দুই দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক মেরিন টেকনোলজি সম্মেলন-মারটেক ২০২২ এর শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সূচনা হয় এ অনুষ্ঠানের। এ সম্মেলনের আয়োজক ছিল বিশবিদ্যালয়ের নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সম্মেলনের লক্ষ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে উৎসাহ প্রদান, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নৌ প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণায় জ্ঞান বিনিময়। এবারের আয়োজনের আলোচ্য বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল শিল্প বিপ্লব ৪.০ (ইন্ডাট্রিয়াল রেভ্যুলিউশন ৪.০) এবং সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি)।
আয়োজনের প্রথম দিনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে গ্রিন শিপবিল্ডিংয়ের অনেক সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আমাদের এই কাজগুলোর সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিষয়গুলো মাথায় রেখে গবেষণা ও উন্নয়ন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েটে শীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে টোয়িং ট্যাংক। সার্বিক উন্নয়নে এটি অসাধারণ ভূমিকা রাখবে।’
পাঁচটি পদে মোট ২৪ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। অস্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে লোকবল নিয়োগের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ডিটিসিএ।
পদের নাম ও পদসংখ্যা
১. ব্যক্তিগত সহকারী-৫
২. কম্পিউটার অপারেটর-১০
৩. স্টোর কিপার-১
৪. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক-৫
৫. ড্রাফটসম্যান (অটোক্যাড অপারেটর)-৩
যোগ্যতা
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যারা পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ করতে পারবেন তারা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। যোগ্যতাসহ সব রকম নিয়মকানুন জানে এই লিংক থেকে http://dtca.teletalk.com.bd/docs/DTCA_circular_20230731_up.pdf বিজ্ঞপ্তির পিডিএফ ফাইলটি নামিয়ে নিতে পারবেন। প্রত্যেক পদে আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে এই বিজ্ঞপ্তিতে।
আবেদনের সময়সীমা
আবেদন পূরণ শুরু হয়েছে ৩১ জুলাই। আবেদনের শেষ তারিখ ২০ আগস্ট-২০২৩।
বয়স
আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ (১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত) বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর। বয়স প্রমাণের জন্য অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদনের নিয়ম
আগ্রহী প্রার্থীরা http://dtca.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।
উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে
আমি ২০১২ সালে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে স্নাতক শেষ করি। এরপর একটি বায়িং হাউসে চাকরিতে যোগদান করি। তখন আসলে চাকরিতে মন বসছিল না। আমি যে কাজ করছিলাম সেটা উপভোগ করতে পারছিলাম না। তাই এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম, যাতে স্বাধীনতা থাকবে, এনজয় করা যাবে, থাকবে না সময়ের সীমাবদ্ধতা, নিজে ভিন্ন কিছু করা যাবে এবং মানুষের সঙ্গে সংযোগ থাকতে পারব। তখন বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি একটা আলাদা ভালোবাসা ও উন্মাদনা লক্ষ করলাম। ওই জায়গা থেকে ২০১৪ সালের শেষে চাকরি ছেড়ে স্পোর্টস এজেন্সি দেয়া হয়। পাশাপাশি একটা ফ্যাশন হাউসও দিই। তবে চাকরি ছাড়ার পর তখন কেউই আমাকে সাপোর্ট দেয়নি। আমি আসলে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি। আর জীবনে বড় হতে হলে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, গোছানো ক্যারিয়ার এবং ভালো ভবিষ্যৎ ছেড়ে অনিশ্চিত জীবনে ঝাঁপ দেয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। প্রথম কয়েক বছর অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
