মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
২৭ কার্তিক ১৪৩২

আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে কাজ করছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি

উত্তরা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস।
আপডেটেড
৩ মে, ২০২৫ ১৩:২৫
আবু সুফিয়ান
প্রকাশিত
আবু সুফিয়ান
প্রকাশিত : ৩ মে, ২০২৫ ১৩:১৩

দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার লক্ষ্যে ও বৈশ্বিক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। শুরুতে ২টি স্কুল বা অনুষদের অধীনে ২টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি স্কুল বা অনুষদের অধীনে ১৪টি ডিপার্টমেন্টে ৪০টি প্রোগ্রাম চালু আছে। শুরু থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব জব ওরিয়েন্টেড ও প্রফেশনাল বিভাগ চালু আছে সেগুলো হচ্ছে- বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ফ্যাশন ডিজাইন, ইইই, সিএসই, আইন, ম্যাথ, ফিজিক্স, এডুকেশন, বাংলা, ইংরেজি, ইসলামিক স্টাডি ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগ। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যেন প্রতিযোগিতায় নিজেদের চৌকস প্রমাণ করতে পারে সেজন্য শুরু থেকে মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ৯টি সমাবর্তন শেষ করেছে। এ ইউনিভার্সিটি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে।

প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য, যাদের প্রায় সবাই স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম. আজিজুর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ডিপার্টমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রিও লাভ করেন। বিশ্ব ব্যাংকের বৃত্তি নিয়ে তিনি আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে আমেরিকার ভ্যান্ডারভিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তিনি ৩০ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ইউএস অ্যাম্বাসির ইউএসএইডে ইকোনোমিক অ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ড. এম আজিজুর রহমান উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর। শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গবেষক, সুলেখক ও সমাজসেবী প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা হচ্ছেন এ ইউনিভার্সিটির বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও এমএড এবং ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ভিশন ও মিশন:

এক্সিলেন্স ইন হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ -এই স্লোগানকে সামনে রেখে গবেষণায় বেশি জোর দিচ্ছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। এ ইউনিভার্সিটির ভিশন বা সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং আদর্শ নাগরিক, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও আলোকিত মানুষ সৃষ্টিকরণ।

উত্তরা ইউনিভার্সিটি জীবনঘনিষ্ঠ ও নৈতিক শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শুধু জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই আদর্শ নাগরিক সৃষ্টি হয় না। তাই উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধ সম্পর্কেও দীক্ষা দেওয়া হয়।

স্থায়ী ক্যাম্পাস:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হচ্ছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সকল নিয়মনীতি মেনে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উত্তরা মডেল টাউনের থার্ড ফেইজ সংলগ্ন, প্রায় ৬ বিঘা জমির ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ হয়েছে। ৯ তলা ভবনের এ ক্যাম্পাস দেখে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে। ভবনের গঠনশৈলী এতটাই আধুনিক, সবদিক থেকেই আলো-বাতাস ভবনের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ, যেখানে প্রতিনিয়ত নানা আয়োজন ও উৎসব চলতে থাকে। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর এই ক্যাম্পাস! চারপাশে সবুজে ঘেরা আর ক্যাম্পসের পাশ ঘিরে তুরাগ নদী বহমান। মূল ভবন দক্ষিণামুখী হওয়াতে প্রতিনিয়ত দখিনা বাতাস প্রবহমান এই ক্যাম্পাসে। লাল কৃষ্ণচূড়ার শামিয়ানা আর শুভ্র কাশফুলের দোলাসহ বিভিন্ন ঋতুর প্রকৃতি এখানে দৃশ্যমান!

যাতায়াত ব্যবস্থা:

আধুনিক রাজধানী ঢাকার উত্তরায় সুবিশাল ভবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত আসা-যাওয়া করতে পারে। এমনকি আশপাশে জেলা গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল থেকে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। আর মেট্রোরেল স্টেশন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব সন্নিকটে হওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয় না অভিভাবককে।

শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন:

বর্তমানে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ১৪টি বিভাগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার কাজেও ব্যাপক জোর দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব পলিসি রিসার্স স্থাপন করেছে। শুরু থেকেই মানসম্পন্ন শিক্ষাকে সামনে রেখেই এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার অভ্যন্তরীণ গুণগতমান উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

সমৃদ্ধ ও আধুনিক লাইব্রেরি:

শুরু থেকেই এই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার সেবা দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে আসছে। সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে গ্রন্থাগার। দৈনিক সংবাদপত্র ও রেফারেন্স বই পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য গ্রন্থাগারে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ২৫টি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় নিয়মিত। গ্রন্থাগারে রয়েছে লক্ষাধিক বই এবং জার্নাল-ম্যাগাজিন আছে প্রায় ১০ হাজার। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের সহায়ক সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে গবেষণা প্রতিবেদন, ই-রিসোর্সের বিশাল সম্ভার, বিশ্বকোষ, অভিধান, হ্যান্ডবুক, ম্যানুয়েল ও এনজিও প্রকাশনা। ব্যবহারকারীরা ই-বুক, ই-জার্নাল ও ই-ম্যাগাজিন পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারেন। গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগসহ কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ। গ্রুপ স্ট্যাডি করার জন্য রয়েছে একাধিক বিশেষ কক্ষ। শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে না এসেও যেকোনো বইয়ের শিরোনাম, লেখক, কল নম্বর, কি-ওয়ার্ড ও প্রকাশক অনুযায়ী খুঁজতে পারেন ই-লাইব্রেরির সুবাদে। গ্রন্থাগারে শিক্ষকদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যবস্থাপনা।

