এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৯৭৮ সালে। অসচ্ছল পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে শেষ পর্যন্ত আর সে পরীক্ষা দেয়া হয়নি। এরপর কেটে গেছে আরও ৪৪ বছর। বয়স গড়িয়েছে পঁয়ষট্টির কোঠায়। এর মধ্যে তিন সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু মনের মধ্যে পড়ালেখা করার ইচ্ছাটা পুষে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৬৭ বছর বয়সে এসে বসলেন এসএসসি পরীক্ষায়। নাতি-নাতনিদের বয়সীদের পাশে পরীক্ষায় বসে শেষ পর্যন্ত পাসও করেছেন।
অদম্য মানসিকতা নিয়ে বয়সকে নিছক সংখ্যায় পরিণত করে এমন সাফল্য দেখিয়েছেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার আবুল কালাম আজাদ। এ বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার রাহিলা কাদির উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।
সোমবার দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, তিনি জিপিএ ২.৯৫ পেয়ে মাধ্যমিকের গণ্ডি উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদের বাড়ি শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের লঙ্গরপাড়া গ্রামে। মৃত আব্দুল রশিদ মণ্ডলের ছেলে তিনি। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তার জন্ম তারিখ ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ।
আবুল কালাম আজাদ জানালেন, ১৯৭৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে সংসারের খরচ জোগাতে ঢাকা চলে আসেন তিনি। ২২ বছর ঢাকায় কাটে তার। এর মধ্যে বিয়ে করেন। সংসারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাড়ি দেন সৌদি আরবে। ১৮ বছরের প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন। সন্তানদের পড়ালেখা করান। তার বড় ছেলে ইংরেজির শিক্ষক, মেজো ছেলে কামিল পাস করেছেন, ছোট ছেলে পেশায় প্রকৌশলী। সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেও নিজে আর পড়ালেখা করতে পারেননি কালাম।
তবে এই সময়ে লেখালেখি শুরু করেন তিনি। দুটি কবিতার বই প্রকাশ করেছেন তিনি। লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, গান। সেগুলোর পাণ্ডুলিপি যত্ন করে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। এলাকাতেও তিনি ‘কবি কালাম’ নামেই পরিচিত।
পড়ালেখার প্রতি দুর্বলতা থেকেই শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে বকশীগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম হাইস্কুলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হন আবুল কালাম। ২০২১ সালে প্রথম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হন। এরপর গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন তিনি।
পরীক্ষায় পাসের পর কেমন লাগছে- জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছোট ছেলে আরিফুলের কাছ থেকে পরীক্ষায় পাসের খবরটি পাই। খুব ভালো লাগছে। এলাকার অনেকেই প্রথম হাসাহাসি করলেও এখন আমি পাস করায় সবাই রেজাল্ট শুনতে আসছে। আর শিক্ষার কোনো বয়স নেই। তাই আমি আমার ইচ্ছাটা শেষ বয়সে হলেও পূরণ করতে চেয়েছিলাম। আমার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।’
তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না আবুল কালাম। তিনি বলেন, ‘আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে। ছেলেরা যেহেতু পড়ালেখার জন্য সহযোগিতা করতাছে, তাই আমি উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
আবুল কালামের মেজো ছেলে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের তিন ভাইকে পড়ালেখা করিয়ে ভালো চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। তার নিজের ইচ্ছা ছিল পড়ালেখা করার। এখন তার ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। বাবা আরও পড়ালেখা করতে চাইলে আমরাও তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করব।’
এদিকে শেষ বয়সের এমন সাফল্যে এলাকায় বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন আবুল কালাম। খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া।
আবুল কালাম আজাদ অবশ্য আরেকটি ইচ্ছার কথাও জানালেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ২৭টি এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৫টি কবিতা লিখেছেন তিনি। নিজের লেখা কবিতাগুলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দিতে চান তিনি।
সমাবর্তন প্রত্যাশী অধিকাংশ গ্র্যাজুয়েটের দাবি উপেক্ষা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আসন্ন দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন গ্র্যাজুয়েটরা।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা রাবি প্রশাসনকে গ্র্যাজুয়েটদের অসন্তোষ নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
রাবির ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী ইউনুস হৃদয়ের সঞ্চালনায় শুরুতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ অন্তর।
আব্দুল মজিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম অবহেলার সঙ্গে এই দায়সারা সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সমাবর্তন প্রত্যাশীরা যে ৩ দফা দাবি জানিয়েছেন, তার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
সঞ্চালনায় আলী ইউনুস হৃদয় বলেন, গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে যে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তা দিন দিন ক্ষোভে রূপান্তর হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আবেগ ও অনুভূতি প্রশাসনকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই এই মহতী আয়োজন সফল হবে। কাউকে বঞ্চিত করে এই আয়োজন সফল হতে পারে না।
৬২ ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অর্বাক আদিত্য বলেন, আমরা দাবি জানিয়ে যাচ্ছি কিন্তু প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। তারা কাদের জন্য তাড়াহুড়ো করে এই আয়োজন করছে আমরা বুঝছি না, এখানে কার কোন স্বার্থ রয়েছে? ইতোমধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। দায়সারা সমাবর্তন নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটরা কখনও মানবে না। প্রশাসনকে অবিলম্বে তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে।
