বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কোটি টাকার স্বর্ণের বার ফেলে পালাল পাচারকারীরা

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৫৮
প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৩৯

যশোরের বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্তে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া ১০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে পোর্ট থানার পুলিশ। এক কেজি ১৬২ গ্রাম ওজনের এ স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

সোমবার দিবাগত রাতে সীমান্তের সাদিপুর সড়কের ব্রিজের পাশ থেকে স্বর্ণের বারগুলো সাদা স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কোনো পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

বেনাপোল পোর্ট থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া দৈনিক বাংলাকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচারের জন্য পাচারকারীরা সাদিপুর সীমান্তের একটি ব্রিজের ওপর অবস্থান করছে। এমন সংবাদে থানা-পুলিশের বিশেষ একটি দল উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালায়। পাচারকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

ওসি জানান, পালানোর সময় পাচারকারীদের কাছে থাকা স্বর্ণের বারগুলো পড়ে গেলে পুলিশ ১০টি বার উদ্ধার করে। যার ওজন ১ কেজি ১৬২ গ্রাম। আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি টাকা।

উদ্ধার স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি শাখায় জমা করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বিষয়:

অসহায় বৃদ্ধার টানে গভীর রাতে ছুটে এলেন মানবিক ইউএনও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো দেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা পাথরঘাটায় ডিসেম্বরের কনকনে শীত। রাত প্রায় ৮টা। হঠাৎ রাস্তার পাশে অজানা এক কান্নার শব্দ থমকে দিল দৈনিক বাংলার পাথরঘাটা প্রতিনিধি সাংবাদিক আরিফ তৌহীদের পথচলা। কাছে গিয়ে দেখা গেল- বস্তুহীন, ক্ষীণদেহ, পরিত্যক্ত এক বৃদ্ধা নারী নিঃশব্দে শুয়ে আছেন রাস্তার ধারে। শরীরজুড়ে হাড়গোড়ের অসহায় চিহ্ন, চোখেমুখে অভিমান আর দীর্ঘদিনের কষ্টের ছাপ। যেন অজানা পথের দিকে তাকিয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের নিচে জীবন-মরণের স্রষ্টাকে ডাকছেন তিনি।

পরিবারের পরিচয় জানতে চাইলে খুলে বললেন তার গল্প। নাম তহমিনা। বয়স আনুমানিক আশির কোটায়। বাড়ি নলছিটি উপজেলার মালিপুর ইউনিয়নের নাঙ্গলী-বৈচুঙ্গী গ্রামে। স্বামী নূর ইসলাম খাঁ- যিনি প্রথম স্ত্রী থাকার পরও আরও দুটি বিয়ে করেছেন। চার ছেলে ও দুই মেয়ের জননী এই নারী একসময় ছিলেন সংসারের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুরতায় আজ তিনি পরিত্যক্ত, অযত্নে ছড়িয়ে পড়েছেন অজানা পথে। অনাহার আর অবহেলায় ক্ষয়ে গেছে দেহ, নষ্ট হয়েছে চলার শক্তি।

সাংবাদিক আরিফ তৌহীদের চোখ এ দৃশ্য দেখে স্থির থাকতে পারেননি। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও যখন কোনো সহায়তার ব্যবস্থা করা সম্ভব হলো না, তখনই তিনি ফোন দিলেন সদ্য যোগদান করা পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহানের কাছে।

ফোনে বিষয়টি শোনামাত্রই ইউএনও ইশরাত জাহান গুরুত্বের সাথে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই টিএইচও এবং অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান তিনি নিজেই। মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে, স্বশরীরে উপস্থিত থেকে বৃদ্ধা তহমিনাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

সেদিন রাতেই চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। স্থানীয় সমাজকর্মী মেহেদী শিকদার, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন, শিক্ষক আজমী হাসানসহ আরও অনেকে ছিলেন সেই মানবিক মুহূর্তের সাক্ষী। কিন্তু মানবিক প্রয়াসের মাঝেই ভোরে এলো হৃদয়বিদারক খবর। ১০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তহমিনা।