গবেষণা ও প্রকাশনা:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিটি বিভাগই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফ্যাকাল্টিদের গবেষণা প্রবন্ধ দেশি ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি অনুষদ থেকে জার্নাল প্রকাশ করা হয় এবং গবেষণায় বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয় শিক্ষকদের। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিতভাবে জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে বিজনেস রিভিউ, আইন বিভাগ থেকে ল’ জার্নাল নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক অনুষদে রিসার্চ সেল গঠিত হয়েছে, যেখানে গবেষণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রজেক্ট পরিচালনা করা হয়। প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরামণ্ডলী বিদেশে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ে পড়ালেখা করতে যাচ্ছে। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গবেষণাকে উৎসাহিত করতে অভ্যন্তরীণ গবেষণা তহবিল গঠন, মানসম্মত গবেষণার জন্য ইনসেনটিভ প্রদান ও গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশে সহায়তা করে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি শুধু ডিগ্রি প্রদানের জন্যই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে না বরং ইউনিভার্সিটি প্রশাসন এবং শিক্ষকরা চেষ্টা করছেন মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে।

এমওইউ ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম:

শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও শিক্ষকদের জ্ঞানচর্চা আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যাবশ্যক। তাই উত্তরা ইউনিভার্সিটি যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ড শ্যায়ার ইউনিভার্সিটি ও অরচেস্টার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সহযোগিতার স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কর্তৃপক্ষ কানাডার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া উত্তরা ইউনিভার্সিটি সাম্প্রতিককালে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, আসাম ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছরই উত্তরা ইউনিভার্সিটি বিজনেস কনফারেন্সের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে যেখানে আমেরিকা, জাপান ও ভারতসহ দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে রয়েছে এমওইউ ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। যার ফলে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ।

সম্মাননা ও সাফল্য:

মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার স্বীকৃতি হিসেবে এ ইউনিভার্সিটি সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘দা বিজ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ (হংকং), এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, ২০১২, (দিল্লি), এশিয়াস বেস্ট বিজনেস অ্যাওয়ার্ড, সিঙ্গাপুর, ২০১৩, এশিয়ান সিইএফ বিজনেস স্কুল অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ (মুম্বাই), ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ ও ২০১৫ (আইন বিভাগ) অন্যতম।

সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশে ক্লাব এবং ফোরাম:

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও বাজার উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউইউতে ১২টি ক্লাব ও ১৪টি বিভাগের প্রায় ১৪টি বিভাগীয় ফোরাম রয়েছে। এসব ক্লাব ও ফোরাম বছরজুড়েই জাতীয়পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এ ছাড়া পিঠা উৎসব, বসন্তবরণ, চৈত্রসংক্রান্তি, শিক্ষামেলা ও পাঠচক্রসহ জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো বিশেষভাবে পালিত হয় এখানে। উচ্চশিক্ষার নিরন্তন পরিবেশ থাকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে। অরাজনৈতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় নেই কোনো দ্বন্দ্ব, নেই ক্লাস বন্ধ হওয়ার চিন্তা, নেই সেশন জটের ভয়।

শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ:

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে প্রতি বছর তিনবার অর্থাৎ স্প্রিং, ফল ও সামার সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপ।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী, নারী, জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়, জুলাই-বিপ্লবে আহত ও নিহতদের নিকটাত্মীয়দের জন্য রয়েছে বিশেষ স্কলারশিপ।

দক্ষ মানবসম্পদ ও গ্র্যাজুয়েটদের সফলতা:

সুযোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। দেশের অন্যতম এই বেসরকারি বিদ্যাপীঠটি শিক্ষা, গবেষণা ও বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি অর্জনের সুযোগই দিচ্ছে না, বরং তাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় উপযুক্ত করে তুলছে। ফলে এখানে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডার, জুডিশিয়াল সার্ভিস, আইন পেশা, ব্যাংক খাত, রপ্তানিমুখী শিল্প, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, এনজিও এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার গড়তে পারছেন। পাশাপাশি, টেক্সটাইল ও ইলেকট্রনিক শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, সফটওয়্যার ফার্ম, ই-কমার্স ও স্টার্টআপ জগতে তারা দক্ষতার সঙ্গে অবদান রাখছেন। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতেও রয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের গৌরবজনক উপস্থিতি। অনেকে আবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নিজস্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ গড়ে তুলে আত্মনির্ভরশীল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। শিক্ষকতা পেশায়ও তারা অবদান রাখছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বৈচিত্র্যময় কর্মসংস্থান ও পেশাগত সাফল্যই প্রমাণ করে উত্তরা ইউনিভার্সিটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়- এটি একটি দক্ষ মানবসম্পদ নির্মাণের কারখানা।

উচ্চপর্যায়ে কৃতিত্ব:

উত্তরা ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগের ছাত্ররা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে অংশগ্রহণ করে সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় একাধিকবার প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কৃতী ছাত্রী মাহফুজা খাতুন শীলা জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা ২০১৬-তে জোড়া স্বর্ণপদক বিজয়ী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেছেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিনিতা সুপ্রিয়া মিজান ত্রপী ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬-তে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছেন। ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান শরীফ তেল ও গ্যাসবিহীন একটি মোটরযান উদ্ভাবন করেছেন, যা সোলার এনার্জিতে মাত্র ১০ টাকা খরচে সারা দিন চালানো যায়। প্রায় সব অনুষদ এবং বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী নানা সৃজনশীল কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে শিক্ষার পরিবেশকে এক আনন্দঘন পরিবেশে পৌঁছে দিয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি সুদক্ষ প্রশাসন এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা।

