বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষক নিয়োগ, ঘুষ বাণিজ্য, টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে কি না, তা যাচাই করবে ইউজিসির কমিটি।
দেশের তিন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শিক্ষক নিয়োগ, ঘুষ বাণিজ্য, টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে কি না, তা যাচাই করবে ইউজিসির কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘তিন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা ও রুয়েটের অনিয়ম তদন্ত করে দুদকে প্রতিবেদন পাঠানোর কথা রয়েছে। দুদকও এ বিষয়ে তদন্ত করছে। বাকি একটির তদন্ত কাজ ইউজিসি নিজ উদ্যোগে শুরু করেছে।’
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন পাঠালে তা মূল্যায়ন করে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিন বিভাগের প্রধান নিয়োগে অনিয়ম করা হয়েছে বলে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে। নিয়োগের সময় অধ্যাপক ওয়ালিউর হাসনাতের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। সেটি নিয়ে বিতর্ক উঠলে শিক্ষকদের একটি অংশ দুদকে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর দুদক থেকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে রুয়েটের উপাচার্যের বিরুদ্ধে। আবেদন করে বাদ পড়া প্রার্থীরা এ বিষয়ে দুদকে অভিযোগ দিলে সেখান থেকে ইউজিসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। তার ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে আইন অমান্য করা, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অনিয়ম উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে ইউজিসি থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক সামিয়া রহমান অভিযোগ করেছেন, ছয় বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষপদের ব্যক্তিরা তার নামে নানা গল্প বানিয়ে গণমাধ্যমে বিক্রি করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে এমন অভিযোগ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক।
বর্তমানে দেশের বাইরে থাকা সামিয়া রহমান লিখেছেন, ‘গত ৬টা বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষপদের ব্যক্তিদের হিংসা, প্রতিহিংসা, নোংরামি, ষড়যন্ত্র দেখতে দেখতে কখনো মনে হতো, আমিও ওদের মতোই ওদের ঘৃণা করি, ওদের প্রকৃত চরিত্র উন্মোচন করি। আবার পরে মনে হতো, তাহলে আমিও তো ওদের পর্যায়েই নোংরামিতে নেমে গেলাম। তফাৎ আর থাকলো কোথায়- মানুষে আর অমানুষে।’
‘ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করেছি। সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার করেন বলেই বোধ হয় উচ্চ আদালত প্রমাণ দিয়েছে, ওদের সিদ্ধান্ত অবৈধ। গত ৬ বছর ধরে ঢাবির শীর্ষ ব্যক্তিরা আমার নামে নানা গল্প বানিয়ে বছরের পর বছর গণমাধ্যমে বিক্রি করেছে। আমাকে তারা হুমকি-ধমকির মধ্যে রেখেছিল ক্রমাগত। আমি চাকরি না ছাড়লে, আমি গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলে আমার ক্ষতি করবে- এমন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে বছরের পর বছর আমি ছিলাম।’
‘যে লেখাটিতে আমি জড়িত ছিলাম না, আমার স্বাক্ষর ছিল না, সেই লেখাটি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করে গেছে বছরের পর বছর। শিকাগো প্রেসের নাম করে মিথ্যা ফেইক চিঠি তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে ঢাবির বর্তমান প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। আদালতে তো প্রমাণিত হয়েছেই এটি মিথ্যা, ফেইক চিঠি। ট্রাইব্যুনাল বলেছে, প্লেজারিজম (চৌর্যবৃত্তি) হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় শাস্তি দিলো। কীসের ভিত্তিতে? এমনকি ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পর্যন্ত ঢাবি আমাকে দিতে চায়নি মাসের পর মাস, পাছে সত্যি প্রমাণ হয়ে যায়।’
‘মারজানের লিখিত স্বীকারোক্তিতে তার লেখা জমা দেবার, রিভিউ করা ও স্বাক্ষর করার প্রমাণ ঢাবির কাছে থাকা সত্ত্বেও একবারের জন্যও বর্তমান প্রশাসন গণমাধ্যমে সেটি প্রকাশ করেনি। একবারের জন্যও প্রকাশ করেনি যে, আমার কাছ থেকে তারা কোনো লেখা পায়নি এবং ডিন অফিস থেকেও কোনো লেখা আমার কাছে রিভিউ করার জন্য আসেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগাম অবসর চেয়ে করা সামিয়া রহমানের আবেদন সম্প্রতি গ্রহণ করে তাকে অবসরের অনুমতি দিয়েছে ঢাবি প্রশাসন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় তার কাছ থেকে ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পাবে জানিয়ে তা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টে সামিয়া রহমান লিখেছেন, ‘সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় ৪ আগস্ট মামলায় হেরে বর্তমান প্রশাসন ৮ আগস্ট আমার কাছে টাকা দাবি করে একটা ইমেইল পাঠায়। যে ইমেইল ৮ আগস্ট পাঠানো, কিন্তু এর ভেতরে ব্যাক ডেটে হাতে লেখা ৩ আগস্ট। মামলায় হেরে কী এখন এই প্রতিহিংসা? ঢাবির কাছে আমার কোনো দেনা নেই। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমার পাওনা আছে। আদালতে লড়াই করেছি, করে যাবো। সৃষ্টিকর্তা বলে তো একজন আছেন। তিনিই ন্যায় বিচার করবেন।’
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘অ্যা নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: অ্যা কেস স্টাডি অব দা কালচারাল ইম্পেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ ঢাবির ‘সোশাল সায়েন্স রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
এরপর অভিযোগ ওঠে ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোঁর ‘দা সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রবন্ধটির প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল করা হয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে এই নকলের কথা জানায় ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
