শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠিতে যা লিখলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

ছবি: দৈনিক বাংলা
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:০৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি চলমান থাকবে কি থাকবে না, এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ এবং বুয়েট শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার এই খোলা চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।

খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত পাঁচ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে সবিনয়ে আমাদের দু-চারটি কথা এবং আর্জি আপনার কাছে নিবেদন করছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের স্বপ্নসারথি, বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে আপনি দৃঢ় পায়ে এগিয়ে চলেছেন। আপনি দেশকে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে এগিয়ে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, সেই একই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে নিজেদের শ্রম-মেধা-মনন কাজে লাগিয়ে নিরঙ্কুশ অধ্যবসায়ের পর আপনার গর্বের এই দেশসেরা প্রতিষ্ঠানে আমরা পড়ার সুযোগ করে নিয়েছি।

আমরা করোনার সেই বিপদ মুহূর্তে বানিয়েছি লো কষ্ট ভ্যান্টিলেটর, ক্লিন সিটির আশায় পরিত্যক্ত মাস্ক থেকে বানাচ্ছি কনক্রিট, আরও খুঁজছি বিদ্যুতের সহজ উপায়, বানাচ্ছি আর্টিফিশিয়াল আর্মস, সার্জিক্যাল টুলস, পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের শিক্ষক এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের অবদান অনবদ্য।

শুধু দেশেই না, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্য দেশের দলগুলো- যাদের জন্য বরাদ্দ থাকে আমাদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ এবং গবেষণাগারের সুবিধা- তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা ছিনিয়ে আনছি বিজয়। আপনি নিঃশর্তভাবে আমাদের অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন এসব গবেষণা খাতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের অভিভাবক। আমরা নিজেদের মেধা ও শ্রমের সবটুকু দিয়ে বিজ্ঞানের অবাক করা দুনিয়ার একটা অংশের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে দেখতে চাই। আমরা ত্রাসের রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝি না। আমরা শুধু দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে জানি। নিজেদের কাজ দিয়ে তা আমরা প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি মানবকল্যাণব্রতী। আপনি আমাদের সবার অভিভাবক, দেশের অভিভাবক। আমরা জানি দেশের কোথাও কোনো দুঃখজনক পরিস্থিতি চললে, দেশের কোথাও সংকট চললে, আপনার হৃদয়ে গভীর রক্তক্ষরণ হয়।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, আশির দশকে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে এ দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অথচ বিগত বছরগুলোতে আমরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির নামে ক্ষমতার নেতিবাচক দিকগুলোই প্রত্যক্ষ করেছি। ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সূচনা ঘটেছে আধিপত্য, দাপট, র‌্যাগিং, শিক্ষকদের অপমান, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, খুনোখুনিতে মেতে ওঠার মতো ঘটনা এবং এর ব্যাপ্তি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, এর চরমতম মূল্য হিসেবে আমরা আমাদের কেমিকৌশল ৯৯-এর সাবেকুন্নাহার সনি আপু, যন্ত্রকৌশল ০৯-এর আরিফ রায়হান দ্বীপ ভাই এবং সর্বশেষ তড়িৎকৌশল ১৭-এর আবরার ফাহাদ ভাইকে হারিয়েছি।

শুধু আবরার ফাহাদ ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডই নয়, এর আগেও অসংখ্য শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের দ্বারা কিংবা ছাত্ররাজনৈতিক দাপটের দ্বারা অমানুষিকভাবে নিপীড়িত হওয়ার ঘটনা রয়েছে, যা আমাদের বুয়েটের র‌্যাগিং স্টোরি আর্কাইভে সারি সারি আকারে লিপিবদ্ধ আছে।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ারকে স্ট্যাম্প দিয়ে রাতভর বেধড়ক মারধর করা হয়। ১৭ ব্যাচের মেহজাদ গালিবকে নগ্ন করে সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে তুলে স্ট্যাম্প দিয়ে সারারাত মারা হয়। ১৫ ব্যাচের সামিউত তৌসিফকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেয়। মারতে মারতে তিনটা স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলা হয়। সামিউত তৌসিফ ছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, তার চাচা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ। তার লিগামেন্ট ছিঁড়ে পায়ে ফ্র্যাকচার হয়ে যায়।
সালাম না দেওয়ায় সাখাওয়াত অভির হাত ভেঙে ফেলে আবরার ফাহাদের হত্যাকারী অমিত সাহা। সৌমিত্র লাহিড়ী থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলে একজনের। এ রকম আছে আরও অসংখ্য কাহিনি।