স্বতন্ত্র ক্যাফে ও উন্নতমানের ক্যান্টিন:

শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র ক্যাফে ও উন্নতমানের ক্যান্টিন। সকাল-সন্ধ্যা সুস্বাদু খাবার মেলে সহজেই। ক্যাফেটোরিয়াটি শিক্ষার্থীদের প্রিয় আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে সকালের নাশতা থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার এবং ক্লাসের ফাঁকে চা-কফিতে সতেজতা খুঁজে নেয়। উন্নতমানের খাবার, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও স্বল্পমূল্যের কারণে ক্যাফেটোরিয়াটি শিক্ষার্থীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আড্ডা, পাঠচর্চা কিংবা হালকা বিশ্রাম- সব কিছুতেই ক্যাফেটোরিয়ার ভূমিকা অনন্য।

বক্তব্য

মো. আদনান রহমান, পিএইচডি

অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, স্কুল অব বিজনেস

ডিরেক্টর, ব্র্যান্ড, কমিউনিকেশন অ্যান্ড পিআর

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক উচ্চশিক্ষা পরিবেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ড ইমেজ তার সামগ্রিক সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখে। সেই ভাবনাকে সামনে রেখে উত্তরা ইউনিভার্সিটি চালু করেছে নতুন মিডিয়া ক্যাম্পেইন ও আধুনিক প্রচারণা কৌশল। শুধু পাঠ্যক্রম নয়, আজকের শিক্ষার্থীরা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ, পরিবেশ, অ্যালামনাই সাফল্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতা। এসবই একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ডের উপাদান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য হলো বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের গল্প তুলে ধরা। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন আমাদের বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গল্প থেকে অনুপ্রেরণা পায়। এভাবেই আমরা বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মানবিক সংযোগ তৈরি করতে পারব। আমরা ইউটিউব, ফেসবুক এবং লিংকডইন-এর মতো প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়। বিশেষ করে ভিডিও কনটেন্ট এবং ইন্টারেক্টিভ পোস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ছে।

উত্তরা ইউনিভার্সিটি ভবিষ্যতে আরও ডেটাচালিত মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির দিকে এগোচ্ছে। আমরা এআই ও অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের চাহিদা বুঝে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের দৃশ্যমানতা বাড়াতে কাজ করছি। সঠিক ব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেবল শিক্ষার্থী আকর্ষণই করে না বরং সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তাও পৌঁছে দিতে পারে।

ড. শাহ আহমেদ

অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ

ডিরেক্টর, অফিস অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স

উত্তরা ইউনিভার্সিটি

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বমানের পড়ালেখার জন্য আমরা বিশ্বমানের সিলেবাস তৈরি করেছি। ইউজিসির নিয়ম মেনে আমাদের দেশের সেরা ইউনিভার্সিটির সিলেবাস ও বিশ্বের টপ ইউনিভার্সিটির সিলেবাসকে সমন্বয় করে এমন একটা উন্নতমানের সিলেবাস তৈরি করেছি যাতে আমাদের ছাত্ররা এই সিলেবাসের ভিত্তিতে দেশে ও বিদেশে চাকরি পেতে পারে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলগুলো গুরুত্বসহকারে শেখানো হয়। এতে চাকরির বাজারে অন্যদের থেকে তারা বেশি এগিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় যে শিক্ষাসেবা প্রদান করে থাকে, সে তুলনায় ছাত্রদের শিক্ষা ব্যয় অত্যন্ত কমই মনে হয়। প্রচুর ল্যাব আছে, লাইব্রেরিতে হাজার হাজার বই, কো-কারিকুলার কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক মানের ক্লাসরুম, লজিস্টিক্স সাপোর্ট, ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়াসহ সব সুবিধা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। আমাদের উত্তরা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথমসারির ইউনিভার্সিটির মধ্যে অন্যতম।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট গবেষণা ফান্ড আছে। সে ফান্ড নিয়ে শিক্ষকরা বিভিন্ন ফিল্ডে রিসার্স করেন। নতুন নতুন নলেজ, নতুন নতুন থিওরি আবিষ্কার করেন। তবে ফ্যাকাল্টিকে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার পরে প্রজেক্ট এক্সেপ্ট হওয়ার পরে সেই ফান্ডটা দিয়ে থাকে। এক কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে রিসার্স ফান্ড পেতে হয়।

শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় অদ্বিতীয়। এ ইউনিভার্সিটির চারদিক প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা, শহরের কোলাহল মুক্ত, নির্ভেজাল পরিবেশে সুন্দর অবকাঠামোতে গড়ে উঠেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। ঢাকা ও এর আশপাশে জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সেবা চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়:

নওগাঁয় ১,৩৭৪টি স্কুলে পাঠদান বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

দশম গ্রেড বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে নওগাঁয় বিদ্যালয়গুলোতে চলছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। ফলে জেলার ১ হাজার ৩৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। রোববার সকালে বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়- শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে এসে এসেম্বলি ও নাম প্রেজেন্ট করে ক্লাস না নিয়ে নিজেদের রুমে অবস্থান নেয়। কেউবা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ থাকায় কোনো কোনো শিক্ষার্থী মাঠে খেলাধুলা করছে। আবার কেউ কেউ পাঠদান বন্ধ থাকায় ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক বা বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই হিসাবে মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি আছে পরীক্ষার। এমন সময়ে শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নামায় এবং সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকরা ও শিক্ষার্থীরা।