শুধু ফুকোঁই নন, বুদ্ধিজীবী অ্যাডওয়ার্ড সাঈদের ‘কালচার অ্যান্ড ইম্পেরিয়ালিজম’ বইয়ের পাতার পর পাতা সামিয়া ও মারজান হুবহু নকল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাবির তৎকালীন উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পাওয়ায় ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় সামিয়াকে এক ধাপ পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করেন।
এরপর গত ৪ আগস্ট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আগেই আগাম অবসরের আবেদন করায় এবং তা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করায় আপাতত ঢাবিতে সামিয়া রহমানের শিক্ষকতা করা হচ্ছে না।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ডিনস কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক মো আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকাকালীন ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় আরম্ভ না হওয়া পর্যন্ত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করা হয়েছে। উক্ত আবাসন ও পরিবহন ফি সমন্বয় করে স্ব স্ব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়া হচ্ছে। নিজ নিজ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করে মওকুফকৃত উল্লেখিত ফি’র চেক গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষ (ফার্মেসি) এবং মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবাসন ফি ও পরিবহন ফি নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এই ফির প্রতিবাদ জানায়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও এই ফি মওকুফের দাবি জানানো হয়। এমতাবস্থায় ফি মওকুফের ঘোষণা দিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাংবাদিককে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। বুধবার ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ নোটিশ দেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, হল প্রশাসনকে না জানিয়ে রুম পরিবর্তন ও প্রাধ্যক্ষকে না জানিয়ে ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছেন। এর কারণ আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে লিখিভাবে জানিয়ে অফিসে জমা দিতে হবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা অনুযায়ী ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ‘হলে রুম পরিবর্তন করা নিয়ে রাতভর র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছি। প্রভোস্টের কাছে সেই অভিযোগ দিয়েছি। সাংবাদিকরা হয়তো অন্য কোনো সোর্স থেকে এ তথ্য পেয়েছে। পরে তারা আমার কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে আমি নিশ্চিত করি।’
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেনি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েয়েও কোনো সড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার ওই হলের কয়েকজন ছাত্রীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে প্রাধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে গত মঙ্গলবার হলের ৬৩১ নম্বর রুম পরিবর্তন করে ২১৬ নম্বরে উঠেন। জিনিসপত্র নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর রুমের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের উম্মে হাবিবা (ফুর্তি) নামে এক ছাত্রী তাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। না হয় বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে এক ছাত্রীর মাথা ফেটে গেছে। বিলবোর্ডটি জরাজীর্ণ হওয়ায় হঠাৎ করেই তা ভেঙে পড়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
গতকাল বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই ছাত্রীর নাম সুমাইয়া মোস্তফা। তিনি ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, ভেঙে পড়া বিলবোর্ডটি একটি মুঠোফোন কোম্পানির। জরাজীর্ণ হওয়ায় তা হঠাৎ ভেঙে ওই ছাত্রীর মাথায় পড়ে।
নিউটন হাওলাদার আরও জানান, গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেলে নেওয়া হয়। তবে সেখানের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।
ঢামেকের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, ওই ছাত্রীর মাথায় ২০টি সেলাই করা হয়েছে। তাঁর সিটিস্ক্যান রিপোর্ট ভালো ও বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বর। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে আজ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত ১৯ জুন এসএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছিল।
এবারের পরীক্ষার সময় প্রচলিত ৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ২ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়। সৃজনশীল অংশের জন্য থাকবে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। বাকি ২০ মিনিট প্রশ্নপত্রের এমসিকিউ অংশের জন্য।
প্রতি বছর সচরাচর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে থাকে। তবে এ বছর দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার।
এ বছর ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১, দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ ও কারিগরিতে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ পরীক্ষার্থী কমেছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দ্বার।
এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করা হয় চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে ২২ ফেব্রুয়ারি। আর ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসও শুরু হয়।