বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০ ভাদ্র ১৪৩২

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির প্রথম জার্নাল প্রকাশিত

আপডেটেড
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:৫১

"আইএসইউ জার্নাল অব বিজনেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ" শিরোনামে প্রকাশিত হলো ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) এর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম জার্নাল । মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান ।

আইএসইউ উপাচার্য এবং জার্নাল অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের প্রধান সম্পাদক প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নির্ভর করে মানসম্পন্ন জার্নালের উপর ।তাই গবেষণাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে এ বিশ্ববিদ্যালয় । শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে পড়তে হবে, লিখতে হবে বেশি করে, সমস্যা নির্ধারণ করতে হবে এবং গবেষণার মাধ্যমে তা তুলে ধরে নতুন কিছু করতে হবে, যা সমাজের কাজে আসবে ।


বক্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য এই জার্নাল সহায়ক হবে । বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে যারা আছেন তারা অনলাইনের মাধ্যমে এ জার্নাল পড়তে পারবেন । সবার সার্বিক সহযোগিতায় আগামীতেও আইএসইউ এর জার্নাল প্রকাশের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।


ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সভপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার এইচ. টি. এম. কাদের নেওয়াজ,রেজিস্ট্রার মোঃ লুৎফর রহমান, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপার্সন কে. আহমেদ আলম এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. অলি আহাদ ঠাকুর । ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহরিয়ার তালুকদারের সঞ্চালনায়,সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাসেদ মিয়াসহ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রোগ্রাম এর চেয়ারপার্সন, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাসহ জার্নালের সম্পাদক,লেখক ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন ।

বিষয়:

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

আপডেটেড ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩৫
বাসস

অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে স্নাতকে (অনার্স) তথ্য প্রযুক্তি ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আধুনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে গতকাল বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এসব কথা বলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাক্রমের আইসিটি বিষয়ের ‘টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এ কর্মশালার প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর।

উপাচার্য বলেন, কলেজগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাদানে শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সব টেকনিক্যাল কলেজ ও কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের কলেজ শিক্ষার্থীদের মেধার ঘাটতি নেই। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা সহজেই তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, সময়োপযোগী ও কর্মমুখী তথ্য প্রযুক্তি পাঠ্যক্রম প্রণয়নে সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম ও শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।

কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৮টি বিভাগের ৪০ জন তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. নাজমা তারা এবং মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আনাম।

এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই থাকছে, ৯ সেপ্টেম্বরই ডাকসু নির্বাচন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা রইল না।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে রায়ে বলা হয়েছে।

এদিন আদালতে ঢাবির পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির, রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং ডাকসুর জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের পক্ষে ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী শুনানি করেন।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এ রিট দায়ের করেন।

রিটে অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন— এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

এরপর গেল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী— এ বিষয়েও জানতে চান চাওয়া হয়।

তবে তার এক ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের আদালত ওই স্থগিতাদেশ দেন।

ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় পুনরায় মামলাটির বিষয়ে গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন নিয়ে চেম্বার জজ আদালতে গেলে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানির জন‍্য মামলার দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।

জানা গেছে, নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


ধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলী হুসেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বাসিন্দা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এটি বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারে প্রদত্ত প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।


বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরের ৬ মাসের মধ্যে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৩ পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করেছেন।

রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের সময় হাইকোর্ট বলেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট (অবসরকালীন) বেনিফিট (সুবিধা) পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এ জন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

সেদিন রায়ের পর আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, সারাদেশে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় ৫ লাখের বেশি শিক্ষক কর্মচারী অবসরকালীন সুবিধা পেতে ২০১৯ সালে একটি রিট দায়ের করেছিলাম। রিটে আমরা ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো। সেই কর্তনকৃত টাকাসহ সুবিধান অবসরের পর দেওয়া হতো। এই অবস্থায় ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তে নেয়। ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও ৬ শতাংশের যে সুবিধা দেওয়া হতো সেটাই বহাল রাখা হয়। যে কারণে আমরা রিট দায়ের করে বলেছি, যাতে ১০ শতাংশের সুবিধা দেওয়া হয়। এরপর এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে আদালত বলেছেন, ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও তাদের যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে যেন অবসরকালীন সুবিধা প্রদান করা হয়।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধানগুলো সংশোধনপূর্বক ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ করে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার পরিবর্তে ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ কাটার বিধান করা হলেও ওই অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল ২০১৯ মাসের বেতন হতে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