সমাবেশে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, যে দায়সারা আয়োজন করতে যাওয়া হচ্ছে তা লজ্জাজনক। নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি এই অবজ্ঞা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনকে ৩ দফা দাবির ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাবির ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রাসিব নাহিদ বলেন, কর্মব্যস্ত ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় আয়োজিত সমাবর্তনে উপস্থিত হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। দায়সারা এই আয়োজন ইতোমধ্যে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদি প্রশাসন কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন। এর আগে, শনিবার ( ৬ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তন নিয়ে ৩ দফা জানান গ্র্যাজুয়েটরা। সেখানে দাবি মানা না হলে সমাবর্তন বর্জনের ডাক দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৭২ বছরের ইতিহাসে মাত্র ১১টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাদশ সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সমাবর্তনের তারিখ বার বার পেছানোর কারণে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা একই বছরের ১৩ জানুয়ারি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কয়েকবার তারিখ দিয়েও পরে অনিবার্য কারণবশত সমাবর্তন স্থগিত করা হয়েছিল।
সম্প্রতি প্রকাশিত হল ও’ এন্ড এ’ লেভেল এর জুন ২০২৫ সিরিজ পরীক্ষার ফলাফল। উক্ত ফলাফলে রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের (ইংরেজি মাধ্যম), মালিবাগ শাখার এ লেভেলের শিক্ষার্থী আরিজ আনাস গণিতে বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনের মাধ্যমে ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
গণিতের পাশাপাশি জীববিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়েও আরিজের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। তিনি দুইবার ন্যাশনাল বায়োলজি অলিম্পিয়াডে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস’ ট্রফি অর্জন করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল বায়োলজি অলিম্পিয়াডে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিনিধিত্ব করে মেরিট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এছাড়া ২০২৫ সালে তিনি ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল বায়োলজি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয়ের পর তিনি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দেশের অন্যতম সেরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিবাগ ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ কর্নেল মোঃ শামসুল আলম, পি এস সি (অবঃ) বলেন, হাস্যোজ্জ্বল সুন্দর আচার-আচরণ ও ইতিবাচক মনোভাবের আরিজ জুনিয়রদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস। আমরা আরিজ আনাসের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
শুধু একজন শিক্ষার্থীই নয়, প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক ফলাফলও ঈর্ষণীয়। উল্লেখ্য, ক্যামব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস (Cambridge Learner Awards), যা আউটস্ট্যান্ডিং ক্যামব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস নামেও পরিচিত। এর মাধ্যমে ক্যামব্রিজের বিভিন্ন যোগ্যতা পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বিশ্বব্যাপী কোনো বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনসহ শিক্ষার্থীদের অনন্য কৃতিত্ব, পরীক্ষায় দক্ষতা এবং সমাজ ও সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকেও এই পুরস্কারের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়।
এসব পুরস্কারের মধ্যে ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ ক্যাটেগরি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সকল ক্যামব্রিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্দিষ্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনকারীদের এ সম্মান প্রদান করা হয়।
২০০২ সালে রাজধানীর গুলশানে মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এখন পড়ালেখা করছে ১৮০০০ শিক্ষার্থী। কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী এম. এ. রশিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও ভিকারুননিসা নূন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মিসেস হামিদা আলীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
বরগুনার আমতলী উপজেলার অনুদানপ্রাপ্ত পাঁচটিসহ ৭৬টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় নেই কোন প্রকৃত শিক্ষার্থী। কাগজে-কলমে হাজারো শিক্ষার্থী দেখিয়ে অনুদান গ্রহণ করা হলেও বাস্তবে এসব মাদ্রাসা ফাঁকা পড়ে আছে। পরীক্ষার সময় ধার করা শিক্ষার্থী এনে দেখানো পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় অনুদানভুক্ত পাঁচটিসহ মোট ৭৬টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। অনুদান পাওয়া পাঁচটি মাদ্রাসা হলো, পূর্ব চিলা হাসানিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, উত্তর ঘোপখালী, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া নাচনাপাড়া এবং কুতুবপুর ইসরাইলিয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। তবে গত দুই-তিন বছর ধরে এসব মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। শিক্ষকরা কাগজে-কলমে শিক্ষার্থীর তালিকা দেখিয়ে অনুদান পাচ্ছেন, কিন্তু বাস্তবে ক্লাসরুম ফাঁকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার দরজায় প্রায়ই তালা ঝুলতে দেখা যায়। শিক্ষকরা কখনো কখনো এসে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। গত ২০ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও বেশিরভাগ মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি। কেবল কয়েকটি মাদ্রাসায় দুই-একজন শিক্ষার্থীকে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, কাগজে-কলমে এসব মাদ্রাসায় মোট ৯ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে তদন্তে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মাদ্রাসায় একজন শিক্ষার্থীও নেই।
