দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার লক্ষ্যে ও বৈশ্বিক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। শুরুতে ২টি স্কুল বা অনুষদের অধীনে ২টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি স্কুল বা অনুষদের অধীনে ১৪টি ডিপার্টমেন্টে ৪০টি প্রোগ্রাম চালু আছে। শুরু থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব জব ওরিয়েন্টেড ও প্রফেশনাল বিভাগ চালু আছে সেগুলো হচ্ছে- বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ফ্যাশন ডিজাইন, ইইই, সিএসই, আইন, ম্যাথ, ফিজিক্স, এডুকেশন, বাংলা, ইংরেজি, ইসলামিক স্টাডি ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগ। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যেন প্রতিযোগিতায় নিজেদের চৌকস প্রমাণ করতে পারে সেজন্য শুরু থেকে মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ৯টি সমাবর্তন শেষ করেছে। এ ইউনিভার্সিটি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচিতি:
উত্তরা ইউনিভার্সিটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য, যাদের প্রায় সবাই স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম. আজিজুর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ডিপার্টমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রিও লাভ করেন। বিশ্ব ব্যাংকের বৃত্তি নিয়ে তিনি আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে আমেরিকার ভ্যান্ডারভিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তিনি ৩০ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ইউএস অ্যাম্বাসির ইউএসএইডে ইকোনোমিক অ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ড. এম আজিজুর রহমান উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর। শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গবেষক, সুলেখক ও সমাজসেবী প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা হচ্ছেন এ ইউনিভার্সিটির বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও এমএড এবং ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ভিশন ও মিশন:
এক্সিলেন্স ইন হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ -এই স্লোগানকে সামনে রেখে গবেষণায় বেশি জোর দিচ্ছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। এ ইউনিভার্সিটির ভিশন বা সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং আদর্শ নাগরিক, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও আলোকিত মানুষ সৃষ্টিকরণ।
উত্তরা ইউনিভার্সিটি জীবনঘনিষ্ঠ ও নৈতিক শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শুধু জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই আদর্শ নাগরিক সৃষ্টি হয় না। তাই উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধ সম্পর্কেও দীক্ষা দেওয়া হয়।
স্থায়ী ক্যাম্পাস:
উত্তরা ইউনিভার্সিটির একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হচ্ছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সকল নিয়মনীতি মেনে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উত্তরা মডেল টাউনের থার্ড ফেইজ সংলগ্ন, প্রায় ৬ বিঘা জমির ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ হয়েছে। ৯ তলা ভবনের এ ক্যাম্পাস দেখে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে। ভবনের গঠনশৈলী এতটাই আধুনিক, সবদিক থেকেই আলো-বাতাস ভবনের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ, যেখানে প্রতিনিয়ত নানা আয়োজন ও উৎসব চলতে থাকে। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর এই ক্যাম্পাস! চারপাশে সবুজে ঘেরা আর ক্যাম্পসের পাশ ঘিরে তুরাগ নদী বহমান। মূল ভবন দক্ষিণামুখী হওয়াতে প্রতিনিয়ত দখিনা বাতাস প্রবহমান এই ক্যাম্পাসে। লাল কৃষ্ণচূড়ার শামিয়ানা আর শুভ্র কাশফুলের দোলাসহ বিভিন্ন ঋতুর প্রকৃতি এখানে দৃশ্যমান!
