প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ডগুলো। গত ১৩ মে থেকে এ কার্যক্রম চলে ১৯ মে পর্যন্ত। এরমধ্যে শুধু ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন এখন পুনর্নিরীক্ষণ হবে। তারপর শিগগিরই সেই ফল প্রকাশ করা হবে। তবে কবে ফল প্রকাশ করা হবে তা এখন ঠিক হয়নি। যাদের ফল যদি পরিবর্তন হবে তাদের এসএমএস করে প্রাপ্ত ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সংশোধিত ফল বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
এদিকে আগামী ২৬ মে থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন শুরু হবে। এর মধ্যে অনেকেই কলেজ ভর্তির আবেদন করে ফেলবে। তবে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা কলেজ ভর্তির আবেদন সংশোধন করার সুযোগ পাবেন বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানান।
গত বছর (২০২৩ সালে) ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে খাতা চ্যালেঞ্জ করে ফেল থেকে পাস করে ১০৪ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পায় ৩৬২ জন। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রেড পরিবর্তন হয় ৩ হাজার ৮৫ জন শিক্ষার্থীর।
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে যারা বয়সসীমার কারণে আবেদন করতে পারছিল না, তারা এখন আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত বয়সের দিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধনের বিষয়টি জানানো হয়। এতে সই করেছেন মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
ভর্তির সংশোধিত এ নীতিমালায় ‘পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে’ অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা আর থাকছে না।
মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনলাইন আবেদন চলমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তির যে নীতিমালা প্রকাশ করেছিল, তার অনুচ্ছেদ-২ -এ থাকা বয়স নির্ধারণ অংশে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত নীতিমালা বয়স নির্ধারণ অংশ বলা হয়, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচারক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, বয়সসীমা নিয়ে জটিলতা ছিল। এ নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছিল। অনেক অভিভাবক জানাচ্ছিলেন, তাদের সন্তানের ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না। এজন্য দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির বয়সসীমাটা এক রকম তুলে দেওয়া হয়েছে।
তাহলে যে কেউ দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিভাবকদের শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনাগুলোও অনুসরণ করতে হবে। সেখানে কিন্তু ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম-দশমে রেজিস্ট্রেশনের একটি নির্দিষ্ট বয়স প্রয়োজন হয়। যেমন এ বছর শিক্ষা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৯ বছর করেছে। এখন কেউ তো ৯ বছরের নিচের বয়সীকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করালে বিপাকে পড়বেন। ফলে বোর্ডের বয়সসীমাটা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে আবেদন করতে হবে।
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ ঘিরে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে অধ্যাদেশ জারি না হলে রোববার থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে ঢাকা কলেজের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, সাত কলেজে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন থমকে আছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় জটিলতা বাড়ছে। তাই আগামী রোববার থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে আমরা টানা অবস্থান করবো। যতক্ষণ পর্যন্ত অধ্যাদেশ জারি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এর আগে এদিন সকাল থেকে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মিরপুর সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি বা পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না করে সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষাজীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার জন্যও বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে কাল ৪ ও পরদিন ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিজিআরএ- ২০২৫ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স। এ উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগের জুরি কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স কো-চেয়ার অধ্যাপক কানু কুমার দাশ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সজীব পাল, সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জান্নাত এবং সাঈদা তাহমিনা তাসনিম। উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের ওই কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চাররা অংশ নিবেন। এতে ২ জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত থাকবেন। এই কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর ওপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোস্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগে ২ দিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে। আগামী ০৪ ডিসেম্বর, সকাল ১০.০০ ঘটিকায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সদয় সম্মতি চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এতে কনফারেন্সে চেয়ার হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ারদার, কনফারেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব কানু কুমার দাশ এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আজ মঙ্গলবারও চলবে শিক্ষকদের লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি। ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থগিত থাকছে বার্ষিক পরীক্ষা। দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাসেম মোহাম্মদ শামছুদ্দীনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারও আগের মতোই পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। সোমবার সারাদেশে তৃতীয় দিনের মতো সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতঃস্ফূর্ত পরীক্ষা বর্জন ও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দাবি হচ্ছে- সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্র জানায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি।
