বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জিকে প্রকল্প: পাম্প নষ্ট, শ্যালোতে বাড়ছে সেচ খরচ

ঠিকমতো সেচ না পেয়ে বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্ত পানি তুলতে হচ্ছে কৃষকের। ছবি: দৈনিক বাংলা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২২ ১০:০৮

কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় কৃষকদের সেচ দেয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ-জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান তিনটি পাম্পের দুটিই বিকল। এ কারণে কোনোমতে পর্যায়ক্রমে সেচ সরবরাহ চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

এবারের আমন মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকদের জ্বালানি তেল খরচ করে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে চাষ করতে হচ্ছে। এতে খরচ, পরিশ্রম ও ভোগান্তি বাড়ছে কৃষকের। উৎপাদনের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তাদের।

৬৮ বছর আগে শুরু হওয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প দক্ষিণ-পশ্চিমের কৃষকের ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। শুরুতে ৪ লাখ ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হতো এ প্রকল্পে। সে সময়ে ৩টি প্রধান পাম্পছাড়া ১০টি সাবসিডারি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করা হতো। দিনে দিনে প্রকল্পের পরিসর কমাতে কমাতে ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। এবার প্রধান তিনটি পাম্পের দুটিই বিকল থাকায় সাত দিন করে পর্যায়ক্রমে সেচ সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জিকে পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ১ নম্বর পাম্প এখন চালু আছে। ২ নম্বর পাম্প নষ্ট হয়ে যায় ২০২১ সালে। ৩ নম্বর পাম্প গত বছর ঠিক করা হলেও আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং (জাপানি) কোম্পানির সহায়তা ছাড়া পাম্প মেরামত সম্ভব নয়। জাপানি প্রকৌশলীরা গত মাসে পাম্প হাউস পরিদর্শন করেছেন। তাদের সঙ্গে এ মাসের ৯ ও ২৪ তারিখে ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। তারা এখন একটি কারিগরি প্রতিবেদন ও আর্থিক প্রস্তাবনা দেবেন। এর ভিত্তিতেই মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

বর্তমানে একটি পাম্প দিয়ে ১ হাজার ৩৫০ কিউসেক পানি তোলা যাচ্ছে। কিউসেক হলো প্রতি সেকেন্ডে পানিপ্রবাহের পরিমাণের একক। ১ কিউসেক হলো ১ ঘনফুট পানি।

মিজানুর রহমান বলেন, এই পানি দিয়ে পুরো প্রকল্প এলাকায় সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ক্যানেলভিত্তিক রোটেশন করে পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে কুষ্টিয়ার পানি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন বলেন, জিকে প্রকল্পের পাম্পের অবস্থা খারাপ। একটি পাম্প দিয়ে প্রকল্প এলাকার ৪টি জেলার ১৩ উপজেলায় একযোগে সেচ দেয়া সম্ভব নয়। এরপরও সেচ চালু রাখার স্বার্থে রোটেশন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।

রইচ উদ্দিন বলেন, প্রকল্প এলাকায় গঙ্গা, কুষ্টিয়া ও আলমডাঙ্গা নামে তিনটি ক্যানেল সিস্টেম আছে। তিনটি ভাগ করে সাত দিন করে রোটেশনভিত্তিতে সেচ দেয়া হচ্ছে।

এদিকে ঠিকমতো সেচ না পেয়ে বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্ত পানি তুলতে হচ্ছে কৃষকের। এতে বাড়ছে খরচ ও ভোগান্তি।

কুষ্টিয়া বাইপাস সড়কের পাশে আমন ধান রোপণ করছিলেন কৃষক সোহেল রানা। তিনি বলেন, এখানে জিকের পানি বেশি আসে না। শ্যালো মেশিন দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তুলতে হয়। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার খরচ বেশি হচ্ছে।

আরেক কৃষক আলমগীর বলেন, এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় মাটি শুকনো। অল্প পানি দিয়ে সেচ হচ্ছে না। সারা দিন ধরে পানি তুলে এক থেকে দেড় একর জমি ভেজানো যাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে ধানের দাম বাড়ার কথা বলছেন কৃষকরা। রফিকুল নামে এক কৃষক বলেন, ‘১ হাজার ৫০০ টাকার তেল লাগল ধান লাগাতে। এরপর বৃষ্টি না হলে মৌসুম ধরেই তেল কিনে পানি দিতে হবে। ধানের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ হলেও পোষাবে না।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক হায়াত মাহমুদ বলেন, শেষদিকে এসে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষক আমন রোপণ করতে পেরেছেন। কিন্তু সম্পূরক সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘জিকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত পাম্প মেরামত করে পর্যাপ্ত সেচ সরবরাহ করবে তারা। তবে আমন উৎপাদনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’


২৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে ভারত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূলীয় এলাকা থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার দুটি ট্রলার আটক করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই দুটি ট্রলার থেকে মোট ২৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত বাংলাদেশি জেলেরা দুটি ট্রলারে টানা ১৫ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসছিলেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর (রোববার) রাতে ‘এফ বি আল্লাহ মালিক’ নামের একটি বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ উঠে। পরে ট্রলারের জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই ঘটনায় নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বাংলাদেশি ট্রলার ও জেলেদের আটক করা হয়।

১ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা পুলিশের কাছে বাংলাদেশি ওই জেলেদের হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ বলছে, আটক বাংলাদেশি জেলেরা সুস্থ আছেন।

অন্যদিকে, দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার এচেরলা মণ্ডলের মোসাভানিপেটা উপকূলের কাছে বাংলাদেশি ১৩ জেলেকে আটক করেছে শ্রীকাকুলাম জেলার উপকূলরক্ষী বাহিনী। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বাংলাদেশের ভোলা জেলার এই ১৩ জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে বের হন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভুলবশত সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ট্রলারসহ ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়েন তারা।

৩০ নভেম্বর (রোববার) স্থানীয় জেলেরা মোসাভানিপেটা উপকূলের কাছে তাদের নৌকা নোঙর করার পর এই বাংলাদেশি জেলেদের দেখতে পান এবং তারা স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চান। স্থানীয়রা প্রথমে অভুক্ত জেলেদের উদ্ধার করে খাবার, পানি, ওষুধ সরবরাহ করেন এবং পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে মেরিন পুলিশ সার্কেল ইন্সপেক্টর পি প্রসাদ রাও এবং স্থানীয় পুলিশের উপপরিদর্শক জি. লক্ষ্মণ রাও দ্রুত উপকূলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে তাদের ভাষা ও পোশাক দেখে বাংলাদেশি বলে শনাক্ত করা হয়। ভাষাগত সমস্যার কারণে যোগাযোগের অসুবিধা হলেও স্থানীয় কয়েকজন জেলের সহায়তায় পুলিশ তাদের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। মাঝ-সমুদ্রে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে তারা ভাসছিলেন বলে জানিয়েছেন।

পরে উপকূলরক্ষী বাহিনী এই জেলেদের আটক করে পরবর্তী তদন্তের জন্য কলিঙ্গপত্তনম থানায় হস্তান্তর করে। ভারতীয় জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে কলিঙ্গপত্তনম থানা পুলিশ জানিয়েছে।

আটক জেলেরা হলেন, সজীব (২১), জাহাঙ্গীর (৩৫), সাব্বির (২৫), খোকন (৩২), মাকসুদ (৪০), মালিক (৮০), মো. ফারুক (৫৫), মাকসুদ (৫০), নাসির (৬৫), হেলাল (২৮), ফারুক (৫০), আলম (৪৬) ও শামীম (২১)। তাদের সবাই বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার বাসিন্দা।

কলিঙ্গপত্তনম মেরিন সার্কেল ইন্সপেক্টর বি. প্রসাদ রাও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশি নাগরিক। ট্রলারে কারিগরি ত্রুটির কারণে তারা আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা অতিক্রম করেছিলেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে খাবারের অভাবে শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছেন ওই বাংলাদেশিরা। আমরা তাদের আটক করে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেছি এবং পরে মেরিন থানায় হস্তান্তর করেছি।


সেনাবাহিনীকে সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী গড়ার প্রতিশ্রুতি সেনাপ্রধানের

ক্যাপশন: চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশন পাওয়া অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব।’

বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির (বিএমএ) ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি কৃতী ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। শেষে অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সর্বমোট ১৮৪ জন অফিসার ক্যাডেট ও ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ এবং প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের বাবা-মা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র‍্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট তাকে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের বাবা-মা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।


সেনাবাহিনীই পারে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক 

সেনাবাহিনীই পারে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। এ মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, আদিবাসী বা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি আমি মনে করি সেনাবাহিনীর হাতে। পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বাধীন। তারাই (সেনাবাহিনী) পারে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।