যাতায়াত ব্যবস্থা:
আধুনিক রাজধানী ঢাকার উত্তরায় সুবিশাল ভবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত আসা-যাওয়া করতে পারে। এমনকি আশপাশে জেলা গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল থেকে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। আর মেট্রোরেল স্টেশন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব সন্নিকটে হওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয় না অভিভাবককে।
শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন:
বর্তমানে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ১৪টি বিভাগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার কাজেও ব্যাপক জোর দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব পলিসি রিসার্স স্থাপন করেছে। শুরু থেকেই মানসম্পন্ন শিক্ষাকে সামনে রেখেই এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার অভ্যন্তরীণ গুণগতমান উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সমৃদ্ধ ও আধুনিক লাইব্রেরি:
শুরু থেকেই এই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার সেবা দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে আসছে। সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে গ্রন্থাগার। দৈনিক সংবাদপত্র ও রেফারেন্স বই পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য গ্রন্থাগারে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ২৫টি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় নিয়মিত। গ্রন্থাগারে রয়েছে লক্ষাধিক বই এবং জার্নাল-ম্যাগাজিন আছে প্রায় ১০ হাজার। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের সহায়ক সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে গবেষণা প্রতিবেদন, ই-রিসোর্সের বিশাল সম্ভার, বিশ্বকোষ, অভিধান, হ্যান্ডবুক, ম্যানুয়েল ও এনজিও প্রকাশনা। ব্যবহারকারীরা ই-বুক, ই-জার্নাল ও ই-ম্যাগাজিন পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারেন। গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগসহ কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ। গ্রুপ স্ট্যাডি করার জন্য রয়েছে একাধিক বিশেষ কক্ষ। শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে না এসেও যেকোনো বইয়ের শিরোনাম, লেখক, কল নম্বর, কি-ওয়ার্ড ও প্রকাশক অনুযায়ী খুঁজতে পারেন ই-লাইব্রেরির সুবাদে। গ্রন্থাগারে শিক্ষকদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যবস্থাপনা।
গবেষণা ও প্রকাশনা:
উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রতিটি বিভাগই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফ্যাকাল্টিদের গবেষণা প্রবন্ধ দেশি ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি অনুষদ থেকে জার্নাল প্রকাশ করা হয় এবং গবেষণায় বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয় শিক্ষকদের। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদ থেকে নিয়মিতভাবে জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে বিজনেস রিভিউ, আইন বিভাগ থেকে ল’ জার্নাল নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক অনুষদে রিসার্চ সেল গঠিত হয়েছে, যেখানে গবেষণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রজেক্ট পরিচালনা করা হয়। প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরামণ্ডলী বিদেশে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ে পড়ালেখা করতে যাচ্ছে। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গবেষণাকে উৎসাহিত করতে অভ্যন্তরীণ গবেষণা তহবিল গঠন, মানসম্মত গবেষণার জন্য ইনসেনটিভ প্রদান ও গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশে সহায়তা করে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি শুধু ডিগ্রি প্রদানের জন্যই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে না বরং ইউনিভার্সিটি প্রশাসন এবং শিক্ষকরা চেষ্টা করছেন মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে।
এমওইউ ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম:
শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও শিক্ষকদের জ্ঞানচর্চা আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যাবশ্যক। তাই উত্তরা ইউনিভার্সিটি যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ড শ্যায়ার ইউনিভার্সিটি ও অরচেস্টার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সহযোগিতার স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কর্তৃপক্ষ কানাডার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সহযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া উত্তরা ইউনিভার্সিটি সাম্প্রতিককালে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, আসাম ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছরই উত্তরা ইউনিভার্সিটি বিজনেস কনফারেন্সের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে যেখানে আমেরিকা, জাপান ও ভারতসহ দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে রয়েছে এমওইউ ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। যার ফলে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ।
সম্মাননা ও সাফল্য:
মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার স্বীকৃতি হিসেবে এ ইউনিভার্সিটি সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘দা বিজ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ (হংকং), এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, ২০১২, (দিল্লি), এশিয়াস বেস্ট বিজনেস অ্যাওয়ার্ড, সিঙ্গাপুর, ২০১৩, এশিয়ান সিইএফ বিজনেস স্কুল অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ (মুম্বাই), ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ ও ২০১৫ (আইন বিভাগ) অন্যতম।
সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশে ক্লাব এবং ফোরাম:
শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও বাজার উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ইউইউতে ১২টি ক্লাব ও ১৪টি বিভাগের প্রায় ১৪টি বিভাগীয় ফোরাম রয়েছে। এসব ক্লাব ও ফোরাম বছরজুড়েই জাতীয়পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এ ছাড়া পিঠা উৎসব, বসন্তবরণ, চৈত্রসংক্রান্তি, শিক্ষামেলা ও পাঠচক্রসহ জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো বিশেষভাবে পালিত হয় এখানে। উচ্চশিক্ষার নিরন্তন পরিবেশ থাকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে। অরাজনৈতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় নেই কোনো দ্বন্দ্ব, নেই ক্লাস বন্ধ হওয়ার চিন্তা, নেই সেশন জটের ভয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ:
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে প্রতি বছর তিনবার অর্থাৎ স্প্রিং, ফল ও সামার সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপ।
এ ছাড়া ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী, নারী, জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়, জুলাই-বিপ্লবে আহত ও নিহতদের নিকটাত্মীয়দের জন্য রয়েছে বিশেষ স্কলারশিপ।
দক্ষ মানবসম্পদ ও গ্র্যাজুয়েটদের সফলতা:
সুযোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। দেশের অন্যতম এই বেসরকারি বিদ্যাপীঠটি শিক্ষা, গবেষণা ও বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি অর্জনের সুযোগই দিচ্ছে না, বরং তাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় উপযুক্ত করে তুলছে। ফলে এখানে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডার, জুডিশিয়াল সার্ভিস, আইন পেশা, ব্যাংক খাত, রপ্তানিমুখী শিল্প, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, এনজিও এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার গড়তে পারছেন। পাশাপাশি, টেক্সটাইল ও ইলেকট্রনিক শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, সফটওয়্যার ফার্ম, ই-কমার্স ও স্টার্টআপ জগতে তারা দক্ষতার সঙ্গে অবদান রাখছেন। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতেও রয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের গৌরবজনক উপস্থিতি। অনেকে আবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নিজস্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ গড়ে তুলে আত্মনির্ভরশীল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। শিক্ষকতা পেশায়ও তারা অবদান রাখছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বৈচিত্র্যময় কর্মসংস্থান ও পেশাগত সাফল্যই প্রমাণ করে উত্তরা ইউনিভার্সিটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়- এটি একটি দক্ষ মানবসম্পদ নির্মাণের কারখানা।
উচ্চপর্যায়ে কৃতিত্ব:
উত্তরা ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগের ছাত্ররা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে অংশগ্রহণ করে সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় একাধিকবার প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কৃতী ছাত্রী মাহফুজা খাতুন শীলা জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা ২০১৬-তে জোড়া স্বর্ণপদক বিজয়ী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেছেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিনিতা সুপ্রিয়া মিজান ত্রপী ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬-তে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছেন। ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান শরীফ তেল ও গ্যাসবিহীন একটি মোটরযান উদ্ভাবন করেছেন, যা সোলার এনার্জিতে মাত্র ১০ টাকা খরচে সারা দিন চালানো যায়। প্রায় সব অনুষদ এবং বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী নানা সৃজনশীল কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে শিক্ষার পরিবেশকে এক আনন্দঘন পরিবেশে পৌঁছে দিয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি সুদক্ষ প্রশাসন এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
স্বতন্ত্র ক্যাফে ও উন্নতমানের ক্যান্টিন:
শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র ক্যাফে ও উন্নতমানের ক্যান্টিন। সকাল-সন্ধ্যা সুস্বাদু খাবার মেলে সহজেই। ক্যাফেটোরিয়াটি শিক্ষার্থীদের প্রিয় আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে সকালের নাশতা থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার এবং ক্লাসের ফাঁকে চা-কফিতে সতেজতা খুঁজে নেয়। উন্নতমানের খাবার, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও স্বল্পমূল্যের কারণে ক্যাফেটোরিয়াটি শিক্ষার্থীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আড্ডা, পাঠচর্চা কিংবা হালকা বিশ্রাম- সব কিছুতেই ক্যাফেটোরিয়ার ভূমিকা অনন্য।
বক্তব্য
মো. আদনান রহমান, পিএইচডি
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, স্কুল অব বিজনেস
ডিরেক্টর, ব্র্যান্ড, কমিউনিকেশন অ্যান্ড পিআর
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক উচ্চশিক্ষা পরিবেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ড ইমেজ তার সামগ্রিক সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখে। সেই ভাবনাকে সামনে রেখে উত্তরা ইউনিভার্সিটি চালু করেছে নতুন মিডিয়া ক্যাম্পেইন ও আধুনিক প্রচারণা কৌশল। শুধু পাঠ্যক্রম নয়, আজকের শিক্ষার্থীরা দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ, পরিবেশ, অ্যালামনাই সাফল্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতা। এসবই একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ডের উপাদান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য হলো বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের গল্প তুলে ধরা। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন আমাদের বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গল্প থেকে অনুপ্রেরণা পায়। এভাবেই আমরা বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মানবিক সংযোগ তৈরি করতে পারব। আমরা ইউটিউব, ফেসবুক এবং লিংকডইন-এর মতো প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়। বিশেষ করে ভিডিও কনটেন্ট এবং ইন্টারেক্টিভ পোস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ছে।
উত্তরা ইউনিভার্সিটি ভবিষ্যতে আরও ডেটাচালিত মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির দিকে এগোচ্ছে। আমরা এআই ও অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের চাহিদা বুঝে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের দৃশ্যমানতা বাড়াতে কাজ করছি। সঠিক ব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেবল শিক্ষার্থী আকর্ষণই করে না বরং সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তাও পৌঁছে দিতে পারে।
