শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫
১৩ ভাদ্র ১৪৩২
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল

দুই দফায় বদলেছে নকশা, ৩ দফায় বেড়েছে বরাদ্দ

প্রকল্পের মেয়াদ শেষের দিকে। এ পর্যন্ত নয়তলা ভবনের আটতলা অবকাঠামো নির্মিত। সম্প্রতি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে। ছবি: দৈনিক বাংলা
হাসনাইন তালুকদার, ঝালকাঠি
প্রকাশিত
হাসনাইন তালুকদার, ঝালকাঠি
প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:০০

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। এরপর দুই দফায় নকশা বদলে ভবনটি ছয়তলা থেকে নবম তলার অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এর বিপরীতে নির্মাণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে তিন দফায়।

প্রথম দফায় প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে। তবে এখনো নির্মাণসহ সাজসজ্জার অধিকাংশ কাজ বাকি।

চার বছর আগে ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরু থেকেই কচ্ছপ গতিতে চলে নির্মাণকাজ। মাঝে নানা অজুহাতে কয়েক দফায় কাজ বন্ধও রেখেছিল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

ভবনের প্রথম দরপত্র ছিল ছয়তলা পর্যন্ত। আর এতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। পরে একই কাজের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪০ কোটি টাকা করা হয়। প্রথম ধাপের কাজের প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বিল এরই মধ্যে তুলে নিয়েছে বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ ও জিএম কনস্ট্রাকশন। কিন্তু ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত ভেতরের দরজা, জানালা, ইলেকট্রিক, পানির লাইন স্থাপন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক কাজের অধিকাংশই বাকি।

কাজের ধীরগতির মধ্যেই গত বছর আরও তিনতলা বাড়িয়ে ভবনের নবম তলা পর্যন্ত নকশা ও বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলার কাজের জন্য আরও ৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত অষ্টম তলার ছাদ ঢালাই দেয়া হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও একতলার নির্মাণকাজ।

ঝালকাঠি গণপূর্ত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ জুন এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। সময় এবং বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই। এ সময়ের মধ্যে ভবনের সব কাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তর করতে হবে ঠিকাদারকে।

জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে কি না তা জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিএম কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মাওলা ফরহাদের সঙ্গে। তবে তিনি মুঠোফোনের কল রিসিভ করেননি।

আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, করোনা মহামারির সময় নির্মাণসামগ্রীর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী এবং শ্রমিকসংকটও ছিল। এ কারণে কাজের গতি ছিল কম।

প্রথম দরপত্রের ৩৫ কোটি টাকা উত্তোলন করার কথা স্বীকার করেন হুমায়ুন কবির। বলেন, ‘সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলার কাজের জন্য দ্বিতীয় টেন্ডারে বরাদ্দের ৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার একটি টাকাও বিল পাইনি। কিন্তু সাত কোটি টাকা ব্যয় করেছি। তাই আমাদের অর্থসংকট রয়েছে। আর এ কারণেই কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছি।’

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। এর মধ্যে হাসপাতাল ভবনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হবে কি না, তা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে আছে। ফলে ঝালকাঠিবাসীকে উন্নত চিকিৎসাসেবা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুদিন।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মোস্তফা হায়দার বলেন, ‘নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হলে আড়াই শ শয্যার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেত। সেবার মানও বৃদ্ধি পেত। এখন তো ডাক্তার কম, রোগীর চাপ বেশি, তাই সেবা পেতে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কম্পাউন্ডে বর্তমানে ২৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হওয়া দরকার। গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২৫০ শয্যার জন্য জনবল নিয়োগ দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বলেন, ‘প্রথম দরপত্রের কাজ প্রায়ই সমাপ্ত। দ্বিতীয় দরপত্রের কাজের অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে জোর তাগিদ দিয়েছি।’

ফয়সাল আলম বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি পাঁচতলা ভিতবিশিষ্ট সার্ভিস ভবন, অগ্নিনির্বাপক পাইপলাইন ও চারটি লিফট স্থাপনের জন্য যাবতীয় কাজ চলমান আছে।