দেখা যায়, মাত্র দুইজন শিক্ষার্থী, আয়শা আক্তার জুই চতুর্থ শ্রেণি ও সিয়াম তৃতীয় শ্রেণি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তবে তারা আসলে কুকুয়া গোজখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের ধার করে এনে মাদ্রাসার বেঞ্চে বসিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ওই মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা বশির আহম্মেদ বলেন, আমার মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থী নেই, তাই কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
কুতুবপুর ইসরাইলিয়া মাদ্রাসার প্রধান গোলাম কিবরিয়া বলেন, বেতনভাতা না পাওয়ায় কোনো মতে মাদ্রাসা চালিয়ে রাখছি। তবে কতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে-এ বিষয়ে তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি।
আমতলী উপজেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন বলেন, অনুদানভুক্ত পাঁচটি মাদ্রাসায় ছয় মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ। সরকার কীভাবে দেশ চালাচ্ছে, বুঝে উঠতে পারছি না।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াদুল হাসান বলেন, উপজেলায় পাঁচটি অনুদানপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থী আছে কি না, আমি নিশ্চিত নই। তবে পাঁচটি ছাড়া বাকি মাদ্রাসাগুলো কাগজে-কলমে আছে, বাস্তবে নেই।
বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) এর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো ‘স্ট্রাকচার্ড ক্লিনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট (Workshop on Structured Clinical Assessment (SCA)’ বিষয়ক কর্মশালা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন, মূল্যায়ন পদ্ধতির আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ তৈরির ক্ষেত্রে এসসিএ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এটি শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং রোগী-কেন্দ্রিক সেবার মান নিরূপণে বৈজ্ঞানিক ও নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন। তিনি বলেন, বিএমইউ দক্ষ, নীতিনিষ্ঠ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনকোলজি বিশেষজ্ঞ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক মূল্যায়ন পদ্ধতি সেই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।
কর্মশালার ফ্যাকাল্টি সেশন পরিচালনা করেন প্রফেসর তাহমিনা বেগম, কাউন্সিলর ও পরিচালক, ডিপার্টমেন্ট অব মেডিক্যাল এডুকেশন, বিসিপিএস, ডা. মোঃ রাসেল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক, মেডিক্যাল এডুকেশন, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স, বিএমইউ। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এসসিএ এর দর্শন, স্টেশন ডেভেলপমেন্ট, মূল্যায়ন রুব্রিক, অবজেক্টিভ স্কোরিং এবং ফিডব্যাক ব্যবস্থা নিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বিএমইউ এর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা সিএমএইচ ক্যান্সার সেন্টার, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি ও মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপভিত্তিক স্টেশন ডিজাইন, স্কোরিং পদ্ধতি ও ফিডব্যাক মেকানিজম নিয়ে কার্যকর গ্রুপওয়ার্ক সম্পাদন করেন। কর্মশালাটি আয়োজিত হয় ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে, যা বিএমইউতে উচ্চমানের স্নাতকোত্তর শিক্ষা ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরির চলমান প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে যারা বয়সসীমার কারণে আবেদন করতে পারছিল না, তারা এখন আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত বয়সের দিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধনের বিষয়টি জানানো হয়। এতে সই করেছেন মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
ভর্তির সংশোধিত এ নীতিমালায় ‘পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে’ অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা আর থাকছে না।
মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনলাইন আবেদন চলমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তির যে নীতিমালা প্রকাশ করেছিল, তার অনুচ্ছেদ-২ -এ থাকা বয়স নির্ধারণ অংশে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত নীতিমালা বয়স নির্ধারণ অংশ বলা হয়, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচারক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, বয়সসীমা নিয়ে জটিলতা ছিল। এ নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছিল। অনেক অভিভাবক জানাচ্ছিলেন, তাদের সন্তানের ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না। এজন্য দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির বয়সসীমাটা এক রকম তুলে দেওয়া হয়েছে।
তাহলে যে কেউ দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিভাবকদের শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনাগুলোও অনুসরণ করতে হবে। সেখানে কিন্তু ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম-দশমে রেজিস্ট্রেশনের একটি নির্দিষ্ট বয়স প্রয়োজন হয়। যেমন এ বছর শিক্ষা বোর্ড ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৯ বছর করেছে। এখন কেউ তো ৯ বছরের নিচের বয়সীকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করালে বিপাকে পড়বেন। ফলে বোর্ডের বয়সসীমাটা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে আবেদন করতে হবে।
