কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় নুরুন্নবী নামের এক প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রােকনুজ্জামান রােকন। মারধরের এই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে উপস্থিত লােকজন আহতাবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন।
এরপর রাতে শিক্ষক নুরুন্নবী বাদী হয়ে রােকনুজ্জামান রোকনসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযাগ করেন। এ ঘটনায় উপজেলায় তোলপাড় চলছে।
নুরুন্নবী উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিক রােকনুজ্জামান রােকন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্যঘােষিত আংশিক কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
শিক্ষক নুরুন্নবী অভিযােগ করেন, তার সঙ্গে বিদ্যালয়ের নিয়ােগ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রােকনুজ্জামান রােকন ও আসাদুল ইসলামের বিরােধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রশিদকে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যান তিনি। কাজ শেষে অফিসের দোতলা থেকে নেমে উপজেলা চত্বরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা রােকনুজ্জামান রােকন ও তার সঙ্গে থাকা লােকজন জােরপূর্বক তাকে (প্রধান শিক্ষক) তুলে নিয়ে প্রথমে পলি বাস কাউন্টারে আটকে রাখেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তার প্রাণনাশের হুমকি দেন।
পরে মােটরসাইকেল করে ওই শিক্ষককে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হােরায়রার কক্ষে নিয়ে যান রোকনরা। সেখান নুরুন্নবী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে ঘটনা খুলে বলতে থাকলে তখন রােকন ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন এবং দুই হাত দিয়ে ওই শিক্ষকের মুখে এলােপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা চেয়ার থেকে উঠে রোকনকে থামান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর উপস্থিত লোকজন আহত নুরুন্নবীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
শিক্ষক নুরুন্নবীকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রােকনুজ্জামান রােকন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে দালাল বলেছেন। নিজেকে সংযত রাখতে না পেরে তাকে দুটো থাপ্পড় মেরেছি।’
জানতে চাইলে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হােরায়রাও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তার ভাষ্য, ‘আওয়ামী লীগ নেতা রােকনুজ্জামান রােকন ওই শিক্ষককে আমার অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। ওই শিক্ষক কথা বলার সময় হঠাৎ তাকে (শিক্ষক) চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন রােকন। এটা মােটেও ঠিক করেননি তিনি। বড় মাপের অন্যায় করেছেন।’
তার বিরুদ্ধ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে আবু হোরায়রা বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জানানাে হয়েছে। শিগগির তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে হত্যাকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ, মাদক দ্রব্য উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ, প্রতারক ও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে র্যাব ফোর্সেস কর্তৃক রাজধানীর কাওরান বাজারে জনসাধারণ, দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস মহোদয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহপরিচালক (অপারেশন্্স), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), র্যাব ফোর্সেস এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এছাড়াও জনাব সৈয়দ ফরহাদ হোসেন (যুগ্ম সচিব) পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), পরিবেশ অধিদপ্তর, জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন (সিনিয়র সহকারী সচিব) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধেও র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পলিথিনের ব্যাবহারের উপর বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন গোপনে তৈরী করে বাজারজাত করে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিপর্যয় ডেকে আনছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে র্যাব ফোর্সেস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ করেছেঃ
-পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে র্যাব জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
-এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
-ইতিমধ্যে র্যাব ফোর্সেস ঢাকার গুলশান, মিরপুর, কেরাণীগঞ্জ, উত্তরা এবং টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ এবং র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছে।
-নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে কী কী পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা যায় এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হচ্ছে।
-র্যাব ফোর্সেস স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন পরিবেশ বাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
-গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। অবৈধ পলিথিন রোধে র্যাবের এই সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু একটি সরকারি কার্যক্রম নয় বরং একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিবে বলে মহাপরিচালক মহোদয় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
-একটি দীর্ঘমেয়াদী ও পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার রোধকল্পে জনগণকে আরোও বেশী সচেতন হতে হবে।
এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে র্যাব তার নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবিতে কলাগাছের ভেলায় ভেসে সংবাদ সম্মেলন করেছে বানভাসী মানুষরা। সোমবার বেলা এগারোটায় উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামের টিয়াখালী নদী তীর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ওই গ্রামের শতাধিক ভূক্তভোগী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বানভাসী মানুষের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা হালিমা আয়শা।তিনি বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে পশ্চিম লোন্দা গ্রামের টিয়াখালী নদী তীর সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে আসছে ২৫০টি পরিবার। এ নদীর তীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় বহু বছর ধরে প্রতিনিয়ত দু'দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় ওই এলাকায়। তলিয়ে যায় ২০০ একর কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা। বর্ষাকালীন সময়ে অনেকের চুলোয় জলেনা উনুন। নষ্ট হয়ে যায় জমির ফসল। তখন চলাচলের একমাত্র বাহন হয় ভেলা কিংবা নৌকা। ওই গ্রামের ৩ কিলোমিটার এলাকায় টেকসই রিং বেড়িবাঁধ নির্মান করলে এ অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে বানভাসী মানুষ। তাই এলাকা বাসীর পক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানান তিনি।
এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান সাদিক বলেন, ভূক্তভোগীরা আবেদন করলে বাঁধ নির্মানের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিরাজগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা একই সঙ্গে সাগর-রুনি হত্যাসহ দেশের সকল সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিও জানানো হয়।
সোমবার (১১ আগষ্ট) বেলা ১১টায় মুজিব সড়কে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন হলেও কোন সরকারই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পুরো সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তা ও ঝুকির মধ্যে পড়েছে। প্রকাশ্যে একজন পেশাদার সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজের ওপর সরাসরি আঘাত। তাই দ্রুত সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাভিশনের স্টার রিপোর্টার হারুন-অর-রশিদ খান হাসানের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হকের সঞ্চালনায় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ইন্না, সহ-সভাপতি হিরক গুণ, কার্য্যকারী সদস্য নুরুল ইসলাম বাবু, সাবেক আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম তফিজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রবিন, সলঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম দুলাল উদ্দিন আহম্মেদ, কামারখন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জেলা বাসদের আহবায়ক নব কুমার কর্মকার, কালবেলার জেলা প্রতিনিধি স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
এসময় সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত আলী, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রইছি, আপ্যান বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম খান, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল কবির, আজকালের জেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম, শ্যামল বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিলীপ গৌড়, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি সুজন সরকার, রাইজিংবিডি.কম এর জেলা প্রতিনিধি অদিত্য রাসেল, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম আলমগীর কবির, যুগের কথার বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হাসান জয়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চলন্ত গাড়ি থেকে কাঁদা ছিঁটে পড়াকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার সকালে করিমগঞ্জের কিরাটন ইউনিয়নের গৌরারগোপ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের আগে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে একটি পক্ষ।