ড. শাহ আহমেদ
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ
ডিরেক্টর, অফিস অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স
উত্তরা ইউনিভার্সিটি
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বমানের পড়ালেখার জন্য আমরা বিশ্বমানের সিলেবাস তৈরি করেছি। ইউজিসির নিয়ম মেনে আমাদের দেশের সেরা ইউনিভার্সিটির সিলেবাস ও বিশ্বের টপ ইউনিভার্সিটির সিলেবাসকে সমন্বয় করে এমন একটা উন্নতমানের সিলেবাস তৈরি করেছি যাতে আমাদের ছাত্ররা এই সিলেবাসের ভিত্তিতে দেশে ও বিদেশে চাকরি পেতে পারে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলগুলো গুরুত্বসহকারে শেখানো হয়। এতে চাকরির বাজারে অন্যদের থেকে তারা বেশি এগিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় যে শিক্ষাসেবা প্রদান করে থাকে, সে তুলনায় ছাত্রদের শিক্ষা ব্যয় অত্যন্ত কমই মনে হয়। প্রচুর ল্যাব আছে, লাইব্রেরিতে হাজার হাজার বই, কো-কারিকুলার কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক মানের ক্লাসরুম, লজিস্টিক্স সাপোর্ট, ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়াসহ সব সুবিধা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। আমাদের উত্তরা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথমসারির ইউনিভার্সিটির মধ্যে অন্যতম।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট গবেষণা ফান্ড আছে। সে ফান্ড নিয়ে শিক্ষকরা বিভিন্ন ফিল্ডে রিসার্স করেন। নতুন নতুন নলেজ, নতুন নতুন থিওরি আবিষ্কার করেন। তবে ফ্যাকাল্টিকে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার পরে প্রজেক্ট এক্সেপ্ট হওয়ার পরে সেই ফান্ডটা দিয়ে থাকে। এক কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে রিসার্স ফান্ড পেতে হয়।
শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় অদ্বিতীয়। এ ইউনিভার্সিটির চারদিক প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা, শহরের কোলাহল মুক্ত, নির্ভেজাল পরিবেশে সুন্দর অবকাঠামোতে গড়ে উঠেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। ঢাকা ও এর আশপাশে জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সেবা চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফলাফল পেতে আগামীকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল বা দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রশিদুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভোট গণনা সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হবে। তাই কিছুটা সময় লাগবে। আশা করছি আগামীকাল সকাল কিংবা দুপুরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আল বেরুনী হলে ২১১ ভোটের বিপরীতে ১২৫ ভোট, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ৩৪১ ভোটের বিপরীতে ২১৬ ভোট, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ ভোটের বিপরীতে ৩১০ ভোট, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮০ ভোটের বিপরীতে ১৩৭ ভোট এবং শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৯ ভোটের বিপরীতে ২২৪ ভোট পড়েছে।
মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ ভোটের বিপরীতে ৩৮৪ ভোট, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ ভোটের বিপরীতে ২৪৭ ভোট, প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ ভোটের বিপরীতে ২৪৬ ভোট, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ ভোটের বিপরীতে ২৪৯ ভোট, ১০ নম্বর (ছাত্র) হলে ৫৪১ ভোটের বিপরীতে ৩৮১ ভোট এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫৬ ভোটের বিপরীতে ৪৭০ ভোট পড়েছে।
এছাড়া বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ ভোটের বিপরীতে ২৪৬ ভোট, ১৩ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৩২ ভোটের বিপরীতে ২৭৯ ভোট, ১৫ নম্বর (ছাত্রী) হলে ৫৭১ ভোটের বিপরীতে ৩৩৮ ভোট, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ ভোটের বিপরীতে ২৬১ ভোট এবং রোকেয়া হলে ৯৫৫ ভোটের বিপরীতে ৬৮০ ভোট পড়েছে।
বিকেল ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে কেন্দ্রগুলো থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সেখানে আনা হয়। তবে তখন পর্যন্ত গণনা কার্যক্রম শুরু হয়নি।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর, পুরাতন প্রশাসনিক ভবন, বটতলা, প্রান্তিক গেট, ডেইরি গেট, ট্রান্সপোর্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় জানিয়েছে, সন্ধ্যায় ৭টায় ভোট গণনা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের ভোটকেন্দ্রের ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হয়। সিনেট হলেই ভোট গণনা শুরু হয় এবং সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি স্থানে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হয়। এখানেই ফল ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ সময় সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল এবং ২০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ছাত্রদল ছাড়া অন্য চারটি প্যানেল হলো- ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল। তারা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, পক্ষপাতমূলক আচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।
কারচুপির এবং শিবির সমর্থিত প্যানেলকে জেতাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ এনে বর্জন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ সময় তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করে বলেন, ‘তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তালিকায় ভোটারদের ছবি নেই, ২১নং হলে মব সৃষ্টি করা হয়েছে। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে।’
এই নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াত নেতার সরবরাহ করা ওএমআর মেশিন আমরা চাইনি। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা ব্যালটেই ভোট হচ্ছে। ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসন কেন শতকরা ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপেছে। আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালটের শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা?’