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ ঘিরে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে অধ্যাদেশ জারি না হলে রোববার থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে ঢাকা কলেজের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, সাত কলেজে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন থমকে আছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় জটিলতা বাড়ছে। তাই আগামী রোববার থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে আমরা টানা অবস্থান করবো। যতক্ষণ পর্যন্ত অধ্যাদেশ জারি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এর আগে এদিন সকাল থেকে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মিরপুর সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি বা পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না করে সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষাজীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার জন্যও বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে কাল ৪ ও পরদিন ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিজিআরএ- ২০২৫ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স। এ উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগের জুরি কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স কো-চেয়ার অধ্যাপক কানু কুমার দাশ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সজীব পাল, সহকারী অধ্যাপক ড. নুসরাত জান্নাত এবং সাঈদা তাহমিনা তাসনিম। উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের ওই কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চাররা অংশ নিবেন। এতে ২ জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত থাকবেন। এই কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর ওপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোস্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগে ২ দিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে। আগামী ০৪ ডিসেম্বর, সকাল ১০.০০ ঘটিকায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সদয় সম্মতি চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এতে কনফারেন্সে চেয়ার হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ারদার, কনফারেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব কানু কুমার দাশ এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী।
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আজ মঙ্গলবারও চলবে শিক্ষকদের লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি। ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থগিত থাকছে বার্ষিক পরীক্ষা। দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাসেম মোহাম্মদ শামছুদ্দীনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারও আগের মতোই পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। সোমবার সারাদেশে তৃতীয় দিনের মতো সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতঃস্ফূর্ত পরীক্ষা বর্জন ও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দাবি হচ্ছে- সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্র জানায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি।
এখানে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা ইতিমধ্যে দশম গ্রেডে বেতনভুক্ত হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনো ১৩তম গ্রেডে আছেন। গ্রেড উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ কয়েকটি দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন।
এর আগে গত ৮-১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আবার কর্মবিরতিতে ফেরেন।
গোয়ালন্দে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. সালাহউদ্দিন শেখের বদলি আদেশ বাতিল করে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন করে তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথী দাস শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন।
শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল ফটকের সামনে ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। এর আগে ২৬ নভেম্বর একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান করে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শিক্ষক অনেক ভালো। তাকে ষড়যন্ত্র করে এখান থেকে বদলি করা হয়েছে। আমরা তাকে যেতে দেব না। তিনি শুধু শিক্ষক নন, তিনি আমাদের অভিভাবক।
তারা আরও বলেন, সালাহউদ্দিন স্যার একজন নিষ্ঠাবান, ছাত্রবান্ধব ও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া আদর্শ শিক্ষক। তার হঠাৎ বদলির সিদ্ধান্ত শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুলতানা মেহেরুনা জামান বলেন, এই বদলির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। উপর মহল থেকেই নিয়ম অনুযায়ী বদলি করা হয়েছে। আমাদের এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই।
এ সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে সে জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছিল। আশা করি শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে, পরে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাথী দাস বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বদলির আদেশ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা এক অফিস আদেশে গোয়ালন্দ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর মো. সালাহউদ্দিন শেখকে মাদারীপুরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে অন্য এক শিক্ষককে তার স্থলে গোয়ালন্দে পোস্টিং দেওয়া হয়। এ খবর জানার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে রেখে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে আসছে।
সারা দেশের মতো বয়স বিড়ম্বনায় পড়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা। এতে করে কাঙ্ক্ষিত ক্লাসে ভর্তি হতে পারছেন না অসংখ্য শিক্ষার্থী। এমন অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তাই পড়েছেন অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের বয়স নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার দ্রুত অবসান চেয়েছেন তারা। এমনকি শিক্ষার্থীদের বয়স বিড়ম্বনার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে অভিভাবকরা।