শিক্ষাঙ্গনকে কোনোভাবেই  কলুষিত করা  ঠিক নয়

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের শিক্ষার বেহাল অবস্থার প্রতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের হতাশায় গোটা দেশের জনগণ উদ্বিগ্ন। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্ছৃঙ্খলতা, অব্যবস্থা, অনিয়ম, মব ভায়োলেন্স, বিভিন্ন দাবি আদায়ের হুংকার, লেখাপড়ার প্রতি অনিচ্ছার প্রবণতা লক্ষণীয়। তারপর ধীরে ধীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের পথে যাওয়ার চেষ্টা করলেও গুণগত শিক্ষার মান বাড়ানো যাচ্ছে না। আমরা জানি শিক্ষা হলো- এমন একটি পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। জন্মের পর থেকে একটি শিশুকে বড় হওয়া পর্যন্ত, তার সার্বিক বিকাশ থেকে শুরু করে সমাজের একজন সৃষ্টিশীল এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। এ জন্যই সমাজ-বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সকল মহান ব্যক্তিরাই বলে গেছেন শিক্ষাজাতি গঠন করে এবং শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা জাতির- চরিত্র গঠন করে। আর শিক্ষাঙ্গন হলো-সেই প্রতিষ্ঠান, যেখানে জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করার স্থান। শিক্ষাঙ্গন, যেখানে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলতে সক্ষম এবং চরিত্র গঠন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রকৃত মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে থাকে। তাই শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন একে অপরের পরিপূরক। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে ভাবা অসম্ভব। ফলে শিক্ষার এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ সব সময় থাকতে হবে সর্বাধিক উত্তম। অথচ ব্যাথিত হই যখন দেখি রাজধানীর ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ বা আইডিয়াল কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অহরহ বিবেধ-সংঘর্ষ। যা কারও জন্য কাম্য নয়। জোড়পূর্বক সচিবালয়ে প্রবেশ করা- শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভদ্রতা, শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা এবং মানবতার পরিবর্তে হিংসা, বিদ্ধেষ, অহংকার, অহমিকা, মবের দৌরাত্ম্য, অপমান, অপদস্ত, মারামারি, অভদ্রতা ইত্যাদির আর্বিভাবে দেশ ও দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও হতাশ। কেউ কী বলতে পারবে আমাদের এই ছোট্ট বাংলাদেশে শিক্ষার এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ সর্বাধিক উত্তম? না কখনোই না বরং দিন দিন খারাপের দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বড় ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে দাড়িয়েছে যা কখনোই কাম্য ছিল না। এতে করে মারাত্মকভাবে কলুষিত হচ্ছে শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ। এতে সচেতন মহল আতঙ্কিত । শিক্ষাঙ্গনে যেভাবে লেখাপড়ার পরিবর্তে চাঁদাবাজি বা মব ভায়োলেন্স ঢোকেছে তাতে এক শ্রেণির ছাত্র সমাজ জড়িত হয়ে পড়েছে তাতে গোটা শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। তাদের বক্তব্য এদেশে উচ্চশিক্ষার তেমন পরিবেশ বা শিক্ষার গুণগত মানের অভাব দেখা দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া, অনৈতিক অর্থ আদায়, শিক্ষাঙ্গনে হুমকি, তাণ্ডব কিছুই বাদ নেই। এমন কী শিক্ষাঙ্গনে পুলিশের প্রবেশ বা শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে পুলিশকে লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। অনেক শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক-ছাত্রীর সঙ্গে এমন সব কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত করছে তাতে লজ্জায় অভিভাবক সমাজ ক্ষুব্ধ। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সকল প্রকার অনিয়ম ও উচ্ছৃঙ্খলতা দূর করে শিক্ষাঙ্গনে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলতে সচেষ্ট হওয়ার জন্য দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী


শাহিদের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন কারিনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে শাহিদ কাপুরকেই বিয়ে করবেন কারিনা কাপুর। যেভাবে তাদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বলিউডে, তা শুনে কারিনা ও শাহিদের পরিবারও এই বিয়ে নিয়ে মোটামুটি ভাবতে শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে কারিনা ও শাহিদের চুমুর ভিডিও ভাইরাল হতেই তাদের প্রেম যেন আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

