শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
১৯ বৈশাখ ১৪৩২

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা: উত্তাল ক্যাম্পাস, অভিযুক্তরা আটক  

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৬ মার্চ, ২০২৪ ২২:০৫
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৪ ২১:৩০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেয়েটির জন্মস্থান কুমিল্লায় উত্তাল পরিবেশ বিরাজ করছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় অবন্তিকা গলায় রশি বেঁধে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীসহ সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

অবন্তিকার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তার সহপাঠীরা বিক্ষোভ করেন। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার জন্য দাবি তোলেন তার বন্ধু শিক্ষার্থীরা। যার রেশ শনিবারও ক্যাম্পাসে দেখা যায়।

শুধু তাই নয়- কুমিল্লা শহরে অবন্তিকার জন্য মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। বেলা ১১টায় নগরের কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে কুমিল্লার সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জোটের উদ্যোগে ওই কর্মসূচি হয়। এতে ‘জাস্টিস ফর অবন্তিকা’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন কুমিল্লার বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

বেলা ৩টায় কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে অবন্তিকার প্রথম জানাজা হয়। পরে কুমিল্লা শহরতলির শাসনগাছা মহাজন বাড়ি এলাকার গ্রামের বাড়িতে বাবার কবরের পাশে অবন্তিকাকে দাফন করা হয়। অবন্তিকার বাবা মো. জামাল উদ্দিন ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল রোজার সময় মারা যান। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

উত্তাল জবি ক্যাম্পাস

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে শনিবার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যাজনিত কারণে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ওই শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাও করার হুমকিও দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্ররোচনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। এ নিয়ে পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে।

উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম জানান, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দ্রুত প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।

অবন্তিকার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। আত্মহত্যার পর তার ফেসবুক ওয়ালজুড়ে চলছে সহপাঠী ও বন্ধুদের শোকের ঝড়।

এদিকে শনিবার দুপুর ৩টার পর অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া পার্ক, লক্ষ্মীবাজার ও রায়সাহেব বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবিতে আরও উল্লেখ করে বলেন, হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। আম্মানকে গ্রেপ্তারি পরোনা জারি করা এবং দ্বীন ইসলামকেও অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে হবে। অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ভিকটিম ব্লেমিং এবং ভিকটিমের পরিবারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে। নারী নিপীড়ন সেল কার্যকর করতে হবে।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের রেজোয়ানুল হক বলেন, আজকের বিক্ষোভ থেকে আমরা ছয় দফা দাবি জানাচ্ছি। আমাদের প্রথম দাবি হলো, এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে, দ্বিতীয় দাবি অভিযুক্ত আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে, তৃতীয় দাবি হলো জরুরি ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, চতুর্থ দাবি হলো ভিক্টিমের পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে, পঞ্চম দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী সেলকে স্বাধীন করতে হবে এবং আমাদের সর্বশেষ দাবি হলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে।

অভিযুক্তদের বক্তব্য

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ওনার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি আমি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনো জায়গাতেই কানেকটেড না। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ত নেই। মেয়েটার সঙ্গে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

যা বললেন অবন্তিকার মা

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের আহাজারি যেন থামছেই না। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এটাই বুঝি একটা বিধবা নারীর প্রাপ্য ছিল। আমি এখন সন্তানহারা। আমি এর বিচার কার কাছে দেব? আমি জীবনে কারও ক্ষতি করি নাই। কুমিল্লা শহরের কেউ বলতে পারবে না আমি কারও ক্ষতি করেছি। আজ আল্লাহ আমার এত বড় ক্ষতি করল?’

তাহমিনা শবনম বলেন, ‘হায় রে অবন্তিকা তুই আমারে কত বলছিলি মা একটা জিডি করো। আমি বলেছি, মা এগুলো করব না। আল্লাহ বিচার করবে। আমার আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ছিল। আল্লাহ আমার কাছ থেকে তোরেই নিয়ে গেল! আমি কত কষ্ট করলাম। আমি এ জন্য কষ্ট করলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় কিছুদিন আগে মেয়েটা কলতা বাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলো ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা নয়। আমার মেয়ে এসে বলতেছে মা ওরা তো আমাকে এভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না। পরে আমি ওর সঙ্গে গেলাম ঢাকায়। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদের যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা বলতেছে তোমার কী পরীক্ষা শেষ না কী পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদের ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে অবন্তিকাকে কীভাবে টর্চার করবে।’