ফলে অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে কোনো আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা কাটার আদেশের কারণে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ কাটার আদেশ বাতিল করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।


ডাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা আজ আপিল বিভাগে কার্যতালিকার এক নম্বরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে সোমবার হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন। তবে বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই আদেশ স্থগিত করেন।

তাৎক্ষণিক হাতে লেখা আপিল আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব চেম্বার কোর্টে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

চেম্বার আদালত একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল আবেদন করে। পরে চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

সোমবার হাইকোর্ট বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেন।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ডাকসু জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

হাইকোর্ট আদেশে রিটকারী ও ডাকসু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থার অবসান হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেটেড ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩২
বাসস

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অচলাবস্থা চলছে, শিগগিরই সে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অচলাবস্থা চলছে, তা দুঃখজনক। এজন্য মন্ত্রণালয়ও উদ্বিগ্ন। তবে আলোচনা করেই এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। শিগগিরই এসব ঘটনার সমাধান হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি কারও কাম্য নয়। তবে সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।

চলমান সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ে সমাধান করা হবে এবং এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা।


আজ থেকে ঢাবি’র হলে কোন বহিরাগত অবস্থান করতে পারবে না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে বৈধ শিক্ষার্থী ব্যতিত কোন বহিরাগত বা অতিথি অবস্থান করতে পারবে না।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর চীফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছেন।


ছয় দফা দাবি পেশ করলেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখান করে এবার ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সকালে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেটে এসে জড়ো হন। এসময় শিক্ষার্থীরা 'রাজপথ ছাড়ি নাই', 'রাজপথ ছাড়বো না', 'প্রশাসনের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে'সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৬ দফা দাবি হলো-

১. অবৈধভাবে হল ভ্যাকেন্টের নির্দেশনা দুপুর ২ টার মধ্যে প্রত্যাহার করে আদেশ তুলে নিতে হবে।

২. হলগুলোতে চলমান সব ধরনের সুবিধা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।

৩. এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর শিক্ষকদের মদদে বহিরাগত দিয়ে হামলার দায়ে প্রক্টোরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

৪. বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং দেশীয় অস্ত্র দ্বারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

৫. হামলার সাথে জড়িত শিক্ষকবৃন্দ: কৃষি অনুষদের আসাদুজ্জামান সরকার স্যার, তোফাজ্জল স্যার, শরীফ আর রাফি স্যার, কামরুজ্জামান স্যার, পশুপালন অনুষদের বজলুর রহমান মোল্যা স্যার, জেনেটিক্সের মুনির স্যার, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের আশিকুর রহমান স্যার এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. গত ১ মাস ধরে চলমান যে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন করে আসছি, সেই একক ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে। তিনটি ভিন্ন ডিগ্রি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, এই ছয় দফা দাবি দ্রুত মেনে না নিলে পুরো বাকৃবি লকডাউন এবং ব্ল্যাকআউট করে দেয়া হবে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।


হল ছাড়ছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তে হল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে দেখা যায়। ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে র‌্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

তবে হল যারা ছাড়ছেন তারা বেশিরভাগই ছাত্রী। ছেলেদের হল ঘুরে দেখা যায়, তারা হল ছাড়ার বিপক্ষে।

এসময় জুলাই ৩৬ হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হবো। নিরাপত্তা সংকটে বাধ্য হয়েই হল ছাড়তে হচ্ছে, তবে আমরা চাই দ্রুতই স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক এবং আবার পড়াশোনা শুরু করতে পারি।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল পরবর্তী উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ৯ ঘটিকায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরী সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীদের (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হয়।


ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে সার্ভার ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে ‘সার্ভিসিং২৪’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষায় বাস্তব অভিজ্ঞতার গুরুত্বকে সামনে রেখে সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে একটি বিশেষ আইটি কর্মশালার আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বিকাশমান আইটি কোম্পানি ‘সার্ভিসিং২৪’।

সার্ভার, স্টোরেজ, আইটি হার্ডওয়্যার, সাইবার সিকিউরিটি ও নেটওয়ার্কিং এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিখাত নিয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপটিতে সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিল ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক-এর সাইবার সিকিউরিটি ক্লাব-সিএসই।

এই কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে সার্ভিসিং২৪-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “বর্তমান যুগে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্ভিসিং২৪ এদেশের তরুণদের যুগোপযোগী আইটি দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমরা বিশ্বাস করি- এ ধরনের ওয়ার্কশপ শিক্ষার্থীদের দেশে ও বিদেশে আইটি সেক্টরে অবদান রাখতে এবং তাদের ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।”

ওয়ার্কশপে সার্ভিসিং২৪-এর অভিজ্ঞ টেকনিক্যাল টিম শিক্ষার্থীদের সামনে আধুনিক সার্ভার প্রযুক্তি, স্টোরেজ সলিউশন এবং নেটওয়ার্কিংয়ের বিভিন্ন দিক হাতে-কলমে উপস্থাপন করে। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটির সমসাময়িক বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনের মাধ্যমে শুধু প্রযুক্তিগত দিকই নয়, বরং আইটি ক্যারিয়ার গঠনে প্রয়োজনীয় দক্ষতা, পরিকল্পনা এবং সঠিক দিক নির্ধারণ সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা পান।

ওয়ার্কশপ শেষে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে একটি কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং সনদপত্র সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ইউএপি-এর সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সার্ভিসিং২৪-এর এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

‘সার্ভিসিং২৪’ সম্পর্কে: ‘সার্ভিসিং২৪’ বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধমান, আইএসও-সার্টিফাইড এবং সাসটেইনেবিলিটি গুরুত্বারোপ করা একটি আইটি সার্ভিসেস ও টিপিএম প্রোভাইডার। কোম্পানিটি ২০২৩ সাল থেকে টেকসই পদ্ধতিতে ও আস্থার সঙ্গে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইটি সেবা দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর গ্রাহক সন্তুষ্টির হার ৯৯ শতাংশ। কোম্পানিটি পরিবেশবান্ধব উপায়ে দেশের আইটি খাতের টেকসই উন্নয়নে অগ্রগণ্য ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ


প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিতভাবে করতে হবে: সাদ্দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন নিয়মিতভাবে করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষার জায়গা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতি বছরে নির্দিষ্ট সময় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিতভাবে করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাফেজে কুরআন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সাদ্দাম বলেন, প্রতিটা ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নীতিমালার আলোকে রুটিন মাফিক সম্পন্ন করতে হবে। যেহেতু ছাত্র সংসদ কোন দলীয় বিষয় নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হন। সুতরাং এগুলো নিয়মিতভাবে করার জন্য আহ্বান থাকবে। যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নীতিমালা করা হয়নি সেখানে অতিসত্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি অধীনস্ত তারা একটা কমিটি গঠন করে একটা সাধারণ নীতিমালা প্রণয়ন করুক। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সেগুলোকে অনুমোদনের মাধ্যমে ছাত্র সংসদ চালু করুক।

উদ্বেগ প্রকাশ করে সেক্রেটারি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে যেভাবে আমাদের মত প্রকাশে গণতন্ত্রের চর্চার হওয়ার কথা ছিল কার্যত সেটা হয় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭১ অব্দি ৩০ টা ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু ৭১ পরবর্তী সময় আমরা মাত্র সাত থেকে আটটা নির্বাচন দেখেছি। এ কেমন গণতন্ত্র! স্বাধীনতা পেয়েছে কিন্তু স্বাধীনতা বা সেই মুক্তির স্বাদ আমরা পাইনি। ছাত্র সংসদ আদায় করতে গেলেও আন্দোলন, সংগ্রাম, অনশন, অফিস ঘেরাও এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রদের মৌলিক অধিকারগুলো আদায় করতে হচ্ছে। এটা লজ্জাজনক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে মেধাবী নেতৃত্ব বাছাই হয়ে দেশ, জাতি কল্যাণে ও জাতীয় রাজনীতিতে তারা যেন অবদান রাখতে পারে এ সুব্যবস্থা রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা করবেন।


