বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর ব্যাচটির মোট ১৯৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ জন শিক্ষার্থী বিশ্বের মোট ৬টি দেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে।
তন্মধ্যে থাইল্যান্ডে ৩৩, মালয়েশিয়া ১০, জাপান ২, ইন্দোনেশিয়া ৩, জার্মানি ১ ও নেপাল ১ জন ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ১২টি স্থানে এই ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গত শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ওই ইন্টার্নশিপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের এগ্রোভেট ও ক্রপ কেয়ার ডিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুরো ইন্টার্নশিপের রোডম্যাপ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে.এইচ.এম. নাজমুল হুসাইন নাজির।
এ সময় ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, আমাদের ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে যাচ্ছে, আগামী বছর এই সংখ্যা ১০০ হবে আশা রাখি। মনে রাখতে হবে সততা, আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম এবং সময়মতো উপস্থিতিই হবে প্রকৃত পরিচয়। প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, লগবুক আন্তরিকতার সঙ্গে পূরণ করে তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের মর্যাদা রক্ষায় ভদ্র, যত্নশীল ও পরিশ্রমী থাকতে হবে। বিদেশে বা দেশে, এমন আচরণ করতে হবে যাতে সবাই শ্রদ্ধা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সুযোগ ও সময় ব্যবহারিকভাবে শেখার সঠিক সময়, এটিই মনে রাখতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, তোমাদের পাঠ্যক্রমে এখন ইন্টার্নশিপ আছে। আগে ইন্টার্নশিপ বা ফিল্ড ভিজিট কিছুই ছিল না। এখন তোমরা সরকারি খামার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিচ্ছো, এটাই শেখার জন্য তোমাদের সুবর্ণ সুযোগ।
১৬ - ১৭ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের সুকুন অ্যারেনা ইনডোর কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এশিয়ান থ্রোবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ বাংলাদেশের সাউথ পয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাব - এসপিএসসি রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
প্রতিযোগিতায় মলোয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারতের পুরষ ও মহিলা থ্রোবল খেলোয়াড়বৃন্দ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এবারের আসরে পুরুষ নারী উভয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। প্রধান অতিথি হিসেব পুরষ্কার বিতরণ করেন এশিয়ান থ্রোবল ফেডারেশনের সভাপতি ডঃ মুস্তাপা কামাল দাতো ( মলয়েশিয়া) । এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান থ্রোবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি ডঃ লতিফ উদ্দিন ( ভারত) ও রেজাউল করীম ( বাংলাদেশ)। রেফারি হিসেবে খেলা পরিচালনা করেন শ্রীলংকার রমেশ মেহরাজ, ফায়াজ মারুফ ও মালয়েশিয়ার সলেহিন।
দাবায় অত্র প্রতিষ্ঠানের মহিলা ক্যান্ডিডেট মাষ্টার ওয়ার্শিয়া খুসবু তিন তিনবার হয়েছে এশিয়ান স্কুল দাবায় চ্যাম্পিয়ন ।
বাংলাদেশে মহিলা দাবারুদের মধ্যে ওয়ার্শিয়া খুসবু হচ্ছে সর্ব্বোচ্চ রেটেডধারী দাবারু। এদিকে বিশ্ব ক্যাডেট দাবায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মালিবাগের তিন শিক্ষার্থী আজান মাহমুদ, সাফায়াত কিবরিয়া আজান ও সিদরাতুল মুনতাহা এখন কাজাখস্তান অবস্হান করছে। বাংলাদেশ দাবা ফডারেশনের বরাতে জানা গেছে এখন পর্যন্ত আজান মাহমুদ অস্ট্রেলিয়ার বেতিরবেকভ কে ও সাফায়াত কিবরিয়া আজান হারিয়ে দিয়েছে ফ্রান্সের ক্যান্ডিডেট মাষ্টার নিকট ভলেন্টিনকে ও জার্মানির প্রাদিপ হারসিলকে, সিদরাতুল মুনতাহা রুখে দিয়েছে হাঙ্গেরির শক্ত প্রতিপক্ষ মেদভেগি মারিয়াকে ও চাইনিজ তাইপের দাবারু চ্যাং হাসিন তি কে । আগামী ২অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষুদে দাবারুদের এ বিশ্ব দাবা প্রতিযোগিতা চলবে। চলতি বছর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত
জাতীয় স্কুল দলগত দাবা প্রতিযোগিতায় অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মালিবাগের দাবা দল।
এই প্রতিষ্ঠানের দুটি দলই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে যা বাংলাদেশে দাবার অঙ্গনে বিরল।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি, বাড্ডা জোন, ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ বালক - বালিকা উভয় বিভাগে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, মালিবাগের হ্যান্ডবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। দাবার ৪ টি ক্যাটাগরীর ৩ টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবারুরা। তার হলেন বালক মধ্যম দলের সায়ান মিরাব হাসান, বালক বড় দলের সিয়াম চৌধুরী ও বালিকা বড় দলের নীলাভা চৌধুরী।
বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত উম্মুক্ত কারাতে প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ সাউথ পয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাবের ছেলেমেয়েদের কারাতে দল ৭ টি স্বর্ণ, ৯ টি রৌপ্য ও ১৯ টি ব্রোন্জ পদক জিতে নিয়েছে যেখানে বাংলাদেশ সিতোরিউ কারাতে দো ইউনিয়ন আয়োজিত উক্ত প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে প্রায় এগারোশত কারাতে খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে।