‘রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি তারপরে আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদের জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো একটা স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে ওই আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কীসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনোদিন কোনো জিডি হয় না, কোনো কিছু হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনো জিডি হয় না’- বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে আমাকে ফোন দিয়েছে এবং পুলিশ শুনেছি তাদের এলাকার ভাই। পরে আমি ডিআইজিকে ফোন দিয়েছি। উনি বলেছেন, ভাবী আপনি আমাকে বলতেন আমি ব্যবস্থা নিতাম। পরে দেখলাম যে ইউনিভার্সিটিতে মোটামুটি রফাদফা, চেয়ারম্যানের কাছে গেলাম। চেয়ারম্যানকে ১০টা নাম দিয়ে আসছি আমি। চেয়ারম্যান আমার সামনেই প্রক্টরকে ফোন দিয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলল। প্রক্টর কী ব্যবস্থা নিল? আজ একবছর ধরে আমি তো হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছি অবন্তিকার বাবাকে নিয়ে। এর মাঝে মেয়েটাকে হয়রানি করল!’

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ‘এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার।’ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ওই ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ফাইরুজ। তার মৃত্যুর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন।

শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান আটক

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলটিমেটামের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এই দুজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।


কুয়েটে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ পেলেন হযরত আলী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ মে, ২০২৫ ১৭:৩৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলী।

আজ ‎বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়। কুয়েটে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য হযরত আলী উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

ওই বহিষ্কারের প্রতিবাদে কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তাঁরা কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও সহউপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


এসএসসিতে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে-সব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন কিন্তু প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত তাদের তথ্য গুগল ফরমে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা সব অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিদিন কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী (ফরম পূরণকৃত) অনুপস্থিত থাকছে যা বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এমন অবস্থায় আপনার প্রতিষ্ঠানের যে সব পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন কিছু এক বা একাধিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না বা প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত আছে, তাদের সবার তথ্য গুগল ফরমের মাধ্যমে (লিংক সংযুক্ত) আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রত্যেক অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক-পৃথক ছকে তথ্য পাঠাতে করতে হবে। যতজন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর তথ্য পাঠাতে করবেন ততবার লিংকে ক্লিক করে পৃথক-পৃথক ফরমে তথ্য পাঠাতে হবে। একজন পরীক্ষার্থীর জন্য একাধিক ছক-ফরম পূরণ করা যাবে না। অনুপস্থিতির কারণ জানার জন্য পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের (বাবা/মা/পরিবারের অন্য কোন সদস্য/আইনত অভিভাবক) সঙ্গে সশরীরে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

কোন-কোন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চিঠিতে বিষয়টি অতীব জরুরি বলে জানানো হয়। গুগল ফরমের লিংক: https://forms.gle/47kW2ZVKzCX92Lxz8.


কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

৬ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) ৬ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার পর কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক ও রেল অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন সারাদেশের কারিগরি শিক্ষার্থীরা। এতে জনদূর্ভোগের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।

এরপর সোমবার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনের একদল প্রতিনিধি। এ সময় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র প্রতিনিধিদের ০৬ দফা দাবীর মধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (টিএমইডি) আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব।

ইতোমধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে এ বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, আইইবি, আইডিইবি এবং ছাত্র প্রতিনিধিসহ ০৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী দাবীগুলো পূরণে এ কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। সেসব সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে এসব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ঘোষণা দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের কর্মসূচী প্রত্যাহারের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা দূর হয়ে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচিব।


৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ৮-১৯ মে অনুষ্ঠেয় ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী প্রবেশ করতে পারবে না।

আজ রোববার বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পরীক্ষার হলে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, সায়েন্টিফিক বা প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটরসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের অনুরূপ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সকল প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে এবং এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবে না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পরীক্ষার আগে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো প্রার্থীর কাছে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গৃহীতব্য সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোনো অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন, সে ধারায় বর্ণিত দন্ডে দণ্ডিত হবেন।


ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নতুন অধ্যক্ষ সাহেলা পারভিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাহেলা পারভিন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে সাহেলা পারভিনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এ আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের পদত্যাগসহ ছয়দফা দাবিতে বুধবার দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে একযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে রেল ব্লকেড করার ঘোষণা দেন তারা। নতুন এ কর্মসূচি দিয়ে রাতে সড়ক ছাড়েন তারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই বর্তমান অধ্যক্ষকে তা পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে।


ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ নেই।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রোডম্যাপ এর কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সংবলিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলো।

