বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
৯ পৌষ ১৪৩২

হেলে পড়ল ভবন, হঠাৎ অফিস-দোকান হারিয়ে বিপাকে মানুষ

চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় হেলে পড়েছে একটি চারতলা ভবন। ছবি: দৈনিক বাংলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৫৩

চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় চশমা খালের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। বুধবার সকালে ভবনটি হেলে পড়ার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ওই সময় ভবনটির ভেতরে থাকা জিনিসপত্র সরানো হয়।

এ ভবনের নাম ফেরদৌস প্লাজা। বেশ কিছুদিন ধরে ভবনটির পাশের চশমা খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের জন্য খননকাজ চলছে। এ কাজের জন্যই ভবনের খালসংলগ্ন বেশ কিছু অংশ ১০ দিন আগে ভাঙা পড়ে। ভবনমালিক খোরশেদ আলমের দাবি, এতে ভবনের ভিত্তি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে।

বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হেলে পড়া ভবনটি দেখতে আশপাশে শতাধিক মানুষ ভিড় করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হেলে পড়া ভবনের ভেতর থেকে সরানো হচ্ছে আসবাবপত্র। ভবনটিতে বাসা ভাড়া নিয়ে তেমন কেউ থাকতেন না। বেশিরভাগ কক্ষই বাণিজ্যক খাতে ভাড়া দেয়া হয়েছে। চারতলা ভবনের নিচতলায় দোকান, দোতলায় দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার, তৃতীয় তলায় আইটি ফার্ম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং চতুর্থ তলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের অফিস রয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় হেলে পড়েছে একটি চারতলা ভবন। ছবি: দৈনিক বাংলা

হঠাৎ ভবন হেলে পড়ায় জিনিসপত্র নিয়ে বিপাকে পড়েন সেখানকার দোকানি ও প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মীরা।

ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় ইরেবু নামের একটি আইটি ফার্মের স্বত্বাধিকারী সাদরুল কবিরকে। তিনি একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে বলেন, ‘মঙ্গলবারও আমরা ঠিকঠাক অফিস করেছি। কিন্তু একদিন পরেই এমন কিছু ঘটে যাবে ভাবিনি। সকালে স্থানীয় পরিচিত এক দোকানির ফোনকলে ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি জানতে পারি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে ১৮টি কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিলসহ নানা জিনিসপত্র আছে। এখন আপাতত নিচে সেগুলো নামিয়ে রাখছি। এসব নিয়ে হঠাৎ কোথায় যাব বুঝে উঠতে পারছি না।’

দোকানি ও প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মীদের অভিযোগ, ভবনের পাশের খালে প্রতিরোধ দেয়ালের কাজ চললেও এতদিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কোনো সতর্কতামূলক নোটিশ বা ঘোষণা দেয়নি। সেজন্য তারা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে জিনিসপত্র সরাতে পারেননি। আবার অফিস চলাকালে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে সেটির দায় কে নিত, সেটিও তাদের প্রশ্ন।

হেলে পড়া ভবনের একাংশ ১০ দিন আগে ভাঙা পড়ে। ছবি: দৈনিক বাংলা

সোয়া দুই কাঠা জমির ওপর চারতলা ভবনটি ১৯৯০ সালে নির্মাণ করা হয় বলে জানিয়েছেন ভবনমালিক খোরশেদ আলম। তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘পারিবারিক ভবনটি নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে ১৯৮৬ সালে নকশা অনুমোদন নেয়া হয়েছিল। এতদিন সব ঠিক ছিল। তবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য ভবনের একাংশ ১০ দিন আগে ভেঙে ফেলা হয়। পাশাপাশি ভবন ঘেঁষে থাকা খালে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে ভবনটি হেলে পড়েছে।’

তবে আগাম নোটিশ না দেয়ার বিষয়ে কিছু বলতে চাননি সিডিএর অথরাইজড কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান। তিনি বলেন, ‘ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি শোনার পর সিডিএর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। আমরা দুইভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করি। এরমধ্যে একটি হলো একেবারে জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা। আরেকটি দুর্ঘটনার পর ঝুঁর্কিপূর্ণ ভবনের তালিকা। সবমিলিয়ে ৫০০-১০০০ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে সেটি আমরা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি। এখন সেগুলো ভাঙার দায়িত্ব তাদের।’