খবর পেয়ে ইউএনও ইশরাত জাহান আবারও এগিয়ে আসেন। বৃদ্ধার দেওয়া নাম-পরিচয় ধরে খোঁজ নিয়ে তার পরিবারের ঠিকানা শনাক্ত করেন এবং প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেন। পরিত্যক্ত জীবনের অন্তিম পরিণতিটুকু যেন হয় স্বসম্মানের-এটুকুর নিশ্চয়তা দেন তিনি।

ইউএনও ইশরাত জাহান বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য। তাকে ওই অবস্থায় দেখে মন মানছিল না। তাই রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারলাম না। তবে কমপক্ষে তার মরদেহ পরিবারে পৌঁছে দিতে পেরেছি, এতেই স্বস্তি।’

এমন মানবিকতা, দায়িত্ববোধ আর দ্রুত উদ্যোগে ইতোমধ্যেই সর্বমহলে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। উপজেলার সাধারণ মানুষ তাকে আখ্যায়িত করছেন‘মানবিক ইউএনও ইশরাত জাহান’তাদের ভাষ্য, ‘একজন ইউএনও কেবল প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন, তিনি পুরো উপজেলার মানুষের অভিভাবক। মানবিকতার এমন দৃষ্টান্ত সকল কর্মকর্তার জন্য অনুকরণীয়।’

এক অসহায় বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানো, রাতের অন্ধকারে মানবিকতার আলো জ্বালানো ইশরাত জাহান যেন সেই আলোকবর্তিকা, যিনি দেখিয়ে দিলেন প্রশাসনের আসল শক্তি কাগজ-কলম নয়, মানুষের প্রতি মানবিক দায়িত্ববোধ।


বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নবীন বিমানসেনাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৫৩তম নব বিমানসেনা দলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী স্টেশন শমশেরনগরে অবস্থিত রিক্রুটস ট্রেনিং স্কুল (আরটিএস)-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং আকর্ষণীয় মার্চ পাস্ট এর অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কৃতি রিক্রুটদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন।

বিমানবাহিনী প্রধান তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিক্রুটদেরকে সততা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে বিমান বাহিনীর যোগ্য বিমানসেনা হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তারা অকৃত্রিম দেশপ্রেমের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলার আকাশ মুক্ত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সক্রিয় অবদান রাখবে।

এ কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে মোট ৪৪১ জন রিক্রুট বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। এসি-২ মো. ওমর ইবনে নোমান এবং এসি-২ রেদোয়ান আহম্মেদ যথাক্রমে শিক্ষা ও জেনারেল সার্ভিস ট্রেনিং-এ সেরা রিক্রুট বিবেচিত হন। এসি-২ মো. ওমর ইবনে নোমান, সার্বিক বিষয়ে কৃতিত্বের জন্য শ্রেষ্ঠ রিক্রুট বিবেচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

এর আগে বিমান বাহিনী প্রধান প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার-এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ খায়ের উল আফসার, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি এবং রিক্রুটস্ ট্রেনিং স্কুলের অধিনায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. খায়রুল বাসার, পিএসসি তাকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল, পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন এবং স্থানীয় সামরিক ও অসামরিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী রিক্রুটদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।


নীলফামারীতে বুড়ি তিস্তা নদীর দখলমুক্ত করে খননের দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে সেচ সংকট নিরসনে বুড়ি তিস্তা নদী ও জলাশয় দখল মুক্ত করে খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সেচ সুবিধাবঞ্চিত কৃষকেরা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। ওই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সদস্যরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এতে বক্তব্য রাখেন বাপা এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কনক রহমান, বুড়ি তিস্তা নদী ও জলাশয় পুনরুদ্ধার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সেচ সুবিধাবঞ্চিত কৃষক শফিক হোসেন, দুলাল হোসেন, জয়নাল আলী সহ আরও অনেক।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বুড়িতিস্তা নদী ও জলাশয় অবৈধ দখলে থাকায় সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার কৃষকেরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

তারা অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বুড়িতিস্তা খননের উদ্যোগ নিলেও প্রশাসন দখলদারদের উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অল্পসংখ্যক দখলদারের সামনে প্রশাসন কেন অসহায়, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন বক্তারা।

