বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৭ ভাদ্র ১৪৩২

টিসিএল গ্লোবাল এডুকেশন এক্সপো ২০২৫: বিদেশে পড়াশোনার নতুন সুযোগ

প্রকাশিত
প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৪

বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনার পথ সহজ করতে রাজধানীতে আয়োজিত হচ্ছে "টিসিএল গ্লোবাল এডুকেশন এক্সপো ২০২৫"। আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের সেবায় কাজ করা প্রতিষ্ঠান টিসিএল গ্লোবাল এই বিশেষ আয়োজনের উদ্যোক্তা।

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার বনানীতে অবস্থিত হোটেল শেরাটনে এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ছাত্রছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও মালয়েশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি দেখা করতে পারবেন। তারা ছাত্রছাত্রীদের কোর্স, ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্কলারশিপ সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন।

এক্সপোতে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা ১০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার কোর্সে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন সহায়তা এবং ফ্রি ডুওলিঙ্গো টেস্ট ভাউচার পাবেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ছাত্রছাত্রীরা আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন যেখানে এমওআই গ্রহণযোগ্য।

এই আয়োজনে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে দ্রুত অফার লেটার পাওয়ার সুযোগ পাবেন এবং ১০০% স্কলারশিপের সুবিধাও রয়েছে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ কাউন্সেলররা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার গ্যাপ পূরণে বিশেষ পরামর্শ দেবেন।

সারা বিশ্বের ২৪টি অফিসের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৬০,০০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রীর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে টিসিএল গ্লোবাল।

প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি একটি আধুনিক মোবাইল অ্যাপও চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা কোর্স ও দেশ খুঁজে বের করতে পারবেন, কাগজপত্র আপলোড ও প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন এবং আবেদনের আপডেট পাবেন সাথে সাথে। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা কাউন্সেলরদের সাথে সরাসরি চ্যাট করার সুবিধাও পাবেন।

টিসিএল গ্লোবালের মহাপরিচালক এসএম সালাহউদ্দিন বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক শিক্ষা গ্রহণ হওয়া উচিত সহজ, দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত। এই এক্সপো ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। আমরা এটি এমনভাবে পরিকল্পনা করেছি যাতে সাধারণ বাধাগুলো সরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ছাত্রছাত্রীরা এখন চীনে কম খরচে এমবিবিএস পড়ার সুযোগও পাবেন, যা বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত।"

টিসিএল গ্লোবাল এডুকেশন এক্সপো ২০২৫-এ অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ ফ্রি। রেজিস্ট্রেশন লিংকঃ https://forms.office.com/r/ri7Lth7wGB


৪৯তম বিসিএস পরীক্ষা ১০ অক্টোবর

আপডেটেড ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৯তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষা-২০২৫ এর এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল বুধবার সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, আগামী ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু ঢাকা কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসন ব্যবস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd এবং দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।


৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার। ৩৩ বছর পর হচ্ছে এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া।

নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটারের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচার শেষ হয়েছে গত মঙ্গলবার রাত ১২টায়। ওইদিন সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেখা যায়। ভোটারদের সবার কাছে পৌঁছাতে না পারলেও প্রার্থীরা বলছেন, আদর্শ, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বেছে নেবেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলে ২২৪টি বুথ বসানো হবে। ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা করে চিহ্নিত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার মোতায়েন করা হবে।

হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এই দুই হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫ পদের ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, বাকি পাঁচ পদ শূন্য রয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ১৫ পদের ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা, বাকি ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হয়। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। বাধ্যতামূলক করা হলেও ৫৬ প্রার্থী নমুনা দেননি।


৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন আগামীকাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ৩৩ বছর পর হচ্ছে এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর চেম্বার আদালতে এ রায় স্থগিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।

নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটারের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল রাত ১২টায়। এদিন সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেখা যায়। ভোটারদের সবার কাছে পৌঁছাতে না পারলেও প্রার্থীরা বলছেন, আদর্শ, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বেছে নিবেন।