এখানে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা ইতিমধ্যে দশম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনো ১৩তম গ্রেডে আছেন। গ্রেড উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ কয়েকটি দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন।
এর আগে গত ৮-১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আবার কর্মবিরতিতে ফেরেন।
গোয়ালন্দে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. সালাহউদ্দিন শেখের বদলি আদেশ বাতিল করে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন করে তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথী দাস শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন।
শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল ফটকের সামনে ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। এর আগে ২৬ নভেম্বর একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান করে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শিক্ষক অনেক ভালো। তাকে ষড়যন্ত্র করে এখান থেকে বদলি করা হয়েছে। আমরা তাকে যেতে দেব না। তিনি শুধু শিক্ষক নন, তিনি আমাদের অভিভাবক।
তারা আরও বলেন, সালাহউদ্দিন স্যার একজন নিষ্ঠাবান, ছাত্রবান্ধব ও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া আদর্শ শিক্ষক। তার হঠাৎ বদলির সিদ্ধান্ত শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুলতানা মেহেরুনা জামান বলেন, এই বদলির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। উপর মহল থেকেই নিয়ম অনুযায়ী বদলি করা হয়েছে। আমাদের এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই।
এ সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে সে জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছিল। আশা করি শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে, পরে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাথী দাস বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বদলির আদেশ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা এক অফিস আদেশে গোয়ালন্দ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর মো. সালাহউদ্দিন শেখকে মাদারীপুরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে অন্য এক শিক্ষককে তার স্থলে গোয়ালন্দে পোস্টিং দেওয়া হয়। এ খবর জানার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে রেখে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে আসছে।
সারা দেশের মতো বয়স বিড়ম্বনায় পড়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা। এতে করে কাঙ্ক্ষিত ক্লাসে ভর্তি হতে পারছেন না অসংখ্য শিক্ষার্থী। এমন অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তাই পড়েছেন অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের বয়স নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার দ্রুত অবসান চেয়েছেন তারা। এমনকি শিক্ষার্থীদের বয়স বিড়ম্বনার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে অভিভাবকরা।
নাজনিন হাসান নামে এক অভিভাবক জানান, ‘আমার ছেলের জন্ম ২০১২ সালে ২৭ ডিসেম্বর। বর্তমানে পঞ্চম শ্রেনী শেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। তবে সফটওয়্যারে ১ জানুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৬ সালের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর কম বেশি হলে সফটওয়্যার নিচ্ছে না। এতে আমার ছেলের বয়স তিন দিন বেশি হচ্ছে। এ কারনে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো যাচ্ছে না। এখন কি করব সে বিষয়ে কোন ধারণাও পাওয়া যাচ্ছে না।’ সরকারের ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে ভর্তির আবেদন পক্রিয়া ২১ নভেম্বর বেলা ১১টায় শুরু হয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি নির্ধারণ করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত হবে। (যেমন ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় কোন শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন পাঁচ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা সাত বছর অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত)।
ভর্তির নীতিমালার অনুযায়ী, প্রথম শ্রেনীতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ৫ থেকে ৭ বছর, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ বছর, তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ৭ থেকে ৯ বছর, চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ বছর, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত ৯ থেকে ১১ বছর, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ বছর, ৭ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত ১১ থেকে ১৩ বছর, ৮ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ বছর এবং ৯ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৩ পর্যন্ত ১৩ থেকে ১৫ বছর।
রঙিন সাজ, আনন্দ উল্লাস আর মধুর আবহে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুর সরকারি কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নবীনবরণ উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসজুড়ে সকাল থেকেই ছিল উৎসবের আমেজ- রঙিন ব্যানার, ফুলের মালা, আর নবীন-প্রবীণের হাসিমুখে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সহকারী (ঐকমত্য) ও সাংবাদিক মনির হায়দার। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন পথচলা শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠারও পথ দেখায় কলেজ জীবন। স্বপ্ন বড় হবে, পথ চলা হোক আলোকিত।
কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নজরুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খেজমত আলী মালিথ্যা।
