প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক জহিরুল কবির শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মামলায় বলা হয়, ২০২২ সালের ১ জুন নূর বাংলা নিউজ বিডি নামের একটি পেজ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন এবং ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১৪ জুন ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আইন সম্পাদক শাহরিয়ার ইয়াসির আরাফাত বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হককে আসামি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, এক ছাত্রলীগ নেতার করা মামলা তদন্তের জন্য আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ২ বছর আগে। তদন্ত শেষে সিআইডি সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। আজ আদালত তা গ্রহণ করে নুরুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) পুনরায় চালু করেছে বহু প্রতীক্ষিত ‘স্কুল অব ল’। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের আইন বিষয়ের অধ্যাপক ড. নাহিদ ফেরদৌসীকে বাউবি আইন-১৯৯২ এবং সংশোধনী-২০০৯ এর ৬(৩) ধারা অনুযায়ী স্কুলটির ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি গত মঙ্গলবার পূর্বাহ্নে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এরশাদুল বারী ২০০৫ সালের ১১ অক্টোবর ‘স্কুল অব ল’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আর. আই. এম. আমিনুর রশীদ-এর দায়িত্বকালীন সময়ে ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে বোর্ড অব গভর্নরসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক অফিস আদেশের মাধ্যমে স্কুলটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে এলএলবি প্রোগ্রাম এবং শিক্ষকদের দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলে এবং স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি ও জনবল ন্যস্ত করা হয় প্রশাসন বিভাগে। এতদিন এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম প্রোগ্রাম দুটি সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম যুগোপযোগী আইন শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং চলমান এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম প্রোগ্রামকে আরও মানসম্মত ও গতিশীল করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভর্তি চাহিদার প্রেক্ষিতে বোর্ড অব গভর্নরসের অনুমোদনক্রমে পুনরায় পৃথকভাবে ‘স্কুল অব ল’ চালু করা হয়। স্কুলটি পুনরায় চালুর মাধ্যমে বাউবি দেশে আইন শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন আবাসিক হলের সংস্কার কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন আবাসিক হল ও ভবনের কারিগরি নিরীক্ষণ, মূল্যায়ন ও মনিটরিং বিষয়ক সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সভায় আবাসিক হলগুলোর চলমান সংস্কার কাজের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ সময় সংস্কার কাজগুলো সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি—তিন স্তরের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি সংস্কার কাজ সঠিকভাবে তদারকি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী, হিসাব পরিচালক এবং প্রকৌশল দপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রোকেয়া হল প্রাঙ্গণে বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগমসহ হলের আবাসিক শিক্ষক এবং হল সংসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুষ্পস্তবক অর্পণকালে বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্যোন্নয়নে তিনি কাজ করে গেছেন।
বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণ করে একটি বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অটাম―২০২৫ সেশনে বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের 'ফেয়ারওয়েল প্রোগ্রাম ২০২৫' আবেগঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ তাহের হোসাইন সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি বিভাগের শিক্ষক তাসমিয়া ফাতিমাকেও বিদায় জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শুভকামনায় সিক্ত হয় বিদায়ী শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ওসমান তাঁর বক্তব্যে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সফলতার জন্য দিকনির্দেশনা দেন। তিনি শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধ ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অর্জন ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি তৈরি করে, তাই শেখা বিষয়গুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর সালাহউদ্দিন আহমেদ বিভাগের শিক্ষার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক এবং ক্যাম্পাসে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহিত করেন।
এছাড়া গেস্ট অনার হিসেবে উপস্থিত থাকা অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট মি. এলেন কাজেনস জ্ঞানচর্চায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি, শিক্ষকদের সহায়তা এবং সহপাঠীদের সাথে পথচলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে।
তাদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে বিভাগীয় শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা শুধু ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ নয়, এটি চরিত্র গঠনের মাধ্যম। শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা মিস তাসমিয়া ফাতিমার কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। সকল সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষককে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বিদায় জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ইংরেজি বিভাগের কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ তাহের হোসাইন সেলিম সকল বিদায়ী শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এসময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এই ডিপার্টমেন্ট তোমাদের, সুতরাং ডিপার্টমেন্টের সার্বিক উন্নয়নে তোমাদের ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করি।