ক্যারিয়ারে অন্যকে ফলো না করা
যেকোনো কাজের প্রথমে জানতে হবে সেই কাজটা আমার জানাশোনা আছে কি না এবং বিশ্বাস করছি কি না। এটা সঠিক এবং নিজের কাছে উপভোগ্য কি না। কেউ ইউটিউবার হয়ে সফল হয়েছে, তাই আমাকেও ইউটিউবার হতে হবে, এটা ভুল ধারণা। কাউকে ফলো করে সফল হওয়া জরুরি নয়। নিজের দক্ষতা ও কাজের প্রতি ভালো লাগা থেকে লেগে থাকলে একসময় সফলতা আসবে। আজকাল তরুণরা অন্যের কাজকে ফলো করে সফল হতে উঠেপড়ে লেগে যায়। কিন্তু দিন শেষে তারা ব্যর্থ হয়। নিজে যে কাজ ভালো পারবেন ও বুঝবেন, কাজকে উপভোগ করবেন।
চাই বাধাবিপত্তির জয়
যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু করলে বাধা আসাটা স্বাভাবিক। মানুষজন অনেক রকমের কমেন্ট করবে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমি ভালো চাকরি ও ক্যারিয়ার ছেড়ে উদ্যোক্তা হতে শূন্য থেকে শুরু করি। তখন আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও পরিবার থেকে কথা শুনতে হয়েছে। আমি মনে করি, যখন কাউকে নিয়ে নেগেটিভ কমেন্ট করা হয়, তার মানে সে ভালো কিছু করছে। এই নেগেটিভ কমেন্টগুলো আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা দিত। আমি ভাবতাম, যখন আমি সফল হব, তখন তারাই আমার পটিজিভ কমেন্ট করবে। আর এটাই আমার সফলতা। মানুষের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক থাকলে কেউ নেগেটিভ কমেন্ট করে আটকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রয়োজনে এসব ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলতে হবে। আবার সফল হওয়ার পর এরাই পজিটিভ কমেন্ট করবে।
সফলতার শর্টকাট পথ নেই
সফলতার সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। অনেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে সফল হয়। আবার অনেকে অল্প টাকা ইনকাম করে সফল হয়। সফলতার পূর্বশতগুলো হলো সৎ থাকা, লেগে থাকার মনমানসিকতা, কমিটমেন্ট ঠিক রাখা, পরিশ্রম করে যাওয়া; যেকোনো ব্যবসা করার আগে এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। শর্টকাট সফল হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। সফল হতে ধৈর্য ধরে দীর্ঘ সময় লেগে থাকতে হবে। কাজকে এনজয় করে সামনে এগিয়ে গেলে ইনশাল্লাহ একদিন সফল হবেন।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে
কোনো একটা সার্ভিস বা ব্যবসা করার আগে মাথায় রাখতে, কাস্টমার কেন আমার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট নেবে, এই জিনিসটা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের চেয়ে নিজের সার্ভিস বা ব্যবসায় ভিন্নতা আনতে হবে। যাতে সবার এটার প্রতি আকর্ষণ থাকে। আরেকটা বিষয়, ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যকে কপি না করে নিজে এমন কিছু করতে হবে, যা অন্য কেউ করেনি। নতুন কিছু করে নাম্বার ওয়ান হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। একটু পজিটিভ চিন্তা করলে এ রকম অনেক বিষয় পাওয়া যাবে। পৃথিবীতে এ রকম অনেক নতুন কিছুই আছে, যা সম্পর্কে মানুষ এখনো কাজ করেনি।
বাৎসরিক ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বেতনের কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বাংলাদেশ। সংস্থাটি কক্সবাজারে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: প্রোগ্রাম ম্যানেজার-এএইচপি
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যানিটারিয়ান/ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ অথবা বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ম্যানেজমেন্ট বা সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ইমার্জেন্সি ও উন্নয়ন কাজে। এর মধ্যে অন্তত চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরির। দক্ষ হতে হবে বাজেট ম্যানেজমেন্ট ও ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টে। যোগাযোগ ও নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মস্থল: কক্সবাজার