নওগাঁ পৌর এলাকার হাট-নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন- দশম গ্রেড বাস্তবায়ন ও শাহবাগে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিদ্যালয়টির ১০ জন শিক্ষক উপস্থিত হয়ে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে তারা তাদের সংগঠনের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা না পেয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় কর্মবিরতি পালন করছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন- জেলায় ১ হাজার ৩৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ হাজার ৫০০ শিক্ষক কর্মরত আছেন। পাঠদান কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি আন্দোলনের নামে কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিএমইউতে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত

*তীব্র স্ট্রোক কেয়ারের রূপান্তর ও পরবর্তী প্রজন্মের নিউরোইন্টারভেনশন পরিষেবার বিকাশে নতুন দিগন্ত *স্ট্রোক বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, স্ট্রোক প্রতিরোধ, স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বিরাট ভূমিকা রাখবে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)তে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক কনফারেন্স ২০২৫ আজ ৯ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক কনফারেন্স স্ট্রোক বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, স্ট্রোক প্রতিরোধ, তথ্য বিনিময়, আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। আন্তর্জাতিক এই কনফারেন্স উপলক্ষে ‘জরুরি স্ট্রোক কেয়ারের রূপান্তর ও বিএমইউতে পরবর্তী প্রজন্মের নিউরোইন্টারভেনশন পরিষেবার বিকাশ (Transformation of Acute Stroke Care and Development of Next Generation Neurointervention services in BMU)’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ছিল ‘স্ট্রোকের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া’। যেখানে বিশেষজ্ঞরা স্ট্রোক এখনো বাংলাদেশে মৃত্যু ও অক্ষমতার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর বেশিরভাগই প্রতিরোধযোগ্য। বিএমইউ এর নিউরোলজি বিভাগের উদ্যোগে শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইউর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম। সভাপতিত্ব করেন সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। উক্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম, এনআইএনএসএন্ডএইচ এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, বিএইচআরইউটি এর পরিচালক (মেডিক্যাল এডুকেশন) অধ্যাপক গিডিঅন মালাওয়া (Prof. Gideon Malwa)। স্বাগত বক্তা ছিলেন নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ বাহাদুর আলী মিয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএমইউর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক কনফারেন্স স্ট্রোক চিকিৎসার ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে বিএমইউতে স্ট্রোকের সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। আজকের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি দেশের স্ট্রোকের উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।

অন্য বক্তারা স্ট্রোকের ম্যানেজমেন্ট, প্রতিরোধ, মাল্টি ডিসিপ্লিনিয়ারি ও কোলাবরেটিভ এপ্রোচ ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এই সম্মেলন ছিল মূলত গণসচেতনতা বৃদ্ধি, সময়োপযোগী চিকিৎসা হস্তক্ষেপ, জীবনধারার ইতিবাচক পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। বিশেষজ্ঞরা জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে অগ্রগতি সত্ত্বেও জনসচেতনতা এখনো অনেক কম। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনো স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে পারেন না, ফলে সাহায্য চাইতে দেরি হয় এবং অনেক রোগী বাঁচার সুযোগ হারান। তারা বলেন, স্ট্রোক এর ক্ষেত্রে FAST সংক্ষিপ্ত রূপটি সবার জানা থাকা উচিত। যেমন মুখ ঝুলে পড়া (Face drooping), বাহু দুর্বলতা (Arm weakness), কথা বলতে অসুবিধা (Speech difficulty), জরুরি পরিসেবায় দ্রুত ফোন করা (Time to call emergency services)। প্রাথমিকভাবে এই রোগ সনাক্তকরতে পারলে জীবন এবং মস্তিষ্ক দুটোই বাঁচায়। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে প্রতি মিনিটই মূল্যবান। বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সময়মতো শুরু করা গেলে রোগীর জীবন ও মস্তিষ্ক রক্ষা করা সম্ভব। দেশের রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা দিতে সক্ষম এমন বিশেষায়িত স্ট্রোক কেয়ার সেন্টার দেশের প্রতিটি অঞ্চলে গড়ে তোলা এখন সময়েরই দাবি।

সম্মেলনে বিশেষজ্ঞগণ জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ৮০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য বলে উল্লেখ করেন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পরিহার এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা মোকাবিলায় সম্প্রদায়-স্তরের হস্তক্ষেপ করা জরুরি। স্ট্রোক প্রতিরোধের শিক্ষা স্কুল থেকে কর্মক্ষেত্র, এমনকি নগর পরিকল্পনা পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সম্মেলনে বক্তারা বিশ্বব্যাপী গাইডলাইন সমন্বয়, তথ্য বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ-এর ওপর জোর দেন। বৈশ্বিক সহযোগিতা ছাড়া স্ট্রোক প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে স্ট্রোক কেয়ার ব্যবস্থার রূপান্তর এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের নিউরোইন্টারভেনশন পরিষেবার বিকাশে এই সম্মেলন নতুন এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

সম্পাদনা: ডা. সাইফুল আজম রঞ্জু। ছবি: মোঃ আরিফ খান। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।


বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা, বিপাকে এক কোটি শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রবিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতির কারণে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজারেরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে গেলেও শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ রেখেছেন। ফলে ক্লাস না করেই শিক্ষার্থীদের ফিরে যেতে হচ্ছে।

এর আগে শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ-এর আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

শনিবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো শিক্ষক ‘দশম গ্রেডে’ বেতন ও পদোন্নতির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে তারা ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ পালনের অংশ হিসেবে শাহবাগের দিকে পদযাত্রা করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা।

শিক্ষক নেতারা জানান, সংঘর্ষের সময় পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহতদের মধ্যে অনেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকজন শিক্ষক নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর সমন্বয়ক শামসুদ্দিন মাসুদ অভিযোগ করেন, “বিনা উসকানিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। বহুবার আলোচনায় বসেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এবার প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরব না।”

