মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
১০ আষাঢ় ১৪৩২

এক ভাঁপা পিঠা ৫ হাজার টাকা!

নরসিংদীর ভেলানগরে জেলখানা মোড়ে মালেক মিয়ার বিশেষ পিঠার দোকানে এমনই ভিড় থাকে সব সময়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৪০
প্রতিনিধি, নরসিংদী
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, নরসিংদী
প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৩৮

শীত মানেই পিঠা। এই সময়টায় দেশের সব এলাকাতেই বিশেষ করে ভাঁপা পিঠার বেশ কদর থাকে। ফুটপাতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতে সাধারণ ভাঁপা পিঠা বিক্রি হয় ১০ টাকায়। বিশেষভাবে তৈরি ভাঁপার দাম ২০-৩০ থেকে ৫০-১০০ টাকাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাই বলে একটি ভাঁপা পিঠার দাম কিনা ৫ হাজার টাকা! না, এমন কোনো ভাঁপার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

তবে নরসিংদীর জেলখানা মোড়ের পিঠার দোকানের মালিক মালেক মিয়া তেমনই এক পিঠা তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। মালেক মিয়ার এ ঘোষণাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেননা গত বছরই তিনি এমন একটি ভাঁপা পিঠা তৈরি করেছিলেন, যার দাম ছিল ১ হাজার টাকা!

নরসিংদীর ভেলানগরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জেলখানা মোড়ের ফুটওভারব্রিজের নিচেই মালেক মিয়ার দোকান। গিয়ে দেখা যায়, মালেক মিয়া তিনজন সহযোগীকে নিয়ে পাঁচটি চুলায় তৈরি করছেন পিঠা। সুগন্ধি চালের গুঁড়া, খেজুরের গুড়সহ দুধের সর-মালাইয়ের গন্ধে ম-ম করছে চারপাশ। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পিঠা তৈরি হচ্ছে চুলাগুলোতে। আর সেই পিঠা কিনতে দোকানে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। সেই লাইনে কেবল স্থানীয়রা নয়, আশপাশের জেলা থেকে আসা মানুষও রয়েছেন।

মালেক মিয়া জানান, আতপ চালের গুঁড়া, খেজুরের গুড় ও নারকেলের পাশাপাশি সুগন্ধি পোলাও চালের গুঁড়া, কিশমিশ, খেজুর, পেস্তাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, মোরব্বা, মাওয়া, মালাই, দুধের সরসহ নানা উপকরণ তিনি ব্যবহার করেন ভাঁপা পিঠায়। পিঠার দাম যত বেশি হয়, তাতে উপকরণের পরিমাণ ও বৈচিত্র্যও বাড়ে। ১ হাজার টাকা দামের একটি পিঠার ওজন সব মিলিয়ে হয় প্রায় চার কেজি।

কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে পিঠা নিতে এসেছিলেন মো. ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ছেলে টিভিতে মালেক মিয়ার পিঠার খবর দেখে আবদার করেছে। সেই আবদার মেটাতেই এসেছি। যা দেখছি, মনটা ভরে গেছে। ১ হাজার টাকার একটি, ৫ টাকার একটি পিঠা নিচ্ছি।’

নরসিংদীর স্থানীয় শিক্ষক মো. তারিকুল ইসলামও ছিলেন ক্রেতাদের সারিতে। তিনি বলেন, ‘প্রতি শীতেই মালেক মিয়ার সুস্বাদু ভাঁপা পিঠা খেতে আসি। আজও এসেছি। ক্রেতাদের অনেক ভিড়। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে। ২০০ টাকার একটি পিঠা বাসায় নেয়ার জন্য অর্ডার করেছি।’

মালেক মিয়া বলেন, ‘ছোট-বড় সব ধরনের পিঠার বিক্রিই ভালো। বড় পিঠা হলে তো ১৫ থেকে ২০ জন মিলেও খাওয়া যায়। তাই অনেক মানুষ বাড়িতে পিঠা নেয়ার জন্য আসে। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু করি, রাত ১০টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে যায়।’

কথা প্রসঙ্গেই মালেক জানালেন ৫ হাজার টাকা দামের পিঠা তৈরির কথাও। তিনি বলেন, ‘১ হাজার টাকা দামের পিঠার কথা সবাই জানে। প্রতিদিনই কয়েকটি বিক্রি হয়। আগ্রহী ক্রেতা পেলে এবার ৫ হাজার টাকা দামের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতে চাই। এক দিন আগে অর্ডার করলেই এই পিঠা তৈরি হয়ে যাবে।’