গৌরারগোপ গ্রামের বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে গাবতলী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তাদের বাড়ির তাজুল ইসলাম (২৫) নামে যুবক। এ সময় বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেলযোগে আসতেছিলেন মাসুদ মিয়া (৩২) নামে আরেক যুবক। মাসুদের চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে কাঁদা ছিটে পড়ে তাজুলের উপর। তখন তাজুল তাকে ধীরে যেতে বলেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাজুলকে মারধর করেন মাসুদ। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধরা এসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন এবং আপাতত কেউ যেন সংঘর্ষ না জড়ান এ বিষয়ে অনুরোধ করেন। কিন্তুু আজ সকালে মাসুদের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে গেছে। এদিকে মাসুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়াও মাসুদ মিয়া পক্ষের মনজিল মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিক্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট (রবিবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মনিজা খাতুন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ- ফতুল্লা-কুতুবপুর আওতাধীন ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ০৬ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মেসার্স বন্ধন ষ্টীল ওয়ার্কস নামের একটি রোলিং মিলে অভিযানকালে ০২ টি মোল্ডিং ভাট্টিতে ০৪ টি বার্নার এবং ০১ টি গ্যালভানাইজিং হিট ট্রিটমেন্ট এ ০৩ টি বার্নারের মাধ্যমে মোট ঘন্টাপ্রতি ৪,৬০০ ঘনফুট লোডে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার করায় তা বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখে কিলিং করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাসিক ৪৬,০৬০ ঘ.মি. গ্যাস ব্যবহার হতো যার আনুমানিক মূল্য ১৪,০৪,৮৩০/-। হাবিবা বেকারি নামের একটি বেকারিতে অভিযানকালে ০১ টি রোটারি রেক ওভেনের মাধ্যমে মোট ঘন্টাপ্রতি ৩০০ ঘনফুট লোডে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় তা বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখে কিলিং করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাসিক ২,১২০ ঘ.মি. গ্যাস ব্যবহার হতো যার আনুমানিক মূল্য ৬৪,৬৭১/-। এছাড়া, কোম্পানির বৈধ ৪" বিতরণ লাইন হতে গ্রাহক কর্তৃক নিজ উদ্দ্যোগে ৩" অবৈধভাবে স্থাপিত প্রায় ১,৫০০ ফুট বিতরণ লাইন স্থাপন করে গ্যাস ব্যবহারের কারণে অবৈধভাবে স্থাপিত বিতরণ লাইনটি কিলিং কাজ করার সময় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তেজিত স্থানীয়দের বাঁধার সম্মুখীন হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশমতে লাইন কিলিং ব্যাতিরেকে স্পট ত্যাগ করা হয়। এছাড়াও, উত্তর ভূইগড়, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৩ টি ডাবল বার্ণারের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের কারণে আবাসিক সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখ হতে কিলিং করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
একই দিনে, জনাব হাছিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ আওতাধীন আতলাসপুর, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ০২ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩.৫ কি.মি. এলাকার আনুমানিক ২২০ বাড়ির ১৬৫ টি চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ১.৫" ডায়া পাইপ ২৩০ ফুট ও প্লাস্টিক পাইপ ৫০০ ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক রাজস্ব বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ আওতাধীন এলাকায় ০৪ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ০৪টি আবাসিক বৈধ গ্রাহকের ১৭টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ একজন শিল্প গ্রাহকের নিকট থেকে মোট ২,২২,৮২,৫৬০ টাকা বকেয়া আদায় করা হয়েছে ।
এছাড়া, আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ-নারায়ণগঞ্জ এর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টীম কর্তৃক ভোর ৬.০০ ঘটিকা হতে আবিবি-রূপগঞ্জ এর অধীনস্থ জোবিঅ-আড়াইহাজার এলাকার বিভিন্ন গ্রাহক আঙ্গিনা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা শুরু হয়। সকাল ১১ঘটিকার সময় সুমি ট্রেডার্স এন্ড ডাইং (ঠিকানাঃ হাঠখোলা, দুপ্তারা, আড়াইহাজার,নারায়ণগঞ্জ; গ্রা.সং. ৩৩৭০০০৫৯৫)* এর আঙ্গিনা পরিদর্শনকালে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহাররত অবস্থায় পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের গ্যাস সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, শওকত আলী টেক্সটাইল(৩৩৭০০০১৯৬) ও সালেহউদ্দিন সাইজিং ইউনিট (৩৩৭০০০২৬১) কর্তৃপক্ষকে নকশা বহির্ভূত অতিরিক্ত পয়েন্ট স্থায়ীভাবে অপসারণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মেসার্স ইউসুফ আলী টেক্সটাইল (৩৩৭০০০৪২০) এর নকশা বহির্ভূত অতিরিক্ত পয়েন্ট তাৎক্ষণিকভাবে কিল করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সৈকত রায়হান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর -এর জোবিঅ-জয়দেবপুর আওতাধীন মেসার্স ভারগো টোবাকো, কাউলতিয়া ও মুসলিম পাড়া, হাতিয়াব, মেট্রো সদর থানা, গাজীপুর এলাকায় ০২ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ১২০০ ফুট বিতরন লাইনের শিল্প স্হাপনা ও আনুমানিক ১৫০টি দ্বিমুখী চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, মোট ১,০০,০০০/-( এক লক্ষ ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১০ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৬টি শিল্প, ৩২২টি বাণিজ্যিক ও ৬৩,০৫১টি আবাসিকসহ মোট ৬৩,৬৬৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২০,৬১৪টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৩৯ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত দুই পরিবারকে সরকারি মানবিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।
