সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
শিক্ষামন্ত্রী

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাতিল হতে পারে শনিবারের ছুটি’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৬ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৫

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে। রমজানে স্কুল বন্ধ রেখে সেই ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ আলোচনা সভা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে নানা ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এ বছর বিষয়টা এভাবে এসেছে, আগামীতে আমরা চেষ্টা করবো কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে।’

তিনি বলেন, ‘বছরে ৫৩ সপ্তাহে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি কিছুটা বিদ্যালয় খোলা রাখি, তাহলে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের সেই অপপ্রয়াসকে বন্ধ করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করব। যাতে এটা নিয়ে আবারও আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে বিভ্রান্তি করে রায় নিয়ে এসে অপচেষ্টা করতে না পারে, রাস্তায় এসে মানববন্ধন করতে না পারে। আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় শ্রদ্ধাশীল। আমরা আলেম-ওলামার সঙ্গেও আলোচনা করব। তাদেরও একটা অবস্থান আছে এটা নিয়ে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছে। এসব মানুষের মধ্যে একধরনের মানুষ রয়েছে যারা অবিশ্বাস, সহিংসতামূলক মনোভাব এবং শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে, পাঠ্যবইকেও অসিলা বানিয়ে তারা এসব অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। আমরা অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। তারা আমাদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াসই করতে না পারে। আমরা সব বিষয় আরও কেয়ারফুলি দেখব।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, ‘সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন ধরনের ইঙ্গিত পেলেও সেটা নিরসন করা হবে। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থাকে একধরনের গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান আছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। ওই সময় আরও বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানে ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।


দুই অদম্য শিক্ষার্থীর সাফল্যগাথা

ছবিতে বামে হুজাইফা ও ডানে রাব্বি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ঠেকাতে পারেনি দুজন অদম্য শিক্ষার্থীকে। গতকাল প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তারা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। একজন পা দিয়ে লিখে অন্যজন ডান হাত অকার্যকর থাকায় বাম হাত দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সীতাকুণ্ডের তরুণ রফিকুল ইসলাম রাব্বি। বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়েছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল পা দিয়ে লিখে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, রাব্বি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে হাজি তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বজলুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম রাব্বি ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় স্কুল থেকে ভাটিয়ারী বাজারে ফুট ওভারব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তার দুই হাত হারায়। এরপর অদম্য রাব্বি প্রথমে মুখ দিয়ে ও পরে পা দিয়ে লেখা আয়ত্ত করে।

রাব্বি বলে, ‘আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবে মনোবল অটুট ছিল। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি ভালো ফলাফল করেছি। ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চাই।’

রাব্বির বাবা বজলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমার ছেলে কঠোর পরিশ্রম করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে।’

ভাটিয়ারী হাজি তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও রাব্বি অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করেছে। পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিয়েছে। বিত্তবানরা যেন তার পড়ালেখায় সহযোগিতা করে, সেটাই প্রত্যাশা।

পরীক্ষাকেন্দ্র ফৌজদারহাট খয়রাতি মিঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, তাকে নিয়মানুযায়ী ৩০ মিনিট সময় অতিরিক্ত দেওয়া হয়; কিন্তু বাড়তি সময় সে নেয়নি।

সীতাকুণ্ডের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছাফা বলেন, ‘রাব্বিকে সেই পঞ্চম শ্রেণি থেকে আমরা মুখ দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য পেতে দেখেছি। সে পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে।’

অন্যদিকে, জন্ম থেকেই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার হুজাইফা। তার ডান হাতের কুনুইয়ের নিচের অংশ নেই। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কিংবা দরিদ্রতা; কোনোটাই তাকে হার মানাতে পারেনি। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি শ্রেণিতেই মেধার পরিচয় দিয়েছে।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সে। ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় হুজাইফা মোল্লা।

হুজাইফা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভানুরকান্দা গ্রামের কৃষক মনজুর রহমান ও শাহানা দম্পতির ছেলে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন প্রত্যেক শ্রেণিতেই প্রথম হয়েছে সে। এরপর সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম হয়ে ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। পরে অষ্টম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হলেও নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি হুজাইফার চলার পথে কখনো কখনো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্রতা। তবে সে প্রমাণ করতে চায়, ইচ্ছা থাকলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কিংবা দরিদ্রতা কোনোটিই বাধা নয়।

হুজাইফা বলেন, ‘জন্ম থেকেই আমার ডান হাত নেই। আমি বাম হাত দিয়ে সব কাজকর্ম করি। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। বাম হাতে লিখে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার ইচ্ছা বড় হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হবো। আমি প্রমাণ করে দিতে চাই, ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে কোনো প্রতিবন্ধকতাই কখনো বাধা হতে পারে না।’

