শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১

জুনের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৪ ২১:২৯

আগামী জুন মাসের শেষ সপ্তাহে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। শিগগিরই এ পরীক্ষার বিষয়ে রুটিন চূড়ান্ত করার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

তপন কুমার সরকার বলেন, ‘চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ পরীক্ষার রুটিন সংক্রান্ত প্রস্তাব চলতি সপ্তাহেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’

করোনার আগে সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতো। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।

করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক বছর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।

২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। সে বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।

২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।

বিষয়:

এবছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।

আজ বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

২. ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

৩. পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৪. সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

৫. সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।

৬. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

৭. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।

৮. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৯. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।


কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একা‌ডে‌মিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সি‌ন্ডি‌কে‌টের এক জরু‌রি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় গতকাল হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়েট উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।


অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে উদযাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এই বিশেষ দিনটি ছিল ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জন্য একটি ক্রীড়া ও একতার উৎসব, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দলগত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রোমাঞ্চকর দৌড়, রিলে রেস, উচ্চ লম্ফ ও দীর্ঘ লম্ফের মতো নানা আয়োজন ছিল সারা দিন। যেমন খুশি তেমন সাজো’র মত নজরকারা আয়োজনও ছিল সারা দিনব্যাপি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার এবং বর্তমান বিপিএল (ক্রিকেট) (টেকনিকাল) চেয়ারম্যান এ এস এম রকিবুল হাসান। তিনি তার অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্যের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোবেরা রহমান লিনু- যিনি টেবিল টেনিসে টানা ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী।

এছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিইও মোহাম্মদ আবু কায়েস জাহাদি, পরিচালক তুবা আরবাব। পুরো দিনটি ছিল আনন্দময় এবং উৎসবমুখর, যেখানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুলের ঐক্য এবং খেলাধুলার চেতনা উদযাপিত হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে এই কর্মসূচি শুরু করেছে বলে জানা যায়।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ এক সভা করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। না হলে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এতে কলেজগুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। তবে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আমরা অনড় রয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচির পর গত ৭ জানুয়ারি শিক্ষালয়টির প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


সাত কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের

দেওয়া হলো ৫ দাবি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- অধিভুক্ত থাকা অবস্থায় আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না।

শনিবার দুপুর ১টায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারের সামনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ‘সাত কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর’ টিম। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় তারা- ‘শিক্ষার সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক’, ‘শিক্ষার সিন্ডিকেটের গদিতে, আগুন দাও একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি টাকাও আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সিন্ডিকেটের চোরদের কাছে যেতে দেব না। ঢাবি প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গত বছরের সব নিয়ম-কানুন ভেঙে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেছে। এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এই প্রশাসন ভর্তির মাধ্যমে শুধু টাকা ইনকাম করা ছাড়া গত সাত বছরে আমাদের কোনো ভালো শিক্ষাজীবন উপহার দেয়নি। তাই ঢাবি অধিভুক্ত অবস্থায় আর কোনো সেশনের ভর্তি শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।

শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি হলো-

১. সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অবস্থায় আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না।

২. সাত কলেজ নিয়ে রাষ্ট্র যে স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে, উক্ত কমিটি ও সাত কলেজের প্রিন্সিপালসহ শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে নতুন সেশনের (২০২৪-২৫) ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মাধ্যমে নতুন সেশনে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে ভর্তি করা এবং বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের ভোগান্তি না হয়।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কখনো আমাদের ক্লাস নেয়নি। তারপরও কীভাবে আমাদের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে তা বোধগম্য নয়। বিগত সময়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রচার এবং বিরূপ মন্তব্য করে। আমাদের উত্তরপত্র যেন সাত কলেজের শিক্ষকদের মাধ্যমেই মূল্যায়ন করা হয়, তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

৫. মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা অর্ধেক বা আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মতামত নেবে। বিভাগভিত্তিক অবকাঠামো বিবেচনা করে নতুন সেশনের শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।


সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং ১৩৫তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার তেজগাঁওস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিওটি কনফারেন্স রুমে এটি হয়ে থাকে। সভায় এসইইউ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সভাপতিত্ব করেন।

বোর্ড সদস্যরা বিভিন্ন একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ট্রাস্টি বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনাকে দিকনির্দেশনা প্রদান, চলমান কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব আরোপ করে।


কিডনি জটিলতায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

না ফেরার দেশে চলে গেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাবী শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান সীমান্ত। কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর ৫টায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজিতে মৃত্যু হয় তার। দীঘ দিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫ টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলো। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল ওর একটা সাজার্রি করার কথা ছিলো। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।

১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হামলার বিষয়ে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

পরবর্তী তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দেন।


চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা বহিষ্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ সোমবার শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সই করা পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষা কার্যক্রম ও স্থায়ীভাবে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে ১২ শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃতরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক নেতা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জনকে ২ বছর ও বাকি ৩ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।

এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক।

আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান।


তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে চলার সময় এটা না। আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়টির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম, এখনকার তরুণদের মতো এত বুদ্ধিমান বা সমৃদ্ধ ছিলাম না। কিন্তু এখনকার তরুণরা সবকিছু জানে, চেনে। এখনও আমি তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে শিখছি, তারাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। আমরা একসাথে থেকে কাজ করতে পারলে অবশ্যই এগিয়ে যাবো।’ সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির প্রতি সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, ‘উচ্চমানের নারী শিক্ষার বিস্তারই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের ছাত্রীরা এমনভাবে তৈরি হয়ে বের হবেন, যেন তারা জীবনে স্বাবলম্বী হয়ে সম্মানিত একটা পেশায় থাকতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল, তা পূরণে তারা অনেকখানি সফল হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে।’

উপাচার্য ড. পারভীন হাসান বলেন, ‘শিক্ষা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু শিক্ষাদান নয়, পেশাগত জীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সবসময় সহযোগিতা করছে।’

ট্রেজারার ড. আহমেদ আবদুল্লাহ জামাল বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপারসন হাসান শিরাজী, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার বিভাগের চেয়ারপারসন আবদুস সেলিম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন শাহনাজ পারভীন, সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ইউজিসির চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, নারীদের উচ্চশিক্ষায় অবদান রাখতে ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।


এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণ, ফল ১৪ নভেম্বর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল আগামী ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আজ শুক্রবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে। সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে ওই দিন খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে।

প্রতি বছরই এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা তা পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ পান। গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়। যা চলে গত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের পত্র প্রতি ১৫০ টাকা ফি দিতে হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধু ওই বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ ছিল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় যে বিষয়গুলোয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল সে বিষয়গুলোয় ফল পুনর্নিরীক্ষণ করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, নিন্দা প্রকাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

সমাজবিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় টেলিফোনে হত্যার হুমকি দেয়।

এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষীমহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


দেশের মাটি ও পতাকা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের: বাউবি উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন, ‘লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের এ মাটি ও পতাকা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। ১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধা শূণ্য করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে সদ্য পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক এদেশের নিরহী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।’

আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরস্থ কেন্দ্রীয় সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্তির বাসনা: গণপ্রতিরোধের ঐতিহাসিক পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাউবি উপাচার্য বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ও অগণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে রামরাজত্ব কায়েম করেছিল। গুম, খুন, ধর্ষণ, ঘুষ, দূর্নীতিসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা ওই ফ্যাসিস্ট সরকার করেনি।’

তিনি বলেন, ‘ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্তির বাসনা নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশের গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতা ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে দেশ শোষক মুক্ত হয়েছে। তাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এদেশের মাটি ও পতাকাকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।’

উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর সাঈদ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাউবির সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওপেন স্কুলের অধ্যাপক ড. চেঙ্গীশ খান এবং বাউবির বিভিন্ন স্কুলের ডিন, শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


banner close