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপিও একই সুরে বলেন, “সরকারের সঙ্গে বহুবার আলোচনার পরও আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব।”

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে চারটি শিক্ষক সংগঠন এই আন্দোলন পরিচালনা করছে। তাদের মূল তিন দাবি হলো—

১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেলে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ,

২. ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান,

৩. সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির সুযোগ প্রদান।

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।


সুনামগঞ্জে হোসেন আলী ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পেল ৫৬ শিক্ষার্থী

সুনামগঞ্জে হোসেন আলী ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতরা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রতি বছরের মতো এবারও হোসেন আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ফাউন্ডেশনটি ২০২২ সাল থেকে মেধাবৃত্তি দিয়ে আসছে। এ বছর ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৬ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৬৬ জন শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির আওতায় বৃত্তি পেয়েছিল। শনিবার বিকেলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বৃত্তি বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা ইউসুফ আহমদ এবং উপদেষ্টা আব্দুল হালিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল কালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্বীনি সিনিয়র ফাজিল মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী নূর ও নর্থ ইস্ট আইডিয়াল কলেজের প্রভাষক রাশিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইয়াকুবিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল। এছাড়া সমাজসেবক, শিক্ষক, চিকিৎসক ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন। এ সময় বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা ও অনুপ্রেরণা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই বৃত্তি কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


মাগুরায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা পেল বাইসাইকেল

মাগুরায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা জেলা পরিষদের অর্থায়নে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে এ উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় ৩৮টি বিদ্যালয়ের ২৭০ জন শিক্ষার্থী এ সহায়তা পায়। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে স্কুলব্যাগ ও টিফিন বক্স, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯০ জন শিক্ষার্থীকে ব্যাগ, টিফিন বক্স ও জুতা এবং ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল কাদের, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান খান।

অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ বলেন, গাছকে যেমন যত্নে পরিচর্যা করলে সুন্দর ফুল ও ফল পাওয়া যায়, তেমনি শিক্ষার্থীদের যত্নে গড়ে তুললে তারা ভবিষ্যতে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, এই শিক্ষার্থীরাই একদিন দেশের হাল ধরবে। তারা যেন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে এবং পড়াশোনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, আমরা সে আশা করি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ছিলেন।


প্রাথমিকে ১০২১৯ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ হাজার ২১৯টি সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আবেদন শুরু হবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ২১ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর প্রার্থীরা নিয়ম মেনে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এতে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। টেলিটক প্রি-পেইড নাম্বার দিয়ে ফি পরিশোধ করা যাবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সসীমা

সহকারী শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেড। জাতীয় বেতনস্কেল-২০১৫ অনুযায়ী, এ পদের বেতন ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা। এ পদটিতে আবেদন করতে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর তারিখে প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স হবে ৩২ বছর।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীরা dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আনলাইনে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণের নির্দেশনা পাবেন। নির্দেশনা অনুসরণ করে অনলাইনে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করলে ইউজার আইডিসহ আনপেইড স্ট্যাটাস সম্পন্ন ড্রাফটস অ্যাপ্লিকেন্টস কপি তৈরি হবে, যা প্রিন্ট করে আবেদনের তথ্য যাচাই করতে হবে।

আবেদন ফি জমা দেওয়ার আগে ড্রাফটস অ্যাপ্লিকেন্টস কপি একাধিকবার পড়ে প্রার্থী তার দেওয়া তথ্যের যথার্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে তার বিপরীতে আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে না এবং বিজ্ঞপ্তির ২ নম্বর শর্ত অনুসরণ করে নতুন করে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে নতুন ইউজার আইডি সংবলিত আনপেইড স্ট্যাটাস সম্পন্ন ড্রাফটস অ্যাপ্লিকেন্টস কপি প্রিন্ট নিয়ে পুনরায় প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে হবে।

নির্ভুলভাবে পূরণকৃত অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের বিপরীতে প্রদত্ত ইউজার আইডি ব্যবহার করে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ড্রাফটস অ্যাপ্লিকেন্টস কপিতে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক যে কোনো টেলিটক প্রি-প্রেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে অফেরতযোগ্য ১০০ টাকা আবেদন ফি এবং টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

ফি পরিশোধের পর আবেদনে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনকারীকে ইউজার আইডিসহ একটি পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এরপরে dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেন্টস ট্যাবে ক্লিক করে মোবাইলে প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সাবমিট করে পেইড স্ট্যাটাস সম্পন্ন ফাইনাল অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাওয়া যাবে।

ফাইনাল অ্যাপ্লিকেন্টসের রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কেবল আবেদন ফি পরিশোধের পরেই আবেদনটি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য হবে। আবেদনে আর কোনো তথ্য সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন বা একই প্রার্থীর নতুনভাবে অ্যাপ্লিকেশন পূরণের সুযোগ থাকবে না।

আবেদনকারীর জন্য আরো যেসব শর্ত

বিবাহিত নারী প্রার্থীরা আবেদনে তাদের স্বামী অথবা পিতার স্থায়ী ঠিকানার যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে এ দুটি স্থায়ী ঠিকানার মধ্যে তিনি যেটি আবেদনে উল্লেখ করবেন, তার প্রার্থিতা সেই উপজেলা/শিক্ষা থানার জন্য বিবেচিত হবে।