দাপটের আড়ালে ছাত্ররাজনীতি আমাদের ক্যাম্পাসে উন্মুক্তভাবে বিচরণের অধিকার, ক্যাম্পাসের সুস্থ একাডেমিক পরিবেশ, আমাদের স্বাধীনতা, হলের মেসের টাকার সৎ ব্যবহার, ক্যাম্পাস মাদকমুক্ত থাকা, নবীন আগত বুয়েটিয়ানদের একটি সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন উপভোগের অধিকার-সবকিছুই হারিয়ে গিয়েছিল। ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও রুখে দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বরাবরই একটি নিরাপদ এবং সুস্থ ক্যাম্পাস চেয়ে এসেছে, যেখানে ক্ষমতা-চর্চার লোভ-লালসার শিকলে আবারও জিম্মি হয়ে যাবে না সবার নিরাপত্তা, শিক্ষাঙ্গনের উপযুক্ত পরিবেশ।

সুস্থ নেতৃত্ব এবং নৈতিকতা বিকাশের সব উপাদান ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির উপস্থিতি ছাড়াও গত কয়েক বছরে উপস্থিত ছিল এবং এতে সুস্থ নেতৃত্বের চর্চায় শিক্ষার্থীরা তাদের উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছে।

প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক উৎসব আয়োজন, প্রতিটি ডিপার্টেমেন্টের নিজস্ব সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং একাডেমিক অর্গানাইজেশন, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, বিভিন্ন ক্লাবের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে আনন্দের সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে।

আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ক্ষমতা-চর্চা ছাড়াই বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সভা-সেমিনার আয়োজন, জাতীয় সহশিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্জনসহ ক্যাম্পাসের ভেতরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সফলভাবেই আয়োজিত হয়েছে।

বর্তমান বুয়েটে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ থাকায় নিজ নিজ প্রকৌশল ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণামুখী কাজে মনোনিবেশ করতে অনুপ্রাণিত হওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

একটি রাজনীতিবিহীন নিরাপদ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেশব্যাপী জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত এবং সমাদৃত হয়েছে। রাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসের গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের এসব সফলতা আমাদের জানান দেয়, আমরা আমাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ছাড়াও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন নেতৃত্ব গঠন এবং বিকাশ প্রয়োজন, তা করতে পারি। স্মার্ট বাংলাদেশ এর লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরন্তর কাজ করে যেতে পারি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি জেনে খুশি হবেন যে বাকি সব প্রকৌশল-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বুয়েটেও থিসিসের জন্য রিসার্চ টাস্ক চতুর্থ বর্ষে আবশ্যক হলেও আমাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আগে থেকে বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্টে নিজ ইচ্ছায় অংশগ্রহণ করছে।
এ ছাড়া, দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রকৌশল প্রতিযোগিতায়, বিতর্ক প্রতিযোগিতায়, কুইজ প্রতিযোগিতায়, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বুয়েটিয়ানদের সাফল্য গত সাড়ে চার বছরে সুস্পষ্টভাবে বেড়েছে।

আপনি জেনে আরও খুশি হবেন যে, তথ্য-প্রযুক্তিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি-আন্তর্জাতিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমাদের অর্জন স্বর্ণপদক। ইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডের মতো বিশ্ব সমাদৃত অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বুয়েটের ছয়জন এবং শুধু গত বছরেই চার শিক্ষার্থী।

জন হপকিন্স রাইস ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের হেলথকেয়ার চ্যালেঞ্জে আমাদের উপস্থিতি এবং পুরস্কার প্রাপ্তি এখন নিয়মিত। থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার আইইইই কম্পিটিশনে আমাদের বুয়েটিয়ানদের বানানো ড্রোন একের পর এক পুরস্কার জিতেছে। মার্স রোভার চ্যালেঞ্জেও আমাদের দলের সাফল্য নিয়মিত। শুধু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নয়, সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্টে উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে বুয়েটের এক স্টার্টআপ।

একইসঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামিয়েছে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ফেস্ট, ডিপার্টমেন্টাল ডে- যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা আমাদের সহপাঠীরাও যথেষ্ট খুশি হয়েছে আমাদের আয়োজনে।

এ আয়োজন ও অংশগ্রহণ সম্ভব হয়েছে শুধু একটি নিরাপদ ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের কারণে। যেখানে হল রেসিডেন্ট কোনো শিক্ষার্থীকে চিন্তায় থাকতে হয়নি যে হলে তাকে র‌্যাগের সম্মুখীন হতে হবে বা এটাচড কোনো শিক্ষার্থীরও উদ্বেগ ছিল না যে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি জাতীয় দিবস সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনপূর্বক আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে আসছি। আমরা শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জাতীয় মূল্যবোধ ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনে-প্রাণে ধারণ করি।

দেশের গৌরবময় ইতিহাস, ত্যাগ-তিতিক্ষা আমরা অন্তরে লালন করি, ভবিষ্যতে পথচলায় অনুপ্রেরণা নেই। আমরা বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় মূল্যবোধ, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য এবং একান্ত পালনীয়। আমরা সাংগঠনিক রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এসেই এই সচেতনতা রাখি।

অথচ, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে কতিপয় ব্যক্তি বা গণমাধ্যমের তৎপরতায় ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসকে জাতীয় চেতনার বিরোধী মতাদর্শের স্থান হিসেবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিষয়টিতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।

আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের ব্যাপারে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তাই দেশের যেকোনো স্থানের মতো আমাদের ক্যাম্পাসকে আমরা অবশ্যই যেকোনো প্রকারের সন্ত্রাস, মৌলবাদ বা নিষিদ্ধ গোষ্ঠী থেকে নিরাপদ রাখতে সর্বদা তৎপর।

সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক মহল থেকেই বলা হচ্ছে, ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ মৌলবাদী বা সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যক্রম বিদ্যমান এবং এর ফলশ্রুতিতেই তারা বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির চর্চার পক্ষে যুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আপনাকে নির্দ্বিধায় বলতে চাই, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি যেকোনো মুহূর্তে এসব নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যেকোনো কার্যকলাপ ক্যাম্পাসে চলমান দেখি, শিগগির তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেব এবং প্রশাসনকে অবহিত করব।

এমনকি ভবিষ্যতে যদি ক্যাম্পাসে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সেটার বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান দৃঢ়।

বুয়েট ক্যাম্পাসে এই চার বছর আমরা নির্বিঘ্নে কাটিয়েছি, সেখানে ছায়া হয়ে ছিলেন আমাদের শিক্ষকরা। আমাদের মতো দেশজুড়ে লাখো শিক্ষার্থী এমন একটা ক্যাম্পাসের স্বপ্ন নিয়েই বাড়ি ছাড়ে, যেখানে তাদের ওপর অকারণে জুলুম হবে না, নির্যাতিত হতে হবে না, দিন-রাত কারও ভয়ে তটস্থ থাকতে হবে না, বাবা-মাকে দুশ্চিন্তায় চোখের পানি ফেলতে হবে না।

চার বছর আগে আপনার দৃঢ় এবং দ্রুত হস্তক্ষেপে আমরা নতুন করে এই ক্যাম্পাসে বাঁচতে শিখেছি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই ছোট্ট একটা চাওয়ার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি হুমকি, হচ্ছি লাঞ্ছিত, অপদস্থ।

আমরা, আমাদের ছোট ভাই-বোনেরা আরও একবার সেই অন্ধকার দিনগুলোর সাক্ষী হতে চাই না। মাননীয় উপাচার্য এবং সব শিক্ষকের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা জানি তারা তাদের সন্তানদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় সর্বদা সচেষ্ট আছেন এবং থাকবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ, আপনি আমাদের পাশে দাঁড়ান। আপনি সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছেন। আমরা জানি, এই দুর্দিনে আপনি আমাদের ছেড়ে যাবেন না।