২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে ধানমন্ডির মাইডাস ভবনে টিআইবির নিজ কার্যালয়ে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা দেখতে চাই, তারা (সেনাবাহিনী) চেষ্টা করে দেখাক যে, তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। যে বিভাজন ও শাসন চলমান রয়েছে, সেটা থেকে সরে এসে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যিকারের অঙ্গীকার এবং ফ্যাক্ট বা ঘটনাভিত্তিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে যদি তারা উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে তাদের দ্বারা সম্ভব।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এখন যে প্রচারণা দেখছেন, সম্প্রতি এক বা একাধিকবার বলেছি, সরকারকে সুনির্দিষ্টভাবে ও লিখিতভাবে অবহিত করেছি যে, এখন হচ্ছে সময় তাদের (সেনাবাহিনী) আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের পরীক্ষা করা, পরীক্ষা দেওয়া। সারা বিশ্বে ১৬৯টা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমে অত্যন্ত গৌরবের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছে। এটার জন্য আমিসহ পুরো দেশের জনগণ গর্বিত। এই মুহূর্তে অন্তত ১০টা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কর্মরত আছে এবং উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে।

তাহলে এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মূলত তাদের কর্তৃত্বাধীন একটা অঞ্চলে (বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল) কেন শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবে না– এমন প্রশ্ন তুলে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সেই প্রশ্নের জবাব সেনাবাহিনীকেই দেওয়া উচিত। নিজেদের জন্য, তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা, ক্রেডিবিলিটি, মর্যাদা ও সম্মানকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, তারা (সেনাবাহিনী) সরকারের সহায়তায় নয়, নিজেদের উদ্যোগেই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যদি তাদের (সেনাবাহিনী) সে সদিচ্ছা থাকে তাহলে পার্বত্য শান্তিচুক্তির প্রতিটি ধারা বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। সর্বশেষ ক্ষমতাধর ও ইতিহাসে সবচেয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকার গত ১৫ বছর ছিল বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তারাও পারেনি। তাদের দ্বারা সেটা সম্ভবও ছিল না।

তিনি সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রেখে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সে সক্ষমতা আছে। তারা চাইলে সত্যিকার অর্থে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা ফেলো রাজিয়া সুলতানা। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) মুহাম্মদ বদিউজ্জামান, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) তৌহিদুল ইসলাম।


পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হচ্ছে বাংলাদেশ

# ভেঙে গেছে সিন্ডিকেট চক্রের ব্যবসা # চরম বিপাকে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা, সীমান্তে পচছে ৩০ হাজার টন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উৎপাদনে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এবার পেঁয়াজ আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। সেই সঙ্গে বছরের শেষ সময়ে এসে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা জাতীয় এ পণ্যটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে যারা ব্যবসায় করে আসছিলেন তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভেঙে গেছে সিন্ডিকেট চক্রের ব্যবসাও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্তে অন্তত ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ এখন পচনের মুখে। বিশাল ক্ষতি এড়াতে ২ রুপি কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর সত্যতা মিলেছে আমদানিকারকদের বক্তব্যেও। তারা বলছেন, এতে শুধু ভারতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বাংলাদেশের অন্তত ৩০-৪০ জন বড় ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ক্ষতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। কেন যে সরকার ব্যবসায়ীদের এমন ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে তা বোধগম্য নয়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি ও আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে। কেননা, তারা অগ্রিম অর্ডার করে সীমান্তেও নিয়ে এসেছিল হাজার হাজার টন পেঁয়াজ। শেষ পর্যন্ত সরকার আইপি না দেওয়ায় তা খালাস করতে পারেনি। ভবিষ্যতের জন্য এটা খুব খারাপ নজির স্থাপন হয়েছে।
তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এটা উভয় দেশের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের জন্য বড় বার্তা। ভবিষ্যতে ইচ্ছা করলেই কোনো বিশেষ গোষ্ঠী দেশের সাধারণ ভোক্তাকে জিম্মি করতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দীন বলেন, এর আগে ঢাকার শ্যামবাজার, বাবুবাজার, দিনাজপুরের হিলি ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বেশকিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বছরের শেষ সময়ে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে ভারত থেকে আমদানিতে বাধ্য করত। এক্ষেত্রে ভারতেও এক ধরনের রপ্তানি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। কিন্তু এবার আমাদের দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের হাতে ছিল বাজার নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি। সিন্ডিকেট যখনই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেছে তখনই কৃষকরা তাদের হাতের পেঁয়াজ ছেড়ে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছে।
জামাল উদ্দীন বলেন, এখন আমরা উৎপাদনে স্বাবলম্বী, ফলে আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের অনেক চাপ থাকলেও আমরা এ বিষয়ে দৃঢ় ছিলাম। শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হলো সিন্ডিকেট চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করেই পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করেছিল।