চেকগুলো নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম. আবু দারদা। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আসলাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে দুই পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া নওলামারী এলাকায় পাট জাগ দেয়ার সময় বজ্রপাতে ওই এলাকার মৃত নিজাম প্রামানিকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও মৃত আরিফ মোল্লা'র ছেলে তামিম মোল্লা (১৫) মারা যান। নিহতদের পরিবারের অভিভাবকরা এ সহায়তার চেক গ্রহণ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বায়তুল মোকাররমের খতিব পালিয়ে গেছেন-এর পেছনের মূল কারণ দুর্নীতি। আমাদের মধ্যে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া দরকার। এমনকি আমার সম্পর্কেও খোঁজখবর নিতে পারেন।
সোমবার সকাল ১০টায় জয়পুরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে না, তবে কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা যদি পারস্পরিক আন্তরিক হই, তবে দুর্নীতি কমে আসবে। গণশুনানিতে আসা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, বিআরটিএ অফিস, জয়পুরহাট চিনিকল, জয়পুরহাট পৌরসভা, এলজিইডি, সমাজসেবাসহ বেশ কিছু অফিসের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ আনা হয় এবং দুদক চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) আফরোজা আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, দুদক রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. সবুর আলী প্রমুখ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি আজ দুপুরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের ৩ নং ভোটকেন্দ্র তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও নৌবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সর্বোপরি জনগণ। আশা করি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব। পরিস্থিতি যে পর্যায়ে আছে আমাদের নির্বাচন করতে কোনও সমস্যা নেই।
তিনি জানান, নির্বাচনের সময় পুলিশ সদস্যদের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে। ভোট যেন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হয় সেজন্য সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টা থাকবে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি৷ যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, র্যাব ১০ অফিস ও কেরানীগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অভিযানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আব্দুল হামীদ (৪০) নামে এক পুলিশের সোর্স গুলিবিদ্ধ হয়েছে। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের দারোগার মোড় এলাকায় সোমবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদক বিরোধী অভিযানে গুলি করা হয়। এ ঘটনার পর নুরুজ্জামান তারাগদিয়া নামে একজনকে আটক করেন থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক কেনাবেচা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর পরিদর্শক খবির আহম্মেদ এর নেতৃত্বে একটি টীম ওই এলাকায় নরুজ্জামান (৪৫) এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান কালে ফিলিপগর মাঠপাড়া এলাকার হাফিজুর সর্দারের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী চল্লিশ বাহীনির প্রধান রাখি (৩৫), বৈরাগীর চর রিফুজি পাড়া এলাকার ভাঙ্গন হোসেনের ছেলে মিঠু লাল (৩২) ও একই এলাকার ককিল তারাগদিয়ার ছেলে নুরুজ্জামান তারাগদিয়া (৪৫) গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় আব্দুল হামীদ (৪০) নামে এক পুলিশের সোর্স গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে গুলিবিদ্ধ আব্দুল হামীদ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আহত আব্দুল হামীদ পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার নওদা খালিমপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
এসময় ৫০ পীচ ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি হীরো ডিলাক্স মোটর সাইকেল সহ নুরুজ্জামান তারাগদিয়া নামে একজন সন্ত্রসীকে আটক করে থানা পুলিশ।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অভিযানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আব্দুল হামীদ (৪০) নামে এক পুলিশের সোর্স গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এঘটনায় মাদকসহ একজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। বাকি সন্ত্রাসীদের আটকে অভিযান অব্যহত আছে।