কর্মঘণ্টা: সপ্তাহে ৩৭.৫ ঘণ্টা
বেতন: বছরে (১৩ মাস) ২৩,৩৪,৬০৪ টাকা।
যেভাবে করবেন আবেদন
আগ্রহীরা এই লিংকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply For This Role-এ ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
গত এক যুগে তিনি কয়েক হাজার মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন। নিজে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেখানে কাজ করছেন ছয়জন। পাশাপাশি নিজে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে আয় করছেন ২ লাখ টাকারও বেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে এ পর্যন্ত তাঁর আয় প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। আর এসব কিছুই তিনি করেছেন কুষ্টিয়ায় বসে। সফল এই ফ্রিল্যান্সারের নাম এ এইচ আলী। আলীর সফলতার গল্প জানাচ্ছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
পরিবারের গল্প
আলীর জন্ম ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর সেরকান্দি গ্রামে। কুমারখালী পোস্ট অফিসের ঠিক সামনে তাঁর বাড়ি। মা-বাবা, দুই বোন, স্ত্রী নিয়ে তাঁর পরিবার। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেলেও ছোট বোন পড়াশোনা করছে। আলীর স্ত্রী টেক্সটাইলে বিএসসি পাস করেছেন। চাকরি না করলে আলীর কাজে সহযোহিতা করেন তিনি।
যেভাবে শুরু
আর দশটা ফ্রিল্যান্সারের মতো আলীর শুরুটা হয়নি। তিনি যখন শুরু করেন, তখন শেখার সুযোগ খুব কম ছিল। আজকের মতো তথ্যপ্রযুক্তির এত রমরমা অবস্থা ছিল না। সময়টা ২০১০ সাল। তখন তিনি ছাত্র। ফ্রিল্যান্সিংয়ের টুকটাক কাজ করতেন। এরই মধ্যে সংবাদপত্রে একদিন দেখলেন, ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে আয় করা যায়। তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে তাঁর আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। ইউটিউব, গুগল থেকে তিনি শেখার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
প্রথম আয়
২০১৩ সালে আলী প্রথম ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় করেন। যেটা ছিল ইউটিউব থেকে ভিডিও বানিয়ে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে, যা ছিল ১৪১ ডলার। এরপর আর তাঁকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
ফ্রিল্যান্সিং বেছে নেয়ার কারণ
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে তিনি গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মার্কেটিংয়ে মাস্টার্স করার পর তিনি চাকরির কথা খুব একটা ভাবেননি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় বেশি। চাকরি পেলেও এমন আয় করা কঠিন হবে। ওদিকে পরিবারের দায়িত্ব নেয়ারও একটা চাপ ছিল। লাভের আশায় পেঁয়াজ-রসুনের ব্যবসা শুরু করে লস খেয়েছেন। স্টেশনারি দোকান দিলেও ভাগ্য তাঁর সহায় হয়নি। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর সেরকান্দি গ্রামে আলীর বাড়ি। মা-বাবা, দুই বোন ও স্ত্রী নিয়ে তাঁর পরিবার। আলীর স্ত্রী টেক্সটাইলে বিএসসি শেষ করেছেন। এখন তিনি আলীর কাজে সহায়তা করেন বলে জানান।
আট লাখ ফলোয়ার তাঁর
আলী একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করেন। সেই সুবাদে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের বাইরে, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাইন্ট খুঁজে পেতে হয় তাকে। তিনি ওয়েবসাইটয়ের মার্কেটিং বা প্রমোশন, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, এসইওসহ নতুন বা পুরোনো একটা স্টার্টআপ বা কোম্পানির ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান বা স্ট্যাটেজি কেমন হবে, কীভাবে সেল বৃদ্ধি করবে, সেই কনসালট্যান্সি সার্ভিসও দেন। এখন পর্যন্ত দেশি ও বিদেশি ক্লাইন্টের প্রায় ৪০০-এর বেশি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করে দিয়েছেন তিনি।