অসত্য/ভুয়া তথ্য সংবলিত/ত্রুটিপূর্ণ/অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রার্থী কর্তৃক দাখিলকৃত/প্রদত্ত কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে যে কোনো পর্যায়ে বা নিয়োগপ্রাপ্তির পরেও অসত্য/ভুয়া প্রমাণিত হলে তার দরখাস্ত/নির্বাচন/নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং মিথ্যা/ভুয়া তথ্য সরবরাহ করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত/প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা/শিক্ষা থানাভিত্তিক নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী যে উপজেলা/ শিক্ষা থানার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি সে উপজেলা/ শিক্ষা থানার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। আবেদনে নিজ জেলা, থানা/উপজেলা ভুল করলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী নিজ উপজেলা/শিক্ষা থানায় চাকরি করতে হবে। তার বদলি নিজ উপজেলা/শিক্ষা থানার বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে সীমিত থাকবে।

ধূমপানসহ যে কোনো ধরনের মাদক গ্রহণের অভ্যাস থাকলে তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে চারটি বিষয়ে। সেগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও অন্তর্জাতিক বিষয়াবলি)। এ চারটি বিষয়ে মোট ৯০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

বাংলা ও ইংরেজিতে ২৫ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বর এবং গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও অন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর করে মোট ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষা হবে ১০ নম্বরের।

৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর (মোট নম্বরের ৫০ শতাংশ) হবে ৪৫ নম্বর। আর মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর (১০ এর মধ্যে ৫০ শতাংশ হিসাবে) হবে ৫ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় ৯০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য সময় নির্ধারিত নয়।


জাবি দর্শন বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন সভাপতি শাহরিয়ায় সাধারণ সম্পাদক রাসেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ২০২৫-২০২৬ কার্যকরী পরিষদের সভাপতি হিসেবে বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মতলুবর রহমান রাসেল নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্প্রতি (১৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ মুনির হোসেন তালুকদার বিভাগের এক সাধারণ সভায় ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।

কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, সেলিনা আফরোজ ছবি, মোঃ জাকির হোসেন, কে এম আজমল হোসেন আজাদ, আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ (সুবিন), মোঃ রাশিদ উল মুনির এবং আব্দুর রাজ্জাক মনোনীত হন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন মোঃ আহসান হাবীব, রাফিয়া আক্তার রানু, মোঃ মাহমুদুল হক মনা, মোঃ ইকবাল মাহমুদ (রাসেল), আশরাফুল হক শান্ত, মোঃ হাসিবুল আলম শুভ, এ টি এম মাহফুজুর রহমান মামুন এবং শেখ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শুভ।

এছাড়া কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোঃ আব্দুস সাত্তার জয়, সহঃ কোষাধ্যক্ষ মোঃ সামছুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাশেদ মানন রুবেল, মোঃ ফিরোজ পাশা ফাইন এবং হাবিবুর রহমান রতন।

দপ্তর সম্পাদক শওকত হোসাইন মৃদু, সহঃ দপ্তর সম্পাদক হুমায়ের জিদান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলকামা আজাদ, সহঃ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক তমো জহুরুল, সহঃ ক্রীড়া সম্পাদক ফারুক হোসেন, সহঃ তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সাদিয়া রহমান সেঁজুতি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, সহঃ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মৃত্তিকা দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার রিবন এবং সহঃ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন আক্তার।

কার্যকরী সদস্যরা হলেন: রানা মহির, মোঃ ফেরদৌস হোসেন শোয়েব, মোঃ গাউসুল আজম গিয়াস, নুসরাত খান নিশো, ফরিদ মিয়া আরমান, দূরবিন সুমন, মোঃ সায়েদুজ্জামান চয়ন, বদরুল আলম সুমন, মহসিন মিয়া, নূর ইসলাম সরকার দুলাল, মোহাম্মদ আশরাফ সিদ্দিক, আশরাফুল আলম মিরাজ, শরীফ মাহমুদ, বি এম তারিকুজ্জামান তরু, মাসুদ হিমু, কামরুজ্জামান সোহাগ, মোঃ নাজমুল হাসান, টিপু সুলতান, পিকুল হোসেন, জোবায়ের আহমেদ।

সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এবং প্রধান উপদেষ্টা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মুনির হোসেন তালুকদার।

এছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে আছেন নিখিল চন্দ্র দত্ত, অধ্যাপক ড. মোঃ মনজুর ইলাহী, আশিষ কুমার মজুমদার, মোঃ ফজলুর রহমান, ফরিদ আহমেদ, রেজাউল ইসলাম রেজা, অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যপক মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর, প্রিন্সিপাল মাহফুজা তুহিন, অধ্যাপক ড. এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, মিনহাজ আহমেদ ভূইয়া, শামীমা ইয়াসমিন, অধ্যাপক মোঃ জহির রায়হান, রুহুল আমিন কুতুব উদ্দিন, জোবায়ের বাবু, অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মেহেদী জামিল, অধ্যাপক ড. মোঃ শওকত হোসেন, অধ্যাপক আরিফা সুলতানা এবং অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ।


ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে স্কুলের ৭ শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ১১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। হঠাৎ একসঙ্গে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে একে একে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে আসে এবং অ্যাসেম্বলি শেষে ক্লাসে ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পরেই একে একে শিক্ষার্থীরা বমি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হতে থাকে। এতে বিদ্যালয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও গুরুতর অবস্থায় সাতজনকে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানান, সবাই বিদ্যালয়ের পানি পান করেছিলেন। এরপরেই তারা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন।

তবে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনারকলি বেগম এবং প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াস আলী জানান, মুখরোচক খাবার খাওয়া ও খালি পেটে দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ে থাকার কারণেও এমনটা হতে পারে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা গেছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।’

এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।


ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য নতুন কাঠামোর আহবান আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলের

আপডেটেড ৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাস্টিস ফর অল-এর বার্মা টাস্ক ফোর্স নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল আজ ঢাকার গোল্ডেন টিউলিপ - দ্য গ্র্যান্ডমার্ক হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি সুসংহত, স্বীকৃত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কাঠামো গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
বক্তারা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের চলমান চ্যালেন্জগুলো এবং শিক্ষার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
মূল বক্তারা:
-নাদিন মাঞ্জা
সাবেক চেয়ার,মার্কিন যুক্তরোষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (USCIRF)
কো-চেয়ার ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রাউন্টটেবিল (ওয়াশিংটন,ডিসি);
চেয়ার,ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল এনগেজমেন্ট(IGE)

-রিচার্ড রিওচ
চেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ওয়াকিং গ্রপ অন শ্রীলঙ্কা;
সাবেক মুখপাত্র,অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল;
সহ-প্রতিষ্ঠাতা,বেীদ্ধ হিউম্যানিটারিয়ান প্রজেক্ট

-সামীর হোসেন
প্রতিষ্ঠাতা,পাথফাউন্ডার পলিসি স্ট্র্যাটেজিস (ওয়াশিংটন,ডিসি)
সাবেক নীতিনির্ধারণ পরামর্শক,হোয়াইট হাউস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (রোহিঙ্গা ও উইঘুর সংকট বিষয়ে)

-ইমাম আব্দুল মালিক মুজাহিদ
চেয়ার,বার্মা টাস্ক ফোর্স ইউএসএ;
প্রেসিডেন্ট,জাস্টিস ফর অল (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা);
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও প্রযোজক;
প্রতিষ্ঠাতা,মুসলিম নেটওয়ার্ক টিভি
এই প্রতিনিধিদল, যেটি বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও নীতিনির্ধারণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে বহু বছরের গবেষণা ও সাম্প্রতিক মাঠ পরিদর্শনের ভিত্তিতে তাদের মূল সুপারিশ উপস্থাপন করে। তারা মাননীয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক স্মারকলিপিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ওপর জোর দেয়:

১. রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য একটি একীভূত জাতীয় নীতিমালা নির্দেশনা জারি করা;

২. একটি স্বীকৃত সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত করবে;

৩. মার্কিন মুসলিম ত্রাণ সংস্থাগুলোকে শিক্ষা উদ্যোগে অবদান রাখার সুযোগ দেওয়া, যাতে বিপুল পরিমাণ দাতব্য সম্পদ ও দক্ষতা কাজে লাগানো যায়।

“বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে পরিমাণ সহানুভূতি দেখিয়েছে, তা বিশ্বের আর কোনো দেশ দেখায়নি,” বলেন ইমাম আবদুল মালিক মুজাহিদ, জাস্টিস ফর অল-এর সভাপতি ও বার্মা টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান। “এখন সময় এসেছে পরবর্তী সেতু নির্মাণের—শিক্ষা। একটি সুসংহত ও স্বীকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যেন রোহিঙ্গা শিশু, বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত না হয়।”

প্রতিনিধিদলের অনুসন্ধান ১,০০০ রোহিঙ্গা নারীর ওপর করা জরিপ, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসকদের সঙ্গে বিস্তৃত পরামর্শ এবং একাধিক শিবিরে স্কুল পরিদর্শনের ওপর ভিত্তি করে। গবেষণায় দেখা যায়, রোহিঙ্গা স্কুল-যুগের জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ নারী হলেও তাদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত।

“কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে আমার সফরের সময় আমি এমন পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেছি যারা জানে, শিক্ষাই তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের চাবিকাঠি,” বলেন নাদিন মানজা, যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (USCIRF)-এর সাবেক চেয়ার। “বাংলাদেশের জন্য শিবিরে শিক্ষা প্রদান কেবল মানবিকতার কাজ নয়—এটি একটি কৌশলগত বিনিয়োগ। অশিক্ষিত প্রজন্ম নির্ভরতা ও অনিরাপত্তা বাড়াবে,কিন্তু শিক্ষিত প্রজন্ম শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উভয় দেশের (বাংলাদেশ ও বার্মা) জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে অবদান রাখতে পারে।”

“শিক্ষা হলো গণহত্যার ভয়াবহতার মধ্যে বন্দি তরুণদের পুনরুদ্ধারের জীবনরক্ষাকারী পথ,” বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্য রিচার্ড রিওচ, যিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর সাবেক মুখপাত্র। “যেভাবে তাদের খাদ্য ও পানির প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রয়োজন শিক্ষা থেকে পাওয়া মানসিক যত্ন ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ। আমরা এ শিক্ষা বিশ্বজুড়ে অর্জন করেছি—শিক্ষাই তাদের নতুন জীবনের পাসপোর্ট। রোহিঙ্গা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিবেদন আমাদের দেখিয়েছে, তাদের সন্তানদের শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারই সেই দৃঢ় মনোবলের প্রতিফলন, যা গণহত্যাও নিভিয়ে দিতে পারেনি।”

প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়, বিশেষ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (RRRC) দপ্তরকে, উন্মুক্ত সংলাপ ও মাঠপরিদর্শনে সহায়তার জন্য। তারা কমিশনার মিজানুর রহমান-এর প্রশংসা করেন, যিনি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা, জাতিসংঘ সংস্থা ও এনজিওগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের নতুন পথ অনুসন্ধানে।

ইমাম মুজাহিদ বলেন,
“জাস্টিস ফর অল প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করতে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বার্ষিক দানশীলতা রোহিঙ্গা শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে কাজে লাগে এবং কোনো শিশুই যেন পিছিয়ে না থাকে।”