বিষয়:

ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতন নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে শরীফ ওসমান হাদী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার এবং সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর সন্ত্রাসী হামলা ভাঙচুর ও অগ্নীসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটার দিকে শহর চৌরাস্তায় ঠাকুরগাঁও নাগরিক বৃন্দের ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে, রাজনীতিক ছাত্র-শ্রমিক, জনতা, কৃষক মজুর, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার কর্মী সহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তেল গ্যাস খণিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঠাকুরগাঁও শাখার সদস্য সচিব মাহাবুব আলম রুবেল, সংবাদকর্মী, মজিবর রহমান খাঁন, শিক্ষক ফজলে ইমাম বুলবুল, সাংস্কৃতিক কর্মী এস এম জসিমউদ্দীন, সাংবাদিক তানভীর হাসান তানু, মানবাধিকার কর্মী নূর আফতাব রুপম, তরুণ সাংবাদিক সোহেল রানা, জয় মোহন্ত অলক, ছাত্র ফারহান সাদাত জাহেদি প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা ওসমান হাদী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন এবং সারা দেশে যারা নৈরাজ্য ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করছে, যারা দিপু দাসদের আগুনে পুড়িয়ে মারছে, পিটিয়ে মারছে তাদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করেন। সেই সাথে উগ্রবাদ যেন বাংলাদেশে কায়েম না হয় সে জন্য বাংলাদেশী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান আসে মানববন্ধন থেকে। বক্তারা আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের টার্গেট করে হত্যা করতে চাইবে এবং বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে মব সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।


৬৫ কোটি টাকার সেতু এখন ১৩৬ কোটি টাকা

নড়াইলের নবগঙ্গা সেতু
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। নকশা জটিলতার কারণে নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে ১৩৬ কোটি টাকায়। দেড় বছরে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। সেই কাজ ৮ বছরেও শেষ হয়নি। এতে জন দুর্ভোগের কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পথচারীসহ নদী পাড়ের মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলা শহরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলাসহ পাশের ৩ টি জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীর ওপর বারইপাড়া সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। ৬৫১ দশমিক ৮৩ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থ্যের সেতু নির্মাণে প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৬৫ কোটি টাকা। মেসার্স জামিল ইকবাল অ্যান্ড মঈনুদ্দীনবাসি কনস্ট্রাকশন ফার্ম সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়।

নির্মাণ কাজ ধীর গতির পাশাপাশি বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর ৯ নাম্বার পিলারটি ২ বার ভেঙে নদীতে বিলীণ হয়। এক পর্যায়ে সেতুর মুল অংশের ৪টি পায়ার ও তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের ব্যয় হিসেবে ৬১ কোটি টাকা প্রদান করে চুক্তি শেষ করে। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি আর সেতুর নকশা জটিলতার কোপানলে পড়ে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাড়ায় ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ ৪৬ হাজার টাকায়।

দ্বিতীয় মেয়াদে কংক্রিট অ্যান্ড ‍স্টিল টেকনোলজিস্ট লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতুর বাকি অংশ নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়।

নদী পাড়ের বাসিন্দা হেনরী বলেন, বছরের পর বছর চলছে সেতুর নির্মাণ কাজ। শেষ কবে হবে জানা নেই। তিনি বলেন, আগে এক ঠিকাদার কাজ করে গেছে। এখন দেখছি আরেক ঠিকাদারকে। কাজের কাজ কিছু না, এখানে চলছে শুধু ঠিকাদার বদলের কাজ। তিনি বলেন, শুনছি এখন এই সেতু নির্মাণ করতে প্রায় ৩ গুন টাকা বেশি লাগছে। মনে হয় অফিসের লোকজন আর ঠিকদারের কারসাজিতে এমনটি হচ্ছে।

কালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শমসের আলী বলেন, জেলা শহর থেকে মালামাল এনে ব্যবসা করতাম। এখন সেই কায়দা নেই। দূর পথে এখন যেতে হচ্ছে খুলনা শহরে। এতে টাকা খরচ হচ্ছে বেশি। জানিনা কবে শেষ হবে নির্মাণ কাজ।

বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ খান লিটন বলেন, নদীর দুপাড়ের সংযোগ সড়কসহ ১১টি পায়ার, ১১টি স্প্যান এবং নদীর মধ্যবর্তী অংশে তিনটি পিলার ও ৩টি স্টিল স্প্যান বসানোর কাজ বাকি। তিনি বলেন, চলতি মাসে দুইটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে। নির্দ্দিষ্ট মেয়াদের আগেই নদীর মধ্যবর্তী আর্চ্চস্প্যানটি বসাতে পারবো বলে আশা করছি।

জানতে চাইলে নড়াইল সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলাম বলেন, নকশার ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তিনি দাবি করেন আগামী বছর জুনের মধ্যেই সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করে সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।


ঘন কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চার যানবাহনের সংঘর্ষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ অংশে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ডভ্যানের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হলেও হাইওয়ে পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে কারও আঘাতই গুরুতর নয়। দুর্ঘটনার পরপরই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয় এবং প্রায় আধঘণ্টা পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক জানান, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ায় বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে এলেও চালকদের বেপরোয়া গতি এবং কাঙ্ক্ষিত সতর্কতার অভাবেই এই চারমুখী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। শীতকালীন এই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল চালককে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন এবং নিরাপদ গতিতে গাড়ি চালানোর বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


গাড়ি ভর্তি মদ ফেলে পালাল মাদক পাচারকারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র‍্যাবের তাড়া খেয়ে গাড়িভর্তি বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ ফেলে পালিয়ে যায় মাদক পাচারকারীর দল ।

এসময় একটি গাড়ি থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৬৪৮ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মদের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় একটি বড় মদের চালান ঢাকার দিকে পাচার করা হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের নাটাল মোড়ে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করে। এসময় সন্দেহভাজন একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে চেকপোস্টে আসে। গাড়িটিকে থামার সংকেত দেওয়া হলেও চালক তা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। র‍্যাব সদস্যরা গাড়িটিকে ধাওয়া করলে একপর্যায়ে চালকসহ দুজন ব্যক্তি গাড়িটি একটি গ্রামের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এবিষয়ে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র সহকারী এএসপি তপন সরকার জানান, অভিযানে পরিত্যক্ত গাড়িটি র‍্যাব ক্যাম্পে এনে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৬৪৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।


নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী উত্তর প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮-১০জন। তাৎক্ষণিক পুলিশ নিহত একজনের নাম ঠিকানা জানাতে পারলেও অপর ৪ জনের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী জাগলার চর গ্রামে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে, আলাউদ্দিন (৪০) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমান উল্যাহ গ্রামের ছেরাং বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাগলার চরের জমি সরকার এখন পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্ত দেয়নি। এ সুযোগে ৫ আগস্টের পর জাহাজমারা ইউনিয়নের কোপা সামছু বাহিনী জাগলার চরের বেশ কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর সুখচর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন বাহিনী জাগলার চরের জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। একপর্যায়ে আলাউদ্দিন বাহিনী আরও বেশি দামে কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে চরের জমি বিক্রির চেষ্টা চালায়। অভিযোগ রয়েছে, চর দখলে যুক্ত ডাকাত আলাউদ্দিন সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম মেম্বার, বিএনপি নেতা নবীর ঘনিষ্ঠ।

তারা কোপা সামছু বাহিনীকে চর থেকে বিতাড়িত করে চরের জমি দখলে নিতে ডাকাত আলাউদ্দিনের বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ একাধিকবার বিরোধে জড়ায়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কোপা সামছু ও আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে অপর পক্ষের ছোড়া গুলিতে আলাউদ্দিনসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ৪ জনের মরদেহ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিমের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, একটি মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। চারটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


নাশকতার উদ্দেশে সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো একটি পক্ষ দেশে নাশকতার উদ্দেশে এসব অস্ত্র নিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা বিওপির রাঘববাটি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল, অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হয়। সীমান্ত থেকে প্রায় ৯০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাঘববাটি এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বিদেশি অস্ত্র প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকালে রাঘববাটি এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবির একটি টহল দল।