জামাল উদ্দীন আরও বলেন, ২৮ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে গত মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৪৪ লাখ টন; এখনো মার্কেট প্রসেসে ও কৃষকের হাতে তিন লাখেরও বেশি পুরাতন পেঁয়াজ রয়েছে। এরই মধ্যে ৭০-৮০ হাজার টন গ্রীষ্মকালীন বাজারে এসেছে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আরো আড়াই লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফেব্রুয়ারিতে তো মৌসুমের পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে।
গত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আমদানিকারকদের চাপ থাকলেও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় এবার পেঁয়াজ আমদানি না করার সিদ্ধান্ত বদল করা হবে না। যদিও এর আগেই পেঁয়াজ আমদানির জন্য দুই হাজার ৮০০টি আবেদন পড়েছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ে। তবে কোনো আবেদনই আমলে নেওয়া হয়নি। শেষপর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও কৃষি মন্ত্রণালয়কে আমদানির জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় অনঢ় অবস্থানে থাকায় আমদানির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।
ফলে ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল, মাহাদিপুর ও হিলি সীমান্তে কোটি কোটি টাকার পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে। হিলি ও সোনা মসজিদ এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মাহাদিপুর-সোনামসজিদ সীমান্তে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র দুই রুপিতে। ৫০ কেজির এক বস্তা পেঁয়াজ মিলছে মাত্র ১০০ রুপিতে। অথচ নাসিক থেকে ১৬ রুপি দরে কেনা এসব পেঁয়াজ পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে সীমান্তে পৌঁছাতে খরচ পড়েছিল ২২ রুপি। সে পেঁয়াজ এখন প্রায় বিনামূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। রপ্তানিকারকদের দাবি, বাংলাদেশ হঠাৎ আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশি আমদানি-রপ্তানি গ্রুপ এক নোটিসে জানায়, বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভারতীয় পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) সীমিত করেছে। অথচ বছরের এ সময়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে এবং বর্তমানে দেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রায় ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


লিয়াকৈরে পোশাক কারখানার ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুই দিনে একটি কারখানার প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা ঢাকা মহাখালী কলেরা হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার পূর্ব চান্দরা কাঠালতলী এলাকার ওই কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও কারখানার শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা কাঠালতলী এলাকায় ময়েজ উদ্দিন টেক্সটাইল নামক একটি পোশাক তৈরি কারখানা রয়েছে। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার সকালে ওই কারখানায় কাজে যোগদান করেন শ্রমিকরা। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যার পরেই ওই কারখানার কয়েকজন শ্রমিক হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শ্রমিকদের উদ্ধার করে স্থানীয় সফিপুর তানহা হেল্থ কেয়ার নামে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের সহকর্মীরা। তবুও কারখানা ছুটি দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনের মতো পরের দিন মঙ্গলবার সকালে কাজে যোগ দেন ওই কারখানার শ্রমিকরা। ওইদিনও আরও বেশ কিছু শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শ্রমিকদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে গত দুই দিনে ওই কারখানার প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই ঢাকা মহাখালী কলেরা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ওই কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণ জানাতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

ওই কারখানার ডেপুটি ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের শ্রমিকরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন সুস্থ আছেন। তবে এ ঘটনায় শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে ইতোমধ্যেই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম ফখরুল ইসলাম জানান, ‘এখানে আমি নতুন যোগদান করেছি। এ জন্য বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


ফরিদপুরে জামায়াতের গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের অম্বিকা ময়দানে ওই সমাবেশে জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাওলানা মোহাম্মদ বদরুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন ,কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও অঞ্চল সহকারী আবু হারিস মোল্লা, ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য শামসুল ইসলাম আল বরাটি, জামায়াত ইসলাম মনোনীত ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য অধ্যাপক আবদুত তাওয়াব ফরিদপুর-১ আসনের জামায়াত ইসলাম মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডাক্তার মো. ইলিয়াস মোল্লা ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, মাওলানা সোহরাব হোসেন, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মওলানা মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবু নাসির মুফতি মোস্তফা কামাল, সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, মাওলানা মো. মিজানুর রহমান আমির খেলাফত আন্দোলন, আবু হারেস মোল্লা নায়েবে আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সভায় বক্তারা বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, বিগত সরকার আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। ফরিদপুরের দুজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ফাঁসি দিয়েছেন। অসংখ্য নেতাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। তারা ভেবেছিলেন জামায়াতের নেতা কমিটির ফাঁসি দিয়ে ইসলামের কণ্ঠ রোধ করা যাবে। আসলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।