জাস্টিস ফর অল – বার্মা টাস্ক ফোর্স সম্পর্কে

জাস্টিস ফর অল একটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। এর বার্মা টাস্ক ফোর্স রোহিঙ্গাদের অধিকারের জন্য নীতি প্রভাব, আইনগত জবাবদিহিতা এবং মানবিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করে। গত এক দশকে সংস্থাটি কংগ্রেসে নীতি প্রচার, আইসিসিতে (ICC) মামলা উপস্থাপন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণহত্যা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় প্রচারণা চালিয়েছে।

আমেরিকান মুসলমানদের সম্পর্কে

আমেরিকায় প্রায় ৫০ লাখ মুসলমান বাস করেন। তাদের রয়েছে ৩,০০০-এর বেশি মসজিদ এবং ৫০০-এর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবছর যাকাত ও সদকার মাধ্যমে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার দান করেন।


পবিপ্রবিতে আরটিসির উদ্যোগে ট্রেনিং কোর্সের সনদ বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পবিপ্রবি প্রতিনিধি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (RTC) ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সের অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত মঙ্গলবার কৃষি অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে এ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (RTC) পরিচালক প্রফেসর ড. মামুন উর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরটিসির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. বেলাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে ‘Machine Learning for Innovation and Optimization in Agri-Food Supply Chain’ এবং ‘Intensive English Program (IEP)’ শীর্ষক দুটি ওপেন কোর্সের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ড. মামুন উর রশিদ বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মেশিন লার্নিং কোর্সটি যেভাবে সাজানো হয়েছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের একাডেমিক কার্যক্রম ও গবেষণা আরও তরান্বিত করতে পারবে। পাশাপাশি ল্যাংগুয়েজ কোর্সটি শিক্ষার্থীদের ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে এমন দক্ষতাভিত্তিক কোর্স আরও চালুর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের জন্য মেশিন লার্নিং ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের এই প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুললে ভবিষ্যতের কৃষি হবে আরও টেকসই, উদ্ভাবননির্ভর ও প্রতিযোগিতামূলক।’

আয়োজনে কোর্স কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. তাকিবুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গির কবির সরকার, ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর বদিউজ্জামান, শিক্ষক সুলতানা জাহান এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইমাদুল হক প্রিন্সসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

মাত্র ১০ ও ১৬ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঝিনাইদহ আল-কলম হিফয মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী। তাদের এই অসাধারণ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুরস্কার হিসেবে ওমরাহ হজে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। হিফজ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা হলেন মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা (১১) ও তানভীর মাহমুদ ইফাদ (১১)। মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা ঝিনাইদহের আল-কলম হিফয মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তিনি ২০২৪ সালের মে মাসে হিফজ শুরু করেন এবং অসুস্থতা জনিত কারণে চার মাস বিরতি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করেন। তার বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উপশহর পাড়ায়। পিতা মিয়া মোহাম্মদ হাসান জাকির একজন ব্যবসায়ী। অন্য শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ ইফাদ একই মাদ্রাসার ছাত্র। তিনি ১৬ মাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে সাফল্যের সাথে তা শেষ করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের পিতা কে. এম. তিতুর ছেলে তিনি।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদাণ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, ইসলামী ফাউন্ডেশনে উপপরিচালক রেজাউল করিম, আল-কলম ফাউন্ডেমনের চেয়ারম্যান শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো কোরআন হিফজ করা অত্যন্ত কঠিন ও বিরল অর্জন। এই দুই শিক্ষার্থীর অধ্যবসায় ও মনোযোগ অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

মাদ্রাসার পরিচালক শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানবলেন, ‘তাদের এই অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ওমরাহ হজে পাঠানো হবেÑযাতে তারা আল্লাহর ঘরে গিয়ে শুকরিয়া আদায় করতে পারে।’ এই অর্জনে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে।


লাকসামে স্কুল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার লাকসামে শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজরা রহমানিয়া চিরসবুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের জায়গা দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা–চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিজরা বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিজরা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি প্রায় ১৩ শতক জায়গা ব্যবহার করে আসছে, যা বিএস ও আরএস রেকর্ডে বিদ্যালয়ের মালিকানায় রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবুল খায়ের বলেন, প্রায় ৭০ বছর ধরে এই জায়গাটি বিদ্যালয়ের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করে। কিছু ভূমিদস্যু যারা ইতোমধ্যে বাজারের অনেক জায়গা দখল করেছে, এখন স্কুলের জায়গায় চোখ দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি বিদ্যালয়ের জমি যেন কোনোভাবেই দখল না হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, এই বিদ্যালয় আমাদের গর্বের প্রতীক। আমি আমার জীবন দিয়েও বিদ্যালয়ের জায়গা রক্ষা করব। কোনো চক্রকে স্কুলের সম্পত্তি দখল করতে দেওয়া হবে না।

অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে কোনোভাবেই দখলদারদের স্বার্থ হাসিলের সুযোগ দেওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, বিজরা রহমানিয়া চিরসবুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ লাকসাম উপজেলার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে।


ফেসবুকে বিকৃত ছবি, অশালীন মন্তব্য: ঢাবি শিক্ষিকা মোনামির মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করা এবং অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া (মোনামি)। গতকাল সোমবার দুপুরে শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সাইবার ইউনিট আশ্বাস দিয়েছে, পরবর্তী সময় কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী ছবি বা ভিডিও বিকৃত করাসহ যেকোনো সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে।
মামলায় ওই শিক্ষিকার এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন ও আশফাক হোসাইনের (ইভান) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে শেহরীন আমিন ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ক্রমাগত আমার ছবি এডিট করে অশালীনভাবে পোস্ট করা হচ্ছে এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন উল্লেখ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শেহরীন আমিন ভূঁইয়া।


banner close