বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফিরল জবি

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:২৬
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:২৪

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২৫ থেকে স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন শিক্ষার্থী নেবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আজ সোমবার এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভর্তি কার্যক্রম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ও ইউনিটসমূহ গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

উপাচার্য জানান, পাঁচটি ইউনিট হলো এ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের জন্য), বি ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদের জন্য), সি ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের জন্য), ডি ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য) এবং ই ইউনিট (চারুকলা অনুষদের জন্য)।

উপাচার্য রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আমরা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব, স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবো। এজন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসও ঠিক হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে।’

উপাচার্য বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি স্থায়ী কোনো পদ্ধতি না। সেখানে আমাদের থাকার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। আমরা আমাদের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, পূর্বের মতাে নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খুব দ্রুতই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে।

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সে দাবির প্রেক্ষিতে সভায় উপস্থিত সম্মিলিত সদস্যের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা চালু হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শুরু থেকেই নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির অভিযোগ উঠছিল।

এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সাল থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরার জন্য আন্দোলন করছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপ্রতির অভিপ্রায়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থেকে যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।


তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে চলার সময় এটা না। আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমাদের চলতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়টির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম, এখনকার তরুণদের মতো এত বুদ্ধিমান বা সমৃদ্ধ ছিলাম না। কিন্তু এখনকার তরুণরা সবকিছু জানে, চেনে। এখনও আমি তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে শিখছি, তারাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। আমরা একসাথে থেকে কাজ করতে পারলে অবশ্যই এগিয়ে যাবো।’ সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির প্রতি সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, ‘উচ্চমানের নারী শিক্ষার বিস্তারই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা চেষ্টা করি যেন আমাদের ছাত্রীরা এমনভাবে তৈরি হয়ে বের হবেন, যেন তারা জীবনে স্বাবলম্বী হয়ে সম্মানিত একটা পেশায় থাকতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল, তা পূরণে তারা অনেকখানি সফল হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে।’

উপাচার্য ড. পারভীন হাসান বলেন, ‘শিক্ষা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু শিক্ষাদান নয়, পেশাগত জীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সবসময় সহযোগিতা করছে।’

ট্রেজারার ড. আহমেদ আবদুল্লাহ জামাল বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপারসন হাসান শিরাজী, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার বিভাগের চেয়ারপারসন আবদুস সেলিম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন শাহনাজ পারভীন, সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ইউজিসির চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, নারীদের উচ্চশিক্ষায় অবদান রাখতে ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।


এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণ, ফল ১৪ নভেম্বর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল আগামী ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে। আজ শুক্রবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে। সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে ওই দিন খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে।

প্রতি বছরই এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা তা পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ পান। গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়। যা চলে গত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের পত্র প্রতি ১৫০ টাকা ফি দিতে হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধু ওই বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ ছিল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় যে বিষয়গুলোয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল সে বিষয়গুলোয় ফল পুনর্নিরীক্ষণ করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, নিন্দা প্রকাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

সমাজবিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় টেলিফোনে হত্যার হুমকি দেয়।

এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষীমহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কমিটি গঠনে শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তিতুমীর কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাই’ কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকালে তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রিলি মাস্টার্স ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন রাব্বী। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে যে কমিটি হয়েছে সেটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। কমিটি প্রকাশের পর ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তিতুমীর কলেজে এসে সরেজমিনে পরিদর্শন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে। কমিটি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটির বিষয়ে ৩ দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে পরবর্তী কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে বাধ্য হব।’

রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আবদুল হামিদ বলেন, ‘গত ১৮ নভেম্বর আলোচনায় মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পারে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা প্রকাশে তালবাহানা শুরু করা হয়। এর প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতেই আবার রাস্তায় নামে। পরবর্তীতে রাতেই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয় এবং তারা এটি নিশ্চিত করেন যে ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বসে আমাদের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

১৯ নভেম্বর তারা আমাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ আলোচনায় সিদ্ধান্ত আছে যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি পৃথক কমিটি হবে এবং এই কমিটি গঠনের জন্য ৭ দিন সময়ের কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।’ যোগ করেন তিনি।