আমাদের স্বনামধন্য অ্যালামনাই, বুয়েটের অধ্যাপক ইমেরিটাস, প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত বলেছেন যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন অধ্যাদেশ করে শিক্ষকদের রাজনীতি, রাজনৈতিক কার্যকলাপ ইত্যাদির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া যখন বঙ্গবন্ধুর সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন যে এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করা চলবে না। খসড়া অর্ডিন্যান্স বঙ্গবন্ধু ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বুয়েটের শিক্ষকরা তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। এই এজেন্ডাতে তিনি দেখা করতে রাজি হননি। তখন শিক্ষকরা কথা বলতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ আলীর সঙ্গে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বুয়েটের পড়াশোনার পরিবেশের গুরুত্ব, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বুয়েটের প্রকৌশলী এবং দক্ষ প্রযুক্তিবিদের গুরুত্ব বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় প্রাধান্য পেয়েছে সবসময়। আপনারা সবাই জানেন, দেশের জন্য এই সময়ে মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলীর গুরুত্ব কতটা।

আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখি, তারা তাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার, কাঠামোগত উন্নয়নকে নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে বিশেষভাবে তাদের প্রকৌশলীদের সমৃদ্ধ করার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু বলতে ভীষণ কষ্ট হয়, অনেক কষ্টে পাওয়া সেই আকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীরা আজ ছাত্ররাজনীতির করাল গ্রাসের থাবা থেকে নিজেকে রক্ষার যুদ্ধ করতে করতে জর্জরিত।

এই বিদ্যাপীঠে ঠিকমতো রুটিনমাফিক পড়াশোনা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করার পর কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সময় দেওয়া সম্ভব নয়। অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলছি, বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার মাটিতে দাঁড়িয়ে আজ এই ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীদের দিনের পর দিন রাস্তায় থাকার কথা নয়।

আমাদের চাওয়া, বুয়েটকে ঘিরে আমাদের জাতির জনকের যে ভিশন ছিল, তাকে বাস্তবায়ন করা হোক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে বুয়েটের প্রকৃতি ভিন্ন। তাই তিনি নিজে রাজনীতির আওতা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বাইরে রেখেছিলেন। আজ যখন তারই গড়ে তোলা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা বুয়েটের মতো বিশেষায়িত একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে যেকোনো মূল্যে রাজনীতির আওতায় আনার কথা বলে, আমরা বিশ্বাস করি তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে অপমান করা হয়।

দেশমাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, বুয়েটকে নিয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে পলিসি গ্রহণ করেছিলেন, তার বাস্তবায়ন করুন। বুয়েটকে ছাত্র রাজনীতির বাইরে রাখুন, প্রয়োজনে আইন সংস্কার করে হলেও। কারণ সুবিচারের জন্যই আইনের সৃষ্টি।

আমাদের অনুরোধ, আপনি দয়া করে আমাদের ক্যাম্পাসে আসুন। ছাত্ররাজনীতিহীন বুয়েট গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আদর্শ ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছে, সেটা আমরা আপনাকে দেখাতে চাই। আমরা আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা প্রযুক্তিবিদ্যায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পেছনে ফেলে দেব খুব শিগগির।

আহসান উল্লাহ হল আয়োজিত নবীনবরণ ও সমাপনী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য মহোদয় বলেছিলেন, ‘ছাত্ররাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসে আমরা ভালো আছি, সৃজনশীল কাজ করছি, আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে ফোকাস করছি।

সেই অনুষ্ঠানে স্যার আরও বলেন, ‘ইউনিভার্সিটি শুড গো হায়ার। আমি ইন্টারভিউ দিয়েছি প্রথম আলোতে, আমরা কিছু পলিসি রোল আউট করেছি। যদি পলিসিগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ডাউন দ্য রোড মেবি উইদিন ফাইভ-সিক্স ইয়ার্স, তোমরা এই বুয়েটের র‌্যাঙ্কিং ৫০-এর মধ্যে দেখতে পারবা।’
শেষ কয়েক বছর এই প্রত্যয় নিয়েই প্রতিটি প্রকৌশল বিভাগে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি, ইতোমধ্যে যার ফলও পেতে শুরু করেছি। আমাদের এই পথচলা আপনিই নির্বিঘ্ন রাখতে পারেন। সেই আশাতেই এই চিঠি। আমরা আপনার হাজারো সন্তান-আপনার সহযোগিতার প্রতীক্ষায় আছি।