পিঠা বিক্রিই অবশ্য মালেক মিয়ার একমাত্র পেশা নয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি অটোরিকশা চালান। অন্য মৌসুমে সন্ধ্যা থেকে বিক্রি করেন পান-সিগারেট। শীত এলেই সন্ধ্যার পর শুরু হয় তার পিঠার দোকান; চলে ফাগ্লুন মাস পর্যন্ত।

বিষয়:

পাবনায় ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান-ধর্মঘট কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

নির্বাহী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমনা করে চাকরিতে ১৪তম গ্রেড, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ সহ ছয় দফা দাবিতে পাবনায় অবস্থান-ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টাব্যাপী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েনের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন পাবনা জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংগঠনের সমন্বয়ক মোঃ ফজলুল হক, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি কে এম মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইচ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক মাহবুব আলম। এছাড়াও বক্তব্য দেন, মামুন, রশিদ মনসুর আলী, রুহুল আমিন, হেনা খাতুন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার অন্যান্য স্বাস্থ্য সহকারীগণ।

অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারী বলেন, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা ও সীমিত জনবল নিয়েও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেলেও ভাগ্যের কোন উন্নতি হয়নি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও রোগ থেকে মুক্তির উপায়, নতুন রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি।

কিন্তু বেতন কাঠামোয় রয়েছে চরম বৈষম্য শিকার। যারা পশুকে চিকিৎসা দেয় তাদের বেতন ১১ তম হলেও আমাদের এখনো ১৬ তম গ্রেডই আছে। আমরা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে সাপে কাটা রোগীদেরও চিকিৎসা দিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের সেসব উপকরণ দেওয়া হয় না। তাই স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

তারা আরও বলেন, এই ৬ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী ও টেকসই হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান বৈষম্যের নিরসনের লক্ষে অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাবিত সুপারিশ সমূহের বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারি এখন স্বাস্থ্য সহকারীদের সময়ের দাবি প্রস্তাবিত দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল কর্মসূচী চলমান থাকবে। যদি দাবি মানা না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা যেভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দৌড় ঘোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সে অনুযায়ী তারা বেতন পাচ্ছেন না। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া দরকার। এখনো তারা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

৬ দফা দাবির সমূহের মধ্যে রয়েছে- নির্বাহী অদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমাধান করে ১৪তম গ্রোভ প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে 'উন্নীতকরণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা, পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ করতে হবে, বেতন স্কেলে উন্নীতকরনের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনঃনির্ধারিত বেতন স্কেলের সাথে যোগ করতে হবে, পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্যপরিদর্শকস্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম দিতে হবে।


নওগাঁয় সার্বজনীন পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় দিনব্যাপী সার্বজনীন পেনশন মেলা এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মেলা এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ। পরে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় অর্থ মন্ত্রণলায়ের উপসচিব মর্জিনা আক্তার, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফারজানা হোসনসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন,' সরকার ই একমাত্র আস্হার জায়গা, সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখলে সেটি নিরাপদ থাকবে। সেইসঙ্গে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, সমবায় সমিতিতে টাকা রাখলে সেটির কোন নিশ্চয়তা থাকেনা। সরকারি পেনশন স্কিমে টাকা রাখলে সেটির নিশ্চয়তা আছে এবং সরকার ই একমাত্র আস্থার জায়গা। যার কারনে মানুষ সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখে। পেনশন স্কিম টাকা রাখলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপকৃত হবে।


সহপাঠীকে ধর্ষণ: দুই ছাত্রকে শাবি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

এক সহপাঠিকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই ছাত্র হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস পার্থ ও শান্ত তারা আদনান।

মঙ্গলবার(২৪জুন) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।

আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি থেকে দুই ছাত্রের আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ এসেছে। সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আজকের সভায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে মেসে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের বিভাগের ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরে ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এরপর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরদিন ওই ছাত্রী মামলা দায়ের করলে গতকাল আদালত তাঁদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


চকরিয়ায় ধান মাড়াই করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিদ্যুৎচালিত মেশিনে ধান মাড়াইয়ের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রমজান আলী (৪২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত রমজান আলী ওই গ্রামে নুর মোহাম্মদের ছেলে।

স্থানীয় জিয়াউল হক জিয়া পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির আঙিনায় রমজান আলী বিদ্যুৎচালিত মেশিনে ধান মাড়াই করছিলেন। এ সময় সংযোগ তারের লিকেজ অংশে হঠাৎ করে পা পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অবস্থায় রমজান আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মওলানা আব্দুর রহমান জানান, ধান মাড়াইয়ের সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষক রমজান আলীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবগত করা হয়েছে


