রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আজ দুপুর থেকেই ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী ও সরকারি চাকুরি প্রত্যাশিরা আন্দোলন করেছেন। শাহবাগ চানখারপুল, সায়েন্সল্যাব, পল্টন, গুলিস্তান, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, মৎস ভবন, ফার্মগেট, আগারগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা এলাকাগুলোতে এসময় তারা অবরোধ তৈরি করেন। ফলে এ এলাকাগুলোতে বিকেল থেকেই দেখা দেয় তীব্র যানজট। এতে পুরো ঢাকা একপ্রকার স্থবির হয়ে পড়ে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করেন। আর এ মিছিল নিয়েই শিক্ষার্থীরা প্রথমে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এরপর মিছিলের একটি অংশ রাজধনীর মিন্টো রোড, মৎসভবন, বাংলামোটর এবং কাওরান বাজার মোড় অবরোধ করে।
এছাড়া একই সময়ে ইডেন মহিলা কলেজ আর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েনসল্যাব মোড়, ঢাবির অমর একুশে হল ও শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থীরা চাঁনখারপুল মোড় ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার সংলগ্ন র্যাম্প অবরোধ করে।
ঢাবির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেন পল্টন মোড়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দীর শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান মোড় অবরোধ করেন। আর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রামপুরা-বাড্ডা সড়ক অবরোধ করলে পুরো ঢাকা জুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এছাড়া সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ফার্মগেট এলাকা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন।
শিক্ষার্থীদের এই অবরোধের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও তাদের এই আন্দোলনকে যৌক্তিক বলছেন পথচারীরা। বিক্রমপুর থেকে গুলিস্তান এসে সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে শাহবাগ আসেন হানিফ দেওয়ান নামের একজন পথচারী।
তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, আমি যাবো ধানমন্ডি ১৫তে। হেঁটেই যেতে হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে একটু তারপরও এটাকে আমি কষ্ট মনে করছি না। শিক্ষার্থীদের যেই দাবি সেটা আমারও দাবি। তারা চাকরি করে যদি কোটার কারণে চাকরি না পায় তাহলে এটা ঠিক না।
সুজিত পাল নামের আরেকজন বলেন, আমিও গুলিস্তান থেকে হেঁটে আসছি। যাব আরও অনেক দূরে। আমাদের কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরও কষ্ট হচ্ছে। এটার একটা যৌক্তিক সমাধান হওয়া দরকার।
গত ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলন করে আসছে চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীরা। শুরুতে তাদের দাবি চারটা থাকলেও আজ সোমবার থেকে তারা এক দাবিতে আন্দোলন করছেন। সেই এক দাবি হলো ‘সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে’।
আজ সোমবার বেলা ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এসময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের শাহবাগ মোড় ছেড়ে বাংলা মটরের দিকে যেতে বাধা দিলে পুলিশ বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এবং বাংলামোটরের দিকে দৌড়ে যান সেসব রাস্তা অবরোধ করতে।
পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেন। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভাগ, হল এবং ইনিস্টিটিউটের ব্যানারে অবস্থানে যোগ দেন। এরপর এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর টিএসসি হয়ে শাহবাগ এসে মোড় অবরোধ করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’; ‘কোটা ছেড়ে কলম ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল কর’; ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কামব্যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি সাড়ে ৩টা থেকে শুরুর কথা থাকলেও আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের একটি রুমে বৈঠকে বসেন সরকারের একটি দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা। ফলে সেই বৈঠক শেষ করে প্রোগ্রাম শুরু করতে দেরি হয় শিক্ষার্থীদের। তবে এই বৈঠকে কোনো সমাধান আসেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- অধিভুক্ত থাকা অবস্থায় আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না।
শনিবার দুপুর ১টায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারের সামনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ‘সাত কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর’ টিম। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় তারা- ‘শিক্ষার সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক’, ‘শিক্ষার সিন্ডিকেটের গদিতে, আগুন দাও একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি টাকাও আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সিন্ডিকেটের চোরদের কাছে যেতে দেব না। ঢাবি প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গত বছরের সব নিয়ম-কানুন ভেঙে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেছে। এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এই প্রশাসন ভর্তির মাধ্যমে শুধু টাকা ইনকাম করা ছাড়া গত সাত বছরে আমাদের কোনো ভালো শিক্ষাজীবন উপহার দেয়নি। তাই ঢাবি অধিভুক্ত অবস্থায় আর কোনো সেশনের ভর্তি শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।
শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি হলো-
১. সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অবস্থায় আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না।