A.H. Ali Official নামে তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ও পেজ রয়েছে। যেখানে তিনি স্টুডেন্টদের জন্য ক্লাস নেয়াসহ ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ভিডিও দেন। তিনি বলেন, সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়া মিলিয়ে প্রায় আট লাখের বেশি ফলোয়ার বা মানুষ আমার সঙ্গে কানেক্টেড। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের Fiverr Bangladesh, Tech Doctor-সহ অনেকে বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং হেল্পিং গ্রুপে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিতে সাপোর্ট দেন তিনি।
নতুনদের জন্য
নিজে ফ্রিল্যান্সিং করলেও একসময় আলী ভাবলেন নতুনদের কথা। যারা হয়তো সঠিক গাইডলাইন না পেয়ে শুরুতেই আশাহত হতে পারেন। হারিয়ে ফেলতে পারেন আগ্রহ। শুরুর দিকে আলী নিজেও সঠিক পরামর্শের অভাববোধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আলী বলেন, আমার নিজের অনেক কষ্ট করে কাজ শিখতে হয়েছে। তাও ২০১০-১১ সালের দিকে যখন আমি কলেজ স্টুডেন্ট। তখন তেমন ভালো রিসোর্স ছিল না। যাও ছিল ইংরেজিতে। আলী বাংলাদেশের অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং ও ইউটিউবারের কাজ শেখানো বা সাপোর্ট দিয়ে থাকেন ও ফ্রিতে সেই সব গ্রুপে সাপোর্ট দেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে যারা ভালো করতে চান। তাদের জন্য আলীর পরামর্শ হলো, প্রথমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। গুগল, ইউটিউব তো আছেই। তবে অভিজ্ঞদের থেকে সাপোর্ট নিলে দ্রুত সফলতা পাওয়া সম্ভব।
কোর্স শেখান তিনি
আলী ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স, ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স, ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স, এসইও কোর্স, লিড জেনারেশন কোর্স, কম্পিউটারের বেসিক কোর্স শেখান শিক্ষার্থীদের। Instructory B ই লার্নিং প্ল্যাটফর্মে তাঁর মোট তিনটি বিষয়ের ওপর কোর্স রয়েছে। যেগুলো হলো ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স, ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স ও আলিএক্সপ্রেস অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স । তিনি BightSkills নামে অন্য একটি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত আছেন। এখানে তাঁর ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স রয়েছে। আলীর দাবি, গত ১২ বছরে তিনি প্রি-রেকর্ড, লাইভ ও সরাসরি মিলিয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ডিজিটাল মার্কেটিং ফুল কোর্সসহ ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং কোর্স শিখিয়েছেন।
একটি চ্যানেলের দাম ৩ লাখ ৪০ হাজার
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আলীর কাজকর্ম। অনেকেই তাঁর দক্ষতা, সফলতার জন্য তাঁকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বস বলেন। তিনি বিভিন্ন ট্রেন্ডিং টপিকের ওপর ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার নিয়ে কাজ করেন। অনেক ট্রাফিক, সাবস্ক্রাইব বা পেজ ফলোয়ার এনে সেগুলো পেজ বিক্রি করে দেন। এটা তাঁর ব্যবসার বড় একটা অংশ। তিনি জানান, একেক টপিকের পেজের দাম একেক রকম। যেমন ধরুন একটা বেবি টয় রিভিউ চ্যানেলে ১০ হাজার সাবস্ক্রাইব ও মনিটাইজেশন আছে, সেটা আমরা চাইলে ২৫০ থেকে ৩০০ ডলার সেল করতে পারি। অনেক সময় সেটা ৫০০ ডলার বা তারও বেশি হয়, যদি ভালো ভিউ থাকে। একটি চ্যানেল করে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায় আলী বিক্রি করেছেন। এটাই একজনের কাছ থেকে তার সর্বোচ্চ আয় বলে জানান। তিনি নিউজ চ্যানেল, গেমিং চ্যানেলসহ ভিন্ন ভিন্ন টপিকের চ্যানেল, পেজ বিক্রি করেছেন বলে জানান।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যত ভুল ধারণা