কারচুপির অভিযোগ করে বৈশাখী বলেন, ‘মেয়েদের হলে একই ভোটার বারবার ভোট দিতে গেছেন। শিবিরপন্থি সাংবাদিকরা ছাত্রদলের প্রার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটি কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। তাই নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।’
তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করেন, ভোট দেয়ার সময় ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছিল, একটা ব্যালট পেপার ফ্লোরে পাওয়া গেছে। এসব কারণে এই হলে দুই ঘণ্টা নির্বাচন বন্ধ ছিল।
একটি হলে এই প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। আরও অভিযোগ করা হয়, তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ভোট বন্ধ ছিল। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো ব্যালটে ভোট হচ্ছে। সব হলে ছাত্রদলের প্যানেলের এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি।
ভোট কেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকেই সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে এই প্যানেল।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বিজয় ব্যাহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের কথা জানান তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান।
স্মরণ এহসান বলেন, ‘এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। তারা শুরু থেকেই আমাদের আস্থা, ভরসা ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা নষ্ট করেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে।’
তাদের মতে, এই অনিয়মের শুরু হয়েছে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের আরেক ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা জোরপূর্বক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করার মধ্য দিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত দিনেও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অনিয়মের অভিযোগে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ‘সংশপ্তক পর্ষদ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা কারণগুলো লিখিত আকারে জানাচ্ছি।
সংশপ্তক পর্ষদের অভিযোগ, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট দেওয়ার জায়গায় আগে থেকে পূরণ করা ব্যালট পাওয়া গেছে। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ৪০০টি ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছে।
‘আমার ভোট আগেই হয়ে গেছে’
‘ভোট দিতে এসে দেখি, আমার ভোট আগেই হয়ে গেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আসা এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার শহীদ রফিক-জব্বার হলের ভোটকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘আমি ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে এসে দেখি, আমার ভোট আগেই অন্য কেউ দিয়ে গেছে। জীবনের প্রথম ভোট এভাবে নষ্ট হবে, আমি কোনোদিন ভাবিনি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হলের পোলিং অফিসার মো. জাকির হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রবিউলের ভোট অন্য কেউ ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে দিয়েছে। পরে রবিউল যখন তার আসল আইডি কার্ড নিয়ে ভোট দিতে আসে, তখন সেটি যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত হই। আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’
অব্যাহতি নিলেন বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক অব্যাহতি নিয়েছেন। তারা হলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এদের মধ্যে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয়ভাবে জাকসু নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বাকি দুই শিক্ষক হল পর্যায়ে ভোট মনিটরিং করছিলেন। তিনজনই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
শিবির-সমর্থিত ভিপি প্রার্থীর অভিযোগ
জাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অসংগতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট। প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার থেকে দেখতে পেয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনে প্রক্টর অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আরিফ উল্লাহ। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অন্যান্য প্যানেলের কিছু বিষয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনারের প্রস্তুতির ঘাটতি আছে উল্লেখ করে আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট রাখার জন্য আমরা গতকাল রাতে বলেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন গভীর রাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। পরে আজ সকালে যখন আমরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র আমাদের পোলিং এজেন্টদের পাঠিয়েছি, তখন সংশ্লিষ্ট হলের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা এ নিয়ে গড়িমসি করেন।’
বিভিন্ন হলে ছাত্রদল নিজেদের প্যানেলের সদস্যদের ভোট দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে অভিযোগ তুলে শিবির-সমর্থিত এই ভিপি প্রার্থী বলেন, বিভিন্ন হলে দল বেঁধে গিয়ে ছাত্রদল ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করছে। তারা জাহানারা ইমাম হলে ঢুকে গার্ডকে মারধর করেছে। একটি হলে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মব তৈরি করে ভোট বানচালের চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনার পথ সহজ করতে রাজধানীতে আয়োজিত হচ্ছে "টিসিএল গ্লোবাল এডুকেশন এক্সপো ২০২৫"। আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের সেবায় কাজ করা প্রতিষ্ঠান টিসিএল গ্লোবাল এই বিশেষ আয়োজনের উদ্যোক্তা।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার বনানীতে অবস্থিত হোটেল শেরাটনে এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ছাত্রছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও মালয়েশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি দেখা করতে পারবেন। তারা ছাত্রছাত্রীদের কোর্স, ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্কলারশিপ সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
