জন শিক্ষার্থী বিশ্বের মোট ৬টি দেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে।
তন্মধ্যে থাইল্যান্ডে ৩৩, মালয়েশিয়া ১০, জাপান ২, ইন্দোনেশিয়া ৩, জার্মানি ১ ও নেপাল ১ জন ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ১২টি স্থানে এই ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গত শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ওই ইন্টার্নশিপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের এগ্রোভেট ও ক্রপ কেয়ার ডিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুরো ইন্টার্নশিপের রোডম্যাপ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে.এইচ.এম. নাজমুল হুসাইন নাজির।
এ সময় ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, আমাদের ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে যাচ্ছে, আগামী বছর এই সংখ্যা ১০০ হবে আশা রাখি। মনে রাখতে হবে সততা, আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম এবং সময়মতো উপস্থিতিই হবে প্রকৃত পরিচয়। প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, লগবুক আন্তরিকতার সঙ্গে পূরণ করে তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের মর্যাদা রক্ষায় ভদ্র, যত্নশীল ও পরিশ্রমী থাকতে হবে। বিদেশে বা দেশে, এমন আচরণ করতে হবে যাতে সবাই শ্রদ্ধা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সুযোগ ও সময় ব্যবহারিকভাবে শেখার সঠিক সময়, এটিই মনে রাখতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, তোমাদের পাঠ্যক্রমে এখন ইন্টার্নশিপ আছে। আগে ইন্টার্নশিপ বা ফিল্ড ভিজিট কিছুই ছিল না। এখন তোমরা সরকারি খামার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিচ্ছো, এটাই শেখার জন্য তোমাদের সুবর্ণ সুযোগ।
১৬ - ১৭ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের সুকুন অ্যারেনা ইনডোর কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এশিয়ান থ্রোবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ বাংলাদেশের সাউথ পয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাব - এসপিএসসি রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
প্রতিযোগিতায় মলোয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারতের পুরষ ও মহিলা থ্রোবল খেলোয়াড়বৃন্দ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এবারের আসরে পুরুষ নারী উভয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। প্রধান অতিথি হিসেব পুরষ্কার বিতরণ করেন এশিয়ান থ্রোবল ফেডারেশনের সভাপতি ডঃ মুস্তাপা কামাল দাতো ( মলয়েশিয়া) । এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান থ্রোবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি ডঃ লতিফ উদ্দিন ( ভারত) ও রেজাউল করীম ( বাংলাদেশ)। রেফারি হিসেবে খেলা পরিচালনা করেন শ্রীলংকার রমেশ মেহরাজ, ফায়াজ মারুফ ও মালয়েশিয়ার সলেহিন।
দাবায় অত্র প্রতিষ্ঠানের মহিলা ক্যান্ডিডেট মাষ্টার ওয়ার্শিয়া খুসবু তিন তিনবার হয়েছে এশিয়ান স্কুল দাবায় চ্যাম্পিয়ন ।
বাংলাদেশে মহিলা দাবারুদের মধ্যে ওয়ার্শিয়া খুসবু হচ্ছে সর্ব্বোচ্চ রেটেডধারী দাবারু। এদিকে বিশ্ব ক্যাডেট দাবায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মালিবাগের তিন শিক্ষার্থী আজান মাহমুদ, সাফায়াত কিবরিয়া আজান ও সিদরাতুল মুনতাহা এখন কাজাখস্তান অবস্হান করছে। বাংলাদেশ দাবা ফডারেশনের বরাতে জানা গেছে এখন পর্যন্ত আজান মাহমুদ অস্ট্রেলিয়ার বেতিরবেকভ কে ও সাফায়াত কিবরিয়া আজান হারিয়ে দিয়েছে ফ্রান্সের ক্যান্ডিডেট মাষ্টার নিকট ভলেন্টিনকে ও জার্মানির প্রাদিপ হারসিলকে, সিদরাতুল মুনতাহা রুখে দিয়েছে হাঙ্গেরির শক্ত প্রতিপক্ষ মেদভেগি মারিয়াকে ও চাইনিজ তাইপের দাবারু চ্যাং হাসিন তি কে । আগামী ২অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষুদে দাবারুদের এ বিশ্ব দাবা প্রতিযোগিতা চলবে। চলতি বছর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত
জাতীয় স্কুল দলগত দাবা প্রতিযোগিতায় অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মালিবাগের দাবা দল।
এই প্রতিষ্ঠানের দুটি দলই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে যা বাংলাদেশে দাবার অঙ্গনে বিরল।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি, বাড্ডা জোন, ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ বালক - বালিকা উভয় বিভাগে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, মালিবাগের হ্যান্ডবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। দাবার ৪ টি ক্যাটাগরীর ৩ টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবারুরা। তার হলেন বালক মধ্যম দলের সায়ান মিরাব হাসান, বালক বড় দলের সিয়াম চৌধুরী ও বালিকা বড় দলের নীলাভা চৌধুরী।
বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত উম্মুক্ত কারাতে প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ সাউথ পয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাবের ছেলেমেয়েদের কারাতে দল ৭ টি স্বর্ণ, ৯ টি রৌপ্য ও ১৯ টি ব্রোন্জ পদক জিতে নিয়েছে যেখানে বাংলাদেশ সিতোরিউ কারাতে দো ইউনিয়ন আয়োজিত উক্ত প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে প্রায় এগারোশত কারাতে খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে।
