মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
৬ কার্তিক ১৪৩২

জবিতে এক শিক্ষককে সাময়িক,আরেকজনকে স্থায়ী বরখাস্ত

৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৩৩

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যৌন হয়রানির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার কেন করা হবে না- তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের এক ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম (জরুরি ভিত্তিতে ডাকা) সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ জানান, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ অর্থাৎ কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হবে না, সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগেই তাকে সাময়িক বহিষ্কার ও প্রথম নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একধিক সদস্য জানান, বারবার শিক্ষা ছুটি নিয়ে তা শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে না আসায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক শেখকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়। আর গত ৮ মার্চ গাজীপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ জবির ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


অনিয়ম দূর করে শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষাঙ্গন গড়ে তুলতে হবে: শিবির সভাপতি

আপডেটেড ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৩৮
পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সোমবার একাদশ ও অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবির সভাপতি নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন- বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন মেনে সিলেবাসের পাশাপাশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অধ্যবসায়, গবেষণার পাশাপাশি গুরুত্ব অনুধাবন করে খেলাধুলা, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। এটি সামগ্রিক মেধা বিকাশে সহায়ক শক্তি। যে-কোনো প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সিনিয়রদের সহযোগিতা নিতে হবে। আত্মনির্ভরশীল মর্যাদাপূর্ন রাষ্ট্রগঠনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে দক্ষ, যোগ্য, নৈতিক গুণসম্পন্ন মানবসম্পদ। আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সবার আগে ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগী হতে হবে।

সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সভাপতি রাকিব মাহমুদ এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সেক্রটারী রেদোয়ানুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, সাবেক কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আল হাসান,

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর পান্না লাল রায়, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ইলিয়াস ব্যাপারী, সহকারী অধ্যাপক ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন সিকদার, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ মো. হাবিবুল্লাহ হাওলাদার, প্রভাষক, বাংলা বিভাগ সানাউল্লাহ, প্রভাষক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ নুপুর রানী মজুমদার।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, পিরোজপুর জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, সেক্রটারী মো. মিজানুর রহমান ও পিরোজপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়ের অনুসন্ধান

মাগুরার ৩টি কলেজে পাস করেনি কেউ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী ,মাগুরা

শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি, শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিতি, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা নীতি, রাজনৈতিক বিবেচনায় অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্যসহ নানা কারণে এ বছর সারাদেশে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর বোর্ডের অধীন মাগুরা জেলার তিনটি কলেজে একজনও পাশ করেনি। অধিকাংশ কলেজের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়েছে।

দৈনিক বাংলার পক্ষ থেকে পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের মূল কারণ খুঁজতে যেয়ে মাগুরার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধান করলে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য উঠে আসে । এ বছর যশোর বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাশের হার ৫০.২০ শতাংশ। জনসাধারণের মতে বিগত সরকারের আমলে লেখাপড়া নিয়ে যে প্রহসন চলেছে তা কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের একটু সময় লাগবে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ালেখা থেকে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। আসক্ত হয়ে পড়েছে মোবাইলে। ঘুষ দুর্নীতির কারণে অযোগ্য শিক্ষক দ্বারা বেশিরভাগ কলেজ পরিচালনা করা হতো। এ বছর মাগুরা জেলার পাশের হার ৩৭ শতাংশ।

মাগুরার অধিকাংশ কলেজের ফলাফল খারাপ হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি কলেজের একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। কলেজ তিনটি হল- মাগুরা সদর উপজেলার বজরুক শ্রীকুন্ডী কলেজ, রাওতড়া হৃদয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর উপজেলার বীরেন শিকদার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

এই তিনটি কলেজ থেকে অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি বলে অভিভাবকরা চরম হতাশায় ভুগছেন। সচেতন মহলের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন। জেলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তোলা হচ্ছে নানা প্রশ্ন।

মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির জানান, পাশের হার শূন্য হওয়া তিনটি কলেজই নন এমপিও ভুক্ত। যার কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত শিক্ষক, পাঠদান পদ্ধতি ও একাডেমিক তদারকির অভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, মোহাম্মদপুর উপজেলার বীরেন সিকদার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সমস্ত কার্যক্রম চালানো হতো মাগুরা ২ আসনের এমপি শ্রী বীরেন শিকদারের নন প্রশিক্ষিত কিছু দলীয় লোকজন দ্বারা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলীয় লোকজনকে এই কলেজে চাকরি দেওয়া হয়। এমনও গুঞ্জন আছে কোনো কোনো শিক্ষক প্রভাব খাঁটিয়ে দিনের পর দিন ক্লাস না নিয়ে শুধু হাজিরা খাতায় সই করে বেতন তুলতে যেত। বাকি অন্যান্য কলেজে ও প্রায় একই অবস্থা।

এ বছর মাগুরার সব কলেজগুলোর মধ্যে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ফলাফল মোটামুটি ভালো হয়েছে। এ কলেজের পাশের হার ৭২ শতাংশ। ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৩৮ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৭৩ জন। এছাড়া সদর উপজেলার অন্যান্য কলেজগুলোর ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। সরকারি মহিলা কলেজের ৬৬৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২০৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ৪৫৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭০ জন। আলোকদিয়া কলেজে ৩৪৮ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৭২ জন।

ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রিজভী জামান দৈনিক বাংলাকে জানান, সরকারি কলেজের এইচএসসির ফলাফল মোটামুটি ভালো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কলেজের ফলাফল খারাপ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে, তার মধ্যে মোবাইলে আসক্তি, দক্ষ শিক্ষকের অভাব এবং কর্তৃপক্ষের কিছু গাফিলতি রয়েছে। আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা।

মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, বিভিন্ন সময় বাইরের কলেজের নানা রকম পরীক্ষার ছিট পড়ে মহিলা কলেজে যার ফলে প্রায়ই তাদের ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। এরপর থেকে টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে কাউকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া অভিভাবকদের ও সন্তানদের লেখাপড়ার বিষয়ে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। অভিভাবক সমাবেশ ডাকলে মাত্র ৪-৫ জন অভিভাবক আসেন কলেজে।

এ ব্যাপারে মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী শামসুজ্জামান কল্লোল বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে কলেজে ক্লাসের থেকে অনুষ্ঠান বেশি হয়েছে। এছাড়া নানা কারণে টেস্ট পরীক্ষা অনেক আগে অর্থাৎ গত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেটা হওয়ার কথা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। আর টেস্ট পরীক্ষার পরে কোনো শিক্ষার্থী কলেজে আসে না। যার কারণে বিগত বছরে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ইংরেজি এবং আইসিটিতে ফেল করেছে।

মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী কাজী আফিফা এবং হোসনেয়ারা জানান, অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা কলেজে এসে ফোন দেখে আবার অনেকে ক্লাস বাদ দিয়ে বাইরে চলে যায়। আবার অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ইংরেজি এবং আইসিটি কম বোঝে বলেই এত বেশি ফেল করেছে।

শুধু কলেজ নয় অনেক হাই স্কুলেও দেখা যায় আইসিটি অনেকেই বুঝতে পারে না ক্লাসে কম্পিউটারের সাহায্যে প্রাক্টিক্যালি যেভাবে ক্লাসগুলো নেওয়ার কথা থাকে সেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় না ফলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে ।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, অনেক সময় শিক্ষকরা ক্লাসে এসে ক্লাসের পড়া বাদ দিয়ে নানা রকম গল্প করেন এবং ফোন টিপে সময় নষ্ট করে চলে যান । আবার অনেকে বাইরে কোচিং করায় সময়মতো ক্লাসে আসে না অনেক শিক্ষক। যার কারণে পরেরদিন শিক্ষার্থীরা কলেজে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে।

ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ দক্ষ শিক্ষকের অভাব। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে টাকার বিনিময়ে অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়াই শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে সেই সাথে কলেজে যাওয়া বাধ্যতামূলক করে যথাযথ পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন কলেজ বাদ দিয়ে শুধু কোচিংয়ের দিকে না ঝুঁকে । আর ক্লাস চলাকালীন কোনো শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর হাতে মোবাইল ফোন থাকবে না।

অভিভাবক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, অনেক শিক্ষক আছেন যারা পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে কিছুই বোঝেন না যার কারণে বইয়ের বাইরে শিক্ষার্থীদের কোনো শিক্ষা দেয়া হয় না। এর কারণে সিলেবাসের বাইরে কোনো প্রশ্ন আসলে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে না।

অন্যান্য অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আগের মত করা হোক অর্থাৎ বইয়ের মধ্যে সব গল্প থাকবে সেখান থেকে পড়ে যেন শিক্ষার্থীরা সব উত্তর খুঁজে পায়। মোবাইল দেখে যেন কোনো উত্তর খুঁজতে না হয়। মোবাইলে উত্তর খোঁজার বাহানায় অনেকে টিকটক করে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে চ্যাট করে সময় নষ্ট করে।


পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সভায় মতপ্রকাশের সুযোগ পাননি কেউ!