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় শিক্ষিকগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউল হক, মাইমুনা খাতুন, বিপাশা বড়ুয়া, তাসমিয়া ফাতিমা, প্রজ্ঞা মজুমদার, নাঈমা আক্তার, আয়েশা আক্তার, সানজিদা সুলতানা, ইলিয়াছ শাহরিয়ার প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে ‘A Study on the Foreign Policy of Bangladesh to Address the Challenges of Globalization in the Domains of National Security, Climate Change and Labor Migration’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের Higher Education Acceleration and Transformation (HEAT) Project -এর আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হিট প্রজেক্টের এসপিএম অধ্যাপক ড. এ এস এম আলী আশরাফ। এছাড়া হিট প্রজেক্টের এএসপিএম অধ্যাপক ড. সৈয়দা রোযানা রশীদ অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জাতীয় নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও শ্রম অভিবাসনের মতো বিষয়গুলোর উপর বিশেষ নজর দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি এবং প্রাইভেট সেক্টরসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে বিভাজন দূর করে জাতীয় স্বার্থে পরস্পরের হাত ধরে চলতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও শ্রম অভিবাসন বিষয়ে আমাদের সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
সমাবর্তন প্রত্যাশী অধিকাংশ গ্র্যাজুয়েটের দাবি উপেক্ষা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আসন্ন দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন গ্র্যাজুয়েটরা।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা রাবি প্রশাসনকে গ্র্যাজুয়েটদের অসন্তোষ নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
রাবির ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী ইউনুস হৃদয়ের সঞ্চালনায় শুরুতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ অন্তর।
আব্দুল মজিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম অবহেলার সঙ্গে এই দায়সারা সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সমাবর্তন প্রত্যাশীরা যে ৩ দফা দাবি জানিয়েছেন, তার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
সঞ্চালনায় আলী ইউনুস হৃদয় বলেন, গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে যে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তা দিন দিন ক্ষোভে রূপান্তর হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আবেগ ও অনুভূতি প্রশাসনকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই এই মহতী আয়োজন সফল হবে। কাউকে বঞ্চিত করে এই আয়োজন সফল হতে পারে না।
৬২ ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অর্বাক আদিত্য বলেন, আমরা দাবি জানিয়ে যাচ্ছি কিন্তু প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। তারা কাদের জন্য তাড়াহুড়ো করে এই আয়োজন করছে আমরা বুঝছি না, এখানে কার কোন স্বার্থ রয়েছে? ইতোমধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। দায়সারা সমাবর্তন নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটরা কখনও মানবে না। প্রশাসনকে অবিলম্বে তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে।
সমাবেশে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, যে দায়সারা আয়োজন করতে যাওয়া হচ্ছে তা লজ্জাজনক। নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি এই অবজ্ঞা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনকে ৩ দফা দাবির ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাবির ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রাসিব নাহিদ বলেন, কর্মব্যস্ত ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় আয়োজিত সমাবর্তনে উপস্থিত হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। দায়সারা এই আয়োজন ইতোমধ্যে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদি প্রশাসন কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন। এর আগে, শনিবার ( ৬ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তন নিয়ে ৩ দফা জানান গ্র্যাজুয়েটরা। সেখানে দাবি মানা না হলে সমাবর্তন বর্জনের ডাক দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৭২ বছরের ইতিহাসে মাত্র ১১টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাদশ সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সমাবর্তনের তারিখ বার বার পেছানোর কারণে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা একই বছরের ১৩ জানুয়ারি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কয়েকবার তারিখ দিয়েও পরে অনিবার্য কারণবশত সমাবর্তন স্থগিত করা হয়েছিল।
সম্প্রতি প্রকাশিত হল ও’ এন্ড এ’ লেভেল এর জুন ২০২৫ সিরিজ পরীক্ষার ফলাফল। উক্ত ফলাফলে রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের (ইংরেজি মাধ্যম), মালিবাগ শাখার এ লেভেলের শিক্ষার্থী আরিজ আনাস গণিতে বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনের মাধ্যমে ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
গণিতের পাশাপাশি জীববিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়েও আরিজের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। তিনি দুইবার ন্যাশনাল বায়োলজি অলিম্পিয়াডে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস’ ট্রফি অর্জন করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল বায়োলজি অলিম্পিয়াডে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিনিধিত্ব করে মেরিট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এছাড়া ২০২৫ সালে তিনি ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল বায়োলজি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয়ের পর তিনি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দেশের অন্যতম সেরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিবাগ ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ কর্নেল মোঃ শামসুল আলম, পি এস সি (অবঃ) বলেন, হাস্যোজ্জ্বল সুন্দর আচার-আচরণ ও ইতিবাচক মনোভাবের আরিজ জুনিয়রদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস। আমরা আরিজ আনাসের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