ক্রীড়াঙ্গন ছাড়াও সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়েও নিজ প্রতিষ্ঠানকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের উচ্চ শিখরে । যার ধরাবাহিকতায় অত্র স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী আরিজ আনাস জাতীয় বায়োলজি অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিলিপাইনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে ব্রোন্জ পদক অর্জন করে এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রন লাভ করে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠান তথা বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনার জন্য সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইনজ্ঞিনিয়ার জনাব এম এ রশিদ এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মালিবাগের অধ্যক্ষ ও সাউথ পয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাবের সভপতি কর্নেল মোঃ শামসুল আলম, পি এস সি ( অবঃ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফলতার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষর্থী সহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কোচ ও অভিভাবকবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।
সম্প্রতি প্রকাশিত হল ও’ লেভেল এন্ড এ’ লেভেল এর জুন ২০২৫ সিরিজ পরীক্ষার ফলাফল। উক্ত ফলাফলে রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, বনানী প্রতিবারের ন্যায় এবারও তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এ বছর অত্র ক্যাম্পাসের ০৭ জন শিক্ষার্থী অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে। তন্মধ্যে ০৭জন প্রায় সব বিষয়ে এ’ ও এ’ স্টার পেয়ে সম্মানজনক ডেইলি স্টার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এবং শুধু এই লাকি সেভেনরাই নয়, অন্যান্যরাও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের মুখ উজ্বল করেছে বলে জানান সাউথ পয়েন্ট, বনানী কর্তৃপক্ষ।
কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেছেন যারাঃ
ও’ লেভেলঃ নাফিসা লাবিবা তাবাসসুম- ০৮ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৮ এ’ স্টার। হুমাইরা তাকিয়া আহমেদ- ০৭ বিষয়ে এ স্টার। তাহসিন তারান্নুম আহীর- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার। তারান্নুম তাসনিম জামান- ০৬ এ’ এন্ড এ’ স্টার। মুহাম্মাদ আরাফ- ০৬ এ’ এন্ড এ’ স্টার। মেহরাব মনজুর- ০৯ এ’ এন্ড এ’ স্টার এবং মোঃ কেফায়াত ভূঁইয়া কাইফ- ০৬ এ’ এন্ড এ’ স্টার।
এ’ লেভেলঃ সালিল আইমান আরাফ ০৫ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৫ এ’ স্টার। অনন্য রঙ্গন পল- ০৪ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৪ এ’ স্টার। আহনাফ আন্নাফি- ফামান ০৪ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৪ এ’ স্টার। রাহীক আফরিণ- ০৪ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ অর্থাৎ ০৪ এ’। সুহৃদ সূর্য রহমান- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার। সাদ বিন মাহমুদ- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার এবং মুনশি জাবির একরাম- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার।
সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, বনানীর ২০২৫ এর সার্বিক ফলাফল পরিসংখ্যান হচ্ছেঃ
ও’ লেভেল ফলাফলঃ সর্বমোট ৭৭ বিষয়ে এ’ এন্ড এ’ স্টার (মোট বিষয়ের ৬০%), এবং ৩০ বিষয়ে বি’ (মোট বিষয়ের ২৩%), ডেইলি স্টার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে ০৭ জন।
এ’ লেভেল ফলাফলঃ সর্বমোট ৩১ বিষয়ে এ’ এন্ড এ’ স্টার (মোট বিষয়ের ৫৮%) এবং ৭ বিষয়ে বি’ (মোট বিষয়ের ১৩%), ডেইলি স্টার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে ০৭ জন।
সাউথ পয়েন্ট, বনানী’র শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব এ অর্জনে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ বনানী শাখার অধ্যক্ষ কর্নেল ই এম মোরশেদ আলম, এমফিল, পিএইচডি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে আরো ভালো করার ব্যপারে গুরুত্বারোপ করেন।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস মুখস্থ করে ভালো ফলাফল অর্জন নয়, বরং সৃজনশীল শিক্ষাচর্চায় মেধার বিকাশ ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী, আদর্শ মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে পরিচালিত হচ্ছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০০২ সালে রাজধানীর গুলশানে মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এখন পড়ালেখা করছে ১৮০০০ শিক্ষার্থী। কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী এম. এ. রশিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও ভিকারুননিসা নূন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মিসেস হামিদা আলীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