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।


নেত্রকোনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার প্রধান নদীগুলির সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ওপর কারিগরি সামাজিক ও পরিবেশগত মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় পাবলিক হলে আই ডব্লিউ আর এম এই মতবিনিময় কর্মশালার আয়োজন করে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) মো. রাফিউস সাজ্জাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুনমুন জাহান লিজা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) ড. শ্যামল চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মাহবুবর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার। বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন। মতবিনিময় কর্মশালায় আই ডব্লিউ আর এম কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়।

সেখানে আরও কিছু যোগ করা যায় কি না সে ব্যাপারে সকলের মতামত চাওয়া হয়। এই সমীক্ষার প্রেক্ষিতে রোডম্যাপ তৈরি করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে সুপারিশমালা পেশ করা হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।


মিয়ানমারে পাচারের সময় ১১ পাচারকারী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারে অবৈধভাবে সিমেন্ট পাচারের সময় ১১ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় থেকে তাদের আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ‘অপারেশন সমুদ্র প্রহরা’-এ নিয়োজিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জাহাজ সৈয়দ নজরুল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সন্দেহজনক একটি ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশে বহন করা প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ৬০০ বস্তা সিমেন্ট জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে পাচার কাজে ব্যবহৃত বোটসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত মালামাল, বোট ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, পাচার ও চোরাচালান রোধে কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাসের দাবি ডরপের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে ডব়্প যুব ফোরাম। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় ডব়্প যুব ফোরাম আয়োজিত জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবিতে মানববন্ধন শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টাকে সময়ক্ষেপণ না করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত পাসের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে তামাক বিরোধী যুব প্রতিনিধিরা বলেন, টোব্যাকো এটলাস ২০২৫’র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ (প্রতিদিন গড়ে ৩৫৭ জন) মারা যায় এবং লাখ লাখ মানুষ অসুস্থ হয়। তামাকের কারণে অসংক্রামক রোগ যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসরোগ, ক্যানসার, এবং কিডনি রোগ ক্রমেই বাড়ছে।

যুব প্রতিনিধিরা আরও বলেন, সম্প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও এখনো বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বিলম্বের মূল্য আমাদের জীবন দিয়ে দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন মানুষ অসুস্থ হচ্ছে, মারা যাচ্ছে— এটাই নিষ্ক্রিয় থাকার অপূরণীয় ক্ষতি। এছাড়াও তামাক ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিবছর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় প্রায় ৩৯.২ হাজার কোটি টাকা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পাশ হলে একই সঙ্গে দেশে তামাকের ব্যবহার হ্রাস পাবে এবং এর মারাত্মক স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদিব বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল- এফসিটিসিতে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। তামাকের মহামারি সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনো সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পাশ হলে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো দূর হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসির সুপারিশসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং বৈশ্বিক সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলনের আলোকে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, তামাক কোম্পানিগুলোর প্রধান টার্গেট আমাদের মতো তরুণরা। কারণ তারা জানে যে, তরুণদের একবার আকৃষ্ট করতে পারলে তারা দীর্ঘমেয়াদি ভোক্তা পাবে। এ লক্ষ্যে তারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে। সিগারেট, ই-সিগারেটের পর এখন তাদের নতুন কৌশল হলো নিকোটিন পাউচ। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রলোভন ও ভুল তথ্য দিয়ে তারা তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি দেখা গেছে ফিলিপ মরিসের মত তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই কূটকৌশল রুখে দিতে হবে এখনই। আর তার জন্য প্রয়োজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস করা।

মানববন্ধনে যুব প্রতিনিধিরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ৬টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। মানববন্ধন শেষে ইয়ুথরা ইউসেপ বাংলাদেশে ডব়্প’র আয়োজনে এক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।


১১ ডিসেম্বর: নান্দাইল মুক্ত দিবস

আপডেটেড ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৩
মোঃ তারিকুল আলম নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলের মানুষের জন্য ১১ ডিসেম্বর এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় পাকবাহিনীর দখলমুক্ত হয় নান্দাইল। রাত দুইটার দিকে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। এরপর থেকেই দিনটি নান্দাইলবাসীর কাছে “নান্দাইল মুক্ত দিবস” হিসেবে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছে।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে নান্দাইলের মুশুল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপন বৈঠকে বসেন মেজর খালেদ মোশাররফ ও এটিএম হায়দার। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় পরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েক দিনের মধ্যেই ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করা হয় শুভখিলা রেলব্রিজ। এতে কিশোরগঞ্জ দিক থেকে ভারী অস্ত্রসহ পাকবাহিনীর অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পরে পাকিস্তানি সেনারা নদীপথে হালকা অস্ত্রসহ নান্দাইলে প্রবেশ করে।