বিল বকেয়া থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

৪ ঘন্টা পর বিল দেয়ার আশ্বাসে সংযোগ সচল করলো কর্তৃপক্ষ
আপডেটেড ২৪ জুন, ২০২৫ ১৫:১১
ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি 

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের ১৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে হাসপাতালটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও চিকিৎসকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া পানি সরবরাহ বন্ধসহ হিমায়িত ভ্যাকসিন ও ওষুধ সংরক্ষণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে বিদ্যুৎ কর্মীরা এসে হাসপাতালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

জানা যায়, পিডিবির ভৈরব বিদ্যুৎ বিক্রি ও বিতরণ কেন্দ্রের আওতায় ১০০ শয্যার ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। হাসপাতালের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় অর্থ সংকটের কারণে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগ দফায় দফায় বকেয়া বিল পরিশোধ করতে নোটিশ দিলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধে ব্যর্থ হন। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

ভৈরব বিদ্যুৎ বিক্রি ও বিতরণ কেন্দ্রের সহকারি প্রকৌশলী মো.শামসুল আলম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় বকেয়া বিল প্রদানের নোটিশ দেয়া হলেও তারা বিল পরিশোধ করছে না। সেজন্যই আজকে সকালে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি মহোদয়ের বিল প্রদানের আশ্বাসে পুর্নরায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুল করিম বলেন, কোন ধরণের নোটিশ ছাড়াই আজ সকাল ৯ টায় বিল বকেয়া থাকায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক রোগী। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাসপাতালের সকল কার্যক্রম ব্যাহৃত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও বরাদ্দ আসে ৫০ শয্যার শয্যার । কিন্তু বিদ্যুৎ বিল আসে ১০০ শয্যার । ফলে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এ কারণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যুতের বিল দেয়া যাচ্ছে না। আজকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি ডিজি মহোদয়কে অবগত করা হলে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলে পুর্নরায় সংযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করেন।


যশোরে ২ ডজন মামলার পলাতক আসামী ডলার আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
যশোর প্রতিনিধি

যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার ২৪ মামলা ও ৫ গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ইব্রাহিম হোসেন ডলারকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটকৃত ডলার ষষ্টিতলাপাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
গতকাল (২৩ জুন) রাতে রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, বিভিন্ন থানায় ১টি খুন, ৬টি অস্ত্র, ৬টি বিস্ফোরক, ৮টি মাদক, ২টি দ্রুত বিচারসহ ২৪টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া ৫ টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
সে এলাকায় সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল, এসংক্রান্তে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি পুলিশ।


কক্সবাজারের উখিয়ায় বসত ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নিহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ায় বসত ঘরে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় গৃহকর্তা নিহত এবং নিহতের এক ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এসময় ডাকাতরা বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি ভূক্তভোগীদের।

সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নূরারডেইল পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত নুরুল আমিন ওরফে বাবুল (৪০) একই এলাকার মৃত ইসহাক আহমদের ছেলে। ঘটনায় আহত হয়েছে মোহাম্মদ হাসান (৩৫)। তিনি নিহতের ছোট ভাই।

নিহতের স্ত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ীতে স্বামী নুরুল আমিন সহ পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে মিলে নিজের বরজ থেকে তুলে আনা পান গোজগাজ ( বিড়া ) করছিল। তিনি কাজের প্রায় শেষ পর্যায়ে স্বামীকে বাজার মাছ কিনে আনার কথা জানান। পরে ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তার স্বামী স্থানীয় স্টেশনে মাছ কিনতে বের হন। তারা মাছ কিনতে বের হবার ২০/২৫ মিনিট পরই মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জনের একদল বাড়ীতে হানা দেয়।

এসময় ডাকাতদের হাতে দেশিয় তৈরী লম্বা বন্দুক, লম্বা কিরিচ ও ছোরা ছিল। বাড়ীতে ঢুকেই বাড়ীর লোকজনকে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে। পরে মারধরের এক পর্যায়ে আমার ও মেয়ের পরিহিতসহ বাড়ীতে থাকা স্বর্ণালংকার এবং কোরবানির সময় গরু বিক্রি বাবদ নগদ ২ লাখ টাকা লুটে করা হয়।

