রংপুরে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় মেয়ের প্রেমিকের পিটুনিকে প্রাণ হারিয়েছেন নওশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি। বুধবার সকালে পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নওশাদ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাচারি বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নওশাদ আলীর মেয়ের সঙ্গে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামধন এলাকার ওসমান গণির ছেলে আব্দুল করিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে নওশাদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান আব্দুল করিম। এ ঘটনায় নওশাদ আলী করিমকে আসামি করে রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাবার জিম্মায় দেয় এবং আসামিকে কারাগারে পাঠায়। প্রায় তিন মাস জেল খাটার পর সম্প্রতি জামিনে বের হন আব্দুল করিম। এই খবরে ওই মেয়ে আবারও আব্দুল করিমের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
বুধবার সকালে আব্দুল করিমের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন নওশাদ আলী। পথিমধ্যে ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজ এলাকায় তাদের পথ রোধ করে বেধড়ক পেটায় আব্দুল করিম। পরে স্থানীয়রা নওশাদ আলীকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পীরগাছা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যতটুকু শুনেছি তাকে পেটানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কিশোরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতাচেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২১ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার প্যাড়াভাঙ্গা ও নতুন জেলখানা মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে আটকদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, গতকাল সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার চেষ্টা করছেন শিবিরকর্মীরা। পরে সদর থানার প্যাড়াভাঙ্গা ও নতুন জেলখানা মোড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
ওসি আরও জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিবিরকর্মীরা ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। তাদের হামলায় পুলিশের সাত সদস্য আহত হন। পরে ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সেখান থেকে আটক করা হয় ২১ শিবিরকর্মীকে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলামের দাবি, ছাত্রশিবিরের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি শেষে ফেরার পথে ২১ কর্মী-সমর্থককে বিনা কারণে পুলিশ আটক করেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক পোশাক শ্রমিককে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জাহেদ সুলতান চৌধুরী রবিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাছড়ি ইউনিয়নে রবিনের নিজ কার্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। পরে মামলা হলে সোমবার ভোরে উপজেলার ছোট দারোগারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আগামীকাল (আজ) আদালতে আবেদন করা হবে।’
ঘটনাটি নিয়ে সোনাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে যতটুকু জেনেছি, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ওই শ্রমিক ও তার স্ত্রীকে নিজের অফিসে নিয়ে যায় মেম্বার রবিন। সেখানে তাকে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে মেম্বারসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। তবে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যায়।’
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চুরির অভিযোগে তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর হাত বেঁধে বেধড়ক পেটানোর পর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মারধর ও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলো রামচন্দ্রদী গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে ও গোপালদী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বায়েজিদ (১০), একই এলাকার হাসানের ছেলে ও রামচন্দ্রদী মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র সিয়াম (৮) এবং একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও জজ মিয়ার ছেলে আফরীদ (৮)।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সকালে মক্তব থেকে বাড়ি ফেরার পথে বায়েজিদ, সিয়াম ও আফরীদ গোপালদী পৌর মেয়র হালিম সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার সাইজিংয়ের সামনে পড়ে থাকা কয়েকটি নাট-বল্টু নিয়ে যায়। পরে মেয়র তার লোকজন দিয়ে বাড়ি থেকে তাদের ধরে নিয়ে যান। শিশুদের হাত বেঁধে দুই ঘণ্টা আটক রেখে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় বায়েজিদের চাচা কালাম ও আলামিন শিশুদের পক্ষে মিনতি করেও তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি। পরে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে শিশুদের মাথার চুল কেটে ছেড়ে দেয়া হয়।
বায়েজিদের বাবা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আমার ছেলেসহ তিন শিশুকে নির্যাতন করেছেন মেয়র। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
জানতে চাইলে গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদার বলেন, ‘এরা (ওই তিন শিশু) পেশাদার চোর। আগেও তারা চুরি করেছে। তাই তাদের চুল কেটে দিয়েছি।’
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রস-গুড়ের যশোর জেলায় নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা ও সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সোমবার দুপুর থেকে যশোর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করে খেজুরের রস না খাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ জ্বর, প্রলাপ করা ও অজ্ঞান হয়ে পড়া বুঝলে তাকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত শীতকালে বাদুড়ের মাধ্যমে খেজুরের রস থেকে মানুষে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অন্যজনের শরীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, দেশের ৩২টি জেলা এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসজনিত জ্বরের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যেও যশোর আছে। এজন্য জেলা প্রশাসন সতর্কতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, রস-গুড়ের জন্য যশোর জেলা বিখ্যাত। এ জেলায় রস হয় এমন গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ৮২৯টি। এসব গাছ থেকে বছরে পাঁচ কোটি লিটার খেজুরের রস উৎপাদন হয়।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক বলেন, যশোরজুড়েই খেজুর গাছ রয়েছে। এ জেলার মানুষের খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার প্রবণতা বেশি। বাদুড়ের মাধ্যমে খেজুরের রস থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁচা রস খেতে নিষেধ করা হচ্ছে।