বাংলাদেশে ইসলামিক ঝান্ডা উঠবে। ইসলামিক সমাজ কায়েম হবে। আমরা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চাই। আমরা চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমরা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করব। আমার দেশকে কোনো অশুভ শক্তির হাতে তুলে দেব না, কোনো আধিপত্য শক্তির হাতে মাথা নত করব না। আমরা ইসলামিক দলগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি। ভোটকেন্দ্রে সমস্ত ভোটার উপস্থিতি মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দাবি করছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য আমরা স্বাক্ষর করেছি। নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।


রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তিতে আলোচনা সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগণ যেভাবে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করেছে ঠিক তেমন করে এই চুক্তি বাস্তবায়ন করে ছাড়ব বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা ও রাঙামাটি সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিনি মঙ্গলবার রাঙামাটি জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। পার্বত্য চুক্তির ২৮ বছরপূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এই গণ-সমাবেশের আয়োজন করে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নের দাবিতে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড়ি নারী-পুরুষ মিছিল সমাবেশ করে সমাবেশ স্থলে যোগ দেয়।

গণ-সমাবেশে উষাতন তালুকদার বলেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। যদি আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাহাড়ে জনগণের নিজের অধিকার নিজেদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা নিতে হবে।

উষাতন তালুকদার পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাহাড়ের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকার মাধ্যমে জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন দিন। পরিষদগুলোকে শক্তিশালী করতে পাহাড়ের মানুষ জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হলেই জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রাঙামাটি শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি ডা. গঙ্গা মানিক চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহসভাপতি ভবতোষ দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রুমেন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা বক্তব্য রাখেন।


ভেড়ামারা স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা সাতবাড়ীয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন। এই ফিডিং কর্মসূচির ভেতরে ছিল বাচ্চাদের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য বাচ্চাদের মধ্যে দুধ খাওয়ানো। এই ফিডিং কর্মসূচিতে স্কুলের প্রত্যেক বাচ্চাদের ১ প্যাকেট করে দুধ খাওয়ানো হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজী আশিক বাহার, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কানিস ফারজানা,

এসব উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন, অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক, স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দুধের পুষ্টিগুণ ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। দুধ পেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ও আনন্দের ছাপ দেখা যায়। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তারা দুধ গ্রহণ করে এবং এ ধরণের উদ্যোগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে।


পাটি বুনন শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন সুনামগঞ্জের নারীরা

*দেড়শ বছর ধরে হাতের কারুকার্যে টিকে আছে শিল্পটি *যথাযথ মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের কদমতলী গ্রাম। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা পাটি বুনন শিল্পকে পেশা নয়, নিজের ঐতিহ্য হিসেবে লালন করে আসছেন তারা। পরিবারের প্রবীণ নারীদের কাছ থেকে শেখা এই দক্ষতা আজও সমান গুরুত্ব নিয়ে টিকে আছে তাদের হাতের কারুকার্যে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, বাজারজাত প্লাস্টিকের মাদুর কিংবা দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের ঘর সাজানোর পণ্যের সহজলভ্যতার ভিড়েও এই গ্রামের নারীরা এখনো ধরে রেখেছেন এক প্রাচীন ঐতিহ্য পাটি বুনন।

কদমতলী গ্রামের অনেক নারী জানিয়েছেন, পাটি বিক্রি করে তারা সংসারের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খরচে সহায়তা করতে পারেন। যদিও বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়েছে, তবুও স্থানীয়ভাবে এ পণ্যের চাহিদা এখনো রয়েছে। বিশেষ করে উৎসব, বিয়ে বা নতুন বাসায় ওঠার সময় অনেকের পছন্দের তালিকায় আছে হাতে তৈরি বেতের পাটি।

এই গ্রামের অধিকাংশ নারীই এখনো পাটি বুননকে নিজেদের জীবনের অংশ হিসেবে ধরে রেখেছেন। ভোরে ঘরের কাজ সেরে তারা বসে পড়েন পাটি তৈরির কাজে। বেতসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আর নিপুণ হাতের স্পর্শে তৈরি হয় নানা ধরনের পাটি। গ্রামের পরিবেশে হাঁটলে দেখা যায় অনেক বাড়ির বারান্দায় বা উঠানে নারীরা মনোযোগ দিয়ে এই কাজ করছেন।

একেকটি পাটি তৈরি করতে সময় লাগে নকশা অনুযায়ী ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত জানান গ্রামের নারীরা। পরিশ্রমসাধ্য হলেও তারা এই কাজ ছাড়তে চান না। তবে শিল্পটি টিকে থাকলেও রয়েছে নানা বাধা। প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম বেড়েছে। বাজারজাত করার মতো সঠিক প্ল্যাটফর্ম না থাকায় ন্যায্য দাম পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি তাদের প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা বা বাজার সম্প্রসারণে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে, তাহলে এই পেশা আরও অনেক নারীকে স্বাবলম্বী করতে পারবে। একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পও আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে।