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাকিল আলী বলেন, ‘সব হলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো কঠিন। গণঅভ্যুত্থানের আগে ও পরে যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে কাজ করেছেন, তাদের যেন শিক্ষার্থীরা বেছে নেন।’

ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যোগ্য, নৈতিকভাবে সৎ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবেন– এমন প্রার্থীদের বেছে নিবেন বলে প্রত্যাশা করি।’

বুথ ২২৪টি, নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসার
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলে ২২৪টি বুথ বসানো হবে। ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা করে চিহ্নিত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার মোতায়েন করা হবে।

দুই হলে হবে না হল সংসদের ভোট
হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এই দুই হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫ পদের ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, বাকি পাঁচ পদ শূন্য রয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ১৫ পদের ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা, বাকি ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।

প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হয়। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। বাধ্যতামূলক করা হলেও ৫৬ প্রার্থী নমুনা দেননি।


ডাকসুতে বিপুল ভোটে জিতলেন সেই তন্বি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী জুলাইয়ের পরিচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বি। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সানজিদা আহমেদ তন্বি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৭টি।

গত বছর ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় তার সম্মানে ওই পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদসহ ছয়টি প্যানেল।

এর আগে, নিজের প্রার্থিতা ঘোষণার পর জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের হামলার শিকার সানজিদা আহমেদ তন্বির সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে একটি পদ ফাঁকা রেখেছিল ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ (বাগছাস) আরো কয়েকটি সংগঠন। এজন্য সংগঠনগুলোকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন তন্বি।

এদিকে, ডাকসুর চূড়ান্ত ফলাফলে ভিপি ও জিএস, এজিএস তিনটি পদেই জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত প্যানেল। নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দীন খান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট।

জিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আবু বাকের মজুমদার ২ হাজার ১৩১ ভোট, আশিকুর ৫২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের আল সাদী ভূঁইয়া ৪৬ ভোট পেয়েছেন।

এজিএস পদে ছাত্রশিবিরের নেতা মুহা. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।


চাকসু নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময় ১১ সেপ্টেম্বর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া আচরণ বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আরিফুল হক সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষার্থীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর জন্য ইতোমধ্যে প্রণীত খসড়া নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যা ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সসমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।


ডাকসু নির্বাচন: দুটি ব্যালট দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট চলাকালে একজন শিক্ষার্থীকে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ একাধিক ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাবির কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুইটি ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।

নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


অটোমেশনে ভর্তি: বিড়ম্বনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে চালু হওয়া অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনেকে ভর্তি থেকে বিরত থাকছেন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অনেক আসনই ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।

অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন সচেতন অভিভাবক ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। ফলে অটোমেশন পদ্ধতিতে ভর্তি পক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং সচেতন অভিভাবকদের অভিযোগ, এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও স্বাধীনতা হরণ করছে। কেউ ঢাকায় থেকেও কলেজ পেয়েছে দূরবর্তী জেলায়, আবার কেউ গ্রাম থেকে পেয়ে গেছে ব্যয়বহুল অভিজাত কলেজ, যা অনেকের জন্য অসহনীয় বোঝা। এভাবে অটোমেশন পদ্ধতি একাধিক শিক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা নিমিশেই শেষ করে দিচ্ছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজগুলো বেছে নিতে পারেন না। এতে প্রথমে শিক্ষার্থীদের ৫টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির চয়েস রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই নীতি পরিবর্তন করে ছেলেদের জন্য ৬০টি মেডিকেল কলেজ ও মেয়েদের জন্য ৬৬টি চয়েস রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি আসন এখনো শূন্য পড়ে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, অটোমেশন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কলেজ নির্বাচন করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট এলগরিদম ও সিরিয়ালের ভিত্তিতে। এতে রাজধানীতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের পাঠানো হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার কলেজে, এবং অনেক মফস্বলের শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে ঢাকার অভিজাত মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ-যা বাস্তবতা ও সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে অনেকেই বরাদ্দ পাওয়া কলেজে ভর্তি না হয়ে অপেক্ষা বা উচ্চশিক্ষা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটে পড়ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রমেও।