কিন্তু হঠাৎই অঘটন। রাতারাতি শাহিদের সঙ্গে বিচ্ছেদ করেন কারিনা। তখন সবে দুজনে শুরু করেছেন, ‘জাব উই মেট’ সিনেমার শুটিং। আর তার মাঝেই এই বিচ্ছেদ কাণ্ড! কিন্তু ওই বিচ্ছেদের খবর সবাই জানলেও, এর নেপথ্যের কারণটা অজানা ছিল বহুদিন। তবে সম্প্রতি কারিনাই এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানালেন, এই শাহিদের সঙ্গে বিচ্ছেদ করার কারণ।

সাইফ আলী খানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর পরই শাহিদের সঙ্গে প্রেম প্রসঙ্গে কারিনা জানিয়েছিলেন, তিনি অতীত নিয়ে কথা বলতে চান না। বিশেষ করে শাহিদ নিয়েই তো একেবারেই নয়। কারিনার এমন বক্তব্যে জল্পনা শুরু হয়। নিন্দুকদের মুখে নানান প্রশ্ন, কী এমন হয়েছে, যে কারিনা এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না।

শেষমেশ সম্প্রতি নিজেই স্পষ্ট করলেন। কারিনা জানান, শাহিদ বন্ধু হিসেবে ভাল। কিন্তু ওর ইগো বড্ড বেশি, যা কিনা সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। তবে শাহিদের এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ওরা ভাল থাকুক, সুখে থাকুক।


ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, যুবক আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রিকফিল্ডের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংন্ক থেকে স্থানীয়রা পাঁচ বছরের শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রাসেল (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের সোনালী ব্রিকফিল্ড এলাকা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাথিয়ারা এলাকার ওই মেয়ে শিশুটি বুধবার দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে আশপাশের এলাকায় স্বজনরা মাইকিং করে খোঁজ করলেও তার সন্ধান মেলেনি। রাত ১২টার দিকে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সেখানকার সোনালী ব্রিকসের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের পাশে মেয়েটির জামা দেখতে পায়। পরে সেখানে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকের পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ব্রিকফিল্ডে কর্মরত রাসেল নামে এক যুবককে সন্দেহজনকভাবে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করে। আটক রাসেল ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে।

শিশুর মা মুক্তা বেগম বলেন, আমার মেয়ে দুপুর বেলা হারিয়ে যায়। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। না পাওয়ায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। রাত ১১টার সময় ব্রিক ফিল্ডের পাশে লোকজন তার সালোয়ার দেখতে পান। পরে আমার আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে। সেখানে সেফটি ট্যাংকের ভিতরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আমার মেয়েকে যেভাবে মারা হয়েছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, আমি তার ফাঁসি চাই। আমার মেয়ের ধর্ষকের বিচার চাই।

শিশুর বাবা সোলায়মান আলী বলেন, আমার পাঁচ বছরের মেয়েকে যে ধর্ষণ করেছে, নির্মমভাবে হত্যা জন্য তার ফাঁসি চাই। আমি বাংলাদেশের সবার কাছে আমার মেয়ের এই নির্মম ঘটনার বিচার চাই। এ ধরনের ক্ষতি যেন আর কারো না হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের সময় শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য নূর নবী বলেন, আটক ছেলেটি প্রায় দুই বছর ধরে ওই ব্রিকফিল্ডে কাজ করে। তার বাড়ি ময়মনসিংহে। মেয়েটির বাবার বাড়ি ভোলা ও মায়ের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার রসুলপুরে হলেও কাজের সুবাদে তারা মাথিয়ারায় একটি কলোনিতে বসবাস করেন। পূর্ব থেকে মেয়েটি রাসেলকে চিনত। রাসেল দুপুরে শিশুটিকে ব্রিকফিল্ডে এনে খাবার দেয়। পরে ধর্ষণ করে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে রাসেল নামে এক যুবককে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত রাসেল ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আইনানুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ও প্রক্রিয়া চলছে।