সবাই মনে করেন, ফ্রিল্যান্সিং মনে হয় এক ধরনের কাজ। কিন্তু আসলে ফ্রিল্যান্সিং কোনো কাজ না, কাজ করার একটা মাধ্যম। যেমন ধরুন আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার, আপনার দক্ষতা আছে ডিজাইনের কাজে, আপনি কোনো কোম্পানিতে যদি ডিজাইন হিসেবে মাসিক বেতনে কাজ করেন সেটা হলো আপনার চাকরি। আবার আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করছেন, সেই কোম্পানি আপনার মতো ১০-১২ জন ডিজাইনারকে বেতন দিয়ে তার ক্লাইন্টের কাজগুলো করে থাকে। আপনার জন্য যেটা চাকরি, তার কাছে সেটা ব্যবসা। আবার আমরা যারা ফ্রিল্যান্সার, নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির এমপ্লয়ি হিসেবে চাকরি করি না। কিন্তু কোনো ক্লাইন্ট বা বায়ারের ডিজাইন লাগবে সেটা জেনে, কাজ দেখিয়ে বাজেট নিয়ে একমত হলে কাজটা করে দিই। আমি তার কাজ করতে বাধ্য এমন না। কাজ, টাকা, সময় সব মিলিয়ে পছন্দ হলে কাজ করব, না হলে না। এই মডিউলের নাম ফ্রিল্যান্সিং। বাঁধা-ধরা এমন কিছু না। কার কাজ, কোন কাজ করব, সেই বিষয়ে আমাদের স্বাধীনতা থাকে। আর এ জন্যই আমাদের পেশার মডিউলকে স্বাধীন পেশা বা ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়ে থাকে- বলেন আলী।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের নানা পথ
ফ্রিল্যান্সিংয়ে যারা কাজ জানে ও দক্ষতা আছে, তারা নানাভাবে আয় করতে পারে। আলীও তেমনই। তিনি অনলাইনের অ্যাক্টিভিট ও প্যাসিভ দুভাবেই আয় করেন। ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করলে সেটা প্রতিনিয়ত ভিউ বা ভিজিটর আসতে থাকে আর তার আয়ও বাড়তে থাকে। আবার ফাইভারসহ নানা মার্কেটপ্লেসে ক্লাইন্টদের কাজ করে দেন তিনি। গড়ে মাসে ২ লাখ টাকার বেশি আয় তার। তিনি জানান, যেহেতু প্যাসিভ মডেল নিয়ে কাজ করেন। তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ও ব্যবসা বড় করতে খরচের টাকা বাদে ব্যবসায় নিয়মিত আয় থেকে বিনিয়োগ করেন। শুরুর দিকে আয় ভালো ছিল না তার মোটেও। তবে তিনি জানান, এই পেশায় এ পর্যন্ত আয় প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি।
লাখ টাকা আয়ের জন্য
আলীর মতে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে লাখ টাকা আয় করা যায়। তবে এক-দুই দিনে এটা হবে না। এটা সময়সাপেক্ষ। অনেক রকম কাজ শিখে দক্ষ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তাই আপনাকে যেকোনো কাজে প্রথমে দক্ষ হতে হবে। এটা সহজভাবে আরেকটু দ্রুত করতে গেলে আপনাকে শিখতে হবে। কারণ নিজে নিজে গুগল, ইউটিউব থেকে শিখতে গেলে শেখা যাবে না এমন না, তবে অনেক সময় চলে যাবে। তাই আপনি শিখে কাজ শুরু করার সঙ্গে অভিজ্ঞদের সাপোর্ট পেলে দ্রুত সফলতা পাওয়া সম্ভব। এভাবেই লাখপতি হওয়ার গল্পটা বলেন তিনি।
দুটি ভার্চুয়াল প্রতিষ্ঠান তাঁর
শুরুতে নিজের ফেসবুক পেজ, প্রোফাইলের মাধ্যমে সার্ভিস দিলেও ২০১৮ সালে তিনি নিনজাস আইটি ও ২০২২ সালে ইউটিউব এক্সপার্টস নামে দুটি ভার্চুয়াল প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেখানে ছয়জন কাজ করেন। যার দুজন তার থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখেছেন। এদের মধ্যে আছেন সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট, ভিডিও এডিটর ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার। মাসে তাদের বেতন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো বলে তিনি জানান।
পেয়েছেন পুরস্কার
কাজের স্কীকৃতি হিসেবে আলী ২০২১ ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট নামে বেসরকারি একটি সংস্থা আয়োজিত ইয়ুথ রাইজিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বেস্ট ইউটিউব প্রমিসিং ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাত থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই সম্মান তার কাজের গতি আরও বেগবান করবে। অনুপ্রাণিত করবে সামনে এগিয়ে যেতে।
বেকারদের নিয়ে তার ভাবনা
আলী নিজের চেয়ে বেশি ভাবেন বেকার যুবক-যুবতীদের কথা। তিনি হাজারও মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে চান। নতুন সফল আইটি উদ্যোক্তা গড়ে তোলাই তাঁর আগামী দিনের স্বপ্ন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে চান।