এক্সপোতে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা ১০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার কোর্সে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন সহায়তা এবং ফ্রি ডুওলিঙ্গো টেস্ট ভাউচার পাবেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ছাত্রছাত্রীরা আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন যেখানে এমওআই গ্রহণযোগ্য।
এই আয়োজনে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে দ্রুত অফার লেটার পাওয়ার সুযোগ পাবেন এবং ১০০% স্কলারশিপের সুবিধাও রয়েছে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ কাউন্সেলররা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার গ্যাপ পূরণে বিশেষ পরামর্শ দেবেন।
সারা বিশ্বের ২৪টি অফিসের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৬০,০০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রীর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে টিসিএল গ্লোবাল।
প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি একটি আধুনিক মোবাইল অ্যাপও চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা কোর্স ও দেশ খুঁজে বের করতে পারবেন, কাগজপত্র আপলোড ও প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন এবং আবেদনের আপডেট পাবেন সাথে সাথে। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা কাউন্সেলরদের সাথে সরাসরি চ্যাট করার সুবিধাও পাবেন।
টিসিএল গ্লোবালের মহাপরিচালক এসএম সালাহউদ্দিন বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক শিক্ষা গ্রহণ হওয়া উচিত সহজ, দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত। এই এক্সপো ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। আমরা এটি এমনভাবে পরিকল্পনা করেছি যাতে সাধারণ বাধাগুলো সরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ছাত্রছাত্রীরা এখন চীনে কম খরচে এমবিবিএস পড়ার সুযোগও পাবেন, যা বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত।"
টিসিএল গ্লোবাল এডুকেশন এক্সপো ২০২৫-এ অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ ফ্রি। রেজিস্ট্রেশন লিংকঃ https://forms.office.com/r/ri7Lth7wGB
৪৯তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষা-২০২৫ এর এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বুধবার সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, আগামী ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু ঢাকা কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসন ব্যবস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd এবং দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার। ৩৩ বছর পর হচ্ছে এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া।
নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটারের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচার শেষ হয়েছে গত মঙ্গলবার রাত ১২টায়। ওইদিন সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেখা যায়। ভোটারদের সবার কাছে পৌঁছাতে না পারলেও প্রার্থীরা বলছেন, আদর্শ, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বেছে নেবেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলে ২২৪টি বুথ বসানো হবে। ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা করে চিহ্নিত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার মোতায়েন করা হবে।
হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এই দুই হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫ পদের ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, বাকি পাঁচ পদ শূন্য রয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ১৫ পদের ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা, বাকি ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হয়। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। বাধ্যতামূলক করা হলেও ৫৬ প্রার্থী নমুনা দেননি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ৩৩ বছর পর হচ্ছে এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর চেম্বার আদালতে এ রায় স্থগিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।
নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটারের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল রাত ১২টায়। এদিন সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেখা যায়। ভোটারদের সবার কাছে পৌঁছাতে না পারলেও প্রার্থীরা বলছেন, আদর্শ, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বেছে নিবেন।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাকিল আলী বলেন, ‘সব হলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো কঠিন। গণঅভ্যুত্থানের আগে ও পরে যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে কাজ করেছেন, তাদের যেন শিক্ষার্থীরা বেছে নেন।’
ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যোগ্য, নৈতিকভাবে সৎ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবেন– এমন প্রার্থীদের বেছে নিবেন বলে প্রত্যাশা করি।’
বুথ ২২৪টি, নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসার
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলে ২২৪টি বুথ বসানো হবে। ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা করে চিহ্নিত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার মোতায়েন করা হবে।
দুই হলে হবে না হল সংসদের ভোট
হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এই দুই হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫ পদের ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, বাকি পাঁচ পদ শূন্য রয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ১৫ পদের ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা, বাকি ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।