অভিযানকালে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধাওয়া করলে তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে দ্রুত সীমান্তের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। ব্যাগের ভেতর কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, এর আগেও গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে পৃথক একটি বিশেষ অভিযানে ৫৩ বিজিবি ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৯টি ম্যাগাজিন এবং ২৪ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছিল।

বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো একটি পক্ষ দেশে নাশকতার উদ্দেশে অস্ত্র নিয়ে আসছে।


ঈশ্বরদীতে ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটে ভোগান্তি

* পুলিশ-সেনাবাহিনীর ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

ঈশ্বরদীতে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য স্বতন্ত্র পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ ৮ দফা দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছিল শহরবাসী। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পৌর শহরের আলহাজ মোড়ের প্রধান ফটক ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। এতে যানজটে পুরো শহর অচলাবস্থা হলে তাৎক্ষণিক পুলিশ-সেনাবাহিনী এসে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন ও দাবি পূরনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনীর ধাওয়াতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিতে বললে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। মূহুর্তের মধ্যে পুরো এলাকা উত্তেজিত হয়ে পড়লে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এতে শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিতি ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমারকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে দৌড়ে পালানোর সময় সড়কে পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশবাহিনী লাঠিচার্জ করে প্রায় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সেই সঙ্গে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এবং ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করছি।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা শহরের মূল পয়েন্ট অবরোধ করে তীব্র যানজট সৃষ্টি করে। তাৎক্ষণিক আমরা গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলে কয়েকজন শিক্ষার্থী স্লোগান দিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এ সময় উপস্থিত পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে যানজট নিরসন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও শিক্ষার্থীরা নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে গেছে।


তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে কুমিল্লায় স্বাগত মিছিল

আপডেটেড ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:১৩
কুমিল্লা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি

দেশনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মো. বিল্লাল মিয়া তার নিজ এলাকা কুমিল্লা নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটরা এলাকায় এই স্বাগত মিছিলের আয়োজন করেন।

মিছিলটি ফৌজদারি আমগাছের মোড় থেকে শুরু হয়ে ছোটরা পশ্চিম পাড়া, উত্তর পাড়া ও পূর্ব পাড়া প্রদক্ষিণ করে আদালত চত্বর অতিক্রম করে পুনরায় ফৌজদারি মোড়ে এসে শেষ হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাহিদা আক্তার মুন্নী এবং কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বিল্লাল মিয়া।

এ সময় মিছিলে শতশত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে নগরীর পরিবেশ মুখরিত করে তোলেন।

স্বাগত মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।


দেবিদ্বারে হাসনাত আব্দুল্লাহর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) সংসদীয় আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী ও দলটির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় এনসিপি নেতারা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলামের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের শহিদ সাব্বিরের মা রিনা আক্তার, এলাহাবাদ গ্রামের শহিদ তন্ময়ের বাবা মো. সফিকুল ইসলাম, এনসিপির উপ‌জেলা ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সমন্বয়কারী শামীম কায়সার, সাইফুল ইসলাম শামীম, রায়হান সিদ্দিকসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে নেতারা বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহর পক্ষে শহিদ পরিবারের সদস্যদের দ্বারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এটি প্রমাণ করে যে তিনি আজ জনগণের আস্থা, ভালোবাসা ও নৈতিক সমর্থনের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। শহিদ পরিবারগুলোর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তার রাজনীতির প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।

তারা আরও বলেন, ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতি, ত্যাগের আদর্শ এবং গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে হাসনাত আব্দুল্লাহর এই মনোনয়ন ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ও দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখবে। জনগণের পাশে থেকে তিনি দেশ ও সমাজ গঠনে কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করবেন- এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন নেতারা।


বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে বেনাপোলে গণশুনানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