১৮ এপ্রিল নান্দাইল শহরের প্রবেশমুখে কিশোরগঞ্জ সড়কে ট্রেঞ্চ কেটে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা হলেও স্থানীয় দালালদের সহায়তায় খবর পেয়ে পাকবাহিনী এ উদ্যোগ ব্যর্থ করে দেয় এবং এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহনেওয়াজ ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।

২১ এপ্রিল মেজর আশফাকের নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী নান্দাইলে ঘাঁটি স্থাপন করে এবং ওই দিনই রাজগাঁতী, শুভখিলা ও কালীগঞ্জ এলাকায় নির্বিচারে ১৮ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা ও কয়েকশ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

বারুইগ্রাম মাদ্রাসায় পাকবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের পর এলাকাজুড়ে শুরু হয় ত্রাসের রাজত্ব। সংখ্যালঘু পরিবারগুলো আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় আমুদাবাদে এবং দালালদের সাথে সমঝোতায় সীমাবদ্ধ জীবনে কাটাতে হয় যুদ্ধকালীন সময়।

পাকিস্তানি বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকার–আলবদর সদস্যরা শুভখিলা রেলব্রিজের দুই পাশে পাহারা বসায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যার পর রিজার্ভ ট্রেনে করে গৌরীপুর ও ভৈরব থেকে ধরে আনা হত শত শত মুক্তিযোদ্ধা-সমর্থক ও নিরীহ গ্রামবাসী। পরে তাদের রেলব্রিজের নিচে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো।

এ ছাড়া বারুইগ্রাম ক্যাম্পের পাশে ডাংরীবন্দ গ্রাম ও একটি পরিত্যক্ত ইটাখোলায় কমপক্ষে ২৫–৩০ জনকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী।

তারপর মুক্তিযোদ্ধারা কৌশলগত আক্রমণের পরিকল্পনা করেন ১০ নভেম্বর, যার বাস্তবায়ন নির্ধারিত হয় ১৭ নভেম্বর। সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে নান্দাইল থানা ঘিরে ফেললেও পাকিস্তানি বাহিনী আগেই পরিকল্পনার খবর পেয়ে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করে নেয়। সাড়ে চার ঘণ্টার সম্মুখ যুদ্ধে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া, ইলিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, শামসুল হক, জিল্লুল বাকি সহ ২৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা এলাকায় ব্যাপক লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং গ্রামবাসীদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়।

ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই দেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়তে শুরু করলে মুক্তিযোদ্ধারা নতুন কৌশলে আক্রমণের প্রস্তুতি নেন। ১০ ডিসেম্বর রাতে নান্দাইল শহরকে ঘিরে থাকা নরসুন্দা নদীকে কাজে লাগিয়ে কমান্ডার ফারুকের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী তিনদিক থেকে থানা ঘেরাও করে পাকবাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। ১১ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে উত্তোলিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা—ঘোষণা পাওয়া যায় নান্দাইল মুক্ত হওয়ার।`

আজকের ১১ ডিসেম্বর শুধু একটি তারিখ নয়—এটি নান্দাইলবাসীর আত্মমর্যাদা, ত্যাগ ও বীরত্বের প্রতীক। প্রতি বছরই দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি, আলোচনাসভা, শহীদ স্মরণ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।


১ বছর ধরে সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

মীরসরাই উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক বছর ধরে শূন্য রয়েছে খতিবের পদ। খতিব না থাকার ফলে প্রত্যেক জুমায় বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক কিংবা ধর্মীয় আলোচক এনে নামাজ পড়ানো হচ্ছে। ইমাম ও খতিব নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এছাড়া মসজিদের ১৪ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা।