হুজাইফার বাবা মনজুর রহমান বলেন, ‘ছোট থেকে হুজাইফা পড়ালেখায় মেধাবী। তার ডান হাত না থাকলেও সংসারের সব কাজ করে পরিবারে সহযোগিতা করে আসছে। সে কখনো নিজেকে প্রতিবন্ধী কিংবা শারীরিকভাবে অক্ষম মনে করে না। তবে পরিবারে অভাব-অনটন থাকায় আমরা তাকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। তবে তার লক্ষ্য পূরণে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তার ফলাফলে আমরা খুব খুশি হয়েছি।’

সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘হুজাইফা আমার বিদ্যালয়ের অন্যতম মেধাবী শিক্ষার্থী। সে হার মানতে রাজি নয়। সব পরীক্ষায় বাম হাত দিয়ে লিখেই সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বিদ্যালয় থেকে তাকে উপবৃত্তিসহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সে অনেক ভালো পর্যায়ে যাবে বলে মনে করি।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘হুজাইফাকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে আর্থিক ভাতা করে দেওয়া হয়েছে। বাম হাত দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পাওয়ায় অন্য প্রতিবন্ধীরাও তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে বলে মনে করি। আমরা সব সময় তার পাশে আছি।’


এবারও মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে  

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরাই। বিগত ৭ বছর ধরেই মাধ্যমিকে পাসের হারের দিক থেকে ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। এ বছর ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ছাত্র আর ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন ছাত্রী, অর্থাৎ ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। ২০২৩ সালে ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতবার জিপিএ-৫ পাওয়া ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র আর ৯৮ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী।

এদিকে ছেলেদের সংখ্যা কেন কম এবং কেন তারা ফলাফলে মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে তা খুঁজে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা সংখ্যায় কম কেন তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বোতাম টিপে ফল প্রকাশ করেন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করার জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ভালো কথা; কিন্তু আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং কেন ছাত্রের সংখ্যা কমছে তার কারণ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেদের সংখ্যা কমার কথা নয়, মেয়েদের সমান হওয়া উচিত।’

বিষয়:

৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৮টি। অন্যদিকে ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

আজ রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার মোট ২৯ হাজার ৮৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা সবাই পাস করেছে আর ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করতে পারেনি।

এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

বিষয়:

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাস ৬০.৪২ শতাংশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

আজ রোববার রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই শিক্ষার্থীরা জিএসটির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের কাছে রোববার সকালে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়। পরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার আজ ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ১৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ২১ হাজার ২৪৮ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৬০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে ০ দশমিক ০২ শতাংশ তথা সাতজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

তিনি জানান, ‘সি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মো. রাশেদ ফরাজি। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেছেন।

এর আগে ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম বর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের ২৪টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এর আগে ২৭ এপ্রিল থেকে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘সি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য তিন হাজার ৬২৯টি আসন রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে।

‘এ’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫০ হাজার ৭৬০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সেই হিসেবে ‘এ’ ইউনিটে পাসের হার ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ‘বি’ ইউনিটভুক্ত মানবিক বিভাগ থেকে ৩১ হাজার ৮১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। সে হিসাবে পাসে হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ১২ হাজার ৪০২টি এবং ‘বি’ ইউনিটে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের পর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হলো। খুব দ্রুতই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

যবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় প্রত্যক্ষ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ।

আরও ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, জিএসটির টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তির পরবর্তী প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য সকল তথ্য ওয়েবসাইট এবং জিএসটিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


‘ঈদুল আজহার পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হতে পারে’

সচিবালয়ে রোববার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ঈদুল আজহার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের শনিবার বন্ধ রাখতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার সচিবালয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে আলোচনা করছি, ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না, সেটার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে সবদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখন ফল অর্জন করব, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা (শনিবার ক্লাস) আমাদের হয়তো কন্টিনিউ করতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করব।’

তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকায় তা পুষিয়ে নিতে গত ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজ করার জন্য, সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা ৯টি কর্মদিবস পাইনি, শনিবার...আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মসূচি পাওয়ার চেষ্টা করছি।’

বিষয়:

এসএসসির ফল: খাতা চ্যালেঞ্জ করা যাবে কাল থেকে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল ১৩ মে থেকে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, আগামীকাল সোমবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফিরতি এসএমএ-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (যে কোনো অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। ফল পুনর্নিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।

শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।

বিষয়:

এসএসসি ও সমমানে গড় পাস ৮৩.০৪ শতাংশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ১৩:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড়ে পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী।

তিনি জানান, এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে দুই দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এবার সব শিক্ষা বোর্ডে পাস ও এ প্লাস তথা জিপিএ ফাইভে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৫৯ হাজার ৪৭ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।’

তিনি জানান, এ বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবার এক হাজার ৪৪৯ জন কম শিক্ষার্থী এ প্লাস পেয়েছে।

মন্ত্রী জানান, এবার এসএসসি ও সমমানে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৪৭টি। অন্যদিকে মোট কেন্দ্র কমেছে ১১টি।


গেমিং না করে, গেমের উদ্ভাবক হতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা সেন্টারে শনিবার সিটি ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সমাবর্তনে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৬:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির উদ্ভাবক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় না কাটিয়ে, গেমিং না করে, গেমের উদ্ভাবক হতে হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা সেন্টারে সিটি ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীসহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ব কর্মজগতে এখন অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেটের চেয়ে অভিজ্ঞতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সমগ্র পৃথিবীতে এখন অ্যাপ্রেন্টিশিপ, আর্টিকেলশিপ ও ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স এ বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রায়োগিক দক্ষতা তৈরি হয়। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্বনাগরিক হওয়ার জন্য অসাম্প্রদায়িকতা ও নারী পুরুষ সমতাসহ নানা মূল্যবোধ নিজেদের মাঝে প্রতিপালনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যায় এখন ব্যাপক তারতম্য নেই। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই গবেষণার সুযোগ দিতে হবে। জ্ঞান সৃষ্টিতে গবেষণা খুবই জরুরি। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উচিত, যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতা অর্জন করেছে তাদের গবেষণার সুযোগ দেওয়া।

সমাবর্তনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। শ্রম ও উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থান সরকারের প্রধানতম ম্যানিফেস্টো। আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত থেকে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন,‌ সিটি ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর লুৎফুর রহমান প্রমুখ।


চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশীদের শাহবাগ অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ

শাহবাগ মোড়ে আন্দেলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ মে, ২০২৪ ১৭:০১
ঢাবি প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরতরা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলনরতদের অভিযোগ, ছত্রভঙ্গ করার সময় পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করেছেন এবং কয়েকজন মেয়ের গায়েও হাত তুলেছেন। এসময় আটকের সংখ্যা দশজন বলে তারা দাবি করেছেন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার পর এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে বেলা এগারোটা থেকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের সামনে তাদের সমাবেশ শুরু করেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে তারা তাদের দাবি বাস্তবায়নে গণভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে শাহবাগ মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রায় এক ঘন্টা সেখানে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি অবস্থান করেন।

পরে সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় সেখানে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। দশ পনেরো মিনিট শিক্ষার্থীদের এই অবরোধ কর্মসূচি চললে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করেন। এসময় নারী শিক্ষার্থীদেরও আটক করতে দেখা গেছে।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী খাদিজা মুক্তা বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করে আমাদের দশজন সহকর্মীকে আটক করেছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের গায়েও হাত তুলেছে তারা। আমরা এটির বিচার চাই। বর্তমানে আমরা রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থান করছি। এখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।


গুচ্ছ পরীক্ষা: যানজটে দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীরা জবিতে প্রবেশ করতে পারেনি

জবির কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পেরে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে পরীক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১০ মে, ২০২৪ ১৪:১৩
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার 'সি' ইউনিটের পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে দেরি করে আসা পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এদিন সকাল ১১টা ৫ মিনিটের পরপর ক্যাম্পাসের সব প্রবেশ ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিএনসিসির স্বেচ্ছাসেবীরা সরে যায়।

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১১ টা থেকে শুরু হওয়া গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় এ চিত্র দেখা যায়।

এদিন বেশ কয়েকজন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রের গেটে পৌঁছালে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তারা গেট থেকেই ফিরে যায়।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা। জানা গেছে, এদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রে পৌঁছাতে যানজটের কারণে ভোগান্তি বেড়েছে পরীক্ষার্থী-অভিভাবকদের। পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরে তীব্র জ্যামে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। মূলত জ্যামের কারনেই সময় মতো কেন্দ্রে আসতে পারেনি বলে জানা গেছে।

দেরি করে আসা শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, রাস্তায় যানজটের কারণে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রথমে প্রধান যে গেট রয়েছে সেখানে থেকে ফিরেয়ে দেয়া হয়েছে, বলা হয়েছে পাশের গেটে যেতে। সেখানে গিয়ে দেখি সেটিও বন্ধ। পারলাম না পরীক্ষা দিতে।