অতিথিরা বলেন, তারা নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধে বড় হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। এছাড়া কো-কারিকোলাম অ্যাক্টিভিটিস, সামাজিক কার্যক্রমসহ মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কলেজকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরার পাশাপাশি একটি মানবিক সমাজ গঠন করার আহ্বান জানান।
নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র মো. বিধান শেখ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী উলফাতুন নেছা পূর্ণিমা।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তারা বলেন ‘এ কলেজে ভর্তি হওয়া আমাদের গর্ব। প্রবীণদের ভালোবাসা আর শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা আমাদের পথচলা আরও সুন্দর করবে।’
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত ছিল ফুল ছিটিয়ে নবীনদের বরণ করে নেওয়া। প্রবীণ শিক্ষার্থীরা হাতে রঙিন পাপড়ি ছিটিয়ে নবীনদের স্বাগত জানালে ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর এক আবহ।
পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, কবিতা আর নাট্য পরিবেশনায় মাতিয়ে রাখেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা। পুরো অনুষ্ঠানে ছিল শৃঙ্খলা, সৌন্দর্য আর এক সজীবতার পরশ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর (রসায়ন) মো. সালাহউদ্দিন শেখের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
উল্লেখ্য, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা এক অফিস আদেশে গোয়ালন্দ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর মো. সালাহউদ্দিন শেখকে মাদারীপুরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে অন্য এক শিক্ষককে তার স্থলে গোয়ালন্দে পোস্টিং দেওয়া হয়।
এ খবর জানার পর শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে রেখে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক অনেক ভাল। তাকে ষড়যন্ত্র করে এখান থেকে বদলি করা হয়েছে। আমরা তাকে যেতে দেব না। তিনি শুধু শিক্ষক নন, অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে থাকেন।’
তারা আরও বলেন, সালাহউদ্দিন স্যার একজন নিষ্ঠাবান, ছাত্রবান্ধব ও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া আদর্শ শিক্ষক। তার হঠাৎ বদলির সিদ্ধান্ত শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দেখা যায়-প্রতিষ্ঠানের মূল ফটক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা এতে অসম্মতি জানান এবং মূল ফটকের গেইট তালাবদ্ধ রাখে।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মোছা. সুলতানা মেহেরুনা জামানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাথী দাস বলেন, আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান করেছি। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকের বদলির আদেশ বাতিলের বিষয়েও উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলব।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি অভিযোগ-অসন্তোষ দূর করে দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)—এর ১৪১তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে অনুষ্ঠিত। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট চেয়ারম্যান ও চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, চুয়েটের ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারভার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, ইনস্টিটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, অবসারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (টিএসসি) এবং ডিএমডি (বিটিবিএল) প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ, চুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধর এবং চুয়েটের মানবিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
এছাড়াও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আয়নাল হক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মিজ আলিফ রুদাবা। উক্ত সিন্ডিকেট সভায় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
নূরানী স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ে টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ২৫টি উপজেলা থেকে এবার ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেন। ধাপে ধাপে এই ৪ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের শাহ্পুর তাহিরীয়া দারুস্ সুন্নাহ্ হাফিজিয়া ও নূরানী মাদ্রাসা এবং কালিহাতীর রাজাফৈর কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও আবু আশরাফ খান (অব. জজ) মাদ্রাসায় বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জেলার ভূঞাপুর, মধুপুর, গোপালপুর, ধনবাড়ী ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কালিহাতীর রাজাফৈর কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও আবু আশরাফ খান (অব. জজ) মাদ্রাসায় বৃত্তি পরীক্ষা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিয়া ও হাসান বলে- তারা এর আগে কখনো বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি। এবারই প্রথম অংশ নিয়েছেন, পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে তারা আনন্দিত।
অভিভাবকরা বলেন, এই স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষায় শিশুদের পড়াশোনায় উৎসাহ তৈরি করছে এবং বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সারা বছরের পড়াশোনার মেধার বিকাশ ঘটে।
মাদ্রাসার শিক্ষকরা বলেন- এটি শুধু বৃত্তি পরীক্ষা নয়, এই পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ার উন্নয়ন ঘটে এবং পড়াশোনায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রতিযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যভাসে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়। এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষায় শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশন সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী বলেন- টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ২৫টি উপজেলা থেকে এবার ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং ধাপে ধাপে পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মাহদী হাসান শিবলী আরও বলেন- ২০১৭ সাল থেকে টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই পরীক্ষার আয়োজন করে আসছেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ ও সম্মাননা ক্রেস্টসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করে থাকেন। পাশাপাশি ফাউন্ডশন থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা প্রদান করেন। তারা এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবেন।