বগুড়া নাটোর মহাসড়কের জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের রুপিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আব্দুস সালাম (৩২)। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার খেজুরতলা আতাইকুলা গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে।কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা বালুবোঝাই একটি ট্রাক রূপিহার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে ট্রাক চালক ও হেলপারসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সালাম মারা যান। আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরতসাংবাদিকরা অংশ নেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন পেশাদার সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। হত্যাকারীদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সমাজে এর প্রভাব থেকে যাবে। এ ঘটনার জরুরী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে আন্দোলন চলমান থাকবে।বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকরা মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানা হুমকি, হামলা ও
হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় সরকারের উচিত সাংবাদিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতি প্রণয়ন করা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম সারোয়ার ছানু,সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শাহানুর ইসলাম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাজাহান বিশ্বাস, আবুল বাশার আব্বাসী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন আনসারী, সহ-সম্পাদক জাহিদুল হক চন্দন, সাংবাদিক সমিতি মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিহির, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সুজনসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলায় চলতি বছরে গেলো ৮ মাসে ১শো ২০জন শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দুপুরে ভোলা সদর হাসপাতালে দেখা মিলে, এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। একমাত্র কন্যা শিশু রাইসাকে (৮) হারিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে গড়াগড়ি করে কাদঁছেন রাইসার বাবা রাসেল মিয়া ও তার স্ত্রী। রাইসা তার দাদির সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে পানিতে ডুবে মারা যান।
জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, পরিবারের অসচেতনতায় প্রতি বছরই পানিতে ডুবে প্রায় ২শোর মত শিশুর মৃত্যু হয়। তবে, চলতি বছরে ৮ মাসেই ১২০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে, চরফ্যাশনে ৩৭ জন, মনপুরায়, ৮ জন, তজুমদ্দিনে ১০ জন, লালমোহনে ১২ জন, দৌলতখানে ৩ জন, বোরহানউদ্দিনে, ২৪ জন, ভোলা সদর উপজেলায় ২৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম আসলেই জেলার নদ -নদী ও পুকুর গুলো পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শিশুরা পানিতে খেলা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় পানির পাশে অনায়াসে গিয়ে এরকম দূর্ঘটনার শিকার হন। শিশু মৃত্যুর প্রতিকারে, পরিবারের সচেতনতাই মূল দায়িত্ব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন, 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ শিশুই সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে পানিতে ডুবে মারা যায়। কারন, এসময় শিশুদের মায়েরা ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন। এই সুযোগে শিশুরা বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময় অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়।'
জেলায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি চরফ্যাশন উপজেলায়। এই উপজেলায় বিস্তীর্ণ জনপদে রয়েছে অসংখ্য পুকুর আর খাল বিল। যার, ফলে এখানে প্রায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গেলো মার্চ মাসে এই উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে রেদোয়ান নামের ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বাবা প্রবাসী রুবেল হোসেন আজও ছেলেকে হারানোর শোক বুকে নিয়ে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। মা মুক্তা বেগম একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মাঝে মাঝে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কেঁদে ওঠেন।
ভোলা সদর হাসপাতালে নিহত শিশু রাইসার চাচা ফরহাদ মিয়া সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে শিশু রাইসা ও তার চাচাতো ভাই রাহাত তাদের দাদির সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যান। পরে তাদের দাদির গোসল শেষে রাইসা ও রাহাতকে ডেকে বাড়িতে আসতে বলে তিনি ঘরে ফিরে আসেন। কিছুক্ষন পর তাদের দেখতে না পেয়ে পূনরায় পুকুর ঘাটে গিয়ে শিশু রাহাতকে পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষনিক রাহাতকে উদ্ধার করে রাইসাকে খুঁজে পান পুকুরের ঘাটলার নিছে। পরে দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাইসাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং রাহাতকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গেল বৃহস্পতিবার ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে খাদিজা নামের ৩ বছর বয়সী এক শিশুর পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। শিশুটির মা জাহানারা বেগম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, 'আমার মাইয়্যা ডা আর নাই, ওরে কইলাম মা তুমি পুস্কুনিত (পুকুরে) যাইয়ো না' কিন্তুুক মাইয়্যা ডা কোন ফাঁকে গেল গা টের পাইলাম না। বাড়ির উডানে (আঙ্গিনা) দেখলাম খেলে, এরপর আর দেখি নাই, চাইয়্যা দেখি মাইয়্যা আমার পুস্কুনির (পুকুর) পানিতে ভাসে।