ঢাবি হল সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী ১ হাজার ৩৫, প্রত্যাহার ৭৩ ও বাতিল ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এর মধ্যে ৭৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন এবং একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর আগে মোট ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল।

আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৫৯ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩১ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬২ জন, জগন্নাথ হলে ৫৫ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৫৮ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৭৫ জন, রোকেয়া হলে ৪৫ জন, সূর্যসেন হলে ৭৫ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৬০ জন, শামসুন নাহার হলে ৩৫ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৬৮ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৩ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫৯ জন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৬ জন, অমর একুশে হলে ৭৬ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৮ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৬৮ জন এবং স্যার এ এফ রহমান হলে ৬২ জন রয়েছেন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে রয়েছেন কবি সুফিয়া কামাল হলে ২ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৬ জন, অমর একুশে হলে ৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৫ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৬ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ১ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৫ জন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ১১ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ৫ জন, সূর্যসেন হলে ৪ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৯ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৯ জন, জগন্নাথ হলে ৪ জন এবং শামসুন নাহার হলে ১ জন।


শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষায় প্রতিভার আলোকছটায় মুগ্ধ এমারেল্ড ইন্টারন্যশনাল স্কুল ঢাকার কমিউনিটি ও অতিথিবৃন্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বুধবার, ২০শে আগষ্ট, ২০২৫, সকাল ১১ টায় বিশেষ অতিথিদের নিয়ে আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির উপর এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান উদযাপন করলো এমারেল্ড ইন্টারন্যশনাল স্কুল ঢাকা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনজন সম্মানিত অতিথিকে স্কুলের ম্যানেজমেন্ট টিম এবং প্রধান উপদেষ্টা জনাব এম এম রনক (Mr. M M Ronok) ফুলের তোড়া ও তাদের নামের ইসলামিক ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের লিবীয় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান জনাব আব্দালফাত্তাহ এ. এ. খিতরেশ (Mr. Abdalfattah A. A. Khitresh)। তার সঙ্গে ছিলেন চৌধুরী লেদার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমরান চৌধুরী (Mr. Imran Chowdhury) এবং বিজনেস ইন বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জনাব রাজিব (Mr. Rajib)।

শিক্ষার্থীরা আজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের মেধার ও আরবী ভাষায় লব্ধ জ্ঞানের এক মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দিয়ে অতিথিদের মুগ্ধ করে। এমারেল্ড এর শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল আরবি কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের ভাষার দক্ষতা প্রদরশীত হয়, যা দর্শকদের মন ভুলিয়ে দেয় এবং তাদের ভাষা কার্যক্রমের সাফল্য EISD তুলে ধরে। নতুন প্রজন্ম থেকে আলোকিত ও সপ্রতিভ শিক্ষার্থী তৈরি করে বিশ্বকে আত্মবিশ্বাসী ও মুসলিম নেতৃত্ব দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি EISD স্কুল দিয়েছে, আজকের তাদের পরিবেশনা তারই একটি প্রমাণ।

শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শেষে, অতিথিদেরকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে তারা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আরও গভীরভাবে মতবিনিময় করার সুযোগ পান। এই অনুষ্ঠানটি কেবল সংস্কৃতি এবং ভাষার উদযাপনই ছিল না, বরং শিক্ষাবিদ ও পেশাদার জগতের মধ্যে এক অর্থপূর্ণ চিন্তাধারার আদান-প্রদানও ছিল।

ইআইএসডি-তে আরবি সপ্তাহের সাফল্য একটি সামগ্রিক শিক্ষা পদ্ধতিকে তুলে ধরে, যা শিক্ষা, নৈতিকতা এবং ইসলামী সংস্কৃতির সমন্বয় সাধন করে।


banner close