ক্রীড়াঙ্গন ছাড়াও সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়েও নিজ প্রতিষ্ঠানকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের উচ্চ শিখরে । যার ধরাবাহিকতায় অত্র স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী আরিজ আনাস জাতীয় বায়োলজি অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিলিপাইনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে ব্রোন্জ পদক অর্জন করে এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রন লাভ করে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠান তথা বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনার জন্য সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইনজ্ঞিনিয়ার জনাব এম এ রশিদ এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ মালিবাগের অধ্যক্ষ ও সাউথ পয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাবের সভপতি কর্নেল মোঃ শামসুল আলম, পি এস সি ( অবঃ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফলতার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষর্থী সহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কোচ ও অভিভাবকবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।
সম্প্রতি প্রকাশিত হল ও’ লেভেল এন্ড এ’ লেভেল এর জুন ২০২৫ সিরিজ পরীক্ষার ফলাফল। উক্ত ফলাফলে রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, বনানী প্রতিবারের ন্যায় এবারও তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এ বছর অত্র ক্যাম্পাসের ০৭ জন শিক্ষার্থী অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে। তন্মধ্যে ০৭জন প্রায় সব বিষয়ে এ’ ও এ’ স্টার পেয়ে সম্মানজনক ডেইলি স্টার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এবং শুধু এই লাকি সেভেনরাই নয়, অন্যান্যরাও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের মুখ উজ্বল করেছে বলে জানান সাউথ পয়েন্ট, বনানী কর্তৃপক্ষ।
কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেছেন যারাঃ
ও’ লেভেলঃ নাফিসা লাবিবা তাবাসসুম- ০৮ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৮ এ’ স্টার। হুমাইরা তাকিয়া আহমেদ- ০৭ বিষয়ে এ স্টার। তাহসিন তারান্নুম আহীর- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার। তারান্নুম তাসনিম জামান- ০৬ এ’ এন্ড এ’ স্টার। মুহাম্মাদ আরাফ- ০৬ এ’ এন্ড এ’ স্টার। মেহরাব মনজুর- ০৯ এ’ এন্ড এ’ স্টার এবং মোঃ কেফায়াত ভূঁইয়া কাইফ- ০৬ এ’ এন্ড এ’ স্টার।
এ’ লেভেলঃ সালিল আইমান আরাফ ০৫ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৫ এ’ স্টার। অনন্য রঙ্গন পল- ০৪ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৪ এ’ স্টার। আহনাফ আন্নাফি- ফামান ০৪ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ স্টার অর্থাৎ ০৪ এ’ স্টার। রাহীক আফরিণ- ০৪ বিষয়ের সবগুলোতেই এ’ অর্থাৎ ০৪ এ’। সুহৃদ সূর্য রহমান- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার। সাদ বিন মাহমুদ- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার এবং মুনশি জাবির একরাম- সকল বিষয়েই এ’ এন্ড এ’ স্টার।
সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, বনানীর ২০২৫ এর সার্বিক ফলাফল পরিসংখ্যান হচ্ছেঃ
ও’ লেভেল ফলাফলঃ সর্বমোট ৭৭ বিষয়ে এ’ এন্ড এ’ স্টার (মোট বিষয়ের ৬০%), এবং ৩০ বিষয়ে বি’ (মোট বিষয়ের ২৩%), ডেইলি স্টার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে ০৭ জন।
এ’ লেভেল ফলাফলঃ সর্বমোট ৩১ বিষয়ে এ’ এন্ড এ’ স্টার (মোট বিষয়ের ৫৮%) এবং ৭ বিষয়ে বি’ (মোট বিষয়ের ১৩%), ডেইলি স্টার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে ০৭ জন।
সাউথ পয়েন্ট, বনানী’র শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব এ অর্জনে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ বনানী শাখার অধ্যক্ষ কর্নেল ই এম মোরশেদ আলম, এমফিল, পিএইচডি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে আরো ভালো করার ব্যপারে গুরুত্বারোপ করেন।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস মুখস্থ করে ভালো ফলাফল অর্জন নয়, বরং সৃজনশীল শিক্ষাচর্চায় মেধার বিকাশ ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী, আদর্শ মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে পরিচালিত হচ্ছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০০২ সালে রাজধানীর গুলশানে মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এখন পড়ালেখা করছে ১৮০০০ শিক্ষার্থী। কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী এম. এ. রশিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও ভিকারুননিসা নূন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মিসেস হামিদা আলীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
ছবির ক্যাপশনঃ ২৪শে নভেম্বর বনানী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মিসেস মনিমুন নাহার, ইঞ্জিনিয়ার এম. এ. রশিদ ফাউন্ডেশনের সদস্য মিসেস এনামুন নাহার এবং অন্যান্যরা ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার প্রদান করেন।
আন্তর্জাতিক র্যাংকিং সিস্টেম Times Higher Education (THE) 2026 র্যাংকিং-এ গবেষণার মান সূচকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে ৭৪৬ তম স্থান অর্জন করেছে।