২. সাত কলেজ নিয়ে রাষ্ট্র যে স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে, উক্ত কমিটি ও সাত কলেজের প্রিন্সিপালসহ শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে নতুন সেশনের (২০২৪-২৫) ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মাধ্যমে নতুন সেশনে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে ভর্তি করা এবং বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের ভোগান্তি না হয়।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কখনো আমাদের ক্লাস নেয়নি। তারপরও কীভাবে আমাদের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে তা বোধগম্য নয়। বিগত সময়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা প্রচার এবং বিরূপ মন্তব্য করে। আমাদের উত্তরপত্র যেন সাত কলেজের শিক্ষকদের মাধ্যমেই মূল্যায়ন করা হয়, তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
৫. মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা অর্ধেক বা আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মতামত নেবে। বিভাগভিত্তিক অবকাঠামো বিবেচনা করে নতুন সেশনের শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং ১৩৫তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার তেজগাঁওস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিওটি কনফারেন্স রুমে এটি হয়ে থাকে। সভায় এসইইউ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সভাপতিত্ব করেন।
বোর্ড সদস্যরা বিভিন্ন একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ট্রাস্টি বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনাকে দিকনির্দেশনা প্রদান, চলমান কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব আরোপ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে চলার সময় এটা না। আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়টির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম, এখনকার তরুণদের মতো এত বুদ্ধিমান বা সমৃদ্ধ ছিলাম না। কিন্তু এখনকার তরুণরা সবকিছু জানে, চেনে। এখনও আমি তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে শিখছি, তারাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। আমরা একসাথে থেকে কাজ করতে পারলে অবশ্যই এগিয়ে যাবো।’ সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির প্রতি সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, ‘উচ্চমানের নারী শিক্ষার বিস্তারই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের ছাত্রীরা এমনভাবে তৈরি হয়ে বের হবেন, যেন তারা জীবনে স্বাবলম্বী হয়ে সম্মানিত একটা পেশায় থাকতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল, তা পূরণে তারা অনেকখানি সফল হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
উপাচার্য ড. পারভীন হাসান বলেন, ‘শিক্ষা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু শিক্ষাদান নয়, পেশাগত জীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সবসময় সহযোগিতা করছে।’
ট্রেজারার ড. আহমেদ আবদুল্লাহ জামাল বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপারসন হাসান শিরাজী, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার বিভাগের চেয়ারপারসন আবদুস সেলিম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন শাহনাজ পারভীন, সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ইউজিসির চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, নারীদের উচ্চশিক্ষায় অবদান রাখতে ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল আগামী ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আজ শুক্রবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে। সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে ওই দিন খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে।
প্রতি বছরই এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা তা পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ পান। গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়। যা চলে গত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের পত্র প্রতি ১৫০ টাকা ফি দিতে হয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধু ওই বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ ছিল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় যে বিষয়গুলোয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল সে বিষয়গুলোয় ফল পুনর্নিরীক্ষণ করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।
সমাজবিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় টেলিফোনে হত্যার হুমকি দেয়।
এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষীমহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন, ‘লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের এ মাটি ও পতাকা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। ১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধা শূণ্য করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে সদ্য পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক এদেশের নিরহী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।’
আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরস্থ কেন্দ্রীয় সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্তির বাসনা: গণপ্রতিরোধের ঐতিহাসিক পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাউবি উপাচার্য বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ও অগণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে রামরাজত্ব কায়েম করেছিল। গুম, খুন, ধর্ষণ, ঘুষ, দূর্নীতিসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা ওই ফ্যাসিস্ট সরকার করেনি।’
তিনি বলেন, ‘ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্তির বাসনা নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশের গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতা ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে দেশ শোষক মুক্ত হয়েছে। তাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এদেশের মাটি ও পতাকাকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।’
উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর সাঈদ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাউবির সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওপেন স্কুলের অধ্যাপক ড. চেঙ্গীশ খান এবং বাউবির বিভিন্ন স্কুলের ডিন, শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, ‘২৫ বছর চাকুরিপূর্তিতে ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ ও অবসর প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭নং আইন) এর ৪৪ ধারা ও ৪৫ ধারাসমূহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও বলবৎ হবে। সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় গত নভেম্বর ০৩, ২০২৪ এ বিধানাবলী সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের সিনেট হলে সিনেট অধিবেশনে চেয়ারম্যানের অভিভাষণে তিনি একথা বলেন।
সিনেট অধিবেশনে বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে ড. আমানুল্লাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর শিক্ষার মানোন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তাঁর সভাপতিত্বে সিনেটের এ অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষা কার্যক্রমে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন করতে কারিকুলাম যুগোপযোগীকরণ ও সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান ও সঠিক উন্নয়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। গৃহীত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে- শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, চাকরীচ্যুতদের পুনর্বহালের উদ্যোগ, সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার, ২৫ বছর চাকুরিপূর্তিতে অবসর প্রদান, বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ (বডি) পুনর্গঠন, ব্যয় সংকচোন ও অপচয় রোধ, সত্যানুসন্ধান কমিটি (Truth Finding Committee) গঠন, আর্থিক কর্মকাণ্ডের অডিট পর্যালোচনা, কলেজ গভর্নিং বডি পুনর্গঠন, অধিভুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কার্যক্রম, জমি অধিগ্রহন ও মডেল ক্যাম্পাস স্থাপনের পরিকল্পনা, ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ভূমি বরাদ্দ, সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ইন্সটিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা, আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, অনার্স কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুকরণ, অন-ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগ্রামের রুলস রেগুলেশন নিরীক্ষণের জন্য কমিটি গঠন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের থিসিস মূল্যায়নে দেশের সুযোগ্য অধ্যাপকদের সাথে আন্তর্জাতিক অধ্যাপকদের সংযুক্তিকরণ, রেগুলার মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর, সেশনজট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ, নার্সিং কোর্স এবং বিভিন্ন স্কিল বেইজড টেকনিক্যাল এন্ড ট্রেড কোর্স পরিচালনা ও সংযোজন, কলেজ মনিটরিং এর জন্য KPI নির্ধারণ, কলেজ র্যাংকিং, জেলাভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন, শিক্ষা বৃত্তি, মডেল কলেজ, অধ্যক্ষ সম্মেলন ২০২৪, কলেজ ডিরেক্টরি, ভাইস-চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশন গঠনের পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।’
‘প্রিলিমিনারি মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১ম শ্রেণীর চাকরি আবেদনের ব্যবস্থা, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ, সকল পরীক্ষা EMS সিস্টেমের আওতায় আনা, কলেজ শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার কার্যক্রম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কার্যক্রম, বাংলাদেশ চেয়ার প্রতিষ্ঠা, সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম, আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫, আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ এবং ডিরেক্টরি করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে’- বললেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এছাড়াও এই অধিবেশনের ভাষণে তিনি স্মরণ করেন জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের অকুতোভয় শহীদদের। তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ কখনো শোধ হবে না। এ অভ্যুত্থানে নিহত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শহীদদের স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখতে, অধিভুক্ত কলেজেসমূহে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য ট্রাস্ট গঠন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন বা স্থাপনা শহিদ আবু সাইদ ও শহিদ মীর মুগ্ধ’র নামে নামকরণসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও অধিভুক্ত কলেজসমূহে শহিদ শিক্ষার্থীদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং কলেজ অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নামকরণসহ স্মৃতিকর্ম উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে গণ অভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ০৩ লক্ষ টাকা চেক প্রদান করা হয়েছে এবং আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করা হয়েছে।’
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিজিএমই) ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিজিএমইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএসসির সিলেবাসের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্ন থাকবে, প্রতিটি প্রশ্নে এক নম্বর থাকবে, মোট ১০০ নম্বর। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন হবে- জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০।