নাজনিন হাসান নামে এক অভিভাবক জানান, ‘আমার ছেলের জন্ম ২০১২ সালে ২৭ ডিসেম্বর। বর্তমানে পঞ্চম শ্রেনী শেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। তবে সফটওয়্যারে ১ জানুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৬ সালের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর কম বেশি হলে সফটওয়্যার নিচ্ছে না। এতে আমার ছেলের বয়স তিন দিন বেশি হচ্ছে। এ কারনে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো যাচ্ছে না। এখন কি করব সে বিষয়ে কোন ধারণাও পাওয়া যাচ্ছে না।’ সরকারের ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে ভর্তির আবেদন পক্রিয়া ২১ নভেম্বর বেলা ১১টায় শুরু হয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি নির্ধারণ করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত হবে। (যেমন ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় কোন শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন পাঁচ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা সাত বছর অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত)।
ভর্তির নীতিমালার অনুযায়ী, প্রথম শ্রেনীতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ৫ থেকে ৭ বছর, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ বছর, তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ৭ থেকে ৯ বছর, চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ বছর, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত ৯ থেকে ১১ বছর, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ বছর, ৭ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত ১১ থেকে ১৩ বছর, ৮ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ বছর এবং ৯ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৩ পর্যন্ত ১৩ থেকে ১৫ বছর।
রঙিন সাজ, আনন্দ উল্লাস আর মধুর আবহে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুর সরকারি কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নবীনবরণ উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসজুড়ে সকাল থেকেই ছিল উৎসবের আমেজ- রঙিন ব্যানার, ফুলের মালা, আর নবীন-প্রবীণের হাসিমুখে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সহকারী (ঐকমত্য) ও সাংবাদিক মনির হায়দার। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন পথচলা শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠারও পথ দেখায় কলেজ জীবন। স্বপ্ন বড় হবে, পথ চলা হোক আলোকিত।
কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নজরুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খেজমত আলী মালিথ্যা।
অতিথিরা বলেন, তারা নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধে বড় হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। এছাড়া কো-কারিকোলাম অ্যাক্টিভিটিস, সামাজিক কার্যক্রমসহ মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কলেজকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরার পাশাপাশি একটি মানবিক সমাজ গঠন করার আহ্বান জানান।
নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র মো. বিধান শেখ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী উলফাতুন নেছা পূর্ণিমা।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তারা বলেন ‘এ কলেজে ভর্তি হওয়া আমাদের গর্ব। প্রবীণদের ভালোবাসা আর শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা আমাদের পথচলা আরও সুন্দর করবে।’
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত ছিল ফুল ছিটিয়ে নবীনদের বরণ করে নেওয়া। প্রবীণ শিক্ষার্থীরা হাতে রঙিন পাপড়ি ছিটিয়ে নবীনদের স্বাগত জানালে ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর এক আবহ।
পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, কবিতা আর নাট্য পরিবেশনায় মাতিয়ে রাখেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা। পুরো অনুষ্ঠানে ছিল শৃঙ্খলা, সৌন্দর্য আর এক সজীবতার পরশ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর (রসায়ন) মো. সালাহউদ্দিন শেখের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
উল্লেখ্য, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা এক অফিস আদেশে গোয়ালন্দ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর মো. সালাহউদ্দিন শেখকে মাদারীপুরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে অন্য এক শিক্ষককে তার স্থলে গোয়ালন্দে পোস্টিং দেওয়া হয়।
এ খবর জানার পর শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে রেখে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক অনেক ভাল। তাকে ষড়যন্ত্র করে এখান থেকে বদলি করা হয়েছে। আমরা তাকে যেতে দেব না। তিনি শুধু শিক্ষক নন, অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে থাকেন।’
তারা আরও বলেন, সালাহউদ্দিন স্যার একজন নিষ্ঠাবান, ছাত্রবান্ধব ও নিয়মিত ক্লাস নেওয়া আদর্শ শিক্ষক। তার হঠাৎ বদলির সিদ্ধান্ত শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দেখা যায়-প্রতিষ্ঠানের মূল ফটক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা এতে অসম্মতি জানান এবং মূল ফটকের গেইট তালাবদ্ধ রাখে।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মোছা. সুলতানা মেহেরুনা জামানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাথী দাস বলেন, আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান করেছি। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকের বদলির আদেশ বাতিলের বিষয়েও উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলব।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি অভিযোগ-অসন্তোষ দূর করে দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)—এর ১৪১তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে অনুষ্ঠিত। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট চেয়ারম্যান ও চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, চুয়েটের ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারভার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, ইনস্টিটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, অবসারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (টিএসসি) এবং ডিএমডি (বিটিবিএল) প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ, চুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধর এবং চুয়েটের মানবিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
এছাড়াও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আয়নাল হক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মিজ আলিফ রুদাবা। উক্ত সিন্ডিকেট সভায় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।