এ বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মত সংশ্লিষ্ট কমিটি এ র্যাংকিং সিস্টেম জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করে। সংস্থাটি গবেষণার মান ও পরিবেশ, শিক্ষকতার মান, ইন্ডাস্ট্রি থেকে আয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ভঙ্গি এ পাঁচটি প্রধান সূচক বিবেচনা করেছে। যেখানে দেশের পাবলিক ও বেসরকারীসহ ১৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় এতে স্থান পেয়েছে।
২০২৬ সালের তালিকায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দশম (১০ তম) ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ভঙ্গি সূচকে সপ্তম ( ৭ তম) স্থান অর্জন করেছে ।
প্রায় সপ্তাহকাল ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার প্রথম কর্মদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ দুপুরে তাঁর অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন আমাদের র্যাংকিং যাত্রায় প্রাথমিক এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এ পরিবারের সবার। যেকল শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী শিক্ষকতা ও দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকদেরকে মানসম্মত গবেষণা পরিচালনা করছেন তাদেরকে তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
তিনি জানান Quacquarelli Symonds (QS) র্যাংকিং ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক প্রদত্ত ইমপ্যাক্ট র্যাংকিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি রিভিউ ও র্যাংকিং কমিটি এ বছরের শুরু থেকে কাজ করে আসছে।
সম্প্রতি এ কমিটি কিউএস র্যাংকিং সিস্টেম এর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া শাখার ম্যানেজার রামি আওয়াদ কে নিয়ে ওয়েবিনার আয়োজন করে। সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি রিভিউ ও র্যাংকিং কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মতিউর রহমান এ অর্জনকে সামনে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গণঅভ্যুত্থানের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে পদত্যাগ করানো অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে গত মঙ্গলবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চললেও অনেকের বেতন ও ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে আবেদনপত্রে জানিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখা প্রয়োজন। তাই তাদের নাম ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ যদি বেতন-ভাতা চালুর ক্ষেত্রে অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে অনেক শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।
বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী মাত্র ১৫ জন, অথচ শিক্ষক-কর্মচারী মিলে আছে ১৬ জন। শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক-কর্মচারী বেশি হলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ব্যয় হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কমিটি ও শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত ধুঁকছে।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে অবস্থিত এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি নানা অনিয়ম ও দ্বন্দ্বে জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ, শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভেদ ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। একসময় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থী মাত্র ১৫ জন। অন্যদিকে শিক্ষক ১২ জন ও কর্মচারী ৪ জন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না। গত বছর দাখিল পরীক্ষায় ৩৭ শিক্ষার্থী অংশ নিলেও পাস করেছে মাত্র ৭ জন। ২০২৬ সালের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ৩৬ শিক্ষার্থীর, তবে নিয়মিত ক্লাসে আসে মাত্র দুইজন। ইবতেদায়ী শাখায় শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। কাগজপত্রে যেখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে, বাস্তবে ক্লাসে সর্বোচ্চ ১৫ জন উপস্থিত।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, চারটি শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিচ্ছে ১৫ শিক্ষার্থী—এর মধ্যে দশম শ্রেণিতে ২ জন, নবম শ্রেণিতে ২ জন এবং বাকি ১১ জন অন্যান্য শ্রেণিতে। এ সময় নৈশ প্রহরী আব্দুল জলিলকে শিক্ষকদের আসনে বসে থাকতে দেখা যায়, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির উপস্থিত ছিলেন না।
স্থানীয়দের দাবি, তিনি মাসের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন, মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান।
মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা ফারুক হোসেন বলেন, বর্ষার কারণে শিক্ষার্থী কিছুটা কম আসে। বৃষ্টি না হলে উপস্থিতি বেড়ে যায়। মাদ্রাসায় কোনো অনিয়ম নেই।
ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির বলেন, আমি দপ্তরিক কাজে ঢাকায় আছি। বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী কিছুটা কম থাকে। পাশাপাশি এলাকায় তিনটি মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থী কিছুটা ছড়িয়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াদ হাসান বলেন, মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো)-এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রাহিল কামার আজ ৫ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় একই সংস্থার ফাহমিদা ফাইজা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসেস্কোর মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আইসেস্কো চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতিমান সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি আইসেস্কো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। একই সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর পরিপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শর্ত পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ার একটি প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপণের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে প্রজ্ঞাপনটি সঠিক। আমরা ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাতাগার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের ২০ শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়ার ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইেয়দ এ জেড মোরশেদ আলী।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মহাসমাবেশ করেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো চেপে বৃষ্টি। গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দিন একই অবস্থা ছিল। ফলে সাগরে জোয়ার ও ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ।
এই বৈরী পরিবেশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দমাতে পারেনি। শারদীয় দুর্গোৎসব ও টানা চারদিনের ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। ছুটির এ সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে সৈকত শহরের হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, হস্তশিল্প ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসা।
সমুদ্রস্নান, পাহাড় ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকরা। যদিও নিম্নচাপের কারণে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কিছুটা ভ্রমণে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, তবে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে উপভোগ করছেন ভিন্নধর্মী আনন্দ।
শহরের কলাতলী, লাবণী, সুগন্ধা, দরিয়ানগর ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী ও টেকনাফ এলাকায় পর্যটকদের চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা যাচ্ছে। হোটেল-মোটেলের বেশিরভাগ রুম ইতোমধ্যে বুকড হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক অগ্রিম বুকিং না করায় বিপাকে পড়েছেন।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ সময়ে পর্যটকদের আগমন অর্থনৈতিকভাবে স্বস্তি দিলেও অব্যবস্থাপনা, যানজট এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় অনেক পর্যটক ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড সদস্যরা সমন্বিত টহল দিচ্ছেন। শিশু হারানো রোধে চালু হয়েছে বিশেষ হেল্পডেস্ক। যানজট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ, তবে শহরের কিছু অংশে যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিমান সংস্থা বাড়তি ফ্লাইট চালু করেছে। পাশাপাশি রেলও চালু করেছে বিশেষ ট্রেন, এবং বাস সংস্থাগুলোরও অতিরিক্ত ট্রিপ রয়েছে। তবে মহাসড়কে যানজট ভ্রমণকে কিছুটা ক্লান্তিকর করে তুলেছে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ পর্যটকদের জন্য বাড়তি আনন্দের উৎস।
সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে লাইফগার্ড দল। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এই ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক শত কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শহর ও আশপাশের এলাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাত যাপনের সুযোগ রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া পর্যটন খাতের জন্য ইতিবাচক বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, বছরে কক্সবাজারে প্রায় ৩০-৪০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে গতকাল সৈকতের লাবণী পয়েন্টে লাখো পর্যটক ও পুণ্যার্থী ভিড় করেন। এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে সৈকতে জড়ো করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠের শেষে একে একে প্রতিমাগুলো উত্তাল সাগরে ভাসানো হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় এই উপমহাদেশে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অবদান উল্লেখযোগ্য। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি।
বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য শত বছরের পুরনো। যুগে যুগে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। সুশিক্ষার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসার মতো আড়াইশো বছরের ঐতিহ্য সম্ভবত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসসহ বহু আলেম-ওলামা বেরিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে, মাদ্রাসা শিক্ষা না থাকলে ইসলামের ঐতিহ্য আদর্শ তমুদ্দিন কোন কিছুই বজায় রাখা সম্ভব হতো না। তাই সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে। এই শিক্ষাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। এর ঐতিহ্য শত বছরের।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মাদ্রাসা হল আলেম-ওলামা তৈরীর কারখানা। বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ করাতে হবে। তবেই জীবনে সফলতা সম্ভব।