এদিকে এর আগে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় পরীক্ষা শুরুর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরও শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার চিত্র ছিলো ব্যতিক্রম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল ১১টার পর কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়া, তাও আমরা ১১ টা ৫ মিনিট পর্যন্ত প্রবেশ করিয়েছি। এরপর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, এটা কোর কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো। এর আগের ইউনিটগুলোতে যদি কেউ দেরি করেও প্রবেশ করে থাকে সেক্ষেত্রে তাদের পাশে রিপোর্টেড লেখা ছিলো।

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সদরঘাট-বাংলাবাজার থেকে আসা গাড়িগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দিয়ে অতিক্রম করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেট ও দ্বিতীয় গেটের সামনে তীব্র মাত্রায় যানজট দেখা দেয়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেট ও দ্বিতীয় গেটের সামনে দিয়ে বাসগুলো চলাচল করে। ভিক্টোরিয়া পার্ক ও কবি নজরুল কলেজের পাশ দিয়ে অবস্থান করা বাসগুলোর জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হিমশিম খেতে হয়।

অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বাস ও রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন একেবারেই গেটের কাছে। মানুষের ভিড়, তার ওপর এই জ্যামের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ মাহবুব আলম বলেন, আমাদের ট্রাফিক সদস্যরাসহ যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজ অনেক আগেই এদিকে গাড়ি প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু প্রচুর রিক্সা আর ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশ করেছে। তাছাড়া আজ ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজেরও ভর্তি পরীক্ষা থাকায় একটু গাড়ির চাপ বেশি ছিল।


৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ১০,৬৩৮ জন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এতে ১০ হাজার ৬৩৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিশেষ সভা শেষে এ ফলাফল প্রকাশ করে।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ফল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে।

বিষয়:

নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে: জবি উপাচার্য

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে জুলাইয়ের মাঝামাঝি নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। শুক্রবার গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান। কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার একজন অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ায় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমি কোর কমিটিকে দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে আহ্বান জানাব।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সবসময় আমার চিন্তা হয়। জুলাইয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। চেষ্টা করব ১৫ জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর। এর আগেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে চাই। এ লক্ষে গুচ্ছের কোর কমিটিকে দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার আহ্বান জানাব।

গত ২৭ এপ্রিল থেকে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আর গতকাল ‘সি’ ইউনিটের প্রথম বর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের ২৪টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দুটি উপকেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় জবির উপকেন্দ্রগুলো ছিল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা গভ. মুসলিম হাইস্কুল। জবি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৫১৩জন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩ হাজার ৪৮০ জন এবং ঢাকা গভ. মুসলিম হাইস্কুলে ১ হাজার ২৪৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়েছিল। এই ইউনিটে জবি উপস্থিতির হার ছিল ৮৭ শতাংশ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইয়া বলেন, জবি কেন্দ্রসহ বাকি দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর ৮৭ শতাংশ উপস্থিত ছিল।


রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনায় প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন: ঢাবি উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি 

রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 'সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু' প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনায় প্রভাবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে সারাজীবন আন্দোলন- সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মানুষকে ভালোবেসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন, ঠিক তেমনি নিজের জন্য খোঁড়া কবরের সামনে দাড়িয়ে পাকিস্তানি শাসকদের সঙ্গে বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তির ব্যাপারে আপোস করেননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এভাবেই বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শন ও চিন্তা-ভাবনায় অপূর্ব মিল রয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্ম, চিন্তা-ভাবনা, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা, গল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তির গান গেয়েছেন। তাঁরা উভয়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ, উগ্রজাতীয়তাবাদ পরিহার এবং আত্মশুদ্ধির পন্থা অবলম্বন করেছেন।

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা ও সাহিত্য কর্মে সমাজের নানা অসংগতি, কুসংস্কার, বৈষম্য, মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু এবং রবীন্দ্রনাথ উভয়ই উগ্রজাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিলেন। তাঁরা উভয়ই বিশ্বাস করতেন উগ্র জাতীয়তাবাদ সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করে। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সকলের সামনে সবসময় তুলে ধরতে হবে বলে অধ্যাপক সামাদ উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক মূল প্রবন্ধে বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় ও কর্মে অনেক মিল ছিল। বাঙালির ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ে আত্মত্মশক্তি অর্জনে উভয়ই সোচ্চার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্যজীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত।

সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, রবীন্দ্রনাথ যেমন লেখনীর মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করে সমাজ সংস্কার করতে চেয়েছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় এককভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।


banner close