বেনাপোলে বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোর অঞ্চলের সেবা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সেবার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের ইমিগ্রেশন ভবনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লিয়াকত শরীফ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ময়েনউদ্দীন সর্দার বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো), হানিফ হোসেন ডিইএন-১ পাকশী, হাসিনা আক্তার ডিটিও পাকশী, শ্রী গৌতম কুমার কুন্ডু ডিসিও পাকশী, রিফাত শাকিল ডিইই পাকশী, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের পরিদর্শক মোর্ত্তজা, বেনাপোল সিএন্ডএফ সভাপতি - শামসুর রহমান, সহসভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী, প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারণ সম্পাদক বকুল মাহবুবসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানিতে সেবাগ্রহীতা ও ভুক্তভোগী নাগরিকেরা রেলওয়ে সেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যা, দুর্ভোগ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন। ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখা, স্টেশন এলাকার নিরাপত্তা, প্ল্যাটফর্ম উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন।

বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লিয়াকত শরীফ। বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের সমস্যা ও প্রত্যাশা সরাসরি শোনা যায়, এতে দ্রুত সমাধানের পথ খুলে যায়। তিনি আরও জানান, নিয়মিত এ ধরনের উদ্যোগ চালু থাকলে রেলওয়ে আরও জনবান্ধব, কার্যকর ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

এ সময় অন্যান্য বক্তারা বেনাপোল থেকে চলাচলরত রূপসি বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের আদলে আরও একটি ট্রেন চালুর দাবি করে বলেন, সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। জনগণের অর্থে পরিচালিত রেলওয়ের প্রতিটি সেবা যেন সরাসরি সেবাগ্রহীতার কাছে পৌঁছে এটা নিশ্চিত করাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

গণশুনানি শেষে সাধারণ মানুষ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আগে অনেক সমস্যার কথা জানানোর সুযোগ ছিল না, এখন সরাসরি কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরতে পারছেন-যা সমস্যা-সমাধানকে দ্রুত ও সহজ করে তুলবে।


আবার দুই ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকারে গিয়ে দুইটি ট্রলারসহ ১৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক হওয়া ট্রলার দুটি টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া নৌঘাট এবং পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ঘাটের বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালিয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।

তিনি বলেন, গভীর সাগরে মাছ শিকার শেষে জেলেরা টেকনাফের দিকে ফিরছিলেন সকালে। এ সময় বঙ্গোপসাগরের মোহনা এলাকা থেকে আরাকান আর্মির একটি দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুইটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি খালে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটক জেলেদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জেলে পল্লিগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

একটি মাছ ধরার ট্রলারের মালিক আব্দুল জলিল বলেন, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে মাছ ধরে ফেরার পথে নাফ নদীর মোহনা থেকে মাঝিসহ ৭জন জেলেসহ তার ট্রলারটি ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এ ঘটনায় জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অনেকেই সাগরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, দুইটি ট্রলারসহ ১৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, গত ১০ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। বিজিবির সহায়তায় তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো প্রায় ১৫০ জন জেলে তাদের হাতে আটক রয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের মধ্যে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে।


নানা জটিলতায় জামদানি ভিলেজ প্রকল্পের কাজে ধীরগতি

* শঙ্কায় রূপগঞ্জের ব্যবসায়ীরা! * আড়াই বছরে জামদানি ভিলেজের অগ্রগতি ১২%
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

জামদানি ভিলেজ স্থাপনের মাধ্যমে আদর্শ গবেষণা ও নকশা উন্নয়ন কেন্দ্র তৈরি করা হবে-এমনটিই কথা ছিল। একই সঙ্গে থাকবে প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া জামদানি ভিলেজ স্থাপন প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। অথচ কাজ হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। আর মাত্র সাত মাসে প্রকল্প ঠিক কতটুকু আলোর মুখ দেখবে তা নিয়ে সন্দিহান খোদ কর্মকর্তা ও জামদানি শিল্পীরা।

জামদানি ভিলেজটি স্থাপন করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগন্তের তারাব পৌরসভার শীতলক্ষ্যা নদীর পার ঘেঁষে। বাওয়ানী জুট মিলের সরকারি জায়গা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সীমানা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। এখন তরুণরা খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন প্রকল্প পরিচালক।