কয়েক দিন আগেই শেষ হলো ৪৫তম বিসিএসের আবেদনের সময়। এবার প্রস্তুতি নেয়ার পালা। বৃহৎ চাকরির বাজারের এই পরীক্ষায় এবার বসবেন প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী। এতে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা এই তিন ধাপে হয় বিসিএস। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০টি বিষয়ের ওপর ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ৩৮তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারপ্রাপ্ত (ইংরেজি, মেধাক্রম দ্বিতীয়) মো. মুহিবুর রহমান
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৩৫ নম্বর)
ব্যাকরণ অংশ (১৫ নম্বর): ব্যাকরণে অনেক সময় কিছু আনকমন প্রশ্ন থাকে। ‘দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা’ এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার ধারা শোভিত? (৪৪তম বিসিএস) এমন প্রশ্ন নিয়ে আপনার খুব বেশি চিন্তাভাবনা করতে হবে না। অনায়াসেই বাদ দিতে পারেন। কারণ অনেক পরীক্ষাথী-ই এর উত্তর করতে পারবে না। কিন্তু যেগুলো অনেকেই পারবে এমন কোনো প্রশ্ন ভুল করা যাবে না। ‘নিচের কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি?’ ‘কোনটি ধ্বনি বিপর্যয়ের দৃষ্টান্ত?’ এ রকম প্রশ্নে ভুল করা মানেই পিছিয়ে যাওয়া। বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড ব্যাকরণ বই, সঙ্গে জর্জ এমপিথ্রি বা অগ্রদূত পড়া যায়। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বানান ও বাক্যশুদ্ধি, ধ্বনি, শব্দ, প্রত্যয়, সমাস অধ্যায়ে। এ ছাড়া সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, সন্ধি, ধাতু, পদ-প্রকরণ, বাগধারা, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ এবং পারিভাষিক শব্দ ইত্যাদি ভালো করে পড়ে যেতে হবে।
বাংলা সাহিত্য (২০ নম্বর)
বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় আমাদের নতুন নয়। ছোটবেলা থেকেই সবাই সাহিত্য পড়ে এসেছেন। জীবনের নানা পর্যায়ে আহরিত জ্ঞান এখানে বেশি কাজে লাগবে। এসএসসি ও এইচএসসি সিলেবাসের সাহিত্যকর্ম ও লেখকদের গুরুত্ব বেশি। চর্যাপদ থেকে প্রতি বিসিএসেই প্রশ্ন থাকে। খুব গভীর থেকে প্রশ্ন না করলে এখানে ভুল হওয়ার মতো কিছু নেই। মধ্যযুগ ভালো করে পড়তে হবে। আধুনিক যুগের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রশ্ন হবে এবং কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে পিএসসির নির্বাচিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক; ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, মীর মশাররফ হোসেন, দীনবন্ধু মিত্র, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, কায়কোবাদ ও ফররুখ আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, জহির রায়হান ও বাংলা সাহিত্যে পঞ্চপাণ্ডব সম্পর্কে পড়তে হবে। বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রের সম্পাদক, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্য ও চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ।
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য (৩৫ নম্বর)
গ্রামার অংশ (২০ নম্বর): এই অংশের জন্য জোর দিতে হবে Preposition, Verb, Noun, Number, Determiner, Idioms & Phrases, Corrections, Meanings টপিকগুলোতে। তা ছাড়া pronoun, adjective, Verb, Gender, Clauses, Synonyms Antonyms, Spellings, Voice থেকেও প্রশ্ন হয়। পাশাপাশি নিয়মিত ভোকাবুলারি চর্চা জরুরি। এ জন্য Oxford Dictionary অথবা Longman Dictionary of Contemporary English অনুসরণ করে শব্দের শেষে জুড়ে দেয়া বাক্যগুলো অর্থ ও গঠন বুঝে বুঝে পড়লে ইংরেজির অনেক সমস্যা কেটে যাবে। অনেক সময় বাক্যগুলো হুবহু কমন আসে। 'Women’s employment opportunities are often severely constrained by family commitments.' (৩৫তম বিসিএস) প্রশ্নটি Longman Dictionary থেকে এসেছিল। এ ছাড়া ইংরেজির ক্ষেত্রে Cliff's TOEFL এবং Common Mistakes in English বই দুটি পড়া জরুরি।