নেত্রকোনায় জেলা জামায়েত ইসলামীর রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় জেলা জামায়েত ইসলামীর ষাণ্মাসিক রুকন সম্মেলন ২০২৫ নেত্রকোনা মোক্তারপাড়াস্থ জেলা পাবলিক হল মিলনায়তনে বৃহষ্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মজিবুর রহমান । প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জীবন দিয়ে হলেও এদেশে কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করবো। সকল সরকারই ইসলামের সাথে গাদ্দারী করেছে। এখন মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা চেষ্টা করছি ইসলামের পক্ষে একটি ভোট বাক্স দেওয়ার। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হলে এটা বাস্তবে রূপ নিবে ইনশাআল্লাহ। পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এদেশের সকল মানুষের ভোটের মূল্যায়ন করার জন্য উত্তম পদ্ধতি হলো পি আর পদ্ধতি। আমরা চাই যে এক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করেই আমরা নির্বাচনে যাবো। কোন ভোট ডাকাতের হাতে দেশকে ছেড়ে দিবোনা। ভোট কেন্দ্র ও ভোট বাক্স পাহাড়া দিতে হবে। জামায়াত এদেশের মানুষকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবে। এ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ড. ছামিউল হক ফারুকী, নেত্রকোণার ৪ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ময়মনসিংহ মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নেত্রকোনা-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, সহকারী সেক্রেটারি ও নেত্রকোনা ৫ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য নেত্রকোনা-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসিম, জেলা শ্রমিক বিভাগের সভাপতি, জামায়াতের জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, এসময় সারা জেলা থেকে প্রায় ৬ শতাধিক পুরুষ ও মহিলা রোকন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।


গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে এলো আরও ১৪৬০ মেট্রিক টন চাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাশেদ রহমান, বেনাপোল যশোর

দেশের সর্ব বৃহত্তম যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে পাঁচটি চালানে মোট ১৪৬০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। সপ্তাহের শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার ১২ টি ট্রাকে ৪২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন।
তিনি জানান, গত শনিবার (২৩ আগস্ট) ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন, রবিবার (২৪ আগস্ট) ৩টি ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন, সোমবার (২৫ আগস্ট) দুটি চালানে ৬২০ মেট্রিক টন এবং আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে ১২ ট্রাকে ৪২০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। গত এক সপ্তাহে সর্বমোট ১৪৬০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গনি এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন, ‘গত শনিবার ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। রবিবার তিনটি ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন, সোমবার দুটি চালানে ৬২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছি। আজ বৃহস্পতিবার ৬২০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পন্যচালান গুলির বন্দর থেকে ছাড় করনের কাজ করছেন ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ এবং কাবেরী এন্টারপ্রাইজ নামে দুজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান বলেন, ‘আমদানিকৃত চাল ছাড়করণের জন্য কাস্টমসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের মাধ্যমে চালগুলোর খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, চার মাস বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে চাল আমদানি পুনরায় চালু হওয়ায় কর্মচঞ্চলতা ফিরে এসেছে বেনাপোল বন্দরে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ‘আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল।’


খাবার ও চিকিৎসা সংকটে প্রতিবন্ধী ইমরানের দুর্বিষহ জীবন, ভিক্ষা নয় ফেরত চান পরিবারের সম্পত্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