অটোমেশন পদ্ধতিতে অনলাইনে বেসরকারি মেডিকেল ভর্তির জন্য ফরম পূরণের সময় কলেজের তালিকা যুক্ত করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানানো হয়। যার ফলে তাদের পছন্দের বিষয়টিই থাকছে না। পছন্দের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ার শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৫ হাজার ৩৮০ সিট পূর্ণ হলেও ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ হয়নি। চলতি বছর বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি সিট খালি রয়েছে।

অটোমেশন পদ্ধতির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারাছেন। অটোমেশন চালু করার আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়তে আসতেন। অটোমেশন কাউকেই তার ইচ্ছামতো খুশি করতে পারছে না। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে মেডিকেলে ভর্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি, বিগত ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থী ৪৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাঙ্খিত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে মেডিকেল শিক্ষা খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না।

এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে আমিরা তাসনিম। পরিবারের সাথে রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা তার। সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। সরকারি মেডিকেলে চান্স না হওয়ায় বেসরকারি মেডিকেলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু দূরবর্তী জেলার একটি বেসরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায় তাসনিম। অটোমেশনের কারণে নিজের পছন্দমত মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় মেডিকেলে পড়তে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে সে। আর এখানেই শেষ হয়ে গেছে আমার মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। অটোমেশনের কারণে তার মত হাজারো শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বড় বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মালিকপক্ষ এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই পদ্ধতি যেন বেসরকারি মেডিকেল সেক্টর ধ্বংসের হাতিয়ার না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, অটোমেশন পদ্ধতিতে মেডিকেলে ভর্তি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেক মেধাবী পছন্দের কলেজ না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সুতরাং সকল পক্ষের সুবিধার জন্য পুরাতন পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।


ডাকসুতে ভোট দিলেন শিবির ও ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি-জিএস প্রার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বহু প্রতীক্ষার পর শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই ভোট দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তারা।

ভোট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাদিক কায়েম বলেন, এই ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

এদিকে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর। এবার ভোটার উপস্থিতি প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ হবে বলে মনে করছেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজের জয়লাভের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শেখ তানভীর।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আটটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খুলে সবাইকে দেখিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের ভিড়। তাদের মাঝে দেখা গিয়েছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিতে মরিয়া শিক্ষার্থীরা।

ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।

ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।

অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর) শিটে। প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে।

আগে ৮ কেন্দ্রে ৭১০ বুথ ছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে, যাতে আবাসিক-অনাবাসিক ভোটারদের কোনোভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি পোহাতে না হয়।

প্রার্থী তালিকায় রয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেল। নির্বাচনী লড়াইয়ে ভিপি ও জিএসসহ অন্যান্য পদে রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী প্রার্থীও।


ডাকসু নির্বাচন: কেন্দ্রের সামনে বসছে এলইডি স্ক্রিন, দেখানো হবে ভোট গণনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ডাকসু ভোটের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। গতকাল ছিল প্রচারণার শেষ দিন। আচরণবিধির ৪(খ) ধারা অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার পর থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ থাকবে।

অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল কোনো পদার্থ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

গণমাধ্যমের জন্য দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খালি ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হবে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সামনে।

এ সময় কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ করা হবে।


গণিতে বিশ্বসেরা হলেন বাংলাদেশের পাঁচ শিক্ষার্থী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কেমব্রিজ পাঠ্যক্রম-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইজিসিএসই) পরীক্ষায় এ বছর গণিতে শতভাগ নম্বর অর্জন করে বিশ্বসেরা হয়েছেন পাঁচ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তাঁরা পাঁচ জনই উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী।

স্কুলটির ইতিহাসে এই প্রথমবার গণিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্বসেরা হয়েছেন। গণিতে শতভাগ নম্বরপ্রাপ্ত এই পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন: মো. ফাইয়াজ সিদ্দিকী, অহনা সাহা, মোহাম্মদ মোহায়মিন উদ্দিন নাইব, বুশরা রুবানা আফরোজ এবং সম্বৃত অম্বর। এদের মধ্যে ফাইয়াজ এবং অহনা যথাক্রমে ৯৬ শতাংশ ও ৯৫.৬ শতাংশ মোট নম্বর পেয়ে স্কুল টপার হয়েছেন। এছাড়াও, অহনা সম্মানজনক “ক্যামব্রিজ আইসিই অ্যাওয়ার্ড উইথ ডিস্টিংশন” অর্জন করেছেন।

এই অর্জন ছাড়াও এ বছর এই ব্যাচের সামগ্রিক ফলাফলও ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। গ্লেনরিচ উত্তরা থেকে আইজিসিএসই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দু শ’ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর পেয়েছেন এবং প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী; অর্থাৎ ৯৯ জন, ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন। স্কুলটির সামগ্রিক গড় ফলাফল ৮০.৩ শতাংশ।

গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বাংলাদেশের শীর্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের এই ধারাবাহিকতা শুধু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির ফলাফল নয়, বরং প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক ভিত্তি যে অত্যন্ত মজবুত এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তারা কতটা দূরদর্শী; তারই প্রমাণ।

গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উত্তরার অধ্যক্ষ অম্লান কে. সাহা বলেন, “এই ফলাফলকে কেবল নম্বরের সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যাবে না; এটি আমাদের মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যের প্রতিফলন। আমরা এই সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ ধরে রাখার এবং শিক্ষার্থীদের শেখার সর্বোত্তম পরিবেশ ও উপকরণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করছি।”

বর্তমান সময়ে এসটিইএম-ভিত্তিক (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথম্যাটিকস) শিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্লেনরিচ তাদের পাঠ্যক্রমে রোবোটিকস, কোডিং এবং প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষার সংযোজন করেছে।


ডাকসু নির্বাচন : শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ

আপডেটেড ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৫
ঢাবি প্রতিনিধি

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্রে পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করা হয়েছে।

জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান গতকাল শনিবার কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন এবং সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের এই ভোট কেন্দ্রেই ভোট দেবেন।


প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য যদি ভালো না হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবেনা; জামালপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সত্তুর শতাংশ উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য যদি ভালো না হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে না।
জামালপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত জামালপুর শেরপুর জেলার কলেজ সমূহের অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকগণের সাথে শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর এ এস এম আমানুল্লাহ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মো: নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আফসানা তাসলিম। এ সময় তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশগুলোতে যেখানে মোট জিডিপির তিন থেকে পাঁচ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশে মাত্র এক দশমিক পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয় যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য খুবই অপ্রতুল। এখান থেকে বিশ্বমানের নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। শিক্ষাব্যবস্থায় মোট জিডিপির পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও তিনি প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন না। মত বিনিময় সভায় জামালপুর শেরপুর জেলার কলেজসমূহের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

আপডেটেড ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩৫
বাসস

অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে স্নাতকে (অনার্স) তথ্য প্রযুক্তি ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আধুনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে গতকাল বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এসব কথা বলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাক্রমের আইসিটি বিষয়ের ‘টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এ কর্মশালার প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর।

উপাচার্য বলেন, কলেজগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাদানে শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সব টেকনিক্যাল কলেজ ও কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের কলেজ শিক্ষার্থীদের মেধার ঘাটতি নেই। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা সহজেই তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, সময়োপযোগী ও কর্মমুখী তথ্য প্রযুক্তি পাঠ্যক্রম প্রণয়নে সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম ও শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।

কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৮টি বিভাগের ৪০ জন তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. নাজমা তারা এবং মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আনাম।

এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


banner close