গণমাধ্যমে পাঠানো রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।

একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।


কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার

৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু, হল খুলবে ২ মে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজজামান শেখ এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ (সাইত্রিশ) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সকল আবাসিক হলগুলো আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার(১৪ এপ্রিল) রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেকদিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।


বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োাজনে উৎসবমুখর ক্যাম্পাস
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে। নববর্ষে শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নববর্ষ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে সমাপ্ত হয়। নববর্ষ শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
এবারের নববর্ষ উদযাপনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো”।

চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শোভাযাত্রায় সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চড়কি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুসহ বড় গরুর গাড়ির স্থাপত্যসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনসমূহ প্রদর্শিত হয়।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য মহোদয়। এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন স্টলে স্থান পায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খাদ্যদ্রব্য ও শিল্পকর্ম।
এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদযাপন করতে পারছি। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।”


বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় জমে ওঠে এক প্রাণবন্ত উৎসব। এ বিভাগ পরিবেশন করে হৃদয়ছোঁয়া সঙ্গীত। নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এছাড়াও, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উপস্থাপন করে নানা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় বিকাল ৩টায় ব্যান্ড সংগীত ও কনসার্টের মনোমুগ্ধকর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ উপস্থিত সকল দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেন উৎসবের রঙিন আমেজ। বৈশাখের রঙে রাঙানো এ আয়োজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেয় উৎসবের এক উচ্ছ্বসিত আবেশ। নববর্ষের এই অনুষ্ঠান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।


এসএসসি পরীক্ষা শুরু আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে এক যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে কমিটি।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এবারও বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।

এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় এক লাখ। শুধু তাই নয়, বিগত পাঁচ বছরে এবারই সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এছাড়া ২০২৩ সালে ছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন, ২০২২ সালে ছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন এবং ২০২১ সালে ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন। এদিকে এবারের এসএসসি ও সমমানে গণিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। এ পরীক্ষা আগামী ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নতুন এই রুটিন প্রকাশ করেছে। এর আগে এই পরীক্ষা ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডের ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নানা আলোচনার পর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গণিতের পরীক্ষা পিছিয়ে নতুন রুটিন প্রকাশ করল।

লিখিত পরীক্ষা ৮ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে আবার সময়সূচি সংশোধন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু বৈসাবি উৎবের কারণে এই পরীক্ষা ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ২০ এপ্রিলের গণিত পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার পরে আবার পরিবর্তন আনা হয়েছে সময়সূচিতে।


ঢাবিতে ঈদ র‌্যালি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৫ ১৮:৪০
ঢাবি প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ঈদ র‌্যালি বের করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন। ঈদের দিন সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ'য় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর র‌্যালি শুরু হয়ে তা টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন।

এর আগে গত ২৩ মার্চ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, এবার ঢাকায় ঈদের নামাজ শেষে সরকারি উদ্যোগে সুলতানি ও মোঘল আমলের রীতি অনুযায়ী থাকবে ঈদের আনন্দ মিছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার-পরবর্তী সময়ে ঈদ আনন্দকে নতুন ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে থাকবে ঈদ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, সেই ঘোষণার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদ মিছিল আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।


এবছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।

আজ বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

২. ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

৩. পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৪. সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

৫. সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।

৬. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

৭. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।

৮. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৯. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।


কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একা‌ডে‌মিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সি‌ন্ডি‌কে‌টের এক জরু‌রি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় গতকাল হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়েট উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।


অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে উদযাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এই বিশেষ দিনটি ছিল ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জন্য একটি ক্রীড়া ও একতার উৎসব, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দলগত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রোমাঞ্চকর দৌড়, রিলে রেস, উচ্চ লম্ফ ও দীর্ঘ লম্ফের মতো নানা আয়োজন ছিল সারা দিন। যেমন খুশি তেমন সাজো’র মত নজরকারা আয়োজনও ছিল সারা দিনব্যাপি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার এবং বর্তমান বিপিএল (ক্রিকেট) (টেকনিকাল) চেয়ারম্যান এ এস এম রকিবুল হাসান। তিনি তার অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্যের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোবেরা রহমান লিনু- যিনি টেবিল টেনিসে টানা ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী।

এছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিইও মোহাম্মদ আবু কায়েস জাহাদি, পরিচালক তুবা আরবাব। পুরো দিনটি ছিল আনন্দময় এবং উৎসবমুখর, যেখানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুলের ঐক্য এবং খেলাধুলার চেতনা উদযাপিত হয়েছে।


banner close