ইংরেজি সাহিত্য (১৫ নম্বর): স্কুল-কলেজে না পড়ে আসায় এটি অনেকের কাছেই নতুন। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সব সময়ই প্রশ্ন হয়। বিভিন্ন বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের Quotations, Renaissance Period, Romantic Period, Victorian Period, Modern Period, Literary Terms (Simile, Metaphor, hyperbole, irony, paradox etc), Important Characters গুরুত্বপূর্ণ। লেখকদের মধ্যে William Shakespeare, Cristopher Marlowe, Ben Jonson, Jon Milton, Jonathon Swift, Alexander Pope, William Wordsworth, S.T. Coleridge, P B Shelley, John Keats, Charles Dickens, Alferd Lord Tennyson, Robert Browning, George Bernard Shaw, W B Yeats, T S Eliot & Ernest Hemingway অবশ্যই পড়তে হবে।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি (৩০ নম্বর)
প্রাচীনকাল থেকে সমসাময়িক কাল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস (১৯৪৭-১৯৭১), মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের জনসংখ্যা, শস্য উৎপাদন, শিল্প, কৃষিসম্পদ, জনসংখ্যা, শিল্প ও বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বাংলাদেশের সরকারব্যবস্থা, জাতীয় অর্জন, মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনা ও সাম্প্রতিক ঘটনা, জাতীয় অর্জন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই দেখতে হবে। সংবিধান, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পৌরনীতি সুশাসন দ্বিতীয় পত্র এবং যেকোনো গাইড বই ভালো অনুষঙ্গ হতে পারে। সঙ্গে নিয়মিত পত্রিকা পড়লে অনেক প্রশ্নের উত্তর সহজেই করা যায়।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (২০ নম্বর)
গুরুত্ব দিতে হবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রণালি, আইনসভা, রাজধানী, মুদ্রা, চুক্তি-সনদ-সম্মেলন, জাতিসংঘ, জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়াবলির মতো অধ্যায়ে। বিশ্বের সাতটি মহাদেশের ভূরাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অঞ্চলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন-মিয়ানমার, চীন-তাইওয়ান এবং বিশ্ব রাজনীতির যেকোনো সাম্প্রতিক বিষয় পরীক্ষায় আসতে পারে। বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন (জাতিপুঞ্জ, জাতিসংঘ, WHO, UNDP, ILO, WORLD BANK, IMF, WTO, OIC, GCC, AU, Arab Legue, ASEAN, SAARC, BIMSTEC etc) প্রতিষ্ঠানগুলোর হেড অফিসের অবস্থান, কার্যাবলি, গঠন ও সদস্য ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে। চোখ-কান খোলা রেখে পরীক্ষা দিলে ভালো নম্বর উঠবে।
সাধারণ বিজ্ঞান (১৫ নম্বর)
এই অংশে বিগত বছরের বিসিএস ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নগুলোই রিপিট হয়। গুরুত্বের বিবেচনায় ভৌতবিজ্ঞানের স্থির ও চলতড়িৎ, অ্যাটম, অ্যাসিড, ক্ষার, ধাতব, জারণ-বিজারণ। জীববিজ্ঞানের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া, খাদ্য, পুষ্টি ও ভিটামিন। আধুনিক বিজ্ঞানের বায়ুমণ্ডল, রোগ ইত্যাদি অধ্যায় অবশ্যই ভালো করে পড়তে হবে। বিজ্ঞানে জব সল্যুশন থেকে অনেক প্রশ্নই হুবহু কমন আসে। অষ্টম শ্রেণির আগের সিলেবাসের সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ ও জীববিজ্ঞান বই থেকে বিসিএস সিলেবাস-সম্পর্কিত চ্যাপ্টারগুলো পড়তে হবে। পাশাপাশি ভালো মানের একটি গাইড বই পড়া উচিত।
ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (১০ নম্বর)
বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও অঞ্চলভিত্তিক অবস্থান, সম্পদ ও গুরুত্ব, পরিবেশ ও প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ু, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধরন ও প্রকৃতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বই থেকে মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন, বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ এবং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই চ্যাপ্টারগুলো ভালো করে পড়তে হবে। এখান থেকে হুবহু অনেক প্রশ্ন কমন আসে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মানচিত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে সুবিধা হয়।