আবদুল হামিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সব কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। আমরা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ৭ দিন ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করি। কিন্তু ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কমিটি করার বিষয়ে কোনো আপডেট আমাদের দেয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করি কিন্তু বারবারই বলা হয় কমিটি করার প্রক্রিয়া চলমান, অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা করতে করতে ৭ দিন পার হয়ে যায়।

সময় শেষ হওয়ার পর তারা শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত সহকারী মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, কমিটি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অনুলিপি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই অনুলিপি এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। মন্ত্রণালয়ের এমন দোদুল্যমান সিদ্ধান্তে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যথিত।’


সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের আগামীকাল মঙ্গলবারের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের চতুর্থ বর্ষের স্নাতক পরীক্ষার সময়সূচি থেকে মঙ্গলবারের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। স্থগিত করা পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া পূর্বঘোষিত সময়সূচির অন্যান্য পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে।

গতকাল রোববার ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ ক্যাম্পাসে হামলায় অবকাঠামোগত বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর এ কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে যে ক্ষতি হয়েছে সেখানে ক্লাস করারও পরিস্থিতি নেই। সব কলেজে একই পরীক্ষা। একটি কলেজে পরীক্ষা না নেওয়া গেলে সাতটি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে।


শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জাহিদুল হককে হত্যার হুমকিদাতা ও তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে মানববন্ধন, চিত্রাঙ্কণ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় হুমকিদাতাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বহিষ্কার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশ্বজিৎ ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি জানান তারা।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষকরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে যোগ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্যাসিস্টদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক জাহিদ মরে গেলে লক্ষ জাহিদ ঘরে ঘরে’সহ নানা শ্লোগান দেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, কীভাবে একজন কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গুলি করে মারার হুমকি দেয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকবো। যারা হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। ছাত্র আন্দোলনে সে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলো এটা কি তার অপরাধ? অভিযুক্ত কাজী মনির ও হুমকিদাতা সালাউদ্দিন মোল্লা স্পষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী ছিলো। এখন সে বাইরে বসে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী অতুল রায় বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসররা বিদেশে পালিয়েছেন। পালিয়েও আমাদের হুমকি দেয়। শিক্ষকদের হুমকি দেয়া মানে আমাদের ছাত্র আন্দোলনকে হুমকি দেয়া। জবিতে ফ্যাসিস্ট আমলের যারা রয়ে গেছে তাদের আমরা খুঁজে বের করবো এবং সব অভিযুক্তদের যেকোনো মূল্যে আইনের আওতায় আনতে চাই। জবি প্রশাসন আমাদের পূর্ণ সহায়তা করবে আশাকরি। প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে আমরা সব ক্লাস বর্জন করবো।

প্রিন্ট মেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ বলেন, আমাদের স্নেহভাজন জাহিদুল হককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরও। আমরা ব্যথিত বোধ করছি, এজন্য এখানে দাঁড়িয়েছি।

ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সুমন বলেন, আমাদের যে কলিগের উপরে হত্যার হুমকি এসেছে সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন জাতীয় অংশীজন। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে তার চিন্তা সবসময় ছিলো। আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষেও তার শক্ত ভূমিকা ছিল।

চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন আলপ্তগীন তুষার বলেন, আজ আমরা ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষকরা সম্মিলিত হয়েছি শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল হককে হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িত সকল দুর্বৃত্তদের বহিষ্কারের দাবিতে। উনিও শিক্ষক আমিও শিক্ষক। আজ জাহিদকে হুমকি দিয়েছে কাল আমাকে দিবে।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এই শিক্ষক। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানায়ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।


বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা হাতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম সামা টিভি গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর- সৌহার্দ্যের অংশ হিসেবে ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সূত্র সামা নিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার এ বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন। স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে।

এদিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আগেও শিক্ষা-বিষয়ক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল। তবে এটি অনেক দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে আবারও এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে অন্যান্য খাতেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে এসে নোঙর করে একটি পণ্যবাহী জাহাজ।