নিবেদক

বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা


৪৮তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর লিখিত (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিপিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য শুধু প্রবেশপত্র ও কালো কালি ব্যবহৃত বলপেন সঙ্গে রাখা যাবে। ৯টা ৩০ মিনিটে হলের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এর পর আর কোনো পরীক্ষার্থীকে হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে আসার সময় প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন ছাড়া অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী আনা যাবে না। আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এতে পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রবেশপত্রে উল্লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম দেখে নিশ্চিতভাবে যথাযথ কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সময় হাতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ৪৮তম বিশেষ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত (এমসিকিউ-টাইপ) পরীক্ষা ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।


আশুলিয়া কলেজ প্রশাসনের ভুলে বিপাকে ১৮৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী

আপডেটেড ১৫ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৫৫
বাসস

শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন না নিয়েই পাঠদান এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের অভিযোগ উঠেছে সাভারের আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটির এই গাফিলতিতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এই তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পাঠদানের কোনো অনুমোদন না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ করেছে কলেজের অনুমোদনপ্রাপ্ত ভিন্ন ৩টি বিষয়ে।

এতে আরো বলা হয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পেয়েছে এবং তাতে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষা দানের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বোর্ডের সঙ্গে তারা কোনোরূপ যোগাযোগ করেনি। আবশ্যিক ৫টি পত্রের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৮৬ জন পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করে। কিন্তু ইতোমধ্যে পূর্ব নির্ধারিত সংখ্যক প্রশ্নপত্র সকল কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়ায় র্ব্ডো এদের পক্ষে কিছু করার ছিল না।

এতে উল্লেখ করা হয়, আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন আরও ৬টি কলেজে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের সংখ্যা মাত্র ২২ জন। অন্যদিকে আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৬ জন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ শতভাগ দায়ী। এ ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দিলে শিক্ষাঙ্গনে অনিয়ম ও অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং চাপের মুখে আরেকটি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়ার উদাহরণ সৃষ্টি হবে।


যশোরে ‘কেন্দ্রের ভুলে’ ৪৮ জন ফেল, সংশোধিত ফলে সবাই পাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যশোর সদর উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভুলে রসায়নে ফেল করেছিল ৪৮ জন পরীক্ষার্থী। রসায়ন পরীক্ষার ব্যবহারিক নম্বর যোগ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার তিন দিন পর রবিবার (১৩ জুলাই) ফলাফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলে দেখা যায়, ওই ৪৮ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৩২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জনের রসায়নের ব্যবহারিক নম্বর যোগ না হওয়ায় তাদের ফলাফল ফেল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।

ওই ৪৮ জনের একজন সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিয়ারাজ ইসলাম। সে জানায়, জিপিএ-৫ পাব বলেই আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলে ১০টি বিষয়ের মধ্যে আটটিতে জিপিএ-৫, একটিতে এ গ্রেড এবং রসায়নে ফেল দেখানো হয়। তবে সংশোধিত ফলে তার জিপিএ-৫ এসেছে।

মিয়ারাজ বলে, ‘এই কয়দিন বাবা-মাসহ পরিবারের কারও খাওয়া-ঘুম ছিল না। বাড়ির সবার মন খারাপ ছিল। এখন জিপিএ-৫ পেয়ে সবাই খুব খুশি।’

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যশোর সদরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এ বছর ছয়টি বিদ্যালয়ের ৩২৯ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ জন শিক্ষার্থী ছিল।

১০ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে রসায়নে অকৃতকার্য দেখানো হয়। ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখেন, রসায়নে সবাই ফেল করেছে।

এরপর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফল সংশোধনের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করেন।

বোর্ডে যাচাই করে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করা হয়নি। পরে কেন্দ্র থেকে পাঠানো ব্যবহারিক নম্বর যোগ করে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।

কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলী বলেন, ‘কেন বিজ্ঞান বিভাগের সবার রসায়নে ফেল দেখানো হলো তা আমরা বুঝতে পারিনি। ফল সংশোধনের আবেদন করার পর শিক্ষাবোর্ড গিয়ে সংশোধন করা হয়।’