হাত পাততে ইচ্ছুক নন তিনি। তার নিজের সম্পত্তি ফেরত চান। তিনি ইমরান হোসেন এমরান। বয়স ৫১ বছর। বাসা কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা গোবিন্দ পুকুর পাড়ে। মাথার অংশ ছাড়া শরীরের প্রায় পুরোটা অচল। হাত কিছুটা নাড়াতে পারেন, তবে তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। ৪বছর বয়সে মা জাহানারা বেগম ও ১৬ বছর বয়সে বাবা তোফাজ্জল হোসেন ওরফে গোলাম হায়দারকে হারিয়েছেন। না পারছেন খাবার জোগাতে, না চিকিৎসা করাতে। নানার বাড়িতে তার মায়ের ক্রয় করা সম্পত্তি মামা ও মামাতো ভাইয়েরা দখল করে রেখেছেন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি চান সম্পত্তিগুলো দখলমুক্ত করতে। জমির আয় থেকে চিকিৎসা ও ভরণপোষণ মেটাতে।
ইমরান জানান,তার নানার বাড়ি চাঁদপুর হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মুকিমাবাদে। নানা আবদুল লতিফ। নানার বাড়িতে তার মা জাহানারা বেগম সেখানে প্রায় ৪শতক জায়গা ক্রয় করেন ৬ দশক আগে। এছাড়া নানার সম্পত্তির অংশ পাবেন প্রায় আধা শতক। এ সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য কোটি টাকার বেশি। সম্পত্তি উদ্ধারে তিনি মামার পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
ইমরান হোসেনের বাসায় দেখা যায়, তিনি হুইল চেয়ারে বসা। ভরাট চেহারা। হাসিমাখা মুখ। দেখলে মনে হবে সুস্থ মানুষ। সামনে একটি ট্রাইপডে মোবাইল ফোন লাগানো। ফোনে কল দিয়ে তিনি স্বজনদের ঢেকে এনে তার চাহিদা পূরণ করেন। তিনি কারো সাহায্য ছাড়া বিছানায়ও উঠতে পারেন না। স্বজনের সহযোগিতায় বিছানায় গেলেও শরীর নাড়াতে পারেন না। তার পায়খানা প্রশ্রাবেরও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
ইমরান হোসেন বলেন, ২০১০ সালে দক্ষিণ কুরিয়ার ইয়াংজুসি শহরে কাজ করতেন। ঘাড়ে ব্যথা পাওয়ার পর তনদুচন শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ বছর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে টাকা বকেয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে রোগী নামিয়ে দেয় না, তবে কম খরচের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। দূতাবাস,বিদেশি কমিউনিটির সহযোগিতায় অর্ধমৃত ইমরান ২০১৭ সালে দেশে ফিরে আসেন।
দুই বোন তাহমিনা বেগম ও শামীমা আক্তার বলেন,আমার মামা ও মামাতো ভাইয়েরা মায়ের ক্রয় করা সম্পত্তি ও ওয়ারিশ অংশ দখল করে রেখেছে। সম্পত্তি ফিরে পেলে আমার ভাই ও আমাদের উপকার হতো। বিশেষ করে আমার ভাইয়ের অবস্থা খুব খারাপ। তাকে ভালো চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। এছাড়া তার পরিবারের ব্যয় বহন করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সমাজ সেবক মাজেদুল হক চৌধুরী বলেন,ইমরান আমাদের প্রতিবেশী। তার অল্প বয়সে বাবা-মা মারা যান। সে বিদেশে গিয়ে পঙ্গু হয়ে দেশে আসে। তার খাবার ও চিকিৎসার অনেক কষ্ট হচ্ছে। তার মায়ের ক্রয় করা সম্পত্তি ফিরে পেলে অনেক উপকার হবে।
ইমরানের ৫ মামার মধ্যে বেঁচে আছেন দুধ মিয়া। তাকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
মামাতো ভাই মো. শাহ আলম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তিনি জানেন না। ইমরান তাদের ফুপাতো ভাই। তার কাগজপত্র থাকলে সে সম্পত্তি পাবে এতে কোন সমস্যা নেই। এ নিয়ে তিনি আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।


আবাসিক এলাকায় মিল কারখানা ও ভারী যান চলাচল বন্ধের দাবিতে মাগুরায় মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

আবাসিক এলাকায় মিল কারখানা বন্ধ ও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাগুরা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পারনান্দুয়ালী গুলশানপাড়ার এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পৌর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন গুলশানপাড়া এলাকায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হাবিবুর রহমান, মো. দেলোয়ার হোসেন, গোলেবার হোসেন, আব্দুল মান্নান, ইসরাফিল হোসেন, জোসনা বেগম, শিউলি বেগম, ইউসুফ আলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসময় বক্তারা বলেন, তাদের বসবাসের এই আবাসিক এলাকায় একটি পলিথিন কারখানা রয়েছে যা পরিবেশ ও এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া এলাকায় নতুন করে একটি বৃহৎ আকারের বিস্কিট কারখানা অবৈধভাবে সরকারি জমির কিছু অংশ দখল করে নির্মাণাধীন রয়েছে। এতে করে পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। নির্মাণাধীন বিস্কুট কারখানাটি চালু হলে এর থেকে নির্গত ধোয়া, বর্জ্য ও শব্দ দূষণের ফলে এলাকাটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।
এর পাশাপাশি মহাসড়ক থেকে এলাকায় প্রবেশের পথটি কারখানার মালামাল পরিবহনের জন্য ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কটি প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
তারা আরো বলেন ,আমরা এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে কলকারখানা বন্ধ ও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।