গাণিতিক যুক্তি (১৫ নম্বর)
সূচক ও লগারিদম, সামন্তর ও গুণোত্তর ধারা, অসমতা, বীজগাণিতিক সূত্রাবলি, সেট, বিন্যাস সমাবেশ, রেখা কোণ ত্রিভুজ চতুর্ভুজ, শতকরা, পরিমিতি অধ্যায়গুলো গুরুত্ব বিবেচনায় বারবার দেখতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইটির পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বই থেকে সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত অধ্যায়গুলো দেখতে হবে। যেমন- সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সম্ভাব্যতা, সেট ও সূচক এবং লগারিদম দেখতে হবে। এ ছাড়া কোনো গাইড বই থেকে লাভ-ক্ষতি, লসাগু-গসাগু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফাবিষয়ক চ্যাপ্টারগুলো ভালো করে দেখতে হবে। এ ছাড়া গাইড বই থেকে সিলেবাস সম্পূর্ণ করে যাবেন।
মানসিক দক্ষতা (১৫ নম্বর)
মানসিক দক্ষতা অংশে একজন প্রার্থীর যুক্তিবোধ, মানসিকতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা যাচাই করা হয়। নিয়মিত অনুশীলন করলে দক্ষ হওয়া যায়। এই অংশে সাধারণত বিগত বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো রিপিট আসে। বাজারের গাইড বই থেকে গত বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে। এই অংশে নিজস্ব কমনসেন্স কাজে লাগালে ভালো করা যায়।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি (১৫ নম্বর)
কম্পিউটার অংশের জন্য ১০ ও তথ্যপ্রযুক্তির জন্য ৫ নম্বর থাকে। কম্পিউটারের অঙ্গসংঘটন, কম্পিউটার পেরিফেরালস, কম্পিউটারের নম্বর ব্যবস্থা, ইন্টারনেট, তথ্য যোগাযোগ ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, স্মার্টফোন অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার অংশের জন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ড. মাহবুবুর রহমানের কম্পিউটার বইটি এবং তথ্যপ্রযুক্তি অংশের জন্য প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কম্পিউটার বইগুলো পড়া যায়। গাইড বই ও জব সল্যুশন থেকে বিগত বিসিএস, ব্যাংক ও নন-ক্যাডার প্রশ্নগুলো অনুশীলন করলে কমন পাওয়া যায়।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন (১০ নম্বর)
মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সংজ্ঞা, উপাদান, বিভিন্ন উক্তি, বইয়ের নাম ইত্যাদি দেখে যেতে হবে। জব সল্যুশন থেকে অনেক প্রশ্ন কমন পড়ে। আবার প্রত্যেকবারই না পারার মতো কিছু প্রশ্ন আসে। এগুলো নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো যাবে না। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মোজাম্মেল হক স্যারের পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের সিলেবাস-সম্পর্কিত চ্যাপ্টারগুলো পড়তে হবে। যেমন- সুশাসন, মূল্যবোধ, আইন স্বাধীনতা ও সাম্য, ই-গভর্ন্যান্স ও সুশাসন, নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য এবং মানবাধিকার। এগুলো ভালোভাবে পড়ে যেতে হবে।
গ্রন্থনা: আনিসুল ইসলাম নাঈম
আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবার পরীক্ষায় জোড়-বিজোড় করে প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী হাজিরা খাতা তৈরি করা হয়েছে। সে কারণে প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।
বৃহস্পতিবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরীক্ষার হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার জন্য হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড় করে দৈবচয়ন ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করার জন্য প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২৭ মে। ফল প্রকাশ হয় ২২ জুন। এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেয়া হবে।