শুধু একজন শিক্ষার্থীই নয়, প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক ফলাফলও ঈর্ষণীয়। উল্লেখ্য, ক্যামব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস (Cambridge Learner Awards), যা আউটস্ট্যান্ডিং ক্যামব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস নামেও পরিচিত। এর মাধ্যমে ক্যামব্রিজের বিভিন্ন যোগ্যতা পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বিশ্বব্যাপী কোনো বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনসহ শিক্ষার্থীদের অনন্য কৃতিত্ব, পরীক্ষায় দক্ষতা এবং সমাজ ও সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকেও এই পুরস্কারের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়।
এসব পুরস্কারের মধ্যে ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ ক্যাটেগরি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সকল ক্যামব্রিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্দিষ্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনকারীদের এ সম্মান প্রদান করা হয়।
২০০২ সালে রাজধানীর গুলশানে মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এখন পড়ালেখা করছে ১৮০০০ শিক্ষার্থী। কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী এম. এ. রশিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও ভিকারুননিসা নূন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মিসেস হামিদা আলীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
বরগুনার আমতলী উপজেলার অনুদানপ্রাপ্ত পাঁচটিসহ ৭৬টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় নেই কোন প্রকৃত শিক্ষার্থী। কাগজে-কলমে হাজারো শিক্ষার্থী দেখিয়ে অনুদান গ্রহণ করা হলেও বাস্তবে এসব মাদ্রাসা ফাঁকা পড়ে আছে। পরীক্ষার সময় ধার করা শিক্ষার্থী এনে দেখানো পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় অনুদানভুক্ত পাঁচটিসহ মোট ৭৬টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। অনুদান পাওয়া পাঁচটি মাদ্রাসা হলো, পূর্ব চিলা হাসানিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, উত্তর ঘোপখালী, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া নাচনাপাড়া এবং কুতুবপুর ইসরাইলিয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। তবে গত দুই-তিন বছর ধরে এসব মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। শিক্ষকরা কাগজে-কলমে শিক্ষার্থীর তালিকা দেখিয়ে অনুদান পাচ্ছেন, কিন্তু বাস্তবে ক্লাসরুম ফাঁকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার দরজায় প্রায়ই তালা ঝুলতে দেখা যায়। শিক্ষকরা কখনো কখনো এসে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। গত ২০ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও বেশিরভাগ মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি। কেবল কয়েকটি মাদ্রাসায় দুই-একজন শিক্ষার্থীকে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, কাগজে-কলমে এসব মাদ্রাসায় মোট ৯ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে তদন্তে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাদ্রাসায় একজন শিক্ষার্থীও নেই।
দেখা যায়, মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী, আয়শা আক্তার জুই চতুর্থ শ্রেণি ও সিয়াম তৃতীয় শ্রেণি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তবে তারা আসলে কুকুয়া গোজখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের ধার করে এনে মাদ্রাসার বেঞ্চে বসিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ওই মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা বশির আহম্মেদ বলেন, আমার মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থী নেই, তাই কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
কুতুবপুর ইসরাইলিয়া মাদ্রাসার প্রধান গোলাম কিবরিয়া বলেন, বেতনভাতা না পাওয়ায় কোনো মতে মাদ্রাসা চালিয়ে রাখছি। তবে কতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে-এ বিষয়ে তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি।
আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন বলেন, অনুদানভুক্ত পাঁচটি মাদ্রাসায় ছয় মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ। সরকার কীভাবে দেশ চালাচ্ছে, বুঝে উঠতে পারছি না।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াদুল হাসান বলেন, উপজেলায় পাঁচটি অনুদানপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থী আছে কি না, আমি নিশ্চিত নই। তবে পাঁচটি ছাড়া বাকি মাদ্রাসাগুলো কাগজে-কলমে আছে, বাস্তবে নেই।
বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) এর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো ‘স্ট্রাকচার্ড ক্লিনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট (Workshop on Structured Clinical Assessment (SCA)’ বিষয়ক কর্মশালা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন, মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ তৈরির ক্ষেত্রে এসসিএ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং রোগী-কেন্দ্রিক সেবার মান নিরূপণে বৈজ্ঞানিক ও নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন। তিনি বলেন, বিএমইউ দক্ষ, নীতিনিষ্ঠ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনকোলজি বিশেষজ্ঞ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক মূল্যায়ন পদ্ধতি সেই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।