তিনি বলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।সূত্র :বাসস
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা হারানোর পর এবার প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতাও হারাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ বা ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’।
এসব পদে সরকারের তদারকিতে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রক্রিয়ায় বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নির্ধারণে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত একটা হয়েছে, আগে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ পদগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি নিয়োগ দিত, এখন এ পদগুলোতে সরকার নিয়োগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি এটা নির্ধারণ করবে, এ পদগুলোতে কোন আদলে নিয়োগ দেবে, কারা করবে, এনটিআরসিএ করবে না, অন্য কেউ করবে কোনটাই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এ কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তুলে ধরেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ সব পদে নিয়োগে কোন নীতিমালা বা নিয়ম অনুসরণ করা হবে তা এ কমিটি নির্ধারণ করবে।’
আপাতত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রভাষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএ এর হাতে থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষমতা ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
গত সোমবার প্রকাশিত এক পরিপত্রে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কর্মচারী পদে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সভাপতি পদ থেকে ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’ সরিয়ে ডিসিদের এ দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে জানাতে এ কর্মশালা আয়োজন করে এনটিআরসিএ।
কর্মশালায় এনটিআরসিএ সদস্য এরাদুল হক, মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, পরিচালক তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, সংস্থাটির সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ ও নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ আয়োজিত ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের প্রেস রিলিজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান', যার লক্ষ্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্নিয়া ভবনে। সেখানে দলগুলো তাদের বাস্তবায়িত প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করে। পিচিং রাউন্ড, সম্মানিত জুরি বোর্ডের প্রশ্নোত্তর এবং অতিথিদের সামনে উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র অংশ নেয় বাকৃবির দুটি দল, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ ও ‘অ্যাকোয়াফোর’। দল দুটির প্রতিনিধিত্ব করেন বাকৃবির ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা ও ফুড সেফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শবনম ফেরদৌস। প্রতিযোগিতায় তাঁদের সমন্বয় ও পরামর্শ দেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।
অসাধারণ কৃতিত্বের মাধ্যমে, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ দলটি শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পায় এবং অর্জন করে ৩,৫০০ ইউরোর গ্র্যান্ড প্রাইজ। অপরদিকে, ‘অ্যাকোয়াফোর’ দর্শকদের ভোটে ৫০০ ইউরোর ভিউয়ার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। বিজয়ী দলটি ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও ইয়াস-এর সহযোগিতায় পরিচালিত ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া নেদারল্যান্ডসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ফোন করে অভিনন্দন জানান।
আয়োজকরা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা কেবল পুরস্কার জেতার জন্য নয়, বরং তরুণদের সৃজনশীলতা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার জন্য।”
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ অর্জন জাতীয় গৌরবের পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার স্বীকৃতি এনে দিল।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব আয়োজিত “জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. শামসুল হুদা, রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, ডিবেট ক্লাবের কো-অর্ডিনেট ও আইন বিভাগের লেকচারার মেহেরবা সাবরিন, এবং ক্লাবের সভাপতি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত ইবনে মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
৩২ টি কলেজের অংশগ্রহণে ইন্টার-কলেজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ মুখোমুখি হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিজয়ী হয় এবং সরকারি বাংলা কলেজ রানার আপের গৌরব অর্জন করে। এ পর্বে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ইমন আহমেদ।
অন্যদিকে, ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এর মধ্যে লড়াই হয়। এই প্রতিযোগিতায় বুটেক্স বিজয়ী হয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রানার আপ হয়। এ পর্বের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আলভি সালমান।
আয়োজকরা জানান, এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের তরুণ প্রজন্মকে যৌক্তিকতা, মুক্তচিন্তা ও নেতৃত্বের চর্চায় অনুপ্রাণিত করা।