ছবির ক্যাপশনঃ ২৪শে নভেম্বর বনানী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মিসেস মনিমুন নাহার, ইঞ্জিনিয়ার এম. এ. রশিদ ফাউন্ডেশনের সদস্য মিসেস এনামুন নাহার এবং অন্যান্যরা ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার প্রদান করেন।
আন্তর্জাতিক র্যাংকিং সিস্টেম Times Higher Education (THE) 2026 র্যাংকিং-এ গবেষণার মান সূচকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে ৭৪৬ তম স্থান অর্জন করেছে।
এ বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মত সংশ্লিষ্ট কমিটি এ র্যাংকিং সিস্টেম জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করে। সংস্থাটি গবেষণার মান ও পরিবেশ, শিক্ষকতার মান, ইন্ডাস্ট্রি থেকে আয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ভঙ্গি এ পাঁচটি প্রধান সূচক বিবেচনা করেছে। যেখানে দেশের পাবলিক ও বেসরকারীসহ ১৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় এতে স্থান পেয়েছে।
২০২৬ সালের তালিকায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দশম (১০ তম) ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ভঙ্গি সূচকে সপ্তম ( ৭ তম) স্থান অর্জন করেছে ।
প্রায় সপ্তাহকাল ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার প্রথম কর্মদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ দুপুরে তাঁর অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন আমাদের র্যাংকিং যাত্রায় প্রাথমিক এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এ পরিবারের সবার। যেকল শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী শিক্ষকতা ও দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকদেরকে মানসম্মত গবেষণা পরিচালনা করছেন তাদেরকে তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
তিনি জানান Quacquarelli Symonds (QS) র্যাংকিং ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক প্রদত্ত ইমপ্যাক্ট র্যাংকিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি রিভিউ ও র্যাংকিং কমিটি এ বছরের শুরু থেকে কাজ করে আসছে।
সম্প্রতি এ কমিটি কিউএস র্যাংকিং সিস্টেম এর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া শাখার ম্যানেজার রামি আওয়াদ কে নিয়ে ওয়েবিনার আয়োজন করে। সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি রিভিউ ও র্যাংকিং কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মতিউর রহমান এ অর্জনকে সামনে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গণঅভ্যুত্থানের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে পদত্যাগ করানো অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে গত মঙ্গলবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চললেও অনেকের বেতন ও ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে আবেদনপত্রে জানিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন। তাই তাদের নাম ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ যদি বেতন-ভাতা চালুর ক্ষেত্রে অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে অনেক শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।
বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী মাত্র ১৫ জন, অথচ শিক্ষক-কর্মচারী মিলে আছে ১৬ জন। শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক-কর্মচারী বেশি হলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ব্যয় হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কমিটি ও শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত ধুঁকছে।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে অবস্থিত এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি নানা অনিয়ম ও দ্বন্দ্বে জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ, শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভেদ ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। একসময় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থী মাত্র ১৫ জন। অন্যদিকে শিক্ষক ১২ জন ও কর্মচারী ৪ জন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না। গত বছর দাখিল পরীক্ষায় ৩৭ শিক্ষার্থী অংশ নিলেও পাস করেছে মাত্র ৭ জন। ২০২৬ সালের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ৩৬ শিক্ষার্থীর, তবে নিয়মিত ক্লাসে আসে মাত্র দুইজন। ইবতেদায়ী শাখায় শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। কাগজপত্রে যেখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে, বাস্তবে ক্লাসে সর্বোচ্চ ১৫ জন উপস্থিত।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, চারটি শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিচ্ছে ১৫ শিক্ষার্থী—এর মধ্যে দশম শ্রেণিতে ২ জন, নবম শ্রেণিতে ২ জন এবং বাকি ১১ জন অন্যান্য শ্রেণিতে। এ সময় নৈশ প্রহরী আব্দুল জলিলকে শিক্ষকদের আসনে বসে থাকতে দেখা যায়, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির উপস্থিত ছিলেন না।
স্থানীয়দের দাবি, তিনি মাসের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন, মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান।
মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা ফারুক হোসেন বলেন, বর্ষার কারণে শিক্ষার্থী কিছুটা কম আসে। বৃষ্টি না হলে উপস্থিতি বেড়ে যায়। মাদ্রাসায় কোনো অনিয়ম নেই।
ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির বলেন, আমি দপ্তরিক কাজে ঢাকায় আছি। বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী কিছুটা কম থাকে। পাশাপাশি এলাকায় তিনটি মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী কিছুটা ছড়িয়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াদ হাসান বলেন, মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো)-এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রাহিল কামার আজ ৫ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় একই সংস্থার ফাহমিদা ফাইজা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসেস্কোর মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আইসেস্কো চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতিমান সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি আইসেস্কো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। একই সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর পরিপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শর্ত পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ার একটি প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপণের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে প্রজ্ঞাপনটি সঠিক। আমরা ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাতাগার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের ২০ শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়ার ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইেয়দ এ জেড মোরশেদ আলী।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মহাসমাবেশ করেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো চেপে বৃষ্টি। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দিন একই অবস্থা ছিল। ফলে সাগরে জোয়ার ও ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ।
এই বৈরী পরিবেশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দমাতে পারেনি। শারদীয় দুর্গোৎসব ও টানা চারদিনের ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। ছুটির এ সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে সৈকত শহরের হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, হস্তশিল্প ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসা।
সমুদ্রস্নান, পাহাড় ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকরা। যদিও নিম্নচাপের কারণে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কিছুটা ভ্রমণে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, তবে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে উপভোগ করছেন ভিন্নধর্মী আনন্দ।
শহরের কলাতলী, লাবণী, সুগন্ধা, দরিয়ানগর ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী ও টেকনাফ এলাকায় পর্যটকদের চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা যাচ্ছে। হোটেল-মোটেলের বেশিরভাগ রুম ইতোমধ্যে বুকড হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক অগ্রিম বুকিং না করায় বিপাকে পড়েছেন।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ সময়ে পর্যটকদের আগমন অর্থনৈতিকভাবে স্বস্তি দিলেও অব্যবস্থাপনা, যানজট এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় অনেক পর্যটক ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড সদস্যরা সমন্বিত টহল দিচ্ছেন। শিশু হারানো রোধে চালু হয়েছে বিশেষ হেল্পডেস্ক। যানজট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ, তবে শহরের কিছু অংশে যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিমান সংস্থা বাড়তি ফ্লাইট চালু করেছে। পাশাপাশি রেলও চালু করেছে বিশেষ ট্রেন, এবং বাস সংস্থাগুলোরও অতিরিক্ত ট্রিপ রয়েছে। তবে মহাসড়কে যানজট ভ্রমণকে কিছুটা ক্লান্তিকর করে তুলেছে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ পর্যটকদের জন্য বাড়তি আনন্দের উৎস।
সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে লাইফগার্ড দল। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এই ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক শত কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শহর ও আশপাশের এলাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাত যাপনের সুযোগ রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া পর্যটন খাতের জন্য ইতিবাচক বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, বছরে কক্সবাজারে প্রায় ৩০-৪০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে গতকাল সৈকতের লাবণী পয়েন্টে লাখো পর্যটক ও পুণ্যার্থী ভিড় করেন। এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে সৈকতে জড়ো করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠের শেষে একে একে প্রতিমাগুলো উত্তাল সাগরে ভাসানো হয়।