জানা গেছে, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত ইসলাম ধর্মীয় ইবাদত ও শিক্ষার অনুশীলনের আধুনিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্প থেকে সারাদেশের ন্যায় মীরসরাই উপজেলাতেও মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নির্মিত হয়। মসজিদে নামাজ পড়ানোর জন্য ইমাম ও খতিব পদে ১ জন, মোয়াজ্জিন পদে ১ জন ও দুই জন খাদেম নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন খতিব মাওলানা আরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে মুসল্লিরা মানববন্ধন এবং ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২৩ সেপ্টেম্বর মুসল্লিদের আন্দোলনের মুখে খতিব মাওলানা আরিফুল ইসলাম ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে পদটিতে স্থায়ীভাবে কাউকে আর নিয়োগ দেওয়া হয়নি। খতিব না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ধর্মীয় আলোচক দিয়ে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ানো হয়ে আসছে। ইমামের অনুপস্থিতিতে বর্তমান মোয়াজ্জিন মাওলানা তছলিম উদ্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুরুতে অতিথি খতিবদের ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে সম্মানি দিয়ে আসলেও গত কয়েক মাস যাবত প্রতি জুমায় নামাজ পড়ানোর জন্য ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ইমাম ও খতিব নিয়োগের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মডেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি গত বছরের ১০ ডিসেম্বর পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। এতে জমা হওয়া আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে ৭ জনকে ইন্টারভিউর জন্য চিঠি দেওয়া হয়। গত ৩১ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা ও স্বাক্ষাতকার গ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। পরবর্তীতে তা আবার পিছিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে মডেল মসজিদে ২০২৪ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৮ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বিল পরিশোধের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ থেকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মীরসরাই উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার সাবের আলম বলেন, ইমাম ও খতিব নিয়োগের জন্য গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। এতে বেশকিছু আবেদন আসলে যাচাই-বাছাই করে ৭জনকে ইন্টারভিউর জন্য চিঠি দেওয়া হয়। গত ৩১ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা ও স্বাক্ষাতকার গ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। ইউএনও ম্যাডামের নির্দেশনায় সেটি পেছানো হয়েছে। শীঘ্রই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, মসজিদের নীচতলা ও তৃতীয় তলায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প করায় বিদ্যুৎ বিল বেশি আসতেছে। আগে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল ২০-২৫ হাজার টাকা আসলেও বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা আসছে। সেনাবাহিনী থেকে আমাদের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয় না। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ থেকে দেওয়া চিঠি আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশাকরি এ বিষয়ে নির্দেশনা আসবে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ মীরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম আদনান আহমদ চৌধুরী বলেন, মীরসরাই মডেল মসজিদের ২০২৪ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৮ টাকা বকেয়া বিল জমা হয়েছে। বিল পরিশোধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য ইউএনও শীঘ্রই উদ্যোগ নিবেন বলে জানিয়েছেন।

মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোমাইয়া আক্তার জানান, ইমাম ও খতিব নিয়োগের জন্য গত ৩১ অক্টোবর পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় তা স্থগিত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, মসজিদের বিদ্যুৎ বিলের সাড়ে ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করার মতো ফান্ড নেই। সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের কারণে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসতেছে। বিল পরিশোধের বিষয়ে সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


কু‌মিল্লা-‌সি‌লেট মহাসড়কের দে‌বিদ্বার অং‌শে সংস্কার শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দে‌বিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতি‌নি‌ধি

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বার অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে ২৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

৪ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩৩ টাকা ব্যয় নির্ধারিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে অপ্সরা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ এই সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। দ্রুত কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ দূর করাই এখন আমাদের লক্ষ্য। কাজ শেষ হলে কুমিল্লা–সিলেট মহাসড়ক ও দেবিদ্বার নিউমার্কেট এলাকার ভোগান্তি দূর হবে এবং স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে। এর পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”


সরকারি জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজের নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের বাসাইলে সরকারি জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজের (২০২৫-২০২৬) শিক্ষাবর্ষের নবাগত একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের নবীন বরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। উদ্ভোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিন শরীফ সুপন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান খান, বাসাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম মিয়া, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী খান, বাসাইল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে বলেন, তোমরা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে এসেছ। এই সময়টা তোমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভালো ফলাফল করাই নয়, বরং জ্ঞান অর্জন, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হোক তোমাদের মূল লক্ষ্য। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং সামাজিক কাজে অংশ নিয়ে নিজেদেরকে বিকশিত করো।