আপডেটেড ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৩৪
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের সফর ঘিরে আয়োজিত ‘মতবিনিময় সভা’ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ নাম দেওয়া হলেও সভাটি ছিল একতরফা; কারও মতপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বক্তব্য রাখেন কেবল ইউজিসি চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। নির্ধারিত সময় বিকেল ৩টার পরিবর্তে সভা শুরু হয় বিকেল ৪টায়।

সভায় প্রথমেই শিক্ষার্থীদের মতামত শোনার কথা থাকলেও বাস্তবে তাদের কেউই কথা বলার সুযোগ পাননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শিবলী আহমেদ বলেন, ‘এ রকম একপাক্ষিক মতবিনিময় সভা আমি জীবনে দেখিনি। আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক সমস্যা আছে; কিন্তু কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের উচিত ছিল নামটি ‘আলোচনা সভা’ রাখা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত সভা শেষ করে দেয়। সভা চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থী কথা বলতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রশাসন সময়-স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে সভা শেষ করে দেন এবং চেয়ারম্যানকে নিয়ে দ্রুত মিলনায়তন ত্যাগ করেন। এতে হতাশ হয়ে ফিরে যান উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উপাচার্য নানা অজুহাতে তাদের বাধা দেন। অল্প কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মিলনায়তন ত্যাগ করতে হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পবিপ্রবিতে পৌঁছান ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন, শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নবনির্মিত জিমনেশিয়াম উদ্বোধন করেন। এসব কার্যক্রম শেষে অনুষ্ঠিত হয় বহুল আলোচিত ওই ‘মতবিনিময় সভা’, যা শিক্ষার্থীদের চোখে পরিণত হয় এক ‘একতরফা আলোচনা সভাতে’।


গ্রিন ফেস্ট: তারুণ্যের জোয়ারে সেজেছিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

রং, সংগীত আর তরুণদের উদ্দীপনায় তিন দিন ধরে মুখর ছিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই আয়োজন ‘গ্রিন ফেস্ট ২.০’ অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, সাংস্কৃতিক বন্ধন আর পরিবেশ সচেতনতাকে একসূত্রে গেঁথে তৈরি এই উৎসব ছিল আনন্দ আর শিক্ষার এক অপূর্ব সমন্বয়।

১৫ অক্টোবর এক বর্ণাঢ্য ফ্ল্যাশ মবের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব, যা মুহূর্তেই গোটা ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়। ১৬ অক্টোবরের আয়োজন ছিল আরও বৈচিত্র্যময়। ‘আমার ক্লাস, আমার থিম’ শিরোনামে শিক্ষার্থীরা নিজেদের শ্রেণিকক্ষ ও বিভাগ সাজিয়েছিলেন নানা সৃজনশীল উপায়ে। দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থী ও এলামনাইদের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ, যা নতুন-পুরাতনের এক উৎসাহ ও বন্ধুত্বের মেলবন্ধন। সন্ধ্যায় ‘ওপেন মাইক’ সেশনে শিক্ষার্থীরা গান, কবিতা আর কৌতুক দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন সবাইকে। দিনের শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক ভিন্নধর্মী ‘খাদ্য প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা’।

উৎসবের শেষ দিন, ১৭ অক্টোবর, শুরু হয় ‘কালচারাল ফিউশন’ ও ক্লাসরুম প্রদর্শনী দিয়ে। শিক্ষার্থীরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন ‘এসডিজি ক্যানভাস’-এ। পরিবেশ ও স্থায়িত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আয়োজন করা হয় বিশেষ সেমিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের আকর্ষণীয় পরিবেশনাও পায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের অকুণ্ঠ প্রশংসা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দশটি বিভাগের মধ্যে ইইই বিভাগ ‘আমার ক্লাস, আমার থিম’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং সিএসই বিভাগ রানার-আপ হবার গৌরব অর্জন করে। ক্রিকেট খেলায়, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দল চ্যাম্পিয়ন এবং এলামনাইদের দল রানার-আপ হয়।

সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ ছিল আমন্ত্রিত শিল্পীদের অনুষ্ঠান। প্রথমে মঞ্চে আসেন খ্যাতনামা লোকসংগীত শিল্পী শাহ মুহাম্মদ শিপন ও তার দল। তাদের বাউল ও লোকসংগীতের সুরে মুগ্ধ হন দর্শকরা। উৎসবের সমাপ্তি ঘটে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘লেভেল ফাইভ’-এর প্রাণচঞ্চল ও উদ্দীপনাময় পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।

গ্রিন ফেস্ট ২.০-এর এই সফল আয়োজনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শরীফ উদ্দিন বলেন, "এই উৎসব আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও পরিবেশ সচেতনতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা শুধুমাত্র ক্লাসরুমভিত্তিক একাডেমিক কার্যক্রমই নয়, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, উদ্যম ও মেধার বিকাশেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

‘গ্রিন ফেস্ট ২.০’ কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই ছিল না, বরং এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সবুজ ক্যাম্পাস’ চেতনারই প্রতীক। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলগত কাজ, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে, যা গ্রিন ইউনিভার্সিটির মূল আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই উৎসব নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত ও সৃজনশীল মনেরই স্বাক্ষর বহন করে।


শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ হতে কার্যকর হবে।

রোববার উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়—সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) প্রদান করা হলো:

শর্তসমূহের মধ্যে রয়েছে—বাড়িভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতনস্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে; 'বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১', ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে;

তৃতীয়ত, বর্ণিত ভাতাদি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীগণ কোন বকেয়া প্রাপ্য হবেন না;

চতুর্থ, ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে; সর্বশেষ শর্ত হচ্ছে—এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোন অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন; এ আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ হতে কার্যকর হবে।

এদিকে বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এবার আর প্রতিশ্রুতি নয়, প্রজ্ঞাপন ছাড়া অবস্থান থেকে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।


মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী কৃতকার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সেই দুই শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের গত ৩ জুলাই সকালে সায়মা ও লাবনী নামের দুই পরীক্ষার্থী মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পৃথক দুটি হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে।

সায়মা আক্তার হাতিয়া গ্রামের মো. রায়হান খানের মেয়ে এবং লাবনী আক্তার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে। তারা দুজনই মায়ের মৃত্যুর শোক নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

সায়মা আক্তার হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী এবং সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে লাবনী আক্তার সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে।

জানা গেছে, গত ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। অপরদিকে, ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান লাবনীর মা সফিরন বেগম (৪৫)।

সায়মা ও লাবনী দুজনই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। শোকের এমন সময়ে ভেঙে পড়লেও আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষকদের সাহচর্যে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে আসেন তারা।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, সায়মার মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। আল্লাহ যেন তাকে শক্তি দেন। সে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৭৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

সানস্টার ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন বলেন, মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেক কঠিন। তবুও লাবনী সাহস দেখিয়েছে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ-৪.৫৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।


সাত বছরে সর্বনিম্ন পাসের হার রাজশাহীতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডেও ফল বিপর্যয় ঘটেছে। চলতি বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, চলতি বছর রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭৭ হাজার ৭৪২ জন। আরও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন।

এ বছর রাজশাহী বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আর ছাত্রীদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এছাড়া ছাত্রদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন, আর ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৮২ জন।

এর আগে ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৭৬ দশমিক ৩৮ শতংশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।


গাইবান্ধার দুই কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য, পরিক্ষার্থী ৬

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার দুই কলেজে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব পরিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। মোট ৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও একজনও পাস করতে পারেননি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর একাধিক মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘাগোয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মাত্র ১ জন। কিন্তু দুই কলেজের কেউই পাস করতে পারেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে অনুপস্থিতি, শিক্ষক সংকট, পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব এবং প্রশাসনিক নজরদারির ঘাটতির কারণে এ ধরনের ফলাফল হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার প্রান্তিক এলাকার ছোট কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানের মান কমে যাওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতনজনরা।