নড়াইলে সুমন হত্যা ঘটনার মূল আসামি গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

অবশেষে নড়াইলের সুমন মোল্যা(১৫)হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শাহাদাৎ হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর পিবিআই পুলিশ । বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যশোর পিবিআই ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রেশমা পারভীন (পিপিএম) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,সুমন মোল্যা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামের বিল্লাল মোল্যার ছেলে। সুমনের বাবা একজন আইসক্রিম বিক্রেতা। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসার খরচ যোগাতে সে ২১ আগস্ট সকালে বাবার ভ্যানগাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়। ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায় নানা চিন্তায় মা সামেলা বেগমের নির্ঘুম রাত কাটে। পরিশেষে সামেলা বেগম ২২ আগস্ট লোহাগড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ব্যাপক খোঁজ নেওয়ার এক পর্যায়ে ভ্যানটি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর বাজারের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। আর নিখোঁজের চার দিন পর (গত ২৪ আগস্ট) হাত=পা বাধা অবস্থায় সুমনের মরদেহ লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
জানতে চাইলে পিবিআই যশোর ইউনিটের পুলিশ সুপার রেশমা পারভীন বলেন, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন,তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই প্রধান মো.মোস্তফা কামাল (অ্যাডিশনাল আইজিপি)র দিক নির্দেশনায় কাজটি সহজতর হয়। তিনি বলেন, পিবিআই যশোর ইউনিটের পরিদর্শক রিপন কুমার সরকার, এ, এস, আই রতন মিয়া, এ, এস, আই মো. মাসুদের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল মামলার আসামি লাহুড়িয়া তালুকপাড়ার রমজান শেখের ছেলে শাহাদাৎ হোসেনকে (১৯) রাত দেড়টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ি লোহাগড়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শাহাদাৎ হোসেন টাকার প্রয়োজনে ভ্যান চুরির মিশনে বাড়ি থেকে বের হয় । সুমনকে হত্যা করে তার ভ্যান নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানূ উপজেলার গোপালপুর বাজারে পৌঁছালে ভ্যানের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যায় এবং সেখানে ফেলে সে পালিয়ে যায় । আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


কুমিল্লায় সেনা অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সদর উপজেলার কাটাবিল এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোররাতে সেনা অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
আটককৃত হানিফ মিয়া ওরফে আনু মিয়া কুমিল্লা নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাটাবিল এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
অভিযানের সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ৮৯৭ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম গাঁজা, ১ বোতল ফেনসিডিল ২ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি রামদা ২ টি চাপাতি ও একটি সিজার জব্দ করা হয়।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, সেনা অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক একজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়।


নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, চালক দগ্ধ

আগুনে পুড়ে যাওয়া এম্বুল্যান্স
আপডেটেড ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ২২:২৭
এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে । এতে অ্যাম্বুলেন্স চালক বিজয় দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে শহরের এই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

দগ্ধ অ্যাম্বুলেন্স চালক বিজয় শহরের জল্লারপাড় এলাকার বাসিন্দা। তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের মালিক ইকবাল খান তিনি বলেন, রোগি উঠানোর উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে রাখা হয়েছিল। গাড়ির দরজা খোলার সাথে সাথে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক বিজয় আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। তার হাত পুড়ে গেছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকার বার্ণ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, রাত ৮ টা ৫ মিনিটে হঠাৎ করে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগে। অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রোগি নিয়ে যাওয়ার জন্য (স্টার্ট) চালু দিলে আগুন ধরে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে কোন রোগি ছিলনা। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালক দগ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিটিউটে নিয়ে গেছে। এছাড়া আর কেউ দগ্ধ বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় হাসপাতালের অনেক রোগির মধ্যে প্যানিক সৃষ্টি হয়েছিল। এ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও রোগিদের শান্ত করে।

তিনি আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে দুটি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। আগুনের ব্যাপকতা অনেক বেশি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে সেই গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।


সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি

ছবি: প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া অভিযুক্ত শিক্ষক নাফসি তালুকদার
আপডেটেড ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