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মতিন বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে রসায়ন বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়নি। ফলে ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল অসম্পূর্ণ ছিল এবং সবার ফল ফেল এসেছে। কেন্দ্রের ভুলেই এমনটা হয়েছে। রোববার সংশোধিত ফল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের এই ভুল বা অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিইউএফটি’তে অনুষ্ঠিত হলো টেক্সটাইল হ্যাক ২০২৫: প্রোটোটাইপ বাজার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) সফলভাবে আয়োজন করেছে টেক্সটাইল হ্যাক ২০২৫: প্রোটোটাইপ বাজার। ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল টেক্সটাইল খাতে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং শিল্প ও শিক্ষার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা। দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিক্ষার্থী দলগুলো তাদের সৃজনশীল ও টেকসই সমাধানসমূহ লাইভ প্রোটোটাইপ প্রদর্শন ও পিচ সেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করে।

বিইউএফটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কারস্টেন্স। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিইউএফটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মোঃ মশিউল আজম সজল, বিইউএফটি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান, বিইউএফটি’র ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসাইন, ডিবিএল এর প্রধান সাসটেইনেবিলিটি অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল্লাহ, ন্যাশনাল ক্রাফটস কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান, শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক সোহেল আনোয়ার অপু, বিইউএফটি’র ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান শর্মিলী সরকার এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত দলগুলো তাদের উদ্ভাবনী ধারণা বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে, যার পরপরই অনুষ্ঠিত হয় প্রোটোটাইপ মার্কেটপ্লেস ও নেটওয়ার্কিং সেশন। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় শান্ত-মারিয়াম বিশবিদ্যালয়ের গ্রীন ওয়েভ, রানার আপ রংপুর টেক্সটাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফেব-বোর্ড এবং দর্শক মতামতের ভিত্তিতে বিইউএফটি’র ফেভ ৫ পুরস্কার লাভ করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিইউএফটি তার অঙ্গীকার, বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও তরুণ উদ্ভাবকদের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

উত্তরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শহিদ আবু সাঈদের এই বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই বিপ্লবের জন্য একটি ঐতিহাসিক নাম। আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় নানা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আগামী ১৬ জুলাই পালিত হতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকী ও ‘জুলাই শহিদ দিবস’। দিনটি উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে বেরোবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী তিন দিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

এতে বলা হয়, ১৬ জুলাই ২০২৫ শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘জুলাই শহিদ দিবস-২০২৫’ উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১৩ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আগামী ১৬ জুলাই বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই সময়ে বেরোবির সকল শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে বেরোবি প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটি করা হয়েছে, যাতে ক্যাম্পাসে কেউ কোনো ধরনের শৃঙ্খলা নষ্ট না হয়। ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কার্ড থাকলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’

তাহলে নবীন শিক্ষার্থী যারা এখনও স্টুডেন্ট আইডি কার্ড পায়নি তাদের কী হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব বিভাগীয় প্রধানদের বলে দেব, শিক্ষার্থীরা যেন প্রক্টর অফিস থেকে কার্ড নিয়ে নেয়।’

এদিকে, আগামী ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা। দিনটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা। তারা হলেন— আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান।

সার্বিক বিষয়ে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের শাহাদাৎবার্ষিকীতে থাকবেন চার উপদেষ্টা। এ ছাড়া আরও ২১ জন শহিদ পরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এবং শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী তিন দিন কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না।


এডাস্টে "English for Work" শীর্ষক সেমিনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এডাস্ট) Skill Development Institute (SDI) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “English for Work” শীর্ষক এক মননশীল ও প্রাসঙ্গিক সেমিনার, যা তরুণদের বৈশ্বিক কর্মদক্ষতা ও যোগাযোগে পারদর্শিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শামসুল আলম লিটন, চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কেবল ডিগ্রি নয়, স্মার্ট কমিউনিকেশন স্কিল ও গ্লোবাল ওয়ার্ক কালচারের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দক্ষতাই একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। English for Work কর্মসূচি এই পরিবর্তনমুখী শিক্ষা ও দক্ষতার গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।”

সেমিনারে ব্যাংকক থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এসডিআই পরিচালক ড. আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন। তিনি বলেন, “এসডিআই শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজন তারই একটি অংশ, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করতে পারবে।”