নানা জটিলতায় থমকে গেল জামদানি ভিলেজ প্রকল্প। দুই বছর পার হলেও কাজ শেষ হয়েছে সিকি ভাগ, বাকি কাজ দ্রুত এগোবে তারও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শিল্পের উন্নায়নে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভিলেজ স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন নিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশের ঐতিহ্যের বাহক এই জামদানিশিল্পের উন্নয়নে এর আগে ১৯৯২ সালে রূপগঞ্জে জামদানি পল্লী প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। জামদানিশিল্প ও তাঁতিদের রক্ষা করাই ছিল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করে প্রতিটি এক হাজার ৫০০ বর্গফুটবিশিষ্ট ৪২০টি ১টি তাতিদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। প্রতি প্লটের এককালীন মূল্য ধার্য করা হয়েছিল এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু এই বরাদ্দেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মূল তাঁতিরা প্লট থেকে বঞ্চিত হন। প্লট বাগিয়ে নেন ব্যবসায়ীরা।

প্রকল্পের আওতায় ১৯১৮ সালে প্রশাসনিক ভবন, বিপণনকেন্দ্র, হাটবাজারের জন্য তিনটি শেড, পাম্প হাটিস, অভ্যান্তরীণ সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ সাম্পূর্ন করা হয় এবং প্লটগুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা হয়। বিসিক জামদানি তাঁতিদের ২০০০ সালে ৪০৭টি প্লট বরাদ্দ দেয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র পাচটি রেসিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে।

তাঁতিরা বলেন, এই শিল্প বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক পরিচয় হিসেবে ইউনেসকোর অপরিমেয় সংস্কৃতিক ঐতিহ্য (২০১৩) এবং ভৌগোলিক নির্দেশক (জিয়াই) পণ্য (২০১৬) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সাফল্য সত্বেও জামদানিশিল্প এবং এর কারিগররা বর্তমানে টিকে থাকার ঝুঁকিতে রয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলে, ঐ শিল্পকে টেকসই রূপ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের গৃহীত ‘জামদানি ভিলেজ স্থাপন বাস্তবায়ন অগ্রগতি ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মাত্র ১২ শতাংশ, যা এই শিল্পের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং তাঁতবস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

গবেষণা ও নকশা উন্নয়ন কেন্দ্র তৈরি না হওয়ায় কারিগররা ঐতিহ্যবাহী নকশা পুনরুদ্ধারে ডিজাইনারদের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র তৈরি না হওয়ায় তারা নকল পণ্যের তল্লাসন থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না এবং ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকছে। এই ধীরগতি প্রমাণ করে, সরকার দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কারিগরদের জরুরি আর্থিক নিরাপত্তা উপেক্ষিত হচ্ছে। যদি এই স্থবিরতা কাটানো না যায়, তবে প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই ঐতিহ্যবাহী কারিগর সম্প্রদায় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। 'জামদানি ভিলেজ স্থাপন' প্রকল্পের ব্যস্তবায়নে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, তা অবিলম্বে দূর করা প্রয়োজন। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং কামিটি গঠন এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা উচিত। জুন ২০২৭-এর মধ্যে প্রদর্শনী বা বিক্রয়কেন্দ্র এবং আদর্শ জামদানি গবেষণা ও নকশা উন্নয়ন কেন্দ্র চালু করা অত্যাবশ্যক।

প্রকল্পের পরিচালক ও প্রধান পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘প্রকল্পটির মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটি বাওয়ানী জুট মিলের জায়গা। এটা জামদানি ভিলেজের জন্য কেনা হয়েছে। এ পর্যন্ত এক কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যায় হায়াছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের বাধা ছিল। তরুণরা এটাকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। তবে আশা করি, ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ঢাবিতে শুভেচ্ছা মিছিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক  

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বাগত মিছিল করেছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মিছিলটি ঢাবির টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের টিএসসিতে এসে শেষ হয়। এরপর ঢাবির রোকেয়া হলের পার্শ্ববর্তী যাত্রী ছাউনিতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ‘মা মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে; তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে; তিস্তা নদী বহমান, তারেক রহমান; তারেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমান বিগত ১৫ বছর বিদেশে বসে এ দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের অধীর আগ্রহের অবসান ঘটিয়ে তিনি অচিরেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। আমরা তার এ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে একটি সাম্য, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমি ছাত্রদলের সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে আগাকাল ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। আমরা মনে করি তার এ আগমনে এ দেশে গণতন্ত্রের নতুন দ্বার খুলবে। দেশ আবার গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে।’


banner close