পানি ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বাংলাদের শিশু একাডেমির সহযোগীতায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের সাঁতার শিখানো হচ্ছে।
শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মো হারুন অর রশির সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে ভোলায় ৫০ টি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই প্রকল্পে জেলায় ১০০ জন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৬ বছরে থেকে ১০ বছরের শিশুদের সাঁতার শিখানো হচ্ছে। আশা করি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা হলেও শিশু মৃত্যুর হার কামনো যাবে।'
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের লোকাল সুইমিং ইনস্ট্রাক্টর (এলএসআই) মো. আল আমিন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, 'আমাদের প্রতিটি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সপ্তাহে ৫০ জন শিশুকে সাঁতার শিখানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি শিশু সাঁতার শিখে নিজেকে আত্নরক্ষা করতে পারে। এতে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার অনেকটা কমে আসবে।'
ভোলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মনিরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'চলতি বছরের ৮ মাসে পানিতে ডুবে ১২০ জন শিশু মৃত্যু হয়েছে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক। শিশু মৃত্যু রোধে শিশুর মায়েদের আরও সচেতন হতে হবে। বাড়ির পাশের পুকুর থাকলে তাতে জাল বা বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দিতে হবে, যাতে শিশুরা পুকুরে কাছে যেতে না পারে। এছাড়াও শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তাদের প্রতি নজর রাখতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বেশিরভাগ শিশুই সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। এসময় মায়েরা ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন। যার ফলে শিশুরা খেলা করার সময় অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়। এই সময়টায় শিশুদের প্রতি খেয়াল রেখে শিশুদের মায়েদের কাছে রাখতে হবে। 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এছাড়াও, শিশুদের ৪ /৫ বছর বয়স হওয়ার সাথে সাথে তাদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। যাতে নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারে।'
নরসিংদী থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুরে শহরের বাসাইল এলাকার ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার হাসপাতাল থেকে নবজাতকটি চুরি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক।
নবজাতক চুরি করা নারীর নাম ফাতেমা বেগম। তিনি শিবপুর উপজেলার কুমারটেকের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি রায়পুরা থানার রাজবাড়ি (মৌলভী বাড়ি)।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার হাসপাতাল থেকে দুপুর ২ টার দিকে নবজাতকটি চুরি হয়। ওই নবজাতক জেলার শিবপুর উপজেলার বাড়ৈআলগী এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক শরীফ মিয়া ও মিথিলা দম্পতির সন্তান।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে নবজাতকের নানি ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগে এক অপরিচিত নারী নবজাতকটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে অভিযান চালিয়ে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।
নবজাতকের বাবা শরীফ হোসেন জানান, শনিবার (৯ আগস্ট) তার স্ত্রী মিথিলা ছেলে সন্তান প্রসব করেন। রোববার দুপুরে এক নারী তার বাচ্চাটি চুরি করে পালিয়ে যান। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিশু চুরি করা ওই নারী নিজেকে শিশুর মায়ের আত্মীয় পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি বেশ কিছু সময় সেখানে ছিলেন এবং শিশুটি তার কোলে ছিল।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, ওই নারী নিজেকে হাসপাতালের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
ওসি মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, বাচ্চাটি চুরি হওয়ার সংবাদ ও অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তারা নবজাতকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ওই নারীর পরিবারে ছেলে সন্তান না থাকায় স্বামীর চাপে নবজাতকটি চুরি করেন তিনি। নবজাতক চুরি করার দায়ে নারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।