প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হয়। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। বাধ্যতামূলক করা হলেও ৫৬ প্রার্থী নমুনা দেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী জুলাইয়ের পরিচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বি। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সানজিদা আহমেদ তন্বি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৭টি।
গত বছর ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় তার সম্মানে ওই পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদসহ ছয়টি প্যানেল।
এর আগে, নিজের প্রার্থিতা ঘোষণার পর জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের হামলার শিকার সানজিদা আহমেদ তন্বির সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে একটি পদ ফাঁকা রেখেছিল ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ (বাগছাস) আরো কয়েকটি সংগঠন। এজন্য সংগঠনগুলোকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন তন্বি।
এদিকে, ডাকসুর চূড়ান্ত ফলাফলে ভিপি ও জিএস, এজিএস তিনটি পদেই জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত প্যানেল। নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দীন খান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট।
জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আবু বাকের মজুমদার ২ হাজার ১৩১ ভোট, আশিকুর ৫২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের আল সাদী ভূঁইয়া ৪৬ ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া আচরণ বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আরিফুল হক সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষার্থীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর জন্য ইতোমধ্যে প্রণীত খসড়া নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যা ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সসমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট চলাকালে একজন শিক্ষার্থীকে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ একাধিক ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাবির কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুইটি ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে চালু হওয়া অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনেকে ভর্তি থেকে বিরত থাকছেন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অনেক আসনই ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।
অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন সচেতন অভিভাবক ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। ফলে অটোমেশন পদ্ধতিতে ভর্তি পক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং সচেতন অভিভাবকদের অভিযোগ, এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও স্বাধীনতা হরণ করছে। কেউ ঢাকায় থেকেও কলেজ পেয়েছে দূরবর্তী জেলায়, আবার কেউ গ্রাম থেকে পেয়ে গেছে ব্যয়বহুল অভিজাত কলেজ, যা অনেকের জন্য অসহনীয় বোঝা। এভাবে অটোমেশন পদ্ধতি একাধিক শিক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা নিমিশেই শেষ করে দিচ্ছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজগুলো বেছে নিতে পারেন না। এতে প্রথমে শিক্ষার্থীদের ৫টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির চয়েস রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই নীতি পরিবর্তন করে ছেলেদের জন্য ৬০টি মেডিকেল কলেজ ও মেয়েদের জন্য ৬৬টি চয়েস রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি আসন এখনো শূন্য পড়ে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, অটোমেশন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কলেজ নির্বাচন করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট এলগরিদম ও সিরিয়ালের ভিত্তিতে। এতে রাজধানীতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের পাঠানো হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার কলেজে, এবং অনেক মফস্বলের শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে ঢাকার অভিজাত মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ-যা বাস্তবতা ও সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে অনেকেই বরাদ্দ পাওয়া কলেজে ভর্তি না হয়ে অপেক্ষা বা উচ্চশিক্ষা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটে পড়ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রমেও।
অটোমেশন পদ্ধতিতে অনলাইনে বেসরকারি মেডিকেল ভর্তির জন্য ফরম পূরণের সময় কলেজের তালিকা যুক্ত করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানানো হয়। যার ফলে তাদের পছন্দের বিষয়টিই থাকছে না। পছন্দের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ার শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৫ হাজার ৩৮০ সিট পূর্ণ হলেও ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ হয়নি। চলতি বছর বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি সিট খালি রয়েছে।
অটোমেশন পদ্ধতির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারাছেন। অটোমেশন চালু করার আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়তে আসতেন। অটোমেশন কাউকেই তার ইচ্ছামতো খুশি করতে পারছে না। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে মেডিকেলে ভর্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি, বিগত ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থী ৪৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাঙ্খিত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে মেডিকেল শিক্ষা খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না।
এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে আমিরা তাসনিম। পরিবারের সাথে রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা তার। সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। সরকারি মেডিকেলে চান্স না হওয়ায় বেসরকারি মেডিকেলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু দূরবর্তী জেলার একটি বেসরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায় তাসনিম। অটোমেশনের কারণে নিজের পছন্দমত মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় মেডিকেলে পড়তে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে সে। আর এখানেই শেষ হয়ে গেছে আমার মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। অটোমেশনের কারণে তার মত হাজারো শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বড় বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মালিকপক্ষ এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই পদ্ধতি যেন বেসরকারি মেডিকেল সেক্টর ধ্বংসের হাতিয়ার না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অটোমেশন পদ্ধতিতে মেডিকেলে ভর্তি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেক মেধাবী পছন্দের কলেজ না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সুতরাং সকল পক্ষের সুবিধার জন্য পুরাতন পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।
বহু প্রতীক্ষার পর শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই ভোট দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তারা।
ভোট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাদিক কায়েম বলেন, এই ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এদিকে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর। এবার ভোটার উপস্থিতি প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ হবে বলে মনে করছেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজের জয়লাভের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শেখ তানভীর।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আটটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খুলে সবাইকে দেখিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের ভিড়। তাদের মাঝে দেখা গিয়েছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিতে মরিয়া শিক্ষার্থীরা।
ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।
অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) শিটে। প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে।
আগে ৮ কেন্দ্রে ৭১০ বুথ ছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে, যাতে আবাসিক-অনাবাসিক ভোটারদের কোনোভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
প্রার্থী তালিকায় রয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেল। নির্বাচনী লড়াইয়ে ভিপি ও জিএসসহ অন্যান্য পদে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থীও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ডাকসু ভোটের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। গতকাল ছিল প্রচারণার শেষ দিন। আচরণবিধির ৪(খ) ধারা অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার পর থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ থাকবে।
অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল কোনো পদার্থ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
গণমাধ্যমের জন্য দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খালি ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হবে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সামনে।
এ সময় কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ করা হবে।
কেমব্রিজ পাঠ্যক্রম-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইজিসিএসই) পরীক্ষায় এ বছর গণিতে শতভাগ নম্বর অর্জন করে বিশ্বসেরা হয়েছেন পাঁচ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তাঁরা পাঁচ জনই উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী।
স্কুলটির ইতিহাসে এই প্রথমবার গণিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্বসেরা হয়েছেন। গণিতে শতভাগ নম্বরপ্রাপ্ত এই পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন: মো. ফাইয়াজ সিদ্দিকী, অহনা সাহা, মোহাম্মদ মোহায়মিন উদ্দিন নাইব, বুশরা রুবানা আফরোজ এবং সম্বৃত অম্বর। এদের মধ্যে ফাইয়াজ এবং অহনা যথাক্রমে ৯৬ শতাংশ ও ৯৫.৬ শতাংশ মোট নম্বর পেয়ে স্কুল টপার হয়েছেন। এছাড়াও, অহনা সম্মানজনক “ক্যামব্রিজ আইসিই অ্যাওয়ার্ড উইথ ডিস্টিংশন” অর্জন করেছেন।
এই অর্জন ছাড়াও এ বছর এই ব্যাচের সামগ্রিক ফলাফলও ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। গ্লেনরিচ উত্তরা থেকে আইজিসিএসই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দু শ’ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর পেয়েছেন এবং প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী; অর্থাৎ ৯৯ জন, ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন। স্কুলটির সামগ্রিক গড় ফলাফল ৮০.৩ শতাংশ।
গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বাংলাদেশের শীর্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের এই ধারাবাহিকতা শুধু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির ফলাফল নয়, বরং প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক ভিত্তি যে অত্যন্ত মজবুত এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তারা কতটা দূরদর্শী; তারই প্রমাণ।
গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উত্তরার অধ্যক্ষ অম্লান কে. সাহা বলেন, “এই ফলাফলকে কেবল নম্বরের সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যাবে না; এটি আমাদের মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যের প্রতিফলন। আমরা এই সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ ধরে রাখার এবং শিক্ষার্থীদের শেখার সর্বোত্তম পরিবেশ ও উপকরণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করছি।”
বর্তমান সময়ে এসটিইএম-ভিত্তিক (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথম্যাটিকস) শিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্লেনরিচ তাদের পাঠ্যক্রমে রোবোটিকস, কোডিং এবং প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষার সংযোজন করেছে।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্রে পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করা হয়েছে।
জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান গতকাল শনিবার কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন এবং সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের এই ভোট কেন্দ্রেই ভোট দেবেন।