তিন দফা দাবিতে দেশজুড়ে ৩ দিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এতে করে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষিত তিন দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পাওয়ায়, এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলবে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেড দেওয়া, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন—এই তিন দফা দাবির বিষয়ে আমরা বহুদিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আশ্বাসের বাইরে কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, টানা তিন দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে। দাবি আদায়ে অগ্রগতি না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশনে যাওয়ারও ঘোষণা রয়েছে সংগঠনের।
অন্যদিকে, রাতে প্রকাশিত আরেকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার বলেন, ৩ দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় কর্মসূচি জোরদার করতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, গত ১ নভেম্বর আমরা সংবাদ সম্মেলন করে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে সরকার কোনো উদ্যোগ দেখায়নি। তাই সারা দেশের সহকারী শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান—ন্যায্য তিন দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি সফল করুন।
সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দাবি পূরণ না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন শুরু করবেন সহকারী শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০তম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা অসন্তুষ্ট।
তাদের ভাষ্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি নিয়েই দশম গ্রেড পাচ্ছেন। অথচ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড বা বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও এখনো ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন।
পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণা ছুটি শেষে নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগদান না করায় চাকরিচ্যুত হয়েছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের অধ্যাপক ড. বিকাশ চন্দ্র সিংহ।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশ সূত্রে, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. বিকাশ চন্দ্র সিংহ যুক্তরাষ্ট্রের Old Dominion University-এর অধীনে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণা ছুটি শেষে তিনি যোগদান না করে ২০২৩ সালের ১০ জুন থেকে গত বছরের ৯ জুন পর্যন্ত ১ (এক) বছরের শিক্ষাছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে তার আবেদনটি ২ অক্টোবর (২০২৩) ছুটি-সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলে তা বিবেচিত হয়নি।
পরে স্ট্যান্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছরের ৩ নভেম্বর তাকে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দিলেও তিনি যোগদান না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী শৃঙ্খলা বিধির চরম লঙ্ঘন হওয়ায় গত ১০ জুন থেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুরে মৈতৈ মণিপুরি সম্প্রদায়ের সেবামূলক সংগঠন অয়েকপম ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ছে। পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির ৪৫টি স্কুলের ৬১৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। গত শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের তেতইগাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কমলগঞ্জের আদমপুরের অয়েকপম ফাউন্ডেশনের সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত থাকলেও ৪ বছর ধরে সংগঠনটি বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা চালু করে। প্রথমে উপজেলার বিভিন্ন কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছিল। কমলগঞ্জ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীদের আগ্রহে ২০২২ সাল থেকে কেজি স্কুলের বাহিরে গিয়ে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অয়েকপম মেধাবৃত্তি চালু করে।
অয়েকপম ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অয়েকপম অঞ্জু বলেন, ‘উপজেলার সকল স্কুলের আগ্রহে ৩ বছর থেকে তারা উন্মুক্ত করে এ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। এবার তৃতৃতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির ৪৫টি স্কুলের ৬১৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। বেলা ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তেতইগাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস বেগম অতিথি হিসেবে পরীক্ষাকেন্দ্র পরদির্শন করেন করেন বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ও সাংবাদিকরা।
মেধাবৃত্তির পরিক্ষায় আহ্বায়ক শিক্ষক ও সাংবাদিক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘অয়েকপম পরিবারের গুরুজন অয়েকপম রাজকিশোর সিংহের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে তার সুযোগ্য সন্তান আমেরিকা প্রবাসী অয়েকপম ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন অয়েকপম ফাউন্ডেশন। মণিপুরীদের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি তথা আর্থসামাজিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রেখে আসলেও পরবর্তীতে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিজ সম্প্রদায়ের বাইরেও পরিচালনা করছে। ফাউন্ডারের জন্মস্থান জেলার জুড়ি উপজেলায় হওয়াতে জুড়ি উপজেলাকে সঙ্গে নিয়ে জেলাব্যাপী কাজ করার স্বপ্ন দেখেন।’