দিনব্যাপী নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ১ম পর্বের অনুষ্ঠানসূচীর অংশ হিসেবে ছিলো প্রধান অতিথি সহ আগত অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান, নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ, নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অতিথিবৃন্দের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান।

অনুষ্ঠানে ২য় পর্বে শিক্ষার্থী ও শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেষনায় ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করেছে সরকারি জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, রোভার স্কাউট।


জামালপুরে চুরি করতে গিয়ে র‌্যাব সদস্যের স্ত্রীকে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় লিপি আক্তার (৩৩) নামে এক র‌্যাব সদস্যের স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। একদল দুর্বৃত্ত চুরি করতে গিয়ে তাদের চিনে ফেলায় ওই নারীকে হত্যা করেছে। বৃহষ্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌর শহরের শিমলা বাজার গণময়দান সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ লিপি আক্তার উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী মহর উদ্দিন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক। বর্তমানে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন র‌্যাটালিয়ান (র‌্যাব)-২ এ কর্মরত আছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই ছেলে ও এক মেয়ের মা লিপি আক্তার গণময়দান (শ্রম কল্যান কেন্দ্র) এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাসাটি নিরিবিলি হওয়ায় আগে আরও দুইবার চুরি হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে তিন চোর জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে।

লিপির মেয়ে মিথি (৮) জানায়, তার দুই ভাই মামার বাড়িতে ছিল। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল এ সময় বাসায় চোর ঢুকে। মা’র ঘুম ভাঙলে চোরদের চিনে ফেলে। তখন তারা মায়ের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে পালিয়ে যায়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি বাচ্চু নিয়া জানান, চোরদের চিনে ফেলায় অবস্থা বেগতিক দেখে তারা ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।


সাতক্ষীরার পুলিশ কর্মকর্তা ও সাবেক পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাবেক পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডলের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আল ফেরদাউস আলফা। পরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন, সদর থানার সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মহিদুল ইসলাম,সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেল।

মামলায় বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল চেকপোস্টে বাদীর দেড় কোটি টাকার ভারতীয় সামদ্রিক মাছ জব্দ করে বিজিবি। পরে বাদীর বৈধ কাগজপত্র বিজিবি’র কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু বিজিবি কাগজপত্র যথাযথ বুঝতে না পেরে সেই মাছ সাতক্ষীরা সদর থানায় প্রেরণ করে। বৈধ কাগজ পাঠালেও মাছ ছাড়া হবেনা, এমন হুমকি দিয়ে সদর থানার তৎকালীন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ফোনে বাদীর কাছে দেড় কোটি টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে বাদী ফোনের সুইস অফ করতে বাধ্য হন। সেদিন মধ্যরাতে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন ও ডিবির ওসি মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ বাদীর পলাশপোলস্থ বাড়িতে যেয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেসময় বাড়িতে থাকা ১৫ লাখ টাকা দিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। বাদীর ভাই আব্দুল আলিম ও বাদীকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায় বলেও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। চাঁদা না দেওয়ায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মাছ আটকের ঘটনায় করা মামলায় তাদেরকে অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে পরস্পর যোগসাজসে জব্দকৃত দেড় কোটি টাকার মাছ মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি দেখিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে এ মামলায় অভিযুক্তরা।

এবিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. খায়রুল বদিউজ্জামান বলেন, এ মামলার পরবর্তী ধার্য দিন নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬ সালের ২০ এপ্রিল তারিখে। এছাড়া বিচারিক হাকিম মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।


কুমিল্লায় পৃথক ২ সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ১৫ ও মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি পুটিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দূর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে উদ্ধার করে।

আহতদের মধ্যে অন্তত ৮ জনকে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।

পুলিশ জানায়, নোয়াখালীমূখী লাল সবুজ নামের একটি যাত্রীবাহী পরিবহন ঢাকা থেকে ছেড়ে দাউদকান্দির পুটিয়া এলাকায় পৌঁছালে সকাল ১১ টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় বাসের ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে দাউদকান্দিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পুটিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোঃ রুহুল আমিন জানান,নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরিচয় নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


banner close