স্থানীয় প্রবীণদের মতে, যথাযথ উদ্যোগ থাকলে কদমতলী গ্রাম জেলার জন্য একটি মডেল হতে পারে। কারণ এখানে শুধু পাটি নয়, নারীদের আত্মনির্ভরশীলতারও শক্তিশালী গল্প লুকিয়ে আছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, প্রদর্শনী আয়োজন, অনলাইনে বিক্রির সুযোগ এবং সরকারি দিকনির্দেশনা পেলে এই শিল্প নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।

একটি শীতলপাটি তৈরি করতে প্রায় ১,২০০ টাকার মুরতা বেত ও ১০০ টাকার রং লাগে। বেত সিদ্ধ করা থেকে বোনা পর্যন্ত একজন নারীকে অন্তত ১৫ দিন শ্রম দিতে হয়। সব মিলিয়ে একটি শীতলপাটি তারা প্রায় ১,৫০০ টাকায় বিক্রি করলেও শ্রমের যথাযথ মূল্য মেলে না।

জামদানি পাটি তৈরিতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মুরতা বেত, রং এবং ৮ থেকে ৯ দিনের পরিশ্রম প্রয়োজন হয়। প্রস্তুত হলে এটি প্রায় ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। সাধারণ পাটি এক সপ্তাহ সময় ও মাত্র ৩০০ টাকার মুরতা বেত লাগে বানাতে। তবে বাজারে এর দাম মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। সব মিলিয়ে পাটি বুনন গ্রামের নারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস হলেও শ্রমের তুলনায় লাভ খুবই সামান্য।

সুশিলা রানী কর বলেন, ‘মুরতা গাছের বেত এখন আগের মতো পাওয়া যায় না। মোহনগঞ্জ সিলেট থেকে কিনতে হয়। যাদের জায়গা আছে তারা মুরতা গাছ লাগায়। তাদের আর কিনতে হয় না। বাড়িতে থেকে কিছু না করার চেয়ে পাটি বানালে কিছু টাকা রোজগার করা যায়। সেই নেশা থেকেই পাটি তৈরি করি।’

কদমতলী গ্রামের আরেক বাসিন্দা নারায়ন নন্দী বলেন, ‘আমার বাবা-মা এই পাটি বানাতেন। তাদের কাছ থেকেই শিখেছি। এখন আমি কৃষি কাজ করি। রাতে এসে মুরতা গাছ থেকে বেত তৈরি করে দেই। পরে মহিলারা এটি শুকিয়ে, সিদ্ধ করে পাটি তৈরি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগের মতো খেতে এখন মুরতা গাছ চাষ করি না। পাটি বানানোর পরিমাণ আস্তে আস্তে কমিয়েছি। কারণ কোনো বাজার না থাকায় তেমন লাভ নেই। এতে পাইকারের কাছে বিক্রি করতে হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই শিল্পটা আবারও ঘুরে দাড়াবে।’

পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রী রতন কুমার ঘুস্বামী বলেন, ‘এই শিল্পটি প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরোনো। মুরতা গাছের দাম ও পরিশ্রমের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য ঠিক নেই। এ জন্য এখন পাটি বানিয়ে পুষে না। আমাদের শ্রমের মূল্য না দিয়েই বিক্রি করতে হয়।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশ (বিসিক)-এর সুনামগঞ্জ শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘কদমতলীতে আমাদের কোনো কাজ নেই। জামালগঞ্জে কাজ করার সময় আমি জানতাম। কিন্তু তারা আমাদের কাছে কখনো আসেনি, আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানি না। এই বিষয়ে কোনো তথ্যও আমার জানা নেই।


টঙ্গীতে দোয়া-মোনাজাতে পাঁচ দিনের ‘জোড় ইজতেমা’ শেষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী ‘পুরানাদের জোড় ইজতেমা’ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দোয়া শুরু হয়ে ৯টা ১৩ মিনিটে শেষ হয়। ‘আমিন… আমিন…’ ধ্বনিতে কম্পিত হতে থাকে সমগ্র টঙ্গী ময়দান। দোয়ার মুহূর্তে মাঠজুড়ে কান্নার রোল পড়ে যায়। দোয়া পরিচালনা করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমেদ বাটলা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