ভর্তি পরীক্ষার সময় হবে এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য এক করে নম্বর দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সমস্যা সমাধানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অস্থায়ী উদ্যোগের পরিকল্পনায় এগিয়ে এসেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করতে এ ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে স্থায়ী হল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে আবাসিক সুবিধা পাবেন।
মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম ওই এমওইউতে সই করেন।
পরে আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিকভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করব। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার-দাবারসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১০০ কম্পিউটার নিয়ে একটি ল্যাব থাকবে। আগামী বছরের এপ্রিল মাস থেকেই আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করব।’
প্রাথমিকভাবে ছেলেদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অচিরেই মেয়েদের জন্যেও হলের ব্যবস্থা করব। কারণ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অভিভাবকরা বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি। সেক্ষেত্রে অন্যান্য দাতা প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করলে বিষয়টি আরও সহজ হবে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘অস্থায়ী আবাসনে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরাই জায়গা পাবে। তবে হলের ভেতরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত রাখার চেষ্টা করব আমরা।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন থেকে শুরু করে হল সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এগুলো সমাধানে ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ঝুলে আছে। ছয় বছরেও নির্মাণ কাজের তেমন অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার দাবি জানায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাতে সায় দিলেও এখনো বিষয়টি সুরাহা হয়নি। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে অস্থায়ী উদ্যোগের চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাসা ভাড়া নিয়ে আবাসন সংকটের সমাধান ও পুরনো জেলখানার পাশের জমিতে ভবন নির্মাণে দাতা খোঁজার পরিকল্পনার কথাও এর আগে বলেছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম।
আস-সুন্নাহর সঙ্গে এমওইউ সইয়ের পর উপাচার্য বলেন, আমাদের অন্যতম পরিকল্পনা ছিল কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। অর্থাৎ তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধান করা যায় কিনা।
আজকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এগিয়ে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তির শর্ত মোতাবেক আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একমত হয়েছি। এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
জগন্নাথের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবাসনের যে ব্যবস্থা করছে, তা প্রশংসার। তবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে প্রশাসনের তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না।’
এমওইউ সইয়ের অনুষ্ঠানে জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক আনোরুস সালাম, ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের শতভাগ ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৩৫০ টাকায় নিজস্ব ল্যাবে এই টেস্ট করা হবে। ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে আবাসিক হলের সিট বাতিল হবে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে চবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ডোপ টেস্ট হলো একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির শরীরে নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য বা অন্যান্য মানসিক উদ্দীপক পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত এই পরীক্ষা রক্ত, মূত্র, লালারস বা চুলের নমুনা ব্যবহার করে করা হয়।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকাগুলো একটা সময় মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর হলে আসন বরাদ্দ দিয়েছি। আসন বরাদ্দের সময় বলেছিলাম আবাসিক শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। তখন ডোপ টেস্ট করে হলে উঠাতে পারিনি, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে দেরি হবে এ জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ডোপ টেস্ট করার কথা ছিল কিন্তু, সেখানে খরচ অনেক বেশি। আমরা প্রাথমিকভাবে নিজস্ব ল্যাবে টেস্ট করার পরিকল্পনা করেছি। এজন্য আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের এই টেস্টের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে কোনো শিক্ষার্থীর টেস্ট পজিটিভ হলে আমরা তার হলের আসন বাতিল করব, বাকি শাস্তি দেশের আইন অনুযায়ী হবে।’
তিনি আরও বলেন, শুধু শিক্ষার্থীরাই না- এখানের নিরাপত্তাকর্মীসহ অনেকেই মাদকাসক্ত। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।
ডোপ টেস্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আগামী ১২ তারিখ আমরা এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করব। আমরা কাজটি আমাদের শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত প্রমাণিত করার জন্য করছি না বরং, সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজটি করছি। আমরা মাদক থেকে শিক্ষার্থীদের উত্তরণের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডোপ টেস্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।