এছাড়াও স্থানীয় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ বলছেন, বছরের পর বছর শিক্ষক সংকট ও একাডেমিক দুর্বলতার কারণে উপজেলার অনেক কলেজেই এখন শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘কোনো কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দুই প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের সন্তোষজনক জবাব না পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


গজারিয়ার গাফফার কলেজে পাশ করেছে এক শিক্ষার্থী!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গজারিয়া উপজেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে বালুয়াকান্দি ডা.আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজ। ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয়ে পড়া এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাশ করেছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী।

খবর নিয়ে জানা যায়, বালুয়াকান্দিতে অবস্থিত ডা. আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭জন শিক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাসের হার মাত্র ৫.৮৮ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির এমন ফলাফলে সমালোচনামুখর অভিভাবক শ্রেণি।

স্থানীয় বাসিন্দা সোলায়মান জানান, চলতি বছর ১৭জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে ১৪ জনই অনিয়মিত শিক্ষার্থী। নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩ জন। মাত্র ৪জন জনবল নিয়ে কোনরকমে কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মানবিক বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ইয়াসিন ব্যতীত এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে কেউ পাশ করতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, ' প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখা অত্যন্ত ভালো। তবে কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত নয় সেজন্য কলেজ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতার সাথে লড়াই করে কোনো রকমের টিকে আছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে'।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বশির উল্লাহর মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, ' আমি এখন ব্যস্ত আছি এ বিষয় নিয়ে কয়েকদিন পরে আপনাদের সাথে কথা বলব'।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত নয় সেজন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী স্বল্পতাসহ নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলাফল খারাপের বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে বসব’।


নীলফামারীর ১০ কলেজে এইচএসসিতে শূন্য পাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নীলফামারী জেলার ১০টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, বোর্ডের অধীনে নীলফামারীর ১০টি কলেজের ৪০ জন শিক্ষার্থীর কেউই উত্তীর্ণ হয়নি।

কলেজগুলো হলো, নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ সৃজনশীল কলেজের মানবিক বিভাগের ১ জন, সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ১ জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়নখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৮ জনের মধ্যে ৫ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, একই উপজেলার চেওড়াডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৯ জনের মধ্যে ৬ জন ফেল ও ৩ জন অনুপস্থিত, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জন, ডিমলা উপজেলার জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১ জন ও মানবিক বিভাগের ১ জন,একই উপজেলার নাউতারা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জন,ডিমলা সীমান্ত কলেজের মানবিক বিভাগের ২ জন এবং গয়াখড়িবাড়ি মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের ৩ জনের মধ্যে ২ জন ফেল ও ১ জন অনুপস্থিত।

নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর (২০২৫) জেলায় ৯৩টি কলেজের ১২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৫২৪ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৮১ জন।


চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকের বেশি

৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) পাসের হার বিগত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এবারের পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা গত বছরের তুলানায় ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। গতবছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ।

এছাড়া এবার জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭ জন। যা গতবার পেয়েছিল ১০ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী। ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ এবং সচিব এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৫৬০ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৪৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ; ছাত্রীদের পাসের হার ৫৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে পাসের হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ। জেলায় পাসের হার ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

এছাড়া তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে পাসের হার ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৩৫ দশমিক ৫৩ এবং বান্দরবানে ৩৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৭৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ও মানবিক বিভাগে পাসের হার ৩৭ দশমিক শূন্য ৮০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী ফলাফলের বিষয়ে বলেন, এবার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ছিল খাতার মূল্যায়ন যেন মেধার ভিত্তিতে হয়। শিক্ষার্থী খাতায় লিখে যে নম্বরটি পাবে, সেটাই যেন মারকিং করা হয়। অতি মূল্যায়নের সুযোগ ছিল না। আমি পরীক্ষার পর সব প্রধান নিরীক্ষকদেও ডেকে এটাই বুঝিয়েছিলাম; রুব্রিক্স পদ্ধতিতে যেন খাতা কাটা হয়। তাছাড়াও জুলাই আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটেছিল। যা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলেন তিনি।