'শিক্ষককে সময়মতো ক্লাসে আসতে বলায় ৩৩ শিক্ষার্থীকে পেটালেন সহকারী শিক্ষক' শিরোনামে গত ২৬ আগস্ট দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলা২৪. কম অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪.কম এর জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি রাব্বিউল হাসান রমিকে গত বুধবার রাতে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন সহকারী শিক্ষক নাফসি তালুকদার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক কালাই থানায় সাধারণ ডায়েরি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাফসি তালুকদার নবম শ্রেণির ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশকারী কয়েকজন সাংবাদিককে ফোন করে এবং লোক পাঠিয়ে হুমকি দেন।
সাংবাদিক মহল বলছে, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও অন্যায় কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দিতে গিয়ে এখন সংবাদকর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ছড়িয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হুমকি পাওয়া নাগরিক টেলিভিশন ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের জেলা প্রতিনিধি মাহফুজার রহমান বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত শিক্ষক নাফসি তালুকদার আমাকেও ফোন দিয়ে হুমকি দিয়েছে। সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে এ ধরনের হুমকি মুক্ত সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জানান, শিক্ষক নাফসি তালুকদারের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, সাংবাদিক রাব্বিউল হাসান রমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তার আগের অভিযোগগুলোর সঙ্গে এটিও আমলে নিয়েছি।
কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, সাংবাদিক রাব্বিউল হাসান রমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করার অভিযোগে ওই শিক্ষককে শোকজ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে দলীয় অফিস খোলা, সহকর্মী শিক্ষক ও ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।


শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হবে ১২ই অক্টোবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫” সফল বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে অ্যাডভোকেসী সভা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় নগরভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম উপর্যুক্ত সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দেশব্যাপী ৯ মাস হতে ১৫ বছর কম বয়সী সকল শিশুদের এক ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিবি) টিকা প্রদানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসি এলাকায় ১২ অক্টোবর থেকে এই টিকা প্রদান শুরু হবে।


টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত একটি রোগ যেটি দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। টাইফয়েড টিকা গ্রহণের মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বর ও জ্বর জনিত জটিলতা প্রতিরোধ করা যায়। ১২ই অক্টোবর থেকে ১৩ই নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫” এর আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় প্রায় ১০ লক্ষ শিশুকে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে। ২২৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ওয়ার্ড কার্যালয়স্থ ৭৫টি স্থায়ী কেন্দ্র ও প্রায় ৪৫০টি অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে ২টি পর্যায়ে এই টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। প্রথম পর্যায়ে, ১২ই অক্টোবর হতে ৩১ই অক্টোবর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকাদান করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, ১লা নভেম্বর হতে ১৩ই নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটির শিশু এবং প্রান্তিক পর্যায়ের সকল শিশুদের টিকাদান করা হবে। এছাড়া, ১২ই অক্টোবর হতে ১৩ই নভেম্বর পর্যন্ত শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়স্থ স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র হতে এই টিকা গ্রহন করা যাবে।


টিকা গ্রহণের জন্য শিশুর অনলাইনে বিদ্যমান ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। যাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর অনলাইনে নেই বা পূর্বে জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি তাদেরকে নিজ নিজ ওয়ার্ড কার্যালয়ে যোগাযোগপূর্বক অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “টাইফয়েড টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পরীক্ষিত। সকলের সহযোগিতায় আমরা শিশুদের টিকাদান কার্যক্রমকে একটি উৎসবে পরিণত করতে চাই।” তিনি বলেন, টিকা গ্রহণের জন্য জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন বিধায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জন্ম নিবন্ধন সেবা প্রদানের জন্য ডিএসসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


অ্যাডভোকেসি সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সমাজসেবা অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা শিক্ষা অফিসার, রেড ক্রিসেন্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতি. দা.) ডাঃ নিশাত পারভীন এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


বোয়ালখালীতে ৩২টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুরে ২৫০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৩২টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুরে ২৫০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে রুই জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) পোনা বিতরণ করা হয়।

চলতি অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পোনা মাছ বিতরণ ও অবমুক্তকরণে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো.আতিক উল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জাফরিন জাহেদ জিতি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.রুমন তালুকদার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাঈম হাসানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।


banner close