মঞ্জুরুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত যশোরে কারও নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর মেলেনি। চৌগাছার এক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হননি। তবে যশোরের পাশের জেলা ঝিনাইদহে আক্রান্তের তথ্য রয়েছে। এ জন্য সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ জন্য গতকাল সোমবার প্রচার বার্তা রেকর্ডিং করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে উপজেলার সব হাটবাজারে বার্তাটি প্রচার করা হবে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য ১০টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। কারও সন্দেহ হলে আইসোলেশনে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ক্রেতা সেজে সুন্দরবনের একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে র্যাব-৬। সোমবার বিকালে উপজেলার হরিনগর বাজারসংলগ্ন ধলপাড়া গ্রামের শেখ হাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে চামড়াটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৬-এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর গালিব হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে র্যাব-৬-এর খুলনার সদর দপ্তর থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সব তথ্য জাননো হবে।’
আটক তিনজন হলেন ধলপাড়ার হাফিজুর রহমান (৪৩), শেখ আসিফ হাসান (২৬) ও শেখ ইসমাইল হোসেন (২৩)। তারা বর্তমানে র্যাব-৬-এর হেফাজতে রয়েছেন।
র্যাব-৬-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যেমে তারা জানতে পেরেছিল, হাফিজুর রহমানের কাছে বাঘের চামড়া রয়েছে এবং চামড়াটি তিনি বিক্রির চেষ্টা করছেন। পরে র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা ক্রেতা সেজে চামড়াটি কিনতে ইচ্ছুক হন। তাদের মধ্যে ৮০ লাখ টাকার বিনিময়ে চামড়া বিনিয়ের চুক্তি হয়। সোমবার বিকেলে ওই দলের এক তিন সদস্যকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাঘের চামড়াটি উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় খাদ্যগুদামে গমের চালান নিয়ে আসা ট্রাকে মিলেছে বালু ও পাথরভর্তি ২৮টি বস্তা। গত রোববার দুপুরে জেলা খাদ্যগুদামে ট্রাক থেকে গম নামানো সময় বালু ও পাথরগুলো পাওয়া যায়। তবে ট্রাকে পাথরগুলো কীভাবে এল, তা জানাতে পারছেন না চালক ও সহকারী।
এদিকে ঘটনা তদন্তে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল হামিদকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার সরকার এন্টারপ্রাইজ, জোনাকি এন্টারপ্রাইজ ও সানরাইজ এন্টারপ্রাইজের পরিবহন ঠিকাদারের মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা খাদ্যগুদামে মোট ৩০০ টন গম পাঠানোর কথা ছিল। গত শুক্রবার গমের প্রথম চালানে ১০০ মেট্রিক টন আসে। এরপর রোববার ভোরে দ্বিতীয় চালানের ১০০ মেট্রিক টন গম চুয়াডাঙ্গা খাদ্যগুদামে আসে। পরে গমের বস্তা নামানোর সময় একটি ট্রাকে বালুভর্তি কয়েকটি বস্তা পাওয়া যায়। পরে সবগুলো ট্রাকে তল্লাশি করে সন্ধান মেলে বালু ও পাথরভর্তি ২৮টি বস্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০০ টন গম চুয়াডাঙ্গায় বরাদ্দ দেয়া হয়। এ চালানে ১০০ টন গম নিয়ে খুলনা থেকে ভোরে ৬টি ট্রাক এসে পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গা খাদ্যগুদামে। পরে দুপুরে ট্রাক থেকে গমের বস্তা নামানোর সময় প্রথমে একটি ট্রাকে পাওয়া যায় ৬টি বালুর বস্তা। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রতিটি ট্রাক তল্লাশি করে ২৮টি বালু ও পাথরভর্তি বস্তাসহ চারটি বড় পাথরের টুকরা পাওয়া যায়।
নজরুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাক থেকে গম চুরি করে ওজন ঠিক রাখতে বালু আর পাথর দিয়ে তা সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহীদুল ইসলাম জানান, খুলনার ৪ নম্বর ঘাট থেকে ট্রাকগুলোতে গম লোড হয়েছিল। সেখান থেকে বালুর বস্তা ট্রাকে তোলার কোনো সুযোগ নেই। রাস্তার মধ্যে এমন কোনো কারসাজি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে গম নিয়ে আসার পর রাস্তায় কোনো জায়গায় মালামাল ওঠানো এবং নামানো হয়নি বলে দাবি করছে ট্রাকটির চালক রাব্বী হোসেন ও সহকারী মেহেদী হাসান। তারা বলছেন, খুলনা থেকে গমভর্তি ট্রাক নিয়ে সরাসরি চুয়াডাঙ্গায় এসেছেন। কীভাবে বালু ও পাথরভর্তি বস্তা ট্রাকে রাখা হয়েছে, তারা বলতে পারছেন না।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কামারখন্দ সাব-জোনাল অফিস থেকে আব্দুল আলিম (৪৯) নামে এক নিরাপত্তা প্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল পূর্ব বাজারের পল্লী বিদ্যুতের অফিস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল আলিম বগুড়া জেলা শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কামারখন্দ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) কাজী জসিম উদ্দিন জানান, রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল আলিম। সকালে অফিসের নিচ তলার মুদি দোকানদার অফিসের ভেতরে আব্দুল আলিমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের জানান। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান জানান, কামারখন্দ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং শাখা থেকে নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল আলিমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কোনো কারণে আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিয়ে বাড়ি থেকে কনে নিয়ে ফেরার পথে বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতরে নদী পার হওয়ার বাজি ধরেন বাবুল (২২) মিয়া। এরপর নদীতে ঝাঁপ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে কিছুদূর সাঁতরে আসেন তিনি। তবে তীব্র স্রোত থাকায় নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে তলিয়ে যান পানিতে। এ ঘটনার প্রায় ১১ ঘণ্টার পর হলেও এখনো তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুরের দুধকুমার নদের খেয়া পারাপারের শহিদুলের ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বাবুল মিয়া উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের মাওলানা পাড়ার গ্রামের আনিস আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, পাইকেরছড়া মাওলানা পাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে হাসেম আলীর সঙ্গে তিলাই ইউনিয়নের খোঁচা বাড়ির চর এলাকার মৃত হযরত আলী মেয়ের বিয়ে হয়। কনের বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌকায় করে রোববার রাত ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সাঁতরে নদী পার হওয়া নিয়ে বাবুল তার বন্ধুদের সঙ্গে ৫০০ টাকা বাজি ধরেন। এরপর নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কিছুদূর সাঁতরে এলে স্রোতের তোড়ে পানিতে তলিয়ে যান তিনি। এখনো তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সকালে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়েছে। রংপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে একটি বাজারে আগুন লেগে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় চারটি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত রোববার মধ্যরাতে উপজেলার আইসড়া বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম আইসড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাজারে টেইলার্সের দোকানি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৩টার দিকে আইসড়া বাজারে হঠাৎ একটি দোকানে আগুন লাগে। পরে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। এর মধ্যে চারটি দোকানে আগুনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে, প্রায় দুই ঘণ্টা পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে এর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় টেইলার্সের দোকানের ভেতরে থাকা মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আগুনে চারটি দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল সরকার বলেন, দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন মঞ্জুরুল। আগুন লাগলে সে দোকান থেকে বের হতে পারেনি। পরে পুড়ে মারা যান। এ ছাড়া চারটি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বাসাইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম বলেন, টেইলার্সের দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ধারণা করা হচ্ছে, টেইলার্সের দোকানে থাকা ব্যক্তিটি আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চারটি দোকান ঘর পুড়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবা ফজলে আলমকে (৫৮) খুনের পর রাতেই থানায় গিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন গোলাম আজম। (২৮)।
ওমর আজম একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে দেন। নিহত ফজলে আলম কাঠের ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স’ মিলের মালিক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নির্মোল রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা এখন বলা যাচ্ছে না। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পিরোজপুরের সদর উপজেলায় আগুনে পুড়ে সোহেল হাওলাদার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভাইজোড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল (২৮) ওই এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই নাসির উদ্দিন বলেন, সোহেলের ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে ভোরে আমার স্ত্রী ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। পরে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন। তবে ঘরে ঘুমিয়ে রয়েছে সোহেল। এ সময় তাকে উদ্ধারে বেশ কয়েকবার ঘরে ঢুকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিভালে ঘর থেকে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব-অফিসার আব্দুর রশিদ হক জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা একজনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা।
মোছলেম উদ্দিন আহমদের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী, ৪ কন্যা, একমাত্র ভাই, আত্মীয়স্বজন ও বহু রাজনৈতিক শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
এই রাজনীতিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। তিনি জানান, ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে সোমবার মোছলেম উদ্দিনের মরদেহ চট্টগ্রামে আনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জানাজা শেষে গরীব উল্লাহ শাহ মাজারে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মোছলেম উদ্দিন বেশ পরিচিত নাম। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের রাজনীতিতে তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে ছিলন। ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ শাখার সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনি চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনিও যুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি পুনরায় ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরবর্তী সময় যুবলীগের রাজনীতিও করেন। এরপর দেড় দশক ধরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১২ সালের নভেম্বরে আখতারুজ্জামান বাবুর মৃত্যুর পর থেকে এই শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল মারা গেলে শূন্য হয় আসনটি। এরপর উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এবার তার প্রয়াণে আবারও শূন্য হলো আসনটি।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার নওদাবাস এলাকায় মাইক্রোবাসকে জায়গা করে দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে হাফিজুল ইসলাম (২২) নামে এক কলেজছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন।
রোববার সকালে হাতীবান্ধার নওদাবাস এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে হাফিজুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহা আলম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত হাফিজুল হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের জসীর উদ্দীনের ছেলে। তিনি বড়খাতা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে হাতীবান্ধা থেকে দইখাওয়া যাওয়ার পথে নওদাবাস এলাকায় একটি মাইক্রোবাসকে সাইড দিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ আনার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ এলে দাফনের অনুমতি দেয়া হবে।