অটোরিকশার ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল 

মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাবি প্রতিনিধি 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অটোরিকশার ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী (৫৩ ব্যাচ) আফসানা করিম রাচি নিহতের ঘটনায় রিকশা চালককে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বটতলা এলাকা ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে নিহত আফসানা করিমের স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালনের পর সেখানে একটি সমাবেশ করেন তারা।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘হত্যাকারীর কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ বিচার চাই বিচার চাই, রাচি হত্যার বিচার চাই’, তুমি কে আমি কে, রাচি রাচি’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কি করে’, ‘অটোরিকশার সিন্ডিকেট, ভেঙ্গে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘লাশের উপর রাজনীতি, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল এগারোটি। কিন্তু সেই দাবিগুলোর মধ্যে কিছু কিছু দাবি রয়েছে যেগুলো প্রক্রিয়া শেষ হতে একটু বেশি সময় লাগবে। এজন্য আমরা রাচিকে ধাক্কা দেওয়া ঘাতক রিকশা চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ আওতায় আনার এক দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছি। আমরা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েকবার গিয়েছি। আমরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামও দিয়েছিলাম কিন্তু প্রশাসন এখনো পর্যন্ত খুনিকে শনাক্ত করতে পারেনি। আমরা কালকে যখন উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলাম তখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। আমরা উপাচার্যের কাছে গিয়ে আমাদের দাবিগুলো উত্থাপনের পর তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন এবং আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করার ব্যবস্থা করেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘাতক রিকশা চালকে আইনের আওতায় না আনবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। তবে আমরা উপাচার্যকে দুই দিন সময় দিতে চাই। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামী রোববার থেকে আমরা পূনরায় কর্মসূচী রাখব।’

এসময় মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুন নিসা মীম বলেন, ‘আমরা আজকে রাচির হত্যাকারীকে শনাক্ত করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের এক দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছি। রাচির হত্যাকারীকে শনাক্ত করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিব না।’


বেগম রোকেয়ার গ্রাফিতিতে কালো রং দেওয়া শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়েছেন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের সামনে বেগম রোকেয়ার গ্রাফিতিতে কালো রং দিয়ে চোখ-মুখ ঢেকে দেন হলটির এক শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। পরে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে পাঠান হল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হলটির প্রাধ্যক্ষ নাসরিন সুলতানা।

বুধবার প্রাধ্যক্ষ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীকে ডেকেছিলাম। একজন সাইকোলজিস্টও সঙ্গে ছিলেন। আমরা মেয়েটার সঙ্গে কথা বলে কিছু অসংলগ্ন কথাবার্তা পেয়েছি। কথা বলার পর মেয়েটি তার ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন। গ্রাফিতিটিকে তিনি আগের মতো আবার ঠিক করে দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বেগম রোকেয়ার গ্রাফিতিতে কালো রং দেওয়ার ঘটনাটি সামনে আসে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্যরা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করেন।


৭ কলেজে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে আলাদা করে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বুধবার ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি থেকে ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলোকে আলাদা করে একটি স্বতন্ত্র-প্রাতিষ্ঠানিক রূপ কীভাবে দেওয়া যায় সে জন্য একটি কমিটি করেছিলাম। এ কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন অতি শিগগিরই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে যাচ্ছি। যারা এই কলেজগুলোকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।’ এসময় উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কলেজগুলোকে কীভাবে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যায়, তাদের সুযোগ-সুবিধা, অবকাঠামো-কীভাবে আরও বাড়ানো যায় এবং সেগুলোকে কি করে সমন্বিত রূপ দেওয়া যায়, সেটার নাম তোমাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দেওয়া হবে। মনে রেখো, যে নামই দাও না কেন-আসল কথা হলো তোমাদের শিক্ষার মানের উন্নতি, শিক্ষায় বৈষম্য রোধ করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘নামকরণ তোমরা যা ইচ্ছে দাও, মনে রেখ লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস স্কুল না, এমআইটিও ইনস্টিটিউট না। কাজেই তোমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে কি নাম দেবে, সেটা তোমরাই ঠিক করবে।’ শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যে কমিটি গঠন করা হবে, তাদের কাজ তোমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাবে। এটার জন্য বসে থেকে লাভ হবে না। কারণ আমাদের সময় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। আমরা এখন থেকেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে সেগুলোর কাজ শুরু করব। যাতে তোমাদের জন্য সবচেয়ে একটা সম্মানজনক একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’