তিনি আরও জানান, এবারের জোড়ে ২৭টি দেশ থেকে ৭৩২ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ হলো- পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, ইয়েমেন, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নাইজার, আফগানিস্তান, জার্মানি, জাপান, চাঁদ, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মিশর, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।

হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, জোড় চলাকালে মোট ৬ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।

দোয়া শেষে কয়েক হাজার চিল্লার জামাত ও ৩ চিল্লার জামাত আগামী ০২, ০৩ ও ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খুরুযের জোড়ের প্রস্তুতির জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে যান। বাকি মুসল্লিরা মোকামি কাজ ও আনেওয়ালা জোড়ের মেহনত নিয়ে নিজ নিজ মহল্লায় ফিরে যান।

এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।


নরসিংদীতে যুবলীগ নেতার কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর পলাশে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলুর প্রায় সাত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার দুপুরে দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচরে আদালতের নির্দেশনায় দেলুর অবৈধসম্পদ ক্রোক করা হয়। এ সময় পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুবক্কর সিদ্দিকীকে রিসিভার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেলোয়ার হোসেন দেলু পলাশ উপজেলার কাজিরচর গ্রামের মো. সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

দুদক জানায়, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু আয় বহির্ভূত ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক মামলা দায়ের করেন। মামলায় তদন্তকালে কর্মকর্তারা জানতে পারে দেলোয়ারের অবৈধ সম্পদের ৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদ হস্তান্তর ও বিক্রির চেষ্টা করছেন। পরে দুদক সম্পদ বেহাত হয়ে যাবে আশায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। পরে নরসিংদীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ হুমায়ুন কবীর সম্পদগুলো ক্রোক ও রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন। ক্রোককৃত সম্পদ হলো, পলাশের কাজিরচর গ্রামে ২৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ২ হাজার ৩০৪ বর্গফুটের তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। যার মূল্য ৩ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৪৪ টাকা। আর একই গ্রামে ৬ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত তিন হাজার ৬৫০ বর্গফুটের পাঁচতলা ভবন। যার মূল্য ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ২৫৭ টাকা। দেলুর মোট ৬ কোটি ৮১ লাখ ৩৫ হাজার ৩০১ টাকার সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।

অভিযানে দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুবক্কর সিদ্দিকী, নরসিংদী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সদস্য হলধর দাসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুবক্কর সিদ্দিকী বলেন, আদালতের নির্দেশনায় দুইটি ভবন আমরা ক্রোক করেছি ও রিসিভার হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পদ যেন বেহাত ও বিক্রি না হয় সেজন্য আমরা ক্রোক করেছি।


ফেনীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করব

সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে নবাগত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আমার কাছে এসে ফুল দিয়ে ছবি তুলে বিশেষ সংখ্যতা পাবেন না। যে কয়দিন থাকব ফেনীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভালো রাখতে কাজ করব। মহান আল্লাহ যেন আমাকে সেই পথে রাখেন ও হেফাজত করেন, সেজন্য সকলের সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটার অত্যন্ত নিরাপদে কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিগত সময়ে নির্বাচনগুলোতে যেভাবে প্রভাবিত করা হয়েছিল সেখান থেকে বের হয়ে এবার নির্বাচনে পুলিশ সক্ষমতা প্রমাণ করতে চায়। পুলিশের সম্পর্ক হবে নির্বাচনী নিরাপত্তার সঙ্গে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নয়-এটিও আমরা এবার প্রমাণ করতে চাই। গত সোমবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিয় সভায় এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে টাকা আদায়ের অভিযোগ দুঃখজনক উল্লেখ করে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতি যারা সচল রাখেন সেই প্রবাসীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে টাকা আদায়ের অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক । প্রথমদিনে এমন কিছু শুনব আশা করিনি। এ বিষয়ে আমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া টাকা দিয়ে কেউ নেগেটিভ রিপোর্টকে পজিটিভ করার সুযোগ নেই। যদি কখনো কোন থানা থেকে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কথা বলা হয় সেই বিষয়ে আমাকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনলাইনের মাধ্যমে যেসব আবেদন করা হয় সেগুলোও যথাযথ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কি না তা যাচাই করা হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, থানায় গিয়ে সেবা পেতে ঘুষ বা এ ধরনের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে চাই। ঘুষ না দিলে সেবা না পাওয়ার এমন ঘটনা ঘটলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জেলা পুলিশের আওতাধীন সকল কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। সবমিলিয়ে ফেনীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করব।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুমসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ফেনীতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম ২৭ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৮ সালে প্রথম গোপালগঞ্জ জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।