কর্মশালার ফ্যাকাল্টি সেশন পরিচালনা করেন প্রফেসর তাহমিনা বেগম, কাউন্সিলর ও পরিচালক, ডিপার্টমেন্ট অব মেডিক্যাল এডুকেশন, বিসিপিএস, ডা. মোঃ রাসেল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক, মেডিক্যাল এডুকেশন, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স, বিএমইউ। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এসসিএ এর দর্শন, স্টেশন ডেভেলপমেন্ট, মূল্যায়ন রুব্রিক, অবজেক্টিভ স্কোরিং এবং ফিডব্যাক ব্যবস্থা নিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বিএমইউ এর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা সিএমএইচ ক্যান্সার সেন্টার, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি ও মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপভিত্তিক স্টেশন ডিজাইন, স্কোরিং পদ্ধতি ও ফিডব্যাক মেকানিজম নিয়ে কার্যকর গ্রুপওয়ার্ক সম্পাদন করেন। কর্মশালাটি আয়োজিত হয় ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে, যা বিএমইউতে উচ্চমানের স্নাতকোত্তর শিক্ষা ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরির চলমান প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে যারা বয়সসীমার কারণে আবেদন করতে পারছিল না, তারা এখন আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত বয়সের দিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধনের বিষয়টি জানানো হয়। এতে সই করেছেন মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
ভর্তির সংশোধিত এ নীতিমালায় ‘পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে’ অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা আর থাকছে না।
মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনলাইন আবেদন চলমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তির যে নীতিমালা প্রকাশ করেছিল, তার অনুচ্ছেদ-২ -এ থাকা বয়স নির্ধারণ অংশে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত নীতিমালা বয়স নির্ধারণ অংশ বলা হয়, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচারক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, বয়সসীমা নিয়ে জটিলতা ছিল। এ নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছিল। অনেক অভিভাবক জানাচ্ছিলেন, তাদের সন্তানের ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না। এজন্য দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির বয়সসীমাটা এক রকম তুলে দেওয়া হয়েছে।
তাহলে যে কেউ দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিভাবকদের শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনাগুলোও অনুসরণ করতে হবে। সেখানে কিন্তু ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম-দশমে রেজিস্ট্রেশনের একটি নির্দিষ্ট বয়স প্রয়োজন হয়। যেমন এ বছর শিক্ষা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৯ বছর করেছে। এখন কেউ তো ৯ বছরের নিচের বয়সীকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করালে বিপাকে পড়বেন। ফলে বোর্ডের বয়সসীমাটা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে আবেদন করতে হবে।
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ ঘিরে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে অধ্যাদেশ জারি না হলে রোববার থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে ঢাকা কলেজের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, সাত কলেজে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন থমকে আছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় জটিলতা বাড়ছে। তাই আগামী রোববার থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে আমরা টানা অবস্থান করবো। যতক্ষণ পর্যন্ত অধ্যাদেশ জারি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এর আগে এদিন সকাল থেকে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মিরপুর সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি বা পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না করে সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষাজীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার জন্যও বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে কাল ৪ ও পরদিন ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিজিআরএ- ২০২৫ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স। এ উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগের জুরি কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স কো-চেয়ার অধ্যাপক কানু কুমার দাশ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সজীব পাল, সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জান্নাত এবং সাঈদা তাহমিনা তাসনিম। উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের ওই কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চাররা অংশ নিবেন। এতে ২ জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত থাকবেন। এই কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর ওপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোস্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগে ২ দিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে। আগামী ০৪ ডিসেম্বর, সকাল ১০.০০ ঘটিকায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সদয় সম্মতি চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এতে কনফারেন্সে চেয়ার হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ারদার, কনফারেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব কানু কুমার দাশ এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আজ মঙ্গলবারও চলবে শিক্ষকদের লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি। ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থগিত থাকছে বার্ষিক পরীক্ষা। দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাসেম মোহাম্মদ শামছুদ্দীনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারও আগের মতোই পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। সোমবার সারাদেশে তৃতীয় দিনের মতো সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতঃস্ফূর্ত পরীক্ষা বর্জন ও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দাবি হচ্ছে- সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্র জানায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি।
এখানে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা ইতিমধ্যে দশম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনো ১৩তম গ্রেডে আছেন। গ্রেড উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ কয়েকটি দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন।
এর আগে গত ৮-১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আবার কর্মবিরতিতে ফেরেন।