বর্তমানে প্রচলিত একাডেমিক কার্যক্রম যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে যারা অনার্স বা এমএতে অধ্যয়ন করছে, তাদের পড়াশোনা যেন কোনোভাবেই বিঘ্ন না হয়। বরং যে অসুবিধাগুলো আছে তা সমাধানে এখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। তাদের অনুরোধ করব যে, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে যে অসুবিধা আছে সেগুলো দূর করতে।’ রাস্তা অবরোধ নিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের স্বল্প সময়ে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করে রেখে যেতে চাই। যাতে ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে এটা নিদর্শন হিসেবে থাকে। তোমাদের কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে জানিও। তবে আর রাস্তা অবরোধ নয়, বিশৃঙ্খলা নয়। আমরা শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’


নিয়োগযোগ্য ছাত্র গড়ার তালিকায় নেই বাংলাদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ফরাসি পরামর্শক ফার্ম ইমার্জিংয়ের জরিপে ‘গ্লোবাল এমপ্লোয়েবিলিটি ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং অ্যান্ড সার্ভে (জিইইউআরএস ২০২৫)’ বিশ্বের সেরা ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রতিবেশী ভারতের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে। এ ছাড়া এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, জাপান, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার অন্তত একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ২৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।

মূলত নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন চাহিদার ওপর জরিপ চালিয়ে ‘জিইইউআরএস ২০২৫’ তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এটি করেছে ফ্রান্সের পরামর্শক ফার্ম ইমার্জিং। এতে উঠে এসেছে, যেসব গ্র্যাজুয়েটের আগে থেকেই কাজের কিছু অভিজ্ঞতা আছে তাদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে থাকে কোম্পানিগুলো।

ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবার আগে আছে আইআইটি দিল্লি। এটির র‌্যাঙ্কিং ২৮ নাম্বার। এ ছাড়া সেরা ১০০ এর মধ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (৪৭তম), আইআইটি বোম্বে (৬০তম) জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকায় বিশ্বের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, স্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটোন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজ।

তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবুধাবি বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৪তম), সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৭তম)। তালিকায় এশিয়া মহাদেশের মধ্যে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় সেরা অষ্টম স্থানে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর নবম স্থানে এবং চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় ১১তম স্থানে।

মধ্য ইউরোপের মধ্যে একমাত্র চেক প্রজাতন্ত্রের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় অব প্রাগ তালিকার ২০৬তম স্থানে রয়েছে। পূর্ব ইউরোপের মধ্যে যুক্তরাজ্যের যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় (পঞ্চম), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (সপ্তম), লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজ (দশম), জার্মানির টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অব মিউনিখ (১৩তম), সুইজারল্যান্ডের ইটিএই জুরিখ (১৭তম), স্পেনের আইই বিশ্ববিদ্যালয় (২০তম) স্থানে রয়েছে।

তালিকায় দক্ষিণ আমেরিকার মেক্সিকোর মন্টেরি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন (৬৮তম), ব্রাজিলের বিশ্ববিদ্যালয় অব সাও পাউলো (৯২তম) স্থানে জায়গা পেয়েছে।


জিরো টু পিচ হিরো: মাস্টারিং বিজনেস কম্পিটিশন শীর্ষক কর্মশালা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বায়নের এই যুগে বিজনেস এডুকেশনে কেইস স্টাডি নির্ভর শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্সের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের স্কলার্স বিজনেস ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘জিরো টু পিচ হিরো: মাস্টারিং বিজনেস কম্পিটিশন’ শিরোনামে একটি তথ্যবহুল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা কর্মশালাটি সঞ্চালনায় ছিলেন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আফরোজা আক্তার সাদিয়া ও জেনারেল মেম্বার মোবাশ্বেরা মৌলী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডীন ও সহযোগী অধ্যাপক রাশেদ চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক এস.এম নাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মু: মকসুদ আলী (সহযোগী অধ্যাপক), সাদিয়া শারমিন (সহকারী অধ্যাপক), ড. মুহাম্মদ আবু হাসনাত (সহকারী অধ্যাপক), উম্মে নুসরাত উর্মি (সহকারী অধ্যাপক) ও মো: সজীব মোল্লা (সহকারী অধ্যাপক)। এছাড়াও বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিবিএ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জনাব নূর-এ-আলম মিশাদ ও এমবিএ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জনাব রেজওয়ান উল হক অভি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডীন ও সহযোগী অধ্যাপক রাশেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের বিজনেস কেইসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক এস.এম নাহিদুল ইসলাম ব্যবসায় প্রশাসনের ডিগ্রী অর্জনের পাশাপাশি বিজনেসের নানাবিধ প্রবলেম সলভিং স্কিল শিক্ষার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিজনেস ক্লাবের সঙ্গে সদা সম্পৃক্ত থেকে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেকো ইশো ভেঞ্চার ক্যাপিটালের তারিফ মোহাম্মদ খান (হেড অফ কমিউনিকেশনস এবং ন্যাশনাল স্টার্ট আপ মেন্টর ও কোচ, এক্সেলারেটিং বাংলাদেশ)।