অগ্রগতি নেই চট্টগ্রাম নগরীর স্মার্ট সিটি ও মেট্রোরেল প্রকল্পের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নগর বিন্যাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম একটি মহাপরিকল্পনা তিন বছর ধরে অন্ধকারে পড়ে আছে। ২০২২ সালে চারটি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি নিজেদের অর্থায়নে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের পাশাপাশি মিরসরাই উপকূলে সাগর ভরাট করে একটি অত্যাধুনিক ‘স্মার্ট সিটি’ গড়ে তোলার প্রস্তাব দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)-এর কাছে। সিডিএ প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও রহস্যজনক কারণে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্তে প্রকল্পটি আটকে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ১৩ মাস পরও প্রকল্পটি একইভাবে ফাইলবন্দি পড়ে আছে।

সিডিএ সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের নগরায়ণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা হতো। পাশাপাশি সাগরতীরে নতুন একটি আধুনিক শহর গড়ে উঠত, যেখানে হাজার হাজার মানুষের জন্য মনোমুগ্ধকর আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করা যেত। বে-টার্মিনালের নির্ধারিত স্থান থেকে মিরসরাই পর্যন্ত সাগরের ভেতরে দীর্ঘ এলাকাজুড়ে যে চরসদৃশ অংশ রয়েছে, সেটি রিক্লেইম করে বিশাল টাউনশিপ নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে কোম্পানিগুলো। বিনিময়ে তারা মেট্রোরেল প্রকল্পে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করবে- বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ কাজে কোনো ব্যয় লাগবে না বলেও জানায় তারা।

চীনের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, উদ্ধার করা সাগরের জমিতে পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা তাদের দায়িত্বেই থাকবে। সেখানে সৃষ্টি হওয়া প্লট বিক্রির আয় সরকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ভাগ হবে। বে-টার্মিনাল থেকে মিরসরাই ইকোনমিক জোন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমি উদ্ধার করা হবে; তবে জাহাজভাঙা শিল্পসহ মাঝখানের কিছু প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হবে। চীনা কোম্পানিগুলোর দাবি, এটি সাগরের ‘ডেড অ্যান্ড’ হওয়ায় ভূমি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। তারা জানায়, সাগরের পানিকে স্বচ্ছ রাখার বিশেষ প্রযুক্তিও তাদের রয়েছে। সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাগরভূমি উদ্ধার করে যেভাবে টাউনশিপ গড়ে তোলা হয়েছে, তাদেরও সে অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এদিকে বিগত সময়ে যখন কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মেট্রোরেল প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়, তখনই চীনা কোম্পানি সিসিসি পুরো সমীক্ষা বিনা খরচে করার প্রস্তাব দেয়। শুধু সমীক্ষাই নয়-৮০ হাজার কোটি থেকে এক লাখ কোটি টাকার পুরো মেট্রোরেল প্রকল্প তাদের নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়নের আগ্রহও জানায়। মিরসরাই ইকোনমিক জোন থেকে বিমানবন্দরসহ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ গ্রোথ সেন্টারগুলো সংযুক্ত করে মেট্রোরেল রুট নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সমীক্ষাও সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থে করার আশ্বাস দেয় তারা। এই মেট্রোরেল প্রকল্পের বিনিময়ে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো পতেঙ্গার বে-টার্মিনালের পাশ থেকে মিরসরাই ইকোনমিক জোন পর্যন্ত সন্দ্বীপ চ্যানেলের অংশবিশেষ ভরাট করে দুবাই ও সিঙ্গাপুরের আদলে একটি স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে চায়। তারা অন্তত ৫০ হাজার একর নতুন ভূমি উদ্ধারের পরিকল্পনা দিয়েছে। সাগরের এই অংশ ভরাট করলে পরিবেশগত ক্ষতির ঝুঁকি নেই বলে চীনা কোম্পানিগুলো দাবি করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাগরভূমি উদ্ধার করে যেমন বিমানবন্দর, বন্দর, স্মার্ট সিটি তৈরি হয়েছে- সেই মডেলেই সীতাকুণ্ড উপকূলে নতুন উপশহর তৈরি করার প্রস্তাব দেয় তারা। নতুন শহর থেকে আয় সরকার ও কোম্পানি যৌথভাবে ভাগাভাগি করবে বলেও জানানো হয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (নির্মাণ বিভাগ-২) মো. শামিম বলেন, ‘চীনের প্রস্তাবনাটা আমরা ২০২২-২৩ সালে পেয়েছিলাম। প্রস্তাবটি যথারীতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি ভালো ছিল। বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আবাসনে ব্যাপক পরিবর্তন আসত। তবে কেন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলো না, সেটি মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।


banner close