সভাপতির আসন অলংকৃত করেন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, উপাচার্য, অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, কার্যকর উপস্থাপন কৌশল এবং গ্লোবাল ওয়ার্কফোর্সের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

সেমিনারে English for Work এর উপর লেকচার উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষক এবং সিনিয়র IELTS ইন্সট্রাকটর, মোজাম্মিল মোবারক হোসাইন, জান্নাতুল ফাহিম এবং মিরাজ হোসেন।

সেমিনারে এসডিআই কর্মকর্তা তানঝিম আরা ইঝুম এর সঞ্চালনায় এবং ব্যারিস্টার জাকির হোসেন এর তত্ত্বাবধানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিওটি সদস্য-সচিব মোঃ কামরুজ্জামান লিটু, চীফ একাডেমিক এডভাইজর অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. শহীদুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের এডভাইজর, রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল কাইউম সরদার, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আলোচনা পর্বের পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। Skill Development Institute (SDI) ভবিষ্যতেও এমন যুগোপযোগী কর্মসূচি নিয়মিতভাবে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।


এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুধু টেলিটক সিম ব্যবহার করে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি লাগবে ১৫০ টাকা।

পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে- RSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Subject Code লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে। একাধিক Subject Code Type এর ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে। যেমন-১০১,১০২,১০৩।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।


৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস, ১৩৪টিতে সবাই ফেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত বছরের শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক-তৃতীয়াংশেরও নিচে।

ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অথচ, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।

অন্যদিকে, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সে হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা না হলেও সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।

এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে।


এসএসসি: বিদেশি পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে বিদেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে ৩৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৪ জন। ১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

এবার সারাদেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।

এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।


দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বোর্ডে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সে হিসাবে পাসের হার অনেক কমেছে।

ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবারও পাসের হারে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে ছাত্রীরা।


এসএসসি: ঢাকা বোর্ডে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

আপডেটেড ১০ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এসএসএসি পরীক্ষার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর এই বোর্ডে মোট পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।

এ বছর ঢাকা বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৮ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টা নাগাদ ফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ১ হাজার ৩০৯ জন।

এ বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রসহ মোট ৪৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিক্ষণের জন্যও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।


সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে সমার সেমিস্টার ২০২৫-এর নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (SEU) সামার সেমিস্টার ২০২৫-এ ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ২ ও ৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস দুইদিনব্যাপী নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক স্কুলের উদ্যোগে চারটি পৃথক সেশনের মাধ্যমে আয়োজিত এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২ জুলাই প্রথম সেশনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (SSE) এর অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুর মাহমুদ। একই দিনে দ্বিতীয় সেশনে SSE-এর আওতাধীন আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE), এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (IEB)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহিউদ্দিন আহমেদ (সেলিম)।

৩ জুলাই তৃতীয় সেশনে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (SASS) অর্থনীতি, ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। এ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এবং SANEM-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজিউল হক খোন্দকার।

সেদিনই চতুর্থ ও শেষ সেশনে সাউথইস্ট বিজনেস স্কুল (SBS) তাদের বিবিএ ও এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুবুর রহমান, এফসিএ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর সিএফও। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের আহ্বান জানান।

সবগুলো সেশনে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। এছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম, SUP, ndu, psc (অব.) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সেশনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানগণও উপস্থিত ছিলেন।

এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ, মূল্যবোধ ও বিভিন্ন সুবিধার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া, যাতে তারা একটি প্রাণবন্ত বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে পারে।


৪৫তম বিসিএসের সাক্ষাৎকার ৮ জুলাই শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই থেকে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি।

এবার চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন কিংবা আবেদনের ক্রমও বহাল রাখতে পারবেন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করার আগে। তবে পছন্দক্রম পরিবর্তনের ফরমটি তাৎক্ষণিক চাকরিপ্রার্থীদের সরাসরি হাতে সরবরাহ করা হবে এবং তা পূরণ করে সাক্ষাৎকার বোর্ডে জমা দিতে হবে।

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়কিভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ২০৬ জন, সাধারণ ও কারিগরি /পেশাগত উভয় ক্যাডারে ১৮১ জন এবং শুধু কারিগরি/পেশাগত ক্যারের পদগুলোর ৬৫ জনসহ মোট ৪৫২ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


banner close