আয়োজনটির প্রথমার্ধে তারিফ মোহাম্মদ খান কেইস স্টাডি নিয়ে প্রাথমিক ধারণা দেন। তিনি বিজনেস কেইস, আইডিয়া কেইস, হ্যাকাথন কেইস ও সিমুলেশন বেইজড কেইস স্টাডি পদ্ধতি নিয়ে আলোকপাত করেন। কর্মশালায় কিছু প্রায়োগিক সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের কেইস সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে কোশল শেখানো হয়। তিনি নতুন প্রজন্মকে ব্যবসায়ের স্কিলফুল কেইস সমাধানের পদ্ধতি শিখনে উৎসাহিত করেন।

পরবর্তীতে দেশের কিছু শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত বিজনেস কেইস কম্পিটিশনে অংশগ্রহণে উৎসাহমূলক বক্তব্য রাখেন। বিজনেস কম্পিটিশন নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয় ও কেইস সমাধানের কিছু কৌশল শিক্ষা দেয়া হয়। তিনি কেইস সমাধানের প্রস্তুতির বিভিন্ন পর্যায়ে প্রেজেন্টেশনে স্টোরি টেলিং, টিম ওয়ার্ক, পাবলিক স্পিকিং ও প্রবলেম সলভিং স্কিলের উন্নয়নে জীবনমুখী সুবিধাসমূহ নিয়ে জানান।

অনুষ্ঠান শেষে আলোচককে ক্রেস্ট, সম্মাননা উপহার ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।


এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর

ফি বেড়েছে ১০০ টাকা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। জরিমানা ছাড়া এ প্রক্রিয়া চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার প্রতি বিভাগে (বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক) পরীক্ষার্থীদের ফি গত বছরের (২০২৪ সাল) তুলনায় ১০০ টাকা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের তথ্যসংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ১ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার সময় ১০ ডিসেম্বর। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি বা জরিমানা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ১১-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে। জরিমানাসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিলম্ব ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর।

সব বিভাগে ফি বেড়েছে ১০০ টাকা

বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফি দিতে হবে ২ হাজার ২৪০ টাকা। গত বছর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফি ছিল ২ হাজার ১৪০ টাকা। অর্থাৎ ফরম পূরণ ফি ১০০ টাকা বেড়েছে। একইভাবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এবার ফি ১০০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ১২০ টাকা করা হয়েছে, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় যা ছিল ২ হাজার ২০ টাকা। বোর্ড জানিয়েছে, ফরম পূরণের এ ফির মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা, কেন্দ্র ফিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিলম্ব ফি নিতে পারবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। তাছাড়া পরীক্ষা যখনই হোক না কেন, নবম ও দশম শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৪ মাসের বেশি সময়ের বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।

ঢাকা বোর্ডে এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

এদিকে গতকাল ২০২৪ সালের এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের খাতা পুনর্নিরীক্ষণে এক হাজার ৩১৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণে এবার আবেদন করেছিলেন ৫৯ হাজার ৬৭৮ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১ হাজার ৩১৯ শিক্ষার্থীর জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন ২১৩ জন। অনুত্তীর্ণ একজন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পরীক্ষা ফলাফলের পর গত ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা নেয় শিক্ষা বোর্ড।


banner close