ভূক্তভোগী এ গৃহকর্ত্রী বলেন, চলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমার স্বামী ও দেবর ডাকাতদলে সম্মুখে পড়েন। দেখা মাত্রই তাদের লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি ছুঁড়ে। পরে কুপিয়ে তাদের ফেলে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালে আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার তরুণী মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করে আছিয়া খাতুন জানান, ডাকাতরা চলে যাওয়ার তার মেয়েকে বাড়ীর পাশের ছড়া পর্যন্ত তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে ডাকাতদলের সদস্যদের হাতে-পায়ে ধরে অনেক কাকুতি-মিনতি করার পর মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছে।

ঘটনার ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন জানান, সন্ধ্যার পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তার আগেই আহত দুই ভাইকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি ডাকাতি নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘটিত হয়ে তা নিশ্চিত নন অবহিত করে তিনি বলেন, বাড়ী ফেরার সময় পথেই দুই ভাই দূর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। তাই ডাকাতি নাকি অন্য কোন বিরোধের জেরে ঘটেছে রহস্য উদঘাটনে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

আরিফ হোছাইন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।


দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


ভৈরব রেলস্টেশন থেকে পিস্তলসহ যুবককে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি 


কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ১নং প্লাটফর্মে সন্দেহজনকভাবে মো.শামীম (২২) নামের এক যুবককে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তার কোমরে মিললো ১ টি লোহার তৈরি পিস্তল। তাছাড়াও তার কাছ থেকে একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

আটকৃত আসামী কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার ভাটি ঘাগড়া এলাকার মো.আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ শামীম মিয়া (২২)।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি স্টেশনে থামলে ২নং প্লাটফর্মে শামীম নামের ওই যুবক সন্দেহজনকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরাঘুরি করছিলেন। এসময় বিষয়টি প্লাটফর্মে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ সদস্যদের নজরে আসলে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং চৌকিতে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালান। এসময় যুবকের কোমরে গোজা অবস্থায় একটি লোহার তৈরি পুরনো পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভৈরব চৌকির ইনচার্জ হাসান মাহমুদ জানান, “রাত প্রায় সাড়ে ৮টার সময় কর্তব্যরত সদস্যরা একজন যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করেন। তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হলে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর আইন অনুযায়ী তাকে ভৈরব রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া রয়েছে বলে তিনি জানান।


৬ দফা দাবিতে নওগাঁয় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’ দেওয়াসহ ছয় দাবিতে নওগাঁয় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২ঘন্টাব্যাপী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েনের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশ নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক অনুপ কুমার, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি নার্গিস আক্তার, সাধারন সম্পাদক আসমানী বানু, কোষাধ্যক্ষ রুকশানা আরাসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা।

তাদের ৬দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা, সব স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শককে প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারীদের স্নাতক সমমানের স্বীকৃতি দেওয়া ও বেতন স্কেল পুনর্র্র্নিধারণের সময় প্রাপ্ত টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারী বলেন, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা ও সীমিত জনবল নিয়েও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধে কাজ করেন তারা। এছাড়াও রোগ থেকে মুক্তির উপায়, নতুন রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু বেতন কাঠামোয় রয়েছে চরম বৈষম্য। তাই স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশ নওগাঁ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি নার্গিস আক্তার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে সারাদেশে প্রায় ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। তারা শিশু, গর্ভবর্তী নারী ও কিশোরীদের টিকাদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করেন। বিভিন্ন সময়ে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল উন্নতির জন্য স্বাস্থ্য সহকারীরা আন্দোলন করলেও তা প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।


মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয় বলে জানিয়েয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গতকাল সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গত রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়েছেন নুরুল হুদা।’

‘তবে তাকে গ্রেপ্তারের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কৃষি জমি দখল রোধে কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।’

পরিদর্শনের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, হর্টিকালচার সেন্টারের এনামুল হকসহ পুলিশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপদেষ্টা হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা দিক নির্দেশনা দেন।


নেত্রকোনার ৪ শিক্ষার্থীকে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা সহায়তা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা জয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত নেত্রকোনার চারজন শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা শেষে তাদের হাতে এই অর্থ তোলে দেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।

এই চারজন মেধাবী শিক্ষার্থীরা হলেন ইংরেজি বিভাগে মো. সাজ্জাদ আলী, অর্থনীতি বিভাগে মানব তালুকদার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে রেশমা আক্তার এবং বাংলা বিভাগে বন্যা রানী সরকার।

জানা যায়, এই চারজন মেধাবী শিক্ষার্থী নিজেদের প্রচেষ্টা ও প্রতিভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হন। তবে তাদের প্রত্যেকেই আর্থিক সংকটে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়লে খবর পেয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।

বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে জেলা পরিষদের মাধ্যমে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়, যাতে তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, ‘চারজন শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কলেজের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায়, তারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিঃসন্দেহে আমাদের জেলার সম্পদ। ভবিষ্যতে যেন কেউ আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যেই জেলা প্রশাসনের সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন, যাতে মেধার বিকাশে অর্থ কখনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।” এছাড়াও স্থানীয়ভাবে এই পদক্ষেপকে শিক্ষাবান্ধব প্রশাসনের একটি মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পরিবার ও অভিভাবকরাও এ সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।


হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ প্লাস্টিক বর্জ্যে নাকাল কর্ণফুলী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম প্রতিদিন তৈরি করছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে রয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য। নগরজুড়ে উৎপন্ন এই প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের অভাবে সরাসরি নদী, খাল ও নালায় গিয়ে মিশছে। যা পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), জার্মান সরকার এবং বাউস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে ১৪০ টন সরাসরি খাল ও নালার মাধ্যমে গিয়ে পড়ে কর্ণফুলী নদীতে। নদীতে জমা হওয়া এই প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি হচ্ছে পলিথিন ও প্লাস্টিকের আস্তর। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ ও নৌযান চলাচল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নদীর গভীরতা বাড়াতে সম্প্রতি প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হয়েছে। এই ব্যয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য প্লাস্টিকের পাশাপাশি ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সবচেয়ে বেশি পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, প্লাস্টিক মূলত তৈরি হয় পেট্রোলিয়াম থেকে। সুতরাং পরিবেশের ওপর এর একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থেকে যায়। এছাড়া প্লাস্টিক পলিথিনের মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যেগুলোর প্রায় প্রতিটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন হয়। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পরিবেশের উপর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

চুয়েটের পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যদি শহরের বর্জ্য ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারতাম তাহলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ড্রেজিংয়ে খরচ হতো না। একইসঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।’ এক গবেষণায় দেখা যায়, কর্ণফুলী নদীতে প্রতিদিন গড়ে ৭৮৫ টন বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য গিয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া ওয়ান টাইম প্লাস্টিক, যা পরিবেশের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। গবেষকরা জানান, বন্দরে যেসব জাহাজ আসে সেগুলোও কম-বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে। এসব বর্জ্য যথাযথভাবে নিষ্কাশন না হলে তা শুধু নদী নয়, সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য এবং সামুদ্রিক পরিবেশেও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

এসসিআইপি প্লাস্টিক প্রজেক্টের পরিচালক ড. ফারজানা রহমান জুথি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করতে হবে। আর এটি করতে না পারলে নদী ও সমুদ্র উভয়ের পরিবেশই বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’

জানা গেছে, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে একটি। নদীতে প্লাস্টিক দূষণ রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। কারণ, এটি শুধু পরিবেশ নয়, জনস্বাস্থ্যের ওপরও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের এক সমীক্ষায় কর্ণফুলী নদীর ৭৯টি স্থানে দূষণের চিত্র ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৭৭টি স্থানে দূষণকে ভয়াবহ বলা হয়েছে। শিল্প-কারখানা, গৃহস্থালি, রাসায়নিক, কঠিন ও তরল বর্জ্য, পয়োঃবর্জ্য ও পলিথিন সরাসরি নদীতে ফেলার কারণে নদীর জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের ২৩টি স্থানে এবং ১৯টি খালের মাধ্যমে গৃহস্থালি ও শিল্প বর্জ্য কর্ণফুলীতে যাচ্ছে। শুধু নগরী নয়, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলা থেকেও নদীতে ব্যাপক দূষণ হচ্ছে।

বিশেষভাবে কর্ণফুলী উপজেলায় অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় সিমেন্ট, চিনি, তেল পরিশোধন, ফিশিং কমপ্লেক্স ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান নদীতে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা তেলের দোকান, খোলা টয়লেট, ডায়িং মিল, সার কারখানাসহ নানা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ড্রেন ও খালের মাধ্যমে গিয়ে মিশছে কর্ণফুলীতে। কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারও খালের মাধ্যমে নদীতে পৌঁছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. ফিরোজ আহমেদ জানান, দেশে বছরে প্রায় ৯, ৭৭,০০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সবচেয়ে ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক মূলত পেট্রোলিয়াম থেকে তৈরি হয়। এটি পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এসব প্লাস্টিকের মান উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদিত হচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।


banner close