ঢাবির মাস্টার্সের ফলাফলে ৩.৯৭ সিজিপিএ

মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হলেন কোটালীপাড়ার ইমরান হোসেন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে মাস্টার্সের ফলাফলে ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করলেন ইমরান হোসেন। একই সাথে অসামান্য সাফল্যের জন্য ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইমরান হোসেন।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডিনস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের হাত থেকে ইমরান হোসেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

ইমরান হোসেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

ইমরান হোসেন ঢাবির আররি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। স্নাতকে তিনি ৩.৮৫ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পঞ্চম হন। এবার মাস্টার্সের ফলাফলেও তিনি ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে যৌথভাবে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন।

ইমরান হোসেন ২০১৬ সালে বলুহার ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও ২০১৮ সালে ঢাকা মাদ্রাসা ই আলিয়া থেকে আলিম পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগে ভর্তি হন।

এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বাঁশবাড়িয়া মাদ্রাসা থেকে ২০০৯ সালে কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। এসময় গওহরডাঙ্গা আঞ্চলিক বোর্ড ১০ম স্থান অর্জণ করেন।

ঢাকার ফরিদাবাদ মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেন। এছাড়া ঢাকার মাদ্রাসাতুস সালমান থেকে মুফতি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইমরান হোসেন বলেন, ১৪ বছর আগে বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়ায় ভেবেছিলাম লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তখন ছোট ভাই রেজোয়ান ইসলাম পরিবারের হাল ধরে আগলে রাখেন। পরিবারের সকলের সহযোগিতার জন্য আমার লেখাপড়া অব্যাহত থাকে এবং এই ফলাফল অর্জনে সক্ষম হই।

কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, একটি কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা ইমরান হোসেনের এই ফলাফল সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের। ইমরান হোসেন কোটালীপাড়ার মুখ উজ্জ্বল করেছে। পরবর্তী প্রজন্ম ইমরান হোসেনের এই ফলাফলে অনুপ্রাণিত হবে।


গোপালপুরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি  

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। হাদিরা-ভাদুড়িচর কলেজ ও নারুচি স্কুল এন্ড কলেজের কারিগরি শাখায় একজনও পাস করেনি। এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের পাশের হার ৬৪.৬২%, কিন্তু গোপালপুর উপজেলায় এ হার আরো কম। জিপিএ-৫ পেয়েছেন জেনারেল শাখায় মাত্র ৩ জন ও কারিগরি শাখায় ১জন। অকৃতকার্য হন ৬১২জন। গোপালপুর সরকারি কলেজে জেনারেল শাখায় পাস ২৪৮, ফেল ২৭৫ ও কারিগরি শাখায় পাস ১৩৭ ফেল জন। খন্দকার ফজলুল হক কলেজে জেনারেল শাখায় পাস ৩৯, ফেল ৩১ ও কারিগরি শাখায় পাস ২৫, ফেল ৪০ জন।

নারুচি স্কুল এন্ড কলেজের কারিগরি শাখায় ৬৯ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল, জেনারেল শাখায় পাস ১২ ও ফেল ৫৭ জন। হেমনগর ডিগ্রি কলেজে জেনারেল শাখায় ২১৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস ৬৭ জন এবং কারিগরি শাখায় পাস ৩৪ ও ফেল ৫৫ জন।

মেহেরুন্নেসা মহিলা কলেজে জেনারেল শাখায় ১৯৩ জনের মধ্যে পাস ১০৪ জন এবং কারিগরি শাখায় পাস ২০, ফেল ১৯জন। খন্দকার আসাদুজ্জামান একাডেমির জেনারেল শাখায় ১ জনের মধ্যে ১ জন পাস এবং কারিগরি শাখায় পাস ৮, ফেল ৫৫ জন। শিমলা পাবলিক মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ জনে ১জন পাস। হাদিরা-ভাদুড়িচর কলেজে জেনারেল শাখায় ১২ শিক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি এবং কারিগরি শাখায় ৭জন সবাই ফেল। গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য মোবাইল আসক্তিকে দায়ী করেন।

বিপর্যস্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক ব্যবস্থা নিবেন জানতে চাইলে বলেন, আমাদের কিছু করনীয় নেই।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তুহিন হোসেন জানান, গোপালপুর সরকারি, বেসরকারি সব কলেজে ঠিকমতো ক্লাস হয়না। শিক্ষকরা নিয়মিত কলেজে আসেন না। এজন্য ফলাফল বিপর্যয় ঘটে।


banner close