হল অনুযায়ী ডোপ টেস্টের তারিখ
এ এফ রহমান হল ১২, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর; আলাওল হল ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর; শহীদ আব্দুর রব হল ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর; মাস্টার দা সূর্যসেন হল ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর; শাহ আমানত হল ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর; সোহরাওয়ার্দী হল ৩০, ৩১ ডিসেম্বর ও ১, ২ জানুয়ারি; শাহজালাল হল ৩, ৪, ৫ ও ৬ জানুয়ারি এবং শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল ৭ জানুয়ারি।
আসন্ন এসএসসি ২০২৫ ব্যাচের জন্য সাইফুরস আয়োজন করতে যাচ্ছে ইংশিল এক্সাম চ্যালেঞ্জ। দেশজুড়ে সাইফুরস- এর প্রতিটি শাখায় আয়োজন করা হয়েছে এ প্রতিযোগতামূলক ইংরেজি পরীক্ষাটি।
দুই পর্বে ভাগ করা হয়েছে পরীক্ষাগুলোকে। প্রথম পর্বে চারটি এবং ২য় পর্বে ২টি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় ৬ দিনেই এসএসসি ইংরেজির প্রস্তুতি আসবে হাতের মুঠোয়।
প্রথম পর্বে সাইফুরস- এর প্রতিটি ব্রাঞ্চে অনুষ্ঠিত চারটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে প্রথম, ২য় এবং ৩য় স্থান অর্জনকারীর প্রত্যেকেই পাবে নিশ্চিত সব পুরস্কার।
আর ২য় পর্বের দুটি পরীক্ষায় অশগ্রহণকারীদের মধ্যে দেশসেরা তিন বিজয়ী ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান অর্জনকারীদের জন্য রয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব এবং স্মার্টফোন।
দেশসেরা ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীরাও পাবে অন্যান্য স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস।
কোনো রেজিষ্ট্রেশন ফি ছাড়াই প্রতিযোগিতাটিতে একদম ফ্রিতে অংশ নেওয়া যাবে।
রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে ssc.saifur’s.com.bd.
সারা দেশের যে কোনো স্থান থেকে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময় ৮ জানুয়ারী ২০২৫।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তিতুমীর কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাই’ কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকালে তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রিলি মাস্টার্স ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন রাব্বী। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে যে কমিটি হয়েছে সেটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। কমিটি প্রকাশের পর ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তিতুমীর কলেজে এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে। কমিটি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটির বিষয়ে ৩ দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে পরবর্তী কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে বাধ্য হব।’
রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আবদুল হামিদ বলেন, ‘গত ১৮ নভেম্বর আলোচনায় মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পারে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা প্রকাশে তালবাহানা শুরু করা হয়। এর প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতেই আবার রাস্তায় নামে। পরবর্তীতে রাতেই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয় এবং তারা এটি নিশ্চিত করেন যে ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বসে আমাদের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
১৯ নভেম্বর তারা আমাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ আলোচনায় সিদ্ধান্ত আছে যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি পৃথক কমিটি হবে এবং এই কমিটি গঠনের জন্য ৭ দিন সময়ের কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।’ যোগ করেন তিনি।
আবদুল হামিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সব কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। আমরা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ৭ দিন ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করি। কিন্তু ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কমিটি করার বিষয়ে কোনো আপডেট আমাদের দেয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করি কিন্তু বারবারই বলা হয় কমিটি করার প্রক্রিয়া চলমান, অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা করতে করতে ৭ দিন পার হয়ে যায়।
সময় শেষ হওয়ার পর তারা শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত সহকারী মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, কমিটি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অনুলিপি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই অনুলিপি এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। মন্ত্রণালয়ের এমন দোদুল্যমান সিদ্ধান্তে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যথিত।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের আগামীকাল মঙ্গলবারের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের চতুর্থ বর্ষের স্নাতক পরীক্ষার সময়সূচি থেকে মঙ্গলবারের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। স্থগিত করা পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া পূর্বঘোষিত সময়সূচির অন্যান্য পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে।
গতকাল রোববার ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ ক্যাম্পাসে হামলায় অবকাঠামোগত বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর এ কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে যে ক্ষতি হয়েছে সেখানে ক্লাস করারও পরিস্থিতি নেই। সব কলেজে একই পরীক্ষা। একটি কলেজে পরীক